আঁধারে_মাতৃ_দুহিতা
#১ম_পর্ব
লেখা_আল_আমিন(শান্ত)
১০বছরের মেয়ে এলিনা ঘুমের মধ্যে অনুভব করছে কেউ ওর শরীরের স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে হাত দিচ্ছে।
ওর খুব অস্থস্তিবোধ হচ্ছে কিন্তুু এতুটুকুন একটা বাচ্চা মেয়ে কি করবে।
ও শুধু বারবার ছটফট করেছে এই স্পর্শ থেকে বাঁচার জন্য।কিন্তুু কোনোভাবেই পারছে না।
খু্বই খারাপ লাগছে ওর।
.
-মা এলিনা দরজাটা খোল
কি হয়েছে মা তোর এভাবে দরজা বন্ধ করে রেখেছিস কেনো?
-তুমি কি ওকে কিছু বলেছো?
-না আমিতো ওকে কিছুই বলিনি
-তাহলে ও এভাবে দরজা বন্ধ করে রেখেছে কেনো?
-সেটাতো আমিও বুঝতে পারছি না হঠাৎ কি হলো মেয়েটার কাল রাতেওতো সব ঠিকই ছিলো।
একসঙ্গে খাবার খেলো,টিভি দেথলো
-দরজা খোল মা
এলিনাকে ডাকছে তার বাবা স্টিফেন ও তার মা ন্যান্সি।
কিন্তুু এলিনা দরজা খুলছে না কিছুতেই।
অনেকক্ষণ ডাকার পরে এলিনা দরজা খুলে দিলো।
ওর মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব ভয় পেয়ে আছে।
ন্যান্সি গিয়ে ওর মেয়েকে জরিয়ে ধরে বললো
-কি হয়েছে মা তোর?তোকে এমন দেখাচ্ছে কেনো?
এলিনা হাতের উল্টোপিঠ দিয়ে চোখের পানি মুচছে শুধু।
স্টিফেন এবার ওর কাছে গিয়ে বসে বললো
-বল আমাদের কি হয়েছে তোর কোনো ভয় নেই।
কেউ কিছু বলেছে?
এলিনা এবার আস্তে আস্তে কান্নাজরিত কন্ঠে বললো
-কাল রাতে একজন আমার ঘরে এসেছিলো
স্টিফেন আর ন্যান্সি দুজনেই খুব অবাক হলো এলিনার কথা শুনে।
অল্পক্ষণেই নিজেদের সামলে নিয়ে স্টিফেট আবারও বললো
-কে এসেছিলো?
এলিনা শুধু কেঁদেই যাচ্ছে।
কিন্তুু কিছু বলছে না।
ন্যান্সি ওকে নিয়ে গিয়ে বিছানায় বসালো।
স্টিফেনও এলিনার পাশে গিয়ে বসলো।
ন্যান্সি এলিনার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো
-কে এসেছিলো বল?তুই কি তাকে চিনিস?
এলিনা নাসূচক মাথা নাড়লো।ন্যান্সি ওকে আবারও বললো
-যে এসেছিলো সে ছেলে ছিলো নাকি মেয়ে?
-আমি জানি না
-আচ্ছা ঠিক আছে কোনো ব্যাপার না।
এবার বল সে তোকে কি বকেছে?
এলিনা নাসূচক মাথা নাড়লো আবার।
-তাহলে তুই কাঁদছিস কেনো?
-ঔ লোকটা খুব বাজে।আমার একদমই ভালো লাগেনি
কথাটা বলেই এলিনা ওর মাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আবারও কাঁদতে লাগলো।
এলিনার মা-বাবা সম্পূর্ণ অবাক হয়ে যাচ্ছে এলিনার কথা শুনে।
তারা ঠিকই বুঝতে পারছে এলিনার সঙ্গে কেউ কি করেছে বা করতে চেয়েছে যেটা ও বলতে পারছে না ঠিক করে।
তাদেরই বাড়িতে কেউ রাতে ঢুকে তার মাত্র ১০বছরের মেয়ের সাথে এমন আচরণ করেছে এটা কিভাবে হতে পারে?
আর এই বাড়িতে বাহিরের কোনো মানুষ ঢুকা একদম অসম্ভব।আর এই বাড়িতে ওরা ছাড়া আর কেউ থাকে না।
দরজা-জানালা সব ভেতর থেকে বন্ধ কোনো মানুষ ঢুকবে তার বিন্দুমাত্র চান্সও নেই।
এলিনা কখনো মিথ্যা বলে না।আর এরকম বিষয় নিয়ে এতুটুকুন একটা বাচ্চা মেয়ের মিথ্যা বলার কোনো প্রশ্নই আসেনা।
ন্যান্সি এলিনাকে নিয়ে চলে গেলো।
আর স্টিফেন গেলো নিচে সিকিউরিটি গার্ডের কাছে।
তাকে জিজ্ঞাসা করতে সে বললো বাড়িতেতো কাউকেই ঢুকতে বা বের হতে সে দেখেনি।
স্টিফেন বললো
-ঠিক আছে সেটা সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই জানা যাবে।
স্টিফেন গেলো সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে।
পরপর ৩বার রাতের পুরো ভিডিওটা দেখলো কিন্তুু বাড়িতে কাউকেই ঢুকতে বা বের হতে দেখা গেলো না।
তাহলে কে ছিলো সে যে কি না তার বাচ্চা মেয়েটার সাথে এমন করেছে?
চলবে…………..