#বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
,
পর্ব-৬
,
,
,
,
,
মাহিম:-আমার কি সেটা যদি বুঝতেন তাহলে হয়তো আপনার কপালটা ভালো হতো,চলুন খাবেন চলুন।
,
এইবলে মাহিম প্রিয়ার একহাত ধরে টানতেই প্রিয়া চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠলো।মাহিম কিছু বুঝতে পারলো না,প্রিয়ার হাতের দিকে তাকাতেই দেখলো সকালে চা পরাতেই প্রিয়ার হাতে অনেটাই জায়গা পুড়েগেছে।আর মাহিম সেখানেই ধরতেই প্রিয়া ব্যাথা পেয়ে চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠেছে।
মাহিম প্রিয়ার হাতের পোরা জায়গাটা দেখে প্রিয়ার হাতটা ছেড়ে দিল।মাহিম প্রিয়া হাতটা ছেড়ে দিতেই প্রিয়া দুহাত বুকের কাছে টেনে নিল।মাহিম দেখলো প্রিয়া দু’হাত বুকের কাছে এনে চোখ বন্ধ করে দাড়িয়ে চোখের জল ফেলছে,মাহিম বুঝতে পারলো প্রিয়া অনেকটাই ব্যাথা পেয়েছে।
,
,
মাহিম:-দেখি(হাতটা ধরে)
,
প্রিয়া:-ছাড়ুন(হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে)
,
মাহিম:-(রেগে)বললাম তো দেখি।
,
এইবলে প্রিয়ার হাতটা ধরার পর।
,
মাহিম:-ইসসসস অনেকটাই জায়গা তো পুড়েগেছে,চলুন ড্রেসিং করিয়ে দেই।
,
প্রিয়া:-(অভিমানী সুরে)ছাড়ুন জুতো মেরে গরু দান করার কোন দরকার নেই।(হাতটা ছারিয়ে নিয়ে)
,
মাহিম:-আমি বলছি না চলুন।
,
এইবলে প্রিয়াকে জোরে নিয়ে বিছানায় বসালো।
,
,
মাহিম প্রিয়ার হাতে ড্রেসিং করে দিচ্ছিল আর প্রিয়া অন্যরকম একটা মায়া নিয়ে দেখছিল।
,
,
প্রিয়ার হাতে ড্রেসিং করার পর।
মাহিম:-এখনে বসুন আমি আসছি।
,
প্রিয়াকে বসিয়ে রেখে মাহিম রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
,
কিছুক্ষন পর মাহিম প্রিয়া জন্য রাতের খাবার নিয়ে আসলো।প্রিয়া মাহিমের হাতে খাবারের প্লেট দেখে অবাক হয়ে মাহিমের দিকে তাকিয়ে রইলো।মাহিম রুমে এসে খাবার গুলো মাহিম টেবিলে রেখে চেঁয়ার টেনে দিয়ে প্রিয়াকে বলল।
মাহিম:-এখানে এসে বসুন।
,
প্রিয়া শুধু অবাক দৃষ্টিতে মাহিমের দিকে তাকিয়ে আছে,কিছু বলছে না।
,
মাহিম:-কি হলো আসুন?
,
এরপর প্রিয়া গিয়ে চেঁয়ারে বসে পরলো,আর মাহিমও প্রিয়ার পাশে একটা চেঁয়ার টেনে বসে পরলো।
,
প্রিয়া:-এইসব কার জন্য?(অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
,
মাহিম:-কার জন্য আবার আপনার জন্য
,
এইবলে মাহিম প্রিয়াকে খাবার বেরে দিচ্ছিল।
প্রিয়া সেটা দেখে বলল।
প্রিয়া:-ছিঃ ছিঃ আমি থাকতে আপনি আমাকে খাবার বেরে দিচ্ছেন কেন?দিন আমাকে দিন আমি বেরে নিচ্ছি।
,
মাহিম:-কেন আমার দুটো হাত নেই?
,
প্রিয়া:-এইগুলো মেয়েদের কাজ
,
মাহিম:-কোথায় লেখা আছে যে এগু মেয়েদের কাজ?
,
প্রিয়া:-কোথায় আবার লেখা থাকবে,রান্না-বান্না থেকে শুরু করে এসব কাজ তো মেয়েরাই করে।তাই বললাম।
,
মাহিম:-এসব কাজ মাঝেমাঝে ছেলেদেরও করতে হয়।নিন এবার বেশি কথা না বলে খাওয়া শুরু করুন।
,
প্রিয়া খাবারের প্লেট হাতে নিল,প্রিয়া যে হাত দিয়ে খাবে সেই হাতেই ড্রেসিং করা।প্লেট টা হাতে নিয়ে কি করবে বুঝতে পারছেনা।মাহিম বিষয়টা লক্ষ করে বলল
মাহিম:-ও আপনার তো হাতে ড্রেসিং করার,আমাকে দিন আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
,
এইবলে প্রিয়ার হাত থেকে খাবারের প্লেট টা হাতে নিল।প্রিয়া শুধু অবাক দৃষ্টিতে এইসব তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিল।
,
মাহিম:-নিন হাঁ করুন…
,
,
এইপর মাহিম প্রিয়াকে খাইয়ে দিচ্ছিল।
কিছুক্ষন পর মাহিম দেখলো প্রিয়া চোঁখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরছে।মাহিম কিছু বুঝতে পারলো না সে বলল
মাহিম:-কি ব্যাপার আপনি কাঁন্না করছেন কেন?(অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
,
প্রিয়া:-ছোট্ট বেলায় যখন আমি রাগ করে খেতাম না,তখন ঠিক আপনার মতো করেই আমার বাবাও আমাকে এভাবে খাইয়ে দিতেন,তাই বাবার কথা মনে পরেগেল(কেঁদে কেঁদে)
,
মাহিম:-আপনার বাবা বেঁচে থাকলে হয়তো আপনাকে আমার সাথে এভাবে আসতে হতো না,মানে প্রয়জনি হয়তো না।
,
প্রিয়া:-হুমম সেটা অবর্ষ ঠিক,! বাবা বেচে থাকলে হয়তো আপনার সাথে আমার বিয়েটাই হতো না।
,
মাহিম প্রিয়ার কথা শুনে থমকে গেল।
,
মাহিম”-তুমি এভাবো প্রিয়া আমি না।তোমাকে দেখার পর থেকেই আমি বুঝতে পেরেছি আমার জীবনে নতুন কিছু ঘটবে,নতুন কেউ আসবে।আর সেটা হলো তুমি,শুধু তুমি।তোমাকে দেখার পর থেকেই তো আমি ভেবে নিয়েছি এই পৃথিবীতে তুমি শুধু আমার জন্যই এসেছো।আর তুমি কি অবলিলায় বলে দিলে আমার সাথে তোমার বিয়েটাই হতো না।তুমি তো আমাকে অসভ্য খারাপ মানুষ ভাবো,আমাকে খারাপ না ভাবলে এই কখাটা বলতে না।তার মানে আমার সাথে তোমার বিয়েটা যে করেই হোক তুমি একটুও খুশি হওনি(মনে মনে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
,
এইসব মাহিম মনে মনে বলেই প্লেট টা টেবিলে রেখে মাহিম হাতটা ধুয়ে নিল।প্রিয়া কিছু,বুঝতে পারলো না।সে বলল
প্রিয়া:-কি ভাবছেন?
,
মাহিম কিছু না বলে পানির গ্লাসটা হাতে নিল,নিয়ে প্রিয়ার মাথায় গ্লাসের পানি গুলো ঠেলে দিল।
,
,
মাহিম প্রিয়ার মাথায় পানি দিতেই প্রিয়া উঠে দারিয়ে গেল।এরপর প্রিয়ার দিকে রাগি চোখে দেখে রুম থেকে বেড় হয়েগেল।
,
,
,
সকাল বেলা মাহিম ঘুম থেকে উঠে দেখলো ৮টা বেজেগেছে কিন্তু প্রিয়া এখনো ঘুম থেকে উঠেনি,প্রিয়া মেঝেতে সুয়ে আছে।মাহিম প্রিয়াকে ২-৩বার ডাকলো কিন্তু কিছুতেই প্রিয়া ঘুম ভাঙলো না।মাহিম খাঁট থেকে মেনে প্রিয়াকে ডাকতে গা এ হাত দিতেই দেখলো প্রিয়া গা এ অনেক জ্বর।
এমনিতেই আগে থেকেই প্রিয়ার গা এ জ্বর ছিল, কিন্তু কালকে রাতে এই ঠান্ডায় পানি দিয়ে প্রিয়াকে ভিজাতে ঠান্ডা গেলে জ্বরটা আরো বেশি হয়েছে।মেয়েটার গা এ এত জ্বর তাই এখনো টের পায়নি,আর একটু ঘুমক এটা ভেবে সে আর প্রিয়াকে না ডাকে ওয়াশরুমে চলেগেল।
,
,
কিছুক্ষন পর মাহিম ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো প্রিয়া নেই,ঘুম থেকে উঠে গেছে।মাহিম ওয়াশরুম থেকে বেড় হয়ে ফ্রেশ হয়ে,রেডি হতে লাগলো অফিসে যাওয়ার জন্য।এমন সময় প্রিয়া রুমে আসলো।
প্রিয়া:-আপনার চা?
,
মাহিম প্রিয়ার কন্ঠে শুনে পিছনে ঘুরে প্রিয়ার দিকে তাকালো,দেখলো জ্বরটা বেশি হওয়াতেই প্রিয়া ঠিক মতো দাড়াতে পারছেনা,ঐষধ খেয়ে একটু প্রিয়ার ঘুমানোর দরকার।কিন্তু কোন উপায় নেই প্রিয়া তো এই বাড়িতে কাজের মেয়ে হয়ে এসেছে,তাই প্রিয়ার যতই কষ্ট হোক না কেন প্রিয়াকে কাজ করেই খেতে হবে।
,
মাহিম কিছু না বলে প্রিয়া কিছু ঐষধ দিয়ে প্রিয়াকে খেতে বলে মাহিম অফিসে চলেগেল।
,
,
এইদিকে অর্পা প্রিয়া প্রিয়া বলে চিৎকার দিয়ে প্রিয়াকে ডাকছিল,প্রিয়া আর ডেরি না করে ঐষধ গুলো টেবিলে রেখে হাতে চা এর কাপ নিয়ে তারাতারি অর্পার রুমে গেল।
,
প্রিয়া:-এই নিন আপু আপনার চা(কাপটা অর্পার দিকে দিয়ে)
,
অর্পা চা এর কাপটা হাতে নিয়ে ঠাসসস করে একটা চর বসিয়ে দিল প্রিয়ার গালে।প্রিয়া অসহায় দৃষ্টিতে অর্পার দিকে তাকিয়ে রইলো
,
অর্পা:-(রাগি কন্ঠে)৯টা বাজে আর এখন এসে বলছিস আপনার চা?
,
প্রিয়া কিছু বলছে না মাথা নিচু করে দারিয়ে রইলো।
,
অর্পা:-কাল তোকে না বলছি যে ঠিক ৭টার সময় আমার রুমে চা নিয়ে আসতে?(চোখ বড় বড় করে)
,
প্রিয়া:-আপু ঘুম থেকে উঠতে একটু লেট হয়েছে,আর কখনো এমনটা হবেনা(মাথা নিচু করে)
,
অর্পা:-এটা কি তোর বাবার বাসা নাকি যে যখন তোর মন চাইবে তখন ঘুম থেকে উঠবি?(রাগ দেখিয়ে)
,
প্রিয়া:-গা এ অনেক জ্বর…(আর কিছু বলার আগেই)
,
অর্পা:-এই বন্ধ কর এইসব ফালতু কথা,পাশের রুমে তোর দুলা ভাই আছে যা গিয়ে ওকে চা দিয়ে আয়দ।যা ভাগ এখন আমার সামন থেকে।(রাগি কন্ঠে চোখ বড় বড় করে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
,
এরপর প্রিয়া মাথা নিচু করে অর্পার রুম থেকে বেড় হয়ে অর্পার Husband নীলয় এর রুমে চা নিয়ে গেল।
,
প্রিয়া:-আপনার চা(নীলের দিকে কাপটা এগিয়ে দিয়ে)
,
নীল চা এর কাপ না নিয়ে প্রিয়ার বুকের দিকে কেমন খারাপ দৃষ্টি নিয়ে আছে।প্রিয়া সেটা বুঝতে পেরে বুকের কাপড়টা একটু টেনে নিয়ে।
,
প্রিয়া:-(কাঁপা কাঁপা কন্ঠে)আআপনার চা(ভয় পেয়ে)
,
নীল:-(চমকে উঠে)ওহ হ্যাঁ আমার চা
,
এইবলে নীল চা এর কাপটা না নিয়ে প্রিয়ার হাতটা ধরে ফেলল।
,
প্রিয়া:-(কাঁপা কাঁপা গলায়)কি ব্যাপার আপনি আমার হাত ধরছেন কেন?(হাতটা ছাড়ানোে চেষ্টা করে)
,
নীল:-কেন ধরেছি এখনো বুঝতে পারোনি(আরো শক্ত করে ধরে)
,
প্রিয়া:-আমার হাতটা ছাড়ুন বলছি(ছাড়ানো চেষ্টা করে)
,
প্রিয়া যতই ছাড়ানোর চেষ্টা করছিল নীল ততই আর শক্ত করে প্রিয়ার হাতটা ধরছিল এমন করতে করতে এমন সময় অর্পা রুমে এলো
,
অর্পা:-নীল এই নীল?(রুমে ঢুকতে ঢুকতে)
,
নীল অর্পার কন্ঠে শুনে চমকে উঠে প্রিয়ার হাতটা ছেড়ে দিল।আর ভয় পেয়ে নীল উঠে দাড়ালো।
নীল প্রিয়ার হাত ছেড়ে দিতেই প্রিয়া কাঁদতে কাঁদতে রুম থেকে দৌড়ে বের হয়েগেল।
,
,
,
,
সারাদিন চলে যাওয়ার পর রাতে মাহিম রুমে ঢুকতেই প্রিয়া ঘুম ভেঙে গেল।
,
প্রিয়া এত জ্বর নিয়ে সারাদিন কাজ করার পর খুব টায়ার্ড লাগছিল,তাই বিকালের এইদিকে একটু সুয়ে ছিল সে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছে তার মনে নেই।
,
মাহিম রুমে ঢুকতেই প্রিয়া মাহিমকে দেখে চমকে উঠে মেঝে থেকে বালিশটা উঠিয়ে নিয়ে নিল।
,
মাহিম:-কি হলো উঠলেন কেন?
,
প্রিয়া:-না মানে মাথাটা খুব ব্যাথা করছিল তাই একটু সুয়ে ছিলাম!!সন্ধা হয়েগেছে বুঝতে পারিনি(বালিশটা খাটের উপর রেখে দিতে দিতে)
,
মাহিম:-জ্বর কমেছে আপনার?
,
প্রিয়া কিছু বলল না
,
মাহিম ফোনটা রাখতে টেবিলের কাছে যেতেই সকালে প্রিয়া দেওয়া ঔষধ দেখতে পেল।
,
মাহিম:-কি ব্যাপার আপনি সকালে ঔষধ গুলো খান-নি??
,
প্রিয়া:-না খাওয়া হয়নি?
,
মাহিম:-ওহ তার মানে আমার কথাটার আপনি কোন গুরুত্ব দেননি তাই তো?(প্রিয়ার কাছে এগিয়ে এসে)
,
প্রিয়া:-না না আমি ভেবেছিলাম..(আর কিছু বলার আগেই)
,
মাহিম:-কি ভেবেছেন?ভেবেছিলেন যে আমার কথাটা পাত্রা দেওয়ার কথা নয় তাই পাত্র দেননি কি তাই তো?
,
প্রিয়া কিছু বলছেনা চুপ করে আছে।
,
মাহিম:-সকাল বেলা আমি আপনাকে ঔষধ গুলো দিয়ে বলে গেলাম খেতে,তাও কেন আপনি ঔষধ গুলো খাননি?
,
প্রিয়া এখনো কিছু বলছেনা।
,
মাহিম:-কি হলো?কথা গুলো আমি কাকে বলছি?
,
প্রিয়া:-ঔষধ খেতে আমার ভালো লাগেনা তাই খায়নি।
,
মাহিম:’আমি তোমার ভালোর জনই সকালে ঔষধ গুলো দিয়ে গেলাম,আর তুমি সেটা এড়িয়ে গেছ।
আমি যতই তোমার কেয়ার করার চেষ্টা করছি তুমি ততই আমাকে দূরে সরে দিচ্ছ,আমাকে অপমান করছো।তুমি আমাকে যতটা আঘাত করবে তার বেশি আঘাত আমি তোমাকে করবো(মনে মনে)
,
মাহিম:-এই দেখুন আপনার কি ভালো লাগলো না লাগলো সেটা আমার দেখার বিষয় নয়,আমাদের বাড়িতে থাকতে হলে আপনাকে সুস্ত হয়ে থাকতে হবে(প্রিয়া দিকে এগিয়ে এসে)
,
প্রিয়া:-আমি কি জ্বরটা ইচ্ছে করে বাধিয়েছি নাকি?
,
মাহিম:-ইচ্ছে করে বাধেননি কিন্তু জ্বরটা আপনি ধরে রেখেছেন।
,
প্রিয়া:-হ্যাঁ তাতে আমার খুব লাভ শরিল খারাপ থাকলে তো আমায় কাজ করে খেতে হয় না,তাই আমি জ্বরটা তাকে ধরে রেখেছি তাই না?
,
মাহিম:-বলা যায় না,হতে পারে আপনি কাজে ফাকি দেওয়ার জন্য ঔষধ গুলো খাননি
,
প্রিয়া:-কি বললে?(অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
,
মাহিম:-হ্যাঁ আপনি যা শুনেছেন আমি তা ঠিক বলেছি,,,শরিল খারাপ হয়ে পরে থাকলে তো কাজ করতে হবেনা তাই আপনি প্লান করে ঔষধ গুলো খাননি।
,
প্রিয়া:-(রাগ দেখিয়ে)আপনি….(কিছু একটা বলতে গিয়ে বলল না)
,
মাহিম:-কি আমি?(আরো কাছে এসে)
,
প্রিয়া:-না কিছু না
,
মাহিম:-না না বলুন কি আমি?(রাগি কন্ঠে)
,
প্রিয়া:-বললাম তো কিছু না(বিরক্তির ভাবে)
,
এইবলে প্রিয়া রুম থেকে চলে যাচ্ছিল।
,
মাহিম:-কোথায় যাচ্ছে,আপনাকে বলতেই হবে আমি কি?
,
এইবলে প্রিয়ার এক হাত প্রিয়ার পিছনে দিক দিয়ে ধরে মাহিমের কাছে টেনে নিল।
,
প্রিয়া:-মাহিম বাবু ছাড়ুন আমার লাগছে(কাঁদো কাঁদো ভাবে)
,
মাহিম:-লাগুক তাতে আমার কি?আমাকে বলুন আমি কি?(রাগি কন্ঠে)
,
প্রিয়া:-মাহিম বাবু ছাড়ুন আমার খুব ব্যাথা লাগছে(ছাড়ানোর চেষ্টা করে কাঁদো কাঁদো ভাবে)
,
মাহিম:-বললাম তো লাগুক,আপনাকে বলতেই হবে আমি কি?(রাগি কন্ঠেই)
,
এইবলেই মাহিম আরো শক্ত করে প্রিয়ার হাতটা চেপে ধরতেই প্রিয়ার হাতের চুড়ি ভেঙে চুড়ির টুকড়ো প্রিয়ার হাতে ঢুকতেই প্রিয়া চিৎকার দিয়ে উঠলো।
-Tu be Continue
,
ভালো লাগলে যানাবেন।
( ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন )
#ধন্যবাদ_সবাইকে
Writing bye MD Mahim Ahmed