#মেঘবতী_মিথ্যে_বলেনি-০৪,০৫
#মৌলী_আখন্দ
০৪
পরের দিন অবশ্য বৃষ্টি হলো না আর। বৃষ্টির পরের মিষ্টি মিষ্টি কমলা রঙের নরম রোদ কড়া হওয়ার আগেই সকাল সকাল ভার্সিটিতে পৌঁছে গেল আনান।
ভার্সিটির সামনে ফটোকপির দোকানে পৌঁছে এসাইনমেন্ট প্রিন্ট করাচ্ছিল আনান, হই হই করতে করতে ঢুকল জিসানের গ্যাং।
আনান তাকিয়ে দেখল ওদের সবার এসাইনমেন্ট প্রিন্ট করাও শেষ। ওদের অনেকেরই বাসায় প্রিন্টার আছে।
যাদের নেই তারাও মেইল করে দেয় প্রিন্টারওয়ালা বন্ধুদেরকে। প্রিন্ট করেই নিয়ে আসে তারা, দোকানে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না আনানের মত।
সবার হাতে হাতে ফাইলে প্রিন্ট করা কাগজ। “মামা এগুলো স্পাইরাল করে দেন তো আগে, ঝটপট! আমরা এপাশে বসছি।“
আনানের এসাইনমেন্ট তখনো প্রিন্টারে প্রিন্ট হচ্ছে। ফটোকপির দোকানের মামা আগে ওদেরগুলো বাইণ্ডিং করতে শুরু করল।
পাশেই একটা ফাস্ট ফুডের দোকান। ফাইলগুলো ধরিয়ে দিয়েই ওরা সেই দোকানে চলে গেছে।
অস্থির ভঙ্গিতে ঘড়ি দেখল আনান। ক্লাস শুরু হতে বেশি সময় বাকি নেই আর।
“মামা আমি আগে আসছি, আমারটা আগে করে দেন!”
“না মামা, উনারা একসাথে আসছে, উনাদেরটা করে দেওয়া লাগবে!”
“আমার একটা মাত্র ছিল, আমারটা আগে করে দিয়ে দিতেন? ওদের পনেরটা বাইণ্ডিং এর পরে আমারটা, এটা আপনার কেমন বিচার হলো!”
রাগে ফেটে পড়তে যাচ্ছিল আনান, ঠিক সেই সময় ফাস্ট ফুডের দোকান থেকে হাত উঁচু করে ডাকল জিসান, “এই কঞ্জুস, নাস্তা করছিস? না করলে আমাদের সাথে বসে পড়!”
পাশ থেকে রুবাবা ফোড়ন কাটল, “ভয় নাই, তোকে বিল দিতে হবে না!”
উত্তর দিল না আনান। রাগে ক্ষোভে অভিমানে তার চোখে জল আবার উপচে আসতে চাইছে।
চায় কি এরা তার কাছে? গতকাল এক হাজার টাকা হাইজ্যাক করে নিয়েও খায়েশ মেটেনি এদের?
ওদের নাস্তা করতে করতেই বাইণ্ডিং হয়ে গেল সবার। বিল মিটিয়ে তাড়াহুড়ো করে এসে সবাই নিয়ে গেল যার যার এসাইনমেন্ট।
আনানের এসাইনমেন্ট তখনো প্রিন্টারে। দোকানের মামা মাত্র হাতে নিয়েছে সেগুলো।
বিরক্তির চরমে পৌঁছে বলল আনান, “মামা কী করছেন? আমার ক্লাস শুরু হয়ে গেল তো!”
“এই তো মামা এক মিনিট!”
শত চেষ্টা করেও ঠিক সময়ে ক্লাসে পৌঁছাতে পারল না আনান। আই ডি স্যার একদম জাস্ট টাইমে ডোর লক করে দেন।
জিসানের সিট এই ক্লাসে ফিক্সড, ফোর্থ রোতে থার্ড কলামে বসে সে। এই সিটে বসা মোটামুটি নিরাপদ, এটা সে রীতিমত গবেষণা করে বের করেছে।
ফার্স্ট রো আর লাস্ট রোতে বসা স্টুডেন্টদের দিকে স্যার ম্যাডামদের আলাদা নজর থাকে, মাঝামাঝি বসে নিজের মত করে সময় কাটানো যায়। সব জায়গা সমান নজরে থাকে।
স্যার যখন বোর্ডে ইকোয়েশন লিখতে ব্যস্ত তখনই জিসানের চোখ পড়ল বন্ধ দরজার বাইরে অসহায় ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে আনান। নক করবার সাহস পাচ্ছে না।
ইকোয়েশন লেখা শেষ করে স্যার সামনে ঘুরতেই জিসান উঠে দাঁড়িয়ে বলল, “স্যার মাই ফ্রেণ্ড ইজ ওয়েটিং আউটসাইড!”
স্যার বন্ধ গ্লাস ডোর দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আনানকে দেখতে পেয়ে নির্বিকার ভঙ্গিতে বললেন, “ফিল ফ্রি টু জয়েন হার! ইউ মে গো অলসো!”
স্যার যে তাকে ক্লাস থেকে বের হয়ে যেতে বলছেন প্রথমে বুঝতে পারেনি জিসান। কিন্তু স্যার আবার তাকে বেরিয়ে যেতে ইশারা করে বললেন, “আউট!”
জিসান কী বলবে বুঝতে না পেরে বোকার মত ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে এলো। ক্লাসের আরো বায়ান্ন জোড়া চোখ বিস্ময়ে গোল গোল হয়ে অনুসরণ করল তাকে।
ওদিকে গ্লাস ডোরের বাইরে থেকে আনান ক্লাসের ভেতরের কথোপকথন কিছুই শুনতে পায়নি। সে ধরেই নিল কোনো কিছু উল্টোপাল্টা করবার কারণে কিংবা পড়া না পারার জন্য জিসান বহিষ্কৃত হয়েছে।
জিসানকে বের হতে দেখেই বিরক্তিতে চোখ মুখ শক্ত হয়ে গেল আনানের। ঘুরে উলটো দিকে হাঁটতে শুরু করল সে।
জিসানের মুখ দিয়ে আপনাআপনি বেরিয়ে গেল, “শালা! যার জন্য করি চুরি সেই এমন ভাব দেখায় যেন আমি চোর?”
যদিও কথাগুলো বিড় বিড় করে বলার কারণে আনানের কান পর্যন্ত পৌঁছাল না, তারপরেও সে ঘুরে তাকাল ঝট করে। জিসানের মুখের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়েই অনুমান করে নিল তাকে নিয়েই কিছু বলেছে জিসান।
গতকাল থেকে চেপে রাখা রাগ আর সামলে রাখতে পারল না সে। বলক উঠতে থাকা ভাতের হাঁড়ির বাইরে উপচে পড়া মাড়ের মতই বেরিয়ে আসতে চাইল তার সব ক্ষোভ।
হন হন করে জিসানের সামনে এগিয়ে এসে বলল আনান, “আমি তোমাদের কী ক্ষতি করেছি বল তো? কেন সারা ক্ষণ পেছনে লেগে আছ আমার? কালকে এক হাজার টাকা নিয়েও হয়নি তোমাদের? তোমাদের জন্য, শুধু তোমাদের জন্য আজকে আমার ক্লাস মিস হলো!”
জিসান কোনো কথা না বলে মানিব্যাগ খুলে গত কালকে ছিনিয়ে নেওয়া নোটটা বের করে তুলে দিল আনানের হাতে। বিস্মিত হলেও আনান বিনা বাক্য ব্যয়ে নিয়ে নিল নোটটা।
জিসান গলা পরিষ্কার করে বলল, “এনি, টাকাটা যে আমি তোকে ফেরত দিয়ে দিয়েছি, সেটা অন্যদের বলার দরকার নাই!”
অবাক হয়ে চোখ তুলে তাকাল আনান। কিন্তু কিছু বলবার আগেই জিসান তার পেছনে তাকিয়ে কিছু একটা দেখে জিভে কামড় দিয়ে বলল, “শিট! আমি গেলাম!”
জিসান উলটো ঘুরে রওনা দেওয়ার আগেই আনানের পেছন থেকে ডাক শোনা গেল, “এই এই জিসান!”
আর এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই, হাসি মুখে ঘুরে তাকিয়ে বলল জিসান, “আমাকে ডাকছেন আপু?”
“হ্যাঁ, কী খবর তোদের? ক্লাস নাই?”
“হ্যাঁ আছে তো! আমরা একটু লেট করে ফেলেছিলাম আর কী, আই ডি স্যার ঢুকতে দেয়নি ক্লাসে!”
আপুটি যার নাম জেবা, খুবই সন্দেহের দৃষ্টিতে তাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে বললেন, “দুজন এক সাথে লেট? আবার করিডরে দাঁড়িয়ে গুজ গুজ ফুস ফুস?”
মাছি মারার ভঙ্গিতে হাত নাড়ল জিসান, “আরে দূর কী যে বলেন না আপু! ওই রকম কিছু না!”
“দেখিস কিন্তু!”
“আরে আপু, এট লিস্ট ওয়াচ আউট আওয়ার লেভেলস! কই গুলশানে বর্ন এণ্ড ব্রট আপ জিসান আহমেদ আর কই এই জঙ্গল থেকে উঠে আসা আনান আফরিন!”
এত অপমানের পর আর দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে হলো না আনানের। সে ঘুরে দাঁড়িয়ে হাঁটতে শুরু করল লিফটের দিকে।
নেক্সট ক্লাস শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত লাইব্রেরিতে সময় কাটানো যাক।
লিফট আসতে দেরি হচ্ছে, ছুটতে ছুটতে আসতে দেখা গেল জিসানকে।
“এই এনি, এই! তুই কি রাগ করেছিস আমার কথায়?”
উত্তর দিল না আনান। মুখটা ঘুরিয়ে নিল উলটো দিকে।
“এনি, প্লিজ, আয়্যাম স্যরি! ওরকম না বললে উনি সারা ক্যাম্পাস গসিপ করে বেড়াত!”
বড় একটা দম নিল আনান। অক্সিজেন নিল বুক ভরে।
তারপর জিসানের দিকে ফিরে চোখ মুখ শক্ত করে বলল, “লুক জিসান আহমেদ। মে বি ইউ আর বর্ন এণ্ড ব্রট আপ ইন গুলশান, তোমার নিজের বলতে কিন্তু কিছু নেই। আমি আনান আফরিন, অল দ্যাট আই হ্যাভ অল আর মেইড বাই মি। আমার যা কিছু আছে সব আমি নিজে করেছি। আর তুমি? বাবার গাড়িতে আসো, বাবার টাকায় খাও। তোমার নিজের কী আছে বল তো? বাবার টাকা না থাকলে তুমি এখানে ভর্তি হতে পারতে? বেটার ইউ ওয়াচ আউট আওয়ার লেভেলস!”
চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে জিসানের। এর আগে কেউ এভাবে কথা বলবার সাহস পায়নি তার সাথে।
লিফট চলে এসেছে, পা বাড়িয়ে উঠতে যাচ্ছিল আনান। থেমে গিয়ে পেছনে তাকিয়ে বলল, “এণ্ড ইউ স্টপ ফলোয়িং মি! প্লিজ! আই বেগ ইউ!”
জিসানের দুই পায়ে যেন কেউ পাথর বেঁধে দিয়েছে দুই মণ ওজনের, সে দাঁড়িয়ে রইল ওখানেই। লিফটে উঠে অদৃশ্য হয়ে গেল আনান।
চলবে
#মেঘবতী_মিথ্যে_বলেনি
।।৫।।
সেদিন রাতে বারোটার পর আবার মেসেজ এলো, “কী করছেন?” আনান সোজাসুজি বলল, “টাকাটা ফেরত দেব কীভাবে?”
উত্তরে একটা নাম্বার এলো ওপাশ থেকে। “এই নাম্বারে ফ্লেক্সি করে দিলেই হবে। আপনার এসাইনমেন্ট ঠিকমত জমা দিতে পেরেছিলেন? কোনো সমস্যা হয়নি তো?”
“না, কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু আপনি কে?”
উত্তরে একটা হাসির ইমো এলো ওপাশ থেকে। তারপর মেসেজ, “আনান শব্দের অর্থ জানেন?”
“জানি, মেঘ!”
“আমি মেঘের আকাশ!”
“ফাজলামি করেন? আমি এখনই ব্লক দিচ্ছি আপনাকে!”
“এই শোনেন, ব্লক করার মত কী করলাম আমি? কালকে যে হেল্প করলাম আপনাকে!”
“হেল্প করে খোঁটা দেয় কারা জানেন?”
উত্তর না দিয়ে পালটা প্রশ্ন এসেছিল, “শুধু শুধু ব্লক করে কারা জানেন?”
“পরিচয় না দিলে আমি আর কথা বলব না!”
“কী করবেন পরিচয় দিয়ে?”
মেজাজ খারাপ হয়ে গেল আনানের। কোনো উত্তর না দিয়ে অফলাইনে চলে গেল সে।
প্রতিদিন তিনটা ক্লাস থাকে আনানদের। পরের দিন সকালের প্রথম ক্লাসের পর সেকেণ্ড ক্লাস ক্যান্সেল হয়ে গেল। পরের ক্লাস শুরু হওয়ার আগে তিন ঘন্টা সময় পাওয়া যাবে।
ক্লাস মনিটর ডিপার্টমেন্টের ফ্যাকাল্টি রুমে গিয়ে ক্লাস বাতিলের খবর শুনে আসা মাত্র সুমাইয়া ব্যস্ত ভঙ্গিতে রিয়াজের দিকে তাকিয়ে বলল, “চল। আমার কেনাকাটা আছে।“
তাদের ব্যাচের মধ্যে সুমাইয়া বিবাহিত। বাচ্চা আছে একটা ছোট, ছয় মাসের।
রিয়াজ তার স্টাডি পার্টনার। এই দুজন সারাদিনই এক সাথে থাকে।
সুমাইয়া বলামাত্রই বাধ্য ছেলের মত উঠে দাঁড়াল রিয়াজ। হয়ত আজেবাজে কথা রটতে পারত, কিন্তু সুমাইয়ার সাথে কেউ লাগতে যায় না।
সুমাইয়ার বর মনে হয় বেশ পয়সাওয়ালা লোক। সকালবেলা তার সাদা টয়োটা হ্যারিয়ার পার্ল ভার্সিটি এসে ঢোকে গর্বিত রাজহংসীর মত, সেখান থেকে নেমে আসে তার পেন্সিল হিল।
ক্লাসে ঢোকার আগে পর্যন্ত তার চোখ থেকে নামে না দামি ব্র্যাণ্ডের সানগ্লাস। সে প্রায়ই ট্রিট দেয় ক্লাসমেটদের, তাই বন্ধু আর ভক্তের অভাব নেই তার।
ছয় মাসের বাচ্চার মা তাই হয়ত শরীরে জমেছে কিছুটা বাড়তি মেদ, কিন্তু সেটা তার সৌন্দর্য কমাতে পারেনি একটুও, বরং যোগ করেছে কিছুটা আলগা লাবণ্য।
সবাই যে যার মত বেরিয়ে গেল লাইব্রেরি কিংবা ক্যান্টিনের উদ্দেশ্যে। লাইব্রেরিতে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়েও ফিরে এল আনান।
ফ্লেক্সি লোডের দোকানে গিয়ে ফেরত দিতে হবে টাকাটা। ঘাড়ের ওপরে ঋণের বোঝা নিয়ে বাস করা কোনো কাজের কথা নয়।
শেষ ক্লাসটা করেই টিউশ্যনির জন্য দৌড় দিতে হয় আনানকে, ওর জন্য এখন ফ্লেক্সি করে আসাই সুবিধাজনক। তাড়াহুড়ো বাধবে না তাহলে।
ফ্লেক্সি লোডের দোকানটা ভার্সিটির পেছন দিকে, সেখানে যাওয়ার জন্য পেছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে আসাই সুবিধাজনক। সেদিক দিয়ে বেরিয়ে এসেই একটা অস্বস্তিকর দৃশ্যের সামনে পড়ে গেল আনান।
এ পাশে একটা গাড়ির ওয়ার্কশপ আছে, তার আড়ালে দাঁড়িয়ে সুমাইয়ার দুই কাঁধে দুই হাত তুলে দিয়েছে রিয়াজ। কাতর গলায় বলছে, “প্লিজ সুমু, ট্রাই টু আণ্ডারস্ট্যাণ্ড, আয়াম রিয়েলি স্যরি!”
সুমাইয়া ঝাঁঝালো গলায় বলছে, “কোনো কথা শুনব না আমি!”
কি যেন আছে দৃশ্যটার মধ্যে, দেখলে অস্বস্তি হয়। সুমু?
আনানের যতদূর মনে পড়ে, সবার সামনে রিয়াজ তো সুমাইয়াকে সুমাইয়া বলেই ডাকে!
সুমাইয়ার পিঠের দিকটা আনানের সামনে, আর রিয়াজ গভীর মনোযোগ দিয়ে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। দুজনের কেউই তাকে দেখেনি। খুব সন্তর্পণে তাদের দুজনকে পার হয়ে গেল আনান।
কী প্রয়োজন বাবা বাড়তি ঝামেলার। করুক যার যা খুশি।
দোকান থেকে ফ্লেক্সি লোড করে আনান যখন আবার ফিরে আসছিল তখন দেখতে পেল সুমাইয়া আর রিয়াজ পাশাপাশি রিকশায় যাচ্ছে। রিয়াজ হাত নেড়ে নেড়ে কী যেন বোঝাচ্ছে তাকে।
সুমাইয়া রাগ রাগ মুখ করে তাকিয়ে আছে অন্য পাশে, রাস্তার দিকে, রিয়াজের দিকে তাকাচ্ছে না। তার সাদা চিকেনের ড্রেসের সাথে লাল চুনরি ওড়না দিয়ে মাথায় ঘোমটা তুলে দেওয়া, কেমন বউ বউ লাগছে সুমাইয়াকে।
আনান ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলল। দৃশ্যটা কত সুন্দর কিন্তু মিথ্যার ওপরে সাজানো।
ভার্সিটিতে ঢুকে দেখতে পেল সুমাইয়ার সাদা টয়োটা হ্যারিয়ার পার্ল দাঁড়িয়ে আছে জায়গামতই। এ নিয়ে আর মাথা না ঘামিয়ে আনান উঠে গেল লাইব্রেরিতে।
চলবে