বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
.
পর্ব-১৩
লেখা:-মান্না ইসলাম মাহিম
.
.
.
মাহিম:-তুন্নির আশার পর কেন আপনি এখনি চলে যান কে আপনাকে আটকাচ্ছে।
.
এইবলে মাহিম রেগে প্রিয়ার ব্যাগপত্র গুলো হাতে নিয়ে প্রিয়ার পায়ের কাছে ছুরে মারলো।
.
মাহিম:-এই নিন আপনার ব্যাগ।আপনি চলে গেলেই বা কার কি?দরকার নেই আপনার মতো বাজে মেয়ে এই বাড়িতে থাকার।রাস্তায় মেয়ে কে রাস্তাই ভালো মানায়।আপনি এক্ষনি চলে যান(রাগ দেখিয়ে)
.
প্রিয়া:-হুমম ঠিকি বলছেন।রাস্তায় মেয়ে কে রাস্তাই ভালো মানায়(কেঁদে কেঁদেই)
.
এইবলে প্রিয়া কান্না করতে করতে নিজের ব্যাগপত্র গুলো হাতে নিল।তারপর মাহিমের দিকে অন্যরকম একটা মায়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে কান্না করতে করতে রুম থেকে বের হয়েগল।
.
.
প্রিয়া রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর মাহিম বিছার উপর বসে ভাবতে লাগলো।
মাহিম:-“”রাগের মাথায় তো বেরিয়ে যেতে বললাম।প্রিয়া কি সত্যি সত্যি এই মাঝ রাতে কোথাও বেরিয়ে যাবে নাকি?
না কোথায় আর যাবে।ওর তো যাওয়ার মতো আর কোথাও জায়গা নেই।কিছুক্ষণ পর এমনিতেই রুমে চলে আসবে।(মনে মনে)
.
এটা ভেবে মাহিম বিষয়টা বেশি কেয়ার না করে সুয়ে পরলো।
.
.
“কিছুক্ষণ পর”
মাহিম ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো রাত ১১টা।প্রিয়া রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়া প্ররায় ১ঘণ্টার মতো হলো।কিন্তু এখনো রুমে ফিরে এলো না।
মাহিম উঠে বসে ভাবতে লাগলো””-প্রিয়া এখনো আসছে না কেন?ও কি সত্যি সত্যি বাড়ি ছেড়ে চলেগেল নাকি?
.
.
এরপর মাহিম উঠে পুরো বাড়িতে প্রিয়াকে খুঁজলো কিন্তু কোথায় পেলো না।মাহিম কেন জানি টেনশনে পড়ে গেলো।মেয়েটার যে জেদ যদি জেদের বসে উল্টা-পাল্টা কিছু করে ফেলে।
মাহিমের মন কেমন জানি ভয় ঢুকে গেলো।সে আর ডেরি না করে গাড়ি বের করে বেরিয়ে পরলো প্রিয়াকে খুঁজতে।
.
.
না আজকে একটু বেশিই হয়েছে।মেয়েটা কে ঐভাবে ধাক্কা দেওয়াটা ঠিক হয়নি।
আসলে আমারী দোষ কি?
প্রিয়াই তো বার-বার ওর শিহাব ভাইয়ের কথা বলে আমার মাথা গরম করিয়ে দিচ্ছিল।
আর ও যতই আমার মাথা গরম করিয়ে দিবে আমি ততই ও কষ্ট দিব।(ড্রাইভিং করছিল আর এইসব কথা ভাবছিল মাহিম)
.
.
অনেক জায়গায় খোঁজা-খোজি করলো কিন্তু কোথাও প্রিয়াকে পেলো না।
“”কোথাও গেলো মেয়েটা।অনেক জায়গায় তো খোজা-খোজি করলাম।রাস্তাতেও ভালো করে দেখেই তো আসলাম।হেঁটে এত তারাতারি কোথায় গেলো।(মনে মনে)
.
.
মাহিম গাড়ি চালাচ্ছিল এমন সময় হঠাৎ চোখ পরলো একটা দোকানে।দোকানটা বন্ধ বাট দোকানের সামনে কে যেন বসে আছে ধুর থেকে ভালো ভাবে বোঝা যাচ্ছেনা।
মাহিম গাড়িটা ব্রেক করে গাড়ি থেকে মেনে দোকানের সামনে এসে দেখলো প্রিয়া ব্যাগটা বুকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে বসে কান্না করছে।
মাহিম আরো এগিয়ে এসে
মাহিম:-আপনি এখানে আর আমি আপনাকে কোথায় কোথায় খুজলাম জানেন।
.
প্রিয়া মাহিমের কন্ঠ শুনে মাথা উঠে দেখলো মাহিম ওর সামনে দাড়িয়ে আছে।
.
প্রিয়া:-আপনি এখানে কেন এসেছেন কেন??(কান্না করতে করতে)
.
মাহিম:-কেন আবার আপনাকে খুজতে।
.
প্রিয়া:-কেন আমাকে খুজচ্ছেন কেন?আমিতো আপনার কেউ না।আমি কোথায় গেলাম না গেলাম তাতে আপনার কি?(কেঁদে কেঁদে)
.
মাহিম:-রাস্তায় কথা না বারিয়ে চলুন বাড়িতে ফিরে চলুন।
.
প্রিয়া:-কেন আমিতো খারাপ মেয়ে বাজে মেয়ে।আমাকে তো রাস্তাই মানায় আপনাদের বাড়িতে না।তাহলে আবার ফিরে যেতে বলছেন কেন?(কেঁদে কেঁদেই)
.
প্রিয়ার মুখের কথা গুলো শুনে মাহিম অনেটাই Emotional হয়েগেল।মাহিম প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলো প্রিয়ার চোখের কোনায় পানি চলেছে।এখন কেন জানি প্রিয়ার উপর রাগ করতে মন চাইছে না মাহিমের।সে খুব শান্ত ভাবে প্রিয়াকে বলল
মাহিম:-ok I Am Sorry..আমি ভূল বলেছি।আপনাকে ঐসব কথা আমার একদমি বলা উচিৎ হয়নি।আর কখনো ঐসব কথা বলবো না আপনাকে।এবার চলুন বাড়িতে চলুন।
.
প্রিয়া ওর কান্না থামিয়ে চোখের জল মুছে।উঠে দাড়িয়ে বলতে লাগলো।
.
প্রিয়া:-যাব না আমি আপনি চলে যান এখান থেকে।(অভিমানী সুরে)
.
মাহিম:-Sorry বললাম তো।
.
প্রিয়া:-সব সময় Sorry বলে সব কিছু ঠিক করা যায় না।
.
মাহিম:-তো বলুন আমাকে কি করতে হবে?(শান্ত ভাবে)
.
প্রিয়া:-আপনাকে কিছুই করতে হবে না।আপনি চলে যান থেকে।
.
মাহিম:-আমি এখান থেকে গেলে আপনাকে নিয়েই যাব।
.
প্রিয়া:-বুঝতে পেরেছি আপনি তাহলে যাবেন না।আপনি যখন যাবেন না তখন আমিই এখান থেকে চলে যাচ্ছি।
.
এইবলে প্রিয়া নিজের ব্যাগটা হাতে নিয়ে চলে যাচ্ছিল এমন সময় মাহিম প্রিয়ার হাত ধরে টান দিয়ে নিজের কাছে টেনে নিল।
.
মাহিম:-কোথায় যাচ্ছেন?(প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া কিছুক্ষণ মাহিমের চোখের দিকে তাকিয়ে হালকা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে রাগি কন্ঠ বলতে লাগলো…
প্রিয়া:-আপনার কিন্তু এই অধিকার নেই মাহিম বাবু(রেগে)
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
প্রিয়া:-আপনি যদি আমাকে এভাবে রাস্তায় হাত ধরে টানাটানি করেন তাহলে আমি কিন্তু চেঁচিয়ে লোকজন জোরো করবো।আর আপনি নিশ্চই আমাকে ওতটা নিচে নামতে বাধ্য করবেন না(রাগি কন্ঠে)
.
মাহিম কিছু বলছে না।মন খারাপ করে শুধু প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।প্রিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে মাহিমের দিকে তাকিয়ে থাকার পর।
.
প্রিয়া:-খারাপ লাগছে তো খুব খারাপ লাগছে তাই না।
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
প্রিয়া:-এর থেকেও খুব খারাপ খারাপ কথা আপনি আমাকে বলেন।ভেবে দেখুন এবার অন্যের কেমন লাগে।
.
এইবলে প্রিয়া কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকার চলে যাচ্ছিল এমন সময় মাহিম প্রিয়া সামনে দাড়িয়ে গেল।
.
মাহিম:-এবার তো বলতে পারবেন যে চিৎকার করবো।টাচ্ করিনি আপনাকে।(প্রিয়ার সামনে দাড়িয়ে)
.
প্রিয়া:-পথ আটকালেন কেন?(রেগে)
.
মাহিম:-যেতে দিব না বলে।
.
প্রিয়া:-আমি বললাম আপনাদের বাসায় আর ফিরে যাব না।(রেগেই)
.
মাহিম:-ফিরে যাবেন না বললেই হলো।
.
প্রিয়া:-কি??
.
মাহিম:-কোথাও টাওয়া হচ্ছে না আপনার।
.
প্রিয়া:-আপনার হুকুম নাকি?
.
মাহিম কিছুক্ষণ প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকান পর
.
মাহিম:-হুমম আমার হুকুম।
.
প্রিয়া:-আপনি কে হুকুম করার?(রাগ দেখিয়ে)
.
মাহিম:-সেটা আপনার মন কে প্রশ্ন করুন কেন?উত্রর পেয়ে যাবেন।আমি কে হুকুম করার।(প্রিয়া চোখের দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া:-প্রশ্ন করেছি তো।হাজার প্রশ্ন করেছি আর হাজার বারিই একি উত্রর পেয়েছি যে!!!!!!আমার উপর আপনার কোন অধিকার নেই।
.
মাহিম:-এই অনেক্ষন ধরে কিন্তু আপনার অনেক বারাবারি দেখছি।
.
প্রিয়া(!!!!)
.
মাহিম:-কিছু বলছি না বলে এটা ভাববেন না যে আমি আপনার সমস্ত জুলুম আমি সয্য করবো।
.
প্রিয়া কিছু বলছে না শুধু মাহিমের মুখের দিকে চেয়ে আছে।
.
মাহিম:-প্রয়জন পরলে না আপনাকে জোর করে কোলে উঠে বাড়িতে নিয়ে যাব।এখন বেশি কথা না বারিয়ে চুপচাপ গাড়িতে গিয়ে উঠে পরুন যান।
.
প্রিয়া:-(কাঁদো কঁদো ভাবে)ওত গুলো বলে ওত অপমান করে এখন…..(কিছু বলতে গিয়ে থেমে গেলো)
.
মাহিম:-হুমম ঐ কথা গুলোও আমি বলে ছিলাম এখন এই কথা গুলোও আমিই বলছি।
.
প্রিয়া:-(নিশ্চুপ)
.
মাহিম:-যে ঐ কথা গুলো বলতে সে এই কথা গুলো বলতে পারে।
.
প্রিয়া:-তখন তো আপনার বাসা থেকে তারিয়ে দিলেন।তাহলে এখন নিতে আসছেন কেন?(কাঁদার মতো ভাবে)
.
মাহিম:-আসলে আপনার মাথায় তো গবর ভরা কেন সেটা এটা আপনি বুঝবেন না।অনেক রাত হয়েছে গাড়িতে গিয়ে বসুন বলছি।(প্রিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে)
.
কিছুক্ষণ চুপ করে মাহিমের তাকিয়ে থাকার পর…
প্রিয়া:-না আমি যাব না(অভিমানী সুরে)
.
মাহিম:-এই জেদ করবেন না একদম জেদ করবেন না।আমার সাথে জেদ করে কিন্তু আপনি পারবেন না।আকাশ খারাপ মনে হয় অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি নামবে।যান গাড়িতে উঠুন(একটু রেগে)
.
প্রিয়া:-আপনার কোন কথা আমি শুনবো না।তখন ওত কিছু বলে কত রকম ভাবে আমাকে অপমান করলেন।ঐ অপমান গুলো আমি কখনই ভূলবো না।(কাঁদো কাঁদো ভাবে)
.
মাহিম:-এই দেখুন আমি কিন্তু আবার আপনার গাঁয়ে হাত দিতে বাধ্য হবো।
.
প্রিয়া:-ঐ যে আমি বলে ছিলাম না যে আপনি আমার গাঁয়ে হাত দিলে আমি চেঁচাবো।
.
মাহিম:-ও আচ্ছা আপনি তাহলে চেঁচাবেন?
.
প্রিয়া:-হ্যাঁ চেঁচাবই তো।
.
মাহিম:-ওকে(প্রিয়ার কাছে এগিয়ে আসতে আসতে)
.
প্রিয়া:-দেখুন আমি কিন্তু সত্যি সত্যি চেঁচিয়ে লোকজন জোর করবো বলে দিলাম(পিছন দিকে পিছতে পিছতে)
.
মাহিম আর কিছু না বলে প্রিয়া কোলে উঠিয়ে নিল।
.
মাহিম:-এবার তাহলে চেঁচান।
.
প্রিয়া কিছু বলছে না শুধু মাহিমের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।মাহিমও আর কিছু বলছে না প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো।চারদিকটা একদম নির্জন,কোন কিছুরি শব্দ নেই।মাহিম আর প্রিয়াও কিছু বলছেনা শুধু দুজন দুজনার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।
কিছুক্ষণ পর আকাশ থেকে বৃষ্টি নামতে লাগলো।
বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা প্রিয়ার ঠোঁটে পরতেই প্রিয়ার সারা শরিল কেঁপে উঠতেই প্রিয়া মাহিমের শার্ট এর কলাল চেঁপে ধরলো।
আকাশ থেকে আশা বৃষ্টি দুজনার শরিলকে ভিজিয়ে দিচ্ছে।দুজন দুজনার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।মাহিম দেখতে পেলো বৃষ্টির পানিতে প্রিয়ার ঠোঁট গুলো কেমন কাঁপছে।মাহিম চোখ বন্ধ করে একটু একটু করে প্রিয়ার মুখের কাছে নিজের মুখ এগিয়ে আনতে লাগলো।প্রিয়া কিছুক্ষণ মাহিমের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকার পর চোখ বন্ধ করে ফেললো।
…..next part….
.
জানি এই পর্বটা ভালো হয়নি।
আমি একটু অসুস্থ লিখতে ভালো লাগছিল না বাট কিছু কমেন্ট দেখে খুব খারাপ লাগলো তাই মাথায় যা আসছিল তাই লিখলাম আবল-তাবুল।
প্লিজ কেউ বাজে কমেন্ট করবেনা।
যদি ভালো লাগে তো জানাবেন কেমন লাগলো।
next time ভালো করে লেখার চেষ্টা করবো।
.
মোবাইল দিয়ে লিখতে প্রবলেম হয়,ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
.