বউ_যখন_কাজের_মেয়ে . পর্ব-২২

0
2696

বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
.
পর্ব-২২
লেখক:-মান্না ইসলাম মাহিম
.
.
.
.
অর্পা:-প্রিয়াআআআ..! এই প্রিয়াআআআআা..!(নিচ থেকে চিৎকার করে)
.
অর্পার চিৎকার মাহিমের কানে পরতেই মাহিমের ঘুম ভেঙ্গে যায়।মাহিম ধিরেধিরে চোখ খুলার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেনা।ঘুমে আবার চোখ বন্ধ হয়ে আসছে।
কালকের রাতটা মাহিমের কাছে ছিল একটু অন্যরকম।
তাই এখনো চোখ থেকে ঘুমটা কিছুতেই কাঠছে না।
কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে থাকার পর অর্পা আবার প্রিয়ার নাম ধরে ডাকছিল।
“-কি ব্যাপার প্রিয়া তো এতক্ষন ঘুমিয়ে থাকার না।ও তো খুব সকাল সকালই উঠে।তাহলে আপু ওর নাম ডাকছে কেন?প্রিয়া কি এখনো ঘুমিয়ে আছে নাকি?(সুয়েই মনে মনে)
.
এরপর মাহিম উঠে বসে পরলো।আর মেঝেতে লক্ষ দেখলো প্রিয়া নেই।
এরপর তারাহুরো করে উঠে নিচে গেলো।
.
.
মাহিম নিচে এসে দেখলো আজকে অর্পাই সবকিছু রান্নাবান্না করছে।সবাই জন্য ডায়নিং টেবিলে খাবার রেডি করছে।
মাহিম চারদিকেই লক্ষ করলো কিন্তু প্রিয়াকে কোথাও দেখতে পেলো না।এরপর মাহিম অর্পা কাছে যেতেই
.
অর্পা:-কিরে এখনো ফ্রেশ হসনি কেন?যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়(টেবিলে খারার রেডি করতে করতে)
.
মাহিম:-আপু তুমি এইসব করছো কেন? প্রিয়া কোথাও??
.
অর্পা:-প্রিয়া কোথায় মানে? প্রিয়া রুমে নেই?(মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-না নেই।
.
অর্পা:-সে কি আমি তো ভাবলাম প্রিয়ার হয়তো শরিল টরিল খারাপ তাই এখনো উঠেনি।এরজন্যই তো আমি সবকিছুই করছি।
.
মাহিম:-(কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর)তাহলে প্রিয়া গেলো কোথায়
.
অর্পা:-কোথায় আর যাবে দেখ হয়তো বাদরুম গেছে।তুই উঠে দেখতে পারিসনি।
.
মাহিম অর্পার কথা শুনে মাহিম উপরে চলে গেলো।
উপরে এসে বাদরুমের দরজার সামনে দাড়িয়ে পরলো।মাহিম বাদরুমের দরজার সামনে দাড়িয়ে প্রিয়াকে ডাকতে যাবে ঠিক তখনি মাহিমের কানে একটা আওয়াজ ভেসে আসলো।শব্দটা শুনে মনে হচ্ছে ভিতরে কেউ আছে।গাঁয়ে পানি ঠালছে।
বাদরুমের ভিতরে কেউ আছে।তার মানে প্রিয়াই হবে।এটা ভেবে মাহিমের ভয়টা কেটে গেলো।এমনি সময় মাহিমের কালকের রাত্রির কথা মনে পরে গেলো।প্রিয়ার সাথে কাঠানো কালকে রাতের মুহূর্ত গুলো মাহিমের চোখের সামনে বার বার ভেসে উঠতে লাগলো।প্রিয়ার সাথে কাঠানো প্রথম রাত প্রিয়াকে প্রথম স্পর্শ করা।প্রিয়ার ঠোঁঠের সাথে নিজের ঠোঁঠের মিষ্টি সেই সম্পর্কের মুহূর্ত গুলো।
এইসব মুহূর্ত মাহিমের চোখের সামনে ভেসে উঠতেই মাহিমের মুখে একটু হাসি ফুটে উঠলো।
.
এরপর মাহিম শান্ত হয়ে রুমের ভিতরে আসলো।
.
.
“কিছুক্ষন পর”
মাহিম একটা তাওালা ঘারে নিয়ে বাদরুম দিকে এগিয়ে আসতেই বাদরুম থেকে ভেজা চুলে তুন্নি বেড় হয়ে আসলো।মাহিম তুন্নিকে দেখতেই থমকে গেলো
.
মাহিম:-তুন্নি তুই???(অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
.
তুন্নি:-হুম আমি(মাহিমের দিকে তাবিয়ে)
.
মাহিম:-তুই আমার বাদরুমে কেন?
.
তুন্নি:-আরে আমি যেই রুমে থাকি সেই রুমের বাদরুমে পানি আসছিল না।তাই গোসল করতে তোর বাদরুম এলাম।কেন কি হয়েছে??
.
মাহিম:-(কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর)না কিছু না।
.
তুন্নি:-ওকে ফ্রেশ হয়ে নিচে আয় আমি তোর জন্য ওয়েট করছি।
.
মাহিম:-হুমম
.
এরপর তুন্নি চলেগেলো।মাহিম ভাবতে লাগলো।
“-প্রিয়া গেলো কোথায় কালকে রাতে ওর কথা ব্যাবহার এমন কি প্রিয়াকে দেখতেও সবকিছু আলাদা লাগছিল।কালকের রাতের পর আমার মনে হয় না যে প্রিয়া আমার উপর রাগ করে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে।
এরআগে ওর সাথে অনেক রাগারাগি ঝগড়া এমন কি গাঁয়ে হাত পর্যন্ত তুলেছি।
কিন্তু তার পরেও প্রিয়া এই বাড়ি চলে যায়নি।আর কাল রাতের পর তো চলে যাওয়ার কোন প্রশ্নই উঠেনা।
তাহলে প্রিয়া আজকে বাড়ি ছেড়ে চলেগেলো কেন?
আর যদি চলেই যায় তাহলে আমার সাথে কাল রাত কাঠালো কেন?নিশ্চই এর মাঝে কোন অহস্য রয়েছে।
যেটা আমি জানিনা যে করেই হোক আমাকে এটা জানতেই হবে।তারপর কি হবে হবে।(একা একা দাড়িয়ে মনে মনে)
.
.
নিচে সবাই একসাথে ডায়নিং টেবিলে বোসে সকালের ব্রেকফাস্ট করছিল।এমন সময় তুন্নি দেখতে পেলো মাহিম উপর থেকে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসছিল।
.
তুন্নি:-কোথায় যাচ্ছিস?(মাহিমের দিকে লক্ষ করে)
.
মাহিম:-বাহিরে আমার একটু কাজ আছে
.
মাহিমের বাবা:-কিসের কাজ?
.
মাহিম:-বাবা আমি প্রিয়াকে খুঁজতে যাচ্ছি।
.
মাহিমের বাবা:-ঐ মেয়ে কে আবার খুঁজতে যাওয়ার কি আছে।ঐ মেয়ে তো প্ররাই প্ররাই এভাবে বাসা থেকে চলে যায় সারাদিন কোথায় কোথায় কি কি করে আর রাতের বেলায় বাসায় ফিরে।আজকেও যখন গেছে তখন ঠিকি রাতের বেলাই বাসায় ফিরবে।কোন দরকার নেই খোঁজার।(রেগে)
.
মাহিম:-বাবা প্রিয়া আগেও এভাবে চলে যেতো আবার ফিরে আসতো সেটা ঠিক।বাট আজকে আমার মনে হচ্ছে না যে ও ফিরবে।
.
তুন্নি:-মাহিম একটা কাজে মেয়ে এই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে তাকে আবার খুঁজে ফিরিয়ে আনার কি আছে।
.
মাহিম:-হুম ঠিক বাট এতদিন একটা মেয়ে বাসায় কাজ করার পর হঠাৎ না বলে এভাবে কেন চলে গেলো সেটা আমি মানুষ হিসাবে আমার জানা দায়িত্ব বলে মনে করি।
.
তুন্নি:-প্রিয়ার হয়তো এই বাড়িতে কাজ করতে আর ভালো লাগেনা তাই চলে।
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
মাহিমের মা:-মাহিম সামনে তোমার বিয়ে।কোথায় তুমি এইসব নিয়ে ব্যস্ত থাকবে না।
তা না করে তুমি একটা কাজের মেয়ে কে নিয়ে কে নিয়ে টেনশন করছো।আর ভালোই হয়েছে প্রিয়া বাড়ি ছেড়ে চলেগেছে।ওর মতো একটা গাইয়্যা অশিক্ষিত মেয়ে আমাদের বাড়ির কাজের মেয়েও হওয়ারও যোগ্য নয়।
.
মাহিম:-আমার যা বলার আমি বলেছি।
.
এইবলে মাহিম গাড়ি নিয়ে প্রিয়াকে খুঁজতে বেড় হলো।
আসার সময় তুন্নি পিছন থেকে এত করে ডাকলো কিন্তু মাহিম তার কোন উত্রর না দিয়ে বেরিয়ে পরলো।
.
.
.
“সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা”
সারাটা দিন মাহিম প্রিয়াকে অনেক জায়গায় খোঁজলো।কিন্তু কোথায় পেলো না।
অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরলো মাহিম।
.
মাহিম বাসায় ফিরতেই তুন্নি খেতে বললো কিন্তু মাহিম খাবেনা বলে রুমে এসে দরজা লক করে দিল।
.
এরপর ফ্রেশ হয়ে চেঁয়ারে বোসে পরলো।মাহিম চেঁয়ারে বোসে ভাবতে লাগলো প্রিয়া কোথায় গেলো কোথায় যেতে পারে।এমন সময় মাহিমের শিহাবের কথা মনে পরে গেলো।
.
এরপর মাহিম ফোনটা হাতে নিয়ে শিহাবের নাম্বারে কল দিল।প্রথম বার রিং হলো কিন্তু কেউই রিসিভ করলো না।
তারপর আবার ট্রাই করছিল এমন সময় রিসিভ করলো।
.
মাহিম:-হ্যাঁলো(ফোনে)
.
শিহাব:-হুমম হ্যাঁলো(ফোনে)
.
মাহিম:-আমি মাহিম চিনতে পারছেন??
.
শিহাব:-হুমম আপনার নাম্বার আমার ফোনে সেভ করা আছে।হঠাৎ কি মনে করে?
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
শিহাব:-কি হলো চুপ করে আছেন কেন?
.
মাহিম:-হুম জ্বী বলুন
.
শিহাব:-আমি আবার কি বলবো আপনি তো ফোন দিয়েছেন কিসের জন্য ফোন দিয়েছেন আপনি বলুন।
.
মাহিম:-(কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর)না মানে প্রিয়া কি আপনার ঐখানে আছে
.
শিহাব:-কে প্রিয়া,ও তো কোনদিন আমার এখানে আসেইনি।ওর কি আমার এখানে আসার কথা নাকি?
.
মাহিম:-আমি যেটা বলছি সেটার Answer দিন।(একটু রেগে)
.
শিহাব:-না কেন প্রিয়া বাসায় নেই।
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
শিহাব:-কোথায় গেছে কিছু বলে যায়নি
.
মাহিম:-বলে গেলে কি আপনাকে জিগ্যেস করতাম(একটু রাগি কন্ঠে)
.
শিহাব:-কখন বেরিয়েছে
.
মাহিম:-ভোর বেলা।
.
শিহাব:-ভোর বেলা বেরিয়েছে আপনারা খোজাখোজি করেননি
.
মাহিম:-করেছি বাট কোথাও পেলাম না।তাই ভাবলাম দেখি আপনার ঐখানে গিয়েছে নাকি
.
শিহাব:-আচ্ছা প্রিয়ার সাথে আপনার ঝগড়া ঝাটি হয়নি তো
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
শিহাব:-ঝগড়া করে কোথাও চলে যায়নি তো?মান অভিমান হয়েছে
.
মাহিম:-আপনি হয়তো সবকিছু জানেনা তাই এইসব কথা বলছেন।আমি রাখলাম যদি প্রিয়ার কোন খোঁজ পেয়ে যান তো আমাকে জানাবেন।
.
এইবলে মাহিম লাইনটা কেটে দিল।তারপর ফোনটা রেখে দিয়ে চেঁয়ারে মাথা দিয়ে চোখ বন্ধ করে প্রিয়ার কথা ভাবতে লাগলো।কোথায় যেতে পারে কোথায় গেলো প্রিয়া।প্রিয়ার কিছু হয়ে যায়নি তো?…!
.
.
>(-এর আগে যা ঘটে ছিল-)< . প্রিয়া মাহিমকে আরো কাছে টেনে নিয়ে চোখ বন্ধ করে মাহিমের ঠোঁঠের সাথে নিজের ঠোঁট এক করে দিল।মাহিমের ঠোঁঠের ছোয়া প্রিয়া ঠোঁঠে পেতেই প্রিয়ার সারা শরিল কেঁপে উঠতেই প্রিয়া আরো শক্ত করে মাহিম শার্ট এর কলার চেঁপে ধরলো। (শর্ট করে দিলাম বাকিটা আপনারা বুঝে নিবেন)(এখানেই শেষ নয়) . ভোর বেলা প্রিয়ার ঘুম ভেঙ্গে যায়।প্রিয়া চোখ খুলতেই দেখলো মাহিম প্রিয়াকে তার বুকে সাথে জরিয়ে ধরে আছে।প্রিয়ার একদম মাহিমের বুকের কাছে মাহিমের প্রতিটি শ্বাসপ্রশ্বাস এর শব্দ শুনতে পারছে।প্রিয়ারাও ইচ্ছে করছে সারাজীবন এভাবে মাহিমের বুকে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে।কিন্তু প্রিয়াকে তো যেতে হবে অনেক দূর যেখানে আর কেউই তাকে খুজে না পায়।মাহিম প্রিয়াকে এমন ভাবে জরিয়ে ধরে আছে যে প্রিয়া চাইলেও নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে পারছেনা। কিছুক্ষন চেষ্টা করার পর অনেক কষ্টে প্রিয়া নিজেকে মাহিম কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে উঠে পরে।প্রিয়া উঠে মাহিমের দিকে তাকালো দেখলো মাহিম এখনো ঘুমিয়েই আছে।মাহিমকে ঘুমন্ত আবস্তায় দেখতে একটু অন্যরকম লাগছে।প্রিয়া মাহিমের কাছে এসে বোসলো"-আর হয়তো কখনো তোমার বুকে মাথা রাখতে পারবো না তোমাকে দেখতেও পারবো না।আমাকেও আর কোনদিন দেখতে পারবে না আমিও আর চাইনা তোমাকে দেখাতে।যখন তুমি আমায় বলেছি যে তুমি আমাকে ভালোবাসো তখন আমার বোনের সাথে তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছিল।তাই তোমায় সেদিন অবহেলা অপমান করছি যাতে তুমি আমায় ভূল বুঝো আমাকে ভূলে যাও আমাকে দুরে সরিয়ে দাও। সেদিন তুমি আমার থেকে যতটা কষ্ট পেয়েছো তার চেয়ে বেশি কষ্ট আমি পেয়েছি তোমার গাঁয়ে হাত তুলে।সেদিন বাড়ি ফিরার পর অনেক কাঁন্না করেছি অনেক কেন জানো আমাকে ভালোবাসি বলে।তোমার এবং তোমার বাসার লোকজনের এত অবহেলা অপমান মাইর খাওয়ার পরেও কেন পরে থাকতাম কেন জানো শুধু তোমার জন্য।তুমি যখন আমায় খারাপ খারাপ কথা গুলো বলো আমার গাঁয়ে হাত তুলো আমাকে বাসা ছেড়ে চলে যেতে বলো তখন জানো আমার অনেক কষ্ট হয় অনেক। তখন খুব ইচ্ছে করে তোমাকে জরিয়ে কেঁদে কেঁদে বলতে কেন এমন করছো?কোথায় যাব আমি? কে আছে আমার তুমি ছাড়া।ভালোবাসি তোমাকে অনেক অনেক কিন্তু কখন বলতে সাহস পায়নি। তারপরেও আমি সব সয্য করে পরে থাকতাম তোমার একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য।আমি ভাবতাম একদিন না একদিন তুমি ঠিকি ভালোবেসে আমাকে তোমার বুকে টেনে নিবে।কিন্তু যেদিন জানতে পারলাম যে তুমি আর আমাকে নয় তুমি তোমার ফ্রেন্ড তুন্নিকে ভালোবাসো।তারপর থেকেই তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দেই।সেদিনি আমি তোমাদের বাসা ছেড়ে তোমার জীবন থেকে চলে যেতাম কিন্তু ডাক্তারের কাছে যখন জানতে পারলাম যে আমি আর ২/৩মাস বাঁচবো তখন আর চলে যেতে পারলাম না। ছোট্ট বেলায় মা বাবা কে যখন ভালোবাসলাম তখন তেনারা আমায় ছেড়ে চলে গেলেন।তারপর যখন নিজের মামীকে ভালোবেসে আপন করে মা এর কষ্টটা দূর করতে চাইতাম তখন মামী প্রতিটা মুহূর্তেই আমাকে অবহেলা অপমান করে দূরে সরিয়ে দিতেন। আর তোমাকে ভালোবেসে কখনো তোমার ভালোবাসা পায়নি।তাই ঠিক করলাম যে যতদিন বাঁচবো ততদিন এখানেই থেকে যাব।আর কিছু পাইবা না পাই তোমাকে দেখে মরতে পারবো।সামনে তোমার বিয়ে আর আমার সময় শেষ হয়ে এসেছে।এমনিতেই আমি সবার মাথায় বোজা হয়ে আছি।মৃত্যুর পরেও যেন আমার লাশটা আর কারো মাথায় বোজা হয়ে না থাকে। তাই আমার কিছু হয়ে যাওয়া আগেই আমি চলে যাচ্ছি অনেক দূরে যেখানে আর কেউই আমাকে খুঁজে না পায়।ভালো থাকবে আর কোদিনও আসবো না ফিরে।(মাহিমের দিকে তাকিয়ে কেঁদে কেঁদে মনে মনে) . এভাবে প্রিয়া মাহিমের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে কাঁন্না করার পর মাহিমের গাঁলে আলতো করে একটা চুমু খেলো।তারপর সবাই উঠার আগেই প্রিয়া চোখের মুছতে মুছতে রুম থেকে বেড় হয়েগেলো। -->(-এরপর-)<-- -----Next Part------ . আমি আগেই বলেছি আজকের পর্বটা ভালো হবেনা। আর এমনিতেও গল্পটা আর ভালো হচ্ছে না তাই তারাতারি শেষ করে দিব। . ""?????????????? . মোবাইল দিয়ে লেখা। (ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here