বউ_যখন_কাজের_মেয়ে . >পর্ব-২৫

0
3041

বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
.
>পর্ব-২৫
লেখক:-মান্না ইসলাম মাহিম
.
.
.
.
মাহিম চলে যাওয়ার পর প্রিয়ার অজান্তেই তার চোখ দিয়ে পানি বেড় হয়ে আসলো।
.
.
মাহিম সকাল সকাল গাড়ি নিয়ে শহরের উদ্দির্শে রওনা দিল।আশার সময় প্রিয়ার মামাী এত করে বলল খেয়ে যেতে মাহিম শুধু বলল”আমার কাজ আছে আমাকে যেতে হবে”এইবলে মাহিম চলে আসলো।
.
.
.
“কিছুক্ষন পর”
মাহিম চলে যাওয়া পর প্রিয়ার মাথায় কেমন জানি যন্ত্রণা করছিল প্রিয়া চোখ বন্ধ করে মাথা চেপে ধরে সুয়ে আছে।
এমন সময় প্রিয়ার মামী প্রিয়াকে চিৎকার দিয়ে ডাকতে লাগলো।প্রিয়া তার মামী চিৎকার শুনে বেড় আসতেই প্রিয়ার মামী প্রিয়াকে কেঁদে কেঁদে বলল যে মাহিমের Accident হয়েছে।আর মাহিমকে Hospital a নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রিয়ার মামীর কথা শুনতেই প্রিয়ার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পরলো।প্রিয়ার পায়ের নিচ যেন মাঠি সরে গেল,প্রিয়ার কাছে পুরো পৃথিবীটা ঘুরতে লাগলো।
প্রিয়া নিজেকে সামলিয়ে নিল।
.
প্রিয়া:-তুমি এইসব কি বলছো মামী?(হতাশ হয়ে)
.
মামী:-হ্ আমি ঠিকি কইতেছি তোর মামা এহনি ফোন করেছিল(কেঁদে কেঁদে)
.
প্রিয়া আর দাড়িয়ে না থেকে কেঁদে কেঁদে পাগলির মতো ছুটতে লাগলো Hospital এর দিকে।
.
.
মাহিমকে Hospital a নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার তারাতারি ইমার্জিন্সিতে নিয়ে গেলো।
.
.
“কিছুক্ষন পর”
প্রিয়া Hospital এর ভিতরে আশার পর দেখলো ইমারজিন্সি রুমের বাহিরে তার মামা দাড়িয়ে আছে।
প্রিয়া তার মামাকে দেখার পর দৌড়ে তার মামার কাছে
.
প্রিয়া:-মামা উনার কিছু হয়নি তো উনি ঠিক আছে।বলো না মামা প্লিজ বলো আমায়(কেঁদে কেঁদে)
.
প্রিয়া কেঁদে কেঁদে এইসব কথা তার মামাকে বলছিল এমন সময় ডাক্তার সাহেব বেড় হওয়ে আসতেই প্রিয়া ডাক্তারের কাছে ছুটে গেলো
প্রিয়া:-ডাক্তার বাবু কি অবস্থা উনার উনি ঠিক আছে।উনার কিছু হয়নি তো?কেমন আছে আছে উনি এখন(কেঁদে কেঁদে)
.
ডাক্তার:-দেখুন উনার মাথায় আর বুকে অনেক বেশিই আঘাত পেয়েছে।এখনো কিছুই বলতে পারছি না।
.
ডাক্তারের কথা শুনে প্রিয়ার কান্না আরো বেরে গেলো।
.
ডাক্তার:-দেখুন এখন কান্নাকাটির সময় নয়,উনার শরিল থেকে অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে।ইমারজিন্সি দুব্যাগ A- ব্লড লাগবে।আমাদের Hospital a A-
ব্লড শেষ হয়েছে।আমরাও চেষ্টা করছি ব্লড ম্যানেজ করার আপনারাও করুন।
.
এইবলে ডাক্তার চলে যাচ্ছিল এমন সময়
.
প্রিয়া:-ডাডাক্তার বাবু কি ব্লড গ্রুপের কথা যেন বললেন?
.
ডাক্তার:-A-(প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া:-আআমি দিব,আমার A-ব্লড(কেঁদে কেঁদেই)
.
ডাক্তার:-ওহ তাহলে ভালোই হলো।তারাতারি আসো আমার সাথে Quick।
.
এরপর প্রিয়া মাহিমকে ব্লড দিতে ডাক্তারের সাথে চলেগেল।
.
.
.
.
.
“রাত ১০টা”
প্রিয়া ব্লড দিয়ে সারাদিন না খেয়ে না দেয়ে,
ইমার্জিন্সি রুমের সামনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে চোখের জল ফেলছে।
.
“কিছুক্ষন পর”
ডাক্তার বেড় হতেই
প্রিয়া:-ডাডাক্তার বাবু কি অবস্থা উনার উনি ঠিক আছে তো?(চোখে জল নিয়ে)
.
ডাক্তার:-ভয়ের কোন কারণ নেই।ব্লড দেওয়া হয়েছে।উনি এখন অজ্ঞান অবস্থায় আছে।জ্ঞান ফিরতে ২/৩ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
.
এইবলে ডাক্তার চলেগেলো।
.
ডাক্তারের কথা শুনে প্রিয়া একটু শান্ত হয়েগেলো।
.
.
কিছুক্ষণ পর নার্স এসে বেড এ করে অজ্ঞান
অবস্থায় মাহিমকে অন্যরুমে নিয়ে গেলো।
.
.
প্রিয়া রুমে ঢুকতেই দেখলো মাহিমের মাথায় আর বুকে ব্যান্ডেজ করা,অজ্ঞান অবস্থায় মাহিম বেড সুয়ে আছে।মাহিমকে এভাবে প্রিয়া দেখতেই তার চোখ দিয়ে জল বেড় হয়ে আসলো।
আসলে প্রিয়া তার জীবনের থেকেও মাহিমকে
অনেক বেশি ভালোবাসে।কিন্তু কোনদিন তা মুখ ফুটে বলতে পারেনি।
প্রিয়ার জীবনে মাহিমই প্রথম মাহিমই শেষ।
.
.
প্রিয়া চোখে জল নিয়ে মাহিমের বেড এর কাছে এগিয়ে আসতেই..
পিছন থেকে প্রিয়ার মামা:-প্রিয়া?
.
প্রিয়ার তার মামা কন্ঠ শুনতেই চোখের জল মুছে পিছনে দিকে ঘুরে দাড়ালো।
প্রিয়ার মামা:-তুই তো সারাদিন কিছুই মুখে দিসনি।
তাই তোর খাবার নিয়ে আসলাম খেয়েনে মা।
.
প্রিয়া:-রেখে দাও আমার ক্ষিদে নেই মামা।
.
প্রিয়ার মামা:-এখন তো টেনশন করার কোন কারণ নেই।ডাক্তার সাহেব বলল তো জ্ঞান ফিরলে সব ঠিক হয়ে যাবে।তুই খাবার গুলো খেয়েনে।
.
প্রিয়া:-তুমি খাবার গুলো রেখে দাও।উনার জ্ঞান ফিরলে আমি খেয়ে নিব।
.
এরপর প্রিয়ার মামা আর জোর না করে খাবার গুলো টেবিল এর উপরে রেখে দিল।
.
প্রিয়া:-মামা?(পিছন থেকে)
.
প্রিয়ার মামা:-(প্রিয়ার দিকে ঘুরে)হ্যাঁ বল
.
প্রিয়া:-রাত তো অনেক হয়েগেলো।তুমি বাড়িতে ফিরে যাও।(মুখের দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়ার মামা:-না আমিও থেকে যাই কখন কোন সময় কি লাগবে না লাগবে।
.
প্রিয়া:-সেটা আমি দেখে নিব।তুমি বাড়িতে যাও মামী বাড়িতে একা রয়েছে।মামীও মনে হয় এখনো টেনশন করছে।(মামার দিকে তাকিয়েই)
.
প্রিয়ার মামা:-আচ্ছা ঠিক আছে।জামাই বাবার জ্ঞান ফিরলে খাবার গুলো খেয়ে নিস।
.
এইবলে প্রিয়ার মামা রুম থেকে বেড় হয়ে যাচ্ছিল এমন সময় প্রিয়া বলে উঠলো।
প্রিয়া:-মামা শুনো।
.
প্রিয়ার কথা শুনে তার মামা দাড়িয়ে গেলো।
.
প্রিয়া:-উনার জ্ঞান না ফেরে পর্যন্ত উনাদের বাসায় ফোন করে এইসব কিছুই বলার দরকার নেই।
.
প্রিয়া:-ঠিক আছে।
.
.
.
.
“রাত ১২টা”
প্রিয়ার মামা চলে যাওয়ার পর প্রিয়া দরজার কাছে এসে দরজার কপড়টা টেনে দিল।
.
সারাদিন কান্নাকাটি করায় প্রিয়ার মাথায় ব্যাথা যন্ত্রণা শুরু হয়েগেলো।
প্রিয়ার মাথা চক্কর দিয়ে উঠতেই প্রিয়া আর দাড়িয়ে থাকতে পারলো না।সাথে সাথেই মাথা চেপে ধরে মেঝেতে বোসে পরলো প্রিয়া।
সারাদিন কান্নাকাটি করায় প্রিয়ার মাথায় ব্যাথা যন্ত্রণা আজকে একটু বেশিই করছে।
.
.
কিছুক্ষণ প্রিয়া চোখ বন্ধ করে মাথা চেপে ধরে বোসে থাকার পর,প্রিয়া অনুভাব কররো তার নাক কিছু বেড় হচ্ছে।
প্রিয়া হাত দিয়ে মুছে দেখলো রক্ত বেড় হচ্ছে তার নাক দিয়ে।
রক্ত বেড় হয়ে আসতেই প্রিয়ারর মাথা ব্যাথা যন্ত্রণা একটু কমে আসলো।
.
এরপর প্রিয়া মেঝে থেকে উঠে টেবিলে রাখা টিসু দিয়ে রক্ত গুলো মুছে নিলো।
তারপর মাহিমের বেড এর কাছে এসে মাহিমের পাশে বোসে পরলো।
.
প্রিয়া মাহিমের পাশে বোসে অন্যরকম একটা মায়ার দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে রইলো মাহিমের দিকে।
কিছুক্ষণ মাহিমের দিকে চোখে জল নিয়ে তাকিয়ে থাকার পর।চোখের জল মুছে প্রিয়া ছোট্ট করে একটা চুমু দিল মাহিমের গালে।
.
প্রিয়া ঠোঁঠের স্পর্শ মাহিমের লাগে পড়তেই মাহিম চোখ খুললো।আর দেখতে পেলো প্রিয়াকে।মাহিম চোখ খুলতেই প্রিয়া তারাহুরো করে চোখের জল মুছতে লাগলো।প্রিয়া চোখের জল মুছে উঠতে যাবে ঠিক তখন মাহিম প্রিয়ার হাতটা ধরে ফেললো।
.
মাহিম প্রিয়ার হাত ধরতেই প্রিয়া চমকে উঠলো,আর মাহিমের চোখের দিকে তাকালো।মাহিমও প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।
মাহিম দেখতে প্রিয়ার কপালে সেই কেটে যাওয়া দ্যাগ এ এখনো কিছু রক্ত জোমে আছে।
সারাদিন না খাওয়াতে মুখটা কেমন সুখনা সুখনা লাগছে।
দুজন দুজনার চোখের দিকে অন্যরকম একটা মায়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
.
.
……নেক্সট পার্ট……..
.
জানি ভালো হয়নি বাট যদি
ভালো লাগেতো জানাবেন।

(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here