বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
.
>পর্ব-২৯
লেখক:-মান্না ইসলাম মাহিম
.
.
.
এইবলে মাহিম রুম থেকে বেড় হয়েগেল।প্রিয়া টাকার বান্ডিল এর দিকে তাকাতেই চোখ দিয়ের পানি গরিয়ে মাঠিতে পরতে লাগলো।মাহিম এতদিন যেটা বলে আসতো প্রিয়াকে।আজ সেটা প্রমাণ করে দিল।প্রিয়া একটা চরিত্রহীন নষ্টা মেয়ে।কিছুক্ষণ টাকার ব্যান্ডিল এর দিকে তাকিয়ে চোখের জল ফেলার পর কাঁদতে কাঁদতে মেঝেতে হাঁটু ফেলে বসে পরলো।
.
>Old Part is Flashback<
.
সকাল বেলা মাহিম ঘুম থেকে উঠে দেখলো প্রিয়া তার পাশে নেই।হয়তো ব্রেকফাস্ট রেডি করতে গেছে।এটা ভেবে মাহিম উঠে ফ্রেশ হয়ে নিল।
.
.
সকাল প্ররায় ৯টা বেজে গেলো কিন্তু প্রিয়া এখনো তার জন্য ব্রেকফাস্ট নিয়ে এলো না।
.
"কিছুক্ষণ পর"
অর্পা মাহিমের ব্রেকফাস্ট নিয়ে রুমে এলো।
অর্পা:-কিরে প্রিয়া কোথায়? ৯টা বেজে গেলো ও নীচে এলো না কেন?(ভিতরে আসতে আসতে)
.
অর্পার কথা শুনে মাহিম চমকে উঠলো।
এরপর অর্পার দিকে ঘুরে
মাহিম:-প্রিয়া কোথায় মানে? ও নীচে নেই?(অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
.
অর্পা:-না ও এখন নীচে যায়নি বলেই তো আমি তোর ব্রেকফাস্ট নিয়ে এলাম।(মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-বলছ কি তুমি ও নীচে নেই?
.
অর্পা:-না নেই।আমি ভাবলাম হয়তো শরিল খারাপ তাই হয়তো উঠেনি।
.
মাহিম:-আমি তো ঘুম থেকে উঠেই দেখি প্রিয়া রুম নেই।
.
অর্পা:-সেকি তাহলে গেলো কোথায় মেয়েটা।
.
.
প্ররায় রাত হয়ে আসলো মাহিম অনেক খোজাখুজি করলো কিন্তু কোথায় প্রিয়াকে পেলো না।প্রিয়ার মামার বাসায় ফোন করেছিল তারাও অনেক খোজাখুজি করলো তারাও কোথাও পেলো না প্রিয়াকে।
.
কিছুদূর যেতেই রাস্তায় সামনে একটা ঝামেলা হওয়াতে অনেক জ্যাম পরে গেলো।জ্যাম ছাড়তে ৩০মিনিটের মতো লাগবে।পাশে রেস্টুরেন্ট থাকায় প্রিয়াকে সাথে নিয়ে কপি খেতে গেলো শিহাব।প্রিয়া যেতে চাইলো না বাট শিহাব এর জোরাজোরিতে আর না করতে পেলো না।
.
মাহিম গত ৭দিন ধরে প্রিয়াকে পুরো শহর খুঁজে বেড়াচ্ছে।কিন্তু কোথাও পাচ্ছে না।
সেই সকাল বেলা বেড় হয়েছে মাহিম শিহাব এর বাসা খুঁজতে।অনেক জায়গায় খুঁজলো কিন্তু কোথাও পেলো না।গত ৭দিন ধরেই মাহিম শিহাব এর নাম্বার ট্রাই করে যাচ্ছে বাট নাম্বার শুধু বন্ধই বলছে।
মাহিম শিহাব এর নাম ছাড়া তার সম্পর্কে আর কিছুই জানেনা।শহরে শিহাব নাম এ অনেকেই রয়েছে শুধু নাম দিয়ে কি আর খুজে পাওয়া যায়।অনেক খোজাখুজির পর মাহিম ক্লান্ত হয়ে রেস্টুরেন্ট এ বসে কপি খাচ্ছিল।এমন সময় চোখ পরলো একটা টেবিলে প্রিয়া বসে কপি খাচ্ছে।
মাহিম প্রিয়াকে দেখে চমকে উঠলো।
সে দ্রুত কপির কাপটা রেখে উঠে প্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল এমন সময় চোখে পরলো প্রিয়া সাথে সেদিনের সেই ছেলেটা।
প্রিয়া সাথে হেসে কথা বলছে।তার মানে এটাই সেই শিহাব।মাহিম এটা ভেবে একদম ধমকে গেলো।প্রিয়া আর শিহাব কে একসাথে দেখে মাহিমের মাথায় যেন আগুন ধরে গেলো।মাহিম নিজেকে কন্ট্রোল করে রাগি চোখে দাড়িয়ে তাদের দিকে লক্ষ করতে লাগলো।মাহিম দেখতে পেলো প্রিয়া শিহাব কিছুক্ষণ কথা বলার পর দুজনি হাসাহাসি করে রেস্টুরেন্ট থেকে বেড় হয়েগেলো।তারা দুজনি বেড় হয়ে যাওয়ার পর মাহিম একটা চেয়ার টেনে বসে পরলো।ও কোথায় আছে কেমন আছে ওর কিছু হয়ে যায়নি তো।এটা ভেবে আমি গত ৭দিন ধরে ও কে পাঁগলের মতো খুজে বেড়াচ্ছি আর ও ওর শিহাব এর সাথে হাসাহাসি করে ঘরে বেড়াচ্ছে।
তার মানে আমি এতদিন যেটা ভেবে এসে ছিলাম সেটাই রাইট।তুমি জানোনা প্রিয়া তুমি আজ তোমার অজান্তেই আমায় কতটা কষ্ট দিলে।আমি এর প্রতিশোধ নিব তোমার চোখের জলের বিনিময়ে!
এইসব কথা মাহিম বসে ভাবতে ভাবতে রাগে মাহিম চোখ মুখ একদম লাল হয়েগেছে।
.
>Old Part is Flashback The End<
.
মাহিম চলে যাওয়া পর প্রিয়া কিছুক্ষণ টাকার ব্যান্ডিল এর দিকে তাকিয়ে চোখের জল ফেলার পর কাঁদতে কাঁদতে মেঝেতে হাঁটু ফেলে বসে পরলো।মৃত্যুর আগেই শেষ পর্যন্ত মাহিম তাকে নষ্টা মেয়ে প্রমাণ করেই ছাড়লো।
.
.
"রাত ১২টা"
প্রিয়া একা একটা রুমে সুয়ে আছে।মাহিম চলে যাওয়ার পর থেকে প্রিয়ার চোখ দিয়ে পানি পরা বন্ধ হচ্ছেই না।
যাকে জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসে আজ সেই তাকে নষ্টা মেয়ে প্রমাণ করলো।
কতটা খারাপ ঘৃণা করলে নীজের স্ত্রীকে একটা নষ্টা মেয়ে বলে একজন স্বামী এই কাজটা করতে পারে।
আজকে ও টাকা দিয়ে প্রমাণ করে গেলো আমি সত্যি ওর স্বামীর অধিকার পাওয়ার আমার কোন যোগ্য নেই।
আমি এতদিন সত্যিই ওর কাছে একটা কাজের মেয়েই ছিলাম।ও আমায় একটুও ভালোবাসেনি।একটা অসহায় কাজের মেয়ে মনে করে শুধু দয়াই করেছে আমার উপর।আর কিছু না।ঠিকি তো আমি যেটার যোগ্য সেটাই তো পাব।
মা-বাবা কে ভালোবেসে ভালো করে তাদের ভালো পায়নি আর নিজের স্বামীকে ভালোবেসে কখনই তার যোগ্য হয়ে উঠতে পারিনি।অবহেলা অপমান কষ্ট ছাড়া কখনই স্বামীর আদর সোহাগ ভালোবাসা কিছু পাইনি।
ছোট থেকেই সবার কাছ থেকে অবহেলা অপমান কষ্ট জ্বালা যন্ত্রণা ছাড়া কখন কারোই একটু ভালোবাসা পাইনি।মৃত্যুর আগেও কখনই পাব না।"এইসব ভাবতেই প্রিয়ার চোখের জল আরো বেড়ে গেলো।
.
.
.
.
"২দিন পর"
সকাল বেলা।অনেক্ষণ ধরে প্রিয়াকে ডাকছে কিন্তু প্রিয়া রুম থেকে কোন সারা পাচ্ছে না।কিছুক্ষণ পর প্রিয়াকে ডাকতে প্রিয়ার রুমে এলো এসে দেখলো ৯টা বাজে প্রিয়া এখনো ঘুমাচ্ছে।প্রিয়া মামী প্রিয়াকে ডাকতে প্রিয়ার গায়ে হাত দিতেই চমকে উঠলো।প্রিয়া গাঁ জ্বর এ পুড়ে যাচ্ছে।মাথা দিয়ে আগুন এর তাফ উঠেছে।যত দ্রুত সম্ভব চল পট্টি দিতে হবে। এরপর প্রিয়ার মামী দ্রুত মাথায় চল পট্টির ব্যবস্থা করলো।কিছুক্ষণ বসে প্রিয়ার মাথায় চল পট্টি দেওয়ার পর।দ্রুত ডাক্তার ডেকে নিয়ে আসলো।ডাক্তার এসে দেখলো প্রিয়ার অবস্থা বেশি ভালো না।গত ২দিন ধরে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া শরিল এর যত্নআত্তি না করায় শরিল একদম অনেক অসুস্থ হয়ে পরেছে।যত দ্রুত সম্ভব সেলাইন দিতে হবে।এরপর ডাক্তার সাহেব সেলাইন আর খাওয়ার জন্য কিছু ঔষধ দিয়ে চলে গেলো।
.
.
.
প্ররায় সারাটা দিন প্রিয়া সেলাইন এর উপর ছিল।সারাটা দিন বিছানা থেকে উঠতে পারেনি।
বিকালের ঐদিকে সেলাইন শেষ হওয়ার পর প্রিয়া উঠে কিছু খেয়ে আবার সুয়ে পরলো।সারাটা দিন সুয়ে থাকায় মাথা উঠিয়ে দাড়াতে পারছে না।
.
.
.
রতের বেলা প্রিয়ার মামী বাড়ির মেইন দরঝা বন্ধ করতে যাবে ঠিক তখনি দেখতে পেলো মাহিম গেটের সামনে দারিয়ে আছে।
মাহিম প্রিয়ার মামীকে দেখে দিলেন অনি সালামের উত্রর করলেন।
প্রিয়ার মামী:-আইসো বাজান ভিতরে আইসো।
.
এরপর মাহিম ভিতরে এসে প্রিয়ার কথা জিজ্ঞেস করলো।
প্রিয়ার মামী:-কি আর কমু বাবা আমি সেদিন বাইরে গিয়ে ছিলাম একটা কাজে।আইশা শুনলাম তুমি নাকি আইছিলা আবার চইলাও গোছো।তুমি যেইদিন গেছো সেই দিন রাত থাইকা গত ২দিন ধইরা প্রিয়া মা সব সবময় দেহি খালি কান্না করে।ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করেনা।ঘর থাইকা কোথাও বেড়ও হয় না।
এত বকাচকা করি তাও হারাদিন দেখি সমসয়ই মন মরা হইয়া থাকে।আমি এত কইরা কই তোর কি হইছে আমারে ক খালি কিছু না।আর সময়ই কেমন কইরা যেন কথা কয়।
.
মাহিম খুব মনযোগী হয় প্রিয়ার মামীর কথা গুলো শুনছে।
.
প্রিয়ার মামী:-আজকে সকাল থাইকা ঘরে সুইয়া।গা এ অনেক জ্বর ডাক্তার আইশা সেইলাইন ঔষধ দিয়া গেলো।আল্লাহ্ই জানে বাপ মা মরা মেয়েটার যে আবার কি হইলো।
আইচ্ছা বাজান তুমি ঘরে যাও প্রিয়া মা হুইয়া আছে।আমি তোমার জন্য খাওয়ার ব্যবস্থা করতেছি।
.
এইবলে প্রিয়ার মামী চলেগেলো।মাহিম প্রিয়ার মামীর কথা গুলো শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে দাড়িয়ে থাকার পর প্রিয়ার রুমের দিকে এগিয়ে আসলো।তারপর কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর দরঝা ধাক্কা দিয়ে খুলতেই চমকে উঠে প্রিয়া দরঝার দিকে তাকালো।মাহিম দরঝা খুলতেই দেখতে পেলো প্রিয়া বিছানার উপর বসে কান্না করছিল।সে রুমের ভিতর আসতেই অসহায় হতাশ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।কাঁন্না করতে করতে প্রিয়ার চোখ গুলো একদম লাল হয়েগেছে।চোখের নীচ দিয়ে পানি গরিয়ে পরছে।একটা অভূত অহায় মায়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মাহিমের দিকে।দুজন দুজনার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর মাহিম ভিতরে আসতেই প্রিয়া চোখের জল মুছে বিছানা থেকে নেমে পরলো।মাহিম দেখতে পেলো প্রিয়া ঠিক মতো দাড়াতে পারছে না।
প্রিয়া:-আপনি আবার কেন এসেছেন(মাহিমের দিকে তাকিয়ে অভিমানী সুরে)
.
প্রিয়ার "আপনি আবার কেন এসেছেন" এই কথাটা শুনে মাহিমের রেগে হলো।
এই কথার মানে প্রিয়া সত্যি আর চায় না যে আমি ওর কাছে আসি।ও সত্যই হয়তো সবকিছু শেষ করে দিতে চায়।একটু আগে যেটা ভেবে ছিলাম করবো না।এখন সেটাই করবো।তুমি যখন সবকিছু শেষ করে দিতে চাইছো তাহলে আমিও সবকিছুই শেষ করে দিব।(প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে মনে মনে)
প্রিয়া:-কি হলো তাকিয়ে আছেন কেন?বলুন কেন এসেছেন?
.
মাহিম:-আপনা সাথে একটা হিসাব চুকাতে এলাম।
.
প্রিয়া:-আবার কিসের হিসাব।সেদিন তো সব হিসাব চুকে দিয়ে গেছেন আপনি।(কাঁদার মতো করে মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-আপনার সাকিছু শেষ মনে হলেও আমার কাছে এখনো শেষ হয়নি।
.
প্রিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর...
প্রিয়া:-তাহলে কি ডিভোর্স পেপার নিয়ে এসেছেন তো?(কাঁদার মতো করেই)
.
মাহিম:-Exactly...সেটাই চুকাতে এসেছি আমি বুঝতে পেরেছেন।Actually আপনার মতো....(আর কিছু বলার আগেই)
.
প্রিয়া:-আমার মতো একটা খারাপ নষ্ট চরিত্রহীন মেয়ের সাথে বিয়ে নামক মিথ্যে সম্পর্কটা আর রাখতে চান তাই তো(কাঁদার মতো করে মাহিমের দিকে তাকিয়েই)
.
মাহিম:-হুম রাইট!
.
প্রিয়া:-কই দিন ডিভোর্স নোটিশ দিন আমি সাইন করে দিচ্ছি।(মাহিমের দিকে হাত বারিয়ে দিয়ে)
.
মাহিম দেখতে পেল প্রিয়া আজকে একদম শান্তশিষ্ট ভাবে কথা বলছে।রাগ অভিমান কিছু করছে না।প্রিয়াকে দেখতে আজকে একটু অন্যরকম লাগছে।অন্যরকম একটা সৌন্দর্য প্রিয়ার মাঝে ভেসে উঠেছে।একদম মায়াবী পরীর মতো লাগছে।যেটা এর আগে আর কখনো দেখেনি।ইচ্ছে করছে ওর মায়া ভরা চোখ দুটোর দিকে তাকিয়ে থাকতে।প্রিয়াকে আজ দেখতে এমন লাগছে কেন?
.
মাহিম কিছু না বলে ডিভোর্স পেপারটা প্রিয়ার হাতে দিল।প্রিয়া ডিভোর্স পেপারটা হাতে নিয়ে টেবিলের উপরে রেখে সাইন করতে লাগলো।
.
তুমি তাহলে সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছ তুমি আর আমার সাথে থাকবে না।তুমি তোমার শিহাব ওর সাথে থাকবে।তানাহলে তুমি কখনই ডিভোর্স পেপারে সাইন করতে না।যদি তুমি তোমার শিহাব এর কাছে গিয়ে সুখে থাকো।তাহলে আমিও সুখি।আঠকাবো না তোমাকে(মনে মনে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া ডিভোর্স পেপারে সাইন করার পর মাহিমের কাছে এসে।
প্রিয়া:-নিন হয়েগেছে।(মাহিমের দিকে এগিয়ে দিয়ে)
.
মাহিম কিছু না বলে ডিভোর্স পেপারটা হাতে নিয়ে দেখলো প্রিয়া সত্যিই সাইন করে দিয়েছে।
এরপর প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো
মাহিম:-ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।আর কখনই আপনাদের বাসায় আসবো না।
.
এইবলে মাহিম রুম থেকে বেড় হয়েগেলো।
মাহিম কথা বলার সময় প্রিয়া অন্যরকম একটা দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে ছিল।এটাই হয়তো মাহিমকে শেষ দেখা।শেষ বারের মতো খুব ইচ্ছে করছিল প্রিয়ারর মাহিমকে জরিয়ে কাঁদতে।কিন্তু মাহিম তো সেই অধিকার টুকুও শেষ করে দিয়ে চলেগেলো।শেষ বারের মতো আর একটু স্পর্শও করতে পারলো না মাহিম।
এটা ভেবে প্রিয়া সেদিনেই মতোই কাঁদতে কাঁদতে হাঁটু ফেলে মেঝেতে বসে পরলো।
একটু পর প্রিয়া ভেজা চোখে দেখতে পেলো তার মা-বাবার শেই ছবিটা কে যেন তার চোখের সামনে ধরে আছে।প্রিয়া ছবিটার দিকে তাকানোর পর উপরে তাকিয়ে দেখলো মাহিম।
মাহিম:-সব তো শেষ কিন্তু আপনার এই প্রিয়ও জিনিসটা আমার কাছে রেয়ে গিয়ে ছিল।হয়তো আর কোনদিন আমাদের দেখা হবে না।তাই এটা ফিরত দিতে এলাম।(ছবিটা প্রিয়ার দিকে বারিয়ে দিয়ে)
.
প্রিয়া মাহিমের দিকে তাকিয়ে মাহিমের কথা গুলো শুনে দাড়িয়ে গেলো।প্রিয়া দেখতে পেলো কথা গুলো বলতে মাহিমের ও চোখের কোনায় জল চলে এসেছে।প্রিয়া আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো কিছু না বলে কাঁদতে কাঁদতে মাহিমকে জরিয়ে ধরলো।প্রিয়া মাহিমকে জরিয়ে রইতেই মাহিমের ও চোখ দিয়ে পানি গরিয়ে পরতে লাগলো।মাহিমও প্রিয়াকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।
.
দুজন দুজনকে জরিয়ে ধরে কাঁন্না করার পর হঠাৎ প্রিয়া একদম নিঃশব্দহীন হয়েগেলো।
একটু নোড়চোড় করছে না।মাহিম কিছুই বুঝতে পারছে না।একটু পর প্রিয়া নিজ থেকেই মাহিমকে ছেড়ে দিয়ে মাঠিতে পড়ে যাচ্ছিল এমনি মাহিম প্রিয়াকে ধরে ফেললো আর প্রিয়ার মুখের দিকে তাকাতেই প্রিয়া নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেড় হচ্ছে,প্রিয়া অজ্ঞান হয়েগেছে।
....নেক্সট পার্ট........
.
গল্প শেষের দিকে।
.
জানি ভালো হয়নি বাট যদি
ভালো লাগেতো জানাবেন।
.
মোবাইল দিয়ে দেখা আর শর্প কার্ড বোঝা গেলেই হয়,
বাট টাইফ করতে অনেক জায়গায় ভূল টাইফিং হয়!
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)
প্লিজ কেউ কপি করে গ্রুপে পোস্ট করবেন না।