হঠাৎ বিয়ে পর্ব ০৫

0
3926

হঠাৎ বিয়ে পর্ব ০৫
লেখা : Tanjila mitu


তারপর বেসিং এর কল ছেড়ে দিয়ে ওর মুখে পানি দিলাম
আর লাফ দিয়ে উঠলো।
_ এইইইইই আমাকে পানি দিলেন কেন? বলেই কান্না শুরু করে দিলাম। (মিতু)
_ তাহলে কি করবো হুম পড়ে পড়ে সারা দিন ঘুমাও কেন এত ঘুম কই পাও শুনি? (গম্ভীরমুখে মাহিন বললো)
_ দেখেন আপনি কিন্তু একটু বেশি করছেন, একটু বেশি না অনেক বেশি করছেন (রেগে গিয়ে)
_ তাই চুপচাপ খেতে আসো তোমার জন্য না খেয়ে আছি মাহিন বললো।
_ আপনাকে কি আমি বলছি না খেয়ে বসে থাকতে যতসব ডং মুখ বাকা করে।
_ থাপ্পড় দিয়ে দাত ফেলে দিবো চুপচাপ আসো ৫ মিনিট এর মধ্যে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসবা।
_ আমি যাবো দেখি আপনি কি করেন হুম?।
_ দিলাম ঠাস কিরে একটা থাপ্পড়। এটা দিলাম বেশি বক বক করো তাই।
আর একটা কথা যেনো না শুনি গম্ভীরমুখে। রাগে উঠে গেছে এত পেছাল পারে মেয়েটা তাই তো এখন থাপ্পড় মারলাম।
_ আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া
আম্মু আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া
আমাকে কেউ কোন দিন মারে নাই আজ শয়তান বদজাম টায় মারলো। ????
_ কি হলো আর একটা থাপ্পড় দিতে হবে না তারাতাড়ি আসবা রুমে থেকে বলছে।
_ আমি চুপচাপ চলে আসলাম কারণ থাপ্পড় মাইর কে আমি অনেক ভয় পাই আসলে ছোট বেলা থেকে আম্মু আব্বু আমাকে অনেক আদর করে মানুষ করছে।
_ ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখি দাড়িয়ে আছে।
আমাকে দেখে বললো,
_ নিচে আসো।
_ আমই চুপচাপ তার পিছনে পিছনে নিচে গেলাম।
পপি আমাদের খাবার বেরে দিলো।
_ পপি তুইও বস মাহিন বললো।
_ না ভাইয়া আপনারা খান আমি পরে খেয়ে নিবো।
_ তোকে আমি বসতে বলছি বস গম্ভীরমুখে ধমক দিয়ে।
পপি আমার দিকে তাকিয়ে আছে বুঝতে পারছি ভাবছে আমি যদি কিছু বলি তাই বসে না। তাই আমি বললাম পপি তুমি বসো আমাদের সাথে। সাথে সাথে ও আমাদের সাথে বসে খাবার খেলো।
ঝামেলায় পরলাম আমি আমি তো ইলিশ মাছের কাটা বেছে খেতে পারিনা এখন কি করবো তাই শুধু ডাল নিতে নিলে মাহিন আমার প্লেট এ মাছ তুলে দেয় লে হালুয়া আমি বললাম আমি মাছ খাবো না ভয়ে ভয়ে । ?
_ থাপ্পড় এর কথা টা এত তারাতাড়ি ভুলে গেলা। বলেই দিয়ে দিলো আমি এখন কি করবো। চুপচাপ বসে আছি।।
_ কি হলো খাও।
আমি অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছি।
– বুঝলাম বউ আমার কাটা বেছে খেতে পারেনা।
তাই আমি নিজেই কাটা বেছে দিলাম। নাও এইবার খাও।
_ তারপর খাওয়া দাওয়া করে উপরে চলে আসলাম।
ভাবছি ঘুমাব কই উনি যদি স্বামীর অধিকার ফলাতে আসে আল্লাহ ভেবেই ভয় পেলাম। কি করবো।
_ রুমে এসে দেখি ও এক মনে কি জানি ভাবছে বুঝলাম কি ভাবছে তাই আমি বললাম তুমি খাটে উঠে ঘুমাও ভয় পাওয়ার কিছু নাই আমি স্বামীর অধিকার ফলাতে আসবো না। তুমি ঘুমাও এইখানে আমি পাশের রুমে ঘুমাবো কিছু লাগ্লে আমাকে বইলো শুভ রাত্রি।
বলেই ল্যাপটপ নিয়ে চলে গেছে।
এত টা খারাপ না।
কিন্তু আমি কি করবো ওদের সাথে যোগাযোগ করবো কি করে না আছে ফোন না জানি কি করে বের হবো এইখান থেকে।
আফরিন কে তো ফোন দিতে হবে কিন্তু আফরিন কে কি করে ফোন দিবো অফ মাথা ব্যথা করছে কি করবো। সামনে এক্সাম বই গুলা তো বাসায় কেন রাগ করে বের হলাম বাসা থেকে। এই সব ভেবে আর কি হবে এখন শুধু ভাবতে হবে কি করে এইখান থেকে বের হয়া যায়। আচ্ছা উনার কাছে থেকে কি উনার ফোন টা চাইবো।
আর আমি তো আফরিন কে বলছিলাম আজ আমি বাসা থেকে চলে আসবো। ও তো টেনশন করবো। একবার গিয়ে বলি দেখি কি হয়। হুম অনেক ভেবে উনার রুমের সামনে এসে উকি দিলাম। ভিতরে আসো।
_ আমি পুরা ভ্যাবাচেকা হয়ে গেলাম জানলো কি করে উনি তো ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে তাইলে।
_ বসো।
_ না মানে বসবো না।
_ কি বলো।
_ বা মানে আপনার ফোন টা একটু দিবেন।
_ ফোন দিয়ে কি করবা। গম্ভীরমুখে বললো।
_ গেইমস খেলবো ভয় পেয়ে।
_ ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে, সত্যি টা বলো।
_ আসলে আমি বাসা থেকে চলে আসার সময় আমার ফ্রেন্ড কে বলছিলাম ওদের বাসায় যাবো কিন্তু আমি তো আর যাই নাই ও আমার জন্য চিন্তা করছে। বাসা থেকে তো ফোন নিয়ে আসিনাই।
_ ওকে নাও তবে আমার সামনে কথা বলতে হবে।
সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
_ ঠিক আছে বলে ফোন নিয়ে ওকে কল দিলাম।
_ হ্যালো
_ মিতু কই তুই ঠিক আসিছ তো তুই আমি তোর জন্য কত টেনশনে আছি তুই জানোস তোর ফোন অফ কোথায় আসিছ??
_ থেমে যা মেরি মা এত প্রশ্ন একসাথে করলে উত্তর দিবো কেমনে।
প্রথম থেকে ওকে সব বললাম।
_ উনি কি তোর পাশে??
_ হুম সামনে আছে।
_ ওকে ফোনটা উনার কাছে দে।
_ ওকে
ধরেন
মাহিন এর দিকে এগিয়ে দিয়ে।
ও আপনাদের তো বলা হয় নাই আফরিন আমার বেষ্টু
আমরা ক্লাস সিক্স থেকে একসাথে আছি ।
মাহিন রুম থেকে বের হয়ে গেলো ফোন নিয়ে।

চলবে
পিচ্ছি
???

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here