হঠাৎ বিয়ে পর্ব ২২
লেখা:Tanjila mitu
প্লিজ মিতু কিছু খেয়ে নাও (মাহিন)
_ নিশ্চুপ হয়ে বসে আছি
_ প্লিজ কিছু খেয়ে নাও।
যে চলে গেছে তাকে ভেবে আর কত দিন এইভাবে থাকবা।
মিতু প্লিজ কিছু খেয়ে নাও।
আমি তোমাকে এইভাবে নিতে পারছিনা।
প্লিজ আমার জন্য খেয়ে নাও।
_ মাহিন রে বুকের উপর পরে কান্না করে দিলাম।
মাহিন বলতে পারেন আমার সাথে কেন এমন হয়।
আমি কি অন্যায় করছি।
আল্লাহ আমাকে কোন পাপের শাস্তি দিলো। ?????
_ এত দিন ভাবছি আম্মু নাই তো কি হইছে আব্বু তো আছে আমার সাথে এখন আব্বুও চলে গেলো আমাকে একা করে।
আমি বেচে থেকে কি করবো।
এমন সময় মাহিনের আম্মু আব্বু রুমে আসে
মাহিনের আম্মু বলে
_ কে বলছে তোমার আম্মু আব্বু নাই
আমরা তোমার আম্মু আব্বু।
বলেই মিতুর পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
_ কি হইছে মামুনি এইভাবে যদি তুমি বাচ্চা দের মত পাগলামি করো এই খানে তোমার আব্বু আম্মু তো কষ্ট পাবে।
প্লিজ মামুনি তুমি পাগলামি কইরো না।
আমরা তোমাকে হারাতে পারবো না।
বলেই উনি চোখের পানি মুছতে মুছতে চলে যায়।
এইখানে থাকলে হয়তো সহ্য করতে পারবেন না তাই।
কিছুক্ষন পর মাহিনের আম্মু চলে যায়।
মাহিন আমাকে বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।
আমি কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে যাই।
মাহিন ভাবছে ঐদিনের ঘটনা
কি হইছিলো ঐ দিন।
৩ মাস আগে
মিতুর আব্বু বাসা থেকে বের হয়ে যায়। কারন সে জানতে পারেন তার অফিসে মিতুর সৎ মা নিজের নামে করে নিছে উনি অসুস্থ থাকা অবস্থায়।
উনি অফিসে গেলে উনাকে বাজে ভাবে উপমান করে।
আর উনি এইগুলা নিতে না পেরে আবার স্টক করে।
মিতু ঐ দিন হসপিটালে যায়।
কান্না করে।
তখন ওর আব্বু ঘুম থেকে উঠে যায়।
_ মা এইভাবে কান্না করছিস কেন??
_ আব্বু তুমি ঠিক আছো তো?? বলেই উনা কে হালকা জড়িয়ে ধরে।
_ আমি ঠিক আছি মা।
তুই মাহিন কে ডাক দেয়।
মাহিন একটু বাহিরে গেছিলো ডাক্তারের সাথে কথা বলতে।
_ ওকে আব্বু।
কিছু ক্ষন পর মাহিন আসলে মিতুর আব্বু ওকে বলে
_ মাহিন বাবা আমার মেয়ে টা কে দেখে রাইখো।
আর বড় ভাইয়া বড় ভাবি দেশে আসবো কবে??
_ আংকেল আব্বু আম্মু আজই চলে আসবো।
ইমার্জেন্সি টিকেট বুক করে ফেলছে।
_ একটু তারাতাড়ি আসতে বলো বাবা
আমার হাতে বেশি টাইম নাই।
_ আব্বু প্লিজ আপনি এইভাবে বলবেন না।
আপনার কিছু হলে মিতুর কি হবে।
_ ওকে তোমরা দেখে রাইখ।
মিতু কান্না করেই যাচ্ছে।
ওর আম্মু কে হারায়ছে।
কিন্তু আব্বুকে হারাতে পারবেন না।
নানা নানু ওকে অনেক কষ্ট এ সামলাচ্ছে।
পরের দিন মাহিনের আব্বু আম্মু আসে।
মিতুকে উনাদের হাতে তুলে দিয়ে যায় ওর আব্বু।।
তারপর উনি মারা যায়৷
উনার মৃত্যু তে মিতু একদুম চুপ হয়ে যায়।
না খাওয়া দাওয়া করে না কারো সাথে কথা বলে।
রুমে বসে শুধু কান্না করে।
কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে যায়।
ওকে এইভাবে আমি দেখতে পারচ্ছি না।
আংকেল কে কথা দিয়েছি ওকে সামলে রাখবো
কখনো কষ্ট পেতে দিবো না।
কিন্তু আমি পারছি না কিছু করতে। ???
কি করবো আমি কি করে সামলাবো ওকে।
জানিনা কি করে ওকে আমি আগের মত স্বাভাবিক করে তুলব।
এখনো ও খুব কান্না করছে।
ওকে দেখে আমার জীবনের সব থেকে বেশি কষ্ট হয়৷।
এই বয়সে মেয়ে টা তার আব্বু আম্মু কে হারায়।
এখন ওকে আমি কি করে সামলাব।
এইসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যাই।
ঘুম ভাঙ্গে ওর কান্নার শব্দে।
দেখি ও আমাকে জড়িয়ে কান্না করছে।
এইসব দেখে আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না। ওকে কি সামলাব নিজেই মেনে নিতে পারছিনা আংকেলের মৃত্যু।
যার জন্য আজ আংকেলের মৃত্যু হয়েছে
আর আমার মিতুর এই অবস্থা তাকে আমি ছাড়বো না।
কখনো না।।
ও আবার কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে গেছে।
কি করবো আমি কিছু বুঝতেছিনা।
ওকে শুইয়ে দিয়ে আমি দাদা দাদুর রুমে যাই।
গিয়ে দেখি তারাও চুপ করে বসে আছে।
আমাকে দেখে দাদি কান্না করে দিলো।
_ দাদু ভাই আমার নাতিনের কি হবে রে ও কি কখনো ঠিক হবে না।
আর কত দিন এইভাবে থাকব।
আমি নিতে পারছি না।
_ দাদি একদিন ঠিক হয়ে যাবে আমাদের মিতু তুমি দেখে নিও।
ওকে স্বাভাবিক হতে হবে।
আমাদের জন্য ওকে বেচে থাকতে হবে ।
_ হুম তাই যেন হয়।
– হুম আমি যাই ও একা আছে।
_ ওকে।
তারপর এসে আমি ওকে বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।।
ও এখনো কান্না করে ঘুমের মধ্যে।
আব্বু বলে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠে৷।
আসলে যতই হক
নিজের আম্মু আব্বুর মৃত্যু চোখের সামনে দেখলে কেউ সহ্য করতে পারেনা।
মিতুর এই অবস্থা হয়ে গেছে তাই।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মিতু বারান্দায় বসে আছে।
এক মন কি জানি ভাবছে।
আমি ওর পাশে গিয়ে বসি ।
ওর হাত ধরে ওর পাশে বস্লাম।
ও বলতে শুরু করে
_ জানেন মাহিন
আমি ছোট থেকে কখনো কষ্ট কি জানতাম না।
আব্বু আম্মু কে নিয়ে আমাদের ছোট একটা সংসার ছিলো৷
খু৷ সুখি সংসার।।
তবে মাঝে মাঝে আম্মু অনেক কান্না করতেন।
কারও সামনে না লুকিয়ে লুকিয়ে।
কারন ছিলো
চলবে
পিচ্ছি