ছদ্মবেশ (৮৩ শেষ পর্বের প্রথম অংশ)

0
1508

#ছদ্মবেশ (৮৩ শেষ পর্বের প্রথম অংশ)
#মেহেদী_হাসান_রিয়াদ

গাড়ি থামিয়ে কিছুক্ষন রাজের দিকে চেয়ে থাকে অরিণ। তার কথার ধরণ কিছুই বুঝতে না পেরে একটা নিশ্বাস ছেরে সামনের দিকে চেয়ে বলে,
– কোথায় নামবে তুমি?
রাজ স্বাভাবিক ভাবেই বলে,
– একটু আগে যেই কোম্পানি টার নাম বললে, সেখানে নিয়ে চলো।
অরিণ হেসে বলে,
– সেখানে গিয়ে তুমি কি করবে? তাছারা সাজিদের কাছে শুনেছি আজ তাদের অফিসের মালিক প্রথম তাদের সামনে আসবে। তিনি নাকি দেশের বাইরে থাকতো। হয়তো সব মিলিয়ে আজ উৎসব উৎসব একটা ভাব থাকবে সেখানে। তুমি অজথা সেখানে গিয়ে কি করবে?
রাজ পূণরায় স্বাভাবিক ভাবে বলে,
– এতোক্ষন একটা কারণ ছিলো। এখন দুইটা কারণে সেখানে যাবো।
অরিণ একটু ভ্রু উচু করে বলে,
– কি কি কারণ?
রাজ বলে,
– প্রথমত তোমার হবু স্বামীকে দেখার প্রবল ইচ্ছে জেগেছে। যাকে তুমি এতো গর্ব করছো। তারপর সেখানে কয়দিন আগে আমার ছোটখাটো একটা জব হয়েছে। কোনো ভাবে চলার মতো। এখন চুপচাপ নিয়ে চলো সেখানে।

রাজের কথায় অরিণ মনে মনে কি ভেবে হেসে উঠেছে তা স্পষ্ট বুঝতে পারেনি রাজ। তাই পুনরায় সিটে হেলান দিয়ে চোখ বুজে রইলো।
কিছুক্ষন পর সেখানে পৌছে গেটের থেকে অনেক দুরে গাড়ি থামায় অরিণ। রাজ অবাক হয়ে বলে,
– এখানে থামালে কেন? এতদুর যেহেতু নিয়ে এসেছো, গেটের সামনে গিয়ে নামিয়ে দাও।
অরিণ তার দিকে ভ্রু-কুচকে তাকিয়ে বলে,
– পা’গল হয়েছো তুমি? গেটের সামনে দেখছো না কতগুলো মানুষ ভিড় করে আছে? আর ভেতরটাও কতো ঝাক ঝমক ভাবে সাজিয়েছে। হয়তো তারা নতুন বসকে বরণ করতে এমন আয়োজন করেছে। তো এতো মানুষের মাঝে গিয়ে মার খাওয়ার ইচ্ছে আছে নাকি?
রাজ মুচকি হেসে বলে,
– মা’র খেতে হবে না। যা বলছি তাই করো।
আজ রাজের এমন কথা বার্তার কিছুই বুঝতে পারছেনা অরিণ। পেছনে রাস্তা ব্লক করে কতোগুলো গাড়ি দাড়িয়ে। সে সামনে গেলে তারাও সামনে আসে। দাড়িয়ে থাকলে তারাও দাড়িয়ে যায়।
আবার সামনে এমন ভিড়। সব মিলিয়ে একটা প্যাচের মাঝে আটকে গেলো সে। অবাক করার বিষয় হলো কেউই তাদের গাড়ি দেখেও কিছু বলছে না। উপায় না পেয়ে, মনে কিছুটা ভয় নিয়ে সামনে এগিয়ে গেলো অরিণ।
গেটের সামনে গিয়ে দাড়ালে রাজ বলে,
– নামো গাড়ি থেকে। আজ তুমিও আমার গেস্ট।
অরিণ আবারো অবাক হয়ে বলে,
– তোমার গেস্ট মানে?
রাজ স্বাভাবিক ভাবেই বলে,
– নামলে সবটা বুঝতে পারবে।
এদিকে অরিণের মনে কিছুটা ভয় ঢুকে গেলো। এখানে সাজিদ তাকে দেখলে আবার ভুল বুঝবে না তো?

এর মাঝে রাজ গাড়ি থেকে নামলেই চারপাশ থেকে ফুল ছিটিয়ে পরে তার উপর। অরিণ অবাক হয়ে চেয়ে আছে সেদিকে। হিসেব কিছুতেই মিলছেনা তার। সবাই রাজের সাথে এমন করছে কেন?
ভাবতে ভাবতে সেও বেড়িয়ে এলো গাড়ি থেকে। গেটের সামনে সাজিদকেও দেখতে পায় সে।
ইকবাল সানি রাজের কাছে এগিয়ে এলে রাজ তাকে বলে,
– এখানে সাজিদ কে? যাকে অফিস থেকে সব সুজুগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
ইকবাল সানি বলে,
– স্যার, শুধু সাজিদ না কম্পানির বড় বড় পর্যায়ে থাকা লোক গুলো এমন সুজুগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অনেকে আছে এর মাঝে।
রাজ কথাটা উড়িয়ে দিয়ে বলে,
– সবই আমার জানা আছে। তোমাকে এসব বিষয়ে জিজ্ঞেস করিনি আমি। সাজিদ কে সেটাই জানতে চেয়েছি।

ইকবাল সানি সাজিদের কাছে খবর পাঠালে রাজের সামনে এসে উপস্থিত হয় সাজিদ। রাজের পাশে অরিণকে দেখে কিছুটা অবাক হলেও এই মুহুর্তে কিছু বলছেনা সে সালাম দিয়ে মাথা নিচু করে দাড়ালো সেখানে। তার মনেও কিছুটা ভয় জেগে উঠলো। নতুন স্যার এসেই কেন তাকে খোজ করছে এটা ভেবে।
রাজ অরিয়ের দিকে চেয়ে ইশারা করলে অরিণ উপরে নিচে মাথা নাড়ায়। যার অর্থ, এটাই তার হবু স্বামী।

রাজ পকেটে হাত গুজে সাজিদের সামনে দাড়িয়ে বলে,
– তুমিই সাজিদ তাই তো?
সাজিদ স্বাভাবিক ভাবে বলে,
– জ্বি স্যার।
রাজ একটু মুচকি হেসে বলে,
– অফিসে কেমন চলছে সব কিছু? সব ঠিকঠাক?
সাজিদ বলে,
– জ্বি স্যার।
রাজ স্বাভাবিক ভাবে বলে,
– ভেরি গুড। কেরি অন।

বেশি কথা না বলে সানগ্লস পরে ভেতরের দিকে হাটা ধরলো রাজ। গেট পেড়িয়ে ভেতরে গেলে সারিবদ্ধ ভাবে দুই পাশে দাড়িয়ে ফুল ছিটাচ্ছে তার দিকে।
এদিকে অরিণের এক মনে দাড়িয়ে থাকলে সাজিদ তার সামনে এসে বলে,
– এখানে কি করছো তুমি? স্যার তোমার সাথে একই গাড়িতে আসার মানে কি?
অরিণ এবার সাজিদের দিকে চেয়ে বলে,
– তার আগে বলো, তুমি রাজকে এভাবে স্যার স্যার বলছো কেন? সে তো বললো, সে এখানকার একজন সামান্য কর্মচারি।

সাজিদ অবাক হয়ে বলে,
– মাথা খারাপ তোমার? কার সম্পর্কে কি বলছো? ওনি কর্মচারি হতে যাবেন কেন? সম্পূর্ণ গ্রুপটাই তো তার নিজস্ব। নামের আগে RJ এটা হলো স্যারের নামেরই দুইটা লেটার।
অরিণ এবার হা করে তাকিয়ে আছে সাজিদের দিকে। সাজিদ পূনরায় বলে,
– তার আগে বলো, তুমি স্যারকে কিভাবে চেনো। গতকাল অব্দি আমি নিজেও চিনতাম না তাকে। আগে কখনো তার চেহারা দেখেনি। গতকালই প্রথম দেখেছি তাকে। সে নিজেকে সব সময় আড়াল করে রেখেছিলো। তাহলে তুমি চিনলে কি করে?

অরিণ এখনো সেই অবাক দৃষ্টিতে সাজিদের দিকে চেয়ে বলে,
– যাকে আমি ছোট লোক সহ আরো কতো কিছু বলে অপমান করেছিলাম, আর তুমি তারই গ্রুপের একজন কর্মচারি?
সাজিদ কিছু না বুঝে বলে,
– মানে কি?
অরিন আর সেখানে না দাড়িয়ে বলে,
– কিছু না। বাসায় চলে যাচ্ছি আমি। এখানে দাড়িয়ে থাকতে আর এক মুহুর্তও ভালো লাগছে না আমার।
বলেই গাড়িতে উঠে চলে গেলো অরিণ। সাজিদ কিছুই বুঝতে না পেরে হা করে চেয়ে আছে। অরিণের কর্ম-কান্ডে হয়তো সে নিজেও হতভম্ব।
,
,
কেটে গেলো আরো কয়েক মাস। মোটামুটি সব কিছুই স্যাটেল করে নিয়েছে রাজ। ইকবাল সানিকে বলে, তুষার ও নিবিড় দুজনকে অফিসিয়াল কাজের উপর ৬ মাসের স্পেশাল ট্রেনিংএর ব্যবস্থা করে সে। যেন সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই পরিচালনা করতে পারে তারা। তার মাঝে কয়েকমাস গেলো মাত্র। এখনো পুরোপুরি ট্রেনিং শেষ হতে এখনো বাকি আছে অনেকটা।

রাজ ও রুশান দুজন দুই দিকে চলে গেলেও সবার সাথে যোগাযোগ টা আছে আগের মতোই। এর মাঝে পরিস্থিতি সম্পর্কে বেশ কয়েকদিন ধরে ফরিদা আন্টি ও নীলার বাবাকে বুঝিয়ে বিয়ের জন্য রাজি করালো তারা।
এর মাঝে কাছাকাছি থাকা সব সময় প্রয়োজনে কথা হওয়ার মাঝেও একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং তৈরি হয়েছিলো নিজেদের মাঝে।
সব মিলিয়ে প্রায় তিন মাস লেগে গেলো তাদের বিয়ে পর্যন্ত পৌছাতে।

ফরিদা আন্টির কোনো ছেলে না থাকায় তার পূর্বের স্বামীর রেখে যাওয়া ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব, তার বর্তমান মেয়ের হবু জামাই মানে নিবিড়কেই দিয়েছে সে। পড়াশুনা শেষ হলে নতুন করে সবকিছু শুরু করবে সে। এর মাঝে রাজও আশ্বাস দিলো তাকে, যে প্রয়োজনে সব হেল্প করবে যে কোনো প্রয়োজনে। আপাতত পড়াশুনাটা শেষ করে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করায় ব্যাস্ত নিবিড়। সেই সাথে তুষারের সাথে রাজের দেওয়া ট্রেনিং-এ পড়াশুনার পাশাপাশি সবটায় ধারণা তৈরি হচ্ছে তারও।

শীতের সকাল। জ্যাকেট গায়ে গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে সে। সাথে তুষারও এসে দাড়ালো সেখানে। ঠান্ডায় হাত দুটু ঘষাঘষি করছে সে। রাজের সাথে গাড়িতে উঠে কোথায় যাচ্ছে তা এখনো বুঝতে পারেনি সে। রাজকে কয়েকবার জিজ্ঞেস করলেও রাজ এই বিষয়ে কিছু বলেনি তাকে। সারপ্রাইজ হিসেবেই নিয়ে যাচ্ছে তুষারকে। সকালের মিষ্টি আলো চারপাশটায় ফুটে উঠলো। সেই সাথে ধীরে ধীরে শীতলতাও কমছে একটু একটু করে।

কিছুক্ষনের মাঝে একটা বাড়ির সামনে এসে দাড়ায় তারা। শরির থেকে জ্যাকেট খুলে হাতে নিয়ে তুষারের পাশে এসে দাড়িয়ে বাড়িটার দিকে একবার চোখ বুলিয়ে বলে,
– বাড়িটা কেমন লাগছে তোর কাছে?
তুষার চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখে দুইটা গাড়িও আছে সেখানে। সেই সাথে সুন্দর একটা বাড়ি। তবে কিছু বুঝতে না পেরে বলে,
– কার বাসায় নিয়ে আসলি এই সকাল সকাল।
রাজ হেসে বলে,
– এক বন্ধুর বাসা। চল ভেতরে গিয়ে দেখে আসি।

কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে বাড়িটার সম্পর্কে রাজ জিজ্ঞেস করলে, তুষার মুগ্ধতা নিয়ে বলে,
– খুবই সুন্দর বাড়িটা। তবে তোর বন্ধু কোথায়? তাকে দেখছিনা যে?
রাজ এবার একটু হেসে বলে,
– তোর ছোট বোনের না একটা স্বপ্ন ছিলো, এমন একটা বাড়িতে থাকার?
তুষার অবাক হয়ে বলে,
– সেটা তুই জানলি কি করে?
রাজ বলে,
– বাদ দে ওসব। এই নে চাবি, আজ থেকে এখানে যা যা চলে পরছে সবটাই তোর। আন্টিকে ও ছোট্ট বোনটাকে নিয়ে দ্রুত উঠে পর এখানে।

তুষার এবার অবাক হয়ে চেয়ে আছে রাজের দিকে। একটু হেসে বলে,
– মজা করছিস আমার সাথে? শুধু শুধু এতো বড় বাড়িটা কেন দিবি আমায়? সাথে গাড়ি গুলোও। আর এতো কিছু এমনিতেই তোর থেকে কেন নিবো আমি?
রাজ স্বাভাবিক ভাবে বলে,
– বড় পজিশনে থাকা স্টাফদের থাকার জন্য ফ্লাট ও চলাচলের জন্য গাড়ি দেওয়া হয় অফিস থেকে। সেই হিসেবে তুইও পাচ্ছিস। যদিও তোরটা একটু বেশিই স্পেশাল। আশা করি এবার কোনো ভঙিতা করবিনা।

তুষার আবার বলে,
– কিন্তু আমি তো তোর অফিসের কোনো স্টাপই না। তাহলে আমায় কেন দিচ্ছিস?
রাজ এবার তার কাধে হাত রেখে বলে,
– পড়াশুনার পাশাপাশি তোকে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে কি এমনি এমনি? তবে বন্ধু মানুষ দেখে একটু বেশিই সেক্রিফাইজ করা হলো তোর ক্ষেত্রে। এখন অজথা প্যাচাল না করে সবকিছু বুঝে নে। আর খুব দ্রুতই আন্টি আর আমার ছোট্ট বোনটাকে নিয়ে উঠে পর এখানে। দেখবি অনেক খুশি হবে তীসা।

তুষার চুপচাপ চেয়ে আছে রাজের দিকে। কিছুক্ষনের মাঝেই চোখ দুটু ছলছল করে উঠলে আচমকাই রাজকে জড়িয়ে ধরে খুব শক্ত করে। সেই সাথে হেসে উঠে রাজও। একজন অজানা এক কারণে চোখের জল ফেলছে অন্যজন তা দেখে হাসছে।
,
,
আরো কয়েকদিন কেটে গেলো। তুষার তার মাকে ও বোনকে নিয়ে এলো ঢাকায়। প্রথমে ফরিদা আন্টিদের সাথে একদিন কাটালো। নতুন বাড়ির সম্পর্কে কিছুই বুঝতে দিলোনা তাদের।

পরদিন সন্ধায় সুন্দর একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মা ও তীসার চোখে কাপর বেধে বাড়ির সামনে নিয়ে এলো তাদের। সাথে রাজ, নিবিড়, ফারিদা আন্টিরা সহ সবাই আছে। লাইটিং করে সন্ধার পর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে চারপাশে।

বাড়ির সামনে এনে মা ও তীসার চোখ খুললে, পরিস্থিতি বুঝে উঠতে কিছুক্ষন সময় নিলো তীসা। চার পাশে তাকিয়ে এতো সাজ দেখে বলে,
– কার বিয়ে আজ?
পাশ থেকে নিবিড় হেসে বলে,
– আমাদের তীসা মনির বিয়ে। আরেক জনকে পাঠিয়েছি আমাদের তীসার জন্য একটা জামাই খুজে আনতে।
পাশের সবাই হেসে উঠলেও তীসার মনটা বিষণ্ন হয়ে এলো। করুন দৃষ্টিতে একবার তাকালো তুষারের দিকে। মনে মনে ভাবছে, ভাইয়া কি সত্যিই তাকে বিয়ে দিয়ে দিবে?

যা লক্ষ করে ফরিদা আন্টি নিবিড়েরে দিকে কড়া চোখে চেয়ে বলে,
– শুধু শুধু বাচ্চা মেয়েটাকে ভয় দেখাচ্ছিস কেন নিবিড়?
ফরিদা আন্টির কথায় কিছুটা ভয় কেটে তীসাও এবার রাগী লুক নিয়ে তাকালো নিবিড়ের দিকে। যেন মস্ত বড় একটা অপরাধ করে ফেলেছে নিবিড়।

সবাইকে নিয়ে ভেতরে গেলো রাজ। তীসাকে চারপাশটায় চোখ বুলিয়ে তুষারকে ফিসফিসিয়ে বলে,
– ভাইয়া, এখানে কেউ নেই কেন?
তুষারও বলে,
– কারণ এটা যে আজ থেকে আমাদের তীসা মনির বাসা। তো অন্য কেউ কেন থাকবে?
তিসা অবাক হয়ে বলে,
– আমার বাসা মানে?
– আমার বাসা মনে হলো, আজ থেকে এটা তীসা মনির নতুন বাসা। সে তার মা ও ভাইয়াকে নিয়ে আজ থেকে এখানে থাকবে।
তীসা মুহুর্তেই চোখে মুখে হাস্যজ্জল ভাব নিয়ে বলে উঠে,
– সত্যি এটা আমাদের বাসা? এখানে আমরা থাকবো আজ থেকে?

পাশ থেকে রাজ হেসে বলে,
– তুমি না তোমার ভাইয়াকে সব সময় বলতে, সুন্দর একটা বাসার কথা? তাই তোমার ভাইয়া তোমার ইচ্ছে পূরণ করেছে আজ। এবার একটা থ্যাংক ইউ দাও ভাইয়াকে।

তীসা পুনরায় চার পাশে চোখ বুলিয়ে নিলো। তার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না, এটা তাদের নতুন বাড়ি। খুশিতে আত্মহারা হয়ে আচমকাই তুষারের কোমড় জড়িয়ে ধরে বলে,
– থ্যাংক ইউ ভাইয়া। তুমি এই পৃথিবীর সব থেকে ভালো ভাইয়া।
তুষারও এবার হাটু গড়ে বসে তীসার দিকে তাকালো। দেখে মুহুর্তেই তীসার চোখে জল জমে এসেছে। হয়তো আচমকাই এমন খুশি হওয়াতে এমন হয়েছে। আঙুল দিয়ে সেই জল মুছে দিতেই তীসা আবার তুষারের গলা জড়িয়ে ধরে।

পাশ থেকে চুপচাপ দাড়িয়ে সবটা দেখে চলছে রাজ। অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করছে তার মাঝে। কিছু ভালোবাসা দেখতেও মনে মাঝে খুব করে প্রশান্তি জেগে উঠে।

To be continue………………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here