#বেসামাল_প্রেম,পর্ব_৩২
#লেখা_জান্নাতুল_নাঈমা
_______
রুদ্র ফিরে এলো পরেরদিন দুপুরে। বাসায় ফিরে সে গোসলে ঢুকল। কাজের মেয়ে রিতু দুপুর এবং রাতের রান্না শেষ করে হৈমীর থেকে বিদায় নিল। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্তই সে কাজ করবে। এ সময়ের মধ্যে রান্নাবান্না, ঘর মোছা, কাপড়চোপড় ধৌত করা, নিত্যদিনের যাবতীয় কাজই সে করে দিয়ে যাবে। গতদিন রাত্রি যাপন করেছিল শুধু রুদ্র বাসায় থাকবে না বলে। আজ রুদ্র ফিরেছে তাই সেও নিজের কাজ সম্পন্ন করে বিদায় নিল। হৈমী খাবার বেড়ে সব গুছিয়ে রাখতে রাখতেই, তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছতে রুদ্র এলো ডায়নিং রুমে। উদাম শরীরে গলায় তোয়ালে ঝুলিয়ে ধপ করে বসল চেয়ারে। পিটপিট করে তাকিয়ে হৈমী নিজেও বসল। জিজ্ঞেস করল সূচনার কথা, তার ভাইয়ের কথা। রুদ্র খাবার খেতে মনোযোগ দিয়ে তার কথায় হু, হা জবাব দিল। কিঞ্চিৎ বিরক্ত হয়ে হৈমী আর কথা বাড়ালো না। খাবার শেষ করে রুদ্র রুমে চলে গেলে সে সব গুছিয়ে রাখল। এরপর রুমে যেতে উদ্যত হয়েছে ঠিক তখনি বেজে ওঠল কলিং বেল। চঞ্চলিত পায়ে দরজা খুলতেই কয়েক রকমের ফুলগাছ হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল জোভানকে। অমায়িক এই মানুষটার সঙ্গে গতকালই পরিচয় হয়েছে তার। তারপর অনেকটা সময় গল্পও করেছে। গল্পের বেশিরভাগ জুড়েই ছিল ফুল নিয়ে। সেই গল্পের ফাঁকেই হৈমী দু’টো গোলাপ গাছ নিয়ে এসেছে। যা এখন তাদের বেলকনিতে রয়েছে। পাশাপাশি আবদার করেছিল আরো কিছু ফুলের চারা এনে দিতে। যত দাম লাগুক সে দিয়ে দেবে। বিয়ের পর জামাইয়ে কাছে চেয়ে চেয়ে কিচ্ছু নেয়নি। এবার না হয় ফুলগাছ কেনার টাকা নেবে। তার কথাগুলো শুনেই জোভান সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টাকা লাগবে না, এমন ফুলপ্রেমী মানুষকে এমনিই গিফট করবে সে৷ এতেই তৃপ্তি পাবে। তাছাড়া এই বাসার মালিকের স্ত্রী সে। বয়স অনুযায়ী ছোটো বোন বলাও চলে। তাই সাদা মনে একগাদা ফুলগাছ নিয়ে হাজির হলো সে। হৈমীও খুশিতে দিশেহারা হয়ে ধন্যবাদের বন্যা বইয়ে দিল। জোভান সবেই ভার্সিটি থেকে ফিরেছে। তাই হৈমী অসংখ্যবার বলার পরও ভিতরে ঢুকল না। গাছগুলো হৈমীর হাতে দিয়ে সে চলে গেল। সেই মুহুর্তেই ঝড়ের গতিতে রুদ্র এলো। দরজার বাইরে উঁকি দিয়ে চোখ, মুখ কঠিন করে জিজ্ঞেস করল,
-” কে, কে ছিল? ”
হৈমী চারাগুলো উঁচিয়ে ধরে বলল,
-” দেখুন কতগুলো চারা… এখানে কালো গোলাপ, সাদা গোলাপ, নয়নতারা…”
থামিয়ে দিল রুদ্র। ধীরেধীরে তার চোখ রক্তিম হয়ে ওঠল। ঠাস করে দরজা বন্ধ করে জিজ্ঞেস করল,
-” ছেলেটা কে ছিল? ”
রুদ্রর শরীর মৃদু কাঁপছে, শরীরে ঘাম ছুটে গেছে। রুম থেকে সে এক পলক দেখতে পেয়েছে হৈমী, তৃতীয়তলায় ছেলেটার সঙ্গে হেসে হেসে কথা বলছে। ছেলেটা সম্পর্কে সে ভালোই অবগত, তবুও নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলল৷ মুহুর্তেই তার মাথাটা জাস্ট নষ্ট হয়ে গেল। মনে পড়ে গেল বহু বছর পূর্বের এক জঘন্য স্মৃতি। বিশ্বাসঘাতকার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।
তার মা আর বড়ো কাকার হাস্যজ্জ্বল মুখ, একে, অপরের সেই অবৈধ মেলামেশার দৃশ্যটুকু। হৈমীকে ছেলেটার সঙ্গে কথা বলতে দেখে সেই দৃশ্য কেন মনে পড়ল? পুরো পৃথিবীটাই বা কেন এলোমেলো লাগতে শুরু করল? চোখ, মুখে অস্বাভাবিকতা ফুটিয়ে তুলে পুনরায় জিজ্ঞেস করল,
-” কে ছিল ও? ”
জানা উত্তরটাই হৈমীর মুখ থেকে জানতে মরিয়া হয়ে ওঠল সে৷ হৈমী তার অস্বাভাবিকতা বুঝতে পেরে ঢোক গিলল। আমতা আমতা করে বলল,
-” তৃতীয়তলার জোভান ভাই। ”
উত্তর দিয়ে রুমে যাওয়ার জন্য এক পা বাড়ালো। রুদ্র তৎক্ষনাৎ ওর সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়াল। চোয়াল শক্ত করে চোখ, মুখ খিঁচে বলল,
-” এর আগে কথা হয়েছে? হঠাৎ এসব কেন দিয়ে গেল? ”
হৈমী সহজ মনে গতকালকে পরিচয় হওয়ার কথা, তাকে দু’টো ফুল গাছ দেওয়া, আজ আবার এগুলো এমনিই গিফট করার কথা জানালো। সবটা শুনে রুদ্র আর এক মুহুর্ত সময় নিল না হৈমীর হাত থেকে ফুলগাছের চারাগুলো কেড়ে নিয়ে মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলতে! এহেন কাণ্ডে ভয় পেয়ে মৃদু চিৎকার দিল হৈমী। বলল,
-” এটা আপনি কী করলেন! ”
বাক্যটা শেষ করতেই নরম গালটায় সজোরে আঘাত পড়ল তার। রুদ্রর শক্ত হাতের কঠিন থাপ্পড় খেয়ে পড়ে গেল মেঝেতে। ঠোঁটের কোণা বেয়ে নামল রক্তের চিকন ধারা। ধীরে ধীরে তা চিবুক স্পর্শ করে গলায় পৌঁছাল। ব্যথায়, ভয়ে হাত দিয়ে ঠোঁট চেপে ধরল সে৷ ভেজা অনুভব করায় হাতটা চোখের সামনে ধরতেই রক্ত দেখে ভয়ে চোখ, মুখ খিঁচে চিৎকার দিল। রুদ্রর ক্রোধ তবুও কমল না। বরং বেড়ে গেল। অত্যাধিক ঘৃণায় মাথায় যেন খু/ন চেপে গেল। বারবার চিৎকার করে বলতে লাগল,
-” মাত্র চব্বিশ ঘন্টা, চব্বিশ ঘন্টা দূরে ছিলাম। এতেই তোর রূপটা দেখিয়ে দিলি! আমি ভুল, আমি ভুল। এত বড়ো ভুল! তোকে আমি…”
খ্যাপা বাঘের মতো গর্জন ছেড়ে, চারপাশে অসুস্থ দৃষ্টি ঘুরিয়ে কাঠের চেয়ার নজরে পড়ল। তড়াক করে সে চেয়ার তুলে এনে হৈমীকে আঘাত করতে উদ্যত হতেই তীব্র ভয়ে দু’হাতে মুখ চেপে বীভৎস এক চিৎকার দিল হৈমী। শরীর মুচড়িয়ে সরেও পড়ল। তার বসার জায়গাটায় বিকট শব্দে ভারী চেয়ারটা পড়ল! রুদ্রের চোখের আড়াল হতে সোফার এক কোণে গুটিশুটি হয়ে বসে কাঁপতে লাগল সে। ক্রন্দনরত কণ্ঠে ডাকতে লাগল, আম্মু আর ভাইয়াকে। তার কান্নার শব্দ রুদ্রের কানে পৌঁছাল, দৃষ্টিতে ধরা পড়ল লুকিয়ে পড়ার। ক্রোধের মাত্রা কমল কিনা বুঝা গেল না। ক্ষিপ্ত হয়ে বলিষ্ঠ শরীরটা ঝাঁকি দিয়ে ধপাধপ পা ফেলে চলে গেল বেডরুমে।
_______
রাত দশটা ছুঁই ছুঁই। অতিরিক্ত ভয় পাওয়াতে শরীর কাঁপিয়ে জ্বর এলো হৈমীর। ড্রয়িংরুমে সোফার এক কোণায় গুটিশুটি হয়ে শুয়ে আছে সে। রুদ্র রুম থেকে বেরিয়ে হৈমীকে একই জায়গায় পড়ে থাকতে দেখে ধীরেসুস্থে এগিয়ে এলো। তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে ভাবগতিক বোঝার চেষ্টা করে আচমকা পাঁজা কোল করে রুমে চলে এলো। কোলে নেয়ার পর পরই বুঝতে পারল ভয়াবহ জ্বর এসেছে মেয়েটার। চোখ বন্ধ করে রুদ্ধশ্বাস ছাড়ল সে। তখন যদি ওভাবে সরে না যেত অনেক বড়ো দূর্ঘটনা ঘটে যেত! নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অনেক বড়ো একটি আঘাত করতে বসেছিল সে। বুঝতে পারল তবুও হৈমীর প্রতি রাগ কমল না। উত্তপ্ত শরীরটা শুইয়ে দিয়ে গায়ে কম্বল টেনে দিল। এরপর কল করল ডাক্তার বান্ধবী সুবর্ণাকে। তার বলা ওষুধের নাম লিখে ঝিনুককে ডেকে ওষুধ কিনতে পাঠিয়ে দিল। একঘন্টা বসে বসে জলপট্টি দিল কপালে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বরটাও বাড়তে লাগল। জ্বরের ঘোরে বারবার হৈমী বলল,
-” আমি আম্মুর কাছে যাব, আমি ভাইয়াকে সব বলে দিব। আপনি আমাকে আবার মেরেছেন। আপনি একটা খারাপ লোক! ”
দীর্ঘশ্বাস ফেলল রুদ্র। রাতে দু’জনের কারোই খাওয়া হলো না। ফলশ্রুতিতে ওষুধও খাওয়াতে পারল না হৈমীকে। বিষণ্ন মনে চুপচাপ হৈমীর পাশে শুয়ে পড়ল সে। রাত গভীর হতেই হৈমীকে বুকে টেনে নিল। জ্বরের ঘোরে রুদ্রর বুকের উষ্ণতা পেয়ে হৈমী কিছুটা হুঁশে এলো। ভয় জড়ানো স্বরে বলল,
-” আমি থাকব না। ”
আচমকা ফুপিয়ে কেঁদেও দিল। রুদ্রর হাতের বেষ্টন দৃঢ় হলো। মাথা ঝুঁকিয়ে হৈমীর গালে গাল ছুঁইয়ে ভরাট স্বরে বলল,
-” তোমাকে থাকতেই হবে। ”
নড়েচড়ে হৈমী বলল,
-” আপনি আমাকে খু/ন করতে চেয়েছিলেন। আমি অনেক ভয় পেয়েছি, ছেড়ে দিন, ভাইয়াকে ফোন করুন, আমি চলে যাব। ”
এক হাত ওঠিয়ে হৈমীর ঠোঁট চেপে ধরল রুদ্র। মানানোর স্বরে বলল,
-” আমার মাথা ঠিক ছিল না, কেমন উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি সহ্য করতে পারি না বিশ্বাস করো, সহ্য করতে পারি না। ”
হৈমী প্রশ্ন করল,
-” কী করেছি আমি? শুধু তো কয়টা ফুলগাছই নিয়েছি। ”
বলতে বলতেই কেঁদে ফেলল। রুদ্র ওর কপালে চুমু দিয়ে বলল,
-” আমি আমার অতীতটা সহ্য করতে পারি না হৈমী। চোখের সামনে আমি যা কিছু দেখেছি সেসব আমাকে তীলে তীলে আজো কষ্ট দেয়। তখন আমি অবুঝ শিশু ছিলাম, কিন্তু তখনকার সেই ঘটনাগুলো আজ আমার কাছে স্পষ্ট। আমার মা আমার বাবাকে ঠকিয়েছে হৈমী। উনি আমার আর বোনের জীবনে যে দাগ ফেলে গেছে তা কোনোদিন ওঠে আসবে না। এই হৈমী, তুমি ঐ ছেলেটার সঙ্গে আর কথা বলো না, তুমি কারো সাথেই কথা বলবে না, কারো সাথে মিশবে না। আমি তোমাকে সব এনে দিব সব, তোমার কী চাই মুখ ফুটে বলবে আমি সব দেব। তুমি শুধু আমার থাকো, তুমি শুধু আমাকে ভালোবাসো। আর মারব না তোমাকে, একটুও কষ্ট দিব না। শুধু তুমি আমি ছাড়া সব পুরুষ থেকে দূরে থাকো, কথা দাও। কথা দাও আমাকে। ”
হৈমীকে ঝাঁকাতে লাগল সে। রুদ্রর এই আচরণে তার ভয় গাঢ় হলো, অদ্ভুত এক মায়াও কাজ করল। তাই ক্ষীণ স্বরে বলল,
-” কথা দিলাম। ”
শান্ত হয়ে হৈমীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল রুদ্র। উন্মাদের মতো ওর সারা মুখে চুমু দিয়ে আদর করতে লাগল। আশ্চর্য হয়ে হৈমী ভাবতে লাগল, আজ রুদ্রর আরো দুটো রূপ সে দেখে নিল। কোনটা সত্যি? গভীর রাতের এই অনুনয় করা, আদরে ভরিয়ে দেওয়া রুদ্র নাকি তখনকার ভয়ানক রুদ্র? আর এতদিন যাকে দেখেছে তার সত্যিটাও কতটুকু?
______
কেটে গেল এক সপ্তাহ। এই এক সপ্তাহে রুদ্রকে নতুন করে আবিষ্কার করল হৈমী। পাশাপাশি বুকের ভিতরে ভয়ের পাহাড় গড়ে তুলল। লোকটা তাকে অসম্ভব ভালোবাসে এটা যেমন সত্যি। লোকটা তাকে এক বিন্দুও বিশ্বাস করে না সেটাও ধ্রুব সত্যি। এই বিশ্বাস করেনা বলেই ভয়টা মনে তীব্র হচ্ছে। মনে জেদও চেপেছে ভালোবাসায় যে বিশ্বাস জরুরি এটা রুদ্রকে বুঝতেই হবে৷ রুদ্রর সঙ্গে তার জীবনটা অনেক বেশি কঠিন মনে হচ্ছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যেভাবেই হোক চলে যাবে সে৷ কিন্তু সেই রাতের অনুনয় যেতে দিল না। কারণ সেও যে রুদ্রকে ভালোবেসে ফেলেছে। অবুঝ মনের, পাগলাটে অনুভূতির এক কঠিন ভালোবাসা। রুদ্র রুদ্রর মতোই সময় কাটাচ্ছে। আগের চেয়ে হৈমীর ওপর নজরদারি তার বেশিই হয়েছে। বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়াতে দেয় না। জানালার পাশে বসতে দেয় না। তার ফোনটাও হাতে দেয় না। কোন ভয়ে, কোন সন্দেহে এসব করে টের পায় হৈমী। করুণ এই পরিস্থিতির চাপে পড়ে কদিনে তার চঞ্চলতারাও মিইয়ে গেছে। মাথায় চেপেছে অসংখ্য টেনশন, মনে চেপেছে ভয়। না জানি কখন খ্যাপে যায় রুদ্র। এমনই চিন্তার ভীড়ে একদিন লুকিয়ে রুদ্রর ফোন থেকে আবিরের নাম্বারে লম্বা ম্যাসেজ পাঠালো সে। সঙ্গে সঙ্গে ডিলেট করেও দিল। সেই ম্যাসেজ আবির, আদ্রিতা পড়ে কল করল রুদ্রকে। রুদ্রর সঙ্গে আবির মিনিট কয়েক কথা বলে জানালো আদ্রিতা হৈমীর সাথে কথা বলবে। রুদ্রর সামনে কথা বলায় হৈমী সেভাবে কিছু বলতে না পারলেও ম্যাসেজ পড়ে আদ্রিতা পরিস্থিতি বুঝে নিয়ে হৈমীকে কিছু বুদ্ধি দিল, ভালোবাসার বুদ্ধি, যত্নের বুদ্ধি, উপযুক্ত স্ত্রী হয়ে ওঠার বুদ্ধি। সেই বুদ্ধি নেয়ার পর থেকেই রোজ রাতে ভয়ে, সংকোচ নিয়েই রুদ্রর কাছে স্ত্রীর অধিকার চায় হৈমী। প্রতিবারই রুদ্র তাকে ফিরিয়ে দেয়। এভাবে কেটে যায় আরো সাতদিন। সেদিন ডিনার করার পর কাজের সূত্রে রাত এগারোটার দিকে বাইরে যায় রুদ্র। একা বাসায় হৈমী কী করবে একঘন্টা কীভাবে পার করবে? ভাবতে ভাবতেই মাথায় আসে শাড়ি পড়বে। যদিও সে শাড়ি পড়তে পারে না তবুও অগোছালো করেই শাড়ি পরল। তার সঙ্গে ম্যাচিং করে একটি পিঠখোলা আকর্ষণীয় ব্লাউজও পরে নিল। আজ রুদ্র তার আবদার কীভাবে ফেলে সেটাই দেখার পালা। স্বামী স্ত্রী তারা। একে, অপরকে ভালোওবাসে। অথচ সম্পর্কে কেমন ঠুনকো ভাব। এবার তাকে বড়ো হতে হবে, স্বামীকে ভালোবেসে বিশ্বাস অর্জন করে নিতে হবে। মানুষটাকে অসীম ভালোবাসা, বিশ্বাস উপহার দিতে হবে। ভালোবাসা দিয়ে সব সম্ভব। যেমন- সে বিশ্বাসহীন ভালোবাসা দিয়ে তাকে আঁটকে রেখেছে।
চলবে…
লেখিকা আপু, দয়া কইরা আর এতো লেট কইরা গল্প দিয়েন না প্লিজ………… খুব কষ্ট লাগে……. শুধুমাত্র গল্প পইরাই মনটারে আনন্দিত রাখি…….. অথচ জীবনটা বিষাদে ভরা ??