ভালোবাসি_প্রিয়_তোমাকে ,পর্বঃ ১১,১২ শেষ পর্ব

0
599

গল্পঃ #ভালোবাসি_প্রিয়_তোমাকে
পর্বঃ ১১,১২ শেষ পর্ব
নিঝুম জামান (ছদ্মনাম)
১১
.
দেখতে দেখতে কেটে গেছে পুরো একসপ্তাহ । নিরা এই একসপ্তাহ নিষান আর ওর পরিবারের সাথে অনেক আনন্দে কাটিয়েছে । নিরা নিষানদের বাড়িতে থাকবে আজকের দিনটুকুই। আগামীকাল চলে যাবে ভাবতেই ওর কিছুটা খারাপ লাগলো। কিন্তু দেড়মাস পরেই ওর এইচএসসি পরীক্ষা। এইচএসসি পরীক্ষার আগে আর এ বাড়িতে আসবে না, বিকেলে ঘুম থেকে উঠে নিরা কথাগুলো ভাবছিল।
নিরা আর কিছু না ভেবে ফ্রেশ হয়ে নিষানদের
লাইব্রেরি রুমের দিকে গেল। ও জানে নিষান এসময়ে
ওই রুমেই থাকে। লাইব্রেরি রুমে গিয়ে দেখে নিষান
পড়ছে। নিষানের কাছাকাছি গিয়ে নিরা হালকা কাশি দিয়ে বলল,

‘আপনার পড়া শেষ হবে কখন? কথা বলতাম আপনার সাথে? ‘

নিষান বই পড়তে পড়তেই বলল, ‘কি কথা বলে ফেলো? শুনছি।’

নিরা নাক ফুলিয়ে বলল, ‘আমি আড্ডা দেওয়ার কথা বলেছি। সারাদিন এত কি পড়েন, হ্যাঁ?
আমি আছি এখন আমার সাথে আড্ডা দিবেন। আজ বাদে কাল তো চলেই যাব। তখন দিনরাত ২৪ ঘন্টাই আপনি পড়াশোনা কইরেন।’
বলে নিরা নিষানের বই বন্ধ করে দিল।

‘আরে, বই বন্ধ করলে কেনো? এখন না পড়লে চাকরি পাব কীভাবে? আর চাকরি না পেলে
কীভাবে বলবো, “বউয়ের অনুপ্রেরণায় চাকরি
পেয়েছি, কিংবা বউয়ের রূপের আলোয় পড়ে চাকরি পেয়েছি।” হাহাহা।’

‘ধুর, মজা বন্ধ করেন তো। এখন ছাদে চলুন পড়ন্ত বিকালে আপনার সাথে গল্প করব।’

‘হ্যাঁ, চলো।’
.
নিরা নিষান ছাদে চলে এলো। দুজনেই বিকালের বৈচিত্র্যময় আকাশ দেখছিল আর টুকটাক গল্প করছিল। হঠাৎ নিষান বলে উঠল,
‘নিরা, তোমায় একটা অনুরোধ করি?’

‘কি?’

‘তুমি না কালকে যেও না। আর কয়েকটা দিন থেকো যাও।’

‘এমন অনুরোধ করবেন না নিষান ভাইয়া। আপনার অনুরোধ শুনলে আমার আবার থেকে যেতে ইচ্ছা করবে। আমি থাকলে আমার পড়াশোনা ক্ষতি হবে
আবার আপনারও পড়ার ক্ষতি হবে। মা সেদিন ফোনে বলছিল আমি যাতে এ বাড়িতে আপনার সাথে বসে বসে ইংরেজি গ্রামারগুলো পড়ে রাখি।’ কথাগুলো বলে নিষানের দিকে তাকাতেই নিরা দেখল নিষান ওর দিয়ে চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে আছে। নিরা জিজ্ঞেস করল,
‘কি হয়েছে? এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? চোখ দেখে মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই ভষ্ম করে ফেলবেন। ‘

‘হাজবেন্ডকে কি কেউ ভাইয়া বলে?

নিরা মুখ চেপে ধরার ভান করে বলে,
‘ওপপস, মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে। আর ভুল হবে না। ‘

‘আর শোনো এখন থেকে আমাকে আপনি না ডেকে ‘তুমি’ বলবে। মনে থাকবে?’

‘হুমম, তবে বাড়ি যাওয়ার পর থেকে বলব। এখন বলতে লজ্জা লাগবে।’

‘ওরে, লজ্জাবতী রে।’
.
.
.
পরদিন সকালের নাস্তা করেই নিরা রেডি হয়ে গেল বাড়িতে যাওয়ার জন্য। নিষান ওকে বাড়িতে
দিয়ে আসবে। নিরার চলে আসার সময় নিষানের
মা সবচেয়ে বেশি মন খারাপ করলো। নিরা কথা দিল, পরীক্ষা শেষ হলেই চলে আসবে।
.
.
দেখতে দেখতে দুই মাস হয়ে গেল। এই দুইমাস দুজনই পড়াশোনা নিয়ে খুবই ব্যস্ত ছিল। মাঝে তাদের একবার দেখা হয়েছিল। বাকি সময়ে
টুকটাক ফোনে কথা হতো।৷ নিরার পরীক্ষা চলছে। নিষানও একটা ভালো চাকরি পেয়ে গেছে।
জয়েনিং পাঁচদিন পরেই। দুই পরিবারের সকলেই
নিষানের সাফল্যে খুশি। নিষান সিদ্ধান্ত নিয়েছে
নিরার পরীক্ষার পরে ঘরোয়াভাবে বৌভাতের
অনুষ্ঠানও করে ফেলবে।
.
কেটে গেল আরও দুই সপ্তাহ। নিরার পরীক্ষা শেষ হয়েছে আজকে। বাড়ি এসে নিরার ইচ্ছা করছে
‘দিলবার , দিলবার’ গান ছেড়ে ইচ্ছামত নাচতে।
এইচএসসি পরীক্ষা নামক প্যারা থেকে অবশেষে
মুক্তি। কোনোরকম ড্রেস পাল্টে নিরা সোজা
টিভির সামনে বসে পড়ল। কতদিন শান্তিমত টিভি দেখে না সে! টিভির চ্যানেল পাল্টাতে লাগল কিন্তু
কিছুই দেখতে ভাল লাগলো না তার। চ্যানেল ঘুরানোর সময় দেখল কার্টুন চ্যানেলে ‘বিক্রম বেতাল’ কার্টুন দেখাচ্ছে। একসময় তার প্রিয় কার্টুন ছিল এটা। ছোটবেলায় হোমওয়ার্ক না করে কার্টুন দেখার অপরাধে মায়ের কাছে কম কেলানিও খায় নি নিরা। তখন নিরা ভাবতো, যখন ও বড় হবে তখন সারা দিন-রাত কার্টুন দেখবে। কেউ কিছু বলতে পারবে না। অথচ বড় হওয়ার সাথে সাথে এখন
আর কার্টুন তেমন দেখতে ইচ্ছা করে না। ছোটবেলার কথাগুলো
ভেবে নিরা খুব হাসল। আপাতত আর কিছু দেখার নেই তাই কার্টুন দেখা শুরু করল।
কার্টুন দেখতে দেখতে মনে মনে ভাবল পরীক্ষা শেষ তাই ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেওয়া যাক।
ফোনটা হাতে নিতেই নিরা দেখল ৮ টা কল এসেছে
ওর শাশুড়ীর নম্বর থেকে। ফোন সাইলেন্ট করা
ছিল,তাই নিরা এতোক্ষণ দেখে নি। সাথে সাথেই
নিরা কলব্যাক করল। কল করার সাথেই সাথেই
ওপাশ থেকে ওর শাশুড়ি ফোনটা ধরল। নিরা গলাটা কেশে বলা শুরু করল,

‘আসসালামু আলাইকুম মা। কেমন আছেন?’

‘এই তো! আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তোমাকে ফোন করেছিলাম, নিষানের কাছে শুনলাম আজকে
নাকি তোমার পরীক্ষা শেষ হলো? তা পরীক্ষা কেমন হলো?’

‘আলহামদুলিল্লাহ, ভালো হয়েছে। ‘

‘যাক, তা যেজন্য কল দিয়েছিলাম সেটা হচ্ছে আজকে সন্ধ্যায় আমরা তোমাকে নিতে
আসব। তুমি রেডি থেকো নিরা আম্মু।’

‘মা, পরীক্ষা আজ মাত্র শেষ হলো। আমার আম্মুর
কাছে দুইটা দিন থাকি। তারপর না হয়…

‘না আম্মু, জানো না আমি আমার মেয়েদের কত ভালোবাসি। দুইমাস ধরে একমেয়ে দূরে মায়ের কি আর ভালো লাগে। ঘর খালি খালি লাগে। ছেলে
দুটো তো সারাদিন ব্যস্তই থাকে, তোমার শশুরও
বাড়ির ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা। সারাদিন আমার সময় কাটতে চায় না। লিজাও ওদের বাড়িতে গেছে কিছুদিনের জন্য। তাি আমরা আজকেই তোমাকে নিতে আসব আম্মু। ‘

লিজা আপুর কাছে আগে তার শাশুড়ীর অনেক প্রশংসা শুনতাম। মাঝে মাঝে লিজা আপুর কথা বিশ্বাস হতো না। শাশুড়ীরাও কখনো এত ভালো হয়? কিন্তু বিয়ের পরে আমার শাশুড়ীকে না দেখলে
বুঝতাম না। আমি তাকে উত্তর দিলাম,

‘আচ্ছা মা।’

‘ আচ্ছা, রাখছি তবে। ‘

‘হুম, আল্লাহ হাফেজ।’
.
.
সন্ধ্যায় নিষানের বাবা-মা আর নিষান নিরাদের বাড়িতে এলো। লিজা ওর বাপেরবাড়ি গেছে, জিষানও সেখানে।। নিষান তৃতীয়বারের মত শ্বশুরবাড়ি আসছে। প্রথম দুইবারের সময় চাকরি করতো না তাই নিজের টাকায় কিছু আনতে পারেনি, কিন্তু এবার চাকরি পেয়েছে। কয়েকপদের ফল, চমচম,রসমালাই,দই অনেককিছু এনেছে। সাথে সবার জন্য জামাকাপড় এনেছে। নিরার বাবা-মা তো অনেক খুশি। বিয়ের সময় নিষান চাকরি করতো না বলে আড়ালে কত লোক কত কথা বলেছিল,সবই নিরার বাবা-মায়ের কানে এসেছিল। তখন কিছু বলতে পারে নি লোকেদের। আজ তারা বলতে পারবে,
মেয়ের জামাই হিসেবে তারা কোনো ভুল ছেলেকে পছন্দ করে নি।

#চলবে
গল্পঃ #ভালোবাসি_প্রিয়_তোমাকে
পর্বঃ ১২ (শেষ পর্ব)
নিঝুম জামান (ছদ্মনাম)

.
নিরা নিষানদের বাড়িতে এসেছে আজকে দুইদিন হলো। লিজা বাড়িতে নেই তাই নিরাই নিষানের মায়ের বান্ধবী। সারাদিন তারা লুডো খেলে, একসাথে টিভি দেখে, আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দেয়।
একসপ্তাহ পরেই ওদের বৌভাত। এজন্য নিরা আর নিষান পরিকল্পনার শেষ নেই। নিরা কীভাবে সাজবে? কীভাবে কাপল ছবি তুলবে আরও নানান পরিকল্পনা।
.
দেখতে দেখতে একসপ্তাহ কেটে গিয়ে অবশেষে ওদের বৌভাতের দিনটি এলো। নিরা মিষ্টি কালারের
একটা লেহেঙ্গা পড়ছে,সাথে ম্যাচিং জুয়েলারি।
নিরাকে এতোই সুন্দর লাগছিল নিষান যেন চোখই ফিরাতে পারছিল না। নিষান হা করে নিরার দিকে তাকিয়ে আছে। নিষানের পেটে কনুই দিয়ে গুঁতা দিয়ে নিরা বলল,

‘এমন করে দেখছো যেন আমাকে জীবনে প্রথমবার দেখছো?’

‘তোমাকে ভয়ংকর সুন্দর লাগছে। যেটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।’

‘ওমা তাই নাকি? ভাষায় প্রকাশ করতে না পারলে আমাকে দেখার দরকার নেই। ভাষাহীন মানুষকে তো বোবা বলে। আমাকে দেখে শুধু শুধু তোমার বোবা হওয়ার দরকার নেই।’

নিরার কথা শুনে নিষান হেসে দেয়। এরপর নিরা-নিষান বিভিন্ন ঢংয়ে, বিভিন্ন পোজে ফটোশুট
করে, ভিডিও করে। এভাবেই আনন্দে আনন্দে
কেটে যায় সারাদিন।
.
?
.
সময় কারো জন্য থেমে থাকে না। চলতে থাকতে নিরন্তর। দিনের পরে মাস, মাসের পরে বছর আসে।
এভাবেই কেটে গেছে নিরা-নিষানের দাম্পত্য জীবনের একটা বছর। আজ ওদের বিবাহবার্ষিকী।
নিরা লাল জামদানী পড়ছে, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক দিয়েছে, চুলটা খোঁপা করে সেখানে নিরার ছোট্ট বাগানের তিনটে গন্ধরাজ ফুল লাগিয়েছি। ফুলের ঘ্রাণে রুমটা ভরে গেছে। প্রতিদিন সাতটা বাজলেই নিষান বাড়িতে চলে আসে। অথচ আজ তার ফিরার খবর নেই। আজ নাকি নিষানের অফিসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আছে। নিষান ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে আজ ফিরতে অনেক রাত হবে।নিষানের অপেক্ষায় নিরা বসে আছে। ঘড়িতে
রাত পৌনে বারোটা বেজে গেছে। নিরা মনে মনে ভাবছে, দেরী হবে বলে এতটা দেরী। আজকের স্পেশাল দিনটির কথা কি নিষান ভুলে গেছে? নিরা আজকের স্পেশাল দিনটির জন্য
ইউটিউব দেখে নিজের হাতে চকলেট কেক
বানিয়েছে।
.
এদিকে নিষান মোটেও ওদের বিবাহবার্ষিকীর কথা ভুলে যায় নি। তার ঠিকই মনে আছে। অফিসে
গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে কিছুই নেই। সে সবই মিথ্যা বলেছে নিরাকে। ওকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য
নিষান এমনটা করেছে। নিরার জন্য নিষান দুটো শাড়ি, ম্যাচিং জুয়েলারী কিনেছে স্পেশাল দিনে স্পেশাল সাজে দেখার জন্য। সাথে একশ গোলাপ আর একটা কেক নিল। সবকিছু কিনে সেই এগারোটা থেকে নিষান বাড়ির নিচে অপেক্ষা করছে। রাত ঠিক
বারোটায় গিয়ে নিরাকে সারপ্রাইজ দিবে।
নিষান মোবাইলে দেখল ১১.৪৮ বাজে। নিষান দীর্ঘশ্বাস ফেলল সময় যেনো যাচ্ছেই না। আজ যেন
.
.
ওদিকে নিষানের জন্য অপেক্ষা করতে করতে নিরার যেন কান্না চলে আসছে। আজকের দিনে তাড়াতাড়ি ছুটি নিয়ে চলে
আসলে কি হতো নিষানের! খুব বেশি কি ক্ষতি হয়ে যেত! মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখল ১১ টা বেজে
৫৯ মিনিট। বুক ভার হয়ে আসছে নিরার। ওয়াটসএ্যাপে ঢুকে নিরা যেই নিষানকে ভিডিওকল
দিবে তার আগেই নিষান ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে
ধরে বলল,
‘#খুব ভালোবাসি_প্রিয়_তোমাকে’
আজ বিবাহবাষির্কীর দিনে আবারও বলতে চাই সারাজনম তোমার সাথে থাকতে চাই।’

নিষানকে জড়িয়ে ধরে নিরা ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল। নিষানকে ধরিয়ে ধরেই বলল,
‘তুমি অনেক পঁচা, অনেক খারাপ। তোমার জন্য অপেক্ষা করে কতক্ষণ ধরে বসে আছি। ‘

নিষান নিরার চোখের জল মুছে দিতে দিতে বলল,

‘থাক, সোনা। আর কাঁদে না। আজ আমার কোনো কাজই ছিল না। তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে আমি এমনটা করেছি। সেই এগারোটা বাসার নিচে অপেক্ষা করছি। সময় যেন যাচ্ছিলই না।’

নিরা মুখ ভেংচে বলল,
‘একদম ঠিক আছে! হুহ। আমি তো ভেবেছি তুমি
ভুলেই গেছো।
তা তুমি বাড়িতে ঢুকলে কি করে? দরজা তো লক করা ছিল।’

‘সারপ্রাইজ দেওয়ার প্ল্যান তো আগে থেকেই
ছিল। এখন কি কথাই বলবা নাকি শাড়ি
পড়ে আসবা?’

‘এখন কি পড়ে আছি তাহলে? শাড়িই তো পড়ে আছি।’

‘এখন যেই শাড়ি এনেছি, সেখান থেকে পড়বা।’

‘হুহ, পারব না। আমাকে ওয়েট করানোর শাস্তি এটা।’

‘এমন করে না নিরু। তুমি না আমার লক্ষ্মী বউ!’

‘কালকে পড়বো তাহলে। এখন চলো কেক কাটি।
সবাইকে ডাক দাও।’

নিষান দাঁত বের করে হেসে বলে,
‘বাড়িতে কেউ নাই। আম্মু-আব্বু একটু আগে খালামনিদের বাড়িতে গেছে। ভাইয়া-ভাবীও তাদের সাথে গেছে।’

নিরা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘কখন গেলো?’

‘ আমি যখন বাড়িতে এসেছি তখন তারা গেছে।
তাদের যাওয়ার প্ল্যান ছিল বিকালে কিন্তু
আমি বলেছি রাতে যেতে আর তোমাকেও না বলতে।
তুমিও সাজতে সাজতে হয়তো খেয়াল করো নি তারা যে বাড়িতে নেই।

নিরা নিষানের বুকে কিল দিয়ে বলল,
‘খা’রাপ। আমিও তাদের সাথে চলে যেতাম, তখন একদম ঠিক হতো। তোমার সারপ্রাইজ দেওয়ার বারোটা বাজতো। জানো, একবার আমার জন্মদিনের দিন বিকেলে
আমার বান্ধবীরা সারপ্রাইজ দিতে বাড়িতে এসেছিল
কিন্তু তখন আমি মায়ের শপিংয়ে গিয়েছিলাম। ওরা আমাকে সারপ্রাইজ দিতে এসে আমাকে না পেয়ে নিজেরাই সারপ্রাইজড হয়ে গেছিল। আজ তোমার সাথে এমন হলে একদম ঠিক হতো।

‘না, নিরু। তোমাকে যেতে দিলে না তুমি যাবে।’
.
.
ওরা দুজন মিলে কেক কাটল। দুজন দুজনকে কেক খাইয়ে দিল। দুজন দুজনকে আবারও কথা দিল জীবনে হাজার বাঁধা আসলেও কেউ কাউকে ছেড়ে যাবে না। ভালো থাকুক নিষান-নিরা।
ভালো থাকুক সবাই।
.
(সমাপ্ত)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here