#স্পর্শতায়_তুমি
#পর্ব_০৫
#অধির_রায়
ছোঁয়ার দিন কেটে যাচ্ছে একাকিত্ব৷ সাপোর্ট করার মতো কেউ নেই৷ ছোঁয়া সারাদিন বাসায় একা একা বসে থাকে৷ কোন কাজই করতে হয়না৷ যা কাজ সব কাজের লোকেরাই করে৷ শ্বশুর ব্যবসার কাছে বিদেশে। শ্বাশুড়ী আর ননদ নিজেদের ব্যবসা আরও বড় করার জন্য অফিসে ছুটাছুটি করেন৷ ছোঁয়া আনমনে ডাইনিং রুমে বসে আছে৷ শ্বাশুড়ি ছোঁয়ার কাঁধে হাত রাখতেই ছোঁয়া কেঁপে উঠে। শ্বাশুড়ি মিহি কন্ঠে বলল,
“ছোঁয়া তুমি ভার্সিটিতে যাওয়া বন্ধ করে দিলে কেন? আমরা তোমার লেখাপড়াতে কোন বাঁধা দেয়নি৷ তুমি ভার্সিটিতে গেলে তোমার মন ভালো থাকবে৷ বন্ধুদের সাথে কথা বলতে পারবে৷”
ভার্সিটির কথা শুনে ছোঁয়ার মনে শীতল হাওয়া বয়ে গেছে৷ মুহুর্তেই সে হাওয়া ভয়ানক রুপ ধারণ করে৷ ভার্সিটিতে যেতে খুই ইচ্ছা করে। মন বলে এক দৌড়ে ভার্সিটিতে যাই৷ কিন্তু ঋষির জন্য ভার্সিটিতে যাওয়া হচ্ছে না৷ ভার্সিটির প্রতিটি কোণায় কোণায় জড়িয়ে আছে ঋষি ছোঁয়ার ভালোবাসা। ছোঁয়ার ভাবনার মাঝে ছোঁয়ার শ্বাশুড়ি মা বলে উঠল,
“আমার জন্য তোমার এ অবস্থা। আমি যদি বিয়ের জন্য বাড়াবাড়ি না করতাম তাহলে তোমার জীবনে ঘন অন্ধকার নেমে আসত না৷ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও৷ নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করো।”
ছোঁয়ার শ্বাশুড়ির হাত ধরে বলল,
“না মা! এভাবে আমার কাছে ক্ষমা চাইবেন না৷ আমারও ভীষণ কষ্ট হয় আপনাকে দেখে৷ এখানে আপনার কোন দোষ নেই৷ আপনি যদি জানতেন আপনার ছেলে অন্য মেয়েকে ভালোবাসে তাহলে আমাকে আপনার ছেলের বউ বানিয়ে নিয়ে আসতেন না৷ আপনার ছেলে ভালোবাসা হারানোর ভয়ে তার ভালোবাসার কথা বলতে পারেনি৷ সে আপনাদের সম্মান রাখার জন্যই বিয়েটা করেছে৷”
ছোঁয়া কথা বলার সময় কথাগুলো আটকে আসছিল৷ সে আপনাদের জন্য জীবনের থেকে মূল্য ভালোবাসা হারিয়ে ফেলেছে৷ পরিবারের দিকে তাকিয়ে ঋষির সাথে পালিয়ে যেতে রাজি হয়নি৷ ভেবেছি ঋষির ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের বাসায় কাটিয়ে দিব। ছোঁয়ার শ্বাশুড়ি মা অপরাধী কন্ঠে বলল,
“আমার একটা কথা রাখবে? আমি তোমাকে এভাবে দেখতে পারছি না৷ আমি জানি তুমি অভিমান করে ভার্সিটিতে যাও না৷ আজ থেকে তুমি আমার সাথে অফিসে যাবে৷ তোমাকে অফিসের কাজ বুঝিয়ে দিব৷ কাজের মাঝে ব্যস্ত থাকলে তোমার মন ডিপ্রেশন মুক্ত হবে৷”
ছোঁয়া তার শ্বাশুড়ির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসার চেষ্টা করলো। মিহি কন্ঠে বলল,
“আমি তৈরি হয়ে আসছি৷ আমাকে দুই মিনিট সময় দেন৷ আমারও বাসায় থাকতে ভালো লাগে না৷”
ছোঁয়া তার শ্বাশুড়ি ও তার ননদ অজান্তার সাথে অফিসে যায়৷ ছোঁয়ার শ্বাশুড়ি মা ছোঁয়ার জন্য আগে থেকেই আলাদা একটা কেবিন তৈরি করে রেখেছে৷ ছোঁয়া নিজের কেবিনে বসে নিজের কাজ বুঝিয়ে নিল৷ ছোঁয়াকে ফ্যাশন ডিজাইনের কাজ দেওয়া হয়েছে৷ সবাই তার কাছে ডিজাইন জমা দিবে৷ ছোঁয়া নতুন কাজে খুব খুশি। অজান্তা ছোঁয়াকে একে একে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে৷ ছোঁয়ার দৃষ্টি থেমে যায় সামনের বসা লোকটিকে দেখে৷ মুগ্ধ দৃষ্টিতে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে৷ বহুবছর পর চিরচেনা মুখটা দেখতে পেল। খুঁচা খুঁচা চাপা দাঁড়িতে মানুষটা একদম পারফেক্ট লাগছে৷ অজান্তা ছোঁয়াকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“ছোঁয়া বউদি উনি হলেন ঋষি রাজ৷ আজই আমাদের অফিসে জয়েন্ট করেছে৷ তোমার কিছু দরকার পড়লে তুমি ঋষির কাছে সাহায্য চাইবে৷ তোমার সব কাছে ঋষি সাহায্য করবে৷”
ঋষির কর্ণধারে ছোঁয়া শব্দটা পৌঁছাতেই মনে শীতল হাওয়া বয়ে গেল৷ প্রাণপিয় প্রেয়সীর চাঁদমাখা মুখটা দেখে চকিত হয়ে তাকিয়ে আছে। বহু বছর পর দেখতে পেয়েছে মনে হচ্ছে৷ সে অন্য কারো মনে পড়তেই বুকটা মোচড় দিয়ে উঠল৷ টলমল চোখে বলল,
“শুভ সকাল ম্যাম৷”
ছোঁয়ার মুখে কোন কথা নেই৷ ছোঁয়া এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ঋষির দিকে৷ ছোঁয়াকে সবুজ রঙের শাড়িতে খুব সুন্দর লাগছে৷ মুখে হালকা মেকআপ। দেখে মনে হচ্ছে জীবন থেকে সব রং চলে গেছে৷ এখনও তাকে অনেক মায়াবতী লাগছে৷ ঋষির কাছে স্বর্গের কোন রুপশরার থেকে ছোঁয়াকে ভালো লাগছে৷ অন্যের স্ত্রীর প্রতি নজর দেওয়া পাপ। সেজন্য ঋষি নিজের আঁখির দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরিয়ে নেয়৷ অজান্তা ছোঁয়াকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলল,
“চল বউদি৷ সবার সাথে পরিচয় হতে হবে৷ এখানে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে পরিচয় হতে জীবন পার হয়ে যাবে৷ পরিচয় ভালো হলে কাজে উৎসাহ থাকে বেশি৷”
ঋষির চোখের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে ছোঁয়া। ছোঁয়ার চোখে জল টলমল করছে৷ ঋষি মুগ্ধ দৃষ্টিতে ছোঁয়ার চলে যাওয়া দেখছে৷ ছোঁয়া নিজের কেবিনে এসে নিজেকে শান্ত করে৷ অজান্তা চলে আসতে নিলেই ছোঁয়া বলল,
“অজান্তা ঋষি রাজ এই কোম্পানিতে কতোদিন থেকে জব করে৷ তাকে দেখে তো মনে হচ্ছে না সে আজই এই অফিসে জয়েন্ট করেছে৷
ছোঁয়ার এমন প্রশ্নে অজান্তা সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকায়৷ মিহি কন্ঠ বলল,
“তুমি ঋষিকে আগে থেকে চিন! আজই আমাদের অফিসে জয়েন্ট করেছে৷ আজ প্রথম দিন এই অফিসে৷”
“না চিনি না৷ তবে আমাকে একটা কাজ করে দিতে হবে?”
“কি কাজ? কোন সমস্যা হলে আমাকে বা মাকে সাথে সাথে জানাবে৷ সব সমস্যা সমাধান করে দিব৷”
“তুমি ঋষি রাজের সাথে একটা চুক্তি করো। সে যেন ছয় মাস আগে জব ছেড়ে না দেয়৷”
“এটা কেমন কথা৷ এর থেকে ব্যাটার জব পেলে তো জব ছেলে দিবে৷ ছেড়ে দেওয়ার এক মাস আগে থেকেই জানাতে হবে৷”
“আমি যতদূর জানি ঋষি আগামীকাল থেকে আর অফিসে আসবে না৷ সেজন্য চুক্তি করতে হবে তার সাথে৷”
“কিন্তু কেন?”
“আস্তে আস্তে সব জানতে পারবে৷ একটু ধৈর্য ধরতে হবে৷”
প্রকৃতি দুই দিন থেকে ভার্সিটিতে যাচ্ছে না৷ কারো চোখে না পড়লেও পুষ্প স্যারের চোখে পড়েছে৷ প্রকৃতির বান্ধবী তিথি অর্পির কাছ থেকে তেমন কিছু জানতে পারেনি৷ সেদিনের ব্যবহারের জন্য পুষ্প স্যার খুব লজ্জিত। প্রকৃতির ফোন বন্ধ থাকার ফলে প্রকৃতির সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না৷ পুষ্প স্যারের কানে শুধু প্রকৃতির একটা কথাই কানে বাজে যাচ্ছে, ‘বুকের সাহস থাকলে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আমাদের বাসায় আসবেন৷’
সন্ধ্যায় প্রকৃতি বাসার ছাঁদে আনমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে৷ মনটা ভীষণ খারাপ৷ মনে পড়ছে খুব ছোঁয়া, তিথি, অর্পিকে৷ মনে হচ্ছে কতোদিন হয়ে গেল তাদের দেখিনা৷ কাছে থাকলে সহ্য করতে পারে না দূরে গেলে বিরহে কাতর হয়ে পড়ে৷ এজন্য এর নাম দেওয়া হয়েছে বন্ধু। ছাঁদ থেকে নিচে তাকাতেই প্রকৃতির সব চিন্তা উঁড়ে যায়৷ পুষ্প স্যার আর অর্পন এক সাথে প্রকৃতিদের বাসায় ঢুকছে৷ সাথে দুইজন মহিলা একজন মধ্যবয়স্ক লোক৷ সেদিনের কথা মনে পড়তেই প্রকৃতি দৌড়ে নিচে নামে৷ রুমের দ্বার বন্ধ করে চিন্তা করতে থাকে৷ ‘পুষ্প স্যার বিয়ে করতে আসেনি তো৷ ইশ কি লজ্জা! আমার ক্রাশ আমাকে বিয়ে করতে আসছে৷ আমি ভার্সিটিতে যায়নি তার জন্য আসেনি তো৷ না ভার্সিটির জন্য আসেনি৷ ভার্সিটির জন্য আসলে দিনের বেলা আসতো৷ সন্ধ্যার সময় আসার কোন কারণ নেই৷’
পুষ্প স্যার আর ঋষির প্রাণপ্রিয় বন্ধু অর্পন হলো মামাতো ফুপাতো ভাই৷ পুষ্প স্যার, পুষ্প স্যারের মা বাবা আর অর্পনের মা এসেছে৷ তাদের সামনে বসে আছে ঋষির বাবা৷ ঋষিকে ফোন করা হয়েছে সে যত তাড়াতাড়ি পারে যেন বাড়ি ফিরে আসে৷ পুষ্প স্যারের বাবা বললেন,
“আমি ঘুরিয়ে কথা বলতো পছন্দ করিনা৷ আমরা এখানে প্রকৃতিকে পুষ্পের জন্য নিতে এসেছি৷ প্রকৃতিকে আমাদের খুব পছন্দ। আপনি যদি রাজি থাকেন আমরা এ বিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাব৷”
ঋষির বাবা হঠাৎ এমন প্রশ্নে ঘাবড়ে যায়৷ কি জবাব দিবে বুঝতে পারছে না? ঋষির বাবার জবাব না নিয়ে অর্পণের মা বলল,
“যদি ছেলে মেয়ে রাজি থাকে তাহলে বিয়েতে মত দেওয়া ভালো৷ বরং প্রকৃতি আর পুষ্পকে আলাদাভাবে কথা বলতে দেওয়া হোক৷ পুষ্প, প্রকৃতি দু’জন দু’জনকে খুব ভালো করে চিনে৷ আমি আশা করি প্রকৃতি এখানে অমত পোষণ করবে না৷”
প্রকৃতি বাবা হালকা কাশি দেয়৷ ঋষির মায়ের দিকে তাকাতেই তিনি চোখের ইশারায় নিজের মত পোষণ করেন৷ যার অর্থ হলো তিনি এই বিয়েতে রাজি৷ সংসারের ছোটখাটো সিদ্ধান্ত থেকে যত বড়ই সিদ্ধান্ত হোক না কেন স্বামী স্ত্রী এক সাথে সিদ্ধান্ত নিলে জয় নিশ্চিত। ঋষির বাবা পুষ্প স্যারের দিকে তাকিয়ে,
“আমি কিছুই বলতে পারব না৷ আমার কাছে আমার ছেলে মেয়ের সিদ্ধান্ত আগে৷ তাদের জীবনের সিদ্ধান্ত তারাদেরই বরং মতামত দেওয়া প্রয়োজন। আমি আমার মেয়ের উপর কিছু চাপিয়ে দিতে পারব না৷”
ঋষির মা প্রকৃতিকে ডেকে নিচে নিয়ে আসে৷ কোন সাজ নেই৷ বাসায় যেমন থাকে ঠিক তেমনই ভাবেই নিয়ে আসে৷ প্রকৃতির পাশে দাঁড়িয়ে বলল,
“তোমরা বরং আলাদা কথা বলে তোমাদের সিদ্ধান্ত জানাও৷”
প্রকৃতি পুষ্প স্যারকে নিজের রুমে নিয়ে আসে৷ পুষ্প স্যার প্রকৃতির রুম অপলক দৃষ্টিতে একবার পর্যবেক্ষণ করে নেন৷ প্রকৃতি ক্ষোভ নিয়ে বলল,
“পারব না আমি এই বিয়ে করতে৷ আপনি এই বিয়ে ভেঙে দেন৷ আমি কখনও আপনাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিব না৷ আপনাকে বিয়ে করলে সবাই বলবে আমি আপনাকে শাস্তি দিতে গিয়ে আপনার গলায় ঝুলে পড়েছি৷”
“ওকে আমি এই বিয়ে ভেঙে দিচ্ছি৷ তার আগে বল ভার্সিটিতে যাওনি কেন? তুমি ছাড়া তোমার ফ্রেন্ড অর্পি, তিথি ক্লাস করছে৷ তাছাড়া তোমাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না৷
“এটা আমার বাড়ি৷ এখানে আমি লেখাপড়া নিয়ে কোন কথা বলতে চাইনা৷ আর হ্যাঁ কোন সংবিধানে লেখা আছে রেগুলার ভার্সিটি যেতে হবে৷ আমার জন্য চিন্তা হয়৷ আমাকে ফোনে পেলে ফোনে আমার সাথে প্রেম আলাপ করতেন৷”
“এটা জানা আছে ভার্সিটিতে ৭৫% উপস্থিতি থাকতে হবে৷ আর ফোনে কাউকে পেলে প্রেম আলাপ করব এটা তোমাকে কে বলল?”
“সে নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না৷ আমারটা আমি বুঝে নিব৷” বিরবির করে বলল,
“আমি না করে দিলাম আর উনি তা মেনে নিল৷ ভার্সিটিতে যেকোন বিষয়ে না করলে হ্যাঁ পরিণত করে। এখানে সাধু হওয়ার চেষ্টা করছে৷”
“আমাকে কিছু বললে?”
“আপনি কিছু শুনতে পেয়েছেন৷ আপনি বলবেন আমি এই বিয়ে করব না৷”
পুষ্প স্যার প্রকৃতির কথা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয়৷ সরু চোখে তাকিয়ে রুম থেকে চলে আসে৷ পুষ্প স্যারের পিছন পিছন প্রকৃতিও আসে৷ পুষ্প স্যার সকলের উদ্দেশ্যে বলল,
“আমি এবং প্রকৃতি দুজনেই এই বিয়েতে রাজি। প্রকৃতির কোন দ্বিমত পোষণ করিনি৷ প্রকৃতির ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে পুষ্প স্যারের দিকে৷ পুষ্প স্যার প্রকৃতির কানের ফিসফিস করে বলল,
“দেখার জন্য বাকি রাখো কিছু। বিয়ের দিন তারিখ আজই ঠিক হয়ে গেছে৷ যতটুকু বাকি থাকবে বাসর ঘরে দেখে নিবে৷”
অজান্তা নিজের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ঋষিকে দিয়ে সব কাজ করিয়ে নিচ্ছে৷ ঋষিও মনের সুখে সব কাজ করে যাচ্ছে৷ ঋষি যদিও বুঝাতে পারছে অজান্তার এসব করছে নিজর জিত থেকে৷ তবুও ঋষি কিছু বলে না৷ শুধু একটা নজর ছোঁয়াকে দেখার জন্য৷ কঠোর পরিশ্রম করছে৷ কাজ দ্বারা না হয় ছোঁয়ার মনে অল্প জায়গায় থাকবে৷ এখানে যদি কাজ না করি তাহলে ছোঁয়া আমাকে ভুল বুঝবে৷ সে নিজের লাইফে এগিয়ে যেতে পারবে না৷ ছোঁয়াকে জীবনে এগিয়ে দেওয়ার জন্য ঋষি কঠোর পরিশ্রম করে৷ অজান্তা ঋষির কাজে খুবই খুশী। অজান্তা ধীরে ধীরে ঋষির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে৷
চলবে….