দ্বিতীয়_জন পর্ব_৩
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
বউমণি এই ঘর খান বেশি মেহমান আসলে খুলি দেয়। নইলে আটকাই রাখে। বড়লোক গো বড় কারবার বুঝেন না?
অনুর উদ্দেশ্যে বলল, টুনি।
অনুঃ ও আচ্ছা।
মাগরিবের আজান শুনে অনু নিজের রুমে গিয়ে ওজু করে নিল, তারপর নামাজ আদায় করে নিল।
নামাজ শেষ করে অনু বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো। অনু দেখলো,
বারান্দায় অনেক গুলো শিমুল ফুল পড়ে আছে। অনু খেয়াল করলো, বাগানের বড় শিমুল গাছের একটা ডাল বারান্দার দিকে ঝুঁকে আছে।
কিন্তু একটু আগেই তো পাখি রুম টা পারিষ্কার করে গেল, আর এখন তো কোন বাতাস ও হয়নি তাহলে ফুল গুলো পড়লো কিভাবে? মনে মনে বলল, অনু।
অনু ভাবলো, এই আর এমনকি? এমনি এমনি ফুল পড়তেই পারে।
তারপর ও অনুর কেমন যেন ভয় করতে লাগলো, ভয়ে একেবারে ঘেমে গেছে অনু।
তাড়াতাড়ি করে বারান্দা থেকে রুমে চলে আসলো সে।
অনু মঞ্জিল নিয়ে পড়লো। কারণ সে জানে মঞ্জিলে আছে কুরআন শরীফের বিশেষ ৩৩ আয়াত, যা পড়লে সব বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অনুর কিছুটা ভয় কাটলো, তবে পুরোপুরি ভাবে ভয় দূর হয়নি ওর। কেমন জানি ভয় লাগছেই।
ওর মনে হচ্ছে বারান্দা থেকে ওকে কেউ যেন দেখছে।
.
অনু এশার নামাজ পড়ে নিচে নামলো,
দেখলো সবাই ঘুমিয়ে গেছে।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অনু দেখলো, রাত ১০ টা ৩৭ মিনিট….
পুরো বাড়ি নিস্তব্ধ, অনু ছাড়া কেউই জেগে নেই।
আদি তো এখন ফিরেই নি।
দূর দূর থেকে মাঝে মাঝে শেয়াল কুকুরের ডাক শোনা যাচ্ছে।
অনু ভয় ক্রমশ বাড়তেই থাকলো। কি করবে অনু বুঝতে পারছে না । খুব পিপাসা পাচ্ছে ওর।
অনু ফিল করছে, কেউ তার আশে পাশে হাটছে।
শুধু দেখতে পারছে না।
.
একা আছি তাই কি এমন লাগছে আমার?
না না মোটেই না, গ্রামে কতওও দিন মা আমাকে একলা ঘরে রেখে নানুর বাড়ি চলে যেতেন।
কত সময় তো রাতে ফিরতেনও না। বাবা ও দোকানে থেকে যেত। আমি তো প্রায় রাতেই একলা ঘুমোতাম। রাত জেগে কত বই পড়তাম,
কই তখন তো এমন ভয় করতো না।
কাল সন্ধায় থেকে সকাল পর্যন্ত ঠিক এভাবেই ভয় করেছে, আজ আরও বেশি।
তাহলে কি এই বাসায়ই কোন সমস্যা আছে।
নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করে যাচ্ছে অনু।
.
আচ্ছা ওই রুম টাতে কোন সমস্যা নয় তো?
বাইরে থেকে দেখতে তো রুমটা পুরো ওনার(আদিত্যর)
রুমের মতো লেগেছে। কিন্তু টুনি বলল,
ওটা গেস্ট রুম। আসলেই কি তাই?
এখনই ঠিক সময় রুম টাতে কি আছে দেখার।
আর সব রুমের তালার চাবির বাক্সটা তো ওনার আলমারি তেই আছে।
অনু ঘড়িতে দেখলো রাত ১১ টা ৫ মিনিট….
.
সে নিজের রুমের দিকে গেল।
আলমারি থেকে চাবির বাক্সটা নিয়ে ওই রুমের সামনে গেল।
অনেক গুলো চাবি দিয়ে তালা টা খোলার চেষ্টা করছে অনু, কিন্তু কোনো চাবিই ঢুকছে না তালাটাতে।
ইসসস এতো বড় তালা কেউ লাগায় নাকি দরজায়?
দরজার সামনে মনে হচ্ছে তাবিজ লাগানো?
কিন্তু তাবিজ কেন দেয়েছে আবার?
নিজে নিজে কথা গুলো বলল অনু,
দেখি এটা দিয়ে হয় কি না।
চাবি টা তালাতে দিতেই তালা খুলে গেল।
চলবে