হৃদয়ের_শুভ্রতা?? পর্ব~২৫,২৬

0
450

#হৃদয়ের_শুভ্রতা??
পর্ব~২৫,২৬
#ফাবিহা_নওশীন
২৫

??
অরিত্র সোজা মামার রুমে ঢুকে গেলো।অরিত্রের মামা রিশাত বই পড়ছিলেন অরিত্রকে দেখে বই রেখে হাসিমুখে বললো,
—–এতদিনে মামার কথা মনে পড়লো?

অরিত্র কোনরুপ ভনিতা ছাড়াই বললো,
—–মামা তুমি আমাকে মিথ্যা কেন বলেছো?

রিশাত অরিত্রের কথা শুনে চমকে গেলো।চশমা খোলে অরিত্রের দিকে চেয়ে বললো,
—–কিসের কথা বলছিস?

—–মামা তুমি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছো আমি কি বলছি।কেন আমাকে মিথ্যা বলেছো?আমি সারাজীবন তোমাকে আমার আইডল মেনেছি আর তুমি আমাকে এভাবে ঠকালে?তুমি নিজের অন্যায় অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে পারলে?
তুমি একজন ক্রিমিনাল মামা!!ছিহ!!
তুমি দুজন মানুষকে মারার চেষ্টা করেছো!! আর তুমি সুন্দর করে একটা মিথ্যা গল্প আমাকে শুনিয়ে দিলে?

রিশাত কাচুমাচু করছে।ধরা পড়ে যাওয়ার ছাপ চেহারায় স্পষ্ট।তিনি আমতা আমতা করে বললো,
—–অরিত্র তুই আমাকে ভুল ভাবছিস।ওরা তোকে…

—–নো মামা ওরা আমাকে ভুল বুঝায়নি।আমি একবার ভুল করেছি এখন থেকে আর করবোনা।আমি প্রমাণ ছাড়া এসব বলছিনা।আমার কাছে সব প্রমাণ আছে।সবটা আমার কাছে দিনের আলোর মতো পরিস্কার।তুমি আমাকে এতবড় ধোকা দিতে পারলে?তোমার পাপে আমি কেন শাস্তি পাবো?
কেন আমাকে এতবড় শাস্তি দিলে মামা?আমি কি করেছি?কেন রোজকে আমার জীবন থেকে কেড়ে নিলে?এন্সার মি??

রিশাত চুপ করে মাথা নিচু করে আছে।

অরিত্র চিতকার করে বললো,
—-উত্তর নেই তোমার কাছে?
ওকে উত্তর দিতে হবেনা।বাট আজকের পর তুমি আমার কেউনা।আমি তোমাকে কখনো ক্ষমা করবো না।

অরিত্র হনহন করে হেটে চলে গেলো।রিশাত একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল।
রিশাত জানে সত্যিই অরিত্র ওকে ক্ষমা করবে না।অরিত্রকে ফেরানো যাবেনা।
তাই আবারো বিদেশে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।

অরিত্র নিজের মমের সামনে গিয়ে দাড়ালো।
সে ডাইনিং গুছানোতে ব্যস্ত।অরিত্র একটা গ্লাস নিয়ে ফেলে দিলো।অরিত্রের মম চমকে গেলো।ছেলের এমন ব্যবহারে তিনি বেশ অবাক হলেন।তারপর বললো,
—–অরিত্র এগুলো কি ধরনের ম্যানার্স?

অরিত্র নেকা অভিনয় করে বললো,
—–ওপস মম সরি।আমি বেয়াদবি করে ফেলেছি।এটা অনেক বড় অন্যায়।কিন্তু কাউকে খুন করার চেয়ে বড় ক্রাইম অবশ্যই নয় তাই না মম?(শেষের কথাটা শক্তভাবে বলল)

—–অরিত্র!! কি বলছো?

—–ঠিকি বলছি মম।তুমি কিভাবে মামাকে সাপোর্ট করতে পারলে?কিভাবে?মামা দুজন মানুষকে মারার চেষ্টা করেছে কাউকে মারা আর মারার চেষ্টা করা দুটোই সমান।মামা একজন ক্রিমিনাল।আমার মামা একজন মার্ডারার ছিহ!

——অরিত্র তোমার মামা হয় ভালো ভাবে কথা বলো।

—–ক্রিমিনাল ক্রিমিনালই।সে কারো মামা,বাবা,ভাইবোন হলেও সে একজন ক্রিমিনাল।
মম তুমিও?তুমিও আমাকে মিথ্যে বললে?আমাকে ধোকা দিলে?
তুমি তাহলে আমাকে কেন শিক্ষা দিতে মিথ্যে না বলতে,কাউকে কষ্ট না দিতে,কোনো অন্যায় না করতে,চোখের সামনে অন্যায় হলে তার প্রতিবাদ করতে।কেন আমাকে এমন শিক্ষা দিয়েছো?আমাকেও মামার মতো বানাতে?তার মতো আমার অন্যায়গুলো সাপোর্ট করতে।তাহলে আজ এতো কষ্ট পেতে হতোনা মম।তোমরা আমাকে অনেক বড় আঘাত দিয়েছো।সে আঘাতে আমি জর্জরিত।অনেক কষ্ট হচ্ছে।হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে।নিজের কাছে নিজেই ছোট হয়ে যাচ্ছি।আমি কতগুলো মানুষের অপরাধী।কার কাছে ক্ষমা চাইবো?এ অপরাধবোধ আমাকে শেষ করে দিচ্ছে।
আমি রোজকে চিরতরে হারিয়ে ফেললাম।এই ২৩বছরের জীবনে একটা মেয়েকে ভালোবেসেছি আর তাকেই আমার জীবন থেকে কেড়ে নিলে? কেন মম?কেন?কি অপরাধ ছিলো আমার?তোমাদের রেষারেষির জন্য আমাকে কেন শাস্তি পেতে হলো?রোজের সামনে গিয়ে আমি কখনো দাড়াতে পারবোনা।আর না কোনোদিন ও আমাকে ক্ষমা করবে।আমার জীবনটা শেষ করে দিলে তোমরা।আমার কথা একবারো ভাবলে না মম?
অরিত্র কান্নায় ভেঙে পড়লো।

অরিত্রের মম অরিত্রের কাধে হাত রেখে বললো,
—-অরিত্র কি করার ছিলো আমাদের?রিশাত ভাই জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছে ওই একটা মেয়ের জন্য ওর জীবন নরক হয়ে গিয়েছিলো।জীবনে কিছু পায়নি।আমার একমাত্র ভাই।ভাই যা বলেছিলো তোকে তাতে শায় মিলিয়ে ছিলাম।সত্যিটা তোকে বলিনি যদি ভাই কষ্ট পায় তাই।

—–আর আমি মম?আমার কষ্টের কথা ভাবলে না?
এখানে রোজের মাম্মার দোষটা কোথায়?মামা সবটা জেনেই এক প্রকার সুযোগের ব্যবহার করে জোরপূর্বক তাকে পেতে চেয়েছিলো কিন্তু তাদের ভালোবাসা এতোটা স্ট্রং ছিলো যে মামা হেরে গেছে।নিজেকে নিজেই ভিলেন উপাধি দিয়েছিলো।আর তোমরা তার অন্যায়কে সাপোর্ট করছো?
এটাও অন্যায়।
আমি কাউকে ক্ষমা করবোনা।

অরিত্র দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো।

রোজ বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।রোজের মাম্মা রোজের কাধে হাত রেখে বললো,
—–রোজ!!

রোজ পেছনে ঘুরে তার মাম্মার শুকনো মুখটা দেখলো।রোজের কাছে মাম্মার হাসিমুখটাই বেশী পছন্দ।
——মাম্মা কি হয়েছে?তোমাকে এমন লাগছে কেন?

রোজের মাম্মা বললো,
——সরি রোজ,আমার অতীত তোর জীবনে এভাবে প্রভাব ফেলবে বুঝতে পারিনি।

——মম ডোন্ট বি সরি প্লিজ।তুমি কোনো ভুল করোনি তবে সরি কেন বলছো?ভুল করেছে ওরা।ভুল নয় অন্যায়।ওরা অন্যায় করেছে।অরিত্র অন্যায় করেছে।তাই কষ্ট ওরা পাবে আমরা না।

রোজের মাম্মা রোজের এলোমেলো চুল ঠিক করে বললো,
——অরিত্রকে কি দোষী বলা যায়?ও তো একটা ষড়যন্ত্রের স্বীকার।
ও নিজেই ঠকে গেছে।যাওয়ার সময় ওকে দেখে আমার অনেক কষ্ট হচ্ছিলো।ওকে খুব বিধ্বস্ত লাগছিলো।মনে হচ্ছিলো ও মানুষটাই ভেঙেচুরে গেছে।
ও তো ওর পরিবারকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করেছিলো।প্রতিটি মানুষের কাছে পরিবার বিশ্বাস আর ভরসার জায়গা।পরিবারকে সবচেয়ে বেশী বিশ্বাস করে।অরিত্রকে সেই পরিবার ধোকা দিয়েছে।ওর বিশ্বাস ভরসা ভেঙেছে।ওর অবস্থাটা কি এখন বুঝ।

রোজ ভাবছে আসলেই অরিত্রের এখন কি অবস্থা।কি করছে?রোজের খারাপ লাগতে শুরু করলো অরিত্রের জন্য।শুধু খারাপই নয় চিন্তা হতে শুরু করলো।

অরিত্র ওয়াশরুমের ভেসিনের সামনে দাড়িয়ে আছে।আয়নায় নিজের চেহেরা দেখতেই শ্যাম্পুর বোতল ছুড়ে মারলো আয়নায়।
আয়নার কাচ ভেঙে মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেলো।

শুভ্রা আবারো বেডে বসে বসে নখ কামড়াচ্ছে।হৃদ ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে শুভ্রা গভীরভাবে কিছু একটা ভেবে চলেছে।
হৃদ শুভ্রার মাথায় গাট্টি মেরে বললো,
—–আজো নখ খামড়াচ্ছিস?আজ আবার কি ভাবছিস?

—–ভাবছি,,কি ঘটনা ঘটে গেলো?অরিত্রের মামা এতো ভয়ংকর?ভালো হয়েছে রোজের ও বাড়ির সাথে কোনো সম্পর্ক হয়নি।
কিন্তু অরিত্র ওর জন্য আমার কষ্ট হচ্ছে।

—–খবরদার ওর জন্য কষ্ট পাবিনা।ও আমার বোনের কষ্টের পরোয়া করে নি।
যা হয়েছে ভালো হয়েছে।রোজ সব নতুন করে শুরু করবে।

শুভ্রা আবেগী কন্ঠে বললো,
—–চাইলেই কি সব নতুন করে শুরু করা যায়?জীবনের প্রথম ভালোবাসা ভুলা যায়?

হৃদ শুভ্রার কথার কোনো উত্তর দিলো না।এর উত্তর ওর কাছে নেই।আসলেই তো চাইলেই কি ভুলা যায়?
হৃদকে এভাবে চুপ করে থাকতে দেখে শুভ্রা বললো,
——আচ্ছা ঠিক আছে বাদ দেও,এসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই।যা হবে দেখা যাবে।

শুভ্রা হৃদকে জড়িয়ে ধরলো।হৃদ বললো,
——তুই সাত বছর অনেক কষ্ট পেয়েছিস।
মাত্রই বললি চাইলেই নাকি ভুলা যায়না।আমাকে কি একবারো ভুলিস নি?

——উহু…

——আমিও তোকে এক মুহুর্তের জন্য ভুলতে পারিনি।কতটা কষ্ট হয়েছে আমি জানি।
তুই কিন্তু সবকিছু ঠিক হওয়ার পর এখনো আমাকে ভালোবাসি বলিস নি।

—–বলতেই হবে?

——তোর ইচ্ছে।না বললেও চলবে।

শুভ্রা হৃদের বুকে মুখ গুজে ধীরে ধীরে বললো,
——ভালোবাসি।

হৃদ চোখ বন্ধ করে শুভ্রার কথাটা অনুভব করতে লাগলো।মনে হচ্ছে ভালোবাসি শব্দটা চারদিকে ধ্বনিত হচ্ছে।পুরো ঘরে এর প্রতিধ্বনি হচ্ছে।হৃদ জোরে একটা শ্বাস নিলো।

হৃদ শুভ্রার মুখ তুলে ওর থুতনিতে ঠোঁট ছোয়ালো।শুভ্রা চোখ বন্ধ করে নিলো।শুভ্রা বন্ধ চোখে হৃদের ঠোঁটের ছোয়া পেলো।শুভ্রা কেপে উঠলো।হৃদের ছোয়ায় শিহরিত হচ্ছে।শুভ্রা হৃদের কাধের শার্ট শক্ত করে ধরেছে।হৃদ অপলক শুভ্রার মুখের দিকে চেয়ে আছে।শুভ্রা চোখ খোলে হৃদের দিকে তাকালো।হৃদের চোখে মাদকতা দেখছে যা ওকেও মাতাল করে দিচ্ছে।
হৃদ শুভ্রার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো।
.
.
.
.

~~এক সপ্তাহ পর~~
হৃদ আর হৃদের পাপা জগিং কস্টিউম পড়ে একসাথে সিড়ি বেয়ে নামছে।শুভ্রা আর হৃদের মামা দুজনেই মুগ্ধ নয়নে ওদের দিকে চেয়ে আছে।
দুজন একসাথে যেভাবে আসছে মনে হচ্ছে দুই বন্ধু।দুজনকেই কিউট লাগছে।

রোজ শুভ্রা আর মাম্মার সামনে এসে চুটকি বাজিয়ে বললো,
—–হেই লেডিস দুজন মিলে আমার পাপা আর ভাইকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছো কেন?দৃষ্টি সংযত করো।

শুভ্রা আর রোজের মাম্মা দুজনেই ভরকে গেলো।
শুভ্রা আমতা আমতা করতে লাগলো।তারপর বললো,
—–আমারা জাস্ট দুজনকে সেইম কস্টিউমে দেখে অবাক হয়েছি।তাই না মামনি।

রোজের মাম্মা বললো,
—–হ্যা হ্যা,,

হৃদ আর হৃদের পাপা এসে বললো আমরা জগিংয়ে যাচ্ছি।শুভ্রা যাবে?

রোজ শুভ্রার আগেই হৃদকে ফিসফিস করে বললো,
—–অবশ্যই অবশ্যই।সে তো এক পা বাড়িয়েই রেখেছে বাকিটা আপনি যদি চান।কেন রে তোদের কি বাড়িতে বসে প্রেম করে স্বাদ মিটে না জগিংয়েও বউ লাগবে।

হৃদ বোনের দিকে চেয়ে বললো,
—–এগুলো কেমন কথা?

—–এমনই কথা।তোমার বউ তোমাকে যেভাবে গিলে খাচ্ছিলো।

হৃদ চোখ বড়বড় করে শুভ্রার দিকে তাকালো।
শুভ্রা বললো,
—–এই তোমরা ফিসফিস করে কি বলছো?

রোজ ৩২দাত বের করে বললো,
—–তোমার গুণকীর্তন।

রোজের মাম্মা বললো,
—-থাক আর গুণকীর্তন করতে হবেনা।তাহলে দুপুর বেলায় জগিং করতে হবে।যাও।

হৃদের পাপা হৃদের মায়ের কানে ফিসফিস করে বললো,
—–ভ্যাবলির মতো চেয়ে ছিলি কেন?

হৃদের মাম্মা চোখ সরু করে বললো,
—–আমার ভ্যাবলাকে দেখছিলাম।

রোজ কান পেতেও শুনতে না পেয়ে বললো,
—–তোমরা ফিসফিস করে কি বলছো?

রোজের পাপা আমতা আমতা করে বললো,
—–ওই মানে যাওয়ার কথা বলছি।

—–থাক মিথ্যা বলতে হবেনা।আমি বুঝি আমাকে কেউ ভালোবাসেনা।

রোজের পাপা রোজের সামনে এসে বললো,
—–কে বলছে?আমি আমার প্রিন্সেসকে কত ভালোবাসি।

রোজ হেসে বললো,
—–মাম্মার থেকেও বেশি?

রোজের পাপা রোজের মাম্মার দিকে চেয়ে আমতা আমতা করছে।তারপর বললো,
—হ্যা বাসি তো।

রোজ হাসতে শুরু করলো।তারপর বিজ্ঞের মতো বললো,
—–আমি জানি পাপা তুমি মাম্মাকে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসো।হিহি।
আর আমাকেও খুব ভালোবাসো।এখন যাও দেরি হয়ে যাচ্ছে।

দুজনে জগিংয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো।রোজের ফোনে একটা মেসেজ এলো।রোজ ফোনের স্কিনে তাকাতেই ওর হাসিমুখটা কালো হয়ে গেলো।সেটা সবাই খেয়াল করলো।

রোজ নিজের রুমে গিয়ে মেসেজটা ওপেন করলো।অরিত্রের মেসেজ।

“রোজ কুইন আমি আগামীকাল চলে যাচ্ছি।শুধু তোমার জীবন থেকেই না দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছি।আর কখনো ফিরবো কিনা জানিনা।এখানে আমার জন্য কিছু নেই কষ্ট আর ধোকা ছাড়া।জানি আমার মেসেজটা পেয়ে বিরক্ত হয়েছো তবুও শেষবার কিছু বলার লোভ সামলাতে পারিনি।ভালোবাসি তোমায় অনেক ভালোবাসি আজীবন বাসবো।দূর থেকে চাইবো সবসময় ভালো থেকো।জীবনটা সুন্দর করে সাজিয়ে নিও।জানি তুমি পারবে।অনেক কিছু বলার ছিলো কিন্তু ইচ্ছে করছে না তোমাকে আর বিরক্ত করতে।পারলে ক্ষমা করো।আল্লাহ হাফেজ।”

রোজ মেসেজটি পড়ে কান্নায় ভেঙে পড়লো।
সারাদিন রুম থেকে বের হয়নি।কেউ এর কারণ উদ্ধার করতে পারেনি।কারণ রোজ একটা টু শব্দ করে নি।

~পরের দিন সকাল~
অরিত্র লাগেজ নিয়ে সকাল সকাল ঘর থেকে বের হচ্ছে।
ওকে লাগেজ নিয়ে বেরুতে দেখে ওর মম পাপা দুজনেই অবাক হয়ে এগিয়ে আসে।
অরিত্রের পাপা বললো,
—-লাগেজ কেন?কোথায় যাচ্ছো?

—–লন্ডন।

অরিত্রের মম পাপা দুজনেই বললো,
—–লন্ডন!!

—–হ্যা।এখানে আমি আর থাকতে পারবোনা।তাই চলে যাচ্ছি।জানিনা কখনো ফিরবো কিনা।

—–কিন্তু কেন?

অরিত্র তাচ্ছিল্যের সুরে বললো,
—–কেন আবার?মামার ভাগিনা মামার মতোই তো হবো।কোনো পাপ না করেও আমি আজ তার পথ বেছে নিয়েছি।বাকি জীবনটা বিদেশে কাটিয়ে দেবো।এখানে আমার জন্য আর কিছু নেই।

অরিত্রের মম অরিত্রের হাত থেকে লাগেজ নিয়ে বললো,
—–তুই কোথাও যাবিনা।আমাদের কথা একবার ভাবলিনা?

—–তোমরা ভেবেছিলে?

অরিত্র মম পাপার হাজারো আহাজারি কান্না উপেক্ষা করে লাগেজ নিয়ে গাড়িতে উঠে গেলো।

চলবে….

#হৃদয়ের_শুভ্রতা??

পর্ব~২৬

#ফাবিহা_নওশীন

??
অরিত্র গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে দেখছে।পরিচিত শহর,রাস্তাঘাট ছেড়ে গাড়ি চলছে এয়ারপোর্টের দিকে।
হয়তো আর কখনো দেখতে পাবেনা এই শহর,এই শহরের পরিচিত মুখগুলোকে।ওর রোজকে।অরিত্র জানালার কাচ খোলে দিলো।শু শু করে বাতাস বইছে।এলোমেলো করে দিচ্ছে ওর চুলগুলো।

রোজ ফ্যামিলির সাথে বসে নাস্তা করছে।নাস্তা করছে বললে ভুল হবে নাস্তা করার অভিনয় করছে।প্লেটের খাবার নাড়াচাড়া করছে।বারবার ওর চোখজোড়া পানিতে ভরে যাচ্ছে।রোজ সবার আড়ালে চোখের পানি মুছে নিচ্ছে।
তখনই ডোর বেল বেজে উঠে।একজন সার্ভেন্ট গিয়ে দরজা খোলে দিলো।
একজন মহিলা একজন পুরুষ ভিতরে ঢুকলো।সবাই সেদিকে চেয়ে আছে।কারণ তারা কারোই পরিচিত কেউনা।রোজের মাম্মা উঠে তাদের সামনে গিয়ে বললো,
—–আপনাদের তো চিনলাম না।

ভদ্রমহিলার চেহারায় আতংক স্পষ্ট।মনে হচ্ছে কোনো বিপদে পড়েছে।ভদ্রমহিলা কিছু বলার আগেই ভদ্রলোক বললো,
—–আমরা অরিত্রের পেরেন্স।

রোজ প্লেট থেকে চোখ সরিয়ে তাদের দিকে তাকালো।হ্যা অরিত্রের বাবা-মা এরা।
অরিত্রের বাবা-মাকে দেখে সবাই বেশ অবাক হয়েছে।

রোজের মাম্মা অস্বস্তিবোধ করলেও তাদেরকে বসতে বললো।
অরিত্রের মম রোজের মাম্মার হাত ধরে বললো,
——বসার সময় নেই বোন।আমাদের পাপের শাস্তি আমার ছেলেকে দিবেন না প্লিজ।
ওকে ফিরান।

রোজ উনাদের কথা শুনে বুঝতে পারছে অরিত্র চলে যাচ্ছে।একটা চাপা আর্তনাদ ওর বুক চিরে বের হতে চাইছে।গলায় কিছু একটা দলা পাকিয়ে যাচ্ছে।

রোজের মাম্মা বললো,
—–অরিত্র!! কি হয়েছে ওর?

সবাই একে একে টেবিল ত্যাগ করে ওদের দিকে এগিয়ে আসছে।

——অরিত্র আমাদের উপর রাগ করে আজীবনের জন্য বিদেশে চলে যাচ্ছে।কিছুক্ষণ আগে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে।হাজার চেষ্টা করেও আটকাতে পারিনি।রোজকে….
বলেই রোজের দিকে এগিয়ে গেলো।রোজ নীরবে চোখের পানি ফেলছে।

অরিত্রের মম রোজের কাছে গিয়ে বললো,
—–তুমি কি রোজ?

রোজ মাথা নিচু করে বললো,
—–হ্যা।

তিনি রোজের কাছে মিনতি করতে লাগলো যেনো অরিত্রকে ক্ষমা করে ফিরিয়ে আনে।রোজ মাথা তুলছেনা।চুপচাপ চোখের পানি ফেলছে।এতদিন ফ্যামিলির সবাই যেভাবে ওকে সাপোর্ট দিয়েছে এখন ও কিছুতেই পারবেনা ফ্যামিলির বিরুদ্ধে যেতে।রোজ মাথা নিচু করে চোখের পানি ফেলায় ব্যস্ত।সবার দৃষ্টি রোজের দিকে।

রোজের দাদি রোজের পাপাকে বললো,
—–রোদ্দুর কিছু কর।রোজ অনেক কষ্ট পাচ্ছে।

রোজের মাম্মা রোজের সামনে গিয়ে ওর মুখ উপরে তুললো।মেয়ের চোখমুখ স্পষ্ট বলছে ও অরিত্রকে ফেরাতে চায়।রোজ মায়ের বুকে ঝাপিয়ে পড়লো।রোজের মাম্মা রোজের পাপার দিকে তাকালো।

রোজের পাপা বললো,
—–হৃদ রোজকে এয়ারপোর্টে নিয়ে যা।

রোজের মাম্মা মেয়ের চোখের পানি মুছে বললো,
—–যা।শুভ্রাকে সাথে নিয়ে যা।তাড়াতাড়ি যা নয়তো দেরি হয়ে যাবে।
বলতে দেরি রোজের যেতে দেরি হয়নি।

রোজের মাম্মা অরিত্রের বাবা-মাকে যেতে দেয়নি।তাদেরকে বলছে যাতে এখানে থাকে।তারা তাদের বুঝাপড়া করে নিবে।

হৃদ ফুলস্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে।রোজ অরিত্রকে ফোনের উপর ফোন করেই যাচ্ছে কিন্তু ওর ফোন অফ।রোজ কেদে চলেছে অপরদিকে শুভ্রা ওকে বারবার শান্তনা দিচ্ছে।

অবশেষে ওরা এয়ারপোর্টে পৌছে গেলো।এখনো লন্ডনের প্লেন ছাড়েনি।ওরা খোজ নিয়ে জানতে পারে এখনো এনাউন্সমেন্ট করে নি।এখনো অনেক সময় আছে।ওরা পুরো এয়ারপোর্ট জুড়ে অরিত্রকে খোজছে কিন্তু খোজে পাচ্ছেনা।রোজ এয়ারপোর্ট জুড়ে পাগলের মতো করছে কিন্তু অরিত্রের দেখা মিলেনি।
রোজকে হৃদ শান্তনা দিচ্ছে।ওরা অনেকক্ষন যাবত অরিত্রকে খোজে টায়ার্ড।

রোজ ভাইয়ের বুকে পড়ে কাদছে।হটাৎ শুভ্রার ঠোঁটের কোনে হাসি ফুললো।
—–রোজ পেয়ে গেছি তোর রাজাকে।

রোজ শুভ্রার দিকে তাকালো।শুভ্রা চোখ দিয়ে ইশারা করলো।অরিত্র কিসব কাগজপত্র দেখছে।রোজ অরিত্রকে দেখে কাদতে কাদতে হেসে ফেললো।অরিত্র তখনও রোজকে দেখেনি।
রোজ দৌড়ে অরিত্রের কাছে গিয়ে অরিত্রকে আচমকা জড়িয়ে ধরলো।অরিত্রকে হটাৎ কেউ এভাবে জড়িয়ে ধরায় অরিত্র চমকে যায়।

অরিত্র দুহাত উচু করে বললো,
—–আরে কে আপ…

এটুকু বলেই থেমে গেলো।কারণ ওর অনুভূতিরা বলছে এ কাছের কেউ,খুব কাছের।

রোজ মাথা তুলে বললো,
—–কি ভেবেছিলে তুমি অন্য কোনো সুন্দরী মেয়ে পাগল হয়ে তোমাকে জড়িয়ে ধরেছে?

অরিত্র কথা বলবে কি ও তো রোজকে দেখে রীতিমতো শকড।রোজ এখন এভাবে এখানে আসবে সেটা ও কল্পনাও করেনি।

—–কথা বলছো না কেন?

—–তুমি!!

—–ভূত দেখলে নাকি?

—–হ্যা তেমনই।

—–কিহ!!

—–না মানে তুমি এখানে যে?

রোজ মুখ বাকিয়ে বললো,
—–তোমাকে গুডবাই জানাতে এসেছি।আবার কখনো দেখা হয় কিনা তাই।

রোজের কথা শুনে অরিত্রের মুখ কালো হয়ে গেলো।রোজ ওকে বিদায় জানাতে এসেছে।
অরিত্র দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,
—–ওওও।

রোজ আবারো কেদে দিলো।
—–ওওও??? তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছিলে আর এখন বলছো ওওও?তোমার মতো স্বার্থপর ছেলে আমি দুটো দেখিনি।
কেন আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছিলে? আমার কত কষ্ট হচ্ছিলো জানো?

—–তুমি তো আমাকে আর চাওনা।কি করে আমি এখানে থাকতে পারি তুমিহীন।

রোজ অরিত্রকে আবারো জড়িয়ে ধরলো।তারপর বললো,
—-তুমি কোথাও যাবেনা।আমার সাথে চলো আমাদের বাড়িতে।ভয় পেওনা।তারাই আমাকে এখানে আসতে বলেছে।তোমার মম,পাপাও আমাদের বাড়িতে।মাম্মার কাছে তোমার মম ক্ষমা চেয়েছে।আর আমার মাম্মা ক্ষমা করেও দিয়েছে আই নো মাই মাম্মা।

অরিত্রের এসব শুনে অনেক খুশি লাগছে যেনো মরুভূমিতে হটাৎ করে এক পশলা বৃষ্টির দেখা পেয়েছে।

—–এহেম!এহেম!
রোজ শরম কর।বড় ভাই ভাবি এখানে আছে।
হৃদ মজা করে বললো।

রোজ মাথা তুলে বললো,
—–তোমাকে কে বলেছে কাবাবের হাড্ডি হতে?তোমার লজ্জা লাগলে দূরে সরো আমাকে ডিসটার্ব করোনা।

—–হায়রে মেরি বেহেনা!!

অরিত্র আর শুভ্রা ওদের কথা শুনে হেসে দিলো।

বাড়িতে সবাই একসাথে বসে আছে।নিজেদের মধ্যে সবটা মিটমাট করে নিয়েছে।অরিত্রের ফ্যামিলি ক্ষমা চেয়েছে।রোজ আর অরিত্র একে অপরকে ভালোবাসে তাই আর দুই ফ্যামিলির মধ্যে দূরত্ব রাখতে চায়না।
রোজ আর অরিত্রের এনগেজমেন্ট করে রাখবে।অরিত্রের পোস্ট গ্রাজুয়েশন শেষ করে বিজনেসে জয়েন করার পর ওদের বিয়ে দিবে।
২-৩বছর পরে বিয়ে হবে সেটাই ফাইনাল করে অরিত্রের বাবা-মা বাড়িতে ফিরে গেলেন।
সবাই রোজের কথা ভেবেই সব দূরত্ব মিটিয়ে নিয়েছে।তাছাড়া অকারণে এহেন দূরত্ব রাখার মানেই হয়না।

রোজ আর অরিত্র একসাথে বেরিয়েছে।
রোজ অরিত্রকে বললো,
—–তোমাকে কিন্তু পুরোপুরি ক্ষমা করিনি।

—–মানে অর্ধেক করেছো?বাকি অর্ধেকের জন্য কি শাস্তি দিবেন মাই কুইন?

—–আমাকে আজ সারাদিন ঘুরাতে হবে।

—–এরকম শাস্তি আমি হাজার বার পেতে রাজী জান।

অরিত্র ড্রাইভ করছে।হটাৎ জ্যামে গাড়ি আটকে যায়।ওরা ওখানেই বসে থাকে।অরিত্র গাড়ির গ্লাস খোলে দেয়।ওর মন অনেক ফুরফুরা।
পাশের শপিংমল থেকে দুটো মেয়ে বের হচ্ছে।ওরা আড়চোখে বারবার অরিত্রকে দেখছে।বিষয়টি অরিত্র খেয়াল না করলেও রোজ করেছে।
রোজ হটাৎ ক্ষেপে যায়।

রোজ জোরে চিতকার করে মেয়ে দুটোকে বলে,
—–ওই লুচ্চি মাইয়ারা জীবনে ছেলে দেখিস নি?এভাবে ঢেপঢেপ করে চেয়ে আছিস কেন?আমার জিনিসে চোখ দিয়েছিস কেন?চিনিস আমাকে আমি রোজ একদম চোখ গেলে দেবো।

রোজের এমন অদ্ভুত কথাবার্তা শুনে অরিত্র ভরকে গেলো।পাশের মেয়েগুলোকে দেখে ব্যাপারটা বুঝতে পেরে রোজের মুখ চেপে ধরে বললো,
—–আপুরা দুঃখীত।প্লিজ কিছু মনে করবেনা।

রোজ অরিত্রের হাত ছাড়িয়ে নিলো।তারপর বললো,
—–তুমি আমার মুখ চেপে ধরেছো কেন?
শ্বাস আটকে যাচ্ছিলো।

—–কি ভাষা এগুলো?

—–তাহলে কি করতাম?তুমি দেখোনি মেয়ে গুলো কি লুচু?
ছিহ!!ছেলেরা এভাবে তাকায় জানতাম কিন্তু ওই মেয়েগুলো?একেকটা লুচ্চি।ইমরান হাসমির গার্লফ্রেন্ড।
আমি ওদের মিক্সিং মেশিনে দিয়ে জুস বানাতাম।তুমি আমার মুখ চেপে ধরলে কেন?

অরিত্র চোখ বড়বড় করে বললো,
—–হায় আল্লাহ তুমি এত ঝগড়াটে কেন?

রোজ ভ্রু কুচকে বললো,
—-আমি ঝগড়াটে?ওহহহ বুঝেছি মেয়েরা তোমার দিকে লুচ্চির মতো চেয়ে ছিলো তোমার খুব মজা লাগছিলো তাইনা?

অরিত্র ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললো,
—–আরে আমি তো ওদের দেখিইনি।তোমার কথায় দেখেছি।

—–মিথ্যা বলছো কেন?তাহলে কি দেখছিলে?

অরিত্র মেকি হাসি দিয়ে বললো,
—–আরে আমি তো আমার রোজ কুইনকে দেখছিলাম।

রোজ অরিত্রের দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে চেয়ে বললো,
—–সত্যি?

অরিত্র সিরিয়াস ভংগীতে বললো,
—-হুম সত্যি।কতদিন পর তোমাকে এতো কাছে থেকে দেখছি।ভাবিনি কখনো আর দেখতে পারবো তোমাকে, ছুতে পারবো।

—–আমিও।ভেবেছিলাম সব শেষ।আর কখনো আমাদের পথ এক হবেনা।কিন্তু ওই যে আমাদের ভালোবাসা।আমাদের ভালোবাসার শক্তি আমাদের এক করেছে।সব ঠিক করে দিয়েছে।দেড়মাস পর আমাদের এনগেজমেন্ট।আমার ভার্সিটিতে এক্সাম পড়ে গেছে নয়তো এ মাসেই হয়ে যেতো।আমার যে কি খুশি লাগছে।

অরিত্র মুগ্ধ হয়ে রোজকে দেখছে।
—–তুমি কি সত্যিই আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছো?

—–উহু এখনো পুরোপুরি না।সারাদিন ঘুরাবে তারপর সিদ্ধান্ত নিবো।

—–যো হুকুম মহারাণী।আজ আপনার থেকে ক্ষমা নিয়েই ছাড়ব।দেখি আপনি কত ঘুরতে পারেন।

রোজ মুচকি হেসে বললো,
—–জ্বি চলুন।

.
.

হৃদ শুভ্রাকে ওর ড্রান্স স্কুলে ছাড়তে যাচ্ছে।তারপর অফিসে যাবে।
হৃদ ওর ড্রান্স স্কুলের সামনে গাড়ি থামালো।
হৃদ বললো,
—–সাবধানে নামো আর হ্যা মিস মি।

শুভ্রা মুচকি হেসে জবাব দিলো।
—–ইউ ঠু..

শুভ্রা গাড়ি থেকে নামতেই ওর দুইটা ফ্রেন্ড এসে হাজির।
এক ফ্রেন্ড বললো,
—–জিজুর সাথে মিট করাবি না?

শুভ্রা না চাইতেও হৃদকে বললো,
—-এই যে জিজু আপনার শালিকারা এসেছে মিট করতে নামুন।

হৃদ নেমে ওদের সাথে কুশল বিনিময় করছে।ওরা গল্প জুড়ে দিয়েছে।
শুভ্রার গা জ্বলে যাচ্ছে।আর না পেরে হৃদকে টেনে সরিয়ে ওদের সামনে দাড়িয়ে বললো,
—–এটা আমার বর তোদের বর না যে দিনভর গল্প করবি।যা ক্লাসে যা।বিদেয় হ।

ওর বান্ধবীরা ওর এমন কথায় অভস্ত্য তাই কিছুই মনে করে নি।কিন্তু হৃদ অস্বস্তিতে পড়লো।শুভ্রাকে টেনে নিয়ে ফিসফিস করে বললো,
—–কি বলছো এসব?মাথা গেছে?কি মনে করবে ওরা?

শুভ্রা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো,
—–জানু তোমার অফিসে দেরি হয়ে যাচ্ছে।যাও যাও তাড়াতাড়ি যাও।

হৃদ হাসবে না কাদবে।মনে মনে হাসছে।গাড়িতে উঠে বসে হাসছে।গাড়ি স্টার্ট দিয়ে শুভ্রাকে একটা হাসি উপহার দিয়ে চলে গেলো।।
হৃদ ভাবছে,
—–শুভ্রার ছোটবেলার পাগলামিগুলো আবারো দেখতে পারছি।শুভ্রা তুই এমনই থাকিস।আমার ছোবড়া হয়ে।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here