#পুনর্জন্ম?
#পর্ব_১২
#আফিয়া_আফরিন
‘তুমি এক বি’ষা’ক্ত সত্তা! তুমি ভয়ং’কর, খুবই ভয়ং’কর!
তুমি মানুষ না, তুমি বি’শ্বা’সঘা’তক।
ভালোবেসে একটা সুন্দর ঘর সাজাবার স্বপ্ন তুমি আমায় দেখিয়েছো তাওহীদ।
অবশেষে একটা সময় বিয়ে করলাম, গোপনে সবার কাছ থেকে লুকিয়ে।
সংসার শব্দটা বেশ ভারী আর জটিল। এই গু’রুগ’ম্বীর শব্দটার অর্থ বোঝার আগেই তোমার সাথে একটা সুন্দর সংসার শুরু করে দিলাম।
সবকিছু তো ঠিকঠাক মতনই চলছিলো। কিন্তু তোমার কোন ভালোবাসা ছিল না আমার প্রতি। আসলে তোমার প্রতি এতটাই মত্ত ছিলাম যে, তোমার ছোট ছোট অবহেলা গুলো কখনোই চোখে পড়েনি।
বিশ্বাস, বিশ্বাসটা ভেঙেই গিয়েছে। কিন্তু একেবারে নিঃশেষ হয়ে গেল তখন, যখন তুমি আমার পেটের সন্তানকে নষ্ট করার কথা বললে; তাকে সরাসরি অস্বীকার করলে।
অসহায়ের মতো কত রাত আমি নিঃশব্দে কেঁদেছি। এই সবটাই লুকিয়ে বিয়ে করার ফল।
পাশের রুমে ভাইয়া ছিলো, মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলতে পারি নাই।
তারা কতবার আমায় বিষন্নতার কথা জিজ্ঞেস করেছিল, শুধুমাত্র তুমি ভাইয়ার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ছিলে বিধায় আমি ভাইয়াকে তোমার কথা জানতে দেই নাই। তুমি যে তার চোখে পৃথিবীর সবচেয়ে জ’ঘ’ন্যতম মানুষ হয়ে যেতে। অয়ন ভাইয়া তোমাকে সবচেয়ে কাছের মানুষ জানে।
কিন্তু সেই কাছের মানুষটাই যদি তার আদরের বোনের জীবনে সুঁচ হয়ে ঢুকে ফা’ল হয়ে বের হয় তখন কেমন লাগবে?
মেয়ে মানুষ কি শুধুই ভোগের বস্তু? তোমাদের নিজেদের চাহিদা মেটানোর পর ছুঁড়ে ফেলে দাও। তোমাদের সবকিছুই কি শরীর কেন্দ্রিক?
যখনই তোমায় বাচ্চাটার কথা জানালাম, তখনই সাফ অস্বীকার করে দিলে। বলে দিলে, এই বয়সে আমি বাচ্চাকাচ্চার বাপ হয়ে বসে থাকতে পারবো না।
আমার আর কিছুই ভাবনার অবকাশ পেল না। মাঝ সমুদ্রে আমায় ফেলে চলে গেলে তুমি। এই দমব’ন্ধকর পরিস্থিতি আমি কাউকে জানান দিতে পারছি না। নিজের মধ্যে রেখে, নিজেকেই শেষ করতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু সেটাই বা পারছি কই? বারবার একটা মায়ায় আটকে যাচ্ছি। কিসের জন্য, অনাগত বাচ্চাটার জন্য!
আমারও তো বাঁচতে ইচ্ছে করে। কিন্তু এই পাপ নিয়ে সারা জীবন বাঁচবো কি করে? তাই মরতে চেয়েছিলাম।
যেখানে নিজের বাবা ভাইয়ের মান সম্মান রাখতে পারলাম না, সেখানে আমার বেঁচে থাকে কি হবে?
আমি খারাপ, খুব খারাপ!
তোমরা আমায় ক্ষমা করে দিও। তোমাদের অরুনিমা তোমাদের বিশ্বাস ভেঙেছে।
এত কিছু করছি, কিন্তু প্রণয় মাঝখান থেকে সব কিছুতে বাঁধা দিচ্ছে। সে জানালো সে আমায় ভালোবাসে।
হায়রে ভালোবাসা! আমি কি জীবনে আর কখনো কাউকে ভালবাসতে পারবো না বিশ্বাস করতে পারবো?
তাই প্রণয় কে জানিয়ে দিলাম বাচ্চাটার কথা।
সে বললো, চলো আমরা পালিয়ে যাই। কাউকে কোন কিছু জানানোর দরকার নাই। লোকে হয়তো দুই একটা কথা বলবে, বলুক।
তখনো প্রণয়ের কথা আমার বিশ্বাস হয়নি। বিশ্বাস ভাঙ্গা আমি, কিভাবে এই কথাগুলো বিশ্বাস করতাম?
প্রকার বাধ্যবাধকতার সাথে চলে যাচ্ছি প্রণয়ের সাথে। তাই এই শেষ চিঠিটা লিখা।
জানিনা কখনো কেউ এটা পাবে কিনা? কিন্তু তবুও নিজের পাপ মোচনার জন্য লিখে গেলাম।
ইতি
অরুনিমা!’
.
.
অয়নের দেওয়া এই চিঠিটা মৃন্ময়ী পড়ে উপস্থিত সবাইকে শোনালো। বেশ ভালো রকমের বিস্ময় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সবাই।
অরুনিমার সাথে যে তাওহীদের বিয়ে হয়েছিল এই ব্যাপারটা একদম গোপন ছিলো। কেউ জানে না।
নীরবতা থামিয়ে অয়ন বলতে শুরু করলো, ‘ময়ূরী যেদিন মারা যায়, তার দুইদিন আগে অরুর এই চিঠিটা আমি হাতে পাই। তার আগে পর্যন্ত তাওহিদের সাথে আমার গলায় গলায় ভাব ছিলো। কিন্তু সেদিন সিদ্ধান্ত নেই, ওর কিছু না কিছু একটা ব্যবস্থা করেই তারপর ছাড়বো।
তারপর ময়ূরীর ঘটনাটা যখন শুনি, তখন তো ভেবেই নিলাম এই আ’পদের বংশধ’রগুলোকে একেবারে উ’প’ড়ে ফেলবো। প্রথমে রাজিব, তারপর মোহন এবং আলিফ ও আহাদ কে আমিই খু’ন করি। পুলিশ গত কয়েকদিন যাবত খু’নিকে তন্ন তন্ন করে খুঁজছিলো। আমি নিজেই সারেন্ডার করতাম। কিন্তু তাওহীদকে মারার অপেক্ষায় ছিলাম। নাটের গুরু কে না মে’রে এত সহজে ধরা দিব আমি?
আজকে তো এই জন্যই এসেছিলাম। কিন্তু মাঝখান থেকে মৃন্বয়ী চলে এলো। এত বছর পর নিজের বোনকেও দেখলাম। আমার তো ধারণা ছিল প্রণয় ওকে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে। তাই প্রণয় আর অরু, দুজনের উপরেই রাখছিলো। ওদের আর কোন খোঁজ খবর নেই নাই দুই বছর ধরে। বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে, সেটাও জানতাম না। জানার ইচ্ছাই ছিল না। ওকে বোন বলে পরিচয় দিতেও ল’জ্জা করতো। কারণ পালিয়ে গিয়ে আমাদের মান সম্মান ডুবিয়েছে।
কিন্তু যখন অরুর চিঠিটা হাতে পেলাম, দিনের আলোর মতো চোখের সামনে সব পরিষ্কার হয়ে গেলো।
অরুনিমা কোথায় আছে, সেটা সম্পর্কে জানলে ওকে খোঁজা শুরু করে দিতাম। কিন্তু বিন্দু পরিমান ধারণাও ছিল না ওর সম্পর্কে। তাই ওকে বাদ দিয়ে, তাওহীদকে একটা চিঠি দিলাম। ওকে মা’রা’র হু’মকি দিয়ে চিঠি। আমি স্বীকার করে নিচ্ছি, প্রতিটা খু’ন আমি করেছি। কিন্তু শিশির, শিশিরের খু’নটা তাওহীদ করেছে।’
ভাইয়ের কথা শুনে অরুনিমা কাঁদছে। কিছু বলারও শক্তি পাচ্ছে না।
মৃন্ময়ী বললো, ‘এই সবকিছু যে তুমি করছো এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।’
‘অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি! ময়ূরী আমার বোনের মত ছিলো। আর একটা ভাইয়ের কাছে তার বোন সবার আগে। আর ও অরুণিমার সাথে যা করছে তা তো বলার অযোগ্য। আমার বোন কি ফেলনা নাকি, জিজ্ঞেস কর তো ওকে?’
তাওহীদ বললো, ‘তুই আমার সাথে পা’ঙ্গা নেস? তোকে ছাড়বো না আমি। আমি যা করেছি তার কৈফিয়ত কি তোকে দিতে হবে?’
মৃন্ময়ী এসে দাঁড়ালো তাওহিদের সামনে। চোখ দিয়ে যেন তার আ’গুন ঝরছে। তাওহিদ মাথা তুলে মৃন্ময়ীকে কিছু একটা বলতে যাবে তখন ই মৃন্ময়ী ওকে জোরে একটা থাপ্পড় মারলো।
উপস্থিত সবাই অর্থাৎ তন্ময়, অনুপম, অয়ন, প্রণয়, অরুনিমা, আরো বেশ কিছু উৎসুখ জনতা ওদের দিকে ফিরে তাকালো।
মৃন্ময়ী বললো, ‘এই থাপ্পড়টা মারলাম একটা মেয়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য। তার বিশ্বাস নিয়ে খেলার জন্য। ভালোবাসার নাটক করে তাকে ঠকানোর জন্য।’
তারপর অন্য গালে আরেকটা থাপ্পড় মেরে বললো, ‘এই থাপ্পড়টা নিজের স্ত্রীর ভরসা, স্বপ্ন সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্য। তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য। তার জীবনটা নষ্ট করে দেওয়ার জন্য।
তারপর অন্য গালে আরেকটা থাপ্পড় মেরে বললো, ‘এই থাপ্পরটা দিলাম একটা মেয়েকে অবলা ভাবার জন্য। মেয়ে মানুষ যে দু’র্বল নয়, এটা তুমি জেনে নাও।’
আরেকটা থাপ্পড় দিয়ে বললো, ‘ এইটা আমার বোনের জন্য। তার জীবনটা শেষ করে দেওয়ার জন্য। তাকে তার ভালোবাসার থেকে চিরদিনের মত আলাদা করে দেওয়ার জন্য।’
আক্রোশে আরেকটা থাপ্পর বসালো তাওহীদের গালে। বললো, ‘এই থাপ্পরটা দিলাম আমার সামনে আমার ভালোবাসার মানুষকে খু’ন করার জন্য। কি করেছিল ও তোর? মানুষ মারতে এতই ভালো লাগে, তোর চেলা-প্যালাদের কে মারতে পারিস না? শিশির কি করেছিলো? ইচ্ছে করে পুলিশকে আমি তোর কথা বলি নাই। তোকে আমি নিজের হাতে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম। তোর মত অ’সুরের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নাই। তোর বেঁচে থাকা মানে, হাজার হাজার মেয়ের মিথ্যে অপবাদ। তাদের বিশ্বাস নষ্ট হওয়া।’
অরুনিমা এক পলক তাকালো তাওহীদের দিকে। চোখে চোখ রেখে বললো, ‘আমার ছোটো বেলা থেকে মা ছিলো না। বাবার থেকে ভাইয়ার আদর বেশি পেয়েছি। ভাইয়া আমায় মানুষকে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে, ভালোবাসতে শিখিয়েছে। কখনো কাউকে ঘৃণা করতে শেখায়নি। কারো উপর কোন অভিযোগ না দেখে নির্দ্বিধায় মাফ করতে শিখিয়েছে। তাই তোমাকেও মাফ করেই দিলাম। কারো উপর চাপা অভিমান রাগ রেখে নিজেকে কষ্ট দিতে চাই না।’
অয়ন অরুণিমার সামনে এসে বললো, ‘আমায় ক্ষমা করে দিস অরু। তোকে ভুল বুঝেছিলাম আমি। একবারের জন্যও তোর মতামত শোনার প্রয়োজন মনে করি নাই।’
তারপর প্রনয়ের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘তুমিও আমাকে ক্ষমা করে দিও। না বুঝে, না জেনে তোমাকেও কম কথা শুনাই নাই।’
অনুপম এগিয়ে এসে বললো, ‘ অয়ন ভাই, আমাদের প্রতিশো’ধটাও তুমি নিয়ে নিলে। দোষ তুমি করলে আমরাও সেই হিসেবে দোষী। আমাদেরও শাস্তি কা’র্যকর!’
‘এই কথা বলোনা ভাই। তোমরা ভালো থেকো।’
ততক্ষণে পুলিশ চলে এসেছে। ঘটনা শোনা মাত্রই তাওহীদকে আগে এ’রে’স্ট করেছে। পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে জলিল এবং রাকিবকে এ’রে’স্ট করিয়েছে।
জমিদার সাহেব ব্যাগরা দিয়ে বললেন, ‘আমার ছেলেকে কেন অ্যারেস্ট করছেন? সব খু’ন তো চেয়ারম্যানের ছেলে করেছে। তাকে অ্যা’রেস্ট করুন।’
ইন্সপেক্টর অনিন্দিতা রায় আরেকজন অফিসার কে উদ্দেশ্য করে বললো, ‘ আহনাফ সাহেব আপনি জমিদার কেউ অ্যা’রেস্ট করুন।’
জমিদার আলী আকবর অবাক হয়ে বললেন, ‘আমাকে? আমাকে কেন? আমি কি করেছি?’
‘দয়া করে আর শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করবেন না। আপনার সমস্ত খবরই আমরা আজ সকালে পেয়েছি। আপনার যে সুদের কারবার, ক্লাব, অ’বৈধ অ’স্ত্র সবই ধরা পড়েছে। আমরা কোন প্রমাণ ছাড়া আপনাকে গ্রেফতার করি নাই। সবকিছুর প্রমাণ আমার কাছে আছে। আর আপনার ছেলের বিরুদ্ধে সব প্রমাণও রয়েছে।’
জমিদার সাহেব আর কিছু বললেন না। গ্রামের মানুষজন তাকে ছিঃ ছিঃ করতে লাগলো।
অরুনিমার কিছু বলা উচিত। অথচ সে কিছুই বলতে পারছে না। ভাইয়ের উপর এতদিন চাপা একটা ক্ষো’ভ ছিলো, আজ সেটাও ক’র্পূরের মত উবে গেলো। একটা অপরাধবোধ আচ্ছন্ন করে রেখেছে তাকে।
অয়ন অরুনিমা কে বললো, ‘ যা বাড়ি ফিরে যা। বাবা বাসায় আছে। বাবা এসব জানতো না। হয়তো জেনে গেছে এতক্ষণে, পথের মধ্যেই আছে। যা, বাবা তোকে দেখলে খুশি হবে। আর শেষবারের মতো তোর ভাইকে মাফ করে দিস।’
অরুনিমা হাউমাউ করে কান্না করে দিলো। বললো, ‘আমার জন্য, শুধুমাত্র আমার জন্য তোমার আজকের এই অবস্থা। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও ভাইয়া।’
‘তোর জন্য কে বলছে পাগলি? আমার অবস্থার জন্য যদি কাউকে দায়ী করতেই হয়, তাহলে তাওহীদের মত ন’র্দমার কী’ট গুলোকে দায়ী করবো। যাইহোক, তবে এত কিছুর মধ্যেও আমার আজকে আনন্দ লাগতেছে। তুই ভালো আছিস। এর চেয়ে বড় খুশি আর কি হতে পারে। যা এখন, এখানে আর থাকতে হবে না।’
.
.
পুলিশ অ্যারেস্ট করলো অয়ন কে। চেয়ারম্যান সাহেব তখনই এলেন। অরুনিমাকে খেয়াল করে নাই তখনও। পুলিশকে বলছিলেন, অয়নকে যাতে অ্যারেস্ট না করে। ওকে যাতে ছেড়ে দেয়।
তখন অরুনিমা ডাক দিলো, ‘বাবা।’
কতগুলো বছর পর নিজের মেয়ের মুখে বাবা ডাক শুনে পেছন ফিরে তাকালেন। বলা বাহুল্য, তার চোখ ভিজে উঠলো।
ভেজা কন্ঠে তিনি বললেন, ‘এক সন্তানকে হারিয়ে আজ আরেক সন্তানকে ফিরে পেলাম।’
ইন্সপেক্টর অনিন্দিতা রায় মৃন্ময়ী কে এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘গতকাল তুমি অস্বীকার কেন করেছিলে, তাওহীদের ব্যাপারে?’
‘আমি চেয়েছিলাম ওকে নিজের হাতে শেষ করতে। তাই আপনাদেরকে ওর কথা জানতে দেই নাই।’
‘দেশে আইন আছে। সব পুলিশ এক নয়। আর আইন কখনো নিজের হাতে তুলে নিতে হয় না।’
‘পুলিশের উপর কিভাবে বিশ্বাস রাখবো? আমার বোনের ধ’র্ষ’ণের বিচার কেউ করছে? সবাই টাকার গোলাম।’
অনিন্দিতা মৃন্ময়ী কে আশ্বস্ত করে বললো, ‘চিন্তা করো না। সবকিছুর বিচার ক’ড়ায় গ’ন্ডা’য় উসুল করবো।’
তাওহিদ আর অয়নকে যখন পুলিশ অফিসার নিয়ে যাবে, প্রণয় বাঁধা দিয়ে বললো, ‘আমার একটা কথা ছিলো।’
সবাই থামলো। প্রণয় তাওহীদের সামনে দাঁড়িয়ে বললো, ‘সেদিন রাতের কথা মনে আছে?’
‘কোনদিন?’
‘যেই রাতে তোমায় রাস্তায় ফেলে মেরেছিলাম।’
তাওহীদ বিস্ময় নিয়ে বললো, ‘ঐটা তুমি ছিলে?’
‘হুম।’
আর কোনো কথা হলো না। পুলিশ সবাই কে নিয়ে গেলো।
অনুপম চলে যাবে, সেই সময় মৃন্ময়ী ওকে ডেকে বললো, ‘ময়ূরী তোমার জন্য একটা চিঠি রেখে গেছে।’
.
.
.
চলবে…..
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ]