স্বপ্নের প্রেয়সী ? Part – 33,34

0
838

? স্বপ্নের প্রেয়সী ?
Part – 33,34
ফাতেমা তুজ
33

নাস্তা সেরে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।
হঠাৎ মনে পড়ল ফারহান ভাইয়ার দেওয়া গিফট এর কথা।
তাড়াতাড়ি বেড থেকে উঠে গিয়ে কাবাড খুলে ব্যাগটি নিয়ে আসলাম।
ব্যাগটা খোলার জন্য মন উৎখুস করছে।
আবার কেমন যেন লাগছে ও।
চোখ বন্ধ করে লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে ব্যাগ টা খুলে ফেললাম।
ব্যাগ টা এতো গুছিয়ে সেট করা কেন।
ধ্যাত
কতো গুলো পার্ট এ ভাগ করা।
বড় পার্ট টাই হাতে নিলাম, কোনো মতে নিজেকে সামলে বক্স টা খুলে ফেললাম।
রেড কালারের সাথে ক্রিম কালারের কম্বিনেশন এর গ্রাউন।
উফফফ এতো সুন্দর কেন গ্রাউন টা আর অনেক বেশি সফট ও।
গ্রাউন টা জড়িয়ে ধরে গালে ছুঁইয়ে তারপর সাইটে রেখে দিলাম।
তাড়াতাড়ি করে অন্য প্যাক টা খুললাম।
বাহহহ এটার মধ্যে কসমেটিক্স আছে।
সুন্দর একজোড়া ইয়ারিং, একটা ব্যাচলাইট , রিং আর গলার জন্য ছোট্ট একটা পেনডেন্ট ।
পুরো বেস্ট কম্বিনেশন আহহহ ।
আর একটি প্যাক বাকি আছে, খোলার আগেই বুঝে গেলাম এটা জুতো।
প্যাক টা খুলতেই বের হলো রেড সেড করা ক্রিম কালারের হাই হিল জুতো।
সাথে কিছু স্টোন ও বসানে, আমার তো এখন নাচতে ইচ্ছে করছে।
উফফফ লোকটার চয়েজ এতো ভালো কেন।
সমস্ত টা গুছিয়ে বেডের সাইটে রেখে সাওয়ার নিতে চললাম।
সাওয়ার শেষ এ আজকে আর ছাদে রোদ পোহাতে গেলাম না।
কারন কিছুক্ষণ পর ই তো বরযাত্রী যেতে হবে।
কিছুক্ষণ মাথায় ট্রাওয়াল পেঁচিয়ে রাখলাম ।
তারপর হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল গুলো ভালো করে শুকিয়ে নিলাম।
শুকানো শেষ হতে না হতে রিমি , বৈশাখি , রাত্রি, আর শিলা এসে হাজির।
আমাকে কিছু না বলেই কোনো মতে টানতে টানতে অন্য রুমে বিউটিশিয়ান আপুর কাছে নিয়ে গেল।
গিয়ে দেখি মনিকা আপু ও আছে।
আজ যেহেতু ছয় জন সাজবো তাই তিন জন বিউটিশিয়ান আপু এসেছেন।

বেশ কিছুক্ষণ পর আমাদের সবার সাজ কমপ্লিট হয়ে গেল ।
আমাকে কেউ একটি বারের জন্য নিজেকে দেখতে ও দিলো না।
তার আগেই বরযাত্রীর তাড়াহুড়ো তে টেনে বের করে নিয়ে গেল।
আমরা কার এ করে যাবো না , কারন কারে যেতে গেলে সবাই একসাথে হৈ হুল্লর করতে পারবো না।
তাই পুরো একটা বাসে আমাদের বন্ধুরা , মনিকা আপুর বন্ধুরা আর ফারহান ভাইয়াদের বন্ধুরাই গেলাম।
বাসে উঠে একটা সিটে বসতেই কোথায় থেকে ফারহান ভাইয়া আমার পাশে এসে একদম গা ঘেঁষে বসে পড়লেন।
আমি ওনার দিকে তাকিয়ে হা হয়ে আছি।
উনি কোথায় থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন।
রিমি টা ও হৈ হুল্লর করতে ব্যস্ত, কি আজব।
সবাই আমাকে ট্রেপ এ ফেলে কেন চলে যায়।
মুখ ঘুরিয়ে কোনো রকম বসে আছি, আর ফারহান ভাইয়া আমার গা ঘেঁষে ই বসে রইলেন।
এবার আমার অস্বস্তি ই হচ্ছে, বিরক্তি নিয়ে ওনার দিকে তাকাতেই চোখ জোড়া কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেল।
ক্রিম কালারের শার্ট এর সাথে রেড কালারের শুট।
হাতে ব্যান্ড এর ওয়াচ চোখে কালো ফ্রেম এর সানগ্লাস ।
আর রেড কালারের সু , চুল গুলো সেট করা , কিছু চুল কপালে এসে পড়েছে।

কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে থেকে শুকনো ঢোক গিলে নিলাম।
এমা আমি এমন বেহায়ার মতো ওনাকে দেখছি কেন।
হঠাৎ মনে পড়ল এই লোকটা আমার সাথে এতো মেচিং করে পড়ে কেন।
কেন রে ভাই তোকে কি আমি বলেছি আমার সাথে মেচ করে পড়তে।
আজকাল এই লোকটা আমাকে বেশ অস্বস্তি তে ফেলে দেয়।
লোকে কি সব ভাববে , আমার আর ওনার সাথে নাহহ না এটা হবে না।
ধ্যাত আমি যে কেন সব সময় আজে বাজে চিন্তা করি।

সব ভাবনাকে ছাড়িয়ে বাস থামলো তার গন্তব্যে ।
পা টা বেশ ব্যথা হয়ে আছে, বাস থেকে নামার সময় পা যেন নড়ছিলোই না।
তার উপর হাই হিল , সবাই একে একে নেমে গেলে ও আমি পারছিলাম না।
পা দুটো একদম অবশ হয়ে আছে।
ফারহান ভাইয়া গাড়ি থেকে প্রথমেই নেমে গিয়েছিলেন।
হঠাৎ করে ওনি গাড়িতে আবার উঠে পরলেন।
আমি ওনার দিকে অসহায় দৃষ্টি তে চেয়ে আছি।
এই বুঝি এসে কসিয়ে ঠাপ্পর দিবেন, বাস থেকে না নামার জন্য ।
কিন্তু ওনি আমার কাছে এসে ঠাপ্পর না দিয়ে পাশের সিটে হেলান দিয়ে বসে রইলেন।
আমি অবাকের চরম পর্যায়ে অবস্থান করলাম।
কিছুক্ষণ চেষ্টা করে ও হাঁটতে পারছিলাম না।
ফারহান ভাইয়া কিছু না বলেই আমাকে কোলে তুলে নিলেন।
আমি ব্যালেন্স ঠিক রাখতে গলা জড়িয়ে ধরলাম।
আজকাল ওনার সব কিছু ই কেমন যেন।
বুঝতে পারি না আমি, কি আজব।
কেউ দেখলে কি সব ভেবে নিবে , ওনার কোনো আইডিয়া আছে।
গাড়ি থেকে আমাকে কোলে করে নেমে পরতেই আমি বিশ্ব জয় করে প্রশ্ন করে ফেললাম ।
ফারহান ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম
– কেউ দেখলে আজেবাজে কথা বলবে না?
আপনি আমাকে নামিয়ে দিন।

ফারহান ভাইয়া কিছু না বলেই আমাকে নিয়ে হাঁটা শুরু করলেন।
আমি আবার বললাম
– সবাই কিহ ভাববে ।

ফারহান ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বললেন
– আমার যায় আসে না।
আমি কিছু ভুল করি নি , সো টেনশন নিবি না।

আমি আর কিছু বলতে পারলাম না।
এই টুকু বলতে পেরেছি এটাই অনেক।
আর কিছু বলতে গেলে কষিয়ে ঠাপ্পর না বসিয়ে দেন।

চুপচাপ ওনার কোলে চরেই রইলাম ।
উনি কমিনিউটি সেন্টারের ভেতরে না নিয়ে গিয়ে বাগানে নিয়ে আমাকে বেঞ্চে বসালেন।
তারপর আমার পা ধরে পা এপাশ ওপাশ করছিলেন।
উনি আমার পা ধরায় বেশ অস্বস্তি লাগছিল।
উনি বুঝতে পেরে বললেন
– তোর পা ধরায় অস্বস্তি বোধ করছিস কেন।
এটা তেমন কোনো আহামরি বিষয় না।
স্বাভাবিক হয়ে থাক, এই বলে মুচকি একটা হাসি দিলেন।

কিছুক্ষণ পর পা টা একদম ঠিক হয়ে গেল।
আমি উঠে চলে যেতে লাগলেই ফারহান ভাইয়া হেচকা টান মেরে আমাকে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলেন।
আমাকে কিছু বলতে না দিয়েই বললেন
– নিজেকে দেখেছিস আজ কে ?

আমি মাথা ঝাঁকিয়ে বললাম
– নাহহহ।

ফারহান ভাইয়া মুচকি হাসলেন ।
তারপর আমার হাত ধরে কিছুটা দূরে নিয়ে আসলেন।
আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে সামনে থাকা পর্দা টা ফেলে দিলেন।
পর্দা টা ফেলতেই বিশাল বড় আয়না চোখের সামনে ভেসে উঠলো।
আয়না তে দুজন কে দেখতে পেলাম।
কি সুন্দর লাগছে দুজন কে , ইচ্ছে হচ্ছে সারাজীবন এই দুজোন কে দেখে যাই।
এক ঘোরের মধ্যে চলে গেলাম।
ফারহান ভাইয়া কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল
– কি সুন্দর লাগছে না?

আমি আয়নার দিকে তাকাতেই লজ্জা পেয়ে গেলাম।
এমা এই সব আমি কি ভাবছিলাম।
এখানে তো ফারহান ভাইয়া আর আমি।
চোখ নামিয়ে নিতেই ফারহান ভাইয়া ঠোঁটের কোণে হাসি মেলে দিলেন।
ফারহান ভাইয়া আমাকে বললেন
– পা ঠিক আছে না ?

আমি মাথা ঝাঁকিয়ে বললাম
– হুমম।

ফারহান ভাইয়া বললেন
– তো চল সবাই এলো বলে।
ফারহান ভাইয়ার সাথে চলে গেলাম।
কমিউনিটি সেন্টারের মেইন ডোরের কাছে যেতেই দেখলাম সবাই কে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।
ফারহান ভাইয়ার বন্ধুরা আমার বান্ধবীরা , মনিকা আপুর বান্ধবী রা এক প্রকার মেয়ে পক্ষের সাথে ঝগড়া করে চলছে।
কিন্তু মেয়ে পক্ষ মানতে নারাজ, বর আসলেই নাকি ভেতরে যেতে হবে।
অগত্যা আমাদের বাইরেই দারিয়ে থাকতে হচ্ছে।
মেয়ে পক্ষের মেয়ে গুলো আমার ভাই গুলো কে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে।
কয়েকটা মেয়ে তো ফারহান ভাইয়ার দিক থেকে চোখ ই সরাচ্ছে না।
ফারহান ভাইয়ার পাশেই আমি আর রিমি দাড়িয়ে আছি।
মেয়ে গুলো ফারহান ভাইয়া কে ইমপ্রের্স করতে ব্যস্ত।
ফারহান ভাইয়া সৌজন্য মূলক হাসি ঠাট্টা করছে।
আমি এইসব নাটক দেখার জন্য আসি নি তাই ওনার পাশ থেকে একটু দূরে চলে আসলাম।
আসা মাত্র ই মিরন ভাইয়া এসে হাজির।
এসেই ঠাট্টা শুরু করে দিলো ।
– আরে বেয়াইন যে , তা আজকে তো উরে ই যাবে।

আমি কিছু না বলে সৌজন্য মূলক হাসি দিলাম।
আজববব

কিছুক্ষণের মধ্যেই চাচ্চু এসে পড়লেন।
চাচ্চু আসা মাত্র ই কনে পক্ষ স্প্রে দিয়ে বর্ষন শুরু করে দিলো।
ফারহান ভাইয়া আমাকে হালকা টান মেরে ওনার পেছনে নিয়ে নিলেন যার কারনে স্প্রে আমার গায়ে একটু ও লাগে নি।
এই দিকে সবার মেকআপ এর বারো টা বাজিয়ে দিয়েছে।
একেক জন তো পারে না শুধু জ্যান্ত গিলে খেতে।
আমি ফারহান ভাইয়ার পেছন থেকে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছি।
ফারহান ভাইয়া আমার দিকে তাকাতেই মুখ চেপে হাসলাম।
তারপর বললাম
– ঠ্যাংস।

ফারহান ভাইয়া বললেন
– ইটস মাই প্লেজার মিসেস।

আমি ব্রু কুঁচকে বললাম
– মিসেস

ফারহান ভাইয়া হাসতে হাসতে আমার হাত ধরে ভেতরে নিয়ে গেলেন।

আমি কিভাবে মিসেস হতে পারি?
মেইবি ভুলে মেরে দিয়েছেন, আর এখন ভাব নিচ্ছেন।
ইসসস ঢং দেখলে আর বাঁচি না।

চাচ্চু কে বসানো হলো।
আর তার আশে পাশে আমরা সবাই তো আছি ই।
ফাজলামি করতেই করতেই হাঁপিয়ে গেছি।
বেশ মজা হলো , অবশ্য বেটা বজ্জাত হনুমান আমার পাশেই ছিলেন।
কিন্তু ওনি ও সবার সাথে হাসি ঠাট্টা করলেন।

একটা মেয়ে এসে তো
সরাসরি বলেই দিলো।
– হে বিয়াই সাহেব।
বাইকের সিট কি খালি আছে ?
তাহলে কি আমি এন্ট্রি নিতে পারবো?

সবাই ফারহান ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছেন।
কি বলবে ফারহান সাহেব তা শোনার জন্য।
ফারহান ভাইয়া আমার দিকে একবার তাকিয়ে হালকা হেসে বিষ্ফোরন ফাটিয়ে দিলেন।
– আই হেফ গার্লফেন্ড ।
আমার চোখ গুলো তো রসগোল্লার আকার ধারণ করেছে।
কি সব বলছেন ওনি , আমার তো মাথা ঘুরছে।

সবাই ওহোহহহ বলে উঠলো।
রিফাত ভাইয়া ফারহান ভাইয়া কে চেপে ধরে বলল
– কিরে আমি জানি না কেন?
আর কে সে?

ফারহান ভাইয়া মৃদু হেসে বললেন
– তোর কাছে বলতে লজ্জা লাগে আফটার অল বলেই আর কিছু বললেন না।

রিফাত ভাইয়া ফারহান ভাইয়ার পিঠ চাপরে বলল
– ওকে সময়ের অপেক্ষায় রইলাম।

আর অন্য দিকে ঐ আপুটার অবস্থা দেখার মতো ছিল।
বেচারা দেখতে এতো সুন্দরী কিন্তু ফারহান ভাইয়া না করে দিল।

এটা দেখেই আমি হেসে যাচ্ছি।
কিন্তু মেয়ে গুলো নাম্বার ওয়ান ছ্যাছরা তা না হলে এখনো এভাবে পিছনে ঘুরঘুর করতো না আজব।

কোনে পক্ষ চাচ্চুর জুতো নিতে গেলেই আমি আর ফারহান ভাইয়া এক সাথে ধরে ফেললাম।
দুজনের চোখাচোখি হওয়াতে আমি লজ্জা পেয়ে জুতো
ছেড়ে দিলাম।
আর ফারহান ভাইয়া ও জুতো আলগা করে দেওয়াতে জুতো নিয়ে ওরা দিলো দৌড়।
সবাই ভ্যবলার মতো শুধু দেখলো।
তারপর জুতো নিয়ে আবার ঝগড়া।
সমস্ত হাসি ঠাট্টার মাধ্যমে চাচ্চুর বিয়ে কমপ্লিট হয়ে গেল।
আশ্চর্য হলে ও সত্য যে বিয়ে বাড়িতে কনে বিদায়ের সময় কেউ এক ফোটা কান্না ও করলো না।
উল্টো বর কনের সাথে সবাই নাচতে নাচতে হৈ হুল্লর করতে করতে বাড়িতে পৌছে গেলাম।
বাসায় এসে সবাই কাজে লেগে পরলাম।
কারন বাসর আমরাই সাজাবো , আলাদা লোক আনতে বারন করা হয়েছে।
কারন নিজেরা সাজালে বেশ মজা হয়।
সবাই মিলে হৈ হুল্লর করতে করতে বাসর সাজিয়ে ফেললাম।
কিন্তু ফারহান ভাইয়া সোফাতে বসে ফোন স্কল করছেন আর একটু পরপর আমায় ঝারি মারছেন।
এটা ঐ ভাবে না ঐ ভাবে কর,আরে ভাই এতোই যখন পারিস তো নিজে করে দেখা না।
অবশেষে বাসর সাজানো কমপ্লিট হলো।
বাসর সাজিয়ে হাত পা ছড়িয়ে বসে আছি।
কারন এখন শরীরে শক্তি পাচ্ছি না।
ফারহান ভাইয়া আমার পাশে এসে বসে কতো গুলো বকা দিলেন।
আমি নাকি অসুস্থ , এই শরীর নিয়ে কেন এতো হৈ হুল্লর করি।
এক গাদা কথা শুনিয়ে দিলো।
আর আমার এতে প্রচন্ড মন খারাপ হলো।
বিয়ে বাড়িতে তো সবাই মজা করে, তাই কিছু না বলে চুপ করে রইলাম। ফারহান ভাইয়া আমার দিকে একটা ড্রাক চকলেট এগিয়ে দিয়ে
ফ্যালফ্যাল দৃষ্টি তে বলল
– সরি রে।

আমি ওনার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিলাম।
উনি বোকা বনে গেলেন আর কিছুক্ষণ পরে নিজে ও হেসে দিলেন।

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

? হ্যাপি রিডিং ?

চলবে
ফাতেমা তুজ

? স্বপ্নের প্রেয়সী ?
Part – 34
______________________________

বাসর তো সাজানো কমপ্লিট এবার বউকে না, আমরা জামাই কে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিলাম।
আর বউকে বাহিরে দাড় করিয়ে রাখলাম।
আজব হলে ও এটাই সত্যি, নতুন আবিষ্কার।
মনি আন্টিকে ঢুকতে দিবো ই না।
এর জন্য টাকার পাশাপাশি বর কনে কে শর্ত ও মানতে হবে।
মনি আন্টির বাড়ি থেকে আসা সবার সাথে আবার হাসি মজা আর ঠাট্টা শুরু হয়ে গেল।
অনেকেই এসেছেন, সাথে ফারহান ভাইয়া কে প্রপোজ করা ঐ আপু টা ও এসেছেন।
আর মিরন ভাইয়া তো আছেন ই।
আমাদের শর্ত ছিলো চাচ্চু তো টাকা দিয়ে ই দিয়েছেন , কিন্তু মনি আন্টিকে আমাদের সকলের সামনে চাচ্চু কে প্রপোজ করতে হবে।
এই নিয়েই ছেলে পক্ষ আর মেয়ে পক্ষের ঝগড়া।
মেয়ে পক্ষ বলে বর কনে কে প্রপোজ করবে আর আমরা বলি কনে বর কে।
অবশেষে আমরাই জয়ী হলাম, মনি আন্টি সবার সামনে চাচ্চু কে প্রপোজ করলো।
দুজোন ই লজ্জায় লাল নীল হচ্ছিলো।
তারপর এদের দুজন কে ছেড়ে দিয়ে আমরা সবাই চলে আসলাম।
_______________________

রাত প্রায় 12 টা বাজতে চলল আজকে আমরা সবাই বাসর জাগবো।
তাই ছাদের উপর সব ডেকোরেশন করা হয়েছে।
সবাই যে যার মতো ফ্রেস হতে গেল।
আমি সোজা রুমে ঢুকে কোনো দিকে না তাকিয়ে ই দরজা লক করে দিলাম তাও লাইট অন না করেই।
সাইট টেবিলের লাইট টা জ্বালানো ছিলো।
পেছন ফিরে তাকাতেই কারো উপস্থিতি টের পেতেই ভয়ে চিৎকার করতে যাবো।
আর তখনি কেউ একজন আমার মুখ চেপে ধরলো ।
এক মুহূর্তে আমি দমে গেলাম, কারন সেই মাতাল করা পারফিউম।
ফারহান ভাইয়া আমার মুখ ছেড়ে বলল
– আর একটু হলে তো পুরো বাড়ি কে এখানে নিয়ে আসতি।
আমি মাথা নিচু করে বললাম
– আমি কি জানি আপনি এখানে।

ফারহান ভাইয়া একটা নিশ্বাস ছেড়ে বললেন
– এখন বাসায় যেতে গেলে এটা সেটা করতে গিয়ে দেরি হয়ে যাবে।
আর তদের বাসার সব রুম বুকিং ইনফেক্ট রিফাত নিজেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছে , তাই উপায় না পেয়ে তোর রুমে আসতে হলো।
আমি তোর ওয়াসরুম ইউস করতে পারি ?

আমি মাথা উঁচু করে বললাম
– আপনি আবার কবে থেকে আমার অনুমতি নেওয়া শুরু করলেন।

ফারহান ভাইয়া মৃদু হেসে আমার চোখে হালকা ফু দিলেন।
আর আমি বরাবরের মতো আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলাম ।
ফারহান ভাইয়া আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললেন
– কিছু সময় কিছু বিষয়ের জন্য অনুমতি নিতে হয়।
আর কিছু জিনিস জয় করতে হয়।
এই বলেই ওনি ওয়াসরুমে ঢুকে গেলেন।
শাওয়ার নিয়ে পুরু রেডি হয়ে ই ফিরে এলেন ।

চুল গুলো ভেজা , তাই ফারহান ভাইয়া ট্রাওয়াল দিয়ে মাথা মুছতে লাগলেন।
ট্রাউজার এর সাথে একটা ফুল হাতা ট্রি শার্ট পরেছেন।

আমি নিচু হয়েই আছি, ফারহান ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বললেন
– যাহ ফাস্ট সাওয়ার নিয়ে আসবি কিন্তু ।
একসাথেই যাবো, আর আমার পাশে বসবি।
এটা যেন ভুল না হয়, তাহলে কিন্তু খবর আছে।

আমি মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানালাম।
আমি তাড়াতাড়ি সাওয়ার নিতে চলে গেলাম।
সাওয়ার শেষে বেরিয়ে দেখলাম ফারহান ভাইয়া রুমের বাইরে দাড়িয়ে আছেন।
যাক বাবা লোকটার ঘটে বুদ্ধি আছে তাহলে।
আমি দরজা লক করে দিতে দিতে বললাম।
পাঁচ মিনিটের মধ্যে ই আসছি।
যেহেতু শীত আর ছাদে আড্ডা হবে তাই টপস এর সাথে জিন্স এর প্যান্ট আর শর্ট জ্যাকেট পড়ে নিলাম।
চুল গুলো খোলা রেখেই বের হলাম।
ফারহান ভাইয়া চুল খোলা দেখেই চোখ রাঙালেন যার কারনে চুল গুলো হালকা খোলা রেখে কাটা ব্যান দিয়ে বেঁধে নিলাম।
ফারহান ভাইয়া রিমি দের কে ও ডেকে নিয়েছেন।
সবাই এক সাথে ছাদে চলে গেলাম।
ছাদে সবাই মাদুর এর উপর ফমের বিছানা তে বসলাম।
মোট 17 জন বসলাম।
ওরা 8 জন আর আমরা 9 জন।
আমি ফারহান ভাইয়ার কথা মতো ওনার পাশেই বসলাম।
এই দিকে মিরন ভাইয়া এটা ওটা বলেই যাচ্ছে।
অবশ্য আমার আগে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর ফারহান ভাইয়া ই দিয়ে দিচ্ছন।

হাসি ঠাট্টা চলতে থাকলো, এর মাঝে মিনু স্নাসক আর কফি দিয়ে গেল।
সবাই আড্ডা দিচ্ছি, কিন্তু ফারহান ভাইয়া কে প্রপোজ করা মেয়ে টা অর্থাৎ শ্রেয়া আপু আমার দিকে একটু রাগি চোখে তাকিয়ে আছেন।
আমি ওনার রাগের কিছুই বুঝলাম না।
আমাকে বেশ কয়েকবার প্যাচ এ ও ফেললেন।
কিন্তু আমি হলাম ফারাবি যে এই পৃথিবীর কাউকে ভয় থুক্কু ফারহান ভাইয়া বাদে কাউকে ভয় পায় না।
আর না হার মানে হুওও।

শ্রেয়া আপু বেশ রেগে আছে।
ফারহান ভাইয়া এবার শ্রেয়া আপু কে ফোরন কাটলো ।
এক্সলি আমার গালফেন্ড একটু ও গায়ে পড়া মেয়ে নয়।
উল্টো ওকে আমি ধরে বেঁধে আমার কাছাকাছি রাখি।
আর ওর ভয় পাওয়া, লজ্জা পাওয়া এইসব আমি ইনজয় করি।
আমার গায়ে পরা মেয়ে একদম ই পছন্দ না।
শ্রেয়া আপু এইবার একদম দমে গেলেন।
আর আমি মুখ চেপে হাসছি।
আরে ভাই তোর সাথে ফারহান সাহেব এর ঝামেলা আমার সাথে কেন রাগ দেখাস।
যত্তসব

তারপর সবাই মিলে কয়েকটা গেইম এর নাম
ডিসকাস করা হলো।
সবার মতামত নিয়ে ট্রুথ
আর ডেয়ার খেলবো বলে ঠিক করা হলো।

কিছুক্ষণের মধ্যেই সমস্ত আয়োজন কমপ্লিট হয়ে গেল ।

বোতল ঘোরাতেই প্রথমে রিমির দিকে তাক হলো ।
সবাই ক্লেপ দিলো, রিমি কে বলা হলো ট্রুথ অর ডেয়ার রিমি তরিঘরি করে বলল
ডেয়ার ।
সবাই মিলে রিমি কে বললাম
– গান শুনাতে।
রিমি গান শুরু করে দিলো।

Pal..do pal… ki
Hi kyun hai Zindagi
Is pyar ko hai
Sadiyan kaafi Nahin

গান শেষ হলে সবাই সিটি আর ক্লেপ দিলো।
আবার বোতল ঘোরাতেই রিফাত ভাইয়ার দিকে পড়ল।
রিফাত ভাইয়া ট্রুথ নিলো।
রিফাত ভাইয়া কে কনে পক্ষ থেকে একজন বলল
– মনিকার আগে কারো সাথে রিলেশন করেছো।

রিফাত ভাইয়া ঢোক গিললো।
মনিকা আপু রিফাত ভাইয়ার দিকে চেয়ে আছে।
রিফাত ভাইয়া মেকি হাসি দিলো।
রিফাত ভাইয়া কে জোড়াজোড়ি করতেই রিফাত ভাইয়া বলল
– হুমম।
আর এই দিকে মনিকা আপু রেগে আছে।
পারে তো চোখ দিয়েই গিলে খেয়ে ফেলে।

রিফাত ভাইয়া নিজেকে সামলে বলল
– আরে আট দিনের রিলেশন ছিল।
ঐটাকে প্রেম বলে নাকি, জাস্ট মজা করে করেছিলাম।
মনিকা আপু মুখ বাঁকিয়ে বসে রইলো।
সবাই হাসতে হাসতে, আবার বোতল ঘোরানো হলো।
এবার বোতল তাক হলো শ্রেয়া আপুর দিকে।
শ্রেয়া আপু ডেয়ার নিলো, তাই সবাই ডিসকাস করে ডান্স করতে বলল।
আর শ্রেয়া আপু রোমান্টিক গানে রোম্যান্স এর বদলে হট ডান্স দিলো।
কিন্তু যাকে দেখানোর জন্য এতো কাঠ খড় ফুরালো সে একবারের জন্য তাকালো ও না।
এতে সবাই মিট মিট করে হাসছেন।
ফারহান ভাইয়ার দিকে তাকাতেই দেখলাম ওনি আমার দিকে অপলক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছেন।
আমি নিজেকে ঠিক করে বসলাম।
যার ফলে ফারহান ভাইয়ার ঘোর কাটলো।
বোতল ঘোরালে তাক হয় রানা ভাইয়ার উপর ।ওনি ও ডেয়ার পালন করেন।
আবার ঘোরালেই আমার দিকে তাক হয়।
সবাই আমার দিকে তাকিয়ে সিটি বাজানো শুরু করলো।
আমি ডেয়ার নিতে যাচ্ছিলাম আর তখনি ফারহান ভাইয়া আমাকে চোখ রাঙায় ।
যার জন্য ট্রুথ নিই, সবাই আমাকে জিজ্ঞাসা করলো
– রিলেশন করেছি কয়টা।

আমি সোজা সাপটা উত্তর দিলাম
– একটা ও না।

সবাই বলল তাহলে অন্য প্রশ্ন করা যাক।
আমি সম্মতি দিলাম।
প্রশ্ন করা হলো
– কাউকে ভালো লাগে নাকি।
আমি উত্তর দিতে
পারছিলাম না , তাই বললাম
– কখনো ভাবা হয় নি।

সবাই বলল
– এটা কেমন কথা।
আচ্ছা যাই হোক, শুনো তুমি চোখ বন্ধ করে যাকে দেখতে পাবে তাকেই তোমার ভালো লাগে।

আমি সবার কথা মতো চোখ বন্ধ করলাম।
চোখ বন্ধ করা মাত্র ফারহান ভাইয়ার মুখ ভেসে উঠলো।
ওনার শাসন , বকা, কেয়ার সমস্ত টা।
হঠাৎ আমি কেঁপে উঠলাম সবাই জিঙাসা করতেই বললাম
– তেমন না।

সবাই আবার খেলায় মনোযোগ দিলো।
ফারহান ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বাকা হাসলেন।
আমি ভাবলাম, আসলে দিন রাত এই লোকটা আমাকে জ্বালায় তাই আমার সামনে ওনার মুখ টাই ভেসে উঠেছে।
ইসসস নট সিরিয়াস ফেক্ট।
এবার মিরন ভাইয়ার দিকে তাক হতেই মিরন ভাইয়া ট্রুথ নিলেন।
মিরন ভাইয়া কে প্রশ্ন করা হলো
– কাউকে ভালো লাগে নাকি।

মিরন ভাইয়া সরাসরি আমাকে দেখিয়ে দিলেন।

সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।
আর আমি ফারহান ভাইয়া র দিকে।
ফারহান ভাইয়া আমাকে চোখ দিয়ে আসস্ত করলেন।
রিফাত ভাইয়া হেসে উঠলো।
রিফাত ভাইয়া বলল
– আরে নাহ্ ফারাবির জন্য বর তো ফারহান ঠিক করবে।

ফারহান ভাইয়া হেসে বলল
– অবশ্যই।
ওর বর কে হবে সেটা আমি ই ঠিক করবো।

সবাই আবার আড্ডা তে মেতে উঠলাম।একে একে সবার দিকেই পড়ল।
সর্বশেষ ফারহান ভাইয়ার পালা আসলো।
ফারহান ভাইয়া ট্রুথ নিলেন।
সবাই বলল
– তার গালফেন্ড কোথায় থাকে ?

ফারহান ভাইয়া অতি বুদ্ধিমান এর মতো উত্তর দিলেন।
– আমার প্রেয়সী তো আমার পাশেই আছে।

সবাই ব্রু কুঁচকে তাকালো।

ফারহান ভাইয়া হেসে বললেন
– আমার প্রেয়সী আমার অন্তরে আছে, আমার রক্তে আছে, আমার ভাবনাতে আছে।
আমার অস্বস্তি ও ছাড়া বিলীন ।
সবাই জোড়ে হাততালি দিলো।

এমন উত্তর হয়তো কেউ ই আশা করেনি।

আমি ওনার দিকে এক দৃষ্টি তে চেয়ে রইলাম।
কি সুন্দর করে নিজের প্রেয়সীর অবস্থান বর্ননা করলেন ওনি।
নিশ্চয়ই ঐ মেয়েটা বড্ড বেশি ভাগ্যবতী।

এভাবেই আমাদের ট্রুথ ডেয়ার খেলা সম্পন্ন হলো।

সবাই ফারহান ভাইয়া কে রিকোয়েস্ট করলো একটা গানের জন্য ।
সবার রিকোয়েস্ট এ ফারহান ভাইয়া রাজি হলেন আর তারপর গিটার হাতে সুর তুললেন।

Haaan ooo ooo
Hooo ooo hooo ooo
Naaa naaa naaa

Everytime i see you
See you in my dreams
Wanna make you my

Girlfriend like a drug
In my blood streams

Baby I need us need
Ya for whole my life
Wanna make you my
Girlfriend , Girlfriend
…..
…..
…..
…..

ফারহান ভাইয়া গানটা গাইছিলেন আর আর চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছিলেন।
মাঝে মাঝে চোখাচোখি হলেই আমার বেশ লজ্জা লাগছিল ।
গান শেষ হলে সবাই হৈ হৈ করা শুরু করলো।
শ্রেয়া আপু তো উঠে গিয়ে ফারহান ভাইয়ার হাত ধরে বলা শুরু করলো।
– আর একটা গান প্লিজ ফারহান , আর একটা।

ফারহান ভাইয়া বেশ বিরক্ত হচ্ছে কিন্তু তেমন কিছু বলতে পারছেন না।
আর ওনাকে এমন যাতাকলে পড়তে দেখে আমি মুখ চেপে হেসে যাচ্ছি।

ফারহান ভাইয়া কোনো মতে হাত ছাড়িয়ে বলল
– আমার প্রেয়সী এই সব নিয়ে পড়ে আমাকে বকা দিবে।
আবার কান্না ও জুড়ে দিতে পারে তাই একটু দূরে দূরে থাকো।
সবাই ফারহান ভাইয়ার কথায় ও হোওও বলতে লাগলো।
ফারহান ভাইয়া মৃদু হেসে আমার পাশে এসে বসলেন।
আর শ্রেয়া আপু বেচারার মুখ টা দেখার মতো ছিল।
হাহাহহহহ

সবাই একযোগে গান আড্ডা হৈ হুল্লর করতে লাগলাম।
তারপর বারবিও ও করা হলো, বারবিও খেয়ে সবাই মিলে আনন্দ হৈ চৈ করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম কে জানে।
সূর্যের কোমল রশ্মি চোখে পড়তেই ঘুমটা আলগা হলো।
ধীরে ধীরে চোখ খুলতেই দেখলাম আমি ফারহান ভাইয়ার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে ছিলাম।
আর ফারহান ভাইয়া এক দৃষ্টি তে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।
বেশ অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম, ইসসস আর কারো কাঁধ পেলাম না।
আশে পাশে তাকিয়ে দেখলাম সবাই ঘুম।
থাক ভালোই হয়েছে, কেউ উঠে নি।
আরমোরা ভেঙে উঠতে গেলেই , ফারহান ভাইয়া হাত ধরে নিলেন।
আমি ব্রু কুঁচকে তাকালে
ফারহান ভাইয়া হেসে বললেন
– সবাই কে টেনে তুলতে হবে।
হেল্প কর, আমি একে একে সবাই কে ডাকতে লাগলাম।
মিরন ভাইয়ার কাছে যেতেই ফারহান ভাইয়া হালকা টান মেরে দূরে সরিয়ে দিলেন।
আমি বিষয়টা বুঝতে পেরে একটু চুপ হয়ে গেলাম।
তারপর ওনি নিজেই মিরন ভাইয়া কে ডাক দিলেন।
সবাই কে উঠিয়ে , চলে গেলাম নিচে।
নাস্তা করে মিরন ভাইয়ারা বেরিয়ে পড়বেন।
শুধু একজন আপু থাকবে মনি আন্টির সাথে।
তাই সবাই ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে নিলাম।
তারপর কিছুক্ষণ মিরন ভাইয়ারা আমাদের সাথে আড্ডা দিয়ে বেরিয়ে গেলেন।
এদের সবাই কে বিদায় জানিয়ে রুমে যাবো ।
তখনি ফারহান ভাইয়া আমাকে হেচকা টান মেরে বাসা থেকে বের করে নিলেন।

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

? হ্যাপি রিডিং ?

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here