স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2,03,04

0
1041

#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2,03,04
#ফাতেমা_তুজ
#part_3

থম থমে মেজাজে বাগানে দাড়িয়ে আছে ফারাবি।
ওর সাথে যেই কথা বলতে আসছে তাকেই ধমকে দিচ্ছে।
অথচ ফারহানের সামনে টু শব্দ অব্দি করতে পারে নাহহ ওহহ।
পুরো বাগান টাকে এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যেন স্বপ্নপুরি।
রঙিন আলোয় ঝলমল করছে সব টা।
চারিদিকে নানান মানুষের সমাগম।
যে যার মতো ব্যস্ত , কেউ বা জুস হাত কেউ বা সেলফি নিতে।
আজকাল সেলফি হলো যে কোনো occasion এর মূল কার্য।
কাজ কম সেলফি বেশি।
ফারাবি ধুম করে শ্বাস ফেলল।
যেন ভেতর থেকে চিরে দীর্ঘশ্বাস বের হচ্ছে।

বাসার কেউ ই জানে নাহহ ফারহান যে দপুরেই এসে গেছে।
সবাই অপেক্ষা করছে ফারহানের জন্য।
ফারহান কে রিসিপ করার জন্য ফরহাদ চৌধুরী লোক পাঠিয়েছেন বেশ কিছুক্ষণ ।
একটু আগে রাফাজের সাথে ফারহানের কথা হয়েছে।
ফারহান রাস্তায় আছে , ফারাবির মাথায় আসছে নাহ ফারহানের এই রকম কান্ডের কারন।
সব কেমন গড়মিল পাকিয়ে যাচ্ছে।
বাসায় এসে ও ফারহান আবার এয়ারপোর্ট এ কেন গেল।
ফারাবির ছোট্ট মস্তিষ্কে এই শক্ত পোক্ত বিষয় টা ঢুকছে নাহ।
ফারাবি সমস্ত চিন্তা বাদ দিয়ে সবার মতো কাঙ্খিত ব্যক্তি টির জন্য ঝুঁকে রইলো।
তবে তফাত একটাই সবাই খুশি তে আর ফারাবি ফারহান কে গালি দিতে।
আধ ঘন্টায় কয়েক শ গালি দেওয়া শেষ।

হঠাৎ আতশবাজির শব্দে পরিবেশ গমগমা হতে লাগলো।
আতশবাজি শূন্যে উঠে গিয়ে ওয়েলকাম টু ডিয়ার ফারহান আকার ধারন করছে।
যার দরুন সবাই বুঝে গেল ফারহানের গাড়ি এসে পরেছে।
ফারাবি ভেঙ্চি কেঁটে বুকে হাত গুঁজে চোখ বাকিয়ে দাড়িয়ে রইলো।
সবাই চকচকে চোখে তাকালে ও ফারাবির চোখ থেকে আগুন ঝরছে।
যেন এই দাবানলে ফারহান কে ধ্বংস করে দিবে।
কিন্তু সে কি জানে এই চোখের ভয়ার্ত চাহনি তেই কবে জ্বলে পুরে ছাই হয়ে গেছে ফারহান।
ফারাবি কোনো কালেই বুঝতে পারে না ফারহান নামের হনুমান টার জন্য সবার এতো আদিখ্যেতা কেন ?

ব্লু কার থেকে ফরমাল লুকে বের হচ্ছে ফারহান।
পরনে ব্ল্যাক শুট যার একটা বোতাম ও লাগায় নি।
ভেতরে থাকা ডেমিনের টি শার্ট ভেদ করে মেদ হীন বডি স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
তার কারনে আর ও বেশি আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে ফারহান কে।
ভ্রু টা বাকানো , ঠোঁটে রহস্যময় হাসি চোখের সানগ্লাস টা বুকে স্থান পেয়েছে।
স্লিকি চুল গুলো মৃদু বাতাসে দোল খেয়ে যাচ্ছে।
ফারহান যতো টা এগোচ্ছে ফারাবির বুক ধুকপুক ততো বেড়ে চলছে।
ফারহান কে ফুলের সংবর্ধনা জানানো হচ্ছে।
ফুল গুলো ও বেহায়ার মতো ফারহানের গায়ে লেপ্টে যাচ্ছে।
যেন ওর গাঁয়ের সাথে লেগে থাকার জন্য ওদের সৃষ্টি ।
যার দরুন ফারাবি ভ্রু কুঁচকে তাকালো।
ফারহানের দৃষ্টি সবার মাঝে হলে ও মনদৃষ্টি শুধু তার প্রেয়সীর দিকেই।

ফারাবি আনমনে ফারহান কে গালি দিচ্ছে।
ফারহান বাঁকা হেসে ফারাবির কাছে এসে নিজের চুলে হাত দিয়ে মিনমিনিয়ে বলল
_ বকলে ও সমস্যা নেই।
সবটাই আমার

ফারহান আর এক মুহূর্ত না দাড়িয়ে সবার সাথে ভেতরে চলে গেল।
ফারাবি থম মেরে গেল।

ফারহান কেন তার পেছনেই পরে আছে ?
এইসবের মানে কি ?
এগুলো করে কি প্রমান করতে চায় ওনি ভালোবাসেন।
এ কেমন ভালোবাসা যার প্রতি কোনো খেয়াল ই নেই।
ভালোবাসা দেখায় অথচ তিন বছরে কোনো খোঁজ ও নেয় নি।

ফারাবি তাচ্ছিল্য হাসলো।
সে আর ভয় পাবে না ফারহান কে।
যতোটা সম্ভব ইগনোর করে চলবে।
কোনো অধিকার নেই ওনার।

ফারাবি উপর দিকে তাকিয়ে চোখের পানি আটকে ধরলো।
কিছুক্ষণ গেটের কাছেই দাড়িয়ে থেকে ভেতরে চলে গেল।

*
জয়েন Fatema’s story discussion ?
And follow Fatema tuz – ফাতেমা তুজ ?

অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে।
ফারহান সবার সাথে দাড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলছে।
কিছু মেয়ে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে ওকে।
ফারাবি ভেঙ্চি কেঁটে সেখান থেকে চলে গেল।

যেতে যেতে একা একাই বির বির করতে লাগলো।
_ ভাব দেখলে আর বাঁচি নাহহ।
উফফ আসছেন কোন নবাবপূত্রুর রে। যত্তসব এই বজ্জাত হনুমান টাকে নিয়ে সবাই নাচা নাচি শুরু করে দিয়েছে।
ইচ্ছে তো করে বেটার ঘাড় টা ধরে

বাকি টুকু আর বলতে বলতে পারলো নাহহ।
তার আগেই ফারহান এসে ফারাবি কে হেচকা টান মেরে বাড়ির পেছনের দিকে নিয়ে গেল।
একটু দূরে কিছু মানুষ দাড়িয়ে থাকলে ও ফারাবি কিছু বলতে পারছে নাহহ।
কেউ ওদের এভাবে দেখলে ও বিপদ।
পুরো অনুষ্ঠানে ই কেলেঙ্কারি রটে যাবে।
ফারাবির ছোট্ট মস্তিষ্ক ভয়ে নেতিয়ে যাচ্ছে।
সামনে ও বাঘ পেছনে ও বাঘ কি করবে ওহহ।
ফারাবি এক হাত দিয়ে ফারহানের হাত ছাড়াতে ব্যস্ত।
কিন্তু বরাবরের মতোই ব্যর্থ সে।
ফারাবি কে টেনে বাসার একদম পেছনে নিয়ে এসেছে।
এখানে কোনো মানুষ নেই , একটু দূরে লাইট জ্বলে আছে।
যার দরুন সব কিছু স্পষ্ট।

ফারহান ফারাবি কে ছিটকে ফেলল।
ফারাবি নিজেকে সামলে নিয়ে ফারহানের দিকে দৃষ্টি দিয়ে দাড়িয়ে রইলো।
ফারহানের চোখ দুটো রক্তবর্ন ধারন করেছে।
সাথে রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে যাচ্ছে।

ফারহানের দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে গেল ফারাবি।
জড়োসড়ো হয়ে দাড়িয়ে রইলো।

ফারহান দাঁত কিড়মিড় করতে করতে বলল
_ শরীরের ভাঁজ দেখানোর খুব শখ ?

ফারাবি থম মেরেই দাঁড়িয়ে রইলো।
ফারহান ফারাবির দু বাহু চেপে ধরে রগরগা কন্ঠে বলল
_ কথা আসছে না কেন ?
শরীর দেখানোর জন্য পার্টি টে এলাও করেছি তোকে ?
মসৃন তুলতুলে পেট দেখিয়ে কি প্রমান করতে চাইছিস ?
তুই খুব হট ?

ফারহানের প্রতি টা কথায় রাগ স্পষ্ট।
যেন ফারাবি কে এখনি মেরে দিবে।
ফারাবি ছলছলে নয়নে তাকিয়ে রইলো।
ফারহানের কোনো কথাই তার বোধগম্য হচ্ছে নাহহ।

ফারাবির চোখের কোন ঘেঁষে এক ফোঁটা পানি ফারহানের হাতে গিয়ে পরলো।

ফারহানের রাগ আর ও বেড়ে গেল।
ফারাবির দু বাহু আর ও শক্ত করে চেপে ধরে বলল
_ হাউ কুড ইউ ?
আমি বার বার বলি চোখ থেকে যেন এক ফোঁটা পানি না ঝরে।
তোর সাহস কি করে হয় ?

ফারাবি ভয় পেয়ে গেল , হাতে বেশ ব্যাথা পাচ্ছে এতো জোড়ে ধরেছে যে ডিজাইন করা হাতা টার ফাঁক দিয়ে ফারহানেয নখ দিয়ে খানিকটা ছিলে ও গেছে।
ফারাবি ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলো।
ফারহানের কানে সে শব্দ যেতেই ফারাবি কে ছেড়ে খানিকটা দূরে চলে গেল।
মাথার চুল খামচে ধরে রাগ সংবরন করে ফারাবির কাছে আসলো।
ফারাবি ভয় পেয়ে খানিক টা পিছিয়ে গেল।
ফারহান অসহায় মুখ করে বলল
_আম সরি।
আমি Hurt করতে চাই নি তোকে।

তুই কেন বুঝিস নাহহ, আমার রাগ হয় যেটা সেটাই কেন করিস ?

ফারাবি ডুকরে কেঁদে উঠলো।
ও কি করেছে তার এক চুল ও বুঝতে পারছে নাহহ।

ফারহানের ইচ্ছে হচ্ছে নিজের গালে নিজেই চর বসিয়ে দিতে।
এর জন্যই তিন টে বছর দূরে ছিলো।

ফারহান শান্ত দৃষ্টি নিয়ে ফারাবির দিকে এগিয়ে গেল।
ফারাবি ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো।
ফারাবি যখন এভাবে কাঁদে তখন তার ঠোঁট গোল আঁকার ধারন করে।

ফারহান আগাতেই ফারাবি পিছিয়ে গেল।
ফারহান দু হাত দিয়ে আশ্বস্ত করে বলল
_ কাম ডাউন। আমি আর কষ্ট দিবো নাহহ।

ফারাবি তবু ও কেঁদে যাচ্ছে।
ফারহান ফারাবি কে নিজের দিকে ঘুরিয়ে হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলো নখের আঁচড়ের কারনে রক্ত বের হচ্ছে।

ফারাবির হাত ধরে
পেছনের গেট দিয়ে বাসার ভেতরে নিয়ে আসলো ফারহান।
নিজের রুমে এনে দরজা লক করে দিলো।
যার কারনে ফারাবি বেশ ভয় পেয়ে গেল।
আজকাল ফারহান কে এক বিন্দু ও বিশ্বাস হচ্ছে নাহ ফারাবির। কখন কি করে বসে, নিজের রাগ দেখাতে গিয়ে তিন বছর আগে ভাবতেই ফারহানের ধমক পরলো।
ফারাবি ভয় পেয়ে চুপ হয়ে দাড়িয়ে রইলো ।
ফারহান চোখ দিয়ে ইশারা করতেই ভদ্র মেয়ের মতো বেডের উপর বসে পরলো।
এখনো একি ভাবে কেঁদে যাচ্ছে ফারাবি।
একটা সেভলন আর তুলোর বল এনে ফারাবির কাছে হাঁটু গেড়ে বসে পরলো ফারহান ।

ফারাবি নাক ফুলিয়ে অন্য দিকে মুখ করে নিলো।
ফারহান আলতো হাতে ফারাবির হাত ,তুলোর বলে সেভলন লাগিয়ে পরিষ্কার করতে লাগলো।
কাঁটা জায়গায় সেভলনের ঝাঁঝ লাগতেই ফারাবি উঁহু করে উঠলো।
ফারহান আস্তে করে ফু দিয়ে মলম লাগিয়ে দিলো।

ফারাবি চোখ মুছে উঠে চলে যেতে নিলেই ফারহান হাত আটকে ধরলো।
ফারাবি চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে রইলো।
ফারহান আলতো হেসে ফারাবির দু গালে হাত রেখে অনুযোগের স্বরে বলল
_ আম সরি।

ফারাবি মাথা ঝাঁকিয়ে চলে যেতে নিলো।
কিন্তু ফারহান হেচকা টান মেরে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো।
ফারাবি শুকনো ঢোক গিলতেই ফারহান বাঁকা হাসলো।
যার কারনে ফারাবির ভয় আর ও বেড়ে গেল।
ফারাবির কোমর এক হাতে জড়িয়ে আলতো করে লেহেঙ্গার ঘেরা টা উপরে উঠিয়ে দিলো ফারহান।
ফারাবি বুঝতে পারলো ফারহান কেন এতো রাগ করেছিলো।
এখন ফারাবির বেশ লজ্জা লাগছে।
ফারহানের হাতের ছোঁয়া লাগতেই ফারাবি শিউরে উঠলো।
না চাইতে তো ফারাবির দু হাত ফারহান কে খামচে ধরলো।
ফারহান মুচকি হেসে ফারাবি কে খানিক টা উচু করে ধরলো।
দুজনের মাঝে কোনো দুরুত্ব ই নেই।

ফারহান ফারাবির নাকে নাক ঘষতে ঘষতে বলল
_ আই মিস ইউ জান।

ফারাবি চমকে তাকালো। নিজেকে ফারহানের এতো কাছে ভাবতেই লজ্জায় লাল হতে লাগলো।

ফারহানের উষ্ণ ঠোট ফারাবির চোখে ছুঁইয়ে দিতেই ফারাবি চোখ বন্ধ করে নিলো।
প্রতি টা হার্ট বিট দ্বিগুন উত্তেজনা নিয়ে চলছে।
ফারহান আবার ও ফারাবির ব্লাউজ এর জিপ খুলে দিলো।
ফারাবি চমকে তাকালো, ফারহান রাগি কন্ঠে বলল
_ পিঠের অর্ধেক অংশ তো দেখাই যাচ্ছে তাই পুরো টাই খুলে দিলাম।
ফারাবির ভীষন লজ্জা লাগছে।
এখন তার রাগ করার কথা থাকলে ও সে লজ্জায় নুইয়ে পরছে।
ফারহান জিপ লাগিয়ে দিয়ে ফারাবির খোঁপা খুলে দিলো।
সঙ্গে সঙ্গে ফারাবির ঘন চুল গুলো পুরো পিঠ জুড়ে পরলো।
ফারহান শক্ত গলায় বলল
_ চুল যেন খোলাই থাকে।
আর ডিনার কমপ্লিট করে সোজা রুমে চলে আসবি।

ফারাবি অনিচ্ছা থাকা সত্তে ও মাথা ঝাঁকালো।
ফারহান শান্ত কন্ঠে বলল
_ এবার যাহহ।

ফারাবি দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে লাগল।
কিন্তু ফারহান শক্ত গলায় বলল
_ আর একটা কথা।

ফারাবি থেমে যেতেই ফারহান ফারাবির কাছে এসে ধীর কন্ঠে ফিসফিস করে বলল
_ এই যে হাতের আঁচড় টা এটা আড়াল করে রাখিস।
না হলে পরে আমাকেই এসে বলবি আপনার চরিত্রের দোষ আছে।
এই আঁচড় অনেক কিছু বুঝায়।
আর যখন তখন লজ্জায় পরতে পারিস। বড় দের সামনে পরলে তো যাহ হবার তা হয়েই যাবে।

ফারাবি প্রথমে না বুঝলে ও পরে কথা টা বুঝতে পারলো।
ফারাবির চোখ জোড়া রসগোল্লার আকাড় ধারন করলো। ফারহানের মুখে কোনো কথা আটকায় নাহ।
ফারাবি আর এক মুহুর্ত ও দেরি না করে দ্রুত দরজা খুলে বের হয়ে গেল।
ফারাবি চলে যেতেই ফারহান বিগলিত হাসতে হাসতে বেডের উপর বসে পরলো।
মেয়েটা নিজেকে শক্ত করতে চাইলে ও পারছে না ফারহানের সামনে।
বার বার লজ্জায় আর ভয়ে নুইয়ে যাচ্ছে।

ফারহান দু হাত মেলে দিয়ে বলল
_ আই মিস ইউ জান , মিস ইউ ।
বুকের ভেতর টা কেমন যেন করে।
তোকে আগলে না রাখলে বিষাক্ত মানুষ গুলো যে তোর দিকে শক্ত নজর ফেলবে।
আর ফারহান তার জানের দিকে নজর দেওয়া পছন্দ করে নাহহ।
আর তার জন্য ই তো তোকে নিজের বুকে আগলে রাখতে চাই।

তুই শুধু আমার , খুব তাড়াতাড়ি সেটা সবাই কে জানানোর ব্যবস্থা করছি আমি।

বলতে বলতেই ফারহান রহস্যময় হাসলো।
বেশ কাঠ খড় পোড়াতে হবে, তবু ও প্রেয়সী যেন তার ই থাকে।
অবশ্য চাইলে ফারাবি কে ওর থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে নাহহ।
ফারাবি শুধুই ফারহানের।

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।

হ্যাপি রিডিং

চলবে

#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2
#ফাতেমা_তুজ
#part_4
#post_time_রাত_12_49

ডিনারে বসে ডিনারের অর্থ টাই যেন ভুলে গেছে ফারাবি।
খাবার নিয়ে বসে আছে অথচ খাবার গলা দিয়ে যাওয়া তো দূরে থাক মুখে তুলে ও দেখছে নাহহ।
ফারহানের দৃষ্টি ফারাবির দিকে নিবদ্ধ । যেন চোখ দিয়ে আগলে রাখাই তার এক মাত্র লক্ষ্য।
ফারাবি কোনো মতে শ্বাস নিয়ে একটু সুপ মুখে তুলতে যেতেই ফারহান ফারাবির হাত ধরে ফেলল।
ফারাবির সাথে সাথে সবাই অবাক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে।
ফারহানের টাইমিং এতো টাই ভালো ছিল , যেন ফারাবির খাবার মুখে তোলার ই অপেক্ষায় ছিলো সে।

সবাই এখনো তাকিয়ে আছে কেউ কেউ তো ভ্রু কুঁচকে ও নিয়েছে।

ফারহান ফোঁস করে শ্বাস ফেলে শক্ত গলাতে বলল
_ এটা কি খাচ্ছিস ?

ফারাবি তুতলিয়ে বলল
_ সুপপ

ফারহান ফারাবির হাত ছেড়ে দিয়ে রিফাতের দিকে তাকালো।
রিফাত বিষয়টা বুঝতে পারছে নাহহ ঠিক।
ফারহান দীর্ঘশ্বাস টেনে নিয়ে সুপের বাটি নিয়ে রিফাতের পাশে বসলো।
রিফাত জিজ্ঞাসা দৃষ্টি তে তাকাতেই ফারহান সুপের বাটি তে চামচ ঘোরাতে ঘোরাতে বলল
_ এই সুপে কি কি আছে ?

রিফাত তপ্ত শ্বাস ফেলে বলল
_ এটা তো দেখাই যাচ্ছে , ঘটা করে বলার কি আছে ?

_ উহুহু তুই বল একটু।

_ চিকেন , বেবি কর্ন , নাট , শিম্প , মশলা টসলা

_ আর কিছু ?

_ আর কি ? ওহহ হ্যাঁ মাশরুম ও তো ,,বলেই রিফাত মেকি হাসলো।

ফারহান সুপের বাটি টা টেবিলে রেখে বুকে হাত গুঁজে বলল
_ ডাফার , কেমন ভাই হইছিস ?

রিফাত ফারহান কে চোখ টিপে বোঝালো ম্যানেজ করতে।
ফারহান মুখ বাঁকিয়ে ফারাবির দিকে তাকালো।
ফারাবি অবাকের চরম পর্যায় আছে।
সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে , ভাগ্যিস বড় রা কেউ নেই ।
না হলে আজ এটা নিয়ে একটা হুলুস্থুলু হয়েই যেত।

ফারহান ধীর পায়ে এগিয়ে সামান্য কেশে বলল
_ মাশরুম খেতে চাচ্ছিস তুই ?

ফারাবি নাক কুঁচকে বলল
_ এহহ

_ এহহ নয় হ্যাঁ ?
মাশরুম খাবি নাকি ?

ফারাবি মুখ টা মলিন করে নিলো।
সে নিজেই ভুলে গেছে মাশরুমে তার এলার্জি।

ফারহান বাঁকা চাহনি দিয়ে বলল
_ আজকের সব খাবারেই মাশরুমের ছোঁয়া আছে।
আর সবাই ভুলে গেছে মাশরুমে তোর আর আমার এলার্জি।

ফারাবি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে দাড়িয়ে রইলো।
যার কারনে ফারহান বিরক্ত হলো।
ফারহান ভ্রু কুঁচকে বলল
_ পাঁচ মিনিটের মধ্যে খাবার চলে আসবে চল আমার সাথে।

ফারাবি মুখ ছোট করে বলল
_ নাহহ আমি যাবো নাহহ।

_ ঐ যাহহ,, না খেয়ে থাকবি নাকি।
ফারহান তো খাবার অর্ডার করেছেই।

_ ভাইয়া আমি

_ এ কেমন কথা ফারাবি। তুই কি সারা রাত না খেয়ে কাটাবি নাকি।

_ মনিকা আপু আমি তো

_ কোনো কিন্তু নয় যাহহ ভাইয়ার সাথে। আসলে ভাইয়া তো তিন বছর বাসায় নেই তাই সবাই ওর এনার্জির বিষয় টা ভুলে গেছে সাথে তোর ওহ।

_ রিমি তুই ও চল।

_ খাচ্ছি আমি , আর মাশরুম আমার ফেবরেট।
প্লিজ জানু আমাকে যেতে জোর করিস নাহহ।

ফারহান শ্বাস ফেলে এগিয়ে গেল। সবার জোড়াজোড়ি তে ফারাবি ফারহানের পেছনে আসা শুরু করলো।
সবার দৃষ্টির আড়াল হতেই ফারহান ফারাবি কে টেনে সাইটে নিয়ে গেল।
ফারাবি হাত মুচরাতে মুচরাতে বলল
_ ছাড়ুন।

_ কেন ? আশে পাশে ভালো লাগছিল ?
ড্যাপ ড্যাপ করে তোর দিকে তাকিয়ে ছিলো দুটো ছেলে।

ফারাবি অবাক হয়ে বলল
_ তো আমি কি করতাম ?

ফারহান নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করে বলল
_ চুপপ আর একটা কথা ও নাহহ।

ফারাবি নুইয়ে গেল , ফারহানের প্রতি টা কথাই যেন ফারাবির উপর দ্বিগুন এফেক্ট ফেলে।
ফারহান মৃদু হেসে ফারাবির কপালে আঁচড়ে পরা চুল গুলো কানের পিঠে গুঁজে দিয়ে বলল
_ চল , আমরা একসাথে ডিনার করবো।
ইউ নো জান কত শত রাত আমি একা কাটিয়ে ছি এবার তো আর বলেই ফারহান ডেভিল স্মাইল দিলো।

ফারাবি শুকনো ঢোক গিলে বলল
_ কিহহ

_ কিছু নাহহ চল এবার।
ক্ষিদে পেয়েছে খুব , যখন তখন তোর উপর এটার্ক করে দিতে পারি।

ফারহানের কথা টা ফারাবির বোধগম্য হলো নাহহ।
ফারাবি বির বির করতে লাগলো।
এ কোন ছাগল তার জীবনে চলে এসেছে কে জানে।
জীবনের সুখ গুলো বোধহয় ত্যানা ত্যানা হয়ে গেল।
যেমন টা হয়েছিল তিন বছর আগে।
ভাবতেই ফারাবির শরীরে কাঁটা দিচ্ছে।
একটা ভুলের এতো বড় শাস্তি দিয়েছিল ফারহান, সামনে যা হতে চলেছে তার জন্য কি শাস্তি পেতে হবে ওকে ?
ফারাবা শুকনো ঢোক গিলে নিলো।
হঠাৎ ই এক ঠান্ডা বাতাস এসে এলোমেলো করে দিলো সব।
ফারাবির বুকের ভেতর থেকে দীর্ঘশ্বাস আর ঘৃনা বের হলো।
যার কারন শুধু মাত্র ফারহান।
ফারাবির চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো।
ছুটে চলে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে তার কিন্তু ফারহান নামের অভিশাপ তাকে জড়িয়ে আছে।
এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায় ফারাবির জানা নেই।

*

সামনে খাবার সাজানো রয়েছে , পেটে ইঁদুর খেললে ও
ফারাবি চুপ করে বসে আছে।
ফারহান কোথাও একটা গিয়েছে।
বাগানের পেছনের দিকটায় ছোট্ট টেবিল টা কে লাইটিং আর আর্টিফিশিয়াল ফুলের জন্য অসাধারন দেখাচ্ছে।
পুরো candel light ডিনার শুধু অনুপস্থিত ক্যান্ডেল এর।
ফারাবি ভারী নিশ্বাস ফেলল , পরিবেশ টা কেমন শান্ত দেখাচ্ছে।
সবাই হয়তো অতিথি দের বিদায় জানাতে ব্যস্ত।

ফুল নিয়ে হাজির হয়েছে ফারহান।
ফারাবি কে ভাবলেশহীনভাবে ভাবতে দেখে অধর কোনে হাসি ফুটিয়ে নিলো ফারহান।
টেবিলের সাইটে ফুল গুলো রেখে মিনমিনিয়ে বলল
_ কিসের অভাব বোধ করছিস ?

ফারাবি আনমনে উত্তর দিলো
_ ক্যান্ডেলের।

_ আচ্ছা তাহলে সেটা ও হয়ে যাক।

ফারাবি সামান্য ভ্রু কুঁচকে পেছন ঘুরে তাকালো।
ফারহান কে দেখে চমকে উঠলো।
এতোক্ষন ধ্যানের মাঝে ছিলো সে।ফারহান হাসতে হাসতে চেয়ার টেনে বসলো।
ফারাবি বিরক্তিকর শব্দ করে ফিস ফিসিয়ে বলল
_ যত্তসব।

ফারহান ভ্রু কুঁচকালো, ফারাবির অধরের নড়াচড়া দেখে ই ফারহান বলে দিতে পারে ফারাবি কি বলছে।
ফারহান সামান্য জড়োসড়ো হয়ে বসলো।
ফারাবি এখনো গালে হাত দিয়ে অন্য দিকে ফিরে আছে।
ফারহান গম্ভীর গলায় বলল
_ গালে হাত দেওয়া মন খারাপের লক্ষন ।
তবে কারো জামাই মরে গিয়ে থাকলে সে দিতেই পারে।

ফারাবির কানে কথা টা পৌছাতেই ফারাবি দু গালে হাত দিয়ে বসে রইলো।
ফারহান হতচকিয়ে বলল
_ দু গালে হাত দিয়েছিস ইউ মিন

ফারহান কে আর বলতে না দিয়েই ফারাবি হাত নামিয়ে নিলো।
ব্যস্ত কন্ঠে বলল
_ আমার ক্ষিদে পেয়েছে।

ফারহান নরম দৃষ্টি রেখে বলল
_ একটু ওয়েট।

ফারাবি মুখ গোমড়া করে বসে রইলো।
ফারহান বুক পকেট থেকে লাইটার বের করে মোম জ্বালিয়ে নিলো।
ফারাবি সামান্য চমকে তাকালো।
কেউ এসে পরলে কি ভাববে ?
ফারহান মিষ্টি হেসে বলল
_ সবাই অতিথি সেবাতে ব্যস্ত।

ফারাবি মুখ বাঁকালো, মনে মনে কিছু ভাবা ও যায় নাহ।
এই মনো বিজ্ঞানী সব জেনে যায়।
ফারাবি চরম বিরক্ত হচ্ছে।

ফারহান মৃদু স্বরে আবেগ ঝরা কন্ঠে বলল
_ ফারাবি একটু তাকাবি প্লিজ।

মুহুর্তেই ফারাবির চোখ জ্বলজ্বল করে উঠলো।
অধর কোনে ফুটে উঠলো খুশির ঝলকানি। কেন হাসলো ফারাবি তা জানে নাহহহ । তবে হঠাৎ ই মনের কোনে ভালো লাগা কাজ করছে ।
ঝরা হেসে ফারাবি তাকালো , ফারহান নেশাক্ত চোখে তাকিয়ে রইলো।
ফারাবির চোখ ফারহানের দিকে যেতেই ফারাবির অন্তর আত্মা কেঁপে উঠলো।
মোমের নরম আলোতে ফারহানে চোখ দুটো স্পষ্ট।
কি আশ্চর্য এ চোখের ভাষা মুহুর্তেই পড়ে নিলো ফারাবি।
বুকের ভেতর ধিম ধিম করতে লাগলো।
ফারাবি অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো।
দু হাতে চেয়ার চেপে ধরলো। বুকের ভেতর কেউ যেন ঢোল বাজাচ্ছে, ফারাবি ধাতস্থ হতে করুন স্বরে বলল
_ কিছু বলবেন ?

ফারাবির ভয়ার্ত কন্ঠে ফারহানের ধ্যান ভাঙ্গলো।
ফারহান সরস হেসে বলল
_ নাহহ তেমন কিছু নাহহ।

হঠাৎ কেন জানি ফারাবির লজ্জা লাগছিলো।
এক রাশ লজ্জা নিয়ে টেবিলের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো।
টেবিলে রাখা অর্কিড আর কালো গোলাপ দেখে ফারাবি লাফিয়ে উঠলো।
ভুলে গেল তার সামনে থাকা মানুষ টির কথা।
ভুলে গেল অতীতের বিষাক্ত স্মৃতি।
ফুল গুলো বুকে নিয়ে চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিলো ফারাবি।

ফারহান উজ্জ্বল হাসলো , ফারাবির বাচ্চামি গুলো এখনো আগের মতোই রয়ে গেছে।
ফারাবি সব কিছু ভুলে ফারহানের দিকে তাকিয়ে ঝরা হাসলো।
হালকা সুবাস নিয়ে বলল
_ থ্যাংস ফারহান ভাইয়া।
আপনার মনে আছে আমার পছন্দের কথা ?

ফারহান মিষ্টি হেসে বলল
_ খুশি হয়েছিস তুই ?

_ খুব খুব

আর বলতে পারলো না ফারাবি।
মূহুর্তেই কালো বর্ন হয়ে গেল তার মুখ। বিষাক্ততা ভর করে নিলো এই সুন্দর মূহুর্তে।
ফুলের প্রতি ঝোঁক বরাবর ই বেশি তাই সব কিছু ভুলে গিয়েছিলো ওহহ।
ফারহান মলিন হাসলো, ফারাবির ক্লান্ত মুখোশ্রি ফারহান কে কাঁপিয়ে তুলছে।

চার দিকের ঝকমকে আলো গুলো যেন বিলীন হয়ে গেছে।
ফারহান পরিস্থিতি ঠিক করতে গম্ভীর গলাতে বলল
_ খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে কখন খাবি ?

ফারাবি কথা না বাড়িয়ে খাওয়া শুরু করলো।
ফারহান দীর্ঘশ্বাস ফেলে খেতে লাগলো।

খাওয়া শেষ করে ফারাবি উঠে যাচ্ছিলো।
ফারহান রসালো গলায় বলল
_ দাঁড়িয়ে যাহহ একটা জিনিস আছে।

ফারাবি অন্য দিক ফিরে বলল
_ আমার প্রয়োজন নেই।

ফারহান ভ্রু কুঁচকে বলল
_ তোর প্রয়োজনের কথা বলেছি আমি ?

ফারাবি তাচ্ছিল্য হাসলো। লাইটের আলো তে সে হাসি ফারহান স্পষ্ট দেখতে পেল।
মুহুর্তেই ফারহানের বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসলো ।
অপরাধবোধ কাজ করছে তার , পরক্ষণেই ফিচেল হাসলো ফারহান।
অন্যায় ছিলো নাহ সেটা, সঠিক ছিলো সেটা। যে দহনে জ্বলছে ওহহহ সে দহনে ফারাবি কে জ্বলতে হবে।
প্রেমাগুনে পুরেই তো ভালোবাসা খাঁটি হয়।

ফারহান খাওয়া শেষ করে উঠে দাঁড়ালো।
ফারাবির ওড়না টেনে হাত মুছতে লাগলো।
ফারাবি বাজ খাই গলাতে বলল
_ কি করছেন এটা ?

ফারহান ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল
_ তোর সমস্যা কি আমি তো আমার

ফারহান কে থামিয়ে দিলো ফারাবি।
তিক্ত মেজাজ হচ্ছে তার , কিন্তু ফারহানের সামনে তার কোনো রেশ ই নেই।
ফারাবি তাচ্ছিল্য হেসে আমুদে গলাতে বলল
_ আপনার কোন প্রানের জিনিস যেন আছে, দেখান আর না হলে আমি যাই।

ফারহান বাঁকা হাসলো । পকেট থেকে স্বচ্ছ কাঁচের ছোট্ট দুটো কাপল পুতুল বের করে ফারাবির মুখের কাছে ধরলো।
পুতুল দুটো কে কাঁচের মনে হলে ও এগুলো কাঁচের নয়।
এগুলো সমুদ্রের দামি পাথর ঘষে বানানো।
সচরাচর এগুলো পাওয়া যায় নাহহ।
সাধারনত অর্ডার করা হলেই বানানো হয় এগুলো।
রেয়ার খুব, তবে দুই নম্বর ও পাওয়া যায় অতি স্বল্পমূল্যে।
মোমের সূক্ষ্ম আলোতে পুতুল দুটো চক চক করছে সাথে ফারাবির চোখ ও।

বহু দিন আগে ফারাবি এ পুতুল গুলো ইন্টারনেট এ দেখেছিলো।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিডি তে এগুলোর আমদানী নেই তাই আর কেনা হয় নি।
ফারাবি হাত বাড়িয়ে পুতুল নিতে যেতেই ফারহান হাত সরিয়ে নিলো।

ফারাবি মুখ গোমড়া করে নিলো।
ফারহান ঝরা হেসে বলল
_ এটা নেওয়ার জন্য তোকে একটা কাজ করতে হবে।

ফারাবি নম্র স্বরে বলল
_ কিহহ

ফারহান ধীর গতিতে ফারাবির কাছে আসলো।
ফারাবির মুখে ফু দিতেই ফারাবি আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো।
মৃদু হাসলো ফারহান , ফারাবির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল
_ কিস মি

ফারাবি দমকা হাওয়ার মতো চোখ খুলে নিলো , অস্ফুটন স্বরে বলল
_ হোয়াট

ফারহান ফিচেল হাসলো , দম্ভ গলাতে বলল
_ কোনো সমস্যা ?

ফারাবি চোখ ঘুরিয়ে হালকা হাসলো।
ফারহান ভ্রু কুঁচকালো, ফারাবি ফারহানের হাতের দিকে তাকিয়ে বলল
_ আপনার বা হাতে ঐ টা কি ?

ফারহান অন্যমনস্ক হয়ে বলল
_ কোথায় কিহহ ?

সেই সুযোগে ফারহানের ডান হাত থেকে ছোট্ট পুতুলের জোড়া টান মেরে নিলো ফারাবি।
ফারহান কিছু বুঝার আগেই ভো দৌড়।
ফারহান আহাম্মকের মতো তাকিয়ে রইলো।
ফারাবি হাসতে হাসতে দৌড়াতে লাগলো।
ফারহান বাজ খাই গলাতে বলল
_ ফারাবি এটা চিটিং ছিলো। এর জন্য তোকে পানিস পেতে হবে।

ফারহানের কোনো কথাই ফারাবির কানে গেল নাহহ। পুতুল হাতে ছুটতে লাগলো সে।
ফারহান মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রইলো। চাঁদের নরম আলোতে ফারাবি কে চাতক পাখি মনে হচ্ছে।
ফারহানের মন জুড়ে অদ্ভুত প্রশান্তি বয়ে গেল। মেয়ে টার হাসি মুখ টা দেখার জন্য মরতে পারে সে বারংবার ।
প্রেয়সীর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্রেমাগুনে চোখ বুজে পা রাখতে রাজি।
তবু ও প্রেয়সী কে হারাতে রাজি নয়।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here