#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2,33,34
#ফাতেমা_তুজ
#part_33
ফারাবি যখন ডুবুডুবু ঠিক তখনি পানিতে ঝাঁপ দিলো ফারহান ।
ফারাবি কে হালকা জড়িয়ে ধরতেই ফারাবি ফারহান কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
ভয়ে ফারাবির শরীর কাঁপছে, শ্বাস ঘন হয়ে এসেছে। ফারহান তা স্পষ্ট অনুভব করছে। ফারাবি কে এক হাতে নিজের সাথে মিশিয়ে নিতেই ফারাবি কেঁদে দিলো।
ফারহান আলতো হেসে ফারাবির কপালে ভালোবাসার পরস দিয়ে দিলো।
কিছুক্ষণ পানিতে থেকে যখন দেখলো ফারাবি খানিকটা শান্ত হয়েছে তখন উঠে এলো।
ফারহান আর ফারাবি দুজনেই ভিজে একাকার।
ফারাবি দু হাতে নিজেকে আড়াল করতে ব্যস্ত ।
ফারহান ভ্রু কুঁচকে বলল
_ আমি তোর ফারহান ভাইয়া নই , তোর হাসবেন্ড ফারহান।
সো এই সব আড়াল করা বন্ধ কর।
ফারাবি তা ও নিজেকে আড়াল করতে ব্যস্ত।
ফারহান ভ্রু কুঁচকে থেকে ফারাবি কে কোলে তুলে নিলো। আচমকা এমন হওয়াতে ফারাবি অবাক চোখে তাকালো।
ফারহান মৃদু হেসে ফারাবি কে নিয়ে আগাতে লাগলো।
রাত প্রায় বারোটার কাছাকাছি , এই ভেজা অবস্থা তে বাসাতে পৌছাতে পৌছাতে ঠান্ডা লেগে যাবে।
তার উপর ফারাবির জ্বর ও আসতে পারে।
ফারহান বেশ চিন্তায় পরে গেল। এই কাজ টা করার আগে একবার ভাবা উচিত ছিলো।
বাইকের কাছে এসে ফারাবি কে নামিয়ে দিলো ফারহান।
ফারাবি কেমন কুকরে যাচ্ছে থরথর করে কাঁপছে ওহ।
বাইকে ব্লেজার রেখে গিয়েছিলো ফারহান। ব্লেজার টা ফারাবির গাঁয়ে জড়িয়ে কিছুক্ষণ ভেবে বলল
_ সামনেই একটা ছোট্ট বাড়ি দেখা যাচ্ছে। দেখা যাক হেল্প পাওয়া যায় কি না। হালকা শীত ও পরেছে তোর ঠান্ডা জ্বর লেগে যাবে।
ফারাবির মুখ থেকে একটা কথা ও বের হচ্ছে না। ফারহান মলিন হেসে ফারাবির অধরে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো।
ফারাবি শিউরে উঠলো , ফারহান আবার ফারাবি কে কোলে তুলে নিয়ে ছোট বাড়ি টার কাছে গেল।
বাড়ি টা টিনের , বোধহয় আশে পাশের কোনো জেলে হবে।
ফারাবির দিকে এক পলক তাকিয়ে কোনো সঙ্কোচ না করেই ফারহান বাসায় নক করলো।
কয়েক বার নক করতেই কর্কশ কন্ঠে কেউ একজন বলল
_ কে ?
_ একটা সাহায্য দরকার। দয়া করে একটু সাহায্য করুন প্লিজ।
মিনিট খানেক পর এক জন সত্তর বছর বয়সী বৃদ্ধ লোক বের হয়ে আসলেন।
সাথে একজন বৃদ্ধা ওহহ। ফারহান অনুনয়ের স্বরে বলল
_ দাদা একটা সাহায্য করুন প্লিজ।
বৃদ্ধ লোক ফারহান কে বেশ ভালো করে দেখে নিয়ে বলল
_ কি সাহায্য ?
_ আসলে বউ কে নিয়ে শহর থেকে নদীর পারে ঘুরতে আসছিলাম।
নদীতে পরে গিয়ে যা তা অবস্থা। বউ টার জ্বরের ধাঁচ আছে, যদি একটু আশ্রয় আর শুকনো কাপড় দিতেন।
বৃদ্ধ আর বৃদ্ধা কিছুক্ষণ ভেবে বললেন
_ আসো ।
ফারহান প্রশস্ত হেসে ফারাবি কে নিয়ে ভেতরে ঢুকলো।
বৃদ্ধ মহিলা একটা সুতির কাপড় নিয়ে ফারাবি কে দিলো।
ফারহান কে বৃদ্ধ লোকটা একটা লুঙ্গি আর সাদা গেঞ্জি এনে দিলো।
লুঙ্গি দেখে ফারহানের ভ্রু কুঁচকে গেল। ফারাবি যদি এই অবস্থা টা তে না থাকতো তাহলে হাসতে হাসতে বসে পরতো।
ফারহান দীর্ঘশ্বাস ফেলে লুঙ্গি টা হাতে নিলো।
বৃদ্ধর শার্ট ফারহানের গায়ে লাগবে না। তাই ফারহান লুঙ্গি আর গেঞ্জি নিয়ে তাদের দেখানো ঘরে চলে আসলো।
ফারাবি শাড়ি নিয়ে দেখতে লাগলো । আসলেই ওহ শাড়ি পরতে পারে না। ফারহান মৃদু হেসে ফারাবির থেকে শাড়ি টা নিয়ে পরাতে যাবে ফারাবি আশে পাশে তাকিয়ে বলল
_ ওয়াসরুম নেই ?
ফারহান ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে বলল
_ দেখছি না তো।
ফারাবি অসহায় চাতক পাখির মতো তাকিয়ে রইলো।
ফারহান বিষয় টা বুঝতে পেরে বলল
_ ওকে আমি দেখছি না তুই চেঞ্জ করে নে আমি শাড়ি পরিয়ে দিবো।
ফারাবি চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে রইলো।
ফারহান কেবলা হাসি দিয়ে বলল
_ আমি ই তো জান।
ফারাবি বিরক্তি তে চোখ ঘুরিয়ে নিলো। ফারহান এক গাল হেসে পেছন ঘুরে রইলো। ফারাবি তপ্ত শ্বাস ফেলে চেঞ্জ করে নিলো।
ফারহান দম ফেলে বলল
_ হয়েছে ?
ফারাবি মৃদু কন্ঠে বলল
_ হ্যাঁ ।
ফারহান পেছন ঘুরে তাকিয়ে অবাক চোখে তাকালো।
লোড সেডিং এর কারনে কারেন্ট নেই। ঘরের এক কোনো হ্যারিকেন জ্বলছে। হ্যারিকেনের মৃদু আলোতে ফারাবি কে হুরের মতো লাগছে।
চুল থেকে টপটপ করে পানি ঝরছে। ফারহানের ঘোর লেগে গেল। ফারাবি বার বার ঢোক গিলতে গিলতে হাঁসফাঁস করতে লাগলো।
কিছু মুহুর্ত পর ফারহান ফারাবির দিকে এক পা এক পা করে এগোতে লাগলো। ভয়ে ফারাবির চিত্ত কেঁপে উঠলো। ফারহান ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে ফারাবি কে জড়িয়ে ধরলো।
ফারাবির সর্বাঙ্গে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেল। ফারহান তার রহস্য ময় হাসি দিয়ে ফারাবির গলাতে চুমু দিয়ে দিলো। ফারাবি কেঁপে উঠলো।
ফারহান তাদের হাতের বিচরন করতে লাগলো ।
ততক্ষনে আবেশে চোখ বন্ধ করে নিয়েছে ফারাবি।
ফারহান ঝরা হেসে ফারাবি কে শাড়ি পরিয়ে দিলো।
লুঙ্গি পরে নিজেকে কেমন লাগছে তা ভাবতে লাগলো ফারহান।
গায়ে একটা শর্ট গেঞ্জি তার উপর শুকনো ব্লেজার টা পরে নিলো।
নিশ্চয়ই ওকে জোকার দের মতো দেখতে লাগছে ? তবে কিছুই করার নেই এখন।
কিছুক্ষণ পর দরজায় নক পরলো।
ফারহান দম ফেলে দরজা খুলে দিলো। বৃদ্ধা মহিলা দু কাপ আদা চা এগিয়ে দিলেন।
ফারহান ঝরা হেসে ধন্যবাদ জানালো। বৃদ্ধা মহিলা চলে গেলেন । যাওয়ার আগে বলে গেলেন আলনাতে কাঁথা আছে , কাঁথা গায়ে দিয়ে যেন ঘুমায়।
ফারহান ফারাবি কে চা এগিয়ে দিয়ে চা খেতে লাগলো।
এমন সময়ে এক কাপ চা ই যেন দরকার ছিলো। ফারাবি এখনো একটু একটু কাঁপতে লাগলো।
ফারহান তপ্ত শ্বাস ফেলে বলল
_ কাউ কেই পূর্ন বিশ্বাস করতে নেই ফারাবি।
নিজের আপন জন রা ও পিঠে ছুড়ি বসাতে পারে।
ফারাবি ছলছল নয়নে তাকালো। এর অর্থ আমি আপনাকে সব থেকে বেশি বিশ্বাস করি। ফারহান মৃদু হেসে ফারাবির কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো।
ফারাবি কে বুকে টেনে নিয়ে বলল
_ আম সরি। আমি তোকে বোঝাতে চেয়েছিলাম আমি ও খারাপ হতে পারি। বিশ্বাস ভালো তবে অতিরিক্ত বিশ্বাস ভালো না।
ফারাবি প্রতি উত্তর করলো না। হয়তো এই মানুষ টার প্রতি কখনোই কোনো বিশ্বাস ই হারাবে না।
ফারহান মৃদু হেসে ফারাবি কে নিয়ে বেডে চলে আসলো। বেড বললে ভুল হবে, মূলত এটা চৌকি।
ফারহান ফারাবি কে নিয়ে শুইয়ে পরলো। ফারাবি থরথর করে এখনো কাঁপছে, ফারহান খানিক টা চিন্তা করে একদম আষ্ঠে পৃষ্ঠে জড়িয়ে নিলো।
যেন নিজের সমস্ত উষ্ণতা তার প্রেয়সীর শরীরে পরে।
ফারাবি ও ফারহান কে খামচে ধরলো।
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।
চলবে
#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2
#ফাতেমা_তুজ
#part_34
ভোরের আলো ফুটতেই ঘুম ভেঙে গেল ফারহানের। ফারহানের বুকে মাথা রেখে গুটি শুটি মেরে শুইয়ে আছে ফারাবি।
একদম তুলতুলে বিড়াল ছানার মতো দেখতে লাগছে।
ফারহানের মনে খুশি রা খেলা করতে লাগলো।
ইস কতো শত দিন অপেক্ষা করেছে ওহ। এই মেয়েটা কে বুকে জড়িয়ে ঘুমানোর জন্য নিজেকে বিষাক্ত নিকোটিনে ডুবিয়ে রাখতো।
কষ্ট ভোলার জন্য কতো কিছুই না করলো। স্বার্থক এ ভালোবাসা , পরিপূর্ন ওহ , ভালোবাসার প্রথম ধাপে বিজয়ী হয়েছে ফারহান।
পথ টা সুগম না হলে ও আজকের সুখ পাখি টা বেশ অনুভূতি দিয়ে যাচ্ছে।
ফারহান তার উষ্ণ অধরের ছোঁয়া ফারাবির কপালে দিয়ে দিলো ।
মুখে এক চিলতে হাসি রেখে আদুরে কন্ঠে ডাকতে লাগলো ।
_ ফারাবি এই ফারাবি , ভোর হয়ে গেছে তো।আমাদের বাসায় ফিরে যেতে হবে। আজ আবার ফাংশন ও আছে উঠ না জান।
ফারহানের ফিসফিসে কন্ঠে চোখ পিটপিট করে তাকালো ফারাবি ।
নিজেকে ফারহানের বাহুডোরে দেখতে পেয়ে খানিক টা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।
এক পলক তাকিয়ে আবার জড়িয়ে ঘুমিয়ে পরলো।
ফারহান বোকার মতো চেয়ে রইলো। দরজায় খটখট আওয়াজ হচ্ছে। ফারহান তপ্ত শ্বাস ফেললো। গলা উঁচিয়ে বলল
_ আসছি।
ফারাবি কে ধীরে ধীরে উঠালো। মেয়েটার চোখে মুখের নিদ্রা মহারাজ বাসা বেঁধেছে। ফারহানের ইচ্ছে না থাকলে ফারাবি কে ডাকতেই হলো।
শাড়ি পরে ঘুমানোর অভ্যেস নেই ফারাবির। শাড়ির আঁচল টা ও ঠিক নেই। ফারহান এক পলক তাকিয়ে আলতো হেসে শাড়ি ঠিক করে দিলো।
তার পিচ্ছি বউ টা নিঃসন্দেহে তুলতুলে মাংসপিন্ড।
ফারহান কপালে গভীরভাবে অধর ছুঁইয়ে টেনে তুললো।
ফারাবি আড়মোরা ভেঙে নিলো। মৃদু হাসলো ফারহান।
_ তাড়াতাড়ি চল , আমাদের যেতে হবে।
ফারাবি বিনা উক্তিতে মাথা ঝাঁকালো । ঘর থেকে বের হতেই বৃদ্ধ মহিলা প্রচ্ছন্ন হাসলেন।
হয়তো ওদের কে বেশ ভালো লেগেছে ওনার।
ফারহান কৃতঙ্গতার হাসি দিতেই বৃদ্ধা পান খাওয়া টকটকে ঠোঁট নাড়িয়ে বললেন
_ উঠানের পাশে কলেরপাড়। মুখ ধুইয়া আসো , নাস্তা বেড়ে দিচ্ছি।
ফারহান ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। বৃদ্ধা আন্দাজ করতে পেরে বললেন
_ কোনো কথা না ভাই। বউ ডারে নিয়া আইসো নাস্তা করে যাইবা।
ফারহান আর বারন করলো না। ফারাবি মুখ ধুইয়ে ঘরে গিয়ে চেঞ্জ করে আসলো। বৃদ্ধা এক ফালি হাসলো , ফারাবি ওহ হাসলো।
_ চান্দের টুকরা জামাই পাইছো বইন। কখনো হাত টা ছাইড়ো না।
_ ছাড়বো না গো দাদি। খুব ভালোবাসি যে।
বৃদ্ধা ঝলকানি দিয়ে হাসলেন। ফারহান কলপাড় থেকে ফিরে এসে দেখলো বৃদ্ধ দম্পতির সাথে ফারাবি খোশগল্প করতে ব্যস্ত।
বিষয় টা বেশ ভালো লাগলো। ঠোঁটের কোনো লম্বা হাসি ফুটিয়ে নিলো।
এখনো পৃথিবী তে কিছু মানুষ আছেন যারা এক দিনের অতিথি কে ও পরিবার মনে করেন।
যার উদাহরন এই বৃদ্ধ দম্পতি।
_ ওহ কি ভাই দাঁড়ায় আছো কেন ? আসো নাস্তা করবা।
ফারহান তাদের সাথে বসে নাস্তা করতে লাগলো। নাস্তা শেষে কিছুক্ষণ গল্প করলো।
ছলছল চোখে তাকিয়ে বৃদ্ধা দম্পতি ওদের বিদায় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেন।
তিন টে ছেলে আছে ওনাদের। কিন্তু ওনাদের দেখে না। যে যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। ফারহান ফারাবির বয়সী নাতি নাতনি ও আছে।
হয়তো সেই সব ভেবেই চোখের কোনো পানি জমেছে।
ফারহান বৃদ্ধা দম্পতি কে জড়িয়ে বলল
_ আজ থেকে আমি ই আপনাদের নাতি।
আপনাদের কোনো কষ্ট হতে দিবো না।
দয়া করে বারন করবেন না। নাতি মেনেছেন তো ?
বৃদ্ধ দম্পতি মাথা ঝাঁকালো। ফারহান ছলছল চোখে জড়িয়ে ধরলো।
_ তাহলে না হয় এই দায়িত্ব টুকু পালন আমি ই করলাম ?
বৃদ্ধা দম্পতি ছলছল নয়নে তাকিয়ে রইলো । উঠনে থাকা বেলি ফুলের গাছ থেকে সুবাস ছড়াচ্ছে ।
সে ফুলের মিষ্টি গন্ধে ম ম করছে পরিবেশ।
ফারাবি এক চিলতে হাসি ফুটিয়ে এক সুন্দর দৃশ্য অনুভব করলো।
*
ফারাবি কে শাড়ি হাতে দাড়িয়ে থাকতে দেখে ফারহান খিল খিল করে হাসছে।
ফারহানের হাসি তে ফারাবির গা পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে। ফারহান সে দিকে পাত্তা না দিয়ে চুল আঁচড়াতে ব্যস্ত।
ফারাবি ভ্রু কুঁচকে রইলো। ওহ শাড়ি পরতে জানে না জেনে ওহ ফারহান চুপচাপ ফ্যাশন শুরু করে দিয়েছে। ফারহান হালকা কেশে গলা গম্ভীর নিলো।
_ ফারাবি চল তাড়াতাড়ি, দেরি হয়ে যাচ্ছে।
আর কতো লেট করাবি রে ?
ফারাবি যেন আকাশ থেকে পরলো। ওহ তো শাড়ি পরতেই পারে নি তা ওহ ফারহান তাড়া দিয়ে যাচ্ছে । মাথার উপরে থাকা সিলিং ফ্যানের বাতাসে ফারাবির চুল গুলো উড়ছে। ফারহান পাঞ্জাবির হাতা ফোল্ড করতে করতে বলল
_ প্লিজ ইয়ার এবার তো চল ?
ফারাবির ভ্রু যুগল বিরক্তি তে কুঁচকে গেল। ফারহানের দিকে রক্ত চক্ষু তে তাকিয়ে রইলো।
ফারহান বাঁকা হেসে তাকাতেই ফারাবির মাথায় দুষ্টুমি খেলে গেল।
ফারহান সরস হেসে বলল
_ হারি আপ।
_ হ্যাঁ চলুন।
ফারহানের ভ্রু কুঁচকে গেল। ফারাবি ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে বলল
_ কি হলো চলুন , দেরি হয়ে যাচ্ছে তো।
_ আর ইউ সিউর ?
_ ড্যাম সিউর।
ফারহান বোকার মতো চেয়ে রইলো। ফারাবি ডোর খুলে বের হতে গেলেই ফারহান খপ করে ধরে ফেললো।
ফারাবি মুখ চেপে হাসতে লাগলো।
ফারহান নাক কুঁচকে বলল
_ তুই শাড়ি না পেঁচিয়ে গায়ে উড়না জড়িয়েই যাবি ?
ফারাবি অবাক চোখে তাকিয়ে বলল
_ সো হোয়াট ?
ফারহান ফিচলে হেসে বলল
_ আপনি অনেক বেশি দুষ্টু হয়ে যাচ্ছেন। বর কে আর ভয় পান না দেখছি।
ফারাবি মুচকি হেসে বলল
_ বর কে ভয় পাবো কেন ? বর তো খুব ভালো হয়। এত্তো এত্তো ভালোবাসে।
_ আচ্ছা ? তো আপনি বরের ভালোবাসা আদৌ নিয়েছেন নাকি ?
ফারাবি লাজুক হাসলো। ফারহান দাঁতে দাঁত চেপে দাঁড়িয়ে রইলো।
ফারাবি ওড়নার কোনা মুচরাতে মুচরাতে বলল
_ আরে কি যে বলেন। আমার তো দুটো বেবি ও আছে।
ফারহান যেন আকাশ থেকে পরলো। এই মেয়েটা বড্ড দুষ্টু হয়ে গেছে।
ফারহান খপ করে ফারাবির হাত ধরে ফেললো।
বাঁকা দৃষ্টি রেখে হাতের বিচরন করতে লাগলো। ফারাবি এতোক্ষন ভয় না পেলে ও এখন একদম নুইয়ে যাচ্ছে।
ফারহান ঠোঁটে হাসি রেখে বলল
_ তুই অনেক পেকে গেছিস। এবার আর ছাড়াছাড়ি নেই।
ফারাবি শুকনো ঢোক গিলে নিলো। ফারহান আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরতেই ফারাবি চোখ বন্ধ করে এক গরে সরি সরি বলতে লাগলো।
ফারহান এক চিলতে হেসে ফারাবি কে ছেড়ে দিলো। খানিকটি দূরে গিয়ে ফারাবি শ্বাস নিতে লাগলো।
ফারহান ঝটকা মেরে শাড়ি টা নিয়ে পরিয়ে দিতে লাগলো।
ফারাবি কিছু বলল নাহহ । ফারহান খুব সুন্দর করে পরিপাটি শাড়ি পরিয়ে দিলো।
ফারাবি খানিকটা শান্ত স্বরেই বলল
_ আপনি শাড়ি পরাতে জানেন কি করে?
_ ছোট বেলাতে রিমি কে পরিয়ে দিতাম। আম্মু তো বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকতো তাই শিখে রেখেছিলাম । একবার তো তোকে ও পরিয়েছি।
ফারাবি বড় বড় চোখ করে তাকালো । ফারহান দুষ্টু হেসে বলল
_ চার বছরের পিচ্ছি ছিলি তুই। আমি নিশ্চয়ই চরিত্র হীন নই ?
ফারাবি ঠোঁট দুটো বাকিয়ে ফেললো। ফারহান এক ফালি হেসে বলল
_ তুই আমার পুরোপুরি হওয়ার পর ই আমি তোকে অন্য রখম ফিলিং এ ছুঁইয়েছি।
তার আগে কখনোই তোকে সেভাবে টাচ করি নি।
ফারাবি লজ্জা পেয়ে গেল। ফারাবির নাক টিপে দিয়ে ফারহান বলল
_ এখন কিন্তু সব হালাল মিসেস ফারহান। এনি কাইন্ড অফ টাচ।
ফারাবি হাঁসফাঁস করতে লাগলো। মেয়েটাকে আর জ্বালালো না ফারহান। প্রশস্ত হেসে বের হয়ে গেল।
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।
চলবে