ফাগুন_ এলো_ বুঝি! পর্ব-০৬

0
1255

# ফাগুন_ এলো_ বুঝি!
পর্ব-০৬

হাসপাতালের লম্বা করিডোরের চেয়ারে বসে আছে রিদ।আর পাশে হাটাহাটি করছে ওদের কয়েকজন।সবার মুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট।
ধ্রুব এসে পৌছাতেই সেদিকে এগিয়ে গেলো ওরা।সুমন বলল

“কিরে এতক্ষনে এলি?
“মাকে বুঝিয়ে আসতে একটু সময় লেগেছে।
ভেতরে কি অবস্থা?
রিদ উঠে গিয়ে বলল
“ভালো নারে,,পা টা বোধহয় গেলো! জানোয়ারের মত পিটিয়েছে।
” বাড়িতে খবর দিয়েছিস ওর?
– হ্যা দিয়েছি, আসছে।
ধ্রুব একটু ভেবে বলল,
“রাফিন!তুই আর শোহান এখানেই থাক।ওর বাড়ির লোক এলে কিছু একটা বলে সামলে নিস। ভুলেও সত্যি টা বলতে যাস না।আর রিদ, সুমন তোরা আমার সাথে আয়।আর ফোন করে সাকিব কে বল সবাই কে ডেকে নিতে।
রিদ ভ্রু কুঁচকে বলল
” ধ্রুব,তুই কি করতে চাইছিস?
ধ্রুব দৃঢ় চোয়াল ফুটিয়ে বলল,
“জানোয়ার গুলোকে সাদর আপ্যায়ন করতে চাইছি।
___
ধ্রুব বাড়িতে এসে সোজা ধীরের রুমে ঢুকেছে।আলমারির পাশে দাঁড় করানো চকচকে নতুন ক্রিকেট ব্যাট টা হাতে তুলল।একে একে ধীরের ঘর থেকে আরো চার পাঁচ খানেক ব্যাট জোগাড় করে ঘর থেকে বের হলো।সদর দরজা অব্দি যেতেই ফোন বাজলো।সেলিনা কল করেছেন।রিসিভ করতেই গড়গড় করে বলল,

” হ্যারে ধ্রুব!,কি খবর তোর?কোথায় তুই? এখনও এলিনা যে!সেই দুপুরে আসার কথা অথচ এখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হতে চলল।কখন আসবি শুনি?
ধ্রুব হেসে বলল,
“মা এতগুলো প্রশ্ন একবারে করলে কোন টার উত্তর আগে দেবো বলোতো..

সেলিনা খানিক শান্ত হলেন,
“আচ্ছা ঠিক আছে,তোর বন্ধুর কি অবস্থা? খারাপ কিছু হয়নিতো?
” পায়ের হাড় ভেঙেছে।এখন অব্দি তেমন ভালো না।আর তাই__
সেলিনা মাঝপথে থামিয়ে দিলেন,
“আর তাই তুমিও আসতে পারবেনা। তাইতো?
ধ্রুব বোঝানোর ভঙিতে বলল,
‘প্লিজ মা রাগ কোরোনা।আমি পরে একদিন গিয়ে ফুপির সাথে দেখা করে আসবো?

“আচ্ছা বেশ।খেয়াল রাখিস ছেলেটার।খেয়েছিস তুই?
‘ খেয়েছি। আমি ব্যাস্ত।রাখি এখন।
‘ঠিক আছে।
ফোনের লাইন কেটে ব্যাট গুলোর গায়ে চোখ বোলালো ধ্রুব। নেড়েচেড়ে আফসোস করে বলল,
“তোর জন্যে বড্ড মায়া হয়।রেস্ট-ই নিতে পারিস না।কখনও ভাইয়ার জন্যে বল পেটাস,আর কখনও আমার জন্যে মানুষ!
__
আশরাফ আজ তাড়াতাড়ি ফিরেছেন।ফোন করে ডাকা হয়েছে তাকে।পূর্নতাই কল করেছিল।মামা -মামুনিকে ফিরে পাওয়া তো কম আনন্দের কথা নয়।বাবা সেই খুশিতে সামিল হবেন না?পূর্নতা ঘুনাক্ষরেও আন্দাজ করেনি আজ তার জন্যে আরেকটা খুশি অপেক্ষা করছিল।আশরাফ ফিরেই জানালেন,তিনি এখন থেকে ঢাকাতেই থাকবেন।পনের দিনের মধ্যে সব ব্যবসা গুছিয়ে ঢাকায় আনবেন।পূর্নতা আনন্দে কেঁদে ফেলল।মিশরাও ভেতরে ভেতরে খুশি হলো।প্রকাশ করলোনা।কিন্তু সায়রার ঠোঁটে হাসি ফোটেনি।আশরাফ শুধুমাত্র পূর্নতার জন্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বুঝতে বাকি নেই তার।কিন্তু ভাই-ভাবির সামনে ভান করলো মেকি আনন্দের।সেলিনা ধ্রুবর সাথে কথা শেষে পাশে বসতেই মেহবুব প্রশ্ন করলেন,
‘কে ছিল?ধ্রুব না ধীর?
‘ধ্রুব।
‘কি বললো? কখন আসছে?
সেলিনা ছোট্ট শ্বাস টানলেন,
‘ আসবে না।ওর বন্ধুর অবস্থা ভালো নয়!

মিশরার মন ঝুপ করে খারাপ হলো ধ্রুব আসবেনা শুনে।কতকিছু প্ল্যান করলো এতক্ষন বসে বসে।সব মাটি!কিন্তু খুশি হলো পূর্নতা।তার ধারনামতে মেজাজি লোক এরকম আনন্দময় পরিবেশে মানাবেনা।ধ্রুব হবে তীব্র বেমানান।মনে মনে ছোট বেলায় ধ্রুবর দেয়া ঝাড়ির কথা ভেবে ভেবে ওর চেহারা সাজালো পূর্নতা।
তার আন্দাজ বলছে ধ্রুব দেখতে তামিল সিনেমার কোনও ভিলেনের মত হবে।মোটা মোটা ভ্রু,গোফ,তেলতেলে বিরাট শরীর আর বজ্র হুঙ্কার।যে বাজখাই ধমকে বলবে
‘বেয়াদব মেয়ে কি করলে এটা?বের হও আমার ঘর থেকে।
পুরোনো ধমক মনে করে পূর্নতা আরো একবার ভয় পেল।ওটা যেন কোনো কন্ঠ না,ছিল এক দানবাকৃতি ষাড়ের হাম্বা হাম্বা ডাক।
পূর্নতা সেলিনাকে শুধালো ‘ ধীর ভাইয়া আসবেনা মামুনি?একটা ফোন করে দেখোনা।
‘করেছিলাম রে মা।ধরেনি।
পূর্নতা ছোট করে বলল ‘ ও।

রাতের খাওয়া দাওয়ার পাঠ চুকেছে অনেকক্ষন।মেহবুবের একটা অভ্যেস হলো একদম শেষ দিকে এক কাপ চা খাওয়া।সায়রা মনে করে নিজ থেকে বানালেন।সবার জন্যেই বানিয়েছেন।মেহবুবের হাতে কাপ দিতেই মেহবুব বোনের দিক চেয়ে শুভ্র হাসলেন।বললেন ‘ তোর এটা মনে আছে সায়ু?
সায়রার অন্তস্তল জুড়িয়ে গেল। এই হাসি,এই ডাক থেকে বহুবছর নিজেকে বঞ্চিত রাখা জীবনের চরম ভুল হিসেবে ঘোষণা করলেন।
‘মনে থাকবেনা ভাইজান?বাবার পরে তুমিই আমার সব।আমার আর কে আছে?
আড়চোখে একবার আশরাফ কে দেখলেন সায়রা।আশরাফ ঠিক তখনই তাকালেন।সায়রার বুক হুহু করে কাঁদতে চাইলো।নিজেকে সামলাতে চট করে চোখ সরালেন।

‘আজকে বরং থেকে যান ভাইজান।
আশরাফের সঙ্গে সায়রাও তাল মেলান,
– হ্যা ভাইজান আজ থেকে যাও।

‘আজ হবেনা রে!পারলে থেকে যেতাম।আগে তো জানতাম না এখানে আসব।সকাল নটায় একটা কনফারেন্স রেখেছি।
মিশরা বলল,
‘তাতে কী?এখান থেকেই যেও মামা।
‘এখান থেকে অফিস দূর হয়ে যাবে মা।তোর মামা কী অত পাংকচুয়্যাল বল!সকালে আমাকে ওঠানো মানে একটা যুদ্ধ। অন্য একদিন আসব।

পূর্নতা সেলিনার গলা জড়িয়ে ধরে বলল,
‘তাহলে মামুনিকে রেখে দেই?
মেহবুব ঠোঁট ওল্টালেন বাচ্চাদের মত,
‘সকালে উঠে তোর মামুনিকে না দেখলে আমার তো দিনটাই ভালো যায়না।বুড়ো মামাটার ওপর অত্যাচার করবি পূর্নতা মা?
সেলিনা কপাল কুঁচকে বললেন ‘আহ! তুমিওনা!
সেলিনা মুখ ভ্যাঙচাতেই সবাই হেসে ফেলল।পূর্নতাও খিলখিল করে হাসছে।আশরাফ সেদিক চেয়ে শান্তি পেলেন।সেলিনার সঙ্গে থাকলে মেয়েটা খুব খুশি থাকে।ছোট বেলা থেকে দেখে আসছে।এবার তাদের সাথে আবার দেখা হয়েছে।আশরাফ খুব করে চাইলেন,
‘মেয়েটা শুধুই হাসুক এখন।দুঃখ ওকে ছুঁতে না পারুক।
____
ধ্রুব ক্লান্ত।হাত ব্যাথায় টনটন করছে।ঘামে ভিজে জুবুথুবু শার্টটা লেপ্টে গেছে পিঠের সাথে।
রিংটোন এর শব্দ পেয়ে থেমে গেল ধ্রুব।শার্টের হাতা দিয়ে মুখ মুছে ফোন বের করলো। স্ক্রিনে চোখ বোলাতেই উদ্বেগ নিয়ে বলল,

‘এই বাবা ফোন করেছেন।চুপ কর সব।
রিদ সহ বাকিরা থামলো।এই মুহুর্তে তারা চারজন ছেলেকে চেয়ারে বেধে হূলস্থূল পেটাচ্ছে।সন্ধ্যের দিকে ছেলে গুলো একটি মেয়েকে হয়রানি করছিল।পিয়াস দেখে বাধা দিতে গেলে সব গুলো বেধরম মেরেছে ওকে।ধ্রুব সেই খবর পেয়েই ছুটেছিল।এরপর দলবল নিয়ে ছেলেগুলোকে ধরে এনে রিদের বাবার পুরোনো তেল কারখানায় বেধে রেখেছে।আর সেই থেকে লাগামগীন মারছে।ধ্রুবর কথায় ওদের মার থেমে গেলেও ছেলেগুলো তখনও সমানে গোঙাচ্ছে।সুমনা,সাকিব বুদ্ধি করে ছেলে ক’টার মুখে কাপড় গুঁজে দিতেই শব্দ কমল।ধ্রুব উপযুক্ত পরিবেশ পেল ফোন রিসিভ করার।গলা ঝেড়ে বলল
“হ্যা বাবা বলো..
মেহবুব গম্ভীর কন্ঠে বললেন,
– ধ্রুব কোথায় তুমি?
‘আমি তো হসপিটালে বাবা!মাকে বলেছিলাম তো!
ধ্রুবর চটপট উত্তর। মেহবুব বললেন,
“পেশেন্ট এর অবস্থা কেমন এখন?এই তোমার পাশে কিসের শব্দ?
ধ্রুব জ্বিভ কাটলো।আমতা-আমতা করলো ‘ কোথায় শব্দ?আমিতো পাচ্ছিনা।তুমি পাচ্ছো?
‘পাচ্ছি বলেই তো বললাম।
রিদ তৎক্ষনাৎ ব্যাস্ত হাতে মাটি থেকে কাপড়ের টুকরো তুলে আবার গুজে দিল ছেলেটির মুখে।ধ্রুব ঘাড় ঢলে থেমে থেমে বলল,
‘আমিতো বললাম আমি হাসপাতালে বাবা।এখানে কতরকম পেসেন্ট থাকে।তাদেরই কারো হবে।
‘বুঝলাম।তা পিয়াসের পরিবারের লোকেরা এসেছেন?
‘না রাস্তায় আছে।চলে আসবে।

‘আচ্ছা। ওরা চলে এলে তুমি আর রাত করোনা।,বাড়ি চলে এসো।কিছু লাগলে আমাকে জানিও।
‘তোমরা ফিরেছো?
‘হ্যা।
‘ ঠিকাছে রাখছি!
ধ্রুব লাইন কেটে স্বস্তির শ্বাস নিল।পরিবার,আত্মীয় স্বজনের কাছে সে ভদ্র,সভ্য, মার্জিত ছেলে।এই নামডাক হারানোর একটুও ইচ্ছে নেই।
‘ধ্রুব,এগুলোকে কি করবি?ফেলে রাখব এভাবে?

সাকিবের কথায় ওদের দিক তাকালো ধ্রুব।একেকটার নাকমুখ ফেটে রক্ত পরছে।ধ্রুব হাতের ব্যাট ফেলে এগিয়ে এলো।চেয়ার টেনে ওদের সামনে বসলো।বখাটে গুলোর দলনেতাটা খুব কষ্ট নিয়ে শ্বাস ফেলছে।স্বয়ং ধ্রুবর হাতে মার খেয়েছে বেচারা।ধ্রুব বসেই ওর মাথার চুল টেনে ধরে নিচু করা মুখটা উঁচু করল।শক্তপোক্ত টান খেয়ে ছেলেটা কুঁকড়ে ওঠে ব্যাথায়।মুখের মধ্যে থাকা কাপড়ের বাধায়,জিভ ঠেলে আওয়াজ বাইরে আসেনা।
‘আজকে থার্ড ডিগ্রি অব্দি রেখে দিচ্ছি।ভবিষ্যতে যদি কোনো মেয়ের ধারেকাছেও তোদের দেখেছি জান নিয়ে ফিরবি কিনা বলতে পারছিনা।পিয়াশ তো এক মাসের মধ্যে সুস্থ হবে কিন্তু তোরা ঠিক কমাসে সুস্থ হতে পারবি তার গ্যারান্টিতো ডাক্তার ও দিতে পারবেনা।তাই এরপর থেকে কোনও মেয়েকে বিরক্ত করার আগে, আজকের ডোজ টা যতবার ইচ্ছা ভেবে নিবি।তাহলে দেখবি ইভটিজিং তো দূর প্রেম করতে গেলেও আফনান খান ধ্রুবর মুখটা মনে পড়বে।

ধ্রুব ছেলেটাকে ছেড়ে উঠে দাঁড়াল।যেতে যেতে আবার একটা শক্ত লাথি বসালো ছেলেটির উরুতে।চোখ খিঁচে বুজে নেতিয়ে পরলো ছেলেটি।ধ্রুব বাকিদের উদ্দেশ্যে বলল,
‘ছেড়ে দে এগুলোকে।আমি বাড়ি যাচ্ছি।তোরা এগুলোকে হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে ফিরে যাস।

___
সেলিনা ইউটিউবে রান্নার ভিডিও দেখছেন।মন আজ ফুরফুরে ভীষণ।তিন ননদদের ভেতর সায়রার সঙ্গেই সখ্যতা বেশি। কারন বয়সেও প্রায় কাছাকাছি দুজন।হঠাৎ সম্পর্কে ভাঙন আসায় কষ্ট কোনো অংশে কম লাগেনি তার।
” আসবো মা ?
দরজায় দাঁড়ানো ধীরের আওয়াজে সেলিনা চোখ তুললেন।প্রসস্থ হেসে বললেন,
‘ধীর!আয় আয়।মায়ের রুমে আসতে অনুমতি নিতে হয় বোকা ছেলে?

ধীর হেসে এগিয়ে এলো।
সেলিনা নিজের পাশ ইশারা করলেন ‘ বোস।
ধীর বসলো মায়ের পায়ের কাছে।বলল,
‘বিকেলে অনেকবার কল করেছিলে দেখলাম,মাঠে ছিলাম বলে রিসিভ করতে পারিনি।পরে দেখেছি।বাড়িতে এসেও পাইনি তোমাদের।কোথাও গিয়েছিলে?
সেলিনা চোখ সরু করলেন,
“আমাদের পাসনি? নাকি আমরা তোকে পাইনি?সারাক্ষন খেলা নিয়েই ব্যস্ত।একটা সুখবর পেয়ে যে তোকে জানাবো তার উপায় আছে?

ধীর কৌতুহল নিয়ে তাকালো
‘কিসের সুখবর?
সেলিনা আনন্দে গদগদ হয়ে বললেন,
“তোর ছোট ফুপির খোজ পেয়েছি রে! আজ ওর বাসাতেই গিয়েছিলাম,
ধীরের চোখ কপাল ছুঁলো,
‘ছোট ফুপির খোজ পেয়েছো?সত্যি বলছো?আমাকে,আমাকে আগে জানাওনি কেন?বলোনি কেন মা?
ধীরের উত্তেজনা দেখে সেলিনা মুচকি হাসলেন।পরমুহূর্তে মেকি রাগ দেখিয়ে বললেন,
‘বলার জন্যেইতো কল দিয়েছিলাম।

ধীর দাঁড়িয়ে গিয়েছে বসা থেকে।আনন্দে হাঁসফাঁস লাগছে তার।
‘ফুপি কেমন আছে মা?
‘ ভালো আছে।
‘আঙ্কেল?মিশু?
‘ওরাও ভালো আছে।
ধীর একটা ঢোক গিলে বলল ‘ আর পূর্না?ও কেমন আছে মা?
‘সবাই ভালো আছে বাবা।সেই ছোট্ট পূর্নতা আর ছোটটি নেই।মিশু,পূর্ণতা দুজনেই বড় হয়ে গিয়েছে।ভার্সিটি পড়ছে। জানিস,ধ্রুব’র ভার্সিটিতেই এডমিশন নিয়েছে ওরা।সেখান থেকেই না খোঁজ টা পাওয়া গেলো।আর ভারী সুন্দর ও হয়েছে দুটিতে।দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।

ধীর চুপ মেরে গেল।অশান্ত,অস্থির শ্বাস ফেলছে সে।বুকের মধ্যে উত্তাল ঢেউয়ের আগমন টের পাচ্ছে খুব।ধীর কোনো মতে মায়ের থেকে বিদেয় নিয়ে ঘরে এলো নিজের।চেয়ারে ধপ করে বসে পরলো।টেবিলের ড্রয়ারের লক খুলে পুরোনো, মোটা মলাটের একটা ডায়েরি বার করলো। প্রথম পাতাতেই জ্বলজ্বল করছে একটি বাচ্চা মেয়ের ছবি।ধীর হাত বোলালো ছবিতে।হাতটাও খুশিতে প্রচন্ড কাঁপছে।ধীরের চোখ ভিজে উঠেছে সুখের অশ্রুতে।ধীর গভীর দৃষ্টিতে ছবির দিক চেয়ে বলল,
” ফিরে পেয়েছি পূর্ণা।আবার তোকে ফিরে পেয়েছি আমি।এবার আর হারাতে পারবিনা।দেবনা আমি।মিলিয়ে নিস!
চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here