#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??,৪৫,৪৬
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#৪৫_পর্ব (বিয়ে_স্পেশাল?)
.
আজকে মাহির গায়ে হলুদ সারা বাড়ি মানুষের সমাগম,, দেখতে দেখতে অবশেষে বিয়ের দিনটা চলেই আসলো, সেকি যে একটা অনুভূতি সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না,, তবে আজকে যায় গায়ে হলুদ যাকে নিয়ে এতো মাতামাতি সে এখনো কাঁথামুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছে,
আপু এই আপু উঠ আরে উঠ না মা কিন্তু বকবে, এই তোর জন্য আমাকেও বকা শুনতে হবে, কি ঘুমরে বাবা একেবারে কুম্ভকর্ণ,,, বাড়িতে মানুষে গিজগিজ করছে আর এনি এখানে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে,, এই জন্যই হয়ত বলে যার বিয়ে তার খোঁজ নেই পাড়া পড়শির ঘুম নেই কইরে উঠিস না কেনো (মাহিকে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলল মনির,, সরি কালকে মনির এর জায়গায় সুহান লিখে ফেলছিলাম)
আলসে ভঙ্গিতে আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসে বলল মাহি,, কিরে সাত সকালে এভাবে ষাড়েঁর মতো চেঁচাচ্ছিস কেনো??
আমি ভেবে পাই না মেহরাব ভাই এর মতো এতো স্মার্ট একটা ছেলে তোকে কি খেয়ে বিয়ে করছে, আলসের ঢেঁকি একটা,
এই শোন খোঁজ নিয়ে দেখ তোর মেহরাব ভাই ও এখনো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে,,, বুঝলি।
কচুঁ মেহরাব ভাই তোর মতো লেট লতিফ নাহ।
কি বললি তুই দারা তোর হচ্ছে,, এই বলে মাহি মনিরকে দৌড়ানি দিলো মনির দৌড়াচ্ছে আর বলছে,,আজ বাদ কাল বিয়ে কোথায় কান্নাকাটি করে ঘর দুয়োর ভাসায় ফেলবে তা না করে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে,,
তাতে তোর কি আমার কি দূরে বিয়ে হচ্ছে নাকি যে কাঁদবো আমি যখন ইচ্ছে তখন আসবো,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চলল, মাহিকে হলুদ শাড়ি পড়িয়ে গাধাঁ ফুল আর তাজা গোলাপ দিয়ে মাহিকে সাজানো হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে যেনো বাগানে সদ্য ফোঁটা তাজা লাল টকটকে গোলাপ, তবে এতো কিছুর মাঝেও মাহির মুখে হাসি নেই, কেননা মেহরাব বলেছিলো যে ওকে হলুদ লাগাবে আর আজকে এখানে আসবে কিন্তু কই ওনার তো কোনো খোঁজই নেই ফোনটাও অফ, হুম আসুক আজকে কথাই বলবো না,, (মনে মনে কথাগুলো বলল মাহি)
আপনি আজকেও রঙ ছাড়া বেরঙের পাঞ্জাবি পড়ে এসেছেন??(মীরা)
নেহাল লাল রঙের একটা পাঞ্জাবি আর জিন্স পড়ে চোখে চশমা দিয়ে ফোন টিপছিলো তখনি পিছন থেকে মীরা কথাটা বলল,,মীরার কথাশুনে নেহাল পিছনে ফিরে যেনো থমকে গেলো, একটা হলুদপরি দাঁড়িয়ে আছে,, যেনো ভুল করে পরি লোক থেকে পৃথিবী তে চলে এসেছে, নেহাল নিজেকে সংযত করে চোখ থেকে চশমাটা খুলে হাতে নিয়ে বলল।
তো?? তোমার মতো পেত্নী সাজবো নাকি, একটুও ভালো লাগছে না,, সাবধানে থাকো কাঁকেরা দেখলে আবার তোমার মাথায় বাসা বাঁধতে চলে আসবে।
আপনি না একটা ইইইইইই যাচ্ছে তাই (রেগে কথাটা বলে মীরা চলে গেলো)
এই না হলে আমার কাঁদা সুন্দরী, একেবারে রাগী কাঁদা সুন্দরী,, যাকে সব সময় রাগলেই সুন্দর লাগে, উমমম মাহ (কথাটা বলে হাসলো নেহাল)
সন্ধ্যা হয়ে গেছে,, ওবাড়ি থেকে সবাই এসে মাহিকে হলুদ লাগিয়ে দিয়ে চলে গেছে,, এখন হাতে মেহেন্দি পড়ানো হবে,, মাহি একটা হলুদ লেহেঙ্গা পড়ে বসে আছে একটু পরেই ওর হাতে মেহেন্দি পরানো হবে,,, এবার মনে হচ্ছে মাহি রাগে কেঁদেই ফেলবে।
কি খারাপ লোক কথা দিয়ে সে কথা না রেখে বেমালুম ভুলে গেলো, সারা দিনে একটা বারেও খোঁজ নিলো না,, খুব খারাপ (মনে মনে কথাটা বলে মুখ ফুলিয়ে বসে থাকলো মাহি)
আপনার হাতটা দিন মেহেন্দি লাগাবো।
মাহি মুখটা গোমড়া রেখেই হাতটা এগিয়ে দিবে তখনি দরজা থেকে ঢাঁকের আওয়াজ আসলো মাহি মাথা তুলে দেখলো মেহরাব সহ মেঘ মেঘলা মীরা নেহাল আরো অনেকেই নাচতে নাচতে আসছে আর মেহরাব এর গলায় ঢাঁক।
,,,,,,Tere ghar aaya main aaya tujhko lele,,
,,,Dil ke badle mein dil ka nazraana dene,
,,,,Tere ghar aaya main aaya tujhko lele,,
,,,Dil ke badle mein dil ka nazraana dene meri har dhadkan kya bole hai sun sun sun
(মেহরাব গলা থেকে ঢাঁকটা নামিয়ে গান গাইতে গাইতে মাহির মাকে নিয়ে নাচা শুরু করলো,,)
Saajanji ghar aaye,,,Saajanji ghar aaye,,,
Dulhan kyon sharmaaye Saajanji ghar aaye,,,(সবাই একসাথে বলল)
মাহি তো পুরাই থ,,ও ভাবতেও পারিনি মেহরাব এমনটা করবে, মাহিকে এভাবে বসে থাকতে দেখে মেঘলা ওর হাত ধরে টেনে মেহেরাব এর সামনে এনে বলল,,, কিরে চুপ কেনো তুইও গাঁ।
,,,,,Haaaaa,,,,,,,aaaa,,,,aaaa,,,
Ay dil chalega ab na koi bahana gori ko ho ga ab saajan ke ghar jaana maathe ki bindiya kya bole hai sun sun sun (মেহরাব এর সাথে নাচতে নাচতে বলল মাহি)
Saajanji ghar aaye,,,Saajanji ghar aaye,,,
Dulhan kyon sharmaaye Saajanji ghar aaye,,,(আবার সবাই একসাথে বলল)
(গানটা আর বাড়ালাম না নিজ দায়িত্বে শুনে নিয়েন,,)
,,,,রাতে,,,,
সবকিছু খুলে একটা নরমাল জামা গায়ে দিয়ে ওয়াশরুম থেকে মুখ মুছতে মুছতে বার হলো মাহি।
আজকে জীবন শেষ, বিয়ে মানুষ করে যদি জানতাম বিয়েতে এতো কষ্ট তাহলে চুরি চুরি করে বিয়ে করে আসতাম,, কথাটা বলে টাওয়ালটা বিছানায় রেখে কেবলি ও বসতে যাবে তখনি দরজা আটকানোর শব্দে পিছনে তাকালো।
একি আপনি এখানে??
হুমম আমি ছাড়া আর কে আসবে, কার এতো সাহস (মেহরাব)
সবাই তো চলে গেছে তা আপনি এখনো যাননি কেনো??
একটা কাজ বাকি রয়ে গেছে,, এই বলে মাহির কমড় চেপে ধরে ওকে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে ধরে, গালে হলুদ ছুঁইয়ে দিলো,,, বলেছিলাম না আমার প্রেয়সীকে আমি হলুদ রঙে রাঙ্গিয়ে দেবো এই দিলাম।
মাহি চোখ বন্ধ করে আছে,, ঠোঁট জোড়া থরথর করে কাঁপছে কিছু বলতে পারছে না,, মাহির ঠোঁট জোড়া যেনো মেহরাব কে চুম্বকের মতো টানছে মাহিকে নিজের সাথে আরো শক্ত করে চেপে ধরে যেই ঠোঁটে ঠোঁট মিলাতে যাবে তখনি বাইরে থেকে মেঘ বলল।
আর কতক্ষণ লাগবে রে ভাই কেউ চলে আসবে তো জলদি কর।
মেঘের গলা শুনে মাহির থেকে সরে এসে মেহরাব দাঁতে দাঁত চেপে বলল,,,অসময় ডাকার অভ্যাস টা তোর এখনো গেলো না,, তোর বিয়ের আগে আমার বউও তোদেরকে পাহারা দিয়েছে এখন তুই সেটা পাহারা দিয়ে পূরণ করবি।
কি জ্বালা,, আর কখনো বিয়ে করবো না (মেঘ)
মাহি এখনো চোখ বন্ধ করে মাথানিচু করে রেখেছে,, মেহরাব আলতো হাতে মাহির থুতনিতে হাত রেখে মাথাটা উপরে তুলে ওর কপালে চুঁমো খেয়ে বলল।
কিসটা নাহয় কালকের জন্য তুলা থাক,, সুদে আসলে আদায় করে নেবো,, এই বলে মেহরাব দরজা খুলে চলে গেলো, মাহি এখনো চোখ বন্ধ করে মেহরাব এর ছোঁয়া অনুভব করছে,,,।
চলবে,,,,,,??
#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#৪৬_পর্ব (বিয়ে_স্পেশাল-২?)
.
সকাল থেকে মেঘ শুভ আর মেহরাব এর বাকি বন্ধুরা মেহরাব এর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ওকে সমানে ডেকে চলেছে,, কিন্তু মেহরাব দরজা খোলার নামগন্ধ নেই, এদিকে অনেক বেলা হয়ে যাচ্ছে,, গতকাল অনেক রাত পযন্ত সবগুলা আড্ডা দিয়েছে নিজেরা তো দিয়েছেই সাথে মেহরাব কেও জোর করে রেখে দিয়েছিলো,, আর রাতে সবাই একসাথে ঘুমাতে চাইলে মেহরাব আগে আগে এসে দরজা বন্ধ করে ঘুমাই গেছে, ওদের আর কি করার অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় সবগুলা ডয়িং রুমে ঢালায় বিছানা করে ঘুমায় ছিলো কেননা বাড়ি ভর্তি মানুষ,, আর শুভ সাথে ইপ্সাও এসেছে, ইপ্সার নয় মাস চলছে যাকে বলে ভরা পোয়াতি তবুও এসেছে শুভ অবশ্য আনতে চাইনি জোর করে নিয়ে আসছে,, আসার পর থেকে শুধু চুপচাপ বসে আছে আর সবার আনন্দ করা দেখছে।
কিরে ভাই এতো দরজা ধাক্কাস কেনো একটু শান্তি মতো ঘুমাতেও দিবি না নাকি (দরজা খুলে বিরক্তি নিয়ে বলল মেহরাব)
আজ থেকে তোমার শান্তির দিন শেষ ব্রো কেননা তুমি বিয়ে করতে যাচ্ছো, (মেঘ)
কি বলতে চাইছেন আপনি,, আমাকে বিয়ে করে আপনার শান্তি শেষ হয়ে গেছে??(পিছন থেকে কমড়ে হাত দিয়ে বলল মেঘলা)
নে এবার ঠেলা সামলা,, (ফিসফিস করে বলল শুভ)
চুপ থাক সালা,,, আরে তুমি যে কি বলো, আমি আবার কখন এই কথা বললাম আর তোমাকে বিয়ে করার পর থেকে তো আমার জীবনে শুধু শান্তি আর শান্তি (মেঘলার কাছে গিয়ে বলল মেঘ)
হুম থাক আর গ্যাস দিতে হবে না,,, আর ভাইয়া আজকে না তোর বিয়ে তা এতো বেলা করে ঘুমালে চলবে?? গোসল করা লাগবে না?? তৈরি হওয়ার লাগবে না?? নাকি বিয়ে করার ইচ্ছে নেই, মাহিকে ফোন করে বলে দেবো??
কি বলতে চাইছিস তুই আমি মাহিকে ভয় পাই নাকি, এখনি দেখবি আমি টুপ করে রেডি হয়ে যাবো, এই চল সবাই,,৷।
,,,,,,লাল টকটকে বেনারসি পরায়ে মাথায় ঘোমটা দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে মাহিকে বসিয়ে রাখা হয়েছে,,, পাশে মাহির বান্ধবীরা সহ আরো অনেকেই আছে, তখনি বাইরে শুনা গেলো বর এসেছে সবাই দৌড়ে বর দেখতে চলে গেলো মাহির ও খুব ইচ্ছে করছিলো তার মেহরাব ভাই কে বর বেশে কেমন দেখতে লাগছে সেটা দেখার কিন্তু এই মহুর্তে এই ইচ্ছে টা চেপে রাখতে হবে।।”
গেট আটকানো থেকে শুরু করে জুতো চুরি কোন কিছুই বাদ রাখেনি মাহির বান্ধবীরা সাথে মেঘলা মীরা ও যোগ দিয়ে ছিলো যদিও ওরা বর পক্ষ তবুও এবাড়ি এসে কণে পক্ষে যোগ দিয়েছিলো।
মীর জাফর ,,,বোন হয়ে এভাবে আমার পকেট ফাঁকা করলি??
হা হা রাজনীতিতে কোনো ভাই বোন নেই (মেঘলা)
এ কেরে কে?? এ আমার বোন হতেই পারে না তোর বউ (মেহরাব)
না ভাই তিতা হলেও এই কথাটা সত্যি যে ও তোরই বোন আর আমার বউ (মেঘ)
আপনার খবর আছে পরে, এখন কিছু বললাম না (মেঘলা)
অনেক মজা আর রসিকতার পর বিয়ের কাজ শুরু হল। কাজী যখন ‘কবুল’ বলতে বলল তখনই মাহি হালকা অস্বাভাবিক হয়ে উঠল। কেমন অদ্ভুত অনুভূতিগুলো ঘিরে ধরল ওকে। যদিও বলেছিলো কাঁদব না এখানেই তো বিয়ে হচ্ছে যখন খুশি আসতে পারবো তবুও মন যে মানে না বিয়ে পরানোর সময়টায় মাহির বাবার ছলছলে চোখ দেখে মাহিও কেঁদে ফেলেছে। এতোগুলো বছর বাবা মায়ের ছায়ায় থেকে এখন চলে যেতে হচ্ছে এ যে বড়ই কষ্টের এখন আর রোজ সকালে চা করে আব্বুর ঘুম ভাঙানো হবেনা, রোজ রাতে টিভি দেখা নিয়ে ভাইয়ের সাথে মারামারি হবে না,, মায়ের বকা খেয়েও মাকে জ্বালানো হবে না। মেহরাব এর মত স্বামী আর ওরকম শশুর শাশুড়ি পাওয়ায় বিয়ের পরও ওর শখ-আল্লাদ, স্বাধীনতা, বায়না কোন কিছুরই পরিবর্তন আসবে না সেটা মাহি জানি কিন্তু তবুও বাবা মা তো বাবা মাই হয়। হুটহাট দেখতে আসতেও পারবেনা। আজ থেকে নিজের অস্তিত্বকে মেহরাব এর সাথে জুড়ে দেবে। সারাজিবনের জন্য মেহরাব এর হয়ে যাবে ও। দুটো অনুভূতি মিশে কান্না হয়ে বেড়িয়ে আসছে। ফুপিয়ে কেঁদে উঠছে। সবাই বোঝানোর পর অবশেষে মুখ দিয়ে ‘কবুল’ বেড় হল মাহির। ওদিকে কাজী বলার এক সেকেন্ডের মধ্যেই মেহরাব ‘কবুল’ বলে দিয়ছে একটুও দেরি করেনি এই নিয়ে মেঘ শুভসহ সবাই হাসাহাসিও করেছে।
অবশেষে বিয়ের সব কাজ শেষ করে মাহিকে মেহরাব এর বাড়িতে আনা হয়েছে,, ফুলে ফুলে সাজানো খাটে একহাত ঘোমটা দিয়ে বসে আছে মাহি,, বুকের ভিতর কেমন যেনো ঢিপ ঢিপ করছে সারা শরীল কাঁপছে,,, মনে হচ্ছে যেনো এখনি মাথা ঘুরে পড়ে যাবে।
কি ব্রো বউয়ের কাছে যাবে?? তা তো হচ্ছে না।
আগে টাকা ছাড় তারপর মাহির কাছে যেতে দেবো (মেঘলা)
এই তুই আর কত পকেট কাটবি আমার তোর তো এখন বর আছে,,, আর মেঘ আমি তোর বাসরে কিছু করেছি?? তাহলে তুই কেনো এখন ঝামেলা করছিস।
কিছু করিসনি মানে, ফোনে নেহাল কে কি সব আইডিয়া দিছিলি,, ওর আর মীরা মিলে আমার দরজার সামনে ঝগড়া শুরু করে দিছিলো তারপর অর্ধেক রাত অবধি আমার বউয়ের কাছে বসে ছিলো,, শেষ রাতে বউয়ের কাছে গিছিলাম তবুও ভয়ে ভয়ে না জানি কখন আবার এরা ঝগড়া শুরু করে দেয়।
আরে ওটা তো অতীত,, ভাই অতীত মনে রাখতে নেই জানিস না
কিসের অতীত এখন শুধু প্রতিশোধ নেওয়ার পালা হু হা হা হা। একটা ভিলেন মার্কা হাসি দিয়ে।
এতো দেখি মহা জ্বালা এখন কি করি ভিতরে যাবো কীভাবে, তখনি মেহরাব বলল,,, আরে ওখানে ওটা কি জলজল করছে,,, মেহরাব এর কথাশুনে সবাই পিছনে তাকালে এই ফাঁকে মেহরাব ভিতরে ঢুকে গেলো,,,, সবাইকে শুভ রাত গাইস (এই বলে দরজা বন্ধ করে দিলো)
এই এটা কিন্তু চিটিং দরজা খোল,,,, মেহরাব কি আর দরজা খোলে,, অবশেষে মেঘরা ক্লান্ত হয়ে চল গেলো।
নজর না লাগে যেনো চাঁন্দের ও গায়ে,, মাহির পাশে বসে ওর ঘোমটা টা খুলে বলল মেহরাব,,
অনেক সুন্দর লাগছে আমার বউ কে,
মাহি কিছু বলতে পারছে না ভয় আর ভালোলাগা মিশে সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে,, কি হলো কথা বলছো না কেনো??
মেহরাব এর মুখে তুমি শুনে মাহি চোখ বড় বড় করে মেহরাব এর দিকে তাকালো,,
এভাবে তাকানোর কিছু নেই এখন থেকে যখন আমরা একা থাকবো তখন তুমি বলবো আর বাকিদের সামনে যেমন ছিলো তেমনি,, আর বাঁদর গুলা যদি জানে তাহলে আবার আমার পিছু লাগবে।
মেহরাব মাহির কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলল,,,এভাবে কেউ সাজে আমি তো নিজেকে কন্টোলে রাখতে পারছি না কিছু করে ফেললে কিন্তু আমার দোষ নেই, (এই বলে মাহির কানে চুমো দিলো)
মাহি আবেশে চোখ বন্ধ করে বিছানার চাদর খাঁমচে ধরে রাখলো।
মেহরাব আস্তে করে মাহিকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ওর উপর আধোশোয়া হয়ে বলল,,,এভাবে চোখ বন্ধ করে রেখেছো কেনো, তাকাও আমার দিকে।
মাহি আস্তে আস্তে চোখ খুলে মেহরাব এর দিকে তাকালো,, মেহরাব মাহির কপালে চুমো খেয়ে আস্তে করে ঠোঁটের কাছে নেমে এসে ঠোঁটে শব্দ করে চুমো খেয়ে, মাহির কানের কাছে বলল।
,, মে আই??
মাহি শোয়া থেকেই মেহরাব কে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো,, মেহরাব তার জবাব পেয়ে গেছে,, মাহিকে চুমোতে চুমোতে ভরিয়ে দিলো তারপর মাহিকে নিয়ে ভালোবাসার সাগরে ডুব দিলো।
মাঝরাত চারিদিকে শুনশান দূর থেকে ঝিঁঝি পোকার ডাক শোনা যাচ্ছে,,, মাহি মেহরাব এর বুকে শুয়ে আছে, বুকে শুয়ে আছে বললে ভুল হবে মেহরাব এর উপর শুয়ে আছে যেনো মেহরাব ওর বিছানা,, মেহরাব এর উপর শুয়ে ওর বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে,, কেবলি দুচোখের পাতা এক করেছে তখনি দরজার বাইরে কে যেনো দরজা ধাক্কাতে লাগলো আর মেহরাব কে ডাকতে লাগল,, মাহি মাথা তুলে দরজার দিকে তাকায়ে গায়ে ভালো কর চাদর জরিয়ে মেহরাব কে ডাকতে লাগল,,
এই যে শুনছেন উঠেন, কে যেনো ডাকছে,আপনাকে মেহরাব এতো শক্ত করে মাহিকে জরিয়ে রেখেছে ও উঠতেও পারছে না। অনেক ডাকাডাকির পর মেহরাব চোখ খুলে মাহির দিকে তাকিয়ে বলল।
কি হয়েছে ডাকছো কেনো??(ঘুম ঘুম সরে বলল)
দেখুন না কে যেনো দরজা ধাক্কাচ্ছে আর আপনাকে ডাকছে।
মেহরাব কিছুক্ষণ চুপ থেকে শুনার চেষ্টা করলো কে ডাকছে তারপর মাহিকে নিজের উপর থেকে নামিয়ে,শুয়া থেকে উঠে, খাট থেকে নেমে একটা সেন্টার গেঞ্জি পরে দরজা খুলতে গেলো,, মাহি চাদর টা ভালো করে গায়ে জরিয়ে বসে রইল মেহরাব এর ফিরার আশায়,, এখন এই চাদর টাই সম্বল কেননা ওর শাড়ি কোথায় ও নিজেও জানে না রাতে মেহরাব খুলে কোথায় ফেলেছে কে জানে,, চাদরটা গায়ে জরিয়ে বসে থাকল, টেনশন হচ্ছে এতোরাতে কে ডাকছে কোনো বিপদ হলো নাকি।
চলবে,,,,,??