?#The_Colourful_Fragrance_Of_Love?
Part: 09
হিয়ার কলেজ শুরু হয়,সাথে শুরু হয় হিয়ার প্রতি উজানের আরো একটু বেশিই নজরদারি,নিয়মিত কলেজ যাওয়া,ঠিক মতো টিফিন খাওয়া,কলেজ শেষে নিয়ম করে অফিসের ফাঁকে হিয়াকে বাড়ি নিয়ে আসা,বাড়ি ফিরে হিয়াকে নিয়ে পড়াশুনা করা,সব মিলিয়ে সময় গুলো ভালোই চলতে থাকে,নীলিমার কথা মনে পড়লেও এখন খুব বেশি একটা কষ্ট হয় না উজানের,তবে একবারে যে কষ্ট টা লাঘব হয়েছে এমন টাও না,,
রোজ ২টায় কলেজ ছুটি দিলেও আজ কলেজে কিছু কাজ থাকায় হিয়াদের ছুটি টা ১২টায় হয়ে গেছে,কিন্তু হিয়ার কাছে ফোন নেই যে ও উজানকে একটা ফোন করে ডাকবে, তারউপর এসময় তো লাঞ্চ আওয়ারো না যে উজান আসতে পারবে এমনিতেও তো রোজ লাঞ্চ আওয়ারে এসে হিয়াকে ড্রপ করতে নিজের খাবারের সময় টাই উজান পায় না,হিয়া আনমনে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে,কোনো রিক্সা তো দূরে থাক অটো যা একটা দুটো যাচ্ছে সেটাতেও লোক দিয়ে ভর্তি,
আবীরঃ হিয়াআআ হিয়াআআ
হিয়াঃ কে,,,ও আবীর দা
আবীরঃ একা একা হাটছো যে আজ উজান নিতে আসে নি
হিয়াঃ না,আসলে আজ কলেজ হঠাৎই তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দিলো আর উনি জানে না এদিকে আমার ছুটি হয়ে এসেছে,,তাই আমি একা একা,,
আবীরঃ বাড়ি তো ফিরবে নাকি এখন?
হিয়াঃ হুমম,
আবীরঃ আসো একসাথে বাড়ি ফিরি,আমিও বাড়িতেই যাচ্ছি,
হিয়াঃ না না আমি একা চলে যেতে পারবো,সমস্যা নেই,
আবীরঃ তোমার বর এখন অফিসে সবার উপর নজরদারি করছে তোমাকে দেখবে না,ভয় নেই তুমি আসতে পারো আমার সাথে,
হিয়াঃ না মানে,
আবীরঃ আবীর দা বলছো,তো দাদার এই রিকুয়েষ্ট টা রাখো প্লিজ
আবীরের রিকুয়েস্ট এ হিয়া বাধ্য হয় আবীরের সাথে আবীরের রিক্সায় উঠে বাড়ি যেতে
আবীরঃ একটা সময় আমি উজান দুজনে অনেক ভালো বন্ধু ছিলাম,বলতে পারো আমাদের কারোরি কারো ছাড়া চলতো না,কিন্তু আজ দেখো উজান আমাকে দু চক্ষে সহ্য করতে পারে না
হিয়াঃ হঠাৎ কি এমন হলো যে আপনারা
আবীরঃ সে অনেক কাহিনি,ভুল বোঝাবোঝি বলতে পারো,নীলিমার একটা কাজিন ছিলো রাইসা নাম মেয়েটার,মেয়েটাকে আমার ভালো লাগতো হ্যা তবে ঔ চোখের দেখাই ভালো লাগা,বেশি ডিপ কিছু না,,কিন্তু হঠাৎই সেদিন ঔ কলেজ ফাংশনে মেয়ে টা আমার উপর এলিগেশন দিলো আমি নাকি তার সাথে রুমের মধ্যে অসভতামি করছি কিন্তু সেদিন রুমে আমি ওর হাত টা ধরা ছাড়া কিছুই করি নি,ইভেন আমি তো নিজেও ঔ রুমে যাই নি বলতে পারো বাধ্য হয়ে বোকা হয়ে গিয়েছিলাম,আর হাত টাও ইচ্ছে করে ধরা ছিলো না ওটা আচমকাই,,,,তারপর তো বুঝোই সব, নীলিমার কাজিন আর সেদিন রুমে আমাকে রাইসাকে ওভাবে দেখে উজান আমাকে খারাপ ভাবতে বাধ্য হয়
হিয়াঃ আপনি ওনাকে বলেননি যে আপনি ইচ্ছে করে
আবীরঃ না বলি নি,আসলে ওসময় আমারো মাথা গরম হয়ে গিয়েছিলো আমিও সেদিন রাগের মাথায় অনেক কথা বলে দিয়েছিলাম উজান কে,এমনকি এটাও বলেছিলাম রাইসা কেনো আমি তোর বোনের সাথেও অসভ্যতামি করবো একদিন দেখে নিস
হিয়াঃ আপনি রাগ না করে ওনাকে ওসময় সব সত্যি বলে দিলেই পারতেন
আবীরঃ না আমি বলতে চাইনি,আমি শুধু দেখতে চেয়েছিলাম আমাদের বন্ধুত্ব টার ভীত ওর কাছে কি রকম,তবে সন্ধি অবশ্য সব জানে,সন্ধির সাথে রোজই কথা হয় আমার
হিয়াঃ সন্ধি আপু সব জানে!!তাহলে উনি কেনো কিছু বলে নি,আমার বর তো ওনাকে খুব মান্য করে
আবীরঃ আমি ই বলতে বারণ করেছি,আমি শুধু সেদিন টার অপেক্ষায় আছি যেদিন উজান নিজে রিয়েলাইজ করে আমার কাছে ফিরে আসবে,ক্ষমা চাবার জন্য না আমাদের বন্ধুত্ব টাকে নতুন ভাবে সুযোগ দেবার জন্য
_________________
সন্ধিঃ যাগ ক্লাইন্ডের সাথে বসে একটা গেট টু গেদার হলো আর সাথে অভিকের পেট টাও আজ ভরে গেলো(অভিকের পেটে একটা ঘুতো দিয়ে)
অভিকঃ আহ মজা করিস না তো,শুধু শুধু তো গিললো সবাই কম তো বিল আসে নি,বাই এনি চান্স যদি ডিল টা না হয় শুধু শুধু টাকা টা খরচা
উজানঃ এরকম ডিল করতে হলে তো খরচা একটু যাবেই,আচ্ছা অফিসে যাই এখন নাকি এখনি তোরা বেড়িয়ে পড়বি
সন্ধিঃ না একবারে কাজ মিটিয়ে তারপরই বাড়ি ফিরবো
উজান যেই গাড়ির দরজা টা খুলে সন্ধিকে বসতে বলবে ওমনি রাস্তার উল্টোদিকের রিক্সায় আবীর আর হিয়াকে দেখতে পারে
অভিকঃ ওটা হিয়া না,আবীরের সাথে এক রিক্সায় কি করছে
সন্ধিঃ কি আবার করবে,উজান
উজানঃ সন্ধি গাড়িতে বস
সন্ধিঃ আমার কথা টা তো শোন
উজানঃ আমি তোকে গাড়িতে বসতে বলেছি
সন্ধিঃ এরকম শুধু চোখের দেখায় হিয়াকে জাস্টিফাই করিস না প্লিজ
উজানঃ হিয়া কে জাস্টিফাই করছি না,শুধু জানি আবীর আমার উপর রাগ মেটাতে হিয়াকে কষ্ট দিতে দুবার ভাববে না
সন্ধিঃ তোকে সত্যি আমি কিছু বলবো না,মাঝে মাঝে তোর কথা শুনলে মনে হয় তুই আবীরকে শুধু ভুল বোঝার জন্যেই জন্মেছিস
কথাটা বলেই সন্ধি ঠাস করে গাড়ির দরজা টা খুলে বসে যায় গাড়িতে
__________________________
আবীরঃ উজান আর নীলিমার সম্পর্ক টা সত্যি অন্য রকম ছিলো,ছোট থেকে একসঙ্গে পড়তাম আমরা সবাই বাট উজান আর নীলিমার পাকাপাকি রিলেশন শুরু হয় কলেজ লাইফ থেকে দেন কলেজ লাইফ পেড়িয়ে ভার্সিটি মোটামুটি ৮বছেরর একটা রিলেশনশীপে ছিলো ওরা
হিয়াঃ নীলিমা আপু বিয়ে টা কেনো করলো তাহলে উনি কি আপনার বন্ধু কে মন থেকে ভালোবাসতো না
আবীরঃ ধুর বোকা,ভালোবাসতো অনেক ভালোবাসতো আসলে নীলিমার ফ্যামিলি সম্পর্ক টা মেনে নেয় নি,আর শেষে গিয়ে নীলিমা কেনো বিয়ে টা করেছে সেটাও আমরা ঠিক এখনো জানি না
হিয়াঃ ওহ
আবীরঃ তুমি কখনো উজানকে কষ্ট দিও না হিয়া,ছেলে টা নতুন করে বাঁচতে শিখেছে ওকে এভাবেই ভালো রাখতে চেষ্টা করো
হিয়াঃ হুম,চেষ্টা করবো
আবীরঃ নামো এসে পড়েছি,,
_________________________________
রাতের দিকে হিয়া ওর সোফায় বসে বই পড়ছিলো,এমন সময় উজান অফিস থেকে ফিরে এসে কারো সাথে কোনো কথা না বলে নিজ রুমে গিয়ে টাই টা আলতো করে খুলতে শুরু করে,উজানকে দেখে রোজকার মতো হিয়া তো মহাখুশি,হিয়া নিজ মন মতো উঠে এসে তোয়ালে,উজানের রাতে পড়া টাওজার থেকে শুরু করে যা যা লাগবে হাতের কাছে এনে দিয়ে নিজ মনে একটার পর একটা কথা বলতে শুরু করে,কিন্তু উজান নিশ্চুপ
হিয়া বুঝে উজানের কিছু একটা হয়েছে নাহলে উজান কম কথা বললেও কখনো তো এরকম চুপ করে থাকার মানুষ না,হিয়া এখন ভাবতে থাকে ও কি বলবে আজ ও আবীরের সাথে বাড়িতে ফিরেছিলো,যদি বকা দিয়ে দেয়,কিন্তু উজানের কাছে তো হিয়া কিছু লুকোয় না,তাহলে,
স্নান সেড়ে উজান তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বের হয়ে বিছানায় গিয়ে চিৎ হয়ে শুইয়ে বালিশে হেলান দিয়ে চোখ টা বন্ধ করে,হিয়া গুটি গুটি পায়ে উজানের পাশে গিয়ে বসে পড়ে কি দিয়ে কথা টা শুরু করবে তাই ভাবতে থাকে
হিয়াঃ কফি টা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে খাবেন না,,,,,, আজ না কলেজে কিছু কাজ ছিলো তাই আমাদের তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দেয়,আমি আপনাকে ফোন করবো ভাবলাম কিন্তু ফোন টা আজ কি মনে করে বাড়িতেই ফেলে গিয়েছিলাম,,,,পরে ঔ হাঁটতে হাঁটতে আবীর দার সাথে দেখা উনি বললো ওনার রিক্সায় করে ফিরতে তাই আমি,,,,আমি অনেক মানা করেছিলাম ওনাকে কিন্তু উনি এতো করে রিকুয়েষ্ট করলো
উজানঃ (চোখ থেকে হাত সরিয়ে) কাল থেকে আবীরকেই বলো তোমাকে যেনো নিয়ে আসে,আমার কাল থেকে আবার অফিসে অনেক কাজ শুরু,সময় হবে না তোমাকে আনতে যাবার
হিয়াঃ আপনি এরকম করে বলছেন কেনো আমাকে,আমি কি জেনে শুনে ইচ্ছে করে
উজানঃ না আমি তোমাকে আবার কি বললাম,আমি তো শুধু বলছি আমি ব্যস্ত থাকবো তুমি বরং আবীরের সাথেই
হিয়াঃ আপনি রাগ করেছেন
উজানঃ কে আমি রাগ করার,,,,তোমার উপর রাগ করবার অধিকার কি আদৌও আছে আমার হিয়া!!,,,,ভুল তোমার না ভুল আমার আমি তো এই সম্পর্ক টাকে,এই বিয়ে টাকে এখনো মেনে নেই নি তাহলে তুমি কার সাথে কোথায় বের হবা না হবা কার রিক্সায় করে বাড়ি ফিরবা সেগুলো নিশ্চয় আমার পারমিশন নিয়ে করবা না
হিয়াঃ আচ্ছা লোক তো আপনি দোষ সব নিজের ঘাড়ে নিচ্ছেন কিন্তু আমাকে আবার দোষী বানিয়ে দিচ্ছেন এটা কিন্তু ঠিক না
উজানঃ ভালো লাগছে না,একটু একা থাকতে দিবা
হিয়াঃ আমি কিন্তু চাইলে আপনার থেকে কথা টা লুকোতে পারতাম কিন্তু আমি কিন্তু তা করি নি
উজানঃ তুমি লুকোলে কি আমি জানতে পারতাম না
হিয়াঃ না মানে হয়তো পারতেন হয়তো না
উজানঃ হুম,,প্লিজ একটু একা থাকতে দেও ভালো লাগছে না
হিয়াঃ শুনুন না আমার কথা টা
উজানঃ হিয়া প্লিজ
হিয়াঃ একটু শুনুন
উজানঃ হিয়া
হিয়াঃ ঠিক-আছে আমি যাচ্ছি
___________________________
আজ পাক্কা দুদিন হয়ে আসে উজান হিয়ার সাথে প্রয়োজন ছাড়া একটা কথা বলা তো দূর হিয়াকে আনতে পর্যন্ত হিয়ার কলেজ যায় না,শুধু ড্রাইভার আঙ্কেল কে গাড়ি দিয়ে পাঠিয়ে দেয়,হিয়ার আর এভাবে ভালো লাগে না,খুব কষ্ট হচ্ছে হিয়ার,কেনো উজান ওকে ভুল বুঝে এ-র কম বিহেভ করছে,ও তো চাইলেই সব লুকোতে পারতো কিন্তু সব বলার পরো,না হিয়াকে উজানের সাথে কথা বলতেই হবে,হিয়ার শিশুসুলভ মন টা যে এ-র কম রাগ অভিমান বেশিক্ষণ নিজের মনের মধ্যে চেপে ধরে রাখতে পারে না
হিয়াঃ ড্রাইভার আঙ্কেল,আমি এখন বাড়ি ফিরবো না,ওনার অফিস তো তুমি চেনো,আমাকে নিয়ে যাবে ওনার অফিসে
ড্রাইভার আঙ্কেলঃ ঠিক আছে বসো,আমি নিয়ে যাচ্ছি
____________________
ড্রাইভার আঙ্কেল হিয়াকে অফিসে নামিয়ে দিলে,হিয়া থার্ড ফ্লোরে মেইন অফিসে উঠে যায়,অফিস টা কতো বিশাল বড়ো,পুরোটাই থাই দিয়ে মোড়ানো,সিড়ির চারপাশে শুধু বিভিন্ন ডিজাইনের বিল্ডিং এর ছবি,সাথে টবে লাগানো কতো সুন্দর সুন্দর গাছ,হিয়া ওসব দেখতে দেখতে ভেতরে ঢুকে উজান কোথায় তাই খুঁজতে শুরু করে,তখন ছিলো লাঞ্চ আওয়ার সব কর্মচারীরা যে যার মতো বসে খাচ্ছে,
তাসফিয়াঃ এই মেয়ে ওদিকে বসের রুমের ওখানে কোথায় যাচ্ছ
হিয়াঃ আমি আসলে একজনকে খুঁজছিলাম
তাসফিয়াঃ এখানে কেউ নেই,খুঁজতে হলে হল রুমে গিয়ে খুঁজো,,,,,যাও যাও বের হও,আর এভাবে কলেজ ড্রেসে ঘুরে বের হচ্ছ কেনো,তোমাকে তো আগে দেখি নি,কি মতলবে এসেছো কাকে চাই তোমার
হিয়াঃ না আমি আসলে এখানে
তাসফিয়াঃ Security Security
এমন সময় উজান ওখানে এসে হিয়াকে দেখে প্রথমে হালকা অবাক হয়ে যায়,,তারপর রাগি রাগি মুখ করে গম্ভীর কণ্ঠে
উজানঃ এক সেকেন্ড আপনি Security ডাকছেন কেনো
তাসফিয়াঃ স্যার দেখুন না মেয়েটা কি রকম না বলে একদম ভেতরে চলে এসেছে,,,,এই মেয়ে দাঁড়িয়ে আছ কেনো এখনো,,তোমাকে বের হয়ে যেতে বললাম না
উজানঃ Stop,,why are you behaving with her like this,she is my wife(রাগে)
তাসফিয়াঃ সরি স্যার,আমি আসলে জানতাম না উনি আপনার ওয়াইফ
উজানঃ So what,অফিসে যে কেউ আসলে তার সাথে আপনারা এরকম ব্যবহার করবেন,আগে তো শুনবেন উনি এখানে কেনো এসেছেন,
তাসফিয়াঃ সরি স্যার,এরপর থেকে আর এরকম ভুল হবে না
উজানঃ ঠিক আছে,নিজের কাজে যান এখন
মেয়ে টা চলে গেলে উজান হিয়ার দিকে তাকাতে হিয়া এসে উজানের এক বাহু ধরে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে উঠে
হিয়াঃ Sorry তো,,আর কতো কথা না বলে থাকবেন আমার সাথে,দুদিন থেকে Sorry Sorry বলতে বলতে আমার মুখে ব্যাথা চলে আসছে আর আপনি এভাবে আমাকে,,
উজানঃ কেনো আসছো অফিসে তুমি
হিয়াঃ আপনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিলো, কথা বলতে ইচ্ছে করছিলো তাই
উজান কিছু না বলে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে নিজের কেবিনে গিয়ে নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ততা দেখাতে শুরু করে,উজান একটা বড়ো শীটে ওদের নেক্সট বিল্ডিং এর মডেল আঁকছিল,হিয়া আসে উজানের পিছুপিছু
হিয়াঃ আমি ওয়াশরুমে যাবো
উজান কিছু না বলে কেবিনের সাথে থাকা ওর রুম টার ওয়াশরুমে গিয়ে দরজা খুলে দেয়,হিয়া ওয়াশরুমে ঢুকলে উজান গিয়ে আবার ওর কাজ করতে শুরু করে,হিয়া ফ্রেশ হয়ে এসে কিছুক্ষণ উজানের বিছানাটায় বসে ঝুলে রাখা তোয়ালে দিয়ে মুখটুখ মুছে উজানের পেছনে গিয়ে দাঁড় হয়
হিয়াঃ এটা কার বাড়ি,আপনার আর নীলিমা আপুর?
উজানঃ আমার আর নীলিমার কেনো হতে হবে,,,,আমি কি তোমার আর আমার একটা বাড়ি বানাতে পারি না হিয়া!!❤️?
উজানের কথায় হিয়া স্তব্ধ!!হিয়ার চোখ দিয়ে নিমিষেই গড়িয়ে পড়লো এক ফোঁটা জল,মুখের কোণে খেলে উঠলো এক চিলতে হাসি
হিয়াঃ ❤️আমাদের ভালোবাসার বাড়ি❤️
কথাটা বলেই হিয়া দৌড়ে চলে যায় কেবিনের বারান্দায়,হিয়ার চোখে তখনো জল স্পষ্ট
হিয়াঃ সত্যি কি কখনো আপনি আমার আর আপনার জন্য একটা ভালোবাসার বাড়ি বানাবেন,সত্যি কি সেদিন আসবে যেদিন আপনি সব ভুলে আমাকে গ্রহন করতে পারবেন,খুব ইচ্ছে করে আপনার ভালো বাসা গায়ে মাখতে,বিশ্বাস করুন খুব ইচ্ছে করে খুব,,
হিয়ার ভাবনার ছেদ ঘটে সন্ধির আগমনে,সন্ধির গলা পেয়েই হিয়া খুব সর্তকভাবে ওর চোখ দুটো মুছে বারান্দা থেকে বেড়িয়ে সন্ধির কাছে গিয়ে সন্ধিকে জড়িয়ে ধরে
সন্ধিঃ এ মা তুমি কখন এলে,,আমি দেখতেও পারলাম না,এই উজান হিয়া আসবে আমাকে আগে বলিসনি কেনো রে,,তা কি ব্যাপার সোজা কলেজ দিয়ে আসা বুঝি,,
হিয়াঃ হুম ওনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিলো তাই
সন্ধিঃ ওরে বাবা রে মেয়ের কথা শুনো,ওনাকে নাকি খুব দেখতে ইচ্ছে করছিলো,উনি কি হ্যা বলো উজান,,,,,বলতে পারবে না,ডাকতে পারবে না নাম ধরে
হিয়াঃ না মানে উনি টাই ঠিক আছে,আপনি করে বলতেই ভালো লাগে,,
সন্ধিঃ হুমমম,এখন আপনি আর ক বছর যাগ তখন গালি দিতেও বিরক্ত লাগবে বুঝলা?
সন্ধির কথায় হিয়া হেঁসে উঠে
সন্ধিঃ হেঁসে লাভ নেই,এটাই সত্য,,,,,তা উজান লাঞ্চ কখন করবি একটু পর তো মিটিং আছে আবার,জয়েন করবি না
উজানঃ হুম
সন্ধিঃ আচ্ছা আমি আমার খাবার টা নিয়ে আসি,তোরা বস কিছুক্ষণ
উজানঃ লাগবে না,আমি তিনজনের ওডার দিয়ে দিয়েছি
সন্ধিঃ আর অভিক
উজানঃ ওহ বাহিরে এখনো
সন্ধিঃ ঠিক আছে
খাবার দিয়ে গেলে কেবিনের মধ্যেই তিনজনে মিলে খেয়ে নেয়,গল্প করে খেতে মিলতে তখন প্রায় চারটে,মিটিং এই একটু পরেই শুরু হবে,সন্ধ্যায় আবার হোটেলে ফাংশন এর আয়োজন ও আছে,
উজানের রাগ এখনো খুব একটা পরেনি,তখন যে বাড়ি বানানোর কথা টা বললো তারপর আর একবারো সে হিয়ার সাথে কোনো কথা বলে নি,খাবার শেষ হলে সন্ধি ওর সব ফাইল নিয়ে মিটিং রুমে চলে যায়,উজান ওর রুমে টাই ঠিক করে চুল টা আর একটু ভালো করে আছড়ে নিয়ে ওর ফাইল গুলো চেক করতে থাকে,হিয়া তখন উজানের অফিস রুমের ঔ ছোট্ট বিছানা টায় বসে বসে ঝিমুচ্ছিলো
উজানঃ কিছু লাগলে আমাকে একটা টেক্সট বা বাহিরে তাসফিয়া আছে ওকে ডেকে জিঙ্গেস করে নিও,,,আর হ্যা দরকার ছাড়া এই রুম বা কেবিন থেকে যেনো এক পা বাহিরে বের হওয়া না দেখি,আমি তাসফিয়া কে বলে দিচ্ছি আমি না ফেরা অবধি যেনো,,,,ভেতরে কাউকে আসতে না দেয়,ক্লিয়ার
উজানের কথায় হিয়া শুধু চোখ দিয়ে তাকিয়ে থাকে উজানের মুখের দিকে,আর আলতো করে মাথা নাড়িয়ে বলে হ্যা ক্লিয়ার,,উজান বের হয়ে গিয়ে আবার পাঁচ মিনিট পর ফিরে এসে হিয়ার জন্য চিপস,কেক,বিস্কুট,আর পানি দিয়ে যায়,,আর এসব দেখে হিয়া মনে মনে খুব খুশি??
_________________________
রুমের মধ্যে একা একা সব জিনিস চোখ বুলিয়ে দেখতে দেখতে হিয়া যে কখন ঘুমিয়ে পড়ে ওর নিজেরো কোনো হুশ থাকে না,এদিকে মিটিং প্রায় ৪০মিনিট ধরে কন্টিনিউ হবার পর ফাইনালি শেষ হয়,সব গুছিয়ে ক্লাইন্ডদের বিদায় দিয়ে কেবিনে আসতে তখন বিকাল ৫টা ২০,,,,উজান এসে হিয়াকে গা মেলে দিয়ে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে হালকা করে হেঁসে দেয়,হিয়ার হাতে থাকা চিপসের অর্ধেক প্যাকেট টা নিয়ে হিয়ার মাথা টা বালিশে আরো ভালো করে তুলে দিয়ে ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে চলে যায়,ততোক্ষণে সন্ধি ওর সব কাজ মিটিয়ে বাড়ি ফিরবে বলে উজানের থেকে বিদায় নিতে যেই রুমে এসে একটু কিছু বলতে যাবে ওমনি উজান বেড়িয়ে ইশারায় বলে আস্তে কথা বল হিয়া ঘুমোচ্ছে
সন্ধিঃ এই রে ঘুমিয়ে গেলো,আমি ভাবলাম হিয়াকে নিয়ে বাড়ি ফিরবো
উজানঃ হিয়াকে নিয়ে ফিরবি মানে?
সন্ধিঃ ইয়ে মানে,ইয়ে আর কি,(উজানের এক বাহু ধরে) শোন না?
উজানঃ হোয়াট
সন্ধিঃ যদি আজ সন্ধ্যে পার্টিতে হিয়া আমাদের সাথে উপস্থিত থাকে কেমন হয় ব্যাপার টা,,,,খুব মজা হবে কিন্তু বল?
উজানঃ নো ওয়ে,হিয়া ওসব পার্টি এর আগে কখনো এ্যাটেন্ড করে নি,আর তাছাড়া ওখানে সবাই ওর থেকে অনেক সিনিয়র ও ওদের সাথে এ্যাডজাস্ট করতে পারবে না
সন্ধিঃ বললেই হলো পারবে না,আমি আছি কি করতে
উজানঃ তা হয় না সন্ধি,আর হিয়া কলেজ ড্রেসে,এখন ও কখন বাড়ি ফিরবে ড্রেস চেঞ্জ করবে,কখন তুই আবার ওকে আনতে যাবি,এভাবে হয় নাকি
সন্ধিঃ হবে হবে সব ম্যানেজ হয়ে যাবে,তুই শুধু হ্যা বল,দেখবি আমি সব এ্যারেন্জ করে নেবো,প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ
হিয়ার ঘুম টা নিতান্তই হালকা বলে উজান সন্ধির কথোপকথনের মাঝে ওর ঘুম টা ভেঙ্গে আসলে হিয়া উঠে এসে ঢুলুঢুলু চোখে উজানের পাশে গিয়ে দাঁড় হয়
হিয়াঃ কি হয়েছে,কোথায় যাবো আমি
সন্ধিঃ আমার সাথে আজকের পার্টিতে
হিয়াঃ সত্যি?(মুখে এক বালতি হাসি দিয়ে)
সন্ধিঃ আমি তো নিয়ে যেতেই চাইছি কিন্তু তোমার বর তো আমার কোনো কথাই শুনছে না
হিয়াঃ উনি না নিয়ে যেতে চাইলে থাক,আমি বরং বাড়িতে গিয়ে একবারে
উজানঃ (কিছুক্ষণ চুপ থেকে)তুমি যেতে চাও ওখানে
হিয়া হ্যা না কোনো উওর না দিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে,তার মনে তো পার্টিতে যাবার খুব ইচ্ছে আছে কিন্তু উজানকেই বা বলে কি করে,যদি রাগ করে
উজানঃ ঠিক আছে,,যা ওকে নিয়ে
কথাটা বলে উজান ওর কেবিনে গিয়ে তখনকার বানানো ডিজাইন টার শেষ ফিনিশিং আঁকতে থাকে,এদিকে সন্ধি হিয়া তো দুজনে খুব খুশি,একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আস্তে করে হেঁসে ফেলে দুজনে
______________________
রাত ৮টা
হোটেলের হল রুমে খুব জমকালো ভাবেই পার্টির সব আয়োজন করা হয়েছে,উজান অভিক তুষার এরা আগে থেকেই ওখানে উপস্থিত,সন্ধি হিয়াকে নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে ইন করবে,এক গোল টেবিলে বসে উজান আর তুষার হাতে জুসের গ্লাস নিয়ে ওদের মতো গল্প করছিলো,এমন সময় অভিকো ওর বাকি কাজ টা মিটিয়ে টেবিলে এসে ওদের সাথে জয়েন করে
গল্পের মাঝে তিনজনের ই চোখ যায় সামন থেকে আসা হিয়া আর সন্ধির উপর,অভিক দেখেও চোখ সরিয়ে নেয় কারণ সামনের কারো দিকে তাকানোরই কোনো অধিকার তার নেই,সে আপন মনে গ্লাসে চুমুক দেওয়াতে ব্যস্ত,তুষার ওর অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সন্ধির দিকে বিয়ের পর থেকেই সন্ধিকে ও যতোবার দেখে তোতোবারই ওর কাছে সন্ধিকে নতুন রুপে চোখে লাগে?
এদিকে সন্ধি হিয়াকে আজ অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়,একদম বড়দের মতো,বড়দের মতো একটা বেগুনী রঙের শাড়ি,চুল গুলো নিচে কার্লি করা,তারউপর হাত ভর্তি চুড়ি দিয়ে হালকা মেকআপ,সবার চোখ গিয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছে হিয়ার এই নারীত্বের সৌন্দর্যের দিকে,কিন্তু উজান সে কাজ করছে না,একবার হিয়াকে দেখে নিয়েই ঔ ও অভিকের মতো ওর ফোন নিয়ে ব্যস্ততা দেখাতে শুরু করে,সন্ধি হিয়া গিয়ে বসে বাকি দুটো চেয়ারে
অভিকঃ প্রতিদিনই তো দেখিস আর কতো গিলবি এই শাঁকচুন্নি টাকে
তুষারঃ বেয়াদব!!আমার বউ হয় ওটা আর একবার শাঁকচুন্নি ডাকলে তোকে খুন করে ফেলবো??
সন্ধিঃ তুই নিজে কি তেঁতুল গাছের ভূত,তোর বউ টাও শ্যাওলা গাছের পেত্নী হবে দেখে নিস??
অভিকঃ তোর মতো witch এর চেয়ে তো বেটার হবে
সন্ধিঃ কুত্তা(হাতে থাকা ব্যাগটা অভিকের গায়ে চটকে দিয়ে)
উজানঃ আ হা কি করছিস,এখানেও মারামারি করবি
সন্ধিঃ আমি কি করলাম অভিই তো
উজানঃ চুপ,আর না
এমন সময় সাব্বির দৌড়ে এসে
সাব্বিরঃ তুষার ভাই বোতল গুলা কই লুকাবো
তুষারঃ সর্বনাশ কার সামনে কি বলছে
সন্ধিঃ হোয়াট বোতল,কিসের বোতল
সাব্বিরঃ ইয়ে না মানে
অভিকঃ কিছু না কিসের বোতল হবে আবার,সাব্বির যা তো দু গ্লাস জুস আন হিয়া আর সন্ধির জন্য,কুইক
সাব্বিরঃ জ্বি ভাই আনছি
সাব্বির এসে সন্ধি হিয়াকে জুস দিয়ে যায়,খাওয়া শেষ হলে সন্ধি হিয়াকে নিয়ে পার্টির পরিবেশ টা উপভোগ করতে থাকে,ওদিকে ক্লাইন্ড সহ বাকি সবাই ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করছে কি না উজান অভিক মিলে নজরদারি করতে ব্যস্ত,সময় পেরুতে থাকে,রাত এখন ১০টা,সন্ধি হিয়াও রাতের ডিনার টা করে নিয়ে এক সাইডে দাঁড়িয়ে এক ক্লাইন্ডের ওয়াইফের সাথে গল্প দিচ্ছে ওদিকে উজান সব কিছু দেখে নিয়ে ঠিক ঠাক সব গুছিয়ে হিয়াদের থেকে একটুদূরে একটা টেবিলের পাশে অভিক সহ দাঁড়িয়ে,,
উজানঃ এসব গ্লাসে ড্রিংক আছে এটা যদি সন্ধি ঘুনাক্ষরে একবার জানতে পারে তোদের ধারণাও নেই ও তোদের ঠিক কি হাল করবে
অভিকঃ ধুর ও টের পেলে না হাল করবে,,শোন তুষারের সাথে আমার কথা হয়েছে আমি বলেছি ড্রাইভারকে দিয়ে সন্ধি আর হিয়াকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে তারপর আমরা ফ্রেন্ডরা মিলে
উজানঃ This is too much অভিক,এগুলো ঠিক না এসব হারাম
অভিকঃ নিজে যখন সেদিন একবার গিললি তখন,তখন ওসব হারাম হালালের কথা খেয়াল ছিলো না না??
উজানঃ তখন ওসময়
সাব্বিরঃ অভিক ভাই স্যার আপনাকে ডাকে
অভিকঃ আমাকে আবার কেনো,ধুর ভালো লাগে না,,,কি আবার ভুল ধরবে কে জানে,,,,এই এগুলো দেখে রাখিস আমি আসছি
উজানঃ পার-বো-না
অভিক চলে গেলে উজান ওখানে দাঁড়িয়ে ফোন ঘাটতে থাকে,এরকম সময় আচমকাই ঘটে একটা কান্ড,একটা মেয়ে তিশা নাম সে আচমকাই উজানের দিকে আসতে আসতে ইচ্ছে করে পড়ে যেতে ধরে,মেয়েটা ভাবে উজান হয়তো তাকে ধরে নেবে বাট মেয়েটাকে ধরা তো দূরে থাক মেয়েটার উপস্থিতি টের পেয়েই তৎক্ষনাৎ উজান এক পা পিছিয়ে যায় ,আর তাতেই মেয়েটা গিয়ে পড়ে সোজা উজানের পায়ের কাছে,মেয়েটার তো এখন এসময় যে রকম ওকার্ড ফিল হচ্ছে ঠিক সে রকমই আসছে রাগ,মেয়েটা উঠে সোজা কিছু না বুঝেই উজান কে সবার সামনে একটা কসিয়ে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়
তিশাঃ মেয়ে দেখলে হুশ ঠিক থাকে না না,অসভ্য ছেলে কোথাকার,,
উজান মেয়েটাকে কিছু বলতে যাবে কিন্তু উজান নিজেও মেয়েটার এই কান্ডে অবাক,নিজে যেচে গায়ে পড়তে এসে নিজে আবার এখন বলছে উজান কি না অসভ্য,মেয়েটা হয়তো আরো অনেক কিছু বলতে যাচ্ছিলো কিন্তু যেই মেয়ে টা মুখ খুলে কিছু বলতে যাবে ওমনি হিয়া দুম করে এসে ওর হাতে থাকা জুসের গ্লাস টা সপাটে ছুঁড়ে মারে মেয়েটার গায়ে,হিয়ার এই কান্ডে সন্ধি হেঁসে ফেললেও উজান পুরো থ..!!
হিয়াঃ নিজের ইচ্ছায় ওনার গায়ে উল্টে পড়ে এখন নিজে বড় বড় কথা বলছেন,,,,কি মনে করেন কি নিজেকে আপনি,খুব চালাক,,,,,তখন থেকে আমার বর টার পেছনে ঘুরঘুর করছেন,,,,কি ভেবেছেন আমি কিছু বুঝতে পারছি না,,,,কিচ্ছু চোখে পড়ছে না আমার,,,,
তিশাঃ এক সেকেন্ড,,,,আপনি ম্যারিড??
হিয়াঃ জ্বী উনি ম্যারিড,,,,এরপর থেকে না কোনো ছেলেকে লাইন মারতে গেলে দেখে নিবেন তার পাশের সীট টা আদৌও খালি আছে না কেউ রিজার্ভ করে নিয়েছে,ঠিক আছে
তিশাঃ ডিজগাস্টিং
হিয়াঃ জ্বী হ্যা আপনার সাথে তর্ক করে আমারো ঠিক সেটাই ফিল হচ্ছে,ডিজ-গা-স্টিং
মেয়ে টা আর কিছু না বলে ওখান থেকে রাগে চলে যায়,হিয়াও রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে পাশে থাকা টেবিলে বসে পড়ে অভিকের রেখে যাওয়া গ্লাস গুলো থেকে একটা তুলে নিয়ে খেতে শুরু করে,আর উজান এই পাঁচ মিনিটে ঠিক কি কি হলো সেই ট্রমা টার হিসাব মেলাতে গিয়ে বোকার মতো হিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে,এদিকে হিয়া যে এক গ্লাস মুখে পুড়ে আরেক গ্লাস গিলতে ব্যস্ত এদিকে তার কোনো মনোযোগ নেই
হিয়াঃ আসছে আমার বর টার পেছনে ঘুরঘুর করতে,বেয়াদব মেয়ে কোথাকার,জুস না ঢেলে সপাটে ওকেও একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেওয়া লাগতো আমার,,,ছিঃ মেয়েটার জন্য এই জুস গুলোও কিরকম তেঁতো তেঁতো লাগছে,ওয়াআকক,,,আসুক না আর একবার আমার বরের দিকে নজর দিতে এমন ডোজ দেবো না!!!!