?#The_Colourful_Fragrance_Of_Love?
Part:17
রাত তখন দশটার কাছাকাছি,,নীলিমা কে হসপিটাল থেকে নিয়ে এসে হিয়া নীলিমাকে ওর রুমে শুইয়ে দিয়ে নীলিমার যাবতীয় ঔষধপএ দেখে দিচ্ছিলো
উজানঃ মা হিয়া কোথায়?
বাসবিঃ নীলিমার সাথে তোদের রুমে,,কেনো?
উজানঃ হিয়াকে গিয়ে বলো তো আমি ওকে ডাকছি,,কথা আছে ওর সাথে আমার।
বাসবিঃ কি কথা বলবি তুই ওর সাথে?
উজানঃ জানি না,,ডাকো ওকে একটু
!
!
!
হিয়াঃ আপু,,এই ঔষধ টা
নীলিমা উঠে বালিশ টা সোজা করে নিয়ে সেটায় হেলান দিয়ে হিয়ার হাত থেকে ঔষধ টা নিলে হিয়া নীলিমার দিকে পানির গ্লাসটা এগিয়ে দেয়
নীলিমাঃ নাম কি তোমার,,হিয়া?
হিয়াঃ জ্বী..
নীলিমাঃ তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছিলো তুমি আমার ব্যাপারে অনেক কিছু জানো,,উজান কখনো বলেছিলো তোমাকে আমার কথা??
হিয়াঃ হ্যা চিনি তো আমি আপনাকে,,উনি তো আগে প্রায় প্রায় আপনার কথা বলতো
নীলিমাঃ এখন বলে না?(তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে)
হিয়াঃ না মানে তা না বলে,,আসলে ওনার চাইতে আমি বেশি বলি আপনার কথা,,আপনারা আগে কি করতেন কিভাবে সময় কাটাতেন,আপনাদের দু’জন কে নিয়ে খুব গল্প হতো আমাদের,,এখনো হয়,,উনি তো আমি ভুল কিছু করলেই বলে এই পিচ্চি তুমি জানো তুমি একটা খামখেয়ালি তে ভরা মেয়ে আর নীলিমা কে জানো ও কতো ম্যাচুইউর কতো বোঝে,নীলিমা আমার সব কথা শুনতো,,আর তুমি কি করো___শুধু এই বলে বলে সারাদিন আমাকে বকে
নীলিমাঃ তোমার আমাদের কথা শুনলে খারাপ লাগে না??
হিয়াঃ না মানে হ্যা আসলে আমার আপনাদের কথা শুনতে ভালোই লাগে ঔ কি বলুন তো উনি আপনার জন্য কি কি পাগলামি করতো আমি তো মা’র থেকে সব শুনতাম,,তো যখন ওসব শুনতাম তখন তো আমার বিশ্বাসই হতো না যে এরকমো হতে পারে,,উনি কি না আপনার জন্য
হিয়ার কথা বলার মাঝে বাসবি রুমে আসে
বাসবিঃ হিয়া আছিস ঘরে?___ঔ তো,,নীলি মা ঔষধ টা খেলে তুমি??
নীলিমাঃ খেয়েছি আন্টি,,বসো না আমার পাশে একটু
বাসবিঃ বসছি,,তা আমার হিয়া মা কি তার কথার ঝুড়ি নিয়ে বসেছে বুঝি তোমার কাছে,,ওর আরকি সারাদিন শুধু গল্প শোনা আর গল্প করা কাজ ওর,,
হিয়াঃ মোটেই না নীলিমা আপু,,মা শুধু শুধু বলছে আমি গল্প করি,,তুমি জানো আমি সারাদিনে কতো কাজ করি পড়াশুনা করি,,রান্না করি,,টিভি দেখি,,ওনাকে ভাত বেড়ে দেই,,ওনার অফিস যাওয়ার আগে জামাকাপড় গুছিয়ে দেই,,কতো কতো কাজ আমার
বাসবিঃ টিভি দেখা টাও কি তোর কাজ মা!!
বলেই বাসবি হেঁসে দেয় সাথে হেঁসে দেয় নীলিমাও,,হিয়া এক প্রকার লজ্জা পেয়ে রুম থেকে দৌড়ে পালিয়ে আসে,,
!
!
!
হিয়া দৌড়ে এসে উজানের সামনে পড়তেই উজান হিয়াকে থামিয়ে দেয়,,
উজানঃ একটা জায়গায় স্থির থাকতে পারো না তুমি,,আর একটু হলে তো পড়ে যেতে
হিয়াঃ হে হে আপনি তো ছিলেন আমাকে ধরে নেবার জন্য তাহলে কেনো আমি পড়ে যেতাম
উজানঃ তুমি এখনো এরকম স্বাভাবিক কি করে আছো হিয়া?আবার হাসছোও..
হিয়াঃ আমার হাসি পেলে আমি হাসবো না,,আপনার মতো মুখ গোমড়া করে রাখবো,,হু___শুনুন আমি এখন গোসলে যাবো,,সারাদিনে এই ঝামেলায় আমার গোসল করা হয়ে উঠেনি,,আমি এসে আপনার সাথে কথা বলছি,,টা টা
উজানঃ হিয়া শোনো হিয়া,,হিয়া
উজানকে আর কিছু বলতে না দিয়ে হিয়া দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়,,নাহলে যে চোখে আসা পানি টা উজান দেখে নিতো!!!!
!
!
!
গোসল সেরে এসে হিয়া ওর শরীর টা জিনিয়ার বিছানায় মেলে দেয়,একটা সময় শরীর টা খারাপ করতে শুরু করলে পাশে থাকা কম্বল টা খুলে গায়ে দিয়ে হিয়া একটা দম ছাড়ে,,
হিয়াঃ আমি তো বলছি যে ওনাদের কথা শুনলে ওনাদের একসাথে দেখলে আমার কষ্ট হয় না কিন্তু আজ কেনো আমি আমার মনকে সেটা বোঝাতে পারছি না__কেনো এতো খারাপ লাগছে আমার??__আমার আমার কি ওনাদের একসাথে দেখবো বলে হিংসে হচ্ছে,,না না,,আমি তো এতো স্বার্থপর ছিলাম না___তাহলে কিসের এতো কষ্ট হচ্ছে আমার,,,,ভালোবাসি বলে কি কষ্ট হচ্ছে!! কিন্তু ভালো তো আমি কাল অবধিও ওনাকে বাসতাম যখন নীলিমা আপু ছিলো না,,তখন আমি নীলি আপুর কথাও শুনতাম ওনাকে ভালোও বাসতাম,,কিন্তু আজ নীলি আপু ফেরার পর কেনো আমার সহ্য হচ্ছে না____উজান উজান যেই হাতে আমাকে স্পর্শ করতো যেই শরীরে আমাকে আদর করতো সেই স্পর্শ,,ওনার সেই শরীরের আদর কি এখন উনি নীলিমা আপুকে করবে?????___আমি কি করে সেটা সহ্য করবো___কি হচ্ছে আমার আজ,,শরীর টাও তো ভালো লাগছে না,,এরকম ছোট মন তো আমার আগে ছিলো না,,চারপাশ টা এতো ধরে আসছে কেনো আমার,,আচ্ছা নীলিমা আপু আর ওনার জীবনে আমি পরগাছা হয়ে বেড়ে উঠছি না তো না নীলিমা আপু এসে আমাদের মাঝে পরগাছা হতে চাইছে কোনটা???????
হিয়া আর ভাবতে পারে না,,শরীর মন দুটোই ছেড়ে দিচ্ছে আজ তার,,হাত পা থেকে শুরু করে শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ অসার লাগছে তার কাছে,,যদি হিয়া থাকে নীলিমা শেষ হয়ে যাবে আর নীলিমা থাকলে হিয়া হারিয়ে যাবে!!কি আছে এই সম্পর্কের এই সম্পর্ক গুলোর ভবিষ্যৎ!!
কাঁদতে কাঁদতে বালিশ ভিজিয়ে ফেলে হিয়া,,সবকিছুর জন্য না চাইতেও তার নিজেকে নিজের দায়ী মনে হতে থাকে,,হঠাৎই কম্বলের ভেতর দিয়ে কোমড়ের কাছে উজানের হাতের শক্ত পোক্ত বেষ্টনে জড়িয়ে যেতেই হিয়া থমকে গিয়ে পেছনে ঘুরতেই দেখে উজান!!উজানের চোখ দুটোও ভিজে আছে,,হিয়া এক হাতে চোখের পানি টা মুছতে গেলেও উজান থামিয়ে দেয়,,হিয়া চোখের ভাষায় উজানকে বুঝিয়ে দিতে থাকে সে ঠিক আছে,,উজানো তার চোখের ভাষায় বলতে চেষ্টা করে এটা কি হলো হিয়া,,এরকমটা তো হবার কথা ছিলো না,,উজানের চোখের ভাষা বুঝতেই হিয়া এবার ডুকরে কেঁদে উঠে উজানকে ঘপ করে জড়িয়ে ধরে,,উজানো তার শরীরের যতো শক্তি আছে সব দিয়ে হিয়াকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠে,,দুজনে কাঁদছে খুব কাঁদছে,,কাঁদুক একটু দুজনে কেঁদে কেঁদে হালকা হোক,,
হিয়াঃ(ভীষণ ভাবে কাঁদতে কাঁদতে) আমি পরগাছা হয়ে থাকতে পারবো না উজান,,আমি আপনার আর আপুর জীবনে কোনো পরগাছা হয়ে থাকতে পারবো না,,পারবো না পরগাছা হয়ে আপনাদের জীবনে বেড়ে উঠতে যার শুধু অস্তিত্বই থাকবে কিন্তু কোনো গুরুত্ব থাকবে না!!!!
উজানঃ হেই পিচ্চি চুপ,,চুপ করো না__তুমি কি করে ভাবতে পারলে আমি তোমার সাথে কোনো অন্যায় করবো,,আমি আমি না তোমাকে ভালোবাসি,,দেখো দেখো না আমার দিকে,,হেই মেয়ে চুপ করো না___তোমার মনে হয় উজান তার পিচ্চিটার সাথে কোনো অবিচার করবে,,তুমি তো আমাকে একটা নতুন জীবন দিছো হিয়া আর সেই আমি তোমার সাথে কি করে অন্যায় করবো বলো,,খুব ভালোবাসি যে তোমাকে খুববব,,তোমাকে ছাড়া যে এখন একটা মুহুর্ত আমি সহ্য করতে পারি না,,তুমি না আমার অক্সিজেন!!❤️
হিয়াঃ কিন্তু আমি আপনার সাথে থাকলে নীলিমা আপুর কি হবে,,আমার তাও তো যাবার একটা ঠিকানা আছে কিন্তু আপু যে পুরো নিঃস্ব,,কোথায় যাবে উনি?
উজানঃ তোমাকে ওসব ভাবতে হবে না,,দেখি এখন চুপ করো তো,,এই গরমে কম্বল গায়ে দিয়ে শুইয়ে আছো কেনো মা’র কাছে শুনলাম কি নাকি ঔষধ নিয়ে খেয়েছো
হিয়াঃ না এমনি শরীর টা কি রকম ব্যাথা ব্যাথা করছিলো কাঁপুনি দিচ্ছিলো বমি বমি পাচ্ছিলো ভাবলাম জ্বর আসবে তাই আগে থেকে
উজানঃ শরীর ব্যাথা করছে মানে কোথায় কোথায় ব্যাথা করছে বলো আমাকে
হিয়াঃ না এমনি সেরকম কিছু না ঔ পা দুটো কেমন জমে যাচ্ছে মনে হচ্ছে
উজানঃ জমবে না সারাদিন একবার এ বাড়ি একবার হসপিটাল একবার এই রুম একবার ঔ এতো এতো ছুটাছুটি করলে তো পা ব্যাথা করবেই,,দেখি দেও পা দুটো টিপে দেই,,কোথায় দেখি
হিয়াঃ হে হে সুরসুরি লাগে তো,,ছাড়ুন আমার পা,,আরে
উজান হিয়ার পা কিছুক্ষণ টিপে দিয়ে হিয়াকে বুকে নিয়ে শুইয়ে পড়ে,,কিন্তু মুখে হাসির অভিনয় টা করলেও উজান হিয়া দু’জনের মনে এখন অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে,,উজান সব কিছুর জন্য নিজেকে দায়ী ভাবছে হিয়া নিজেকে তুচ্ছ হিসাবে গণ্য করছে আর এদিকে নীলিমা নীলিমার মনে কি চলছে??
!
!
!
নীলিমাঃ লজ্জায় আমার কাছে তুমি আসতে পারছো না ভয়ে কোনটা উজান??আমাকে সারাজীবন আগলে রাখার দায়িত্ব টা পালন করতে পারোনি সেই লজ্জায় না আমি তোমার থেকে হিয়াকে কেঁড়ে নিতে এসেছি সেই ভয়ে!!____ভয় নেই তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিলেও আমাদের ৮বছরের সম্পর্কের কোনো অধিকার নিয়ে দাঁড়াবো না আমি তোমার কাছে,,তোমার আর হিয়ার মাঝে পরগাছা হয়ে এই নীলিমা কখনো বেড়ে উঠবে না,,আমি না হয় এবার সত্যি সত্যি পাগল হয়ে ঔ এ্যাসাইলামে ফিরে যাবো,,তবু তোমার জীবনকে কোনো দোটানায় ফেলে রাখবো না আমি,,তুমি সুখি হও!!তুমি ভালো থাকো,,আমাকে ভুলে খুব খুব ভালো থেকো তুমি
বলেই নীলিমা কেঁদে উঠে বালিশ জড়িয়ে,,
!
!
!
পরেরদিনঃ
হিয়াঃ বলছি কি উজান,,আপনি কি এখন অফিস যাবেন,,যাওয়ার আগে একবার আপুর সাথে যদি কথা বলে নিতেন উনি আপনার অপেক্ষা তে আছে কাল থেকে
উজান একটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ে,,উজান জানে নীলিমা ওর জন্য অপেক্ষা করছে,,উজান কাল থেকেই চাইছে নীলিমার সাথে কথা বলতে,,কিন্তু এতোদিন পর কি ভাবে ও নীলির সামনে গিয়ে দাঁড়াবে,,কি দিয়ে শুরু করবে সবটা!!
!
!
!
উজানঃ নীলিমা(অস্ফুটে)
উজানের মুখে আজ এতোদিন বাদে নিজের নাম টা শুনেই নীলিমা কেঁদে ফেলে,,সে তো কাল মনে মনে ঠিক করেছিলো সে শক্ত থাকবে উজানের সামনে কোনোরকম দূর্বলতা সে দেখাবে না কিন্তু উজান ওর কাছে আসতেই কেনো ও এতো টা ভেঙে পড়লে,,কেনো??উজান আলতো পায়ে নীলিমার পাশে গিয়ে বসতেই নীলিমা শোয়া থেকে উঠে উজানকে জড়িয়ে ধরে আঝোরে কেঁদে ফেললো,,
নীলিমাঃ উজানননন,,,কেনো হলো এরকমটা আমার সাথে বলতে পারো কেনো,,আমি আমি তো শুধু তোমাকে নিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলাম আর বেশিকিছু চাওয়া তো ছিলো না আমার,,,,তুমি তুমি তো আমাকে ছুঁইয়ে কথা দিয়েছিলে তুমি তুমি তোমার নীলিমাকে কখনো হারাতে দেবে না,,বলো বলো নি তুমি,,তুমি তুমি তো আমাকে কথা দিয়েছিলে বলেছিলে নীলি যতো ঝড় আসুক আমি তোমাকে কোথাও হারাতে দেবো না,,সারাজীবন সারাজীবন তোমাকে আমার বুকে আগলে রাখবো,,তাহলে আজ কেনো এমনটা হচ্ছে আমার সাথে,,কেনো আজ তোমার মন জুড়ে শুধু অন্য একটা মেয়ে কেনো উজান কেনো,,
উজানঃ নীলিমা একটু শান্ত হও,,চুপ__দেখি তাকাও আমার দিকে__দেখো একটু আমাকে
নীলিমাঃ উজান আমি বাঁচতে চাই,,একটা সুন্দর জীবন চাই,,একটা সাজানো সংসার চাই
উজানঃ চুপপপ করো না নীলি আমার কষ্ট হচ্ছে একটু বুঝো,,আমার আমার কথা টা একটু শুনো
নীলিমাঃ কি কি শুনবো আমি,বলো কি শুনবো?
উজানঃ নীলিমা আমি জানি তুমি আমার জন্য অনেক কিছু ফেস করেছো,,আমার চাইতেও বেশি কষ্ট তুমি___আমিও না একটা সময় তোমাকে না পেয়ে নিজেকে শেষ করে দেবো বলে___আমি তোমাকে পাগলের মতো খুঁজেছিলাম নীলি তুমি ফিরিয়ে দেবার পর আমি অনেকবার তোমার বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু ভাইয়ারা আমাকে কিছুতেই ভেতরে যেতে দেই নি,,তোমার ছোট বোন সে এসেও আমাকে একবার বলেছিলো তুমি নাকি সত্যি সত্যি বিয়ে করে তোমার হাসবেন্ডের সাথে ফরেনে গিয়ে সেটেল হয়ে নিয়েছো,,আমি না পারি নি সেসব সহ্য করতে__নিজেকে এই রুমে বন্দি করে রেখেছিলাম জানো ,,সব থেকে সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম,,মরে যাবার অনেক চেষ্টা করেছিলাম,,পারি নি কেনো যে বেঁচে ছিলাম জানি না
নীলিমাঃ তাহলে তুমি আমাকে দেখে খুশি হও নি কেনো,,কেনো তুমি আমাকে জড়িয়ে বলো নি তুমি আমাকে দেখে তোমার সব ফিরে পেয়েছো কেনো বলো নি বলো কেনো বলো নি,,
উজানঃ নীলিমা তুমি তুমি তো অনেক বুঝো তুমি তো অনেক বুঝো,,এটা তো বুঝো তুমি যেভাবেই হোক হিয়া এখন আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে,,হিয়া আমার বিয়ে করা ওয়াইফ,,আজ আমি তোমাকে গ্রহন করলে হিয়ার সাথে যে অন্যায় করা হবে,,
নীলিমাঃ হিয়ার সাথে অন্যায় করা হবে না তুমি এখন হিয়াকে ভালোবাসো কোনটা??____চুপ করে থাকবে না উজান,,,,,কি হলো কি উওর দেও তুমি আমার প্রশ্নের,,,তুমি তুমি এখন হিয়াকে ভালোবাসো তাই তো,,তাই জন্য তুমি আমাকে
উজানঃ____হিয়ার তো এখানে কোনো দোষ নেই বলো,,ওকে তো মা আমার জীবনটা সাজিয়ে দেবার জন্য নিয়ে এসেছিলো,,আমি আজ কি করে সব ফিরে পাবার পর হিয়াকে
নীলিমাঃ তারমানে তুমি এটা বলতে চাইছো যে তুমি তুমি আর আমাকে,,তার মানে তোমার ঔ সব মিথ্যে ছিলো,,তুমি শুধু লোক দেখানোর জন্য আমাকে,,এখন এখন হিয়া হিয়া তোমার সব তাই না,,ঔ হিয়া হিয়াকে তুমি
বলেই নীলিমা আবার হাউমাউ করে কেঁদে ভাসিয়ে দেয়,,মাথার সব চুল খামছে ধরে,,ওতুটুকু জায়গায় বসে দাপাদাপি শুরু করে,উজান অনেক চেষ্টা করে নীলিমা কে থামানোর কিন্তু নীলিমার চোখের জলের এবার বাঁধ ভাঙ্গে,,নীলিমার চিৎকারে হিয়া দৌড়ে আসে,,হিয়াকে দেখে যেনো নীলির ক্ষতা টা আরো গভীর হয়ে উঠে,,নীলি নিজের হুঁশ হারিয়ে ফেলে,,
হিয়াঃ কি হ’য়েছে আপু আপু এরকম করে কাঁদছে কেনো??
নীলিমা উঠে গিয়ে হিয়ার হাত চেপে ধরে শক্ত করে,,ধরেই ওর মনের ক্ষোভ গুলো মেটাতে থাকে,,
নীলিমাঃ এই এই মেয়ের জন্য তুমি তুমি আমাকে ভুলে গেছো তো এই এই মেয়ের জন্য,,
উজানঃ কি করছো কি নীলিমা হিয়াকে ছাড়ো ওর লাগছে
নীলিমাঃ ওর ওর লাগছে তুমি তুমি সেটা দেখছো আর আমি আমি যে শেষ হয়ে যাচ্ছি তুমি সেটা দেখতে পাচ্ছো না,,এই হিয়া কেনো কেনো তুমি আসলে আমাদের জীবনে,,কেনো এলে বলো,,তুমি না এলে তো উজান ঠিকই আমাকে গ্রহন করতো,,আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করতো তোমার তোমার জন্য উজান আমাকে আজ
উজানঃ নীলি হিয়ার লাগছে কি করছো তুমি,,নীলি একটু শান্ত হও,,নীলি(ঝারি দিয়ে)
উজানের চিৎকারে নীলিমা শান্ত হয়ে যায়,,হুঁশে আসতে খেয়াল করে সে এটা কি করছে,,ও তো বলেছিলো ও দূর্বল হবে না তাহলে কেনো সে হিয়ার সাথে এরকম টা করছে কেনো??
!
!
!
দুপুর তখন আড়াইটের কাছাকাছি,,নীলিকে শান্ত করার পর উজান আর অফিস যায়নি,,বারান্দায় দাঁড়িয়ে পায়চারি করছে সে তখন থেকে,,হিয়া দুবার এসে উজানকে খাবার জন্য ডাকলেও উজান খেতে আসেনি,,হিয়াও তাই আর খায়নি,,হঠাৎই শরীর টা আবার খারাপ হয়ে আসতে হিয়া ওয়াশরুমে গিয়ে বমি করে ভাসিয়ে দিয়ে দেয়,,,,
হিয়াঃ শরীর টা হঠাৎ এরকম কাঁপুনি দিচ্ছে কেনো,,কালকে রাতেও বমি বমি ভাব টা আসছিলো,,কি যে একটা অবস্থা যাচ্ছে,,না এখন আর ওনাকে এসব বলা যাবে না যে আমি বমি করেছি,,জ্বর জ্বর লাগছে___এমনিতেও উনি অনেক টেনশনে আছে এর মধ্যে আমার শরীর খারাপ শুনলে,,না না,,
!
!
!
নীলিমাঃ এটা আমি কি করতে যাচ্ছিলাম হিয়ার সাথে,,এখানে এখানে তো হিয়ার কোনো দোষ নেই,,ঔ টুকুনি একটা মেয়ের সাথে আমি কি করে,,আমি তো আমি তো এতো অবিবেচক কখনো ছিলাম না,,আমার জন্য মেয়েটা আজ কতোটা কষ্ট পেলো_____আমি আমি কেনো ফিরে আসলাম উজানের জীবনে,,আমার ফিরে আসা টা উচিৎ হয় নি,,কিন্তু আমার কি দোষ ছিলো উজান,,আমি কি জানতাম তুমি আমাকে ভুলে তোমার জীবনটা নতুন করে সাজিয়ে নিয়েছো,,
নীলিমা আবার নিজের চুল খামচে ধরে,,হাত পা ছড়িয়ে কাঁদতে শুরু করে,,নিজেকে নিজের কাছে তার আবর্জনা হিসাবে গণ্য হয়,,
নীলিমাঃ আচ্ছা আমি যদি মরে যাই তাহলেই তো সব সমস্যা শেষ হয়ে যাবে,,এই এই ধূসর জীবনটা রেখেও বা আমি কি করবো,,না আমার পাশে আছে আমার বাবা মা না সন্ধি অভিক না উজান,,হ্যা আমি মরে যাবো এবার আমি সত্যি সত্যি মরে যাবো তাহলে আমার সাথে সাথে আরো দুটো মানুষ মুক্তি পাবে_____!!!!!
নীলিমা নিজের ঞ্জান বিবেক বোধ মানসিক অবস্থা সব হারিয়ে ফেলে,,রুমের দরজাটা লাগিয়ে ফ্যানের সাথে ওরনা জড়িয়ে ফাঁসি দেবার চেষ্টা করে,,
হিয়াঃ নীলিমা আপু দরজাটা একটু খুলুন না,,আপু দুপুরে খাবেন না,,আমি আপনার খাবার নিয়ে এসেছি এই দেখুন গরম গরম ভাত আর বেগুন ভাজা,,মা বললো আপনি নাকি বেগুন ভাজা খেতে খুব ভালোবাসেন,,আপু দরজাটা খুলুন না,,নীলিমা আপু!!
নীলির কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে হিয়া একটু ভয় পেয়ে যায়,,মনে হালকা সন্দেহ আসতে হিয়া জানালার কাছে গিয়ে থাই টা খুলে জানালার পর্দা সারিয়ে ভেতরে তাকাতেই দম আঁটকে ফেলে,,ভাতের প্লেট টা হাত থেকে দুম করে পড়ে যায়,,হিয়ার সারা শরীর কেঁপে ওঠে,,লোমকূপ দাঁড়িয়ে যায় মুহুর্তে,,কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারে না,,হাত পা কাঁপতে থাকে,,
বাসবিঃ হিয়া মা কি ফেললি,,যা ভাতের প্লেট টা ফেলে দিলি,,তা ওভাবে দাঁড়িয়ে আছিস যে কি রে,,হিয়া
হিয়া একটা কি রকম করছে দেখে বাসবি হিয়াকে অনুসরণ করে জানালা দিয়ে রুমের ভেতরে তাকাতেই চিৎকার করে উঠে,,কি করছে কি নীলিমা এটা,,বাসবির চিৎকার উজান বিহান সবাই দৌড়ে আসে,,হিয়া এতোক্ষণে নিজেকে স্বাভাবিক করে দরজার গিয়ে দরজা ধাক্কাতে শুরু করে,,এদিকে হিয়ার সাথে উজান বিহান গায়ের জোরে দরজা ধাক্কাতে শুরু করে কিন্তু লাভ হয় না,,
বিহানঃ এভাবে হবে না ভাইয়া,,তুমি দরজা ভাঙ্গো
হিয়াঃ আপনি দাঁড়িয়ে দেখছেন কি,,আপুর কিছু হবার আগে আপনি কিছু একটা করুন
উজানঃ হিয়া তুমি শান্ত,,মা চুপ করো,,আমার এমনিতেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে তোমরা দুজন প্লিজ একটু চুপ করো____নীলিমা নীলিমা আমার কথা টা শুনো তুমি,,নীলিমা রাগের মাথায় এরকম কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেবে না নীলি,,নীলিমা আমার ভয় করছে খুব নীলি,,,এই মেয়ে নীলিইই,,
উজান একটা দম ছেড়ে সবাইকে সামনে থেকে সারিয়ে দিয়ে গায়ের সব জোর দিয়ে এক ধাক্কায় দরজাটা ভেঙে ফেলে,,দৌড়ে গিয়ে টুল থেকে নীলিমা কে নামাতে চেষ্টা করে কিন্তু নীলি নামতে চায় না,,দাপাদাপি শুরু হয় একটা,,বাসবি হিয়া কাঁদতে কাঁদতে নীলিকে এসব পাগলামি করতে নিষেধ করে,,কিন্তু নীলি থামে না,,উজান নীলিমা কে চেপে ধরে নিচে নামিয়ে নীলিকে বুকে আগলে নিয়ে শান্ত করতে চেষ্টা করে,,হিয়া দৌড়ে পানি নিয়ে এসে উজানকে বলে নীলিমাকে খাইয়ে দিতে,,
নীলিমাঃ কেনো তোমরা আমাকে বাঁচালে,,আমি মরে গেলে সব সমস্যা শেষ হয়ে যেতো,,কেনো কেনো তুমি আমাকে বাঁচালে উজান কেনো!!
!
!
!
একদিন পরঃ
নীলিমাঃ আমাকে একটা চাকরি যোগাড় করে দিতে পারবি অভিক,,একটা কোনো শপিংমলে সেলেস গার্ল এর চাকরি হলেও চলবে,,ঔ দু মুঠো ভাত খেতে পারবো এই এমন চাকরি,,,,,,
অভিকঃ তুই এভাবে কেনো কথা বলছিস নীলি?
নীলিমাঃ আমার মতো মেয়েরা ঠিক কি করে কথা বলবে অভিক,,শোন না আমার সব সার্টিফিকেট ডকুমেন্ট কিছুই তো আমার কাছে নেই কেউ ওসব না দেখে দেবে কি আমায় কোনো চাকরি,,বল না অভিক চুপ করে আছিস যে___আমি আমি না ঔ আমাদের ভার্সিটির পাশে যেই মেস টা ছিলো মনে আছে,,আজ ওখানে গিয়েছিলাম জানিস শিউলি আপা এখনো ওখানে কাজ করে আমি আজ অনেকক্ষণ ওনার সাথে কথা বললাম,,উনি আমাকে বললো উনি ঔ মেসে আমার একটা সীট ম্যানেজ করে দিতে পারবে,,,ঔ তোর ছাঁদের উপর একটা চিলে কোঠা আছে ওখানে আরো দুজন থাকে খোলা আকাশের নিচে তো আমি বললাম খোলা আকাশ হলেও হবে একটা শুধু থাকার জায়গা হলেই আমার চলবে
অভিকঃ নীলি চুপ কর!!
নীলিমাঃ না আমার আরো কথা আছে তোর সাথে,,চুপ করলে হবে না,,শোন না তুই একবার আমার এ্যাসাইলামে যেতে পারবি গিয়ে বলতে পারবি নীলিমা বলে যে পেশেন্ট টা ছিলো তার জামা কাপড় গুলো কি ফেরত দেওয়া যাবে,,আসলে কি বল তো আমার তো এখানে কিছু পড়বার নেই আসছি থেকে হিয়ার জামা পড়ে,,তুই কি শুনছিস আমার কথা,,হ্যালো__হ্যালো অভিক
অভিকঃ(চোখে আসা পানি টা মুছে)বল??
নীলিমাঃ বল না পারবি কি যেতে,,আজ যদি তোর সময় না হয় তাহলে থাক কাল একবার সময় করে___আচ্ছা ওসব বাদ দে আগে তুই বল তুই পারবি নাকি আমাকে একটা চাকরি দিতে তোদের অফিসে তো উজান থাকবে আর আমি তো ওর সামনে কোনো কিছু করতে পারবো না না তুই তোর অফিস বাদে অন্য কোথাও
অভিকঃ তোর কি বলা শেষ
নীলিমাঃ হ্যা মানে না তুই কি খুব ব্যস্ত__ওহ,,আমার কথা শোনার সময় নেই না এখন আর তোদের কারো কাছে (তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে)
অভিকঃ আমি কি একবারো সে কথা বলেছি তোকে?
নীলিমাঃ বলতে হয় না রে সব বুঝি,,নিজের ভালোবাসার মানুষটাই যখন গ্রহন করতে অস্বীকার করে তখন তো তোরা,,,,আচ্ছা বাদ দে আমি ভাবলাম তুই হয়তো অনন্ত শুনবি আমার কথা টা,,ফ্রী হলে ফোন দিস,,আর সমস্যা নেই আমি তুষারকেও বললাম ওর অফিসে যেকোনো একটা চাকরি,,আচ্ছা আমি রাখছি তুই হয়তো ব্যস্ত,,রাখলাম হ্যা
বলেই নীলিমা ফোন টা সামনে ছুঁড়ে দিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে,,নিজের চুল নিজে খামচে ধরে,,হিয়ার জামা টা নিজের গা থেকে টেনে টেনে খুলে ফেলতে চেষ্টা করে,,এটা তো ওর গায়ে এখন মানায় না,,অঝোরে কাঁদতে থাকে নীলিমা কোথায় যাবে এখন ও,,কোথায় খুঁজবে একটা আশ্রয়!!
নীলিমাঃ কেনো হলো এটা আমার সাথে,,আমি তো তোমার অপেক্ষা তেও ঔ এ্যাসাইলামের ছোট্ট ঘরটায় ভালো ছিলাম,,তখন একটা আশা ছিলো একদিন তুমি ঠিক এসে আমাকে মুক্ত করে নিয়ে যাবে তোমার সাথে কিন্তু মুক্ত তো হলাম আমি কিন্তু এই মুক্তিটার কি নাম দেবো উজানননন!!___আজ তো আমাকে তুমি অস্বীকার করে দিলে কিন্তু একটা বার ভাবলে না নীলিমা কোথায় যাবে?? নীলিমার যদি অন্য কাউকে বিয়ে করার হতো নীলিমা তো সেদিন ই,,তুমি চিন্তা করো না আমি তোমার আর হিয়ার মাঝে বাধা হয়ে থাকবো না,,একটা মাথার উপর ছাঁদ ঠিক যোগাড় করতে পারবে এই নীলিমা,,ভয় নেই কখনো কোনো অধিকার চাবো না তোমার কাছে তুমি হিয়া ভালো থাকবে কথা দিচ্ছি,,
গেটের কাছে দাঁড়িয়ে সবটা শুনছিলো হিয়া,,নীলিমার এই অবস্থা মুহুর্তে হিয়াকে ক্ষতবিক্ষত করে তুলে,,হিয়া দৌড়ে নিজের রুমের ওয়াশরুমে গিয়ে ট্যাপ ছেড়ে দিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকে,,জল পড়ার তালে হিয়ার কান্নার বেগ ও বাড়তে থাকে
হিয়াঃ আজ প্রথম নিজেকে নিজের কাছে এতোটা অপরাধী মনে হচ্ছে আমার,,কেনো মনে হচ্ছে আমার জন্য আজ নীলি আপু এভাবে,,কেনো এলাম আমি ওনার জীবনে আজ যদি আমি না আসতাম,,
_______________________
উজানঃ হিয়াকে ভুলে নীলিকে গ্রহন করা সম্ভব না আমার পক্ষে,,আমি মানছি আমার চাইতে হাজার গুন কষ্ট নীলি সহ্য করেছে এখনো করছে কিন্তু হিয়ার দোষ কোথায় এতে,,,,,,কেনো জীবনের এই মুহুর্তে এসে আমাকে এরকম দ্বিধায় তুমি ফেলে দিলা নীলিমা,,,,
_________________________
অভিকঃ কবে বুঝবি তুই নীলিমা,,এখনো উজান উজান করেই যাবি,,একটা সময় যে আমিও তোকে খুব ভালোবাসতাম নীলি!!হয়তো আজো বাসি,,তাইতো আজো তোর মতো কাউকে খুঁজে বের হই বিয়ে করবো বলে,,তুই কি কোনোদিন উজানের মতো আমাকেও একটু ভালোবাসবি!!উজানের জন্য যা যা সহ্য করেছিস কখনো কি আমার জন্যও তুই,,,,আজ যদি আমি তোকে ভালোবাসি কথাটা বলি তুই সেটাকে দয়া বলে ভাববি না তো,,ভাবতেই পারিস যে ইগো আবার তোর___️কখনো বলতে পারি নি ভালোবাসি তোকে,, উজান আর তুই তো তার আগেই,,খুব কষ্ট হতো তোকে উজানের সাথে সহ্য করতে মাঝে মাঝে তো তোকে খুন করে ফেলতে ইচ্ছে হতো ভাবতাম তুই মরে গেলেও আমি শান্তি পাবো তোকে আর উজান কে ওভাবে একসাথে দেখার চাইতে____(অভিক আর কিছু ভাবতে পারে না ভার্সিটি লাইফের সেই সময় গুলো মনে করতেই তার গলা ধরে আসে)সুযোগ দিবি আমাকেও একবার তোকে ভালোবাসার❤️
!
!
!
আবীরঃ যখন তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম একটা ছোট্ট বাচ্চা ছিলা তুমি,,দুই বেনী স্কুল ড্রেসে কি যে মায়া ছিলো তোমার মাঝে,,প্রায় প্রায় তো তোমার মামুর সাথে উজানদের বাড়িতে আসতে আর আমি আমি না চাইতেও তোমার মামু আসলেই তোমার জন্য আমাদের ফ্লাটের দরজা খোলা রেখে উঁকিঝুকি দিতাম,,কখনো তুমি থাকতে কখনো বা না___আমার ঔ মোহ টাকে ভালোবাসা বলে কি না আমি জানি না কিন্তু তোমার ঔ মিষ্টি হাসি টা,,মানুষ কি করে এতো মিষ্টি করে হাসতে পারে বলবা,,এই হাসি দিয়েই তুমি উজানকে সব ভুলিয়ে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছো তাই না পিচ্চি,,,সেদিন হঠাৎ যখন জানতে পারলাম আন্টি নাকি তোমার সাথে উজানের বিয়ে দিয়ে,,তোমার সাথে তো কখনো কথাও বলিনি আমি আগে তাহলে এতো কষ্ট কেনো হয়েছিল আমার সেদিন কথাটা শুনে বলতে পারবা??__হিয়াপাখি আমার ধূসর ডায়েরি তে তুমি না হয় আমার অপ্রাপ্তিময় একটা সুন্দর স্মৃতি হয়ে সারাজীবন একান্ত গোপনে থেকে যেও কেমন❤️
_______________??_________________