#আপনিময়_বিরহ (১৮)
#বোরহানা_আক্তার_রেশমী
পরিবেশ নিস্তব্ধ, নিরব। কথা নেই কারো মুখে। প্রিয়তা নির্বাক হয়ে তাকিয়ে আছে প্রিয়মের দিকে। কিছুক্ষণ পূর্বে প্রিয়ম আর প্রিয়তার বিয়ে হয়ে গেছে। যেহেতু প্রিয়ম বলেছিলো ওরা হাজবেন্ড ওয়াইফ সে ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার মতো কোনো টপিক পায়নি। বিয়ে পড়িয়ে একটা রুমে বসিয়ে প্রিয়মের বাইকে তেল আনতে গেছে কিছু লোক৷ প্রিয়ম অনেকক্ষণ চুপ থেকে বললো,
‘প্রিয়!’
প্রিয়তা ছলছল দৃষ্টিতে তাকায় প্রিয়মের দিকে। প্রিয়ম খানিকটা এগিয়ে আসে প্রিয়তার কাছে। হাতে হাত রেখে বলে, ‘তুই কি কোনোভাবে বিয়েটা নিয়ে খুশি নাহ? মানে আমাকে বিয়ে করতে চাসনি?’
প্রিয়তা ধরে আসা গলায় বলে, ‘আপনাকে আমি ভালোবাসি প্রিয়ম ভাই। বিয়ে করতে চাইবো না কেন? কিন্তু এভাবে চাইনি। আব্বু আম্মু যদি এসব জানে কতটা কষ্ট পাবে বলেন! উদয় ভাই কয়েকদিন আগে পালিয়ে বিয়ে করেছে আজ যদি শোনে আমিও তাদের না জানিয়ে বিয়ে করেছি কি হবে বুঝতে পারছেন?’
‘বুঝতেছি। কিন্তু আমরা তো ইচ্ছে করে কিছু করিনি। তাছাড়া এসব কথা কাউকে বলার দরকার নাই। কিছুদিন পর ফ্যামিলি নিয়ে না হয় আবার বিয়ে করবো। প্রবলেম কোথায়?’
‘আপনি যতটা সহজ ভাবছেন তত সহজ না। প্রথমত এত বড় কথা তার ওপর আমি মিথ্যা বলতে পারি না। আম্মু আমার চোখের দিকে তাকালেই বুঝতে পারে আমি মিথ্যা বলছি।’
‘তোর কিছু বলতে হবে না। তুই শান্ত থাাক।’
এর মধ্যেই ডাক পড়ে বাইরে থেকে। প্রিয়ম প্রিয়তা এক সাথে বের হয় রুম থেকে। চাচার বয়সী লোকটা বললেন, ‘তোমাগো গাড়িতে তেল আনছে। যাও তোমরা।’
প্রিয়মের লোকটার ওপর রাগ হয়। কেন জোড় করে বিয়ে দেওয়ার দদরকার ছিলো! প্রিয়তা কষ্ট পাচ্ছে। প্রিয়ম ভদ্রতার খাতিরে সালাম দিয়ে প্রিয়তাকে নিয়ে বের হয়। বাইক স্টার্ট দেয়। শো শো করে বাইক চলতে থাকে। এবার আর আগের মতো দুজনের মধ্যেই চঞ্চলতা নেই। উদয় কয়েকবার ফোন দিলে বাইক রাস্তার ধারে রেখে কল রিসিভ করে। উদয় ব্যস্ত কন্ঠে বলে,
‘কই তোরাা?’
প্রিয়ম নিজেকে স্বাভাবিক করে উত্তর দেয়, ‘আসছি।’
তারপর কল কেটে দেয়। প্রিয়তা পুরো সময় চুপ থাকে। একসময় দুজনে বাড়িতে চলে আসে। দুজনের মুখেই থমথমে। প্রিয়তা সোজা নিজের রুমে চলে যায়। আর প্রিয়মও চুপ করে উদয়ের রুমে যায়। উদয় তখনো জেগে। প্রিয়ম আসতেই দ্রুত বললো,
‘তোরা কি পাগল? ঘুরতে গেছিস ভালো কথা। তাই বলে কি এতো দেড়ি করবি? আম্মু অন্তত ১০ বার আসছে আমার কাছে। কোনোরকমে সামলায়ছি।’
প্রিয়ম উত্তর দেয় না। ব্যাথায় তার মাথা ছি’ড়ে যাচ্ছে। শিরা-উপশিরা গুলো টগবগ করছে ব্যাথায়। উদয় প্রিয়মকে শুয়ে পড়তে দেখে আর কথা বাড়ায় না। নিজেও পাশে শুয়ে পড়ে।
পুরো বাড়ি ঝলমল করছে। বিয়ের আমেজ পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে আছে। শুধু প্রিয়তা চুপচাপ। ভয় পাচ্ছে। আর কিছুক্ষণ পরই উদয় আর তনিমার বিয়ে হয়ে যাবে। সবাই নিজেদের মতো আনন্দ করছে। প্রিয়তা চুপ করে এক পাশে বসে আছে। প্রিয়ম দুর থেকে দেখতেছে প্রিয়তাকে। সাইমা প্রিয়তাকে এতো চুপচাপ দেখে এগিয়ে আসে। পাশে বসে বলে,
‘কি রে! তোর না ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে এতো শতো প্ল্যান আর তুই এখন চুপ করে বসে আছিস?’
প্রিয়তা এক পলক সাইমার দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নেয়। সাইমা ফের শুধায়, ‘কিছু হয়ছে তোর?’
প্রিয়তার কি হলো কে জানে! সাইমার হাতগুলো আজলে নিয়ে আস্তে করে বললো, ‘আমি কি করবো বুঝতেছি না সাইমা। তুই বল।’
সাইমা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলে, ‘কি হয়ছে বল!’
প্রিয়তা সবটা বলে। সাইমা কিছুক্ষণ চুপ থেকে লাফিয়ে উঠে। বলে, ‘হায়রে দোস্ত কি শুনায়লি! তোরও বিয়ে হয়ে গেলো! যাহ! বাদ পড়লাম শুধু আমি।’
‘মজা করিস না প্লিজ। আমি অনেক টেনশনে আছি। আব্বু আম্মু জানলে ভীষণ কষ্ট পাবে।’
সাইমা কিছুক্ষণ ভেবে প্রিয়তাকে আশ্বস্ত করে বললো, ‘দেখ তুই তো কিছু করিসনি। আর আঙ্কেল আন্টিকে কিছু বলতে যাস না। উদয় ভাই আর তনিমার বিয়েটা শেষ হলে কিছুদিন পর তোরাও বিয়ে করে নে। আন্টি আঙ্কেলকে বললে উনারা কখনোই না করবে না। আর তাছাড়া যা হওয়ার হয়ে গেছে। বিয়ে যখন হয়ে গেছে তখন ভয় না পেয়ে স্বাভাবিক হ। তোর এমন অদ্ভুত বিহেভ কিন্তু প্রিয়ম ভাইয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে। তখন হীতে বিপরীত না হয়!’
প্রিয়তা পুরো কথা গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে নিজেও মনকে বুঝালো। তারপর নিজেকে স্বাভাবিক করে নিজেও মেতে উঠলো আনন্দে। যা হওয়ার তা হয়েছে। উদয় আর তনিমার বিয়ে সম্পন্ন হতেই চেঁচিয়ে উঠলো সবাই। আনন্দ, উল্লাসে ভরে গেলো পুরো বাড়ি। খুশিতেই তনিমা কেঁদে দেয়। প্রিয়ম প্রিয়তার পাশে দাঁড়িয়ে বলে, ‘মন ভালো হয়ে গেছে!’
প্রিয়তা হাসে। প্রিয়ম আর প্রিয়তাকে পাশাপাশি দেখে দুর থেকে মলিন হাসে শিশির। আজ প্রিয়মের জায়গায় সে থাকতো যদি না সে প্রিয়তাকে ঠ’কাতো। নিজের বোনের বিয়েতে অনিমা নেই শুধুই তার জন্য। যত যায় হোক বিয়ে তাদেরও হয়েছিলো কিন্তু বিয়ের মর্যাদা সে দিতে পারেনি। ভালোবাসার মর্যাদা না হয় বাকিই রইলো! শিশির আস্তে করে আওড়ায়,
‘না পারলাম ভালো ছেলে হতে, না পারলাম ভালো প্রেমিক হতে আর না পারলাম ভালো স্বামী হতে। আচ্ছা আদৌও কি ভালো মানুষ হতে পেরেছি?’
_____________
অনিমা বসে আছে সাফাকে কোলে নিয়ে। মেয়েটাকে তার ঘুম পাড়াতে ভীষণ কষ্ট হয়। ঘুমাতেই চায় না। জানালার ধারেই বসে সাফাাকে ঘুম পাড়াচ্ছে তখন হাজির হয় তানিয়া। সাফাকে ঘুম পাড়াতে দেখে হেঁসে বলে,
‘ঘুমিয়েছে!’
‘ঘুমালো তো।’
‘তোর মেয়েটা যাা দুষ্টু হয়ছে রে বইন।’
অনিমা কিছু না বলে হাসে। তানিয়া একটা চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলে, ‘আজ তো তনুর বিয়ে হলো।’
অনিমা ফের হাসে। হেঁসে বলে, ‘যাক আমার বোনটার এতদিনের ইচ্ছে, স্বপ্ন পূরণ হলো। ছোটবেলা থেকেই উদয় ভাইয়ের পাগল ছিলো। বুঝ হওয়ার পর থেকে আরো পাগল হয়ে গেছিলো উদয় ভাইয়ের জন্য। জানিস প্রথম যেদিন জানতে পারলো উদয় ভাই প্রেম করছে। সে কি কান্না ওর! আমার আর প্রিয়ুর কাছে বসে অনেক কেঁদেছিলো। আর যেদিন জানছে উদয় ভাইয়ের ব্রেক আপ হয়ে গেছে। সেদিন দুইদফা ডান্স করেছে।’
বলেই হাসতে থাকে অনিমা। অতীত কিছু সময় সুন্দর আর কিছু সময় কুৎসিত। তানিয়া তাকিয়ে থাকে অনিমার দিকে। অনিমা হেঁসে আবারও বলে, ‘শুনেছিলাম প্রিয়ম ভাইয়ের সাথে নাকি প্রিয়তার বিয়ে হয়ে গেছে। জানিস প্রিয়ম ভাইকে অনেক ছোটতে দেখেছিলাম আমি। উনি খুব কেয়ার করতেন প্রিয়তার। সারাদিন টুনটুনি টুনটুনি করে ক্ষেপাতো। এখন তো উনার টুনটুনি প্রিয়তা বড় হয়ে গেছে। অনেক ভালোবাসে নিশ্চয় বল।’
তানিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, ‘হুম। সবার জীবনই গুছিয়ে গেলো শুধু তোরটাই এলোমেলো রইলো।’
‘তার জন্য একান্তই আমি দায়ী। আমি যদি সেদিন অতো বড় অ’ন্যায় না করতাম আজ আমরা আলাদা থাাকতাম না। আমার বোনের বিয়েতে থাকতাম। প্রিয়ুকে হারাতে হতো না। আর না-ই এতো এলোমেলো জীীবন হতো।’
‘যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। জীবনকে একটা সুযোগ দে নতুন করে।’
অনিমা হাসে। তানিয়া বলে, ‘ভালোবাসার ক্ষেত্রে সবাই স্বার্থপর হয় জানিস! আমরা লাইফে সব থেকে বেশি স্বার্থপর হয় ভালোবাসার মানুষটার জন্য। তুইও হয়েছিস। হ্যাঁ অ’ন্যায় করেছিস তাাই বলে তো বিয়েটা মিথ্যাা না।’
অনিমা কিছু বলে না। চুপ করে বসে থাকে। তানিয়া জানালা দিয়ে নিচে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে বলে, ‘নিচে তাকা।’
অনিমা প্রথমে না বুঝলেও পরে নিচে তাকায়। নিচে অয়নকে দাঁড়িয়ে থাাকতে দেখে ভীষণ অবাক হয়। অয়ন এতোরাতে এখানে কেন? তানিয়া অনিমাকে গুতো দিয়ে বলে, ‘শিশির ভাইয়ের কাছে না-ই ফিরলি। অয়ন ভাইকে একটা সুযোগ দিয়ে দেখ।’
অনিমা উত্তর না দিয়ে সাফাকে বিছানায় শুইয়ে তানিয়ার উদ্দেশ্যে বলে, ‘তুই একটু ওকে দেখিস আমি আসছি।’
বলেই নিচে আসে। সরাসরি অয়নের সামনে এসে বলে, ‘এতো রাতে এখানে কি করছেন অয়ন ভাই?’
অয়ন নির্বাক, নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকায় অনিমার দিকে। অনুভূতি শূণ্য মানবের মতো বলে উঠে, ‘আপনার বিরহ আমাকে ঘুমাতে দেয় না। তাই ছুটে এসেছি এক পলক দেখতে।’
অনিমা কাাঠকাঠ গলায় বলে, ‘এটা সিনেমা নয় বাস্তব। এখানে এতো রাতে একটা মেয়ের বাড়ির নিচে কোনো ছেলেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে সমাজ ছেড়ে কথা বলবে না। আপনি আমার অফিস কলিগ তাই বলে এভাবে দাঁড়িয়ে থাাকবেন না প্লিজ।’
বলেই অনিমা ঘুরে আসতে নিলে অয়ন বলে উঠে, ‘একটা সুযোগ কি আমাকে দেওয়া যায় না?’
‘না।’
অনিমা মুখের ওপর না করে দিয়েছে বলে অয়ন কষ্ট পেলো। অনিমা পেছনে না তাকিয়েই বললো, ‘আপনি ভাালো ভাবেই জানেন আমি বিবাহিত। তারপরও শুধু শুধু আমার জন্য পাগলামি করার কারণ কি? আমি কিন্তু কোনো কাারণ দেখছি না।’
‘আপনি তো আপনার হাজবেন্ডকে ছেড়ে এসেছেন। তাহলে আমাকে সু….
অয়নকে থামিয়ে দিয়ে অনিমা বললো, ‘বিয়ে মানুষের লাইফে একবারই হয়। তাছাড়া আমার হাজবেন্ডের সাথে আমার ডিভোর্স হয়নি। তাই আমাকে ভালোবাসা আপনার জন্য শুধু ভুল না চরম অন্যায় এবং পাপ। আর আমার এ লাইফে কাউকে প্রয়োজন নেই। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ভালো আছি আর থাকবো ইন শাহ আল্লাহ।’
বলেই গটগট করে চলে গেলো। একটাবার পেছনে তাকাালে হয়তো দেখতে পেতো আরেকটি আপনিময় বিরহের জল। অয়ন ধরে আসা গলায় আওড়ায়, ‘আপনিময় বিরহ আমাকে বাঁচতে দিচ্ছে না অনু।’
______________
এরপর কেটে গেছে অনেকগুলো দিন। উদয়, তনিমা জুটি সংসার, প্রেম, ভার্সিটি, কাজ সব একসাথেই করছে। সাইফা এখনো সাদাফের পেছনে পড়ে আছে। সিমি, শায়ন চুটিয়ে প্রেম করছে। রিমা, নিতু নিজেদের সংসার + পড়াশোনা নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। নোমান আর সামি সিঙ্গেলই আছে এখনো। এ নিয়ে তাদের কত হায় হুতাশ। শুধু বদলে গেছে প্রিয়ম আর প্রিয়তার সম্পর্ক। ইদানীং তাদের মাাঝে বেশ দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। প্রিয়ম যে প্রিয়তাকে অবহেলা করছে তা বেশ বুঝে সে। প্রিয়তা বুঝে উঠে না কেন প্রিয়ম তাকে অবহেলা করছে! কি কারণে! শিশিরের মতো তবে কি প্রিয়মও..ভাবতেই কলিজায় মোচড় দিয়ে উঠে প্রিয়তার। প্রিয়মও আজকাল অনেকটা বদলে গেছে। চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল, চুল এলোমেলো, দাড়ি বেড়েছে। প্রিয়তা প্রিয়মের এমন দেবদাস রুপ মানতে পারে না। প্রিয়তা প্রিয়মের সাথে কথা বলবে ভেবে প্রিয়মের রুমে আসে। প্রিয়ম তখন গিটারে টুংটাং আওয়াজ তুলেছে ব্যালকনিতে বসে। প্রিয়তা এগিয়ে আসতেই ঘুরে তাকায় প্রিয়ম। ভ্রু কুঁচকে বলে,
‘কারো রুমে আসার আগে যে পারমিশন নিয়ে আসতে হয় জানিস না! নাকি ম্যানার্স সব ভুলে গেছিস?’
প্রিয়তা অবাক চোখে তাকায়। কন্ঠে অবাকতা মিশিয়ে বলে, ‘পারমিশন? আগে তো কখনো লাগেনি প্রিয়ম ভাই। তাছাড়া আপনি আমার হাজবেন্ড যথেষ্ট অধিকার আছে আমার এই রুমের ওপর।’
প্রিয়ম বাঁকা হেঁসে বলে, ‘অধিকার? লাইক সিরিয়াসলি? বাই দ্যা ওয়ে কি প্রমাণ আছে যে আমি তোর হাজবেন্ড?’
প্রিয়তা যেনো অবাকের শেষ সীমানা ছাড়িয়েছে। মুহুর্তেই তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। প্রিয়ম আলমারী থেকে ইনহ্যালার নিয়ে স্প্রে করে প্রিয়তার মুখের সামনে। প্রিয়তা স্বাভাবিক হতেই বলে, ‘দেখ প্রিয়তা আমি তোকে ক্লিয়ার করেই সবটা বলতেছি। অনেক হয়ছে ভালোবাসা ভালোবাসা নাটক। আমি তোকে ভালো টালো বাসি না ভাই। সাদাফ আমার সাথে বাজি ধরেছিলো যে ও তোকে পটাবে। আর আমি বলেছিলাম ওর আগে আমি তোকে পটাবো৷ ব্যাস এটুকুই।’
‘এগুলো ওভারএক্টিং হয়ে যাচ্ছে না প্রিয়ম ভাই?’
প্রিয়ম ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে, ‘হোয়াটএভার! তুই কি ভাবলি আর ভাবলি না আই ডোন্ট কেয়ার। তবে আমি মিথ্যা বলি না তা তুই ভালো করেই জানিস।’
মুহুর্তেই যেনো থমকে গেলো প্রিয়তা। এটাা সত্যি প্রিয়ম মিথ্যা বলে না। তবে কি সত্যিই প্রিয়মও তাকে ঠ’কালো! কিছু বলতে যাবে তার আগেই তনিমা হাঁপাতে হাঁপাতে এসে ব্যস্ত কন্ঠে বলে,
‘প্রিয়ু সাদাফ ভাই তার ফুল ফ্যামিলি নিয়ে এসেছে তোকে দেখতে। বিয়ের জন্য! জলদি আয়। আমি কিছু বুঝতেছি না।’
চলবে..