বোবা_প্রেম
পর্ব-৩
লেখক : Riyad Ahmod Bhuiya
নাহ, এই চা তানহার হাতেই বানানো। ভাবতে ভাবতে উঠে গেলাম আমি। কেবিন থেকে বেরিয়ে রাকিবকে ডাক দিলাম। ও আসলো আমার কাছে। এসে বললো,
-কি হইছে স্যার, চায়ে কি চিনি ওয়নাই?
আমি বললাম,
-এই চা কে বানিয়েছে রাকিব?
ও বললো,
-ক্যান স্যার, চা টা কি স্বাদ ওয়নাই?
আমি বললাম,
-কে বানিয়েছে সেটা বলো!
ও বললো,
-ভেতরে চা কেডায় বানাইছে আমি তো দ্যাহি নাই। খাড়ান, জাইনা আইতাছি।
আমি বললাম,
-আচ্ছা, তাড়াতাড়ি যাও।
ও চলে গেল। আমি এবার কেবিনের ভেতরে ঢুকে পায়চারি করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এটা তানহার হাতেই বানানো চা। ও আসলো। জিজ্ঞেস করলাম,
-জানতে পেরেছো কে বানিয়েছে?
ও বললো,
-একজন মাইয়্যালোক বানাইছে। মাইয়্যাডা এক সপ্তাহ ওইছে কাজে ঢুকছে। নয়া তো, তাই ভালো কইরা হয়ত চা বানাইতে পারে নাই। দেন স্যার, কাপটা দেন! আপনের লাইগ্যা নতুন কইরা স্পেশাল চা বানাইয়্যা নিয়া আসতাছি।
মনে মনে প্রচণ্ড রাগ হলাম আমি। কিন্ত রাকিবের কোন দোষ নেই। ওকে বলিনি যে, কে চা বানিয়েছিল তার সবকিছু জেনে আসতে। কিন্তু কোন একজন মেয়েলোক চা টি বানিয়েছে একুটু তথ্য আমার জন্য যথেষ্ট নয়। এবার ওকে বললাম,
-আরে বোকা, চায়ের স্বাদ অতুলনীয়। আমি কি বলেছি নাকি যে, চা ভালো হয়নি। যে এই চা বানিয়েছে তার নামসহ জেনে এসো। আমি তাকে পুরষ্কার দিব।
এবার আমার কথা শুনে রাকিব বলে উঠলো,
-হাছা কইতাছেন স্যার! তাইলে, আমি যে দৌড়াদৌড়ি করতাছি আমারে কি কিছু দিবেননা?
আমি হেসে উঠলাম ওর কথা শুনে। বললাম,
-হুম, দিবনা কেন! তোমাকেও টিপস দিব। যাও, এবার যে চা বানিয়েছিল তার সব তথ্য নিয়ে এসো!
ও চলে গেল। এমন হাজারো রাকিবরা আছে যে বয়সে তাদের পিঠে স্কুল ব্যাগ থাকার কথা সে বয়সে তাদের পিঠে সংসার নামক পাহাড় সম দায়িত্ব চেপে বসে। ওরা পরিবেশ, পরিস্থিতি আর বাস্তবতার কাছে নিজেদেরকে আত্মসমর্পণ করে দেয়। জীবনের লাল-নীল স্বপ্ন বুনা বাদ দিয়ে অন্যের স্বপ্ন বুনা দেখে। তবে ওদেরকে আমার ভালো লাগে। কেন ভালো লাগে জানেন? ওরা চুরি করে নয়, বরং কাজ করে পেট আর সংসার চালায়! আমি ওদেরকে স্যালুট জানাই।
কিছুক্ষণ পরই রাকিব ফিরে আসলো। ও কাছে আসতেই আমি বললাম,
-জানতে পেরেছো কিছু?
ও বলতে লাগলো,
-জ্বী স্যার, যিনি চা বানাইছেন উনার নাম তানহা। কথা বলতে পারেননা উনি। সবসময় কানের মধ্যে কি জানি একটা লাগাইয়া রাখেন। তবে একটা কথা কি জানেন স্যার!
বললাম,
-কি কথা?
ও বললো,
-উনি আসার পর থাইক্যা আমাগোর রেস্টুরেন্টের কাস্টমার বাইড়া গেছে। উনি খুব ভালো রান্না করতে পারেন।
রাকিবের মুখে সবকথা শোনার পর কেন জানিনা ছোট বাচ্চাদের মতো আমি কাঁদতে শুরু করলাম। ও আমাকে কাঁদতে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
-আরে স্যার, কান্দেন ক্যান?
আমি ওকে বললাম,
-তুমি বুঝবেনা এসব। আমি একটা কাগজে কিছু লিখে দিব। সেটা তুমি উনাকে গিয়ে দিয়ে আসতে পারবা?
ও বললো,
-পারুম স্যার। কি দিবেন দেন!
আমি আবার ঐ কেবিনে চলে আসলাম। বসে লিখতে শুরু করলাম,
‘তানহা,
আমি জানিনা কিসের টানে আর কিসের মায়ায় নিয়তি আমাদের দুজনকে মুখোমুখি করেছে। আমি জানি, জীবনের নির্মম বাস্তবতা আর বেঁচে থাকার তাগিদ তোমাকে এখানে আসতে বাধ্য করেছে। এটাকে আমি দোষের কিছু বলিনা। তবে, তোমাকে শুধু একটি কথাই বলব, ‘যদি আমাকে কখনো ভালোবেসে থাকো তাহলে এখান থেকে বেরিয়ে এসো! তোমাকে সাথে নিয়ে তোমাদের বাসায় যাব আমি। কথা বলব তোমার মায়ের সাথে। এটা তোমার কাছে আমার অনুরোধ!
রিয়াদ।
এটুকু লিখে ভাজ করে কাগজটা রাকিবকে দিয়ে পাঠিয়ে দিলাম। আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম ওর জন্য। প্রায় বিশ মিনিট পর ও বাইরে এলো। আমাকে দেখে কিছু বললোনা আর। সোজা চলে গেল ক্যাশিয়ারের কাছে। একটা কাগজে কি যেন লিখে সেটা ক্যাশিয়ারের হাতে দিলো। ক্যাশিয়ার কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে কোথাও ফোন দিলো। আমি দূরেই দাঁড়িয়ে রইলাম। ফোনে কথা বলার পর ওর হাতে ক্যাশিয়ার কিছু টাকা ধরিয়ে দিলো। একটা মুচকি হাসিও দিলো সে। যার অর্থ ছিল, ‘আচ্ছা আসুন, আবার যদি কাজে আসতে চান আসতে পারেন।’
হাসির ধরণ আর তানহার মুভমেন্ট দেখে আমার অন্তত তাই মনে হলো। এটা অদৃশ্যের জ্ঞান নয়, কেবলই একটি ধারণা মাত্র। যা ভুল বা সঠিক যা কিছুই হতে পারে। এবার তানহা আমার দিকে তাকালো। চোঁখের ভাষা বুঝে ফেললাম ওর। আমাকে বললো,
-চলে আসুন! আমি বিদায় নিয়ে নিয়েছি।
বিষয়টা আজব না!
রাকিব কাছেই দাঁড়িয়েছিল আমার। ওকে আরো পঞ্চাশ টাকা দিলাম। তাড়াহুড়ো করেই বেরিয়ে আসছিলাম আমি। দশ টাকা দিলাম চায়ের বিল। এত দীর্ঘ সময়ে মাত্র একটা চা খেলাম আর বিল হলো মাত্র দশ টাকা! বিষয়টি নজর এড়ালোনা ক্যাশিয়ারের। কিন্তু এসময় আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া তার আর কিছুই করার ছিলনা।
মেইন রোডের পাশেই এই রেস্টুরেন্টটি। তানহা দাঁড়িয়ে আছে। আমি এসেছি দেখে ও হাঁটতে শুরু করলো এবার। আমি বললাম,
-দাঁড়াও, একটা রিকশা নিয়ে নিই!
ও মাথা নেড়ে ইশারায় বুঝিয়ে দিলো,
-লাগবেনা। হেঁটেই যাই।
আমিও আর জোড়াজুড়ি করলামনা। হেঁটেই চললাম ওর সাথে। এর আগে কখনো কোন মেয়েলোকের পাশাপাশি এভাবে হাঁটার সুযোগ হয়নি আমার। ও মোবাইল ইউজ করে। তা দিয়ে মেসেজে কথা বলে। হাঁটতে হাঁটতে সেটাই করতে দেখলাম ওকে। আমি ওর পাশাপাশি চুপচাপ হাঁটছি। কেন যেন মনে হচ্ছিল, আগে সাহসী ছিলাম, এখন ভীতু হয়ে গেছি। কিন্ত নাহ, এখানে সাহস আর ভয়ের উর্ধে হলো ভালোবাসা। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা। কিছুক্ষণ হাঁটার পর ওর বাসার কাছাকাছি চলে আসলাম। একটা দোকানের পাশে ও থেমে গেলো এবার। আমিও থামলাম। দেখতে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলনা আমার। ও দোকান থেকে এক হালি ডিম নিলো। নুডুলস নিলো। পেঁয়াজ এবং আরো কি কি যেন নিলো। তারপর দেখলাম দোকানি তার কাছ থেকে টাকা রাখলোনা কোন। ক্যালকুলেটরে হবে হিসাব করে সেটা খাতায় লিখে রাখলো। বুঝতে পারলাম, এখান থেকেই তানহা বাকি নেয় সবসময়। পরে হয়ত মাস শেষে সব পরিশোধ করে।
এসময় আরো কজন লোক আসলো দোকানে। সবাই যেন কেমন করে বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছিলো! তার কারণ, হয়ত আমাকে তানহার সাথে দেখে তার অবাক নয়ত এলাকায় এর আগে আমাকে কখনো না দেখার জন্য।
তানহা ঘরের ভেতরে গেল, আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি। এটাই উচিৎ। হুট করে বাইরে থেকে গিয়ে কারোর ঘরে ঢুকে পড়া ঠিক নয়। কিছুক্ষণ পর ও আসলো। ইশারায় আমাকে ভেতরে যেতে বললো ও। ঘরে ঢুকে আন্টিকে কোথাও দেখতে পেলামনা। চুপচাপ বসে রইলাম চেয়ারে। আমাকে একা বসিয়ে রেখে ও চলে গেল অন্য রুমে। এদিকে সময় হয়ে যাচ্ছে রুবিদের বাসায় যাবার। কি করব বুঝে উঠতে পারছিলামনা আমি। বসে থেকেই ফোন দিলাম রুবির মায়ের কাছে। আমার এরকম মিস হয়না কখনো। ফোন রিসিভ করলেন উনি।
-আসসালামুআলাইকুম!
আমি বললাম।
উনি জবাব দিলেন,
-ওয়ালাইকুমুসসালাম। কি ব্যাপার রিয়াদ! হঠাৎ করে ফোন দিলা যে?
উনি আমার সাথে তুমি করেই কথা বলেন। আমি বললাম,
-আসলে, আমার একটা কাজ ছিল। আজ যদি ইভিনিং টাইমে রুবিদেরকে পড়াতে আসি তাহলে কি কোন প্রবলেম হবে?
উনি হেসে হেসে উত্তর দিলেন,
-অসুবিধা নেই। আজ কাজ থাকলে আর আসতে হবেনা। কালকেই এসো। তুমি তো আর প্রতিদিন এমন করোনা। থাক, আসতে হবেনা আজ।
আমি বললাম,
-আচ্ছা ঠিক আছে।
ফোন রেখে দিলেন উনি। এমন সময় তানহার মা আসলেন। আগে যে কাপড়ে দেখে গিয়েছিলাম এখন সেটা গায়ে নেই। হয়ত শাওয়ার নিয়ে এসেছেন। আমাকে দেখে বলললে,
-বাবা, আমার সাথে নাকি কিসের কথা আছে তোমার?
এটা বলতে বলতে তিনি তাঁর বিছানায় বসলেন। আমি বললাম,
-জ্বী, একটা জরুরী বিষয় নিয়ে কথা ছিল। অবশ্য, যদিও এটি একান্তই আপনাদের পারিবারিক তবুও আমি মনে করি বিষয়টি নিয়ে আপনার সাথে আমার কথা বলা উচিৎ।
উনার চেহারার রং পাল্টে গেল। ভাবলেন, হয়ত জটিল কিছু হয়েছে। আমাকে বললেন,
-এভাবে কথা বলছো কেন? কোন সমস্যা হয়েছে কি?
আমি বললাম,
-তেমন কিছু না আন্টি। তবে, আমার কথায় যদি কিছু মনে না করেন তাহলে কথাগুলো বলতে পারি।
উনি বললেন,
-হুম বাবা বলো!
আমি বললাম,
-আপনার মেয়ে তানহা বাইরে কি কাজ করে জানেন কি আপনি?
আমার কথা শুনে উনি তাঁর মাথা নিচের দিকে দিয়ে ফেললেন। চুপ হয়ে গেলেন উনি। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বললেন,
-দেখো বাবা, তানু আমাকে বলেছে ও নাকি কিসের একটা চাকরী পেয়েছে। আমি তো জানি, ওর যে অসুস্থতা আর শিক্ষাগত যোগ্যতা তাতে করে ও কোন চাকরীই পাবেনা। তবে হ্যাঁ, আমার মেয়ে যে, কোন খারাপ পথে যাবেনা সে বিশ্বাস ওর উপরে আমার আছে। এমনকি মা-মেয়ে না খেয়ে মরলেও না।
আমি উনার মুখে এমন কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। বললাম,
-নাহ আন্টি, ঠিক তেমন কিছু নয়। তবে হ্যাঁ, আপনি যদি চান তাহলে আমি তানহার জন্য একটা সম্বন্ধ নিয়ে আসতে পারি। এখনি ওর বিয়ে দেয়ার দরকার নেই। যদি কাবিন করে রেখে দেন তাহলেও হবে।
উনি খুব বুদ্ধিমতী মহিলা। আমাকে ধরে ফেললেন উনি। বললেন,
-তুমি যদি সরাসরি আর খোলামেলা কথা বলো তাহলে আমি খুশি হবো।
উনার কথা শুনে আমার আর বুঝতে বাকি রইলোনা যে, ধরা খেয়ে গেছি! আমি চুপ করে রইলাম। এমন সময় তানহা নুডুলস নিয়ে এলো। ও আমাকে নুডুলস দিবে এমন সময় আন্টি বলে উঠলেন,
-তানু, নুডুলস দিবানা ওকে। যেখান থেকে এনেছো সেখানে গিয়ে রেখে দাও এসব।
উনার কথা শুনে তানহা অবাক হয়ে গেল। পিছিয়ে গেল ও। এবার আমি উনার দিকে তাকালাম। বললাম,
-আসলে, আমি চেয়েছিলাম বিষয়টি নিয়ে আমার গার্জিয়ান আপনার সাথে এসে কথা বলুক। এজন্যই আমি সরাসরি কিছু বলিনি।
কথাগুলো বলে আমি আবারো নিচের দিকে চোঁখ নামিয়ে ফেললাম। এমন সময় উনি তানহাকে বললেন,
-তানু মা, ভাত রান্না করো গিয়ে যাও। আর ঘরে যা আছে তা দিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করো। আমরা আজ একসাথে বসে খাবো। আর নুডুলসটাও দিয়ে দাও। তার মায়ের কথায় তানহা আমাকে নুডুলস দিয়ে চলে গেলো। এতক্ষণে সেও সব বুঝে গেছে।
উনার কথা শুনে বুঝতে আর বাকি রইলোনা যে, নিশানা একেবারে ঠিক জায়গায় গিয়েই লেগেছে! এবার উনি আমাকে বললেন,
-তা, তোমার কাছের কে আছেন এখন? কোন চাচা, মামা এরকম কেউ?
আমি বললাম,
-চাচা নেই। আমার বাবা দাদার একমাত্র ছেলে ছিলেন। তবে মামা আছেন। এখন উনিই আমার গার্জিয়ান।
উনি বললেন,
-তাহলে, উনাকে আগামীকালই আসতে বলো। আমি আলাপ করে দেখি উনার সাথে।
আমি বললাম,
-আচ্ছা, কথা বলে আমি আপনাকে জানাবো। আপমার ফোন নম্বরটা…
উনি এবার ফোন নম্বরটা বললেন উনার। আমিও সেভ করে রেখে দিলাম।
খাবার হয়ে গেছে। আন্টি ডাক দিলেন আমাকে ভেতরের রুমে যাওয়ার জন্য। খাব কি, খাবার থেকে ভেসে আসা সুঘ্রাণেই মন ভরে গেছে। এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে খাবারগুলো যার কোন জবাব নেই। তানহা পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। আন্টি আমাকে বসতে বলে উনিও বসলেন। তানহা বসতে চাইছিলো না। পরে দেখলাম, আন্টির চোঁখ রাঙানোতে ও বসলো। উনিই আমার প্লেটে খাবার দিয়ে দিলেন। দিতে দিতে বললেন, লজ্জা পেওনা। নিজের ঘর মনে করে খেয়ে নাও!
খেতে বসে তেমন কোন কথা হলোনা। খেয়ে আন্টির থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে এলাম। আজ আর তানহা পিছু পিছু আসেনি। আসেনি বারান্দাতেও। হয়ত ও ভেবেছে, যাকে সারাজীবনের জন্য নিজের করে পেতে চলেছি তার জন্য আর বৃথাই অশ্রু ঝরাতে যাব কেন?
রাস্তায় এসে মামাকে কল দিলাম। রিসিভ করলেন উনি। সালাম বিনিময় করার পর তিনি বললেন,
-রিয়াদ, আমিই আজ বিকালে কল দিতাম। ভালো হয়েছে কল দিয়েছিস। তোর মামী তোর সাথে যেন কিসের কথা বলবেন। এই নে, তোর মামীর সাথে কথা বল।
এপাশ থেকে বুঝতে পারলাম ফোনটা মামীর হাতে দেয়া হয়েছে। মামী ধরলেন ফোনটা। তাঁর সাথেও সালাম বিনিময় করে ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করলাম। এবার মামী বললেন,
-আমি বলতে পারবোনা। এই নাও, তোমার নানীর সাথে কথা বলো!
নানু ফোনটা ধরলেন এবার। প্রথমেই কয়েকটা গালি দিলেন কেন আমি তাঁর খোঁজখবর নিইনা। তারপর বললেন,
-এবার তোমাকে বন্দী করার ব্যবস্থা করতেছি। পরে দেখবনে খোঁজখবর না নিয়ে কি করে থাকো।
আমি কিছু বুঝতে পারলামনা তাঁর কথায়। বললাম,
-কি সব আজগুবি কথা বলতেছ নানু!
নানু এবার হাসতে হাসতে বললনে,
-তোমার মামা এবার তোমার শশুর হতে চলেছেন!
——–চলবে——–
২য় পর্বের লিংক