বোবা_প্রেম
পর্ব-৫ (শেষ পর্ব)
লেখক : Riyad Ahmod Bhuiya
মামা কল দিলেন এবার। রিসিভ করলাম আমি। মামা বললেন,
-কিরে, কোথায় তুই?
আমি বললাম,
-আপনি কোথায় নেমেছেন?
মামা বললেন,
-আমি তো সোনালী ব্যাংকের সামনে। তুই কোথায়?
আমি বললাম,
-আপনি একটা রিকশায় উঠে বলুন ‘মায়ের দোয়া’ রেস্টুরেন্টে আসবেন। এখানেই বসে আছি আমি।
মামা বললেন,
-আচ্ছা, তুই তাহলে বস আমি আসছি।
মামা ফোনটা রেখে দিলেন এবার। আমিও বিল মিটিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। সোনালী ব্যাংক থেকে এপর্যন্ত আসতে বড়জোড় পাঁচ মিনিট লাগবে। ফুটপাতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম মামার জন্য। এমন সময় মনে পড়লো, ‘এই রে, তানহাদের বাসায় তো ফোন দিয়ে জানানোর দরকার।’ ফোন দিলাম তানহার মায়ের কাছে। উনি ধরলেন ফোনটা। আমি বললাম,
-আসসালামুআলাইকম আন্টি!
উনি জবাব দিলেন,
-ওয়ালাইকুমুসসালাম।
আমি বললাম,
-আন্টি, আমি রিয়াদ বলছি।
উনি বললেন,
-হ্যা বাবা বলো!
আমি বললাম,
-আমার মামা চলে এসেছেন। আমরা আর আধাঘন্টার মধ্যেই চলে আসবো।
উনি বললেন,
-আচ্ছা বাবা চলে এসো।
ফোনটা রেখে দিলেন উনি। মনে হলো ব্যস্ত আছেন নয়ত গতানুগতিক কথা ছাড়াও আরো বাড়িয়ে কোন কথা বলতেন। কিন্ত সেটা করেননি। কিছুক্ষণ পরই মামা চলে আসলেন। আমাকে দেখতে পেয়ে রিকশায় থেকেই মামা হেসে উঠলেন। রিকশাটি এসে থামলো। আমি ভাড়া দিতে চাইলে মামা ধমক দিয়ে উঠলেন। আর দেয়া হলোনা। তিনি ভাড়া মিটিয়ে দিতে দিতে বিড়বিড় করে বললেন, ‘খুব বড় হয়ে গোছিস দেখা যায় হুমম! এত বড় হওয়া কিন্তু ভালো নয়!’ মামার কথা শুনে কিছু বললামনা। হাঁটতেছি ফুটপাত ধরে এমন সময় মামা জিজ্ঞেস করলেন,
-ভালো মিষ্টির দোকান আছে কি এদিকে?
আমি বললাম,
-তেমন নামকরা কোন মিষ্টির দোকান নেই তবে সামনে একটা রেস্টুরেন্ট আছে, ঐটায় মিষ্টি পাওয়া যায়।
হাঁটতে হাঁটতে এবার মামা বললেন,
-ওরা কি খেতে পছন্দ করে না করে কিছু জানিস কি?
আমি নিচু স্বরে বললাম,
-নাহ, জানিনা।
এবার মামা বললেন,
-কি যে করিস বুঝিনা আমি। আমি তো তোর মামীকে দেখতে যাওয়ার আগে খবর নিয়ে জেনে নিয়েছিলাম যে ওর মা কি খেতে পছন্দ করেন। জানতে পারি, উনি নাকি আমাদের নেত্রকোনার বিখ্যাত বালিশ মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। এটা জেনে, যাওয়ার সময় নিয়েছিলাম দশ কেজি বালিশ মিষ্টি। আমার টার্গেট ছিল, মেয়ে যদি আমার পছন্দ হয়ে যায় তাহলে যেন এক চান্সেই বিয়েটা করে ফেলতে পারি। পরে তো আমার শাশুড়ী তাঁর প্রিয় খাবার এত বালিশ মিষ্টি দেখে একেবারে সেদিনই যেন মেয়ে দিয়ে দিবেন অবস্থা! অবশ্য, যদিও তোর মামীকে কোন কারণে আমার অপছন্দ হলে এতগুলো টাকা আমার ভেস্তে যেত।
মামার এই কাহিনী শুনতে শুনতে চলে আসলাম রেষ্টুরেন্টে। এবার এসে আর রাকিবকে পেলামনা। ওকে নাকি কোথায় পাঠানো হয়েছে একটা কাজে। পাঁচ কেজি মিষ্টি নিলেন মামা। তিনিই টাকা দিলেন। রিকশার ভাড়া দিতে গিয়ে যে ধমক খেয়েছি তাতে এখন আর টাকা দেয়ার সাহস করতে পারছিনা। নিমকি কিনলেন দুই কেজি। তারপর বেরিয়ে অদূরেই থাকা ফুটপাতের একটি পানের দোকান থেকে পান-সুপারি কিনলেন। কেনাকাটা শেষ করে মামু-ভাগনে এবার চরে বসলাম রিকশায়। রিকশাটি যতই এগুচ্ছে ততই আমার ভেতরে কেমন যেন ধড়পড় বেড়েই চলেছে।
এবার মামা কাকে যেন ফোন দিলেন। মামা বলে উঠলেন,
-আচ্ছা, গোসল করছিলা?
ওপাশ থেকে কি বললো শুনিনি আমি।
তারপর বললেন,
-এখন কেমনে কি দেখবো একটু বলে দাও! আমি কি আর এতসব বুঝি নাকি!
এরপর বেশ কিছুক্ষণ মামা চুপ করে থেকে শুধু কথা শুনে গেলেন ফোনে। তারপর রেখে দিলেন। বুঝতে পারলাম, মামীর সাথে কথা বলেছেন। দেখতে দেখতে তানহাদের বাসার সামনে চলে এসেছি। রিকশা থেকে নামলাম এবার। মামা এবারো ভাড়া দিলেন। আমার হাতে মিষ্টি আর নিমকিগুলো। মামার হাতে পান-সুপারিগুলো। তানহার মা বারান্দাতেই কিছু একটা কাজ করছিলেন। আমার দিকে তাকাকেই উনাকে সালাম দিই আমি। মামাও দেন। উনি হাসিমুখে সালামের উত্তর দিয়ে মামাকে জিজ্ঞেস করেন,
-ভালো আছেন?
মামা বললেন,
-জ্বী, ভালো। আপনি ভালো আছেন তো?
উনি বললেন,
-জ্বী ভালো। আপনাদের আসতে রাস্তায় কোন অসুবিধা হয়নি তো?
ঘরের ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে মামা বললেন, নাহ কোন অসুবিধা হয়নি। টেবিলের উপর মিষ্টি আর মিমকিগুলো রাখলাম আমি। এবার তানহার মা মামাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
-একটু এদিকে আসুন!
মামা যাচ্ছেন আমি দাঁড়িয়ে রইলাম। আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তিনি আমাকেও যেতে বললেন। গেলাম আমি। ঘরের কোথায় কোন রুম, কোথায় কিচেন, কোথায় ওয়াশরুম সবকিছু আমাদেরকে দেখিয়ে আনলেন।
আসলে, আমাদের কারোর বাড়িতে যখন কোন মেহমান আসেন তখন আমাদের উচিৎ আমাদের ঘরে বা বাড়িতে কোথায় কি আছে তাদেরকে দেখিয়ে দেয়া। নয়ত হঠাৎ করে কারোর ওয়াশরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হলে ওয়াশরুমটা কোথায় বা কোনদিকে এসব প্রশ্ন করাটা মেহমানের কাছে বিব্রতকর লাগে। এরচেয়ে, সে যদি এসেই জেনে ফেলে যে, বাড়ি বা বাসার কোথায় কি আছে তাহলে সে তার প্রয়োজন পড়লে নিজে থেকেই গিয়ে প্রয়োজন মিটিয়ে নিতে পারবে। এবিষয়ে হাকিমুল উম্মত হযরত আশরাফ আলী থানভী রহ. তাঁর বেহেশতী জেওর গ্রন্থে সুন্দর করে ধারণা দিয়েছেন। বইটিতে, মায়েরা কিভাবে শিশু পালন করবেন, নতুন বউ কিভাবে তাঁর শশুর বাড়ির লোকজনের মন জয় করে নিতে পারবে, স্বামীর প্রতি স্ত্রীর হক, স্ত্রীর প্রতি স্বামীর হকসহ মানবজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সুন্দর ও শৃঙ্খলভাবে সুনির্দিষ্ট ধারণাসহ সবকিছু বর্ণিত আছে। সেগুলোই মনে পড়ে গেল উনার কাজ দেখে। তানহার মাকে এসব করতে দেখে আমার কেন যেন মনে হলো, উনিও হয়ত সেটাই ফলো করছেন!
আমাদেরকে এবার বসতে দেয়া হলো। আন্টিই পানি এবং শরবত এনে দিলেন। সাধারণত এটাই উচিৎ। কেউ আসলে প্রথমে তাকে পানি এবং শরবত দেয়া যেন কিছুটা রিফ্রেশ হতে পারে এরপর সামর্থ অনুযায়ী আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা। আমি মনে মনে তানহাকে খুঁজছি তবে ওকে কোথাও দেখতে পাচ্ছিনা। আমার চোঁখ ঘুরাঘুরি করা দেখে আন্টি বিষয়টি বুঝে ফেলেন এবং মামাকে বললেন,
-আমার মেয়ে পাশের বাসায় আছে। আপনারা যখন বলবেন তখন ওকে নিয়ে আসবো।
এবার মামা বললেন,
-ছেলেমেয়ে দুজনে যদি একে-অপরকে পছন্দ করে নেয় তারপর না হয় আমরা পরবর্তী বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলব।
এবার আন্টি বললেন,
-আচ্ছা। আপনারা তাহলে বসুন, আমি তানহাকে নিয়ে আসছি।
এই বলে উনি চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর আসলেন। এবার আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
-পাশের রুমেই তানহা আছে। যাও, কথা বলে এসো।
ঐ রুমের দুটো দরজা। একটি কিচেনের দিকে যা দিয়ে পেছনের দিক দিয়ে বাইরে যাওয়া যায়। আরেকটি দরজা ঘরের ভেতরের দিকে যেটি কিনা খোলা রাখা হয়েছে। মামাকে নিয়ে যেখানে বসেছি সেখান থেকে ভেতরের দরজা দিয়ে রুমের আংশিক ভেতরের অংশ দেখা যায়।
আমি গিয়ে ঢুকলাম ঐ রুমে। ও সেলোয়ার-কামিজ পড়েছে। রুমটাতে ঢুকতেই গোটা শরীরে কেমন যেন একটা কম্পন অনুভূত হলো। ও বিছানায় বসেছে। আমি একটা চেয়ারে বসলাম। এতদিন ওর সামনে লজ্জা লাগেনি তবে আজ লাগছে। রুমে ঢোকার পর এখন পর্যন্ত আমার দিকে ও একবারো তাকিয়ে দেখেনি। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর এবার আমি ওকে বললাম,
-দেখো, তুমি তো আমার বিষয়ে সবকিছু জানোই। আমি আমার কোনদিক বা বিষয় তোমার কাছে লুকাইনি। যা আছে সব বলেছি। এবার তুমি বলো, আমাকে বিয়ে করতে কি তোমার কোন আপত্তি আছে?
ও মাথা নেড়ে বলল,
-নাহ।
আমি বললাম,
-আলহামদুলিল্লাহ্।
চলে আসলাম ঐ রুমে। আমাকে দেখে মামা বললেন,
-কথা শেষ?
আমি বললাম,
-জ্বী, শেষ।
এবার তানহার মাকে উদ্দেশ্য করে মামা বললেন,
-তাহলে এবার আমরা কথা এগোই কি বলেন?
উনি জবাব দিলেন,
-জ্বী, বলুন!
মামা বলতে শুরু করলেন,
-দেখুন, আমার বোন আর দুলাভাই মারা যাওয়ার পর রিয়াদের দায়িত্ব আমিই নিই। ওর যাবতীয় বিষয়াবলি আমি দেখলেও কাকে বিয়ে করবে সেটার সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্ণ ক্ষমতা তাকে দিয়ে রেখেছিলাম। আমি বিয়ে করেছি এক যুগেরও উপরে হয়েছে। সময়মতো যদি আমার একটি মেয়ে হতো তাহলে ওর কাছেই বিয়ে দিতাম। কথাগুলো বলার কারণ হলো, যার কাছে আমি আমার নিজের মেয়ে বিয়ে দিতে আগ্রহী ছিলাম তার জন্যই আপনার কাছে এবার মেয়ে চাইতে আসলাম। আপনার মেয়ে আমাদের কাছে নিজেদের মেয়ের মতোই থাকবে। আর হ্যাঁ, আল্লাহর রহমতে আমার ভাগিনার হাত-পা সুস্থ। সে পড়াশোনাও করছে। চাকরী যদি নাও হয় অন্তত ভিক্ষা করে বউকে খাওয়াতে হবেনা। তাই বলছি, আমাদের কোন দাবিদাওয়া নেই। আমি আমার যা বলার বলে দিয়েছি। এবার আপনি বলুন!
মামার মুখে কথাগুলো শোনার পর তানহার মা কেঁদে দিলেন। আঁচল দিয়ে নিজের চোঁখের পানি মুছতে মুছতে বললেন,
-জানিনা, কত ভাগ্য নিয়ে জন্মালে কারোর জন্য এমন সম্বন্ধ আসে! আমার মেয়ে সত্যিই খুব ভাগ্যবতি। আল্লাহর অশেষ রহমত আছে ওর উপর। নয়ত তার কপালে রিয়াদের মতো ছেলে জুটতোনা।
এবার মামা বললেন,
-দেখুন, সমাজের প্রতিটি মেয়ে তানহা নয়। সবাই এরকম নয়। কিন্ত, চাইলেই সমাজের প্রতিটি ছেলে রিয়াদ হতে পারে। ওরা যদি প্রতিজ্ঞা করে যে, নাহ, আমরা বিয়েতে কোন যৌতুক নিবনা। কাউকে পছন্দ হলেও সেটা অভিভাবকদেরকে অবগত করে তাদের মর্জি নিয়ে তবেই বিয়ের দিকে পা বাড়াবো। এসব চাইলেই কিন্ত সবাই পারে। যাইহোক, তাহলে কবে ওদের কাবিনের তারিখ ধার্য করবেন?
উনি বললেন,
-সামনে শুক্রবারে করলে কেমন হয়?
মামা বললেন,
-আলহামদুলিল্লাহ্! ইনশাআল্লাহ্, সবকিছু ঠিক থাকলে তাহলে আগামী শুক্রবারেই ওদের কাবিন হচ্ছে!
উনি বললেন,
-জ্বী।
আমি তখন তানহার মায়ের চোঁখের জলের আড়ালে অদ্ভুত এক আনন্দ দেখতে পেয়েছি। আপনিও এমন আনন্দ দেখতে পাবেন যদি সেভাবে ভাবেন যদি সেভাবে নিজেকে তৈরি করেন। বিশ্বাস করুন, কারোর মুখে হাসি ফোটাতে পারার মতো সুখ জগতে খুব কমই আছে।
বিয়ের একবছর পর-
ঘড়ির কাটা তখন রাত সাড়ে আট টা। আমার অনেকদিনের স্বাদ তানহাকে নিয়ে কোন এক জোৎস্নাভরা রাতে নদীর পাড়ে সময় কাটাবো। আজ সেই সুযোগ পেয়েছি। চারদিকে সুনসান নিরবতা। ওর নুপুর পড়া পা দুটো টাখনু অবদি জলে ডুবিয়ে রেখেছে। মাথাটি আমার বাম কাঁধের উপর। চাঁদনীর আলোয় ঝাপসা দেখাচ্ছে দিগন্তের গা৷ ও অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে চাঁদের দিকে। তবে, চাঁদের দিকে আমার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। চেয়ে আছি ওর মায়াবী চেহারার দিকে। ওর নেয়া প্রতিটি নিঃশ্বাস তখন আমার হৃৎস্পন্দনের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছিলো। ও বুঝতে পারলো আমি চাঁদকে নয় ওকেই দেখছি। এবার ও চিমটি কেটে আমাকে ইশারায় বললো,
-এদিকে কি, চাঁদকে দেখো কত সুন্দর!
আমি ওর মনের ভাষা বুঝতে পারি। মনে মনে বললাম,
-সাইডুলীর জলে পড়া চাঁদের আলোয় তোমার চেহারার সৌন্দর্য এতটাই বেড়ে গেছে যে, মনে হচ্ছে, একটি জলজ্যান্ত চাঁদ তো আমার কাঁধেই নিঃশ্বাস ফেলছে! কি দরকার দূর আকাশের চাঁদ দেখার।
মুহুর্তেই আমার হৃদয়ের কথা ওর হৃদয়ে পৌঁছে যায়। নয়ত কি আর ও আমাকে স্ব জোড়ে তখন জড়িয়ে ধরতো!
——-সমাপ্ত——-
লেখকের কথা-
সকল পাঠক-পাঠিকাদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ যে, আমার গল্পটি ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে আপনারা পড়েছেন। গল্পে কিছু মেসেজ রয়েছে যেগুলো পাঠক উপলব্ধি করে গ্রহণ করতে পারলে আমি নিজেকে স্বার্থক মনে করব। আমার প্রতিটি লিখার জন্য যেকোন জবাবদিহিতা করতে আমি সর্বদা প্রস্তত এবং বাধ্য। তবে, যারা বিনা অনুমতিতে কপি করে, বিকৃত করে তাদের নামে অনৈতিকভাবে আমার লিখাগুলো বিভিন্ন আইডি, পেজ বা গ্রুপে চালিয়ে দেয় সেগুলোর দায় কোনভাবেই আমার উপর বর্তাবেনা। সকলের নিকট আগামীর জন্য দোয়া চাই। আর, গল্পটি নিয়ে আপনাদের যে কারোর যেকোন ধরণের সঙ্গত মতামত, গঠনমূলক সমালোচনা সাদরে গৃহীত হবে। ভালোবাসা রইলো সকলের প্রতি। আবারো দেখা হবে, কথা হবে, নতুন কোন গল্পের মধ্য দিয়ে। ধন্যবাদ।
– Riyad Ahmod Bhuiya