আঁধারিয়া_এক_প্রহর #সূচনা_পর্ব

0
1866

#আঁধারিয়া_এক_প্রহর
#সূচনা_পর্ব
#সুমাইয়া মনি

১.
নববধূকে খাট থেকে নামিয়ে প্রিয়ম তোশক ফ্লোরে বিছাতে আরম্ভ করল। দৃশ্যটি দেখে বিস্ময়বিহ্বলতায় আহাম্মক হয়ে গেছে সিয়া। কক্ষে প্রবেশ করেই স্বামীর এরূপ আচরণ তাকে ভাবুক করে তুলেছে। আজ তাদের বাসর রাত। ঘটনাচক্রটি ছিল এমন; প্রিয়ম প্রথম বাক্যেই সিয়ার উদ্দেশ্যে দৃঢ় গলায় বলল,
‘চা*পো!’
দু হাত দ্বারা মুখের ওপর থেকে ঘোনটা তুলে কপালে ভাজ ফেলে সিয়া উত্তরে বলল,
‘কি চা*প*তে বলছেন?’
‘তুমি।’
‘আমি কী?’
‘আরে চা*পো না।’
‘কোথায় চা*প*তে হবে সেটা বলছেন না কেন?’ মেকি রাগ নিয়ে বলল সিয়া।
‘পাশে চা*পো ইয়ার।’ কিছুটা অনুরোধ স্বরে বলল প্রিয়ম।
‘পাশে সরো বলতে পারেন না, তখন থেকে চা*পো চা*পো বলে যাচ্ছেন।’ খেঁকিয়ে বলে বিছানা থেকে নেমে দাঁড়াল সিয়া। পাশে চাপাচাপির থেকে নেমে যাওয়াই ভালো বলে মনে করেছে সে। প্রিয়ম ওঁকে উপেক্ষা করে অবাক করে দিয়ে বিছানার তোশক নামিয়ে ফ্লোরে বিছাতে নিলে সিয়ার উদ্দেশ্যে ফের বলল,
‘চা*পো।’
প্রচুর বিরক্ত নিয়ে দূরে সরে দাঁড়াল সে। প্রিয়ম চাদর ছুঁড়ে দিলো বিছানার দিকে। তারপর একটা বালিশ নিয়ে নতুন চাদর বিছিয়ে আঁখি জোড়া বন্ধ করে সোজা হয়ে শুয়ে পড়লো। সিয়া বিস্ময়ে লেহেঙ্গা ধরে দাঁড়িয়ে আছে।

পারিবারিক ভাবে বেশ ধুমধামে তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের আগে চেনাপরিচয় হয়নি তাদের মাঝে। এক প্রকার পারিবারিক চাপে পড়েই তাদের বিয়ে করতে হয়েছে। সিয়ার কেবল অনার্স ফাইনাল পরিক্ষা শেষ হরেছে। তার স্বপ্ন ছিল চাকরি-বাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। কিন্তু তার এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার পূর্বেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে হলো। অন্যপ্রান্তে নীল আমেরিকায় একটি কোম্পানিতে মেনেজার পোস্টে জব করছে। পড়াশোনা শেষ করার পর সেখানেই তার চাকরি হয়ে যায়। বাবার নির্দেশে ইমার্জেন্সি আমেরিকা থেকে সামনের সপ্তাহে তাকে বাংলাদেশে আসতে হয়। বিয়ের ব্যাপারে সে অবগত নয়। বাবা-মায়ের কথা ফেলতে না পেরে বিয়ের জন্য রাজি হতে হয় তাকে। দ্বিধাবোধ নিয়ে বাসর ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে তার বেস্ট ফ্রেন্ড মিনের কথা মনে পড়ে। দ্রুত কল দিয়ে কথোপকথনের মাধ্যমে মিন তাকে এমন উদ্ভট আইডিয়া দেয়। যার প্রতিক্রিয়ায় নববধূ প্রিয়মকে পাগল মনে করে কালই বাপের বাড়ি চলে যাবে। বুদ্ধি কাজে লাগায় প্রিয়ম। মিন যেমনটি বলে, অক্ষরে অক্ষরে পালন করে সে।
এদিকে সিয়া তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছে প্রিয়মের দিকে। ফুলদিয়ে পরিপূর্ণ ভাবে সাজানো খাট রেখে তোশক নিয়ে শুয়ে আছে একা। তৎক্ষনাৎ প্রিয়মকে স্বার্থপর লোক হিসাবে গন্য করল সিয়া। তার কর্মকাণ্ডে বুঝিয়ে দিল এ-বিয়েতে তার কোনো ইচ্ছে-আগ্রহ কিছুই ছিল। ঠিক তার মতো। প্রিয়ম তখনো ঘুমায় নি। ঘুমের ভাব ধরে শুয়ে ছিল। সিয়া হাতের চুড়ি সহ অলংকার গুলো খুলে ড্রেসিং টেবিলের ওপর রাখে।
আলমারি থেকে প্রিয়মের একটি ঢিলাঢালা গেঞ্জি বের করে ওয়াশরুম যায়। প্রিয়ম এক চোখ মেলে পুরো রুমে নজর বুলিয়ে বুঝতে পারে সিয়া বাথরুমে। ওঠে বসতে চাইলেই দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে পুনোরায় সেভাবেই চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকে। সিয়া প্রিয়মের গেঞ্জি ও প্লাজু পড়ে ওড়না ছাড়া বাহিরে এসেছে। প্রিয়মের দিকে একবার তাকিয়ে লেহেঙ্গার ওড়নাটি দু পাশে জড়িয়ে নেয়। তারপর জগ থেকে পানি হাতে নিয়ে প্রিয়মের মুখ-মন্ডলে ছুঁড়ে মারে। ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে চোখ পিটপিটিয়ে মুখের পানি হাত দিয়ে মুছে কাঠ কাঠ কন্ঠে বলল,
‘হোয়াট সমস্যা?’
‘সেইম টু ইউ..’ ভাবলেশহীন কণ্ঠে বলল সিয়া।
‘মানে?’
‘বিছানা থেকে তোশক নামিয়ে একা একা ঘুমাচ্ছেন কেন?’
‘কারণ আমার ঘুম পেয়েছে। তুমি বিছানায় গিয়ে ঘুমাও।’ দ্রুত উত্তর দিলো প্রিয়ম।
সিয়ার মুখ বেঁকে আসে। তোশক ছাড়া তক্তার উপর তাকে ঘুমাতে বলছে। এ কেমন কাণ্ডজ্ঞানহীন লোক। তেলেবেগুনে ক্ষেপে বলল,
‘ননসেন্স!’
‘কমনসেন্স হবে।’
‘একটিও আপনার মধ্যে নেই।’
‘তাহলে চলে যাও বাপেরবাড়ি।’ বলেই মুখ ফিরিয়ে নিলো প্রিয়ম।
এতক্ষণে সিয়া প্রিয়মের আসল কৃতকর্ম ধরতে পেরেছে। এমন উদ্ভট কাজের জন্য সিয়া হয়তো বাপেরবাড়ি চলে যাবে এটাই ভাবছে প্রিয়ম! সিয়া ওড়না গা থেকে নামিয়ে গলায় দু-পাশে ঝুলালো। মনে মনে কিছু একটা ভেবে গুরুগম্ভীর কণ্ঠে শুধালো,
‘আপনি বিছানার উপর ঘুমান।’
প্রিয়ম সিয়ার দিকে তাকিয়ে ‘না’ উচ্চারণ করার পরমুহূর্তেই ভ্রুকুটি করে বলল,
‘তুমি আমার গেঞ্জি পড়েছো কেন?’
এতক্ষণে প্রিয়ম তার গেঞ্জি লক্ষ্য করেছে। এর আগে ওড়না দিয়ে ঢাকা ছিল। তাই নজরে আসে নি। সিয়া বলল,
‘কারণ, সামনে পিছনে কোথাও আপনার নাম লিখা ছিল না। তাই প্রমাণিত, এটা আপনার গেঞ্জি না। এজন্য পড়তেও সমস্যা নেই।’
সিয়াকে প্রিয়ম বোকাসোকা প্রকৃতির মেয়ে মনে করেছিল। কিন্তু সিয়া সেটি নয় সেটা সে বুঝতে পেরেছে। এবং সে এটাও বুঝতে পেরেছে সিয়া দুর্বল স্বভাবের নয়। চঞ্চলা, উগ্রচণ্ডী, স্বভাবের মেয়ে। যার মধ্যে বুদ্ধির ক্ষমতাও বিদ্যমান।
প্রিয়ম উগ্রভাব নিয়ে বলল,
‘এটা আমারই গেঞ্জি খুলে ফেলো বলছি।’
‘আচ্ছা।’ বলে ওড়না সরানোর আগেই প্রিয়ম নজর বাঁ দিকে ঘুরিয়ে উৎকণ্ঠে বলল,
‘করছো কী তুমি…’
‘কি করছি?’
‘আমার সামনে দাঁড়িয়ে গেঞ্জি খুলছো। সরম-লজ্জা নেই?’
‘নেই!’ মুখেমুখে জবাব দিলো।
‘যাও ওয়াশরুমে।’ ঝাঁড়ি দিয়ে বলল।
‘যাব না, খুলব না।’ ত্যাড়া জবাব।
প্রিয়ম সিয়ার পানে চেয়ে তেজি কণ্ঠে বলল,
‘তুমি তো দেখছি ভীষণ অভদ্র।’
সিয়া আঙুল তুলে ভাব নিয়ে বলল,
‘সমস্যা?’
‘প্রচুর!’
‘তাহলে চলে যান আমেরিকায়।’
প্রিয়মের মুখ কিছুটা হা হয়ে গেল। পেঁচে ফেলে তার কথা তাকেই ফিরিয়ে দিয়েছে। সিয়া চঞ্চলা নয় উড়নচণ্ডী চালু-চতুর মেয়ে। প্রিয়মকে মুখ হা করে ভাবতে দেখে সিয়া তুড়ি বাজিয়ে বলল,
‘ভাবাভাবী পাশে রেখে উপরে গিয়ে শুয়ে পড়ুন। নয়তো বাড়ির সবাইকে ডেকে আপনার কর্মকাণ্ড দেখবো।’
‘থ্রেট করছো আমায়?’
‘সঙ্গে ব্লাকমেইল শব্দটিও যোগ করুন।’
প্রিয়ম দ্বিধায় পড়ে যায়। উপায়ন্তর না পেয়ে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে ওপরে উঠে। চাদর কোনোরকম বিছিয়ে শুয়ে পড়ে। সিয়া ফ্যানের পাওয়ার বাড়িয়ে আয়েসি ভাব নিয়ে বালিশে মাথা রাখল। প্রিয়ম ক্রোধে ফেঁটে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সিয়া প্রিয়মের উদ্দেশ্য করে বলল,
‘লাইট অফ করে দিন।’
প্রিয়মের ক্রোধ আসমান ছুঁবার উপক্রম। ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বসে বলল,
‘আমাকে হুকুমজারি করছো? সাহস তো কম না তোমার।’
‘লাইট অফ না হলে, সবাইকে ডেকে বলব আপনি আমাকে ফ্লোরে ঘুমাতে দিয়েছেন।’ ভ্রুক্ষেপহীন নজরে তাকিয়ে বলল সিয়া।
দাঁতে দাঁত চেপে বসে থাকে প্রিয়ম। সবাইকে ডেকে যদি বলে দেয়। চোখে দেখা বিষয়টিই সকলে বিশ্বাস করে নিবে। তার কথা কেউ বিশ্বাস তো দূর, পাতে তুলবে না। শেষে সম্মান নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে তার। ভেবেছিল কি? আর হচ্ছে কি? সব মিনের দোষ! ওর ফালতু আইডিয়ার জন্য আজ তাকে ভুগতে হচ্ছে। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে প্রিয়ম খাট থেকে নেমে লাইট অফ করে রেগেমেনে খাটে ধপ করে বসতে নিতেই তক্তার কারণে পিছনে ব্যথা পায়। রাগের বশে ভুলেই গিয়েছিল যে বিছানায় তোশক নেই। সিয়া বিষয়টি বুঝতে পেরে ঠোঁট কামড়ে হাসি থামানোর চেষ্টা করে। পিছনে হাত বুলাতে বুলাতে শুয়ে পড়ে। কিন্তু শক্ত সোজা তক্তার ওপরে কি ঘুমানু এত সহজ। রাগে, কষ্টে মন চাইছে আমেরিকায় পালিয়ে যেতে। তবে এখন এটাও সম্ভব নয়। সিয়াকে এই মুহূর্তে মাইয়া নয়, বিষাক্ত ডাইয়া উপাধি দিলেও কোনো অংশে কম হবে না।
_
সকালে দরজার কড়ানাড়ার শব্দে ঘুম ভাঙে সিয়ার। ঘুমঘুম চোখে উঠে বসে বিছানার নজর পড়তেই শূন্যস্থান দেখে সিয়া পুরো রুমে নজর বুলায়। তবে প্রিয়মের দেখা মিলে না। দরজা ভেতর থেকে লাগান দেখে বুঝতে পারে প্রিয়ম ভেতরেই আছে। দরজা না খুলেই প্রথমে ওয়াশরুম চেক করে। সেখানে না দেখতে পেয়ে বারান্দায় এসে দেখে ইজি চেয়ালে হেলান দিয়ে শুয়ে আসে।
প্রিয়মের ঘুমন্ত মুখশ্রীতে সোনালি রোদের মৃদু আভা ছুঁয়েছে। এতে তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পরেনি। হয়তো রাতে না ঘুমানোর ফলে তীব্র নিদ্রা কাবু করতে সক্ষম হচ্ছে না।
একটু খেয়াল করে দেখলে বোঝা যায় তার অভিনব স্বামী দেখতে বেশ চমৎকার সুদর্শন। গায়ের রং শ্যামল বর্ণের হলেও মানুষটির চোখ, নাক মানানসই। রয়েছে তার সুগঠিত শক্তিশালী দেহ। হয়তো বডি ফিটনেসের দিক থেকে খুব সচেতন। ভাবনায় ব্যাঘাত ঘটে করাঘাতে। সিয়া প্রিয়মকে ডাকার জন্য উদ্যোত হতেই তখনই একটি কালো রঙের বিড়াল তার পায়ে খামচি কাঁটে। সিয়া ছোট করে চিল্লিয়ে লাফিয়ে, ফালিয়ে দ্রুত প্রিয়মের কোলের ওপর পা উঠিয়ে ঘাপটি মেরে বসে যায়। প্রিয়ম হকচকিয়ে উঠে চোখ পিটপিট করে সিয়ার দিকে তাকায়। বিড়ালটি তখনো সিয়ার দিকে তাকিয়ে উগ্রকণ্ঠে ‘ম্যাও ম্যাও’ করছিল। যেন সে কোনো করণে তার ওপর প্রচণ্ড ক্ষেপে আছে। প্রধানত বিড়ালটি পরিবারের সদস্য বাদে অপরিচিত কাউকে পছন্দ করে না। তাই সিয়াকে দেখে বিড়ালটি রেগে যায়। প্রিয়ম বিড়ালটির দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে বিষয়টি। সিয়ার লাফিয়ে ওঠার কারণও সে বুঝে যায়। তবে এ কেমন কাণ্ড। সিয়া একদম বাচ্চাদের মতো কোলে উঠে বসে আছে। প্রিয়ম সিয়ার খুবই কাছাকাছি ছিল। সিয়ার শরীর থেকে মিষ্টি স্মেইল তার নাকে এসে লাগে। প্রিয়ম কিছুক্ষণের জন্য আনমনা হতে গিয়েও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ এনে তেজি কণ্ঠে বলল,
‘নিচে নামো।’
‘বিড়ালটিকে যেতে বলুন।’
‘তুমি নামো ও কিছু বলবে না।’
‘নাহ! আগে ওঁকে সরান।’ কথাটি বলতে বলতে আরেকটু চেপে বসল সিয়া।
প্রিয়ম বিড়ালটির নাম ধরে ডেকে হাতের ইশারায় চলে যেতে বলল,
‘মিহু চলে যাও।’
‘ম্যাও।’ আওয়াজ তুলে বিড়ালটি প্রিয়মের ইশারা বুঝতে পেরে চলে যায়। সিয়া এটা দেখে নেমে পড়ে। এখন সে কিছুটা বিব্রতবোধ করছে। সেভাবে চড়ে বসাটা ঠিক হয়নি। তবে সে ইচ্ছে করেও বসেনি। বিড়বিড় করে বিড়ালটির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে ‘বা*লে*র বিড়াল’ বলে। তারপর বলল,
‘কে যেন এসেছে।’
‘কে…’ কথাটা সম্পূর্ণ করার আগেই করাঘাত শুনতে পায় প্রিয়ম। বুঝতে পারে সিয়া কার কথা বলেছে। রুমের দিকে এগিয়ে যায়। তোশক বিছানায় উঠিয়ে চাদর ঠিকঠাক করে দরজা খুলে দেয়। হুমড়ি-তুমড়ি খেয়ে প্রিয়মের বড় ভাবি মলি ও তার ছোট ননদ জুলি প্রবেশ করে। মলি কৈফিয়ত স্বরে জানতে চাইলো,
‘কী ব্যাপার বাসর পালন করা এখনো হয়নি?’
প্রিয়ম রাতের পুরো ঘটনাটি একবার পুনরাবৃত্তিতে ভেবে নেয়। নিরবে সরু নিশ্বাস ফেলে বুঝতে না দিয়ে লজ্জামিশ্রিত হাসি প্রধান করে বলল,
‘না ভাবি, ভাবলাম আরেক গেম হবে। তার মধ্যেই…’
‘বিদেশে থাকতে থাকতে সরমভরম সব গেছে তোর ভাইয়া।’ আফসোস স্বরে বলল জুলি।
‘তুই কান চেপে রাখ। এখানে ভাবি-দেবরের কথা হচ্ছে।’ কাঠিন্য কণ্ঠে শুধালো প্রিয়ম।
‘বল, গেলাম।’ সে প্রস্থান করল।
মলি সিয়ার কাছে এগিয়ে এসে বলল,
‘আমার দেবর রোমান্টিক কেমন সিয়া?’
‘প্রচুর রোমান্টিক।’ লজ্জা ভঙ্গিতে বলল সিয়া।
‘জানি তো। একদম বড়ো ভাইয়ের মতো।’
সিয়া মুচকি হাসি প্রধান করে আড়চোখে প্রিয়মের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল ‘আমেরিকান গাঁধা।’
প্রিয়ম কপাল চুলকানোর ভঙ্গিতে মিনমিন স্বরে বলল,’মিথ্যুক ডাইয়া।’
.
.
.
.
#চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here