আঁধারিয়া_এক_প্রহর #পর্ব_২

0
749

#আঁধারিয়া_এক_প্রহর
#পর্ব_২
#সুমাইয়া মনি

বিষণ্ণ মনে হেঁটে চলেছে প্রিয়ম। এড়িয়াটা ছিল একটি পার্ক। ঝিরিঝিরি বাতাসের সঙ্গে চাঁদ বিহীন নির্জন চিকন সিমেন্টের পথ দিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সামনে একটি খালি বেঞ্চ দেখে সেটাতে বসে পড়ে। আজ সে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসেছে। বাবার জরুরি তলব বলতে তার বিয়ে।
প্রিয়মের বড় ভাই পবন পালিয়ে বিয়ে করেছিল। যার কারণে প্রিয়মের বাবাকে অপমানিত হতে হয়েছে আত্মীয় স্বজনরদের নিকট। বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে বহু কষ্টে তাদের মেনে নিয়েছে। ছোট ছেলে যাতে একই কাজ না করতে পারে তার জন্যই তাকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রিয়মকে এসব ঘটনা বলে বুঝিয়ে রাজি করানো হয়েছে। কারণ সে তখন আমেরিকায় ছিল। সব ঘটনা জানলেও তার শত মাইল থাকার কারণে এসব তার দৃষ্টির গোচরে ছিল। প্রিয়ম বাবার নির্দেশ অনুযায়ী বিয়েতে মত দেয়। এ নিয়ে তার মন ম্লানতায় ভুগছে। তৎক্ষনাৎ তার ম্লানভাব কাঁটে একটি মেয়ের চিল্লাপাল্লা শুনে। বাঁ-য়ে তাকিয়ে দেখে লাল পাড়ের হলুদ রঙের শাড়ী পরিধান একটি মেয়ে ফোনে কারো সঙ্গে চিল্লিয়ে কথা বলছে। ব্লাইজের রঙ গোলাপী কালারের এবং হাতা একদম কনুই পর্যন্ত। ল্যাম্পপোস্টের আলোয় মেয়েটিকে স্পষ্ট দেখছে পাচ্ছে সে। প্রিয়ম কৌতূহলে চনমনিয়ে উঠলো। চুলের বহর বেশ দীর্ঘ চোখ ধাঁধানোর মতো। চেহারা একদম দেখা যাচ্ছে না। বাতাসের জন্য খোলা চুলগুলো অভদ্রের মতো উঠছে। ছোট ছোট চুল গুলো ঢেকে রেখেছিল তার মুখমণ্ডল। মেয়েটির কথোপকথনে বুঝতে পারে বিয়ে না করার একই সমস্যায় সে-ও ভুহছে। এক পর্যায়ে মেয়েটি ফোন কেঁটে হতাশ হয়ে মাথা নত করে ফেলে। দূর থেকে প্রিয়ম এতক্ষণে পুরো বিষয়টি লক্ষ্য করেছে। মেয়েটির চেহারা পুরোপুরি না দেখতে পেলেও এতটুকু বুঝেছে সে যথেষ্ট সুন্দরী। অজানা, অচেনা মেয়েটির মুখ দেখার জন্য মন প্রচণ্ডরূপে আনচান করছে। প্রিয়ম মেয়েটির অগোচরে একটি ছবি তুলে নেয়। জানে সে এটা ঠিক নয়। তবুও কেন জানি মনটা এই দুঃসাহসে সায় দিলো। দ্বিতীয় ছবিটি তোলার পূর্বেই মিনের কল আসে। প্রিয়ম ফোন কেঁটে দিয়ে মেয়েটির দিকে তাকাতেই দেখে সে সামনে থেকে একটি স্কুটারের ওঠে চলে যায়। প্রিয়ম উত্তেজিত হয়ে গাড়ির নাম্বার নোট করতে যাবে তখনই পুনরায় মিনের কল আসে। প্রিয়ম ফোনের দিকে তাকিয়ে ক্ষেপে যায়। ততক্ষণে সেই স্কুটারটি তার দৃষ্টির সীমানায় বাহিরে চলে যায়। নোট করা হয়নি নাম্বারটি। মন ব্যাকুলতায় ছটফট করতে থাকে। প্রথম কোনো মেয়ের প্রতি সুপ্ত অনুভূতি জাগ্রত হয়েছে। তবে পুরো চেহারা দেখার আগেই হারিয়ে ফেলেছে। শুধু রয়ে গেছে তার সেই হতাশজড়িত ছবিটি।

দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্রিয়ম ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসে। এটি এক সপ্তাহের আগের ঘটনা ছিল। তারপর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সেই সময়ে পার্কে গিয়ে বেঞ্চটিতে বসতো। কিন্তু একবারের জন্যও মেয়েটির দেখা আর পায় নি সে। পরিচয় বিহীন অচেনা মেয়েটিকে প্রিয়ম ভালোবেসে ফেলেছে। তার হৃদিমন্দিরে ছোট্ট একটি জায়গা তৈরী হয়েছে। তবে এসব কথা এখন ভাবা বেমানান বলে মনে হচ্ছে তার। সেটাও সিয়ার জন্য। অচেনা মেয়েটি কিছুক্ষণের জন্য তার বিয়ের ব্যাপারটি ভুলিয়ে দিয়েছে। তার কথা ভাবতে বাধ্য করেছে। এদিকে সিয়ার নাম ব্যতীত তার বিষয় আর কিছুই জানে না প্রিয়ম। তবে সিয়া যে সহজ-সরল প্রকৃতির মেয়ে নয়, সেটা সে ভালো করেই বুঝতে পেরেছে আগেরদিন রাতে।
অচেনা মেয়েটির ছবির পানে তাকান অবস্থায় বিদঘুটে ভাবে ফোনের রিংটোন বেজে উঠে। মিনের নাম্বার দেখে চোখমুখ শক্ত হয়ে আসে তার। রিসিভ করেই উগ্রকণ্ঠে বলল,
‘রাস্ক্যাল!’
‘গালি দিচ্ছিস কেন?’
‘তোর জন্য আমার সর্বাঙ্গ ব্যাথায় টনটন হয়ে আছে।’ কিছুটা আহত কণ্ঠে বলল।
‘পুরো ঘটনা বল।’
সময় ব্যায় না করে রাতের পুরো ঘটনা বলল প্রিয়ম। মিন ভাবুক হয়ে বলল,
‘তাহলে কি অন্য প্লান বলব?’
‘তোর প্লানের ধারেকাছেও আমি যাচ্ছি না।’
‘এই দ্বিতীয় বারের মতো শোন ব্রো।’
‘একদমই না।’
‘আগে শোন, ভালো না লাগলে ফেরত নিবো।’
প্রিয়ম একটু ভেবে জবাব দিলো,
‘বল?’
‘পার্কে যে মেয়েটির ছবি তুলেছিস তার কথা সিয়াকে বল…’
পুরো কথা শেষ করার আগেই মাঝারি খাঁচায় মিহুকে বন্দী অবস্থায় চোখের সামনে তাক করে কে যেনো ধরে রেখেছে। চোখের সামনে এরূপ দৃশ্য দেখে হকচকিয়ে উঠে ফোন কেঁটে দেয় প্রিয়ম। উঠে দাঁড়িয়ে পিছনে ফিরে দেখে খাঁচাটি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সিয়া। কপালে ভাঁজ পড়ে প্রিয়মের। সঙ্গে রাগ এসে জড়ো হয়। এটি ইঁদুর আঁটকানোর খাঁচা। তাতে মিহুকে আঁটকেছে সিয়া। প্রিয়ম ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলল,
‘মিহুকে আঁটকেছো কেন? ছেঁড়ে দেও।’
‘উহু!’ মাথা দু’দিকে নাড়িয়ে বলল সিয়া।
‘হোয়াই?’
‘কারণ সকালে ও আমাকে খাঁমচি দিয়েছে।’
‘জুলি তোমাকে বলেনি কেন খাঁমচি দিয়েছে।’
‘বলেছে। তুবও সে শাস্তিযোগ্য।’
‘ঘাড় ত্যাড়ামি ছাড়ো সিয়া।’ নাকের পাটা ফুলিয়ে বলল প্রিয়ম।
‘মোটেও না। আমার সঙ্গে যে ভালো, আমি তার সঙ্গে ভালো। যে খারাপ, আমিও খারাপ। হোক সে মানুষ বা পশুপাখি, আই ডোন্ট পাত্তা।’
প্রিয়ম রাগী নিশ্বাস ফেলে কিছু বলার জন্য উদ্যোত হতেই সিয়া বলল,
‘শুনুন, আমি জানি আপনার এ বিয়েছে কোনো মত ছিল না। আমারও ছিল না। তবে বিয়ে যখন হয়েছে না চাইলেও সংসার তো করতেই হবে। তাই আমি মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
‘আমার পক্ষে তোমাকে মানিয়ে নিয়ে চলা অসম্ভব!’
‘তবে এটা সবাইকে জানাই নাকি…’
‘কথায় কথায় ব্লাকমেইল করা বন্ধ করো।’ কিছুটা জোরে বলল।
‘ব্লাকমেইল কোথায় করলাম। আমি তো শুধু বললাম।’
‘রাস্ক্যাল টু…’ বিড়বিড় করে বলল প্রিয়ম।
‘এক নাম্বারটা বুঝি আপনার বন্ধু?’
‘তুমি আমার কথা কান পেতে শুনেছো তাই না।?’
‘একদম না। ভেতরে প্রবেশ করতে করতে শুনেছি।’
প্রিয়ম রাগী নিশ্বাস ফেলে বলল,
‘আচ্ছা আমি চেষ্টা করব, যাও।’
‘এই যে, আপনাকে কেউ ফোর্স করছে না বুঝলেন। না চাইলে ঠেঙ্গা।’ ভেংচি কেটে বলে।
‘এটার মানে কি?’
‘সম্মানীয় ব্যক্তিদের ঠেঙ্গা বলা হয়।’
কেন জানি প্রিয়মের মন উল্টো বলছে। তবুও সে আর কিছু বলল না। খাঁচাটি ছোঁ মেরে নিয়ে মিহুকে মুক্ত করে দিলো।
সিয়া বিড়ালটির দিকে আঙুল তাক করে চোখ রাঙিয়ে বলল,
‘ফিরামিয়া আমাকে খাঁমচি দিলে গন্ধযুক্ত বাথরুমে আঁটকে রাখব হু!’
মিহু যেন সিয়ার কথা বুঝতে পেরেছে। মৃদু স্বরে ‘ম্যাও’ উচ্চারণ করে প্রস্থান করে। প্রিয়ম ভ্যাবাচেকা খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সিয়ার এরূপ কথাবার্তা তাকে ভীষণ বিরক্ত করে তুলেছে। প্রিয়ম বেরিয়ে যায়। এমনেতেই মেজাজ তার বিগড়ে আছে। সিয়ার সঙ্গে থেকে আরো বিগড়াতে চায় না।
আজ তাদের বউ ভাত। সিয়াকে জুলি পার্লারে নিয়ে যেতে এলে সে না করে দেয়। ঘরেই নিজ থেকে তৈরী হবে বলে জানায়। মলি গোল্ডেন রঙের একটি লেহেঙ্গা ও কিছু জুয়েলারি দিয়ে যায়। চেহারায় সামান্য মেকআপ করে তৈরী হয়ে নেয়। অনুষ্ঠান বাড়িতেই হবে। ছাদে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। গেস্টরা একে একে আসতে শুরু করেছে। কিছুক্ষণ পর পরই আত্মীয়’রা রুমে এসে সিয়াকে দেখে যাচ্ছে। পার্লারে সাজেনি দেখে অনেকেই কানাখোসা করছে। কিন্তু এতে সিয়ার কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। বারোটার দিকে সিয়ার পরিবার থেকে লোকজন আসে। পরিপূর্ণ অনুষ্ঠান শেষ হবার পর রেওয়াজ অনুযায়ী প্রিয়ম ও সিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় সিয়াদের বাড়িতে। যেতে বেশিক্ষণ সময় লাগে না।
সিয়ার চাচাতো-মামাতো বোনরা প্রিয়মকে নিয়ে পড়ে থাকলেও সিয়া নিজ কক্ষে এসে ড্রেস চেঞ্জ করে গোসল সেরে নেয়। ভারী লেহেঙ্গার কারণে হয়রানি কম হয়নি সারাদিনে। ভেজা চুলে নিয়ে মিষ্টি খেতে খেতে নিচে এসে দেখে প্রিয়ম এত এত শালি-শালার পাল্লায় পড়ে নাজেহাল হয়ে গেছে। প্রিয়মের চেহারা দেখার মতো হয়েছে। সিয়ার সুপ্ত মায়া অনুভব হয়। শেষে সবাইকে ধমকিয়ে ড্রইংরুম খালি করে। প্রিয়ম স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সিয়াকে জিজ্ঞেস করল,
‘তোমার রুম কোথায়?’
‘ডান দিকে।’
‘নিয়ে চলো, আমি ফ্রেশ হবো।’
‘আসুন।’
প্রিয়মকে রুমে নিয়ে আসে। ফ্রেশ হবার পর কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলে তার। সিয়ার রুমেও সরু বারান্দা ছিল। প্রিয়ম সেখানে গিয়ে দাঁড়ায়। তখনই সিয়ার ছোট বোন জিয়া ওদের জন্য পায়েস নিয়ে আসে। সিয়ারা দুই বোন। ভাই নেই ওদের। পায়েস হাতে নিয়ে সিয়া জিয়াকে চলে যেতে বলে। এক বাটি নিয়ে বারান্দায় এসে প্রিয়মকে দেয়। ‘খাব না’ বার্তাটি শুনে সিয়া বাটি হাতে রুমে ফিরে। রাতের আহারের পর সিয়া প্রিয়মকে বিছানায় ঘুমাতে দেয়। অবশ্য এতে কয়েকবার খোঁটাদিয়ে কথাও শুনিয়েছে। সিয়া ওর পাশেই শুয়েছে। তবে সেই গল্প, নাটকের কাহিনীর মতো মাঝখানে বালিশ রাখতে ভুলেনি তারা। লাইট অফ করার পর প্রিয়ম সিয়াকে সে-ই মেয়েটির কথা জানাতে চাইছে। তবে সে দ্বিধাবোধ করছে। বউয়ের কাছে এরূপ কথা বলাটা ভালো দেখায় না। তবে সে অজানা রাখতেও চাইছে না। তাই সরাসরি ভাবে বলে,
‘একটা কথা বলব।’
‘কি ডিভোর্স চান?’
‘একটু বেশি বোঝার অভ্যাসটা ছাড়ো।’
‘তাহলে কি কোনো মেয়ের চক্কর।’
‘হ্যাঁ! তেমনই কিছু।’
‘নাম, ঠিকানা বলুন। আমার ঘটকালি করতে সমস্যা নেই।’ কথাটা বলার সময় সিয়ার একটু খারাপ লাগে। তবে সেটা কিছুতেই প্রিয়মকে বুঝতে দিতে চায় না।
‘আসলে মেয়েটিকে আমি একটা পার্কে দেখেছি।’
‘আগে বলুন?’
‘পুরো চেহারা দেখিনি।’
‘আগে?’
‘হলুদ রঙের শাড়ী পড়েছিল।’
‘আগে?’
‘বিয়ে করবে না বলে কারো সঙ্গে চিল্লাচিল্লি করছিল ফোনে।’
‘আগে?’
‘আমার কথা তুমি সিরিয়াসলি নিচ্ছো না?’
‘নিচ্ছি তো। আপনি কন্টিনিউ করুন।’
‘মেয়েটির অজানতেই একটা ছবি তুলেছি।’
‘দেখান।’
‘তোমাকে দেখাব কেন?’
‘তাহলে ঘুমালাম আমি।’ হা’ই টেনে বলল সিয়া।
‘না, শুনো।’
‘হুম।’
‘আমি তো এখানের তেমন কিছু চিনি না। সেই পার্কের নামটিও আমার জানা নেই। হাঁটতে হাঁটতে সেখানে চলে গিয়েছিলাম। তখন আবার রাত ছিল।’
‘আমাকে সেখানে নিয়ে যেতে পারবেন?’
‘হ্যাঁ! কাল নিয়ে যাব।’
‘সবাইকে বলবেন আমরা ঘুরতে যাচ্ছি।’
‘তাহলে তুমি আমাকে সাহায্য করছো?’
‘বিনিময় কি পাব?’
‘কি চাও?’
‘আপাতত কিছু মাথায় আসছে না। পরে জানাব।’
‘আচ্ছা।’ বলে ওপাশ ফিরে ঘুমাল প্রিয়ম।
সিয়া মুখ বাঁকিয়ে মনে মনে বলছে,
‘নিজের স্বামীকে অন্য একটি মেয়েকে খোঁজার জন্য সাহায্য করছি, কত নাম্বার তালিকায় আছি জানি না। হায় মাবুদ!’
.
সকালে…
‘শুনুন, শুনছেন? উঠুন আমেরিকান গাঁধা।’ লাস্টেরটুকু চিল্লিয়ে বলল সিয়া।
প্রিয়ম ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে তেজি কণ্ঠে বলল,
‘হেই তুমি আমাকে আমেরিকান গাঁধা বলেছো?’
‘সেটাই তো আপনি।’ বিড়বিড় করে বলল সিয়া।
‘কী?’
‘এতবার ডাকছি শুনতে পাচ্ছেন না।’
প্রিয়ম কাঠিন্যে মুখে বলল,
‘ঘুমের ঘোরে ডাকলে কেউ শুনতে পায়।’
‘আমেরিকান গাঁধা পদবী তো ঠিকিই শুনেছেন।’
‘তার মানে তুমি এটা বলেছিলে।’ বুক ফুলিয়ে ক্ষেপে বলল প্রিয়ম।
সিয়া দ্রুত জবাব দিলো,
‘কিয়ারে! আমি তো ঠেঙ্গা বলেছি।’
‘এই শব্দের মধ্যেও নিশ্চয় গড়বড় আছে। দাঁড়াও এখনই গুগল করছি।’ নাকমুখ কুঁচকিয়ে বলল প্রিয়ম। সিয়া দৌঁড়ের পাল্লা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রিয়ম গুগলে সার্চ করে দেখে ঠেঙ্গা মানে লাঠি। তার মানে ওঁকে লাঠি বলে সম্মান করেছে। প্রিয়ম স্লো ভাবে মাথা তুলে ক্ষিপ্ত দৃষ্টি ছুঁড়ে সিয়ার পানে। সে দৃষ্টি সিয়ার কলিজার পানি কেঁড়ে নেওয়ার আগেই দৌঁড়ে পালায়। প্রিয়ম ধরতে গিয়েও ব্যর্থ হয়। এমন উড়নচণ্ডী মেয়ে তার নজরে একটিও পড়েনি। অবশ্য সে থেকেছেই বিদেশে। সেখানে বাংলাদেশি মেয়ে তেমন নেই বললেই চলে।
.
.
.
#চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here