আঁধারিয়া_এক_প্রহর #পর্ব_৩ (অন্তিম পর্ব)

0
883

#আঁধারিয়া_এক_প্রহর
#পর্ব_৩ (অন্তিম পর্ব)
#সুমাইয়া মনি

সিয়া, জিয়া এবং ওর তিন চাচাত বোন দের সঙ্গে নিয়ে গভীর ভাবে পরিকল্পনায় মগ্ন ছিল। পিয়ার হাতে ছিল প্রিয়মের ফোন। সেই ফোন অনুসরণ করে সকলে কিছু একটা বলছে। দশ মিনিট অতিবাহিত হবার পর সেখানে আগমন ঘটে প্রিয়মের। গোল হয়ে ওদের বসে থাকতে দেখে বাঁকা দৃষ্টি ফেলে বলল,
‘কি হচ্ছে এখানে?’
তারা থমথম খেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে প্রিয়মের পানে তাকায়। ওদের চেহারায় কিঞ্চিৎ ভীতি ভাব দেখে প্রিয়ম প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকায়। সিয়া প্রিয়মের ফোন পিছনে লুকিয়ে এগিয়ে এসে বলল,
‘আপনাকেই দেখছিলাম আমরা, তাই না বল।’ বলেই ওদের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দিলো।
সকলে এক সঙ্গে মিলে ‘হ্যাঁ’ বলে উঠে।
‘আমাকে দেখছো বলতে? আর আমার ফোন কোথায়?’ ভ্রুকুটি করে বলল।
সিয়া ওর ফোন আন লক করে গ্যালারিতে এসে একটি গাঁধার ছবি স্ক্রিনে এনে প্রিয়মের দিকে তাক করে ধরে বলল,
‘এই দেখুন। বলছিলাম না আপনাকেই দেখছিলাম আমরা।’
প্রিয়ম চোখ বন্ধ করে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। চিল্লিয়ে ‘সিয়া’ উচ্চারণ করে ধরতে যাওয়ার পূর্বে অন্য দরজা দিয়ে সিয়া বাহিরে চলে আসে। ড্রইংরুমে ইরার হাতে প্রিয়মের ফোনটি দিয়ে জিয়ার রুমে এসে লুকায়। গাঁধার ছবি দেখানোর কথা মনে পড়তেই সিয়া খুব হাসে। জামাই বাজার শেষ হবার পর রান্না ও খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হয়। বিকালের দিকে প্রিয়ম সিয়াকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। সিয়া বোরখা ও হিজাব দ্বারা মুখ ঢেকে এসেছে। এতে প্রিয়ম কিছুটা বিরক্ত হয়। তবে মুখে কিছু বলে না। তারা রমনার বটমূলে এসে নামে। ভাড়া মিটিয়ে সামনের দিকে এগোতেই সিয়া জিজ্ঞেস করল,
‘এটা সেই পার্ক নাকি?’
‘আরে না।’
‘তাহলে এখানে কেন নিয়ে এসেছেন?’
‘এখানে ঘুরি। সন্ধ্যার পর সেই পার্কে যাব।’
‘আচ্ছা।’
‘কি খাবে?’
‘আইসক্রিম খাব।’
‘চলো।’
‘বোরখা না পড়লে হতো না? কারণ তুমি ঠিক মতো হাঁটতে পারছ না।’
‘কোথায়? না তো! আমি হাঁটতে পারছি।’
‘তুমি কমফোর্টেবল ফিল করলে আমার কোনো সমস্যা নেই।’
সিয়া কিছু বলল না। তারা একটি আইসক্রিমের দোকানের সামনে এসে থামে। দু’টি কোণ আইসক্রিম কিনে বেঞ্চে বসে খাচ্ছিল। সিয়া আড়চোখে প্রিয়মের দিকে তাকিয়ে দেখে টিস্যু দ্বারা আইসক্রিম ধরে খাচ্ছে। ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত প্রিয়মকে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে মুগ্ধতায় চোখ বুঁজে এলো সিয়ার। সে মনে মনে বলছে,’কেন যে আমেরিকার গাঁধাটা এত সুন্দর। একটু কম সুন্দর হলে কি বেশি ক্ষতি হতো? আমার কল্পনার চেয়েও সে খুব সুদর্শন যুবক। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া। কিন্তু… ‘ নিমিষেই মনটা খারাপ হয়ে গেল সিয়ার। তবে সে কৃত্রিম হেসে প্রিয়মকে জিজ্ঞেস করল,
‘আচ্ছা মেয়েটিকে পেয়ে গেলে আপনি কি করবেন?’
প্রিয়ম একটু ভেবে জবাব দিলো,
‘বিয়ের প্রপোজাল দিবো।’
‘আর?’
‘রাজি থাকলে বিয়ে করে নিবো।’
‘আর?’
‘আর তুমি তো আমাকে পছন্দ করো না। তাই কাবিনের সব টাকা দিয়ে ডিভোর্স দিলে আপত্তি আছে তোমার?’
কথাটি কর্ণকুহরে পৌঁছাতে বুকে মোচড় দিয়ে উঠল তার। খাওয়া বন্ধ করে প্রিয়মের দিকে তাকাল। তবে সেটি বুঝতে দেয় না। বলল,
‘একদম না।’
‘যাক তাহলে ভালো।’ বলে খেতে আরম্ভ করল প্রিয়ম।
সিয়ার খাওয়া বন্ধ। হৃদয়ে যেন বিষে বিষিয়ে গেছে প্রিয়মের বলা বাক্য গুলো শুনে। টুকটাক কথা বলার পর আরো বেশকিছুক্ষণ সময় ব্যয় করে। সিয়ার মন কিছুটা খারাপ থাকায় ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে বাকি কথা বলে সময় টুকু পার করে। মাগরিবের আজান পড়ে। অন্ধকার হয়ে আসছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জনশূন্য হয়ে আসে বটমূল। পুরো অন্ধকার হবার পর প্রিয়ম সিয়াকে সেই পার্কে নিয়ে আসে। সিয়া প্রিয়মকে আশ্বাস দিয়ে বলল,
‘আপনি সেই বেঞ্চটিতে গিয়ে বসুন।’
‘বসলাম, কিন্তু আজকে কি আসবে মেয়েটি?’
‘দেখা যাক। অপেক্ষা করতে ক্ষতি কী?’
‘আচ্ছা, তুমি কোথায় দাঁড়াবে?’
‘আমি সামনের বেঞ্চেই আছি। আপনি অপেক্ষা করুন।’
‘ঠিক আছে, তবে বেশি দূরে যেও না।’
সিয়া চলে যায়। প্রিয়ম অচেনা তরুণীর জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে। ঠিক সেই সময়ে মিনের কল আসে। কেঁটে না দিকে প্রিয়ম কল রিসিভ করে। মিনকে জানাতে চায় পুরো ব্যাপারটি। দু’জনের মাঝে কথপোকথন হয়। হঠাৎ প্রিয়ম নুপুরের আওয়াজ শুনতে পায়। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই স্তব্ধ হয়ে উঠে দাঁড়ায়। আনমনে ফোন কেঁটে এগিয়ে যেতে আরম্ভ করে সামনের দিকে। সেদিনের সেই অচেনা মেয়েটির দেখা সে পেয়েছে। বেঞ্চে বসে পা নাচিয়ে উল্টোদিকে মুখ করে ফোনে কথা বলছিল। যার দরুন নুপুরের রিনিকঝিনিক আওয়াজ হচ্ছে। প্রিয়ম মেয়েটির নিকটে এগিয়ে আসে। দ্বিধাবোধ ফেলে জিজ্ঞেস করে,
‘তোমার নাম কী জানতে পারি?’
মেয়েটি প্রিয়মের কথায় কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাল না। ফোন কানে ধরে সেভাবেই বসে রইলো। প্রিয়মের আগ্রহ আরো বেড়ে গেলো। সংশয় কাঁটিয়ে বলল,
‘ছয় তারিখের রাতে আমি তোমাকে এখানে প্রথম দেখেছিলাম। একটুর জন্য তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি। এক সপ্তাহ যাবত এই সময়ে অপেক্ষা করেছি, কিন্তু তোমার দেখা মিলেনি। আজ তোমায় পেয়ে আমি সত্যি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছি।’
মেয়েটি এবারও নিরুত্তরে শুনে যায় প্রিয়মের কথা। প্রিয়ম বিভ্রম নিয়ে পুনরায় শুধালো,
‘আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।’
মেয়েটি দ্রুত বেগে উঠে দাঁড়ায়। পা আগে বাড়াতেই প্রিয়ম চট জলদি বলল,
‘উত্তর না দিয়ে চলে যাচ্ছো?’
মেয়েটি পদ থামিয়ে দ্রুত ফিরে তাকিয়ে কাঠিন্য বাক্যে শুধালো,
‘একজন বাঙালি মেয়ের একবারই বিয়ে হওয়া উচিত, দু তিন বার নয়।’
প্রিয়ম হতবাক মেয়েটির চেহারা দেখে। আঁখিযুগল পাতা ফেলতে ভুলে গিয়েছে বোধহয়। আঁধারিয়া এই প্রহরটি যেন এখানেই থমকে যাক। হতবিহ্বল চোখমুখ নিয়ে চাপা স্বরে শুধালো,
‘সিয়া তুমি?’
‘আমি! জানি অন্য মেয়েকে এখানে আশা করেছেন। কিন্তু সেদিনের সেই মেয়েটি যে আমিই ছিলাম।’ অকপট স্বীকারোক্তি সিয়ার।
প্রিয়ম অবাক হয়ে বলল,
‘আগে বললে না কেন?’
‘বললে কি হতো? আপনি আমাকে ভালোবাসার কথা বলতেন? নাকি তখনো বিয়ের কথাই বলতেন?’
প্রিয়ম নিরুত্তর থেকে শূন্য চোখে তাকিয়ে রয়। সিয়া স্মিত হেসে বলল,
‘কাল রাতে পার্কের কথা বলাতে আমি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু সকালে মনে পড়ায় পুনরাবৃত্তি ভাবার পর মনে সন্দেহ জাগে। ইরাকে দিয়ে বাহানায় আপনার ফোন নেই। গ্যালারিতে গিয়ে আমার ছবি দেখে কনফার্ম হই সেই মেয়েটি আমি। আমি যাকে বিয়ে করব না বলে, বরপক্ষরা চলে যাওয়ার পর পালিয়ে পার্কে এসে বসে আছি, আর এখানে সেই হবু বরই বসে আমাকে দেখেছে। কি অদ্ভুত তাই না! বোনদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে আপনার সাথে বোরখা পড়ে বের হই। যাতে আড়াল হলে আপনার সামনে সেই সাজে উপস্থিত হতে পারি। এবার আসি মূল কথায়৷ আপনি আমাকে ডিভোর্স দিন আপত্তি নেই আমার। আপনার ভালোর জন্য ডিভোর্স দিতে প্রস্তুত আছি।’
পুরো কথা সম্পূর্ণ করে প্রতিউত্তরে আশায় তাকিয়ে রয় সিয়া প্রিয়মের দিকে। প্রিয়ম নজর নামিয়ে নেয়। তার এই মুহূর্তে কি করা বা বলা উচিত বোধগম্য নয়। তার ভাবনায় পরিবর্তন ঘটেছে। একটু নয়, বেশখানিকটা পরিবর্তন!
সিয়া প্রিয়মের নিরুত্তেজ মুখশ্রী দেখে মন্হর গলায় বলল,
‘যা বলার বাসায় গিয়ে বলবেন। এখন চলেন এখান থেকে।’
বলে ফিরতে নিলে হাতে টান অনুভব করে সিয়া। ঘুরে তাকাতেই কপালে চিকন ভাঁজ পড়ে। প্রিয়ম তার হাত ধরে আঁটকেছে। ঠোঁটে বাঁকা হাসি ফুটিয়ে একটু টেনে কাছে এনে বলল,
‘কোথায় চললে আঁধারিয়া প্রেয়সী? বাকিটুকু শুনবে না?’
আঁধারিয়া প্রেয়সী বলে সম্বোধন করাতে সিয়ার কপালের ভাঁজ গাঢ় হয়। তির্যক ভাবে তাকায়। বলল,
‘বাকিটুকু বলতে?’
প্রিয়ম হাত ছেড়ে ঘাড়ে হাত বুলায়। আড়মোড়া ভাঙার ভঙ্গিমায় বলল,
‘আমি জানতাম সেই মেয়েটি তুমি!’
‘কীভাবে?’ চট জলদি ভ্রুকুটি করে প্রশ্ন ছুঁড়ে।
‘তোমার আলমারি খোলার সময় হলুদ রঙের শাড়ীটা দেখতে পাই। তুমি রুম থেকে বের হবার পর কৌতূহল মেটাতে আলমারি খুলে শাড়ীটা বের করে দেখি এটি সেই শাড়ী ছিল। সঙ্গে ছিল গোলাপি রঙের ব্লাউজ। সেদিনের সেই স্কুটারটি ছিল স্নেহার। যেটা আজ সকালে চালিয়ে তোমাদের বাড়িতে এসেছে। সেদিন রাতে স্কুটারের নাম্বার নোট না করতে পারলেও, কালার আমার ঠিক মনে আছে। আমি বুঝতে পারি তুমিই সেই মেয়েটি। স্নেহাকে আড়ালে ডেকে জিজ্ঞেস করার পর তোমার কথা বলে দেয়। আমিও বিষয়টি স্নেহাকে খুলে বলি, সঙ্গে গোপন রাখার নির্দেশ দেই। স্নেহা বিষয়টি গোপন রাখে। ড্রইংরুমে তোমরা যখন পরিকল্পনা আঁকছিলে সেটা বুঝতে পারি। বটমূলে হাঁটার সময় বোরখার নিচে তোমার শাড়ীর পাইড় দেখে অগোচরে হেসে ফেলি। আর কিছু বলতে হবে বলে মনে হচ্ছে না আমার।’ বলতে বলতে মুচকি হাসে প্রিয়ম। সিয়া থতমত খেয়ে তাকিয়ে রয়। তার থেকে এক ধাপ এগিয়ে আছে প্রিয়ম। তৎক্ষনাৎ মাথা কিছুটা নুইয়ে পরক্ষণেই তুলে বলল,
‘আপনার আমার মাঝে তফাৎ অনেক বেশি। আমি….’
‘স্টপ! আমাকে বলতে দেও সিয়া।’ জোরপূর্বক ভাবে থামিয়ে দেয় প্রিয়ম। সরু নিশ্বাস টেনে বলল,
‘বাসর ঘরে তোমাকে দেখে আমার ভালো লেগেছে। কেন জানো? তোমার মধ্যে দুষ্টু-মিষ্টি মিশ্রিত স্বভাব আমাকে তোমার প্রতি আকৃষ্ট করতে বাঁধ্য করেছে। তোমার আচরণ আমাকে বিমোহিত করেছে। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম তোমাকে আমার করার আগে একটু বাজিয়ে নেই। তাই সেদিন রাতে সেই মেয়েটির কথা বললাম। কিন্তু তোমার প্রতিক্রিয়ায়, সরাসরি রাজি হওয়ার দরুন বুঝলাম তুমি আমাকে পছন্দ করো না। শাড়ী দেখার পূর্বে ও স্নেহার সঙ্গে কথা বলার আগেই আমি তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম যে পার্কে যাব না। কেননা আমি তো তোমার মুগ্ধতায় পরিপূর্ণ ভাবে আঁটকে গেছি। এখন সেই মেয়েটির প্রতি ভালোবাসার অনুভূতিটা ফিকে হয়ে পড়েছে। তবে তুমি সেই মেয়েটি ভাবতেই আমার ফিকে হওয়া ভালোবাসা আরো তিনগুণ বেশি বেড়ে যায়।’ প্রিয়ম থামলো। বড়ো দীর্ঘশ্বাস টেনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আবার বলল,
‘আকাশে চাঁদ বিহীন আঁধারিয়া এক প্রহরে তোমার দেখা পেয়েছি! অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছি। তুমি আমার জীবনে এক চিতলে আঁধারিয়ার প্রণয় নিয়ে উপস্থিত হয়েছো। সব অন্ধকার অভিশপ্ত হয় না, কিছু অন্ধকার মধুর হয়।
তাই যত্ন করে নাম দিয়েছি তোমায় আঁধারিয়া প্রেয়সী! হবে কী তুমি আমার পুরোপুরি অর্ধাঙ্গিনী?’ লাস্টেরটুকু বলে ডান হাত বাড়িয়ে দিলো সিয়ার নিকট। স্তম্ভিত নজরে তাকিয়ে সিয়া প্রিয়মকে দেখতে ব্যস্ত! প্রিয়মের চোখ ও হাতের দিকে তাকিয়ে নম্র দৃষ্টি ফেলে। প্রিয়ম বিনয়ী নজর তাকিয়ে আছে। সে দুর্বোধ্য চোখে যেন আকুল ভালোবাসার আবেদন। তাকে টানছে মুহূর্তে! সর্বত্র দ্বিধাবোধ ছুঁড়ে ফেলে সিয়া হাত রাখে প্রিয়মের বিশ্বস্ত হাতের মাঝে। প্রেয়সীকে কাছে টেনে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে নেয়। মিল হয় দু’টি পবিত্র আত্মার। আজ আকাশে পুর্ণিমার চাঁদ। ফকফকা আলো সর্বত্র ছড়িয়ে আছে, ছড়িয়ে পড়েছে তাদের ঊর্ধ্বে। প্রণয়ের সূচনা আঁধারিয়া এক প্রহরে হলেও শেষ হয় দ্বিতীয় পূর্ণিমাময় রাতে। অদ্ভুত বিষয়! চাঁদের আলোয় নর-নারী’র দু’টি ছায়ার বদলে একটি ছায়া রাস্তায় দেখা যাচ্ছে।

(সমাপ্ত)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here