#আমি_তোমাতে_বিলীন
#সূচনা_পর্ব
#সুমাইয়া মনি
১.
পালানোর জন্য, সাবধানতা অবলম্বন করে খুব যত্নসহকারে আম্মুর লাল বেনারসি শাড়িটি বেলকনির গ্রিলের সঙ্গে বাঁধছে মনি। বিয়ে না করার জন্য নয়, পিকনিকে যাবার জন্য মনি পালাচ্ছে। আব্বু কঁড়া নিষেধ দিয়েছিল পিকনিকে না যাওয়ার। মনি উপেক্ষা করে তার নিষেধাজ্ঞা। যার দরুন মনিকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। গুন গুন করে মুখে গান তুলছে,’আজ ফাগুনি পূর্ণিমা রাতে, চল পালাইয়া যাই, আরে চল চল..’ গানের বাকি অংশটুকু জানে না। তাই শেষে চল চল জুড়ে দিলো।
বাঁধা শেষ। জুতো দু তলা দিয়ে নিচে ছুঁড়ে দেয়। কাঁধে ব্যাগ চেপে ধীরেধীরে শাড়ি বেয়ে নামতে লাগলো। পরনে শার্ট-প্যান্ট, শার্টের ওপরে ব্লু রঙের কোটি। নিচে নেমে মেইন গেটের নিকটে এলো। দারোয়ান চেয়ারের সঙ্গে হেলান দিয়ে নাক টেনে ঘুমোচ্ছে। তার কাছ থেকে চাবি নিয়ে গেইট খুলে আবার ঠিক একই স্থানে রেখে দিল। গেট থেকে বের হবার আগে দারোয়ানের পকেটে রাখা সিগারেট প্যাকেটটা নিয়ে নেয়। তারপর গেটের বাহিরে বের হয়ে খিঁচে দৌঁড়াতে লাগলো। তাদের গলি থেকে বেরিয়ে মেইন রাস্তায় এসে থামে মনি। জোরে জোরে নিশ্বাস নিয়ে ডানে-বামে তাকায়। রাগে মুখ ঘুচে আসে তার। বিড়বিড় করে নিলমকে গালাগালি করতে করতে পকেট থেকে ফোন বের করে কল দেয়। নিলম তখন গাড়ি ড্রাইভ করছিল। মনির কল পেয়ে গাড়ি পাশে থামিয়ে ফোন পীক করে। হ্যালো বলার পূর্বেই মনির এক নিশ্বাসে ক্রোধ কণ্ঠে বলল,
‘আ’ধ’ম’রা’র বা’চ্চা কোথায় গিয়ে ম’রে রইলি। তোর না গাড়ি নিয়ে আমাদের মেইন রাস্তায় আসার কথা।’
‘দম নে মনি, আমি এক্ষুনি আসতেছি।’
‘তুততুরি! নয়তো তুই আ’ধ’ম’রা..!’ বাকিটুকু না বলে ফোন রেখে দেয়। নিলম ফোন রেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দ্রুত গাড়ি চালায়৷ পিছনের সিটে ওর আরো তিন জন মেয়ে ফ্রেন্ড বসেছিল। তারাও তাড়া দিচ্ছে দ্রুত গাড়ি চালানোর।
কিছুক্ষণ বাদে নিলম গাড়ি নিয়ে হাজির হয়। মনি গমগমে গলায় নিলমের গুষ্টি উদ্ধার করে নিলমের পাশের সিটে উঠে বসে। তিন বান্ধবী মিলে মনিকে শান্ত করায়। তমা জিজ্ঞেস করে,
‘রাগছিস কেন? একটু দেরি হয়েছে তাতে কি এমন ক্ষতি হলো শুনি?’
মিনা খেঁকিয়ে বলল,
‘খালি আজাইরা রাগ দেখায়।’
‘যেটা লাগে না কোনো কাজেও।’ লাস্টের কথা মুখ বেঁকিয়ে বলল তারানা।
মনি পিছনে ফিরে তিনজনের দিকে তীক্ষ্ণ নজর বুলিয়ে বলল,
‘কিচ্ছু বলব না তো। আগে যাই….’ পুরো কথা শেষ করার পূর্বেই নিলম গাড়ি জোরে ব্রেক কষে ক্ষীণস্বরে বলল,
‘কিন্তু আমি বলব।’
চার বান্ধবী দৃষ্টি নিবদ্ধ করে নিলমের দিকে। মনি জিজ্ঞেস করে,
‘বল?’
‘ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলাম, তোদের সঙ্গে আমি যাব না। গেলে বড়ো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে আমার। নাম তোরা গাড়ি থেকে। অন্য গাড়ি করে তোরা সাজেকে যাহ!’
মনি পকেট থেকে ফোনটা বের করে বান্ধবীদের উদ্দেশ্যে বলল,
‘ও যখন যেতে চাইছে না তাহলে নেমে পড় তোরা। আর আমি ভিডিও টা সেন্ড করি তোর গার্লফ্রেন্ড আর আঙ্কেলের ফোনে।’
চোখমুখ ঘুচে এলো নিলমের। ফাঁটা বাঁশের চিপার চেয়েও আরো ছোট্ট এক চিপাতে সে এই মুহূর্তে আঁটকে আছে। মনি গাড়ি থেকে নামতে নিলে নিলম হাত ধরে ফেলে। ফিক করে হেসে দিয়ে বলল,
‘আরে আমি তো মজা করছিলাম। তোরা সিরিয়াস নিচ্ছিস কেন। সাজেক পিকনিকে যাব। অনেক মজা করবো।’ কান্না ফেইস বানিয়ে বলল নিলম। এই মুহূর্তে ওর প্রচুর কাঁদতে ইচ্ছে করছে। ওদের মতো যে ফ্রেন্ড পাবে, তার কপালে শনিরদশা সব সময় লেগে থাকবে। ইশ! সেদিন কেন যে মিহিতা নামের মেয়েটার হাত ধরতে গেল। মনি গোপনে ভিডিও করে নিলমের জীবন বাঁশপাতা করে দিয়েছে। কথা গুলো ভেবে মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে রেখেছে নিলম। মনি নিলমের কাঁধে হাত রেখে বলল,
‘দোস্ত গাড়িটা এবার চালা। নয়তো আমি ভিডিও চালিয়ে দেবো।’
‘দিচ্ছি মানে চালাচ্ছি!’ ধমকের গলায় বলল নিলম।
মনি পিছনে ফিরে বান্ধবীদের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দিলো। ওরা হেসে দেয় মনির চোখ টিপ দেখে।
যাত্রাপথ শুরু হয় তাদের। সঙ্গে তাদের টুকটাক কথপোকথন। সবার পরিবার থেকে পিকনিকে যাবার পারমিশন দিলেও। মনিকে যাওয়ার পারমিশন দেয়নি ওর আব্বু-আম্মু। তাই রাতের বেলায় পালিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের। আশেপাশে গাড়ির চলাচল কম বললেই চলে। মধ্যরাত্রী চলছে। ওদের চেয়ে মনি বেশি বকবক করছে। একাই মাতিয়ে রেখেছে সকলকে। নবম শ্রেণি থেকে অনার্স পর্যন্ত এক সঙ্গে আছে তারা পাঁচজন। একই ভার্সিটিতে পড়ছে তারা। খুব গভীর বন্ধুত্ব তাদের মধ্যে। ফেব্রুয়ারীর শেষের দিকে তারা প্লান করে পিকনিকে যাওয়ার। নিলম রাজি ছিল না। তাকে ব্লাকমেইল করে রাজি করিয়েছে মনি সহ বাকি তিন বান্ধবী। ব্যস! রওয়ানা হয় পরের দিন রাতেই। উদ্দেশ্য সাজেক পিকনিকে যাবে। রাত যত গভীর হতে থাকে। পৈশাচিক হয়ে উঠে রাস্তাপথ। নিলম মাঝারি গতিবেগে গাড়ি চালাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সকাল আটটার দিকে পৌঁছাতে পারবে কি-না সন্দেহ। তবে গাড়ির গতিবেগ বাড়ানোর সাহসে কুলচ্ছে না। মনি সহ ওরা তিনজন ঘুমিয়ে গেছে। ওদের ঘুম দেখে নিলমেরও ঘুম পেতে শুরু করে। মনে মনে ক্ষোভ জন্মে। বুদ্ধি করে হিরো আলমের গান ছাড়ে ফুল ভলিউমে। চার বান্ধবী চার হাত-পায়ে লাফিয়ে উঠে। নিলম হাসতে হাসতে বেহুশ! নিলমের হাসি দেখে পিছন থেকে সামনে থেকে কিল-ঘুষি দিতে থাকে ওরা চারজন। নিলম মজা করে বলল,
‘আরেকটু জোরে দে তোরা। শরীরের মেজর মেজর ভাব কেঁটে যাবে।’
‘সর! হারামি।’ তমা বলল।
আরো কিছু গালি ঝেড়ে ঘুমাতে থাকে ওরা। নিলম লোকেশন দেখে নেয়। তারপর গাড়ি ফুল স্পিডে চালাতে শুরু করে।
আটটা নাগাদ তারা পৌঁছে যায় সাজেক। তারানা আগে থেকেই একটা ডবল রুম, আরেকটা সিঙ্গেল রুম বুক করে রেখেছিল। তাই রুম নিয়ে সংকটে ভুগতে হয় না তাদের। ওরা তিন তলায় অবস্থান করছে।
______
অন্যপ্রান্তে মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছে শুনে প্রচণ্ড ভাবে ক্ষেপে আছেন মোফাজ্জল হোসেন। মনি একটি চিঠি লিখে গেছে। সেটা হাতে নিয়ে ক্ষোভিত মুখে বসে আছেন জাহানুর বেগম। যতটা না মেয়ে পালিয়ে পিকনিকে গেছে এতে রাগ হচ্ছে, তার চেয়ে দ্বিগুণ বেশি চিঠি পড়ে তার রাগ হচ্ছে। তার বিয়ের প্রিয় বেনারসি শাড়ির দফারফা করে ফেলেছে।
চিঠিতে লিখা ছিল,
‘শুনো আব্বু সঙ্গে আম্মু। আমি পিকনিকে গেলাম। আসবো কবে জানিনা। যাওয়ার পারমিশন পেলাম না। তাই চুরি করে যেতে হলো। ও কিছু মনে কোরো না। আমি শীঘ্রই ফিরে আসবো। আর আম্মুজান। তোমার ওপরে রাগ ছিল। কেননা তুমি শুধু আমার বিয়ে নিয়ে আব্বু মাথা চিবিয়ে খাও। তাই তোমার ওপরে জমে থাকা জেদ, তোমার প্রিয় বেনারসি শাড়ির ওপর দিয়ে উঠালাম। কান্নাকাটি কইরো না। কথা দিচ্ছি আমার বিয়ের বেনারসি শাড়ি তোমাকে দিয়ে দিবো । যাই হোক, অনেক কিছু লিখেছি। এতকিছু যদি পরিক্ষার খাতায় লিখতাম তবে গোল্ড মডেল(মেডেল) নিয়ে আসতাম। আমাকে খুঁজে গাড়ির তেল ও জুতোর তলা ক্ষয় করতে হবে না। এমনেতেও তেলের দাম বেড়েছে। ভালো থেকো। আর শোনো, আব্বুর মানিব্যাগ থেকে এক টাকাও নি নাই, শুধু দশ হাজার টাকা ছাড়া। মিদুলরে বইলো আসার আগে ওর সব চকলেট খেয়ে ফেলেছি। আর আব্বুর মাথা এ কয়দিন কম খেও ডিয়ার মাদার বাংলাদেশ। ইতি তোমার একমাত্র ভদ্র কন্যা মনি!’
রাগে গা কাঁপার উপক্রম হয়েছে জাহানুর বেগমের। যাওয়ার আগে ছোট ভাইটার চকলেটও গিলেছে সঙ্গে টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে। এমন উড়নচণ্ডী মেয়ে আর কোথাও আছে কি-না খোঁজ লাগাবেন তিনি। নিজেকে ভদ্র বলে সম্মোধন করেছে দেখে কয়েকটা মুখ ভেংচি দেন তিনি। এ যাবত কয়েক বার মেয়ের নাম্বারে কল দিয়েছে মোফাজ্জল হোসেন। কিন্তু মনি ফোন ধরছে না। শেষে রেগেমেগে দারোয়ানকে বকাঝকা করতে আরম্ভ করে।
‘ওঁকে বকছো কেন? তোমার বাঁদর মেয়ে যাওয়ার আগে ওর এক প্যাকেট সিগারেট ছিল সেটাও সঙ্গে নিয়ে গেছে। বেচারা এখন সারা সপ্তাহ খাবে কি?’
স্ত্রীর এরূপ কথা শুনে ক্রোধান্বিত চোখে দারোয়ানের দিকে তাকাল। বলল,
‘সত্যি নাকি নাজিম?’
‘হয় স্যার সত্য কইছে মেডামে। ছোট মেডামে আমার সিগারেট সঙ্গে নিয়া গেছে।’
এবার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন,
‘তুমি কীভাবে জানলে?’
‘তোমার মেয়ে চিঠির অপর পিঠে একটি সিগারেট এঁকে রেখেছিল। দেখা নি সেটা? জানোই তো তোমার মেয়ে অর্ধেক কথা বলতে পছন্দ করে।’
মোফাজ্জল হোসেন কিছুটা হতাশ হলেন। ছোট থেকে মেয়ের জ্বালাতনে অতিষ্ট। ভেবেছিল বড়ো হলে স্বভাব কিছুটা পরিবর্তনে আসবে। কিন্তু তা আর হলো কই! একই রয়ে গেছে মেয়ের স্বভাব চরিত্র। দেখতে রূপবতী হলেও গুণাবলি শূন্যের কোঠায়। আর বিষেশ করে অর্ধেক কথা বলার অভ্যাস! যেটা সবাইকে বিরক্ত করে তুলে। তিনি আপাতত মেয়ের কথা পাশে ফেলে অফিসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। তবে সে এবার মেয়েকে চরম শিক্ষা দেওয়ার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।
শুধু ফিরে আসুক একবার।
___
এগারোটার দিকে…
মনি জানালা নিয়ে দারোয়ানের সিগারেটের প্যাকেটটি ফেলে দিলো। কাপড়চোপড় বের করতে করতে তারানাকে জিজ্ঞেস করল,
‘তেরেনা নিলম এখনো উঠেনি রে?’
‘তারানা আমি! তেরেনা না।’ খেঁকিয়ে বলল তারানা।
‘তারপর বল?’
‘জানি না।’ চেঁচিয়ে বলল।
‘মিনারাজু তুই জানিস কিছু?’
‘শুধু মিনা বল, রাজু না!’ মিনা দাঁতে দাঁত চেপে বলল।
‘জ…’ বাকিটুকু বলতে না দিয়ে তমা বলল,
‘তুই নিজে গিয়ে দেখ না নিলম ঘুম থেকে উঠেছে কি-না।’
‘রুম নাম্বার?’ মনি জিজ্ঞেস করল।
’96.’ তারানা বলল।
‘আ…’ উচ্চারণ করে দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো মনি।
তমা কোমড়ে হাত রেখে বলল,
‘কত্তবড় অলস দেখেছিস। আচ্ছা শব্দটিও পুরো উচ্চারণ করল না।’
‘ছাড়’তো। ওর খবর নতুন জানিস তুই। মনি একটা ফাজিলের ডিব্বা।’ বিড়বিড় করে লাস্টের অংশ আওড়ালো মিনা।
‘এই এক মিনিট! তুই মনিকে রুম নাম্বার কত বলেছিস?’ তমা তারানাকে জিজ্ঞেস করল।
’96.’
‘আরে গাঁধা, 96 নয় 69 নিলমের রুম নাম্বার।’
‘পালা…. মনি দাঁড়া বোইন।’ বলতে বলতে রুম থেকে এক প্রকার দৌঁড়ে বেরিয়ে যায় তমা। পিছনে পিছনে মিনা ও তারানা ছুঁটে।
মনি গুনগুন করে গান গাইতে নিলমের রুমের দিকে অগ্রসর হলো। নিলমের রুমের নিকটে এসে দরজায় হাত রাখতেই খুলে যায়। ভেতরে প্রবেশ করে দরজা সেভাবেই খোলা ছেড়ে দেয়। পাতলা কম্বল জড়িয়ে উপুড় হয়ে নিলমকে আরাম করে ঘুমোতে দেখে মনি। মাথায় এক বান্ডিল দুষ্টু বুদ্ধি নাচানাচি করছে। ছোট্ট রেফ্রিজার থেকে বরফ কুঁচি গুলো বের করল। নিলমের মাথা অন্য দিকে ঘুরানো ছিল। আস্তেধীরে কম্বল পিঠের ওপর থেকে সরিয়ে দেখল নিলম খালি গায়ে ফুলপ্যান্ট পরিধান করে শুয়ে আছে। মুখ টিপে হেসে বরফ কুঁচি গুলো সব পিঠের ওপর ধপ করে ফেললো।
সেকেন্ড কয়েক অতিবাহিত হবার পর পরই নাগিন ডান্স দিয়ে এঁকেবেঁকে উঠলো সে। মনি নজর সরিয়ে হাসতে হাসতে অজ্ঞান হবার জোগাড়। হঠাৎ অচেনা যুবকের তেঁজী কণ্ঠে ‘হোয়াট আর ইউ ডুইং?’ বাক্যাগুলো মনির কর্নপাত হতেই হাসি থেমে গেল। অচেনা যুবকের দিকে তাকিয়ে চোখের মণি কোঠা থেকে বেরিয়ে আসার উপক্রম তার। যুবকের মুখশ্রী রাগে রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। এত শীতের মধ্যে এমন মশকরা কেউ পছন্দ করবে না। হোক সে আপনজন। তার ওপর অচেনা একটি যুবক! নিঃশব্দহীন মনিকে বিস্মিত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে যুবকটি কপালের রগ ফুলিয়ে ক্রুদ্ধ কণ্ঠে ধমক দিয়ে বলল,
‘হোয়াট?’
মনি ঈষৎ কেঁপে উঠে কাঁপা কাঁপা স্বরে বলল,
‘মি..মিস্টেকের কাজিন আমি..।’ বলেই এদিক সেদিন না তাকিয়ে দৌঁড়!
.
.
.
#চলবে?