রাজকুমারী_নীনা(ভৌতিক_গল্প) #পর্ব_০৫

0
637

#রাজকুমারী_নীনা(ভৌতিক_গল্প)
#পর্ব_০৫
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ

হঠাৎ করেই ছায়াটি তাদের সামনে এসে দাড়ালো ঠিক এক হাত সামনে। এনা আর তৌশিকের ভয়ে পুরো শরীর কাঁপছে। এখন স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে মেয়েটিকে কি ভয়ানক দেখাচ্ছে।

পুরো শরীর ঝলসে গেছে। কেমন পঁচা গন্ধ আসছে শরীর থেকে। চোখ দুটি বেরিয়ে আসবে মনে হচ্ছে।
ডান হাতের দুটো আঙুল নেই ওইখান থেকে রক্ত ঝরছে। মাথার মগজ বেরিয়ে আছে।কি ভয়ানক লাগছে।

এনার বুকে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়েছে এইসব দেখে। তৌশিক এনাকে বুকের মাঝে শক্ত করে ধরে নিজে ও ভয়ে কাঁপছে।
এনা আর তৌশিকের এই অবস্থা দেখে মেয়েটি জোরে জোরে হাসতে থাকে।

তৌশিকের থেকে এনাকে চিনিয়ে নিয়ে এনার গলা টিপে ধরে। এনার দম আটকে যাচ্ছে। খুব কষ্ট হচ্ছে মনে হচ্ছে এই বুঝি শেষ দিন।মেয়েটি এনার গলা টিপে ধরে জোরে দেয়ালে ছুড়ে মারে।এনা দেয়ালের সাথে বারি খেয়ে সাথে সাথে জ্ঞান হারায়।
মাথা ফেটে রক্ত পরছে।

তৌশিক দৌড়ে এনার কাছে গেল।
তৌশিকঃ এনা এনা এই কলিজা চোখ খুলো তোমার কিছু হতে পারে না।
তৌশিক এনাকে নিজের সাথে জড়িয়ে কান্না করছে।

ঠিক সেই সময় মেয়েটির হাত লম্বা হয়ে গেল। মেয়েটি আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে ওইখান থেকে তার বাম হাতটাকে বড় করে তৌশিকের গলা টিপে ধরে ওপরে ওঠালো।তৌশিকের শ্বাস আটকে যাচ্ছে। এনার মতো তাকে ও ছুড়ে মারলো।মাথা ফেটে রক্ত পরছে। তৌশিক জ্ঞান হারায়।

মেয়েটি বিকট শব্দ করে হেসে হেসে বললো……..

আর মাএ ছয় জন বলি হবে। তারপর তোদের রক্ত দিয়ে আমার মায়ের দেহ গোসল করামু।তারপর আমার মায়ের আত্মা জেগে ওঠবে।হা হা হা।কিছুই করতে পারবি না তুই নীনা।বাচাঁতে পারবি তো এই ছয়জন কে। হা হা হা।তুই তো বন্দী হয়ে আছিস কিভাবে পারবি।

আর না তোকে কেউ বন্দী থেকে মুক্তি দিতে পারবে।একমাত্র রাজবংশের লোক ছাড়া কেউ তোকে মুক্তি দিতে পারবে না।
এইসব বলে মেয়েটি তৌশিক আর এনাকে টেনে একটা রুমে নিয়ে বন্দী করে রাখলো।

দক্ষিণ দিকে………

রিদীমা আর জয় ঘুরে ঘুুরে দেখছে সবকিছু। হঠাৎ করে ওদের মনে হলো ওদের পিছনে কেউ আছে।
দুজনেই পিছনে তাকালো কিন্তু কিছুই দেখতে পেলো না।
রিদীমার ভয় লাগতে শুরু করলো। মনে হচ্ছে খারাপ কিছু হতে চলেছে।

রিদীমা জয়ের বাম হাতটা শক্ত করে আঁকড়ে ধরে।
জয়ঃ রিদীমা আমার মনে হচ্ছে কেউ আমাদের পিছনে আছে।
রিদীমাঃ আমারও তাই মনে হচ্ছে জয়।ভীষন ভয় লাগছে। খারাপ কিছু হবে না তো।
জয়ঃ কিছু হবে না সবকিছু
নিরব তো তাই আমাদের এমন মনে হচ্ছে।

হঠাৎ তারা তাদের সামনে কাউকে দেখতে পেলো।

জয়ঃ তুমি কি সামনে কাউকে দেখলে রিদীমা।আমি একজন বৃদ্ধ মহিলাকে দেখলাম।
রিদীমাঃ আ..আমিও দেখেছি। ওই দেয়ালটার পাশে মহিলাটির ছায়া দেখা যাচ্ছে দেখ।

জয়ঃ হ্যাঁ। চল গিয়ে দেখি।
রিদীমাঃ না না আমরা যাব না।চল এখান থেকে। বেশি সুবিধার মনে হচ্ছে না। যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে।
জয়ঃ হ্যাঁ। চলো।

তারা দুজন চলে যাবে ঠিক তখনই পিছন থেকে একটি মহিলার কন্ঠ বলে ওঠে….
‘কোথায় যাচ্ছো বাচারা”।
তারা পিছনে না তাকিয়ে দুজন দুজনের হাত ধরে প্রাণপনে দৌড়াচ্ছে।
কিন্তু বেশিক্ষণ দৌড়ঁ টিকলো না।

বৃদ্ধ মহিলাটিকে তাদের সামনে দেখে অটোমেটিক দৌড়ঁ থেমে গেল। কি ভয়ানক দেখাচ্ছে মহিলাটিকে মনে হচ্ছে একশ পঞ্চাশ বছরের বুড়ি। গায়ের চামড়া গুলো ঝলসে গেছে। খুব বাজে দেখাচ্ছে। শরীরের পশম দাঁড়িয়ে গেছে ভয়ে।

হুট করেই মহিলাটি বিশাল ভয়ানক এক রাক্ষসিতে পরিনত হলো।ওদের দুজনকে ওপরে উঠিয়ে আচাড় মারলো।দুজনে অজ্ঞান হয়ে গেছে আচাঁড় খেয়ে।

রাক্ষসীটা ওদের নিয়ে একটা রুমে নিয়ে বন্দী করে রাখলো।

চলবে……..

[?ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন?]

????????????????

[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ]
#ফিহা আহমেদ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here