#রাজকুমারী_নীনা(ভৌতিক_গল্প)
#অন্তিম__পর্ব
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
তখন পিছন থেকে কেউ বলে উঠলো…… আচ্ছা রাজকুমারী নীনা তুমি আত্মা হ’য়ে ও এত কিউট কেন।
পিছনের ব্যাক্তিটির কন্ঠস্বর শুনে সবাই পিছনে তাকালো।
জয়ঃ আরে এইসবের চক্করে তো তোমাদের দুজনের সাথে পরিচয় হলো না।
ছেলেটিঃ আমি সাদিক আর ও আমার স্রী জয়া।
নীনাঃ আমার আসল রূপ দেখলে তোমরা ভয় পাবে। তাই আমি সেই ভয়ানক রূপে আসতে চাইছিনা।
রিদীমাঃ না না ঠিক আছে। এই রূপটাই সুন্দর। অন্য রূপে আসার দরকার নাই।
তৌশিক আর রাহুল সবার কার্যকীর্তি দেখছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে।
তৌশিক রাহুলের কাঁধে হাত দিয়ে,,,,,
—- বুঝলি ভাই সবই কপাল। আমরা যে দুই অভাগা এখানে আছি সেদিকে কারোর খেয়ালই নেই।
এনা আর মৃওিকা দুজনের দিকে তাকিয়ে ভেংচি দিয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো।
নীনাঃ তৃনা আমাদের খুঁজে পাওয়ার আগেই আমাদের ওকে খুঁজে বের করতে হবে।
মৃওিকাঃ চলো সবাই। বিপদে পরলে কেউ ভয় পেয়ো না। উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে আমাদের সব কাজ করতে হবে।
সবাই একসাথে রাজকুমারীর তৃনাকে খুঁজার উদ্দেশ্যে বাহির হলো।
মৃওিকাঃ আরে,,, রাজকুমারীর নীনা আবার কোথায় গেলো।
রাহুলঃ এখানেই তো ছিল।
নীনাঃ আমি তোমাদের সাথেই আছি।অদৃশ্য হয়ে আছি। তোমাদের সাথে তৃনা আমাকে দেখলে আরো ক্ষেপে যাবে।তাই অদৃশ্য হয়ে আছি।
মৃওিকাঃ ওহ্ আচ্ছা। তুমি অদৃশ্য হয়েই থাকো।
সবাই সামনে এগোচ্ছে। হঠাৎ করে এনা হাঁটা বন্ধ করে দিলো।
তৌশিকঃ আরে এনা দাঁড়িয়ে গেলে কেন।
এনাঃ পিছনের ঘরটার দিকে তাকাও সবাই লাল রঙের আলো বের হচ্ছে।
সবাই ঘরটার দিকে তাকালো।
মৃওিকাঃ রাজকুমারীর তৃনা নয় তো আবার।
নীনাঃ সাবধানে ঢুকবে সবাই।
মৃওিকা আস্তে আস্তে দরজায় হাত রাখলো ঘরের দরজাটা হালকা একটু খুললো।
জয়ঃ পিছন থেকেই ডাইনিটাকে কেমন ভয়ানক দেখাচ্ছে আর সামনে থেকে তো……
নীনাঃ চুপ করো।ওর কানে আওয়াজ গেলে সমস্যা হয়ে যাবে।
মৃওিকা ফিসফিস করে,,,,,
—- রাজকুমারীর নীনা আপনার বোন তৃনার সামনে যে কাঁচের বাক্সটা ওইটাতে কি রানী এলিনা রয়েছে।
নীনাঃ হ্যাঁ। আগে তৃনাকে শেষ করতে হবে।তারপর রানী এলিনাকে।
মৃওিকাঃ কিন্তু রানী এলিনা তো মৃত।
নীনাঃ তৃনা ওনার শরীরের অর্ধেক অংশ জাগ্রত করে ফেলেছে। আর আটজন বলি দিলেই….
মৃওিকাঃ যে করেই হোক আমাদের আট জনকে রাজকুমারী তৃনার শিকার থেকে বাঁচতেই হবে।
নীনাঃ তলোয়ার বের করো মৃওিকা।
মৃওিকাঃ হুম করেছি রাজকুমারী নীনা।
নীনাঃ এইবার তলোয়ারে একফোঁটা রক্ত দেও।
মৃওিকাঃ কিভাবে হাত কাটঁবো।আমার কাছে কাঁটার মতো কিছু নেই।
নীনা তার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের ধারালো নখ দিয়ে মৃওিকার হাত কিছুটা কেটে ফেললো।
মৃওিকাঃ আহ্,,,,,,, । জ্বলে যাচ্ছে।
নীনাঃ এইবার রক্ত দেও।
রক্ত দেওয়ার সাথে সাথে তলোয়ার থেকে সোনালি রশ্মি বের হতে লাগলো।
রাজকুমারী তৃনা ঘরের চারপাশে সোনালি রশ্মি দেখে চমকে পিছনে ফিরতেই ভয় পেয়ে চিৎকার দিলো।
তৃনা চিৎকার করে,,,
—- না,,,,,,,,আ,,,,,আ,,,,,।এইটা কি করে সম্ভব। আমার এত বছরের সাধনা সব শেষ।
নীনাঃ মৃওিকা তাড়াতাড়ি করো।তৃনার বুকের মাঝে তলোয়ার ঢুকিয়ে দেও।
তৃনা আক্রমণ করার আগেই মৃওিকা তৃনার বুকের মাঝখানে তলোয়ার ঢুকিয়ে দিলো।
তৃনাঃ না,,,,,,আ,,,,,,,আ,,,।
তৃনার চিৎকারে সমস্ত রাজপ্রাসাদ কেঁপে উঠল।
তৃনার সমস্ত শরীর ছাইয়ে পরিনত হয়ে গেল।
নীনাঃ এইবার কাচেঁর বাক্সটার কাছে চলো।মৃওিকা কাচেঁর বাক্সটার ওপর একফোঁটা রক্ত দেও।
মৃওিকা রক্ত দিতেই বাক্সটার দরজা খুলে গেল।
জয়ঃ ছিঃ কি বাজে গন্ধ। সমস্ত শরীর পঁচে গেছে।
মৃওিকা রানী এলিনার বুকে পরপর তিনবার তলোয়ারের আঘাত করলো।
রানী এলিনার শরীরও তৃনার মতো ছাই হয়ে গেল।
মৃওিকাঃ রাজকুমারীর নীনা তোমার মুক্তি হবে কিভাবে।
নীনা দৃশ্যমান হয়ে,,,
—- আমার মুক্তি হয়ে গেছে।
মৃওিকাঃ কিভাবে।
নীনাঃ তৃনা আর রানী এলিনার ধ্বংসের মাধ্যেমেই আমার মুক্তি। সবাই ভালো থেকো। বলেই নীনা সাদা ধোঁয়ায় পরিনত হয়ে আকাশের সাথে মিশে গিয়ে তারায়★ পরিনত হলো।
সমস্ত রাজপ্রাসাদ নিজ থেকে ভাঙা শুরু করলো।
সবাই রাজপ্রাসাদ থেকে দ্রুত বের হয়ে গেল।
সবার মুখে জয়ের হাসি।
~অবশেষে রাজকুমারীর নীনার আত্মা শান্তি পেলো।~
~ সমাপ্ত…….. ?