প্রণয়ের_তৃষ্ণা (২৫)

0
651

#প্রণয়ের_তৃষ্ণা (২৫)
অলিন্দ্রিয়া রুহি
________
‘তোমার মা কই?’

প্রশ্নটি করেছে পুতুল, আঁখিকে। ওর বিয়ের পর এই প্রথম আঁখির সাথে ওর কথোপকথন। এর আগে কোনো কথাই হয়নি। আঁখিই ওর সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। সবসময় নিজের ঘরে থাকে অথবা এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ায়। সারাদিন কী যে করে বেড়ায় তা পুতুল নিজেও জানে না।

আঁখি উঠোনের এক কোণে বসে কীসব আঁকিবুঁকি করছিল শুকনো কাঠি দিয়ে। ভাবলেশহীন চোখে পুতুলের দিকে তাকিয়ে বলল,

‘ঘরে।’

তারপর আবার নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। যেন এই মুহূর্তে এই আঁকিবুঁকির চাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ আর কিচ্ছু নেই। পুতুলের কপট রাগ হলো। এইটুকু মেয়ে, বয়স তেরো পার করেছে কীনা সন্দেহ। এরই ভেতর বড় বড় আকাম ঘটিয়ে বসে আছে। উপরন্তু কী ভাব! পুতুল কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে গেল। অহেতুক তর্কে জড়িয়ে লাভ নেই। ওর উদ্দেশ্য মোতাবেক ও শম্পার ঘরের দিকে এগিয়ে গেল।

শম্পা শুয়ে ছিলেন। পুতুল প্রায় নিঃশব্দে ওর ঘরের ভেতর ঢুকে ওর বিছানার পাশে গিয়ে দাঁড়াল। শম্পা তাও টের পেয়ে গেলেন। পেছন ফিরে পুতুলকে দেখতে পেয়েই নড়েচড়ে উঠে বসলেন। ভ্রু কুঁচকে বললেন,

‘তুমি?’

পুতুল দেখল, ঠোঁটের এক পাশ ছ’ড়ে গেছে। গলায়, গালে কালশিটে পড়েছে। কপাল ফোলা। বিধ্বস্ত অবস্থা। পুতুলের মায়া হয়। সে অনুমতি না চেয়েই শম্পার পাশে বসে ক্ষীণ গলায় মমতা নিয়ে বলে উঠল,

‘একটু আগে আইছি। আপনের খবর শুইনা আর থাকতে পারলাম না। তাই..’

ওর মুখের কথা কেড়ে নিলো শম্পা,

‘তাই দেখতে আইলা কেমনে কেমনে পিটাইছে? দেইখা পরাণে শান্তি লাগতেছে তো? এহন যাও। তোমার আলগা দরদ আমার সহ্য হইতেছে না।’

বেশ কাটকাট গলায় কথাগুলো ছুঁড়ে দিয়ে শম্পা বিছানার অপর প্রান্তে চেপে শুয়ে পড়লেন আবার। পুতুল থমথমে মুখে বলল,

‘আপনে আমার উপর রাগ ঝাড়তাছেন ক্যান? আমি কী করছি?’

শোয়া অবস্থায়ই শম্পার জবাব,

‘না তুমি কিচ্ছু করো নাই। আমি কহন কইছি তুমি কিছু করছো?’

‘তাইলে আমার উপর চেত দেহাইতেছেন ক্যান? আপনের এই মা’ইর খাওয়া চেহারা দেইখা আমার সত্যিই খুশি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি তো আর অমানুষ না, আপনাগো মতো!’

শম্পা সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় বিছানার উপর উঠে বসলেন। রাগ মেশানো গলায় বললেন,

‘কী বলতে চাইতেছো তুমি?’

পুতুল ঠান্ডা গলায় বলল,

‘আমি সব জানি। আমার থেইকা আর কী লুকাইবেন? আপনে কত বড় খারাপ মাইয়া মানুষ! নিজের দেবরের লগে… তাও আবার হের বউ থাকতে! রুজিনা চাচী থাকা কালেও করছেন। আমি আইছি, এহনো..আপনের শরীরে এত বিষ?’

শেষের বাক্যটুকু বলল রোষপূর্ণ গলায়, দাঁতে দাঁত কেটে, চিবিয়ে চিবিয়ে। শম্পা হতবুদ্ধির ন্যায় চেয়ে রইলো। পুতুল ফের বলে উঠল,

‘মাত্র তো মাথা ফুলছে, এই কথা গেরামে ছড়াইয়া দিলে মাথা ফাইট্টাও যাইতে পারে। তাই আমার লগে সাবধানে কথাবার্তা কইবেন।’

শম্পা নিভে গেলেন না। বরং পূর্বের চেয়েও দ্বিগুণ স্বরে বলে উঠলেন,

‘এই ছেড়ি, বিষ আমার নাকি তোর জামাইর? তুই, রুজিনা- তোরা তোর জামাইরে ধইরা রাখা পারোস না। হেয় আহে ক্যান আমার লগে ঘষাঘষি করতে, হ? জিভ টাইন্না ছিড়া ফালামু। তুই কথাবার্তা সাবধানে ক। আর গেরামে ক’বি? ক গা। আমার লগে তোর জামাইর ধইরা বাইন্দা বিয়া পরাইয়া দিবো। আমারে সতীন মাইনা চলতে হইবো। আমি সতীন হইলে তোর ভাত বন্ধ হইতে সময় লাগবো না, কইয়া দিলাম।’

শম্পা ভেবেছিলেন, উনার এই কথাগুলো শোনার পর পুতুল একটু হলেও ঘাবড়ে যাবে। হতবিহ্বল হবে। দুর্বল হয়ে সবকিছু মেনে নেবে। কিন্তু তাকে পরিপূর্ণ ভাবে চমকে দিয়ে পুতুল হো হো করে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। হাসির দমকে রীতিমতো পেট চেপে ধরে নিজেই নিজের। তা দেখে শম্পার কা-টা গায়ে নুনের ছিঁটে পড়ল যেন। তিনি চোখ কপালে তুললেন, গজগজ করে বললেন,

‘সতীন হমু, এই চিন্তায় পাগল হইয়া গেলি নাকি?’

পুতুল ঠোঁটে হাসি নিয়েই জবাব দিলো,

‘আপনের কী মনে হয়, আপনেগো বিয়ে হইলে আমি এইহানে ঝুইলা থাকুম? আমার ভাতের এতই অভাব? দুই চরিত্রহীনের বিয়া হইলে তো আরও ভালো। একটু পূন্য হইবো। আর হেই পূন্যে আমার ভাগ থাকবো, এইডা ভাইবাই তো খুশি লাগতেছে। তা কবে বিয়া করবেন? আইজকাই কাজী ডাকি?’

শম্পাকে উল্টো হতবিহ্বল করে দিলো ও। পুতুল হেসে চললো। ওর চোখে ঈষৎ পানির আগমন ঘটেছে। এই পানি কী সত্যিই আনন্দের নাকি যন্ত্রণার- কে জানে!

একটুক্ষণ চুপ করে থেকে শম্পা বললেন,

‘তোর কাজী ডাকা লাগবো না। তোর জামাইর কাছে আমি আর কিছু চাই না। খালি ওরে ক, আমার পেটের বাচ্চাডারে যেন একটা পরিচয় দেয়। এই নিষ্পাপ বাচ্চাডার কী দোষ?’

‘বাচ্চা?’

পুতুলের হাসি থেমে যায়। শম্পা দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন।

‘আমি পোয়াতি। এইডা জানার পরই আমারে এমনে পিটাইছে। তলপেটে লাথিও মা*রছে। ওর ধারণা, এতে বাচ্চাডা নষ্ট হইয়া যাইবো। কিন্তু ও কী আর জানে, বাচ্চাডা মাত্র হইতাছে। এহন ওষুধ ছাড়া আর কিছুই ওরে নষ্ট করতে পারব না। আর আমি আমার জান থাকতে এই বাচ্চা নষ্ট করতে দিমু না। পুতুল..’

শম্পা থামলেন, দম টেনে ফুসফুস ভর্তি করলেন। তার গলার স্বর অনেকটাই নরম হয়ে এসেছে। একটু আগের ঝাঁঝপূর্ণ ভাবটা আর নেই। তিনি এবার তাকালেন ছলছল চোখ নিয়ে। পুতুল তাজ্জব বনে গিয়েছে পুরোপুরি।

‘পুতুল, আখতার যেমন হোক, আমি ওরে ভালোবাসি। আমার জামাইর প্রতি আমার কোনো টান নাই। আমার জামাইরে আমি জামাই হিসেবে মানিও না। ওরে তালাক দিয়া আখতাররে বিয়া করতে চাই। আর এই বাচ্চাডাই পারব সবকিছু পূর্ণ করতে। আখতারের আমারে বিয়া করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকব না। আমি চাইছিলাম আইজকাই সরাসরি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়া বিচার দিমু। পরে ভাবলাম, চেয়ারম্যানের কাছে কইলেও কিছু হইবো না। আখতার হেরে হাত কইরা ফালাইবো ঠিকই। এহন তুমিই পারবা সবকিছু ঠিক করতে। তুমি চইলা যাও ওরে তালাক দিয়া। তাইলেই ও আমারে মাইনা নিবো। এই বাচ্চাডারে মাইনা নিবো। তোমার টাকাপয়সা লাগলে..’

‘লাগবো। পঞ্চাশ হাজার টাকা লাগবো।’

সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠে পুতুল। সাতপাঁচ কিছু চিন্তা না করেই। শম্পা প্রায় ছুটে আসেন ওর সামনে। পুতুলের হাত দুটো চেপে ধরে বলেন,

‘তুমি সত্যিই যাইবা গা আমাগো জীবন থেইকা?’

পুতুল উপর নিচ মাথা নাড়ায়,

‘হ, যামু গা। আপনের পেটে আমার জামাইর বাচ্চা৷ আমার কী এমন ঠ্যাকা পড়ছে সতীন লইয়া সংসার করনের। আমি যামু গা৷ আমার এইহানে মন টিকে না।’

‘কিন্তু আখতার তোমারে এমনে এমনে যাইতে দিবো?’

এবার শম্পা আশংকা প্রকাশ করলেন। পুতুল ঠোঁটে কামড় দিয়ে বলল,

‘আমি কী জানি? আপনে কইছেন যাইতে গা। আমি গেলে গা সবদিক দিয়া ভালো হয়। আর এমনিতেও আমি কী এহন সতীন আর সতীনের বাচ্চাকাচ্চা লইয়া সংসার করমু নাকি?’

পুতুল তেতে উঠল এইবার। ফোঁসফোঁস শব্দে কতকগুলো এলোমেলো নিঃশ্বাস ফেলে পুনরায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলতে লাগল,

‘কী কপাল আমার! আব্বায় আমারে এমন জায়গায় বিয়া দিলো! একে তো বুইড়া বেডা, তার উপর আবার.. ছিঃ ছিঃ ছিঃ! নিজের কপালে জুতা দিয়া বারি মা-রতে মন চায়। এমন ভাগ্য লইয়া আইছিলাম দুনিয়াতে!’

শম্পা বিমূঢ় হয়ে রইলেন। একটু আগে যে আশার আলো জ্বলে উঠেছিল, সেটা নিমিষেই নিভে গেল। তিনি ভেবেছিলেন টাকা দিয়ে পুতুলকে আখতারের থেকে দূরে পাঠিয়ে দিলেই সব ঝামেলা মিটে যাবে। আখতার একা হয়ে পড়বে। তখন শম্পাকে ঠিক ঠিক মেনে নেবে। বাচ্চাটার প্রতি মায়া জন্মে যাবে। এরপর শম্পাকে বিয়ে করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না। এমন করে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকেও পাওয়া হয়ে যাবে, আবার এই বাড়িঘর সব সম্পত্তির মালকিন ও হতে পারবে। সবকিছু তো আখতারেরই। ওর বোকা ভাই আজীবন দূরে দূরে থেকে সবকিছু থেকে নিজেকে বঞ্চিত করে ফেলল। পুতুলও যেভাবে বলেছিল চলে যাওয়ার কথা, শুনে মনে হয়েছিল, সবকিছু ভালোয় ভালোয় মিটে যাবে। কিন্তু এখন বুঝল, পুতুল রাগের মাথায় বলেছে। এত সহজ নয় সব ছেড়ে চলে যাওয়া। আর আখতার, সে-ই বা এত সহজে পুতুলকে ছেড়ে দেবে? সবকিছু আবারও কঠিন হয়ে উঠছে শম্পার মস্তিষ্কে। তিনি ঠিক কী করবেন ভেবে পেলেন না। নিস্তরঙ্গ গলায় প্রশ্ন করলেন,

‘টাকার কথা কইলা যে।’

‘আপনে কইলেন দেইখা আমি কইলাম। দিবেন সত্যি সত্যি পঞ্চাশ হাজার টাকা?’

শম্পা শুকনো মুখে বললেন,

‘দিমু, আমার কাছে আছে।’

পুতুল এক ভ্রু উঁচায়,

‘আখতাররে কেমনে বুঝাইবেন? আমি এসবে নাই। পাপ আপনেরা করছেন। ভুক্তভোগী আমি। আপনে যদি আখতাররে বুঝাইতে পারেন, তাইলে আমি আপোষে যামু গা। আমার ক্ষতিপূরণ আমারে দিয়া দিবেন। একটা সত্য কথা কই?’

শম্পা আগ্রহী চোখ করে তাকালেন।

পুতুল গলার স্বর চাপিয়ে বলল,

‘আমার এইহানে সংসার করনের একটুও ইচ্ছা নাই। এই বুইড়া বেডারে কী দেইখা ভালোবাসছেন কে জানে! কথায় কথায় খালি ষাড়ের মতো চেঁচায়। আর চেহারা তো না যেন…থাক, বাদ দেই।’

শম্পা নিস্তেজ গলায় বললেন,

‘তোমার এহন রঙিন বয়স তো। আমরাও এই সময় পার কইরা আইছি। তোমারে করতে হইবো না বুইড়া বেডার ঘর।’

‘আমি মনে হয় করার লিগা বইয়া রইছি? এহন হেরে কেমনে বুঝাইবেন বুঝান। আমার দেনাপাওনা মিটাইয়া দিক। আমি যাই গা বাপের বাড়ি।’

শম্পা চিন্তায় পড়ে গেলেন। আখতারকে বুঝানোর সাধ্য তার কেন কারো নেই। আখতার সবসময় নিজের মন মতো সব কাজ করেন। তবে একজন আছে। যাকে হাত করতে পারলে একটা না একটা ব্যবস্থা হয়ে যেতে পারে। সে মনু মিয়া। আখতারের কাছের লোক। তাকে হাত করার উপায়ও শম্পার কাছে আছে। শম্পা চাপা ঢোক গিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, মনু মিয়াকেই হাত করতে হবে এইবার। আর কোনো রাস্তা নেই। সে পুতুলকে কিছুদিন সময় অপেক্ষা করতে বলে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে। আখতার বাড়ির বাইরে গেছে। আসবে রাতে। এই ফাঁকে তাকে একবার মনু মিয়ার বাড়ি হয়ে আসতে হবে।

_______

ড্রেসিং টেবিলের কাঁচ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। একটা মাটির, আরেকটা কাঁচের ফুলদানি ছিল, দুটোই ভাঙা হয়ে গেছে। ওয়ারড্রবের উপর আরেকটা ছোট্ট আয়না ছিল, সেটাও ভেঙে খানখান, বিছানার উপর বালিশের তুলো বেরিয়ে পড়ে আছে। চাদর টা অর্ধেক বিছানায়,অর্ধেক নিচে ঝুলছে। তার মাঝখানে এলোমেলো চুপে গুটিশুটি মে-রে চুপচাপ হাঁটুতে মুখ গুঁজে ইথিশা বসে রয়েছে। সকাল সকাল মেয়ের রুমের এই দৃশ্য ওর মা’কে কাঁপিয়ে তুললো। কিছুতে কিছু না, তাতেই কেঁদেকেটে অস্থির হয়ে উঠলেন উনি। ফোন করলেন অর্ক’র বাবা-মাকে। অর্ক ভোরের পরে বাড়ি ফিরেছে। কারো সাথে কোনো কথা না বলে সোজা নিজের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।

সেই আধা কাচা ঘুম ভাঙলো অর্ক’র বাবার ডাক শুনে।

‘অর্ক, এই অর্ক, এই ছেলে উঠো। ইথিশাদের বাসা থেকে ফোন এসেছে। তোমার জন্য আমার জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।’

অর্ক ঘুম জড়ানো কণ্ঠে বলল,

‘কী, কী বলছো বাবা? কয়টা বাজে?’

‘কয়টা বাজে সেটা ঘড়ি দেখলেই বুঝতে পারবে। তুমি উঠো। ইথিশার অবস্থা নাকি অনেক খারাপ। ঘরের সব জিনিসপত্র ভেঙে ফেলেছে। মানসিক বিকারগ্রস্তের মতো আচরণ করছে। ওর বাবা ফোন দিয়ে আমার সাথে যাচ্ছে তাই ভাষা করল।’

অর্ক’র ঘুম পালালো। সে উঠে বসে বলল,

‘আমি বুঝলাম না উনার মেয়ে এরকম পাগলামি কেন করছে! আর উনিও বা কেন তোমার সঙ্গে রুড বিহেভ করবে! হু দ্য হেল আর হি!’

অর্ক’র বাবা বললেন,

‘আমরা সবসময় ছেলের সুখ চেয়েছি। তাই তো আমাদের মনে দোনোমোনো থাকলেও আমরা চুপচাপ সব মেনে নিয়েছি। কোনো উচ্চবাচ্য করিনি। অথচ দেখো, সেই ছেলের জন্য এখন আমাদের কত কিছু শুনতে হচ্ছে। নিজেদের পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে পর্যন্ত কথা উঠছে। আমি নির্ভেজাল মানুষ। আর আমার ঘাড়েই কীনা..’

অর্ক উঠতে উঠতে শক্ত কণ্ঠে বলল,

‘তোমার কোথাও যেতে হবে না বাবা। আমি যাচ্ছি। আজকে সবকিছুর একটা বিহিত করে তবেই ফিরবো।’

অর্ক’র কাঁধের উপর তিনি হাত রেখে বললেন,

‘আমি সবসময় তোমার সুখ চাই বাবা। তোমার জন্য যেন কারো জীবন নষ্ট না হয়।’

অর্ক চুপ করে রইলো। এই কথার প্রত্যুত্তরে কোনো জবাব দিতে পারল না সে।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here