মন_মহুয়ার_নেশা,২০,২১

0
485

#মন_মহুয়ার_নেশা,২০,২১
#তানজিলা_খাতুন_তানু

(পর্ব_২০)

মহুয়ার মেইল এসেছে কালকে থেকেই হাসপাতালে জয়েন করতে বলেছে। মহুয়া মেইলটা দেখে খুব খুশি হয়েছে,এতদিনের বন্ধি জীবন থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে।

– কি হলো কি দেখছো এত মনোযোগ দিয়ে।
– আমাকে কালকে থেকে জয়েন করতে বলেছে হসপিটাল থেকে।

কথাটা শুনেই নিশানের চোখমুখের রং পরিবর্তন হয়ে গেলো, কোনো একটা কিছু গম্ভীর হয়ে গেলো। নিশান কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে মহুয়ার সামনে বসে বললো,,
– মহু তোমাকে আমি কিছু বলবো মন দিয়ে শুনবে কথাগুলো।

মহুয়া জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নিশানের দিকে। নিশান মহুয়ার দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করলো…
– দ্যাখো মহুয়া তোমার আগের জীবনটার সাথে এই জীবনটা একদম আলাদা। তখন তুমি স্বাধীনভাবেই চলাফেরা করতে পারতে,যা ইচ্ছা করতে পারে কিন্তু এখন সেটা তুমি করতে পারবে না।

মহুয়া একটু চটে গেলো নিশানের কথা শুনে। রাগান্বিত কন্ঠে বলে উঠলো…
– কেন তোমার সাথে বিয়ে হয়েছে বলে।

মহুয়ার কথা শুনে নিশান হালকা মুচকি হাসলো এতে মহুয়ার রাগটা আরো বেড়ে যাচ্ছে। মহুয়া কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিশান বলে উঠলো…
– মহু বাচ্চাদের মতো কথা বলো না। তোমাখে এইরকম কথা মানায় না। তুমি ভাবো তো সত্যি কি তোমার জীবনটা আগের মতো আছে, আমার সাথে বিয়ে হয়েছে বলে বলছি না এমনিতেই ভাবো তুমি।

মহুয়া নিশানের কথা শুনে ভাবতে লাগলো, সত্যি তো আগের মতো তার জীবনটা নেয়, মাথার উপরে বাবা- মায়ের হাত নেয়। আগের মতো স্বাধীনতা নেয়।

– মহুয়া আগের তুমি স্বাধীনতা ছিলো সম্পূর্ণ ভাবে কিন্তু এখন তুমি নিরাপদ নেয়। ৩ বছর আগে নারায়নপুর গ্রামে পা”চা”রকারী চক্রটা ধরার পরেও কিন্তু তুমি নিরাপদ ছিলে এখন কিন্তু সেটা নয়। কারনটা কি জানো।

মহুয়া নিশ্চুপ হয়ে আছে। কিছুই বলছে না নিশানের দিকে তাকিয়ে প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই।

– তোমার কি মনে হয় যারা তোমাদের বাড়িতে আ_গুন লাগিয়েছে,তোমার বাবা মাকে মে”রে ফেলেছে তারা সবকিছু না জেনেই এইসব কিছু করেছে।
– মানে কি বলছো তুমি।
– মানে এটাই ,, তোমার কারনে নয় আঙ্কেলের আসল পরিচয় জানার জন্যই এই ঘটনাটা ঘটিয়েছে। আমার কাছে গোপন সূত্রে খবর আছে, আঙ্কেল পা”চার কারী চক্রের বিষয়ে এমন কিছু তথ্য জানতে পেরেছিলো যার জন্য পা”চার কারীদের নাম সামনে চলে আসতো তাই এই বিষয়টা কোনোভাবে তারা জানতে পেরে এই কার্যটা ঘটিয়েছে। আর তারা যদি জানতে পারে তুমি সুস্থ আছো তাহলে ভাবতে পারছো তূমি তারা তোমাকে এমনি এমনি ছেড়ে দেবে।

মহুয়া চুপ করে আছে। নিশানের প্রতিটা কথাই সত্যি।

– নিশান আমি আমার বাবা মায়ের খু”নীকে শা”স্তি দিতে চাই। আমি অ”পরা”ধীদের শা”স্তি দিতে চাই নিশান।

মহুয়া একটু ইমোশনাল হয়ে উঠেছে। নিশান মহুয়াকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলো। মহুয়া র চোখের কোনো পানি জমা হয়ে উঠছে।

– কেঁদো না মহুয়া, অপ”রাধী ঠিকই শা”স্তি পাবে।
– হুম।

মহুয়া স্বাভাবিক হয়ে নিশানের কাছ থেকে সরে বসলো। নিশান ভাবলো মহুয়ার মুডটা একটু অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া যাক,মহুয়াকে যে মন খারাপ করে থাকতে দেখতে ভালো লাগে না নিশানের।

– মহু তুমি বলতেই পারতে আমাকে জড়িয়ে ধরতে চাও, এত নাটক কি করার আছে।

নিশানের পাল্টি খাওয়া দেখে মহুয়া গাল ফোলালো ভালো ভাবেই বুঝলো নিশান মজা করছে,তাই নিশানের কথাগুলোকে পাত্তা না দিয়ে ফুলের কাছে চলে গেলো।

– এই ফুল কি করছো।
– এই তো।

ফুল রান্নাঘরে সবজি কা”টছে রান্নার জন্য। মহুয়াকে ফুল সরিয়ে দিয়ে নিজে সবজি কা”ট”তে লাগলো।

– কি হলো সরো তুমি।
– না আজকে আমি রান্না করবো।
– দরকার নেয়।
– না আমিই করবো।
– আচ্ছা করো।

মহুয়া রান্না করতে লাগলো,ফুল মহুয়ার সাথে গল্প করতে লাগলো।

পরেরদিন….

মহুয়া হাসপাতালে যাবে বলে রেডি হয়ে রুমের বাইরে বের হবে একটা কথা শুনে থমকে গেলো।

– ডাক্তার ম্যাডাম।

নিশানের মুখের এই ডাকটা মহুয়ার খুব প্রিয়। মহুয়া নিশানের চোখের আড়ালেই মৃদু হাসলো।

নিশান মহুয়ার সামনে এসে মহুয়ার কপালে একটা ভালোবাসার পরশ দিয়ে বললো…
– সাবধানে থাকবেন ডাক্তার ম্যাডাম। চলো তোমাকে পৌঁছে দিই।

মহুয়া দ্বিমত প্রকাশ করলো না ফুলের কাছ থেকে বিদায় জানিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্য রওনা দিলো।

নিশান মহুয়াকে পৌঁছে দিতেই,মহুয়া যাবার আগে নিশানের উদ্দেশ্যে বললো…
– আসছি।
– হুম।

মহুয়া নিশানকে বিদায় জানিয়ে চলে যায়। হসপিটালের প্রথম দিন তাই সকলেই ওয়েলকাম জানালো ওকে।

– আমাদের হসপিটালে তোমাকে ওয়েলকাম। আশা রাখছি নিজের সবটা দিয়ে মানুষের সেবা করবে।
– জ্বি স্যার। ডাক্তারের ধর্মই হলো মানুষের সেবা করা আমি আমার সবটা দিয়ে চেষ্টা করবো।

সারাদিনে অনেকের সাথেই পরিচিত হলো। প্রথম দিন হওয়াতে মহুয়ার কাজ কম ছিলো। নিজের কেবিনে বসেই ছিলো তখন নিশানের কল আসলো ওর কাছে, নিশানের কল আসাতে মহুয়ার মুখের কোনে হাসি ফুটে উঠলো, কানে ফোনটা তুলে বললো……
– হ্যালো।
– কি করছো।
– এই তো বসে আছি তুমি।
– ভাবছিলাম।
– কী?
– আমার ডাক্তার ম্যাডামের কথা।
– তাই।
– হুম।
– কেমন কাটছে আজকে।
– ভালোই।
– তাই।
– হুম। আচ্ছা খেয়েছো কিছু।
– হ্যা তুমি।
– হুম।
– তাহলে এখন রাখছি,পরে কথা বলবো।
– ওকে।

মহুয়া ফোনটা রেখে দিয়ে নিশানের কাজকর্ম গুলো ভাবতে লাগলো।

অন্যদিকে…..

সাদিফ ওর মায়ের কাছে বসে আছে। ফুলের বিষয়টা বলবে বলে আনচান করছে কিন্তু বলে উঠতে পারছে না।

– কি রে কি বলবি বল।
– আসলে মা আমি …
– কি বল।
– আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি।

সাদিফের মা ছেলের মুখ দেখে মুচকি হাসলেন।

– মেয়েটা কে?
– আসলে মা।
– কি আসলে নকলে করছিস বল পরিস্কার করে।
– আসলে মা ফুল অনাথ মেয়ে, আহমেদ বাড়িতেই থাকে।

সাদিফের মা চমকে উঠলো ছেলের কথা শুনে।

– কি বলছিস এসব।
– হ্যা মা আমি ফুলকে ভালোবাসি।
– কিন্তু এইরকম একটা মেয়েকে আমি কখনোই আমার বাড়ির বউ হিসাবে মেনে নেবো না।
– মা!
– আমি আর কিছু জানি না আমি কিছুতেই মানবো না।

সাদিফের মা চলে যায়। সাদিফ হতাশ হয়ে বসে থাকে। মহুয়ার সন্দেহটাই ঠিক হয়েছে, আমাদের সমাজের মানুষরা কখনোই অনাথ মেয়েদের নিজেদের বাড়ির বউ হিসাবে মেনে নিতে চাই না।

সন্ধ্যাবেলা…

মহুয়া নিজের সব কাজ সেরে বাইরে বেরিয়ে দেখলো…

#চলবে…

#মন_মহুয়ার_নেশা
#তানজিলা_খাতুন_তানু

(পর্ব_২১)

মহুয়া হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে এসে দেখলো নিশান দাঁড়িয়ে আছে, মহুয়ার নিজের অজান্তেই ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো।

– কি ডাক্তার ম্যাডাম কেমন কাটলো গোটা দিনটা।
– খুব ভালো। এতদিন পর কাজে জয়েন করলাম একটা অন্যরকম ফিলিংস হচ্ছে।

নিশান মহুয়ার দিকে পূর্নাঙ্গ দৃষ্টি রাখলো। আগের তুলনায় মহুয়াকে ফ্রেশ লাগছে মনে হচ্ছে না সারাদিন হাসপাতালে ছিলো। যে যার পেশা তার কাছে একটা আলাদা রকমের নেশার মতো, তার সাথে মিশে থাকলে আলাদা রকমেরই একটা ভালোলাগা মিশে থাকে।

নিশান মহুয়ার দিকে তাকিয়ে বললো…
– মহু ফুচকা খাবে?
– ফুচকা!
– হুম।
– আচ্ছা চলো তবে রাস্তার পাশে থাকা কোনো দোকানে খাবো না, কোনো শপে বা হোটেলে চলো।
– দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে খাবার মজাই আলাদা।
– না নোংরা।(মুখ কুঁচকে বলল)
– এত নোংরা দিয়ে চললে জীবন চলবে না,চলো আমার সাথে।

নিশান মহুয়ার হাতটা ধরে টেনে বাইকের সমানে দাঁড় করালো। মহুয়ার কপাল কুঁচকে গেলো বাইক দেখে, নিশানের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো..
– কার বাইক এটা।
– আমার কেন?
– না আগে দেখিনি তো।
– কতদিন আছো আমার সাথে ( ভ্রু নাচিয়ে)

মহুয়া উত্তর না দিয়ে চুপ করে থাকলো। নিশান রহস্যময় হাসি দিয়ে বললো…
– থাকো আমার সাথে আরো অনেক কিছুই জানতে পারবে সময় হলে।
– ভিলেনদের মতো চরিত্রের মানুষ একটা

কথাটা মহুয়া বিরবির করে বললেও নিশান একদম পাশে থাকাতে সবটাই শুনতে পেলো। মহুয়ার কথার বিপরীতে কিছু না বলে মুচকি হেসে বললো…
– ভিলেন হয় বা হিরো সবটাই তো তোমার।
– যতসব।

নিশান মুচকি হেসে বাইকে চড়ে বসলো। আর মহুয়াকেও বসতে বললো।

– ধরে বসবে।
– পারবো না।
– পরে গেলে আমাকে বলতে পারবে না।
– বলবো না।

নিশান বাইক চালাতে শুরু করলো, একটা বাঁক মোড় আসার সময়ে নিশান ব্রেক কষতেই মহুয়া নিশানের কাঁধে হাত দিয়ে দেয়, এটা দেখে নিশান বাঁকা হাসলো।

নিশান একটা ফুচকা স্টলের সামনে দাঁড়ালো। মহুয়া না না করলেও নিশান শুনলো না।

– মামা ফুচকা দিন তো।
– কিরকম ঝাল দেবো।
– মোটামুটি দিন।

ফুচকা দোকানদার শালপাতা নিশান আর মহুয়ার হাতে ধরিয়ে দিলো।‌ নিশানের পাতাতে একটা ফুচকা দিতেই নিশান সেটা মহুয়ার মুখের সামনে ধরলো আর ইশারায় গালে নিতে বললো।

মহুয়া গালে দেবের পরে নিশান ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলো…
– কি ডাক্তার ম্যাডাম কেমন লাগলো।
– দারুন।

মহুয়া আর নিশান ২০ টাকার করে ফুচকা খেলো। ১০ টাকার ৫ টা ফুচকা। দাঁড়িয়ে ফুচকা খাবার মজাটাই আলাদা।

– কি ম্যাম খুব তো বলছিলেন খাবো না খাবো না।

মহুয়া কিছু বলার আগেই ফুচকা বিক্রিতাটা বললো…
– আমার ফুচকা বিখ্যাত এই অঞ্চলে, কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের লাইন পড়ে এইখানে। যে একবার খেয়েছে সে বারবার আসে।
– আসলে উনি ডাক্তার তাই এইসব খাবার খাই না।( মিটমিটিয়ে হেসে নিশান উত্তর দিলো)

কথাটা শুনে ফুচকা ওয়ালাটা চমকে উঠলো, অবাকের স্বরে বলে উঠলো…
– উনি ডাক্তার।
– জ্বি।
– আমার কি ভাগ্য একজন ডাক্তার আমার দোকানে ফুচকা খেলো।
– এই নিন আপনার টাকা।
– বাবু খুচরো দিন না।
– খুচরো নেয় পুরোটাই রেখে দিন। আবার আসবো এখন আসছি।

নিশান মহুয়াকে নিয়ে একটা শপিং মলে আসলো। নিশান কে মহুয়া প্রশ্ন করলো…
– এইখানে কেন?
– ভাবলাম কিছু কেনাকাটা করে যায় চলো।

মহুয়া আর নিশান কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরলো।ফুল পড়শোনা করছিলো, কলিং বেলের আওয়াজ শুনে দরজা খুলে দেখলো মহুয়া আর নিশান ব্যাগ হাতে এসেছে।

– পানি দেবো না শরবত।
– পানিই দাও(মহুয়া)

ফুল পানি এনে মহুয়াকে দিলো। মহুয়ার পানিটা খেয়ে ফুলের হাতে দুটো প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে বললো…
– এইগুলো তোমার।
– এসবের কি দরকার ছিলো।
– এইগুলো তোমার রাখো।

মহুয়া নিজের ঘরে গিয়ে নিশানের সাথে‌ কাটানো মুহূর্তগুলোর কথা ভাবতে লাগলো। মহুয়া নিজের মনে প্রশ্ন করলো…
– আমার কি করা উচিত। আমার কি নিশানকে মেনে নেওয়া উচিত।

অন্যদিকে….

– স্যার M.A.N এর আসল পরিচয় জানতে পেরেছি।
– হ্যা বলো।
– ওনার পুরো নাম মৃন্ময় আহমেদ নিশান।

নামটা বজ্রঘাতের মতো চমকালো লোকটার কাছে।

– কিসব বলছো তুমি।।
– হ্যা স্যার আমি জেনেছি।
– ঠিকাছে তুমি যাও।

লোকটা নিজের স্থান ত্যাগ করলো। ব্যক্তিটি গভীর চিন্তায় চিন্তিত হয়ে পড়লো।

নিশান ঘরে এসে দেখলো মহুয়া কোনো একটা বিষয় নিয়ে চিন্তিত হয়ে আছে।

– কি ভাবছো মহু।
– কিছু না।
– তোমাকে একটা বিষয় বলার আছে আমার।
– কি কথা।
– আমি তোমাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে যাবো।
– তোমাদের বাড়ি মানে?
– আহমেদ ভিলা।
– কিন্তু কেন?
– দরকার আছে, প্লিজ না বলো‌না।
– আমি পারবো না।
– প্লিজ মহু এইরকম করো না।
– আচ্ছা যাবো।

অন্যদিকে…

– এটা হতে পারে না, মহুয়া শুধুমাত্র আমার শুধু আমার। আমি কিছুতেই মহুয়াকে অন্য কাউকে হতে দেবো না। আমি আসছি খুব শীঘ্রই ,,মহুয়ার সংসার জীবনে ঝ’ড় উঠবে ঝ’ড়,,মহুয়া আমার না হলে আর কা’রোর হবে না।

মহুয়ার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে ক্রিশ কথাগুলো বললো। ক্রিশ দেশের বাইরে চলে গিয়েছিলো, মহুয়ার কোনো রকম খোঁজ পাইনি মহুয়া ৩ বছর আগে নারায়নপুর থাকাকালীন কোনো কারনে ক্রিশের সাথে সব রকমের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ক্রিশের কাছে খবর এসেছে মহুয়া বিয়ে করেছে, ক্রিশ পাগল হয়ে উঠেছে, জেদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, নিশান আর মহুয়ার জীবনে আবারো আসতে চলেছে ঝ’ড় কি হবে এর পরিনাম।

পরেরদিন…

মহুয়া নিশানের সাথে আহমেদ ভিলার উদ্দেশ্য রওনা দিলো‌ সাথে ফুল ওহ আছে।

মহুয়ার পরনে লাল রঙের বেনারসী। নিশানের কথামতোই মহুয়া নতুন বউয়ের সাজে সেজে উঠেছে। আহমেদ ভিলার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল টিপতেই একজন এসে দরজা খুলে দিলো , নিশান গাড়ি পার্কিং করতে‌গেছে, ফুল পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও প্রথমে কারোর নজর পড়বে না ওর্ দিকে।

– এই মেয়ে কে তুমি।
– আমি মহুয়া।
– কে মহুয়া…… বড়ো মা মেজ মা ছোট মা দেখে যাও একটা মেয়ে বিয়ের সাজে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

মেয়েটার এমন কাজে বসার ঘরে ভিড় জমলো। সকলেই অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,মহুয়ার নিজেকে অদ্ভুত প্রানী মনে হচ্ছে। কিরকম একটা অস্বস্তি হচ্ছে।

– মহুয়া তূমি এইখানে?

একজন চমকে উঠে মহুয়ার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো।মহুয়া সামনে তাকিয়ে দেখলো নিশানের সাথে ওকে দেখতে যাওয়া ব্যক্তিদের মাঝে একজন প্রশ্নটা করেছে, মহুয়ার ভীষন অস্বস্তি হচ্ছে। নিশান কোথায় গেলো এখনো আসছে না কেন ভেবে গালাগালি করছে মনে মনে।

নিশান মহুয়ার পাশে এসে দাঁড়াতেই সকলে আরেকদফা চমকে উঠলো..

একজন গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো…
– এসব কি হচ্ছে মৃন্ময়,এসব কি ফাজলামি।
– মা আমি ওকে বিয়ে করেছি।
– তোমার সাহস কিভাবে হলো‌ এইভাবে হুট করে বিয়ে করার।

নিশান চুপ করে আছে, মহুয়া ভয় পাচ্ছে, ঝামেলা আর ভালো‌লাগছে না ওর।

– মা এইভাবেই কি আমাকে দাঁড় করিয়ে রাখবে।
– তুমি এইসব কাজ কার পারমিশন নিয়ে করেছো,আর এখন এই বাড়িতে কেন এসেছো।
– আমি পারমিশন দিয়েছি…

সকলে চমকে উঠলো।

#চলবে…

ক্রিশ কে ফেরত আনলাম। সবাই চকলেট দাও আমাকে?

ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
হ্যাপি রিডিং ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here