#Love_With_Dragon
#Episode_21(২য়_খন্ড)
[✖️গল্পটি কাল্পনিক দয়া করে কেউ বাস্তব এর সাথে তুলনা করবেন না✖️]
(?? ড্রাগন রাজ্য ??)
— রাহুল ইরাকে রেখে আসলে কোনো সমস্যা হবে না ইরার… (মাস্টার)
— মাস্টার ইরা ড্রাগন কন্যা ও নিজেকে নিজে রক্ষা করতে পারবে।(রাহুল)
— ও এখনো বাচ্চা মেয়ে রাহুল।হিউগো যে কোনো সময় ক্ষতি করে ফেলবে ইরার।হিউগোর থেকে সাবধান। ( মাস্টার)
— রাহুল ওই সময়ের ঘটনার জন্য আজ ও আমি লজ্জিত তোমাদের দুই ভাইয়ের কাছে। আমাকে মন থেকে ক্ষমা করেছ তোমরা.…..(মাস্টার)
[*(( মাস্টার হিউগো আর পিটাসের সাথে হাত মিলিয়ে ড্রাগন কিং রোহিতকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।কিন্তু সৃষ্টিকর্তা অন্য কিছু চেয়েছিলেন।যুদ্ধের আগেরদিন মাস্টার পিটাস আর হিউগোকে না জানিয়ে তাদের সাথে দেখা করতে যান।মাস্টার সেখানে গিয়ে দেখলেন পিটাস আর হিউগো নিজেদের মধ্যে কথা বলছে।মাস্টার কক্ষে ডুকতে গিয়ে তাদের কথোপকথন শুনে থেমে গেলেন।মাস্টার কক্ষে প্রবেশ না করে কক্ষের বাহিরে দাঁড়িয়ে তাদের কথোপকথন শুনতে লাগলেন।
— আমরা যে মাস্টারকে ঠকাচ্ছি এইটা যেন মাস্টার কিছুতেই না জানতে পারে পিটাস।(হিউগো)
— আরে হিউগো চিন্তা করিস না শুধু তুই আর আমি জানি আর কেউ জানে না আর জানতেও পারবে না টেনশনমুক্ত থাক।(পিটাস)
— আমরা ড্রাগন রাজ্য ড্রাগন কিং এর থেকে ছিনিয়ে নিয়ে দু’জন ভাগাভাগি করে রাজ্য চালাব আর মাস্টারকে মেরে ফেলব। এখন শুধু মাস্টারই আমাদের পথের কাটা। (হিউগো)
— হা হা হা।একদম ঠিক বলেছিস হিউগো।(পিটাস)
মাস্টার এইসব শুনে অনেক কষ্ট ফেলেন সাথে নিজের খারাপ কাজের জন্য অনুতপ্ত হলেন।মাস্টার সেইদিনই রোহিতের কাছে সব বলে দিলেন সাথে ক্ষমা ও চাইলেন। রোহিত মাস্টারকে ক্ষমা চাইতে দেখে জড়িয়ে ধরে বলে,,,
— মাস্টার আপনি আপনার ভুল বুঝতে পেরেছেন এইটাই অনেক।পিটাস আর হিউগোর চক্রান্তে আমার বাবা- মাকে হারিয়েছি।বাবার জায়গা আপনাকে দিয়েছি।আপনি আমাদের সবার গুরু।আমরা সবাই আপনাকে ভালোবাসি আপনি আর এই বিষয়টি নিয়ে মন খারাপ করে থাকবেন না।
রোহিতের কথায় মাস্টার কেঁদে দিলো। মাস্টার রাহুলের কাছে ও ক্ষমা চাইল।রাহুল ও মাস্টারকে ক্ষমা করে দিল। ((যারা প্রথম খন্ড পড়েছেন তারা বুঝবেন)))*]
বর্তমান…..
— মাস্টার আগের কথাগুলো না বলাই ভালো।যা হবার হয়ে গেছে আপনি আমাদের গুরুজন আমরা এইসব ব্যাপার মনে রাখিনি। (রাহুল)
— রাহুল ইরা বাচ্চা মেয়ে ওর বেশিরভাগ শক্তি লক হয়ে আছে।আর যেসব শক্তি ইরা এখন ইউজ করতে পারছে সেই শক্তি গুলো যেন কোনো মানুষের সামনে ইউজ না করে। যদি শক্তির উলটপালট হয় তাহলে মানুষের ক্ষতি হবে।তাই আমি আগেই তোমায় বলে রেখেছি।(মাস্টার)
— আমি ইরাকে আগেই বলে দিয়েছি মাস্টার। (রাহুল)
— ভালো করেছ। (মাস্টার)
____________________________
— “লুকিয়ে কোথায় যাচ্ছ”…..?
পিছন থেকে কন্ঠ শুনেই অধরার হাত – পা কাঁপা-কাঁপি শুরু করলো। অধরার হাত থেকে ব্যাগ পরে গেল।অধরা কাঁপা শরীর নিয়ে পিছনে ফিরলো।
— “কোথায় যাচ্ছ লুকিয়ে”…? কথার জবাব দেও…
অধরা কোনো কথা না বলে দরজার কাছে এসে দরজা খুলার চেষ্টা করছে কিন্তু দরজা কিছুতেই খুলছে না।অধরার এখন কান্না করতে ইচ্ছে করছে। সে যে এইভাবে ধরা পরে যাবে বুঝতে পারেনি।
— “যতই চেষ্টা করো দরজা খুলবে না।এভাবে ব্যাগ নিয়ে চোরের মতো কোথায় পালাচ্ছ”…….?
অধরা কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে,,,,,,
— আ……আমায় যেতে দিন প্লিজ আমাকে মারবেন না…..?….(অধরা)
রোহিত কিছু না বলে অধরার কাছে আসতে লাগলো। অধরা ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
— প্লিজ আমার কাছে আসবেন না।আপনি একটা ড্রাগন আপনি কি ওই নেকড়ে আর ভাম্পায়ারদের মতো আমাকে ও মেরে ফেলবেন।আমায় যেতে দিন প্লিজ…. ?….(অধরা)
রোহিত অধরার কাছে এসে অধরার কপালে হাত রাখলো।অধরাকে অজ্ঞান করে দিল রোহিত। অধরাকে অজ্ঞান করে রোহিত অধরাকে কোলে তুলে নিলো।
_____________________________
(?? ড্রাগন রাজ্য ??)
— ভাই রিদিয়াকে এখানে কেন নিয়ে আসলি…(রাহুল)
— হ্যাঁ রোহিত রিদিয়াকে এখানে নিয়ে আসলে কেন…(মাস্টার)
— মাস্টার যে করেই হোক ওর আগের স্মৃতি ফিরিয়ে দিন।আজও হিউগো নেকড়ে পাঠিয়েছে ওকে মারার জন্য । ওর স্মৃতি না আসলে অনেক বড় বিপদ হয়ে যাবে মাস্টার। ওকে আবার সেই আগের জন্মের মতো শেষ করে দিবে হিউগো। এবার ওর কিছু হলে আমি নিজেকে ধ্বংস করে দিব। (রোহিত)
— একটা উপায় আছে ওকে নিয়ে আসো আমার সাথে ….. (মাস্টার)
— রাহুল রিদিয়ার সব বন্ধুদের নিয়ে আয় আর সাথে মিহি, ইরা, ফুপিমণিকে নিয়ে আসবি। ওদের যেকোনো সময় হিউগো ক্ষতি করতে পারে।ওদের সবাইকে প্রাসাদে নিয়ে আয়।
মাস্টার রোহিতকে কিং জাফরের গোপন কক্ষে নিয়ে আসল।
— মাস্টার বাবার কক্ষে কেন নিয়ে আসলেন…(রোহিত)
— এখনই বুঝতে পারবে কেন নিয়ে এসেছি। তুমি রিদিয়াকে শুইয়ে দেও খাটে।(মাস্টার)
মাস্টারের কথায় রোহিত রিদিয়াকে খাটে শুইয়ে দিলো। মাস্টার কিং জাফরের ম্যাজিকেল আলমারি থেকে ম্যাজিকেল বই বের করে রিদিয়ার মাথার সামনে রাখলো।
রাহুল সবাইকে নিয়ে কিং জাফরের গোপন কক্ষে চলে আসল।
— আসতে কোনো অসুবিধা হয়নি তো। (রোহিত)
— না কিং হয়নি। (আকাশ)
মাস্টার ম্যাজিকেল বইকে রিদিয়ার আগের জন্মের স্মৃতি ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করলো।
মাস্টার বলার সাথে সাথে ম্যাজিকেল বইয়ের ভিতর থেকে রিদিয়ার আগের জন্মের সব কাহিনী বেরিয়ে রিদিয়ার মাথায় ডুকতে শুরু করলো।স্মৃতিগুলো যখন ওর মাথার ভিতর প্রবেশ করছিল রিদিয়া তখন চটপট করছিল ব্যাথায়। সব কিছু স্পষ্ট হতে লাগলো রিদিয়ার।
এরই মধ্যে নেকড়েরা ডুকে পরে কিং জাফরের গোপন কক্ষে।
— মাস্টার হিউগো চলে এসেছে এখন কি হবে….(রাহুল)
— ভয় পেও না ওদের সাথে তোমরা সবাই লড়াই করো এদিকে আমি আর রোহিত রিদিয়াকে দেখছি। (মাস্টার)
মাস্টারের কথায় সবাই নেকড়েদের সাথে লড়াই শুরু করে দিলো।
সুযোগ পেয়ে একটি নেকড়ে রিদিয়ার কাছাকাছি চলে আসে।রিদিয়ার মাথার কাছ থেকে ম্যাজিকেল বইটি সরিয়ে ফেলে।রোহিত নেকড়েটাকে মারতে শুরু করলো।
এই সুযোগে হিউগো ম্যাজিকেল চাকু নিয়ে এসে রোহিতের পিঠে ঢুকিয়ে দিবে তার আগেই রিদিয়া ব্লেড দিয়ে হিউগোর হাতের শিরা কেটে দিল। হিউগোর হাত থেকে চাকুটি পরে গেল।
— আ…….হ্….(হিউগো)
রিদিয়া শোয়া থেকে ওঠে চাকুটি হাতে নিয়ে হিউগোর পিঠে ডুকিয়ে দিল।
চলবে……
#লেখনীতে__ফিহা
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ❌]
______________________
[বানানে ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন]
★
[গল্প সম্পর্কে গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি পাঠক-পাঠিকাদের কাছ থেকে]