মিস্টার_মাফিয়া,#সূচনা_পর্ব

0
2789

#মিস্টার_মাফিয়া,#সূচনা_পর্ব
#তানজিলা_খাতুন_তানু

“স্যার আপনার কথা মতো কাজ হয়ে গেছে।”

লোকটির কথা শুনে ওপাশের লোকটা বলে উঠলো….

-গুড,তোমরা অপেক্ষা করো আমি কিছুক্ষনের মধ্যেই আসছি

সিবাঃওকে স্যার

সিবা ফোনটা কেটে দিয়ে,তার সঙ্গীদের কাছে গেলো।

সিবাঃ ওই রামু,স্যার বললো কিছুক্ষনের মধ্যেই এখানে আসছে,সবটা ঠিকঠাক তো।

রামুঃ হা বস সবটা ঠিকঠাক।

সিবাঃ হা কোনোরকম গন্ডগোল না হয়।

রামুঃ না,বস কোনোরকম গন্ডগোল হবে না।

সিবাঃ যা,সবাইকে বলে দে,স্যার আসছে।

রামুঃ ওকে

রামু ওখান থেকে চলে যায়।

এরা সবাই হলো কা’লো জগতের সাথে যুক্ত ছোটো খাটো গু’ন্ডা,ওই দলের লিডার সিবা।

ঘন্টা খানেক পর……

সিবার দলের একজন এসে বললো- বস,একজন এসেছে।

সিবাঃপাঠিয়ে দে।

লোকটাঃ ওকে বস

ওদের কথার মাঝেই,একজন লোক ওদের আড্ডা খানায় আসলো

সিবা সহ সকলে লোকটার দিকে তাকায়,৫.১১লম্বা একটা লোক,মুখটা মাস্ক দিয়ে ঢাকা।

সিবাঃআপনি কে??

লোকটাঃ যার জন্য কাজটা করলে তাকেই বলছো আপনি কে,এটা ঠিক মানা যায় না।

সিবাঃআপনিই স্যার ( উঠে দাঁড়িয়ে)

লোকটাঃ ইয়েস

সিবাঃ সরি স্যার বুঝতে পারিনি

লোকটাঃ ঠিক আছে,কোনো প্রবলেম নেয়,তোমাকে যে কাজটা দিয়েছিলাম সেটা ঠিকঠাক করেছো তার জন্য তুমি তোমার মূল্য পেয়ে যাবে।

সিবাঃথ্যাঙ্কস স্যার

লোকটাঃএবার বলো আমার জিনিস কোথায়??

সিবাঃ এই রামু নিয়ে আয়।

রামুঃওকে বস।

রামু ভেতরে যায়,কিছুক্ষন পর ফিরে আসে সাথে একটা মেয়ে!

মেয়েটার মুখটা ওড়না দিয়ে বাঁধা আছে,হাতটাও পেছনে করে দড়ি দিয়ে বাঁধা।

রামুঃএই তো বস নিয়ে এসেছি।

সিবাঃস্যার আপনার জিনিস,ওই মুখটা খুলে দে।

রামু মেয়েটার মুখ থেকে ওড়নাটা সরিয়ে দিলো,মেয়েটাকে দেখে লোকটা চমকে উঠলো।

লোকটাঃকে এটা?

সিবাঃকে মানে,একেই তো আপনি নিয়ে আসতে বললেন

লোকটাঃ না,এই মেয়ে অন্যজন।

সিবাঃ দেখুন স্যার আমরা আমাদের কাজ করে দিয়েছি,আমাদের টাকা দিয়ে দিন আর মেয়েটাকে নিয়ে আপনি যা ইচ্ছা করুন। আমাদের টাকা দিয়ে দিলেই হবে।

লোকটা রেগে সিবার দিকে তাকালো তারপর একবার মেয়েটার দিকে তাকিয়ে কি জেনো ভেবে বললো।

লোকটাঃ তোমরা তোমাদের টাকা পেয়ে যাবে কিন্তু পরের কাজ আর তোমরা পাবে না।এই মেয়ে চলো আমার সাথে।

মেয়েটা কিছু বললো না, চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।

লোকটাঃ কি হলো কথা শুনতে পাও না।

মেয়েটা অজ্ঞান হয়ে নিচে পড়ে যায়।

লোকটাঃ আরে কি হলো,অজ্ঞান হয়ে গেলো কেন,কি দিয়েছো ওকে।

সিবাঃ এই রামু অজ্ঞান হয়ে গেছে কেন

রামুঃ আসলে বস ওকে অজ্ঞান করার জন্য ড্রাগসের ইনজেকশন পুশ করা হয়েছিলো।

লোকটাঃ হোয়াট,তোমরা কি পাগল ক্লোরোফর্ম দিয়ে করলেই হতো ড্রা”গস দিয়েছো মেয়েটাকে ধারনা আছে তোমাদের এতে মেয়েটার কি ক্ষতি হতে পারে।

সিবাঃ এই স্যার বেশি জ্ঞান দেবেন না ভালো হবে না,আমরা কিন্তু ভালো লোক নয় আপনার অবস্থা খারাপ করে দেবো আমাদের সাথে অনেক বড় বড় মাফিয়াদের যোগসূত্র আছে।

লোকটাঃ কাদের কাদের সাথে আছে শুনি।

সিবাঃ Black world এর সাথে আমার সম্পর্ক আছে জানেন।

লোকটাঃ ওহ তাই নাকি

সিবাঃ হা

লোকটাঃ আমি কে জানো?

সিবাঃ কে আপনি?

লোকটাঃব্ল্যাক ওয়ার্ল্ড দলের লিডার এর ভাই।

কথাটা শুনে প্রত্যেকে চমকে উঠলো।

সিবাঃ আপনি ব্ল্যাক ওয়ার্ল্ড দলের লিডার এর ভাই!

লোকটাঃ হূম,তাই আমাকে এসব ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

সিবাঃসরি স্যার আমাদের ভুল হয়ে গেছে

লোকটাঃ ঠিকাচ্ছে।

লোকটা মেয়েটাকে কোলে তুলে নিয়ে ওখান থেকে চলে যায়।

রামুঃবস এটা কি হলো,এত বড়ো দলের লিডারের ভাই আমাদের মত সাধারণ গুন্ডাদের দিয়ে কাজ করালো

সিবাঃ এটাই হচ্ছে, ব্ল্যাক ওয়ার্ল্ড দলের কাজ,ওরা নিজেরা কোনো বড়ো কাজ করেনা,ছোটোদের দিয়ে করাই আজ পর্যন্ত কেউ ওদের লিডারকে দেখেনি,কোনো পুলিশ আজ পর্যন্ত ওকে ধরতে পারেনি।

রামুঃ হেব্বি চালাক তো

সিবাঃ হা,অনেক পুলিশ কেস আছে কিন্তু একটাতেও ওদের কোনো লোক ধরা পড়েনি, খুব চালাকির সাথে নিজের প্ল্যান সাকসেস ফুল করে ব্ল্যাক কিং।

রামুঃ বস আমি তো ব্ল্যাক কিং এর ফ্যান হয়ে গেলাম।

সিবাঃ অনেক কাহিনী আছে ব্ল্যাক কিং এর, কোনো কাজ করার পর কোনো সূত্র ছেড়ে যায় না,তাই কেউ এখনো তাকে ধরতে পারেনি আর পারবেও না।

ওদিকে…….

লোকটা মেয়েটাকে নিয়ে একটা বাড়িতে নিয়ে আসে।

লোকটার কোলে একটা মেয়েকে সকল সার্ভেন্ট অবাক হয়।

লোকটাঃ তিশা

তিশাঃ বলুন স্যার।

লোকটাঃ গেস্ট রুম টা খুলে দাও,আর কেউ ডক্টরকে ফোন করো।

লোকটা তাড়াতাড়ি গেস্ট রুমে গিয়ে মেয়েটাকে শুইয়ে দেয় কিছুক্ষনের মধ্যেই ডক্টর চলে আসে।

লোকটাঃ ডক্টর দেখুন মেয়েটাকে।( মুখের মাস্কটা খুলে)

ডক্টরঃ রুহান কি হয়েছে,মেয়েটার?

রুহানঃ মেয়েটাকে ড্রা”গস ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।

ডক্টর একবার রুহানের দিকে তাকিয়ে মেয়েটাকে দেখতে লাগলো।রুহানের মুখে চিন্তার ছাপ দেখা যাচ্ছে,কারন সে চাই না কোনো নিরপরাধ মানুষের তাদের কারনে ক্ষতি হোক, আর এটা ওর দাদা জানতে পারলে রেগে যাবে তাই চিন্তা হচ্ছে।রুহান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উশখুশ করছে।

হঠাৎ একটা গম্ভীর পুরুষালি কন্ঠ শুনতে পাওয়া গেলো- কি হয়েছে এখানে।

রুহান তাকিয়ে দেখলো ওর দাদা রিকান এসেছে।

(নায়ক- রিকান ৬ ফুট লম্বা,গায়ের রং উজ্জল ফর্সা,একদম বিদেশীদের মতো, চোখের মনি গাঢ়ো বাদামি রঙের,জিম করা সিক্সপ্যাক বডি,রিকানের গালে টোল পড়ে,ওর টোল পড়া গালের হাসিতে হাজারো মেয়ে ফিদা। রিকান একজন বড়ো বিজনেস ম্যান পাশাপাশি মাফিয়া।)

(রুহান ওহ দেখতে অনেকটা রিকানের মতো কিন্তু রিকানের মতো ওর গালে টোল পড়ে না। তবে রুহানের পেছনেও রয়েছে মেয়েদের লাইন। সব মেয়েদের ড্রিম বয় রিকান আর রুহান। ওরা যে মাফিয়া জগতের সাথে যুক্ত এটা ওরা ছাড়া কেউ জানেনা। )

রুহানঃআসলে দাদাভাই

রিকান ওকে চুপ করতে বলে,ডক্টরকে জিজ্ঞাসা করলোঃ কি হয়েছে

ডক্টরঃ ড্রাগস দেবার জন্য অজ্ঞান হয়ে গেছে চিন্তার কিছু নেয় কিছুক্ষন পর জ্ঞান ফিরে আসবে।আমি ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি।

রিকানঃওহ,রুহান ওনাকে আগিয়ে দিয়ে আয়।

রুহানঃচলুন

রুহান আর ডক্টর চলে যায়, রিকান রুম থেকে চলে যাচ্ছিল কিন্তু যেন ভেবে পেছনে ঘুরে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে অবাক হলো

রিকানঃ এ কে?

রিকান ভালো করে মেয়েটাকে দেখতে লাগলো-

মেয়েটার হাইট ৫”২ হবে, চিকন,গায়ের রং ফর্সা,গোলাপি ঠোঁট, এলোমেলো চুল আর ঘুমন্ত মুখ দেখে রিকানের মনে এক অদ্ভুত অনুভূতি হতে লাগলো।

রিকান ওখানে এক মুহূর্ত না দাঁড়িয়ে ওখান থেকে চলে যায়।

রুহান ডক্টর কে এগিয়ে দিয়ে এসে ওর দাদার কাছে যায়

রুহানঃদাদাভাই আসবো

রিকানঃআয়

রিকান রুহান কে একটা প্রশ্ন করে রুহান রিকানের দিকে ঢোক গিলে তাকায় ওহ যেটা ভয় করেছে সেটাই হলো……

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here