অনুভবে_ভালোবাসি,পার্ট_২

0
985

#অনুভবে_ভালোবাসি,পার্ট_২
#লেখনীতেঃতানজিলা_খাতুন_তানু

হাসান ভিলা-

একটা বাচ্চা মেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে গেটের সামনে আসা মানুষটার পেছনে লুকিয়ে পড়ে আর বাচ্চা মেয়েটার পেছনে আসেন মিসেস অমিত হাসান।

মিসেস হাসান- দিদিভাই চলে এসো পুরোটা খেতে হবে

(বাচ্চাটি হল হাসান ভিলার সবচেয়ে ছোটো সদস্য,অভিক হাসান আর রূদ্ধি হাসানের একমাত্র মেয়ে আরুশী হাসান।বয়স ৩বছর। ডাকনাম পাখি।)

অনিক-আমার মামুনি খাচ্ছে না কেন(আরুশীকে কোলে তুলে)

পাখি- আডকে মেতা বলছিল আমাড সাতে
কেলভে( আদো আদো কন্ঠে)

অনিক- কেন মেতাব আসেনি মামুনি(চুমু খেয়ে)

পাখি- না(মন খারাপ করে)

অনিক- আজকে আমি আমার মামুনির সাথে খেলবো

পাখি-সত্যি(খুশি হয়ে)

অনিক- হুম।তবে আগে তুমি খেয়ে নাও। নাহলে আমি খেলবো না

পাখি- আমি খাছি কাকাই তুমি খেলবে তো আমার সাথে

অনিক- হুম প্রমিস।যাও এবার

পাখি-দিদু আমি খাবো

মিসেস হাসান- ঘরে যাও আমি আসছি।
পাখি চলে গেল।

মিসেস হাসান-কীরে চলে এলি এত তাড়াতাড়ি

অনিক- এমনি। দাদাভাই,বউদিভাই ,বাপি কোথায়

মিসেস হাসান- অভিক হসপিটাল গেছে,রূদ্ধি রান্না করছে আর তোর বাপি অফিসে।

অনিক- ওও

মিসেস হাসান- তুই ঘরে যা আমি পাখিকে খাইয়ে দিই

অনিক -হুম

মিসেস হাসান চলে গেল,অনিক ওর ঘরে।

(এই হল হাসান পরিবার।অমিত হাসান ও আনিকা হাসানের দুই ছেলে অভিক আর অনিক।অভিক একজন ডাক্তার। অভিকের স্ত্রী রূদ্ধি ও একজন উচ্চ শিক্ষিতা।আর বাড়ির ছোটো ছেলে অনিক।ও এখন B.A last year পড়ছে। )

ওদিকে তানিশা আর আদির ঝগড়াটা রিয়া লক্ষ্য করছিল ।আদি চলে যেতেই রিয়া তানিশার সামনে
আসলো।

রিয়া-এই তুমি ইচ্ছা করে আদিকে ধাক্বা দিয়েছো তাইনা

তানিশা-চোখে কী বেশি দেখেন নাকি

রিয়ার পেছনে ওর বন্ধু গুলোও আসে। তানিশাকে কথা বলতে দেখে অবাক হয়ে যায়

নেহা-তুমি বোবা নও

তানিশা-না

সৌভিক-তাহলে কাল

তানিশা-আমি বা আমার বন্ধুরা কি বলে ছিলাম আমি বোবা (সৌভিককে বলতে না দিয়ে)

রিয়া-তুমি আদির থেকে দূরে থাকবে।

তানিশা- মানে

রিয়া- আদি শুধু আমার ।ওর দিকে কেউ তাকালে‌ আমি তাকে শেষ করে দেব।

তানিশা- ওওওও

নেহা- রিয়া শান্ত হ ।আদির কত মেয়ে এর গেল তাদের কাউকে ওর পছন্দ হলো না আর এই মেয়েকে আদির নাকি পছন্দ হবে ,হাসালি (ব্যঙ্গ করে)

রিয়া একনজর তানিশাকে দেখলো- হালকা ফর্সা, চোখে বড়ো ফ্রেমের চশমা ,পড়নে একটা সস্তার সালোয়ার কামিজ ।চুলটা খোঁপা করা।পায়ে একটা কমাদামি জুতো । কাঁধে ব্যাগ ,হাতে একটা পুরনো ঘড়ি।কানে একটা টপ পরেছে ।এককথায় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের যেমন সাজ।

রিয়া – আদির আশেপাশে না দেখি কথাটা মাথায় রেখো।

রিয়া চলে গেল সাথে সাঙ্গপাঙ্গরা । তানিশা একটা বাঁকা হেসে ক্লাসের দিকে চলে গেল।

অন্যদিকে-

মেঘ- আদি চৌধুরী এই প্রথমবার একটা মেয়ের সাথে ঝগড়া করলো। সবাই আদির ধমকেই চুপ আর মেয়েটা(হাসতে হাসতে)

আদি- তুই হাসচ্ছিস( রেগে)

মেঘ – সরি বাট কি রোমান্টিক সিন

আদি -তুই থাক আমি বাড়ি গেলাম ,আদি রাগ করে চলে গেল।

আনন্দ ভিলা-

মিসেস চৌধুরী নিজের ছেলেকে এই সময়ে বাড়িতে দেখে অবাক হলেন

অনুরাধা- কিরে বাবাই তুই বাড়িতে এখন

আদি-কেন আস্তে মানা নাকি

আদিরা-মানা না তবে অসম্ভব

আদি-কেন(ভ্র কুচঁকে)

আদিরা – তুই তো বেস্ট স্টুডেন্ট একটাও ক্লাস মিস করিস না তাই

আদি – আদি পুরো ঘটনাটা বললো

অনু-মানে আমার বাবাই এর জীবনে নতুন মানুষের আবির্ভাব (খুশি হয়ে)

আদি-মম তুমি জানো এটা পসিবেল না তবুও কেন বলছো(করূন কন্ঠে)

অনু-যে নেই তাকে আকড়ে ধরে কোন লাভ নেই

আদি- লাভ লোকসান জানিনা তবে ও আমার জীবনে সারাজীবন থাকবো (আদি নিজের রুমে চলে
গেল)

আদিরা- মম দাদাভাই ওকে খুব ভালোবাসে তাই না

অনু-হুম। সেজন্য এখনো ভুলতে পারেনি,কস্ট পাচ্ছে এতগুলো বছর (চোখ মুছতে মুছতে চলে গেলেন)

আদিরা- আল্লাহ দাদাভাই এর সব কস্ট মুছে দাও।

তানিশা বাইরে বসে ছিল ।ক্লাস চালু হয়ে গিয়েছিল বলে আর ঢোকেনি।ক্লাস শেষে ঢুকলো

নীলা- এত দেরী হলো কেন

তানিশা- এমনি

নিঝুম- মিতু সত্যি করে বল তোর সাথে মেঘের কী সম্পর্ক ?

মিতু- মেঘ আর আমার বিয়ে ঠিক করা আছে (লজ্জা পেয়ে)

নীলা- সত্যি

মিতু-হুম

নিঝুম- কলেজের কেউ জানে বলে তো মনে হচ্ছে না

মিতু -হুম কেউ জানে না এসব।

নীলা-ওওও

তারপর ওদের টিচার আসে আর ক্লাস শুরু হয়।

রাত্রিবেলা-

আদি বারান্দায় বসে আছে ।

আদি- কী দোষ করেছিলাম আমি ,কেন আমাকে একা ফেলে চলে গেলে । তুমি জানো না তোমার আদি তোমাকে ভালো থাকবেনা তবুও তুমি আমাকে একা রেখে চলে গেলে। তুমি আমার কাছে নেই তবুও আমি তোমাকেই ভালবাসি #অনুভবে_ভালোবাসি আমি জানি তুমি আমার আশেপাশেই আছো , আমাকে দেখছো আমি তোমাকে অনুভব করি ।কেন আল্লাহ আমার সাথে এমন করলেন একবার ফিরে আসো না একবার।(আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখের কোনে জল জমতে শুরু করেছে)

আদির ধ্যান ভাঙল আদিরার ডাকে

আদিরা- ওই দাদাভাই মম খেতে ডাকচ্ছে ।

আদি- আসচ্ছি

আদি চোখ মুছে নীচে চলে গেল।[[ আদি কার কথা মনে করে কস্ট পাচ্ছে?]]

পরেরদিন–

মেঘদের বাড়ীতে-

মিসেস আহমেদ- কীরে এত তাড়াতাড়ি করে যাচ্ছিস কোথায়

মেঘ- আজকে একজনের বারোটা বাজিয়ে দেবো

মিসেস আহমেদ- কার

মেঘ- একটা মেয়ের এসে সব বলবো এখন আসি বাই

আজকে কলেজে একটা টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে ।

কলেজের গেট দিয়ে ২টো দামি গাড়ি প্রবেশ করলো। গাড়ি থেকে নামলো রিয়ার বাবা।
তিনি প্রিন্সিপাল এর রুমে গেলেন সেখানে মেঘ,অনিক,আদি ,রিয়াও ছিল।আদি ওনাকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকালে।

প্রিন্সিপাল- মিস্টার রায়হান আপনাকে এখানে ডাকা হয়েছে তার কারণ টা হলো

আদি- আমি বলছি(বলতে না দিয়ে বললো)

যা বললো এরপর তা শুনে সবার ওখানে উপস্থিত সবার চোখ চরক গাছ।

আদি- আঙ্কেল আপনাকে যে জন্য ডাকা হয়েছে সেটা হলো রিয়ার দিকে একটু খেয়াল করবেন । আগের বার এর মতো‌ না হয় তাহলে মনে হয় না কলেজ কর্তৃপক্ষ ওকে আর রাখবে।

মিস্টার রায়হান- হুম (লজ্জিত কন্ঠে)

আদি – আর একটা কথা কিছুদিন পর আমাদের কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান তাতে আপনি আসবেন প্লিজ।

মিস্টার রায়হান- আমি আসার চেষ্টা করবো ।

আদি- thanks ☺️

মিস্টার রায়হান- আমি তাহলে আসি এখন

প্রিন্সিপাল- অবশ্যই

মিস্টার রায়হান চলে গেলেন সাথে রিয়া ও ।

অনিক- আদি কি হলো এটা । তুই রিয়ার বাবাকে ডাকলি একটা কারণে আর বললি অন্য কথা (হতবাক হয়ে)

আদি- বাদ দে এসব কথা। স্যার আসি তাহলে

প্রিন্সিপাল- ওকে।

আদি রা বেরোতেই মিতু ওদের সামনে আসলো

মিতু- কী হলো ভেতরে

অনিক- কচু হলো

মিতু- মানে

মেঘ- আদি রিয়ার ব্যাপারে এর বাবাকে শুধুমাত্র রিয়ার পড়াশোনার জন্য বলেছে ।আর কিছু বলে নি

মিতু- কী

আদি- বাদ দে না এসব মিতু- ওকে ।চলো সবাই আমার সাথে

অনিক- কোথায়

মিতু- আমার বান্ধবীদের সাথে গল্প করবে

আদি- কী? আমরা কেন তোর বান্ধবীদের সাথে গল্প করবো

মিতু- প্লিজ চলো না

মেঘ- চল একটু শালিকাদের সাথে গল্প করে আসি
আদি – তুই যা আমি যাবো না

অনিক- তুই যাবি (আদি কে টেনে নিয়ে গেল)

তানিশারা মাঠে একটা জায়গায় বসে গল্প করছিল। অনিক এসে আদিকে তানিশার পাশে বসিয়ে দিয়ে নিজে আদির পাশে বসলো।

নীলা- হাই জিজু কেমন আছেন

মেঘ- ভালো আছি । তোমরা

নিঝুম- ভালোই

মেঘ- এই তুমিই সে মেয়ে তাইনা

অনিক- সেই মেয়ে মানে

মেঘ- আদির সাথে কালকে ঝগড়া করেছিলো ও

আদি কথাটা শুনে তানিশার দিকে তাকায়। আর তাকিয়ে ছোটখাটো মুগ্ধ হয় । আদি তানিশার দিকে তাকিয়ে থাকে- হালকা পিংক কালারের সালোয়ার কামিজ পড়া চুলটা খোঁপা করা, চোখে চশমাটা না থাকায় ডাগর ডাগর চোখ গুলো স্পস্ট বোঝা যাচ্ছে। মায়াবী মুখটার মুগ্ধতায় আদি ডুবে যাচ্ছে

মিতু- কী দাদাভাই এর সাথে নিশা ঝগড়া করেছে?
মিতুর কথায় আদির ঘোর কাটে।

তানিশা- ওই বেশি কথা বলবিনা , আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ছিল তাই আমি ঝগড়া করেছি (আদিকে ভেংচি দিয়ে)

আদি – ওই মেয়ে আবার ভেংচি কাটছো (রেগে)

তানিশা- ওই মেয়ে না আমার একটা নাম আছে তানিশা । আমাকে তানিশা ডাকবেন তাহলেই হবে ।আর আমার মুখ আমি যা ইচ্ছা করবো আপনার কী।

আদি- এই আবার ঝগড়া করছো এটা কিন্তু ভালো হচ্ছে না বলে দিলাম আমার সাথে ঝগড়া করার ফল তুমি পাবে( আদি রেগে চলে গেল)

মেঘ -ওই আদি দাঁড়া (মেঘ চলে যাবে বলে উঠছে তানিশা হাত ধরে বসিয়ে দিল)

তানিশা- দুজনে চুপচাপ বসে থাকেন

অনিক আর মেঘ একে অপরের দিকে করুন চোখে তাকাল

তানিশা- মেঘ দা কবে বিয়ে করছেন

মেঘ- শালিকা তুমি বলতে পারো অসুবিধা নেই।

তানিশা- কবে বিয়ে করবে

মেঘ- কেন

তানিশা- আমার কত প্ল্যান আছে তোমাকে জব্দ করার জন্য

মেঘ- বিয়ে তো আরো ২ বছর পর আমার পরিক্ষা শেষ হবার পর বিজনেস দেখাশোনা করবো ।তারপর বিয়ে ।

তানিশা-ওওও

অনিক- আমার কবে বিয়ে হবে( করুণ কন্ঠে)

নীলা- তুমি মেয়ে খুঁজো ,প্রেম করো ।

অনিক- মেয়ে তো পাত্তাই দেই না

মিতু- কী পাত্তা দেয় না মানে?

অনিক – কিছুনা মেঘ চল ।আসি বাই

ওরা সবাই চলে গেল।

নিঝুম- ওই নিশা আমার না অনিক দাকে খুব চেনা চেনা লাগছে।

তানিশা পানি খাচ্ছিল নিঝুম এর কথা শুনে বিষম খেয়ে যায়।

নীলা- তোর আবার কী হলো ।এত তাড়াতাড়ি করিস কেন

তানিশা- আমি ঠিক আছি।ঝুম অনিক দাকে চেনা চেনা লাগছে মানে।

নিঝুম- না কিছুনা। চল বাড়ি যাবো‌।

সন্ধ্যা বেলা-

রিয়া- কেসটা কী হলো?(মনে মনে)

মিস্টার রায়হান- আর কত অসম্মান করবে আমায় তুমি (রেগে)

রিয়া- বাপি সরি এবার ভালোভাবে পরিক্ষা দেবো।

মিস্টার রায়হান- আমাকে সবাই ভয় পায় আর ওই ছেলে আমাকে এত কথা শোনালো ।ওই ছেলেটা কে?(গম্ভীর গলায়)

রিয়া- আরমান চৌধুরীর একমাত্র ছেলে আদিয়াত চৌধুরী।(বাঁকা হেসে)

মিস্টার রায়হান- ওতো পুরো বাপের মতোই। তা গাড়ি কত দূর এগিয়েছে‌।

রিয়া- ও ছেলে তো পাত্তাই দেইনা কিন্তু আমি ও রিয়া রায়হান হারার পাত্রী নয়।

মিস্টার রায়হান – এই তো আমার মেয়ের মতো কথা ।best of luck ?।

রিয়া ওর বাপি কে জড়িয়ে ধরলো।

ওদিকে –

নিঝুম- অনিক কে আমার এত চেনা লাগছে কেন ?(মনে মনে)

অন্যদিকে—–

একটা মেয়ে- কুইন ‌সোলেমান এসেছেন।
কুইন- পাঠিয়ে দাও

সোলেমান আসলো ।

সোলেমান- কুইন ডেকেচ্ছেন

কুইন- হুম । আমার দলের একজন ডার্কমাফিয়া দলের সাথে হাত মিলিয়েছে ( শান্ত কন্ঠে তবুও কন্ঠে রাগ প্রকাশ পাচ্ছে)

সোলেমান ঢোক গিলতে লাগলো

কুইন- আমি আগেও বলেছি ,আমি সব সহ্য করবো কিন্তু বেইমানি সহ্য করবো না , তাহলে কেন বেইমানি করলি বল ( সোলেমানের দিকে বন্দুক তাক করে গর্জে উঠল)

সোলেমান কুইনের পা জড়িয়ে ধরলো।

সোলেমান- কুইন আর হবে না। এবারের মতো মাপ করে দিন।( মিনতি করে)

কুইন- মাপ আর তোকে কক্ষনো না।তুই বেইমান তোর একটাই শাস্তি মৃত্যু।( সোলেমানের মাথায় বুকে ঢুকিয়ে দিল)

কুইন- ওকে নিয়ে যা ।

সোলেমানকে মারার পর একজন ফোনে বললো- বস কাজ শেষ। সোলেমান শেষ।(ফিসফিস করে)

কুইন- তুই ও শেষ

লোকটা ফোনটা কেটে দিলো

লোকটা- মানে

কুইন- ওই তুই কী আমাকে এতটাই বোকা ভাবিস ।

লোকটা ঢোক গিলে

কুইন- সোলেমান

সোলেমানকে জীবিত দেখে লোকটা কাঁপতে লাগলো।

সোলেমান- ওই তুই কী ভেবেছিলিস আমাকে ফাসাবি আর আমি বুঝতে পারবো না ।

কুইন- সব প্ল্যান আমার । তোরা তো গুটি মাত্র , তোদের মতো বেইমান কে আমি বাঁচতে দেবো না সোলেমান এটা তোমার দায়িত্ব ।নিয়ে যা ওকে।
লোকটাকে নিয়ে চলে গেল ।

কুইন- সবাই কান খুলে শুনে রাখো বেইমানির একটাই শাস্তি মৃত্যু।

সবাই ভয়ে ভয়ে চলে গেল।কুইন নিজের সিংহাসনে বসলো।

এই সব কিছু একজন দেখেছিল লাশটা নিয়ে যাবার পরই সে বললো- কুইন আমি যদি সবটা সবাইকে বলে দিই তাহলে।

কুইন- মিথ্যা ভয় দেখিয়ে লাভ নেই আয়মান

আয়মান- জানি আমি। তবুও দেখলাম।

কুইন- নাটক কম করো ।বলো কী দরকার।

আয়মান – কালকে ১২৪ জন বাচ্চাকে পাওয়া গেলেও একটি বাচ্চা নিরুদ্দেশ।

কুইন- তো

আয়মান- তো মানে বাচ্চাটি কোথায়। আমি জানি ও তোমার কাছে আছে।

কুইন- বাবা দেখি ভালোই চিনেছো আমায়।

আয়মান – হুম । বাচ্চাটি কোথায়।

কুইন- বিক্রি করে দিয়েছি( সিরিয়াস হয়ে)

আয়মান- কী?

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here