#সেই_তমসায়_৬,০৭
নুসরাত জাহান লিজা
০৬
কিছুদূর হেঁটে সামনে যেতে অ”নু”স”র”ণ”কা’রীর উদ্দেশ্য পরিষ্কার হলো ময়ূখের কাছে। ওর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করাই তার কাজ আপাতত। তাই এটা নিয়ে মাথা না ঘামানোই যৌক্তিক, তবে গা ছেড়ে দেয়া যাবে না। সদা স*ত*র্ক* থাকতে হবে।
সে প্রাসদোপম বাড়িটায় ফিরে এলো। গেটের কাছে মৃদুলার সাথে দেখা হয়ে গেল। আজ মেয়েটার অভিব্যক্তি কিছুটা অন্যরকম। আগেকার রু*ক্ষ *মূ*র্তি এখন অনুপস্থিত। সৌজন্যসূচক একটা মৃদু হাসিও ফুটল মুখে। কিন্তু কোনো কথা হলো না। তেমনই একটা হাসি ফিরিয়ে দিয়ে ভেতরে চলে এলো। সন্ধ্যা গড়িয়েছে। মেয়েটা কি কারো জন্য অপেক্ষা করছে? কার জন্য?
অনেকেই বাড়ির বাইরে এখন। সে নিজের ঘরে এসে জানালার পাশে দাঁড়ালো। খানিক বাদে দেখল মৃদুলা আর সাজিদ হেসে হেসে কথা বলতে বলতে বাগানের দিকে এসে দাঁড়ালো। এরপর খুব গম্ভীর মুখভঙ্গিতে কোনো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে বিদায় নিল। এরপর সাজিদ গেল বাগানের উল্টো দিকের ঘরের দিকে আর মৃদুলা আরও কিছুক্ষণ বাগানে হাঁটাহাঁটি করে ফিরে আসছিল। এবার ময়ূখ জানালা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিল।
এমনিতে আগ্রহটা কেবল সাজিদের দিক থেকে, মৃদুলাকে বরং মুনিমের জন্য উতলা হতে দেখেছে। আজ মনে হলো দেখার বাইরের আরও কিছু দেখতে হবে, জানতে হবে।
১৪.
রাতে খেয়ে ছাদে এসেছিল ময়ূখ। এই পরিবার কেমন যেন ছন্নছাড়া বলে মনে হয়! এদের পরিবার থাকতেও কেমন বন্য। আর সে, কখনো কখনো মনে হয় একটা পরিবার, একটুখানি পিছুটান থাকলে ম*ন্দ* হতো না! ওর মতো পো*ড়*খা*ও*য়া মানুষের মনেও কখনো সখনো বিষাদ খেলে যায়! থাকলে হে*লা*য় হা*রা*য় আর না থাকলে কী আহাজারি! বিচিত্র মানব স*ম্প্র*দা*য়!
ওর নিজের জন্য বরাদ্দ ঘরের একঘর আগে রায়হানের ঘর। সেটা পেরিয়ে নিজের ঘরে আসতে হয়। ছাদ থেকে নেমে ফেরার পথে সেই ঘরে কিছু উত্তপ্ত অথচ ফিসফিস কথা শুনে সেদিকে আরেকটু এগিয়ে কান পাতল ময়ূখ।
“ভেবেছিলাম টাকাটা হাতে পেলেই তোমার ক*ঞ্জু*স ভাইয়ের টাকাটা ফিরিয়ে দেব। কিন্তু সেটা পেলাম না। এদিকে ব্যাটা সারাক্ষণ তাগাদা দিচ্ছে।”
“এতগুলো টাকার ব্যাপার। কতদিন হয়ে গেছে। তাগাদা দেবে না?”
“আরে আমি তো বলেছি টাকা পেলেই দিয়ে দেব। এভাবে সব চু**রি হবে কে জানত। এখন জমিজমার প্রসেসিং হয়ে গেলেই সেটা বিক্রি করে দিতে চাইছি। কিন্তু ওর এখনই লাগবে।”
“তুমি তোমার নিজের বো*কা*মি*র জন্য ব্যবসায় ল*স খেয়েছ। তোমার বাবা তো তোমাকে আশি লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সেটা তো গেছেই, আমার ভাইয়ের কাছ থেকে ত্রিশ লাখ নিয়েছ সেটাও গেছে। জু**য়া দেখলে মাথায় ঘিলু কই যায়?”
“আরে, নাজমুলও টাকা পায় লাখ দুইয়েক।”
“তোমার মেয়ে বড় হচ্ছে। ঋণ শোধ দিতে গিয়ে সম্পত্তি চলে গেলে ভবিষ্যৎ কী? তোমার এসব নিয়ে চিন্তা নেই? বাড়ির কেউ জানলে মুখ দেখাতে পারবে?”
কারো পায়ের মৃদু আওয়াজ আসতেই ময়ূখ সটকে পড়ল। রায়হান ঋণে জ*র্জ*রি*ত, জু* *য়া*য় আ*স*ক্ত। বাবার টাকার উপরে তাই লো**ভ রয়েছে প্রবল। সে জানত এহসান সাহেব না গেলে কিছুই হাতে আসবে না। তার জন্য কিছু করা কী সম্ভব! যদিও টাকা লো**পা**টের সাথে তার লেনাদেনা নেই বোঝাই যাচ্ছে।
নোটবুক আর কলম বের করে কিছু জরুরি টাস্ক লিখে রাখল। আজকের মতো যথেষ্ট হয়েছে, এবার বিশ্রাম নেয়া যাক!
১৫.
ময়ূখ পরেরদিন সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ল। রাস্তায় এলোমেলো হাঁটল অনেকক্ষণ। একটা নিগুঢ় উদ্দেশ্যে আছে। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে উদ্দেশ্য চরিতার্থ হলো।
এই গ্রামের কিছু ঘর সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আলাদা করে কোনো পাঁচিল বা দেয়াল দেয়া নেই চারপাশে। অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন পরিবারের বাস এদিকে। বাড়ির সামনের দিকের উঠোনটাই রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একটা জায়গায় চার-পাঁচজন লোক মিলে কাঠ কা*ট*ছিল। খুব কাছাকাছি আরেকটা জায়গায় ধান শুকাতে দেয়া হয়েছে। গরম ভাপ উঠছে, মনে হয় সদ্য সেদ্ধ করা। সেখানেও একজন পুরুষ আর একজন নারী কাজ করছে। পাশে কয়েকটা শিশু ধুলোয় হুটোপুটি করে খেলছে। মুরগির ডাক ভেসে আসছে সেদিক থেকে।
ময়ূখ সেদিকে যেতেই একটা লোক কৌতূহলী গলায় প্রশ্ন করল, “আপনে কই আসছেন? আগে দেখি নাই।”
“আমি এহতেশাম সাহেবের বাড়িতে এসেছি। তার ছোট ছেলে সাঈদের বন্ধু।”
“ও। তা ঘুরতে আসছেন?” এবারে লোকটার গলায় সমীহ দেখা গেল।
“হ্যাঁ, তাই বলা যায়। সাঈদের মুখ থেকে ওর বাবার অনেক প্রশংসা শুনতাম। তার সাথে দেখা করার খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু..” মুখে দুঃখ দুঃখ আবহ ফুটিয়ে তুলে ময়ুখ বলল কথাটা।
“হ্যাঁ। উনি মানুষ আছিলেন একখান। কী চালচলন! জমিদারি আছিল তো এককালে। নবাবী চালে চলাফিরা করত।”
পাশ থেকে অন্য একজন বলল, “কিন্তু লাভ কী! একটা পোলাও মানুষ হইল না। অ* *ক**র্মা হইসে। বাপ দাদার নাম ডুবাইবো।”
“কেন, কী হইসে?” ময়ূখ এবার টুপ করে প্রশ্ন ছুঁ*ড়ে দিল। তবে লোকটা চু*প*সে গেছে।
“কিছু না। হ্যারা তো কিছু করে না। বাপের ট্যাকা পয়সা আছে, উড়াইতাসে।” অন্য একজন মুখ খুলল এবার।
“আপনের বন্ধু, কিন্তু আমার সত্য কইতে ড*রাই না। বুঝলেন!”
“সত্য বলাই তো ভালো। আপনাদের দেখেই বোঝা যায়, আপনারা সততা নিয়ে চলেন৷ আমার উনার সম্পর্কে জানার ইচ্ছা ছিল। কেমন মানুষ ছিলেন এহতেশাম চাচা, বলেন তো?”
এবার তাদের উৎসাহ ফিরে এলো।
“হ্যায় তো ভালা মানুষ আছিল। একটু অ* *হ* ং*কা*রী ছিল অবশ্য। তয় ওইরম মানুষের তা এট্টু থাকবই। আমগোরে তো থাকব না। তবে দান করসে দুই হাত ভইরে। কেউ সাহায্য চাইতে গেলে খালি হাতে ফিরায় নাই।”
এমন আরও কিছু স্তুতিবাক্য শুনে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিল ময়ূখ। আজও বাজারের দিকে গেল। এভাবে আরও কয়েকজনের সাথে কথা বলে যেটুকু বুঝল৷ গ্রামের লোকেরা ভদ্রলোককে শ্রদ্ধার চোখে দেখত। কেউ কেউ আ*ফ*সো*স পর্যন্ত করল।
একটা লোক সম্পর্কে ঘরের এবং পরের মানুষের দুইরকম মত। তবে তার ছেলেদের সম্পর্কে সবাই একমত। এহতেশাম সাহেবের মতো এলাকাবাসীরও ধারণা তারা অ**ক*র্ম*ণ্য। রায়হানের ব্যাপারটায় তো এটুকু পরিষ্কার ওর কাছেও। এই জন্যই হয়তো নিজের সবকিছু সন্তানদের দিতে সংশয় ছিল ভদ্রলোকের।
১৬.
রাতের খাবার খেয়ে নিজের ঘরে এলো ময়ূখ। সারাদিনের ধ*ক*লে অবসন্ন লাগছে ভীষণ। ঘুমঘুম চোখে ব্যাগের তালা খুলে নোটবুক বের করে হাতে নিল সে। সারাদিনের সঞ্চিত ত*থ্য লিখল। সেটা আবার যথাস্থানে রেখে টেবিলের কাছে এলো। সেখানে ওর একটা ব্যাগ রাখা আছে। তার ঠিক পাশে নীল রঙের একটা ছোট্ট চারকোনা কাগজ পেপারওয়েট দিয়ে চা*পা দেয়া। ময়ূখের স্পষ্ট মনে আছে খেতে যাবার আগে এটা এখানে ছিল না।
সে কাগজটা হাতে নিয়ে উল্টো পাশের লেখা জায়গাটা বের করল। তাতে কেবল একটা শব্দই লেখা,
“সা*ব* *ধা*ন*।”
আর কিচ্ছু লেখা নেই তাতে। *হু** *ম* কী* তে সে দমে না। কাগজটা ভাঁজ করে এই ব্যাগের পকেটেই রেখে দিল। ব্যাগেও যে ত* *ল্লা* *শি চা*লা*নো হয়েছে সেটাও স্পষ্ট। যে কাজটা করেছে, সে নিতান্ত আনাড়ি হাতে করেছে।
খাবার সময় সাজিদ ছিল না সেখানে, মৃদুলা আর মুনিরাও পরে এসেছে। এদের মধ্যে কেউ করেছে নাকি কাউকে দিয়ে করানো হয়েছে!
ভাগ্যিস বড় ব্যাগে তালা দেয়া ছিল। যে এটা করেছে, সে-ই নিশ্চয়ই অ*নু*সর*ণ করার সাথে যুক্ত। একটা কথাই বারবার মনে হলো, একে ধরতে পারলে অর্ধেক ধাঁধা সমাধান হয়ে যাবে!
সে চেষ্টা করছে অজ্ঞাত মানুষটার মনে ভীতি সৃষ্টি করতে। সেটা যত বেশি করা যাবে তত বেপরোয়া হয়ে উঠবে। তত দ্রুত ধরা দেবে। কিন্তু কথা হলো নিজেকে *টো*প হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে যা কিছু ঘটে যেতে পারে! তাই নিজেকেই সে চিরকুটের কথাটা শোনালো বারকয়েক,
“সা*ব*ধা*ন, ময়ূখ। সা*ব** *ধা*ন।”
……….
(ক্রমশ)
#সেই_তমসায়_৭
নুসরাত জাহান লিজা
১৭.
ময়ূখ সেদিন দু’জন সো/ র্স/কে আলাদা আলাদা করে কয়েকজনের ব্যাপারে বলেছে, এদের ব্যাপারে ত/থ্য প্রয়োজন। দু’জনেই আগামীকাল আসবে। শিরিনকে এতগুলো টাকা দেবার ব্যাপারটা বেশি ভাবাচ্ছে। ওদিকে অ/নু/স/র/ণ/ কা/রী আর হু/ ম/ কি/ দা/ তা না দা/ত্রী এটা নিয়েও ভাবিত।
ভেতরে ভেতরে এতকিছু চললেও বাইরে তার বিন্দুমাত্র আভাস নেই। বরং নির্বিকার চিত্তে সকালে সবার সাথে বসে নাস্তা করল। নাস্তা একসাথে করায় ভালো উপকার হচ্ছে ময়ূখের। সবাই কথা বলে বেশ। এসব থেকেও তাদের মনোভাব সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।
মুনিরার বর জুয়েল বেশকিছুদিন ছিল না। আজ খাবার টেবিলে দেখা গেল। তাই ধরে নেয়া যায় গতকাল এসেছে।
“পারিবারিক আলাপ করব, সেই অবস্থা এখন আর খাবার টেবিলে নেই।”
ময়ূখ তার কথা গায়ে মাখল না। সাঈদ বলল, “দুলাভাই, তোমার সাথে কথা আছে। খাবার পরে তোমার রুমে যাব।”
“আচ্ছা। আমার সি/গা/রে/ট শেষ। তোমার স্টকে থাকলে নিয়ে এসো তো।”
ময়ূখ খাবারের প্লেট থেকে চোখ তুলে আচমকা জুয়েলের দিকে তাকাতেই দেখল সাঈদের সাথে ইশারায় কথা বলল। সাঈদের মুখেও তা বুঝতে পারার আভাস।
“আমাকে আপনার বাবার ঘর দুটোর এক্সট্রা চাবিগুলো দিয়েন তো। যখন তখন প্রয়োজন হতে পারে৷ কিছু বইও নেব ভাবছি পড়ার জন্য। সময় কাটছে না ইদানিং।”
ময়ূখের কথায় মৃদুলা টি /প্প/ নী কেটে বলল, “গো/ য়ে/ ন্দা/ দে/র তো জানতাম র/হ /স্য পেলেই হয়। এত রসদ থাকতেও আপনার সময় কাটছে না?”
মেয়েটা তৈরি হয়ে আছে। কোথাও যাবে বলে মনে হচ্ছে।
ময়ূখ সাথে সাথে উত্তর দিল না, মুখের খাবারটুকু শেষ করে ঢকঢক করে পানি খেয়ে, তৃপ্তি সূচক অভিব্যক্তি ফুটিয়ে একগাল হেসে মুখ তুলে বলল, “আমার সময় বোরিং কাটছে বলে এখনো কেউ কেউ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। তবে চিন্তা নেই ম্যাডাম, আমি খুব দ্রুতই ব্যস্ত হয়ে পড়ব। হয়তো কারোর ঘুম না হওয়ার কারণও হবো।”
সবাই যেন ক্ষণেকের জন্য থ/ম/কে গেল। ময়ূখ প্রত্যেকের অভিব্যক্তি একবার পর্যবেক্ষণ করে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলল, “মানে ওই /চো// রে/র কথা বলছিলাম আরকি!”
আরেকবার সবার মুখভঙ্গি প/র্য/বে/ক্ষ/ণ করে স্বস্তি নিয়ে নিজের ঘরে ফিরে এলো। যাক, সবাইকে ভ/ড়/কে দেয়া গেছে কিছুটা হলেও। এদের প্রত্যেকের মধ্যেই কিছু না কিছু অ/প/রা/ধ/বো/ধ আছে। সেজন্যই এমন হতচকিত হয়ে গিয়েছিল প্রথম কথাটায়। রায়হানেরটা সে জানে। সাঈদ আর জুয়েলের বিষয়টাও জানতে হবে। বাকিগুলো আগামীকাল ওরা কতটুকু জানতে পারল তার উপর নির্ভর করছে।
বেরুতে হবে এখন। সে নিজে আজ একজনের পি/ছু নেবে।
১৮.
ময়ূখ দাঁড়িয়ে ছিল পাঁচিলের বাইরে ডানদিকের ঝোপের কাছে। মৃদুলা ওকে পেরিয়ে কিছুদূর অগ্রসর হতেই সে-ও হাঁটতে শুরু করল। সাজিদকে আজ সকাল থেকে একবারও দেখা যায়নি। সাঈদের কাছ থেকে জানতে পেরেছে আজ নাকি ছুটি নিয়েছে। এদিকে মৃদুলাও বাইরে যাচ্ছে, সেদিন দু’জন একসাথে শ/লা/প/রা/ম/র্শ করেছে।
কিছু পেলে পাওয়াও যেতে পারে। কোনো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেয়া যায় না৷ স/ /ন্দে/ হে/র ঊর্ধ্বে তো কেউই নয়!
মৃদুলা ভারি সোয়েটার পরেছে, একটা শাল গায়ে জড়িয়েছে। নির্জন রাস্তায় এসে ব্যাগ থেকে ওড়না বের করে মাথা ঢেকে নিয়ে শাল ভালো মতো গুছিয়ে নিল হালকা পায়ে হাঁটতে হাঁটতেই। ময়ূখের মন উৎফুল্ল হয়ে উঠল। সময় এবং এতটুকু হাঁটার পরিশ্রম বৃথা যাবে না তবে। কিছু লুকোচুরি তো আছেই।
মেঠোপথের এই রাস্তাটা জনমানবহীন। গাছাপালায় ছাওয়া চারপাশে, কিছু জংলী লতানো গাছও আছে পথের দুই পাশে। রোদ উঠেছে আজ। তবে উ/ত্তা/প নেই তেমন। এদিকে সারি সারি গাছপালার জন্য ঠান্ডা তুলনামূলক বেশি।
মৃদুলার সাথে দূরত্ব রেখেই এগুচ্ছে পথের ধার ঘেঁষে, যাতে পেছনে তাকালে নিজেকে আ/ড়া/ল করা যায়। কিন্তু একবারও পেছনে তাকায়নি মৃদুলা।
এর অ/স্বা/ভা/বি/ক/তা যতক্ষণে ন/জ/রে এলো, ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। সামনে নজর রাখতে গিয়ে পেছনে যে কেউ থাকে তার কথা কিছুক্ষণের জন্য মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।
ই/ন্দ্রি/য়ে/র সতর্কবার্তা পেতে পেতে ঝট করে পেছনে ঘুরবে, কিন্তু তার আগেই মাথায় শক্ত কিছু আঁ*ছ*ড়ে পড়ল। মুহূর্তের জন্য মাথা ফাঁ//কা হয়ে গেল যেন।
সেভাবেই লু/টি/য়ে পড়ল ময়ূখ। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসছে। মুহূর্তের অ/স/ত/র্ক/তায় নিজেকেই ভ/র্ৎ/স/না করতে করতে জ্ঞা//ন হারালো গো/য়ে/ন্দা/ প্রবর।
……
ক্রমশ