বেপরোয়া_ভালবাসা #পর্বঃ৪৯

0
983

#বেপরোয়া_ভালবাসা
#পর্বঃ৪৯
#লেখনীঃ মনা হোসাইন

আজকাল প্রতিটা সকাল উৎকণ্ঠার ভেতর কাটে আদিবার। উৎকণ্ঠা সাথে চাপা উদ্বেগ। অল্পতেই অস্থির হয়ে পড়ে সে। গেটে সামান্য শব্দ হতেই ছুটে যায় কান খাড়া শোনে কেউ এসেছে কিনা।দিনদিন কেমন যেন পাল্টে যাচ্ছে মেয়েটা। খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে বড্ড উদাসীন ভাব দেখাচ্ছে। খেতে চায় না বললেই চলে। আগে চুপচাও থাকলে বাসার কাজ করাতে বেশ আগ্রহ ছিল কিন্তু আজকাল কোন ব্যাপারে কোন উৎসাহ নেই, কিন্তু গেট খোলায় খুব আগ্রহ। সে বারবার হাসিমুখে গেটের কাছে যায় আর ফিরে আসে মলিন মুখে।

আদিবার এমন আচারনের কারন বাসার সবাই বুঝে। কেটে গেছে দুই দুটি মাস আদি চলে গিয়েছে। ফোন করে জানিয়েছে সে ভাল আছে আর কখনো বাসায় ফিরবে না সেটাও জানিয়েছে।

কিছুদিন যাবৎ শরীর বিশেষ ভাল যাচ্ছে না আদিবার। পেটে একটা চাপা ব্যথা অনুভব করছে। এই উপসর্গটি তাঁর নতুন। কোন কিছু নিয়ে চিন্তিত হলেই পেটে তীক্ষ্ণ যন্ত্রণা হতে থাকে। ডাক্তার-টাক্তার দেখানো দরকার বোধ হয়। কিন্তু সময় করে যাওয়া হচ্ছে না। যাওয়া হচ্ছে না বললে ভুল হবে সে নিজেই যাচ্ছে না।

প্রতিদিনের মত নতুন একটা সকালের সূচনা হল। ভোর ৭ টার কাছাকাছি সবাই ঘুমুচ্ছে শুধু ঘুম নেই আদিবার চোখে। আদিবা উঠে শাড়ি গায়ে দিল,চুল আঁচড়াল গায়ে পাতলা চাদর জড়িয়ে ঘরে ছেড়ে বের হতেই মা অবাক হয়ে বললেন,

-“কোথায় যাচ্ছিস তুই?

আদিবা অস্বস্তি নিয়ে জবাব দিল
-” এই একটু রাস্তায়।

-“রাস্তায় কী?

-“কিছু না। একটু হাঁটব আর কি।

-“শরীর ভাল না বলছিলি..? বাইরে বেশ ঠান্ডা এখন কোথাও যেতে হবে না।

আদিবা কি মায়ের কথা শোনল না নাকি ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেল বুঝলেন না শাহানা বেগম। মেয়ে ধীর পায়ে হেঁটে বেরিয়ে গেল। আজ বহুদিন পর আদিবা ভোরের আলো দেখল। কতদিন বাসার বাইরে যাওয়া হয়না। সূর্য্য কেবল উঁকি দিচ্ছে চারদিকে কেমন কুয়াশা কুয়াশা ভাব সবকিছুই ঝাপসা দেখাচ্ছে। রাস্তা ফাঁকা একটা রিক্সাও নেই আদিবা পা বাড়াল। অন্যসময় হলে লোকজনের জন্য হাঁটাই মুসকিল হয়ে যেত তবে এখন ফাঁকা। রিক্সা পেলে আদিবা হয়ত রিক্সাতেই যেত। আদিবা হাঁটছে গন্তব্য পাশের পার্ক। পার্কে ঢুকে এগিয়ে গিয়ে বসল কংক্রিটের তৈরি বেঞ্চটাতে।

কিছুক্ষন জিরিয়ে দম নিয়ে ফোন হাতে নিল আদিবা।হাত পা কাঁপছে। ফোন করার সাহস হচ্ছেনা তবুও আজ সে আদিকে ফোন করবে বলে মনস্থীর করেছে। সেজন্যই এখানে আসা বাসায় সবার সামনে মন খোলে কিছু বলা যায় না।

অবশেষে সকল জড়তা ভেঙে আদিবা ফোন করেই ফেলল। কিন্তু অপরপাশ থেকে কোন উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।বেশ কয়েকবার ফোন করার পর কেউ একজন ফোন ধরল,

– হ্যালো….

কন্ঠটা শোনে ভিতরটা ধ্বক করে উঠল থমকে গেল আদিবা । কতদিন পর আদির গলা শোনল কিন্তু নিজের মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। অপরপাশ থেকে আবারো বলল,

-“কে বলছেন?

আদিবা এবারও উত্তর দিতে পারল না।

-“কথা যখন বলবিই না তখন ফোন করেছিস কেন?

আদিবা দীর্ঘশ্বাস ফেলল,
-“অবশেষে তাহলে দয়া হলো ফোনটা ধরার?আমি ফোন করেছি দেখেও ধরলেন না?

আদিবার কথা শোনে ফোনের অপরপাশ কিছুক্ষন নীরব রইল তারপর উত্তর আসল,

– আমি ফোনের কাছে ছিলাম না। তাই ধরতে পারিনি।

– সেদিন যে সারারাত কল দিলাম, সেদিন ধরেন নি কেন?

– ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

– মিথ্যে বলবেন না প্লিজ।

– সত্যি বললে কী তোর ভাল লাগবে?যাইহোক এসব ছাড় কী বলবি বল আমার একটু তাড়া আছে।

– এখনো এত রেগে আছেন..?

-“রাগ আমার ছিল, আর সেই রাগের জন্য কি কি হারিতেছি তুই ভাল করেই জানিস তাই এখন আর রাগ টাগ করিনা তাই শুধু শুধু ভুলভাল কথা বলিস না। তাছাড়া তুই আমার রাগের হিসেব নিতে ফোন করিস নি নিশ্চয় তাই কি বলবি সেটা বল।

-“আমি মানে…

-“ডিভোর্সের ব্যাপারে কিছু বলবি?

চমকে উঠল আদিবা,ডিভোর্স?কিসের ডিভোর্স আদি কী তাহলে তাকে ডিভোর্স দেওয়ার সিধান্ত নিয়েছে?

-“ডি ডি ডিভোর্স মানে?

-“কেন বাবা তোকে কিছু বলে নি?

-‘কি বলবে..?

-“ভেবে দেখলাম ডিভোর্স দিতে ৬ মাসের বেশি সময় লাগে দেখা গেল তোর কাউকে পছন্দ হল কিন্তু ডিভোর্স এর জন্য বিয়ে করতে পারছিস না তাই ভাবছি আগেই ডিভোর্সটা করে রাখি। বাবাকে বলেছি তোর জন্য ভাল একটা ছেলে দেখতে।

আদির কথায় চোখের কোন বেয়ে দুফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল। আদিবা ফুঁফিয়ে কাঁদছে কিন্তু আদিকে বুঝতে দিতে চায় না।

– তুই কী কাঁদছিস আদিবা?

-“ক ক কই নাতো..

-“আমাকে তুই কোনদিনি ফাঁকি দিতে পারিস নি তাই আজ অযথা এই অসম্ভব চেষ্টাটা নাইবা করলি। আজাইরা কারনে কান্নাকাটি করা তোর বদঅভ্যাস।অভ্যাস টা এবার বদলানো উচিত চোখের জল এত সস্তা নাকি যে কথায় কথায় ঝড়াতে হবে?

– চোখের জল কী বাজারে বেচা-কেনা হয়? তাহলে সেটা সস্তা নাকি দামি বিচার করলেন কিভাবে?

-“তুই কি কি কারনে কতটা কাঁদতে পারিস তা অন্তত আমার চেয়ে ভাল আর কেউ জানেনা। এখন নিশ্চয় ভাবছিস আমি খুব মহান হয়ে গিয়েছি, তাই তোর সব ইচ্ছে এত সহজে পূরণ হতে দিচ্ছি সেই আনন্দেই কাঁদছিস তাই না? কিন্তু আমি শুধু তোর জন্য না নিজের জন্যেও এই সিধান্ত নিয়েছি। আমি এই দায়বদ্ধ সম্পর্কের মধ্যে আর থাকতে চাইনা।

– আপনি কি বলছেন বুঝতে পারছেন?

– দিন বদলেছে তো। আজকাল কাউকেই অত বুঝিনা। বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি বোধহয়।

– এত কঠিন হওয়ার ভান কেন করছেন?

– আমি ভান টান করিনা আমি এমনই আর তুই সেটা জানিস।

– আমাদের একসাথে কাটানো সময়গুলো ভুলে গিয়েছেন ?

– ভুলিনি কিছুই তবে ভোলা উচিৎ, এসব মনে রেখে কোন লাভ তো নেই। তাই ভোলার চেষ্টা করছি।

– পারবেন ভুলতে?

– না পারার কি হলো? মানুষ পারেনা এমন কোন কিছুই নেই পৃথিবীতে।

-“আমরা কী একসাথে থাকতে পারিনা?

আদি হাসল, চাপা কন্ঠস্বরে জবাব দিল

-“পারি বলছিস? তুই বড্ড আবেগী আদিবা কখন কি বলিস নিজেই জানিস না। এখন এমনভাবে কথা বলছিস যেন তোকে আমি ছেড়ে দিয়েছি, কিন্তু সত্যিটা তো এমন না। সত্যিটা হল আমি তোকে ছাড়িনি বরং জোর করে ধরে রাখতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমি তোর যোগ্য ছিলাম না তাই ধরে রাখতে পারিনি। তাহলে এখন আমায় অপরাধী বানাতে চাইছিস কেন? যদি বলিস আমি অপরাধী হ্যা আমি অপরাধী। ভালবাসার অপরাধে আমি অবশ্যই অপরাধী। একজনকে বেপরোয়া ভাবে ভালবেসেছিলাম তাই আমার ভালবাসা পূর্নতা পায় নি।ভালবাসার বিনিময়ে শরীর পেয়েছি কিন্তু মনটা অধরায় রয়ে গেল এর চেয়ে বড় শাস্তি আর কী হতে পারে? এই অপরাধে আরো শাস্তি দিতে চাস?

কোন উত্তর দিল না আদিবা।

-“আদিবা আমার একটু তাড়া আছে এখন রাখি?

-“রাখবেন…?

-‘হুম..

ছটপট উত্তর দিয়ে ফোন কেটে দিল আদি। আদিবার মনটা নিমেষেই দ্বিগুণ খারাপ হয়ে গেল আদির আজকাল তার সাথে কথা বলতেও ইচ্ছে হয় না যতবার কল করে,হয় ধরে না। নাহলে দু একটা কথা বলেই ব্যাস্ততার দোহাই দিয়ে কেটে দেয়। আদি এত বদলে গেছে ভেবেই কান্নার গতি বেড়ে গেল সাথে সাথে পেটের একপাশে তীক্ষ্ণ ব্যাথা শুরু হল। মাথাও ধরেছে আদির কথা ভাবলেই আজকাল শরীর খারাপ করছে এখন আর কথা বলা সম্ভব না। তাই ফোন রেখে উঠে বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটা দিল। কিন্তু শরীর সায় দিল না আবারো বেঞ্চটায় বসে পড়ল। ঢিপ ঢিপ করে ব্যাথা বাড়ছে আদিবা জানে কিছুক্ষন পর এই ব্যাথা কমে যাবে তাই ওখানেই বসে রইল। ধীরে ধীরে ব্যাথা কমল,বেলা বাড়ল। আদিবা আবারো আদিকে ফোন করল কিন্তু ফোন বন্ধ।

আদি তার দিক থেকে সকল মায়া কাটিয়ে দিয়েছে বুঝতে বাকি রইল না। হতাশ আদিবা ভাঙ্গা হৃদয় নিয়ে বাসায় ফিরে আসল। শরীর খারাপ লাগছিল তাই কিছু খায়নি। মেডিসিন বক্স থেকে ২ টা ট্যাবলেট নিয়ে এক নিমিষে গিলে ফেলল সে তারপর দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়ল।

যখন ঘুম ভাংগল বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা। আদিবা পেইন কিলারের সাথে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছিল তাই এতক্ষন ঘুমিয়েছে।আজকাল আদিবা প্রায়ই ঘুমের ট্যাবলেট খায় কারন ঘুম পাখী তাকে বিদায় জানিয়েছে অনেক আগেই।

মাথা ভারি ভারি লাগছে আদিবা নিজেই এক কাপ চা করে নিয়ে ছাদে গেল। সারাদিনে খাওয়া বলতে এই চা টুকুই। সবাই ডেকেছিল কিন্তু কারোর ডাকেই ঘুম ভাংগেনি তার। চা হাতে চেয়ে আছে বিশাল আকাশের দিকে আসলে সে নিজের জীবনের সমীকরন মিলানোর চেষ্টা করছিল কিন্তু এই সমীকরনের সমাধান নেই তাই কিছুক্ষন পর নিচে নেমে আসল। খাবার টেবিলে তার ডাক পড়ল,

-“আদিবা খেয়ে যা…

-“আমার ক্ষিধে পায়নি তোমরা খাও।

-“তা পাবে কেন? আমার ছেলেটাকেই তো খেয়েছিস আর ক্ষিধে পাবে কেন?

কটমট করে বলল আদির মা। আদিবা মাথা নিচু করে নিজের ঘরে ফিরে আসল আবারো কান্না পাচ্ছে। আদিবা ফোন হাতে নিয়ে আদিকে একবার কল দিল কিন্তু ফোন টা আবারো বন্ধ দেখাল।




রাত বাড়ছে সবাই ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমিয়েছে আদিবা বসে বসে বই পড়ছে হটাৎ বাসার কলিং বেল বেজে উঠল। আদিবা ঘাড় ঘুরিয়ে দেয়ালে টাংগানো ঘরিটার দিকে তাকাল। ঘড়ির কাঁটায় রাত ২ টা বেজে ৪০ মিনিট ।এত রাতে কে আসবে? নিশ্চিত মনের ভুল আদিবা আজকাল প্রায়ই ভাবে কলিং বেল বাজছে কিন্তু দরজা খোলে দেখে কেউ নেই মনের ভুল তাই গুরুত্ব দিল না। আবারো বেজে উঠল কলিং বেল পরপর কয়েকবার বাজার পর আদিবা নিচে গিয়ে দরজা খুলল সাথে সাথে সারা শরীর কেঁপে উঠল, চোখ দুটি চিকচিক করে উঠল। বুকের বা পাশে চিনচিন ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে পা দুটি যেন আটকে গেছে মনে হচ্ছে। আদিবা তাকিয়ে আছে তখন বাইরে থেকে শক্ত কন্ঠ ভেসে আসল,

-“ভিতরে কী ঢুকতে দিবি? ঠান্ডায় তো এবার জমে যাব।

আদিবার মুখে কথা ফুটল না চোখ বেয়ে নোনাজল গড়িয়ে পড়ল। নীরব কান্না হাওমাও কান্নায় রুপ নিল আদিবা কোন কিছু না ভেবে বেরিয়ে গিয়ে আদিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করল।আদি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে বলল,

-“কী হচ্ছে কী আদিবা? আমি বাইরে থেকে এসেছি গায়ে কত জীবানু থাকতে পারে ছাড় বলছি…

আদিবা আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল,

-“আরে কি হচ্ছে কি এত কান্নার কি হল বলবি তো..

আদিবা এবারেও কিছু বলতে পারল না।আদি তাকে একহাতে জড়িয়ে নিয়ে অন্যহাতে ব্যাগ নিয়ে ঘরে ঢুকল। সান্তনা দিতে দিতে নিজের ঘরে নিয়ে গেল আদিবাকে…

-“দেখি চোখ মুছ বোকা মেয়ে এভাবে কেউ কাঁদে…

কে শুনে কার কথা আদিবা কেঁদেই চলেছে আদি এবার ধমক দিল,

-“কান্না বন্ধ করতে বললাম না? বেয়াদব মেয়ে কথা শুনিস না কি জন্যে?

আদি নিজেই এবার আদিবার কান্না মুছে দিল।
-“চল চোখে মুখে পানি দিয়ে দেই।

-“ল ল লাগবে না..

-“বেশ তাহলে তুই বস আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।

-‘বাসার সবাইকে ডাকব?

-“দরকার নেই সকালে তো সবার সাথে দেখা হবেই এখন কাউকে ডেকে তুলার প্রয়োজন নেই।

বলে আদি ওয়াশরুমে চলে গেল। ফ্রেশ হয়ে ফিরে এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুছছে তখন আদিবা বলল,

-“আপনি হটাৎ আসলেন..?

-“কেন আমার আসা নিষেধ?

-“আমি তা বলি নি। সকালে তো বললেন না আসবেন।

-“বলেছিলাম আমার তাড়া আছে..ফ্লাইটের সময় হয়ে গিয়েছিল।

-“ওহ…

-“বাই দ্যা ওয়ে যে জন্যে এসেছি তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।

-“স স সারপ্রাইজ?

-‘হুম ওয়েট দেখাচ্ছি…

বলে আদি গিয়ে ব্যাগ খুলল কে যেন আদিবার ভয় লাগছে। সে বসা থেকে উঠে দাঁড়াল আদি ব্যাগ হাতে নিয়ে এসে আদিবার সামনে বসে একটা কাগজ বের করে দিল আদিবার হাতে।

-“এ এ এটা কিসের কাগজ?

-“নিজেই দেখ…

আদিবা মনযোগ দিল কাগজে সাথে সাথে মাথা চক্কর দিল হাত থেকে কাগজটা পড়ে গেল সাথে আদিবাও আদি তাড়াতাড়ি হাত বাড়িয়ে ধরল তাকে।

-“আদিবা,আদিবা কি হয়েছে তাকা আমার দিকে..আরে এসব কি ধরনের মজা চোখ খোল।

আদি অস্থির হয়ে আদিবার চোখে মুখে পানি দিল কিন্তু তাতেও জ্ঞান ফিরল না আদিবার। আদি এবার পুরোপুরি অস্থির হয়ে পড়ল। আদির চিৎকারে ঘুম ভাংগল সবার। আদিবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল….



চলবে..!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here