শব্দহীন_বৃষ্টি (২)

0
1989

শব্দহীন_বৃষ্টি
(২)
#ফারহানা_আক্তার_রুপকথা
______________________

“বরের তো এখনও ঘুমই ভাঙলো না ” মুখ গোমড়া করে বলল তিথি।
গরম ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা মুখের সামনে ধরে বসে আছে সাগরের দাদুনি। পাশে আছে সাগরের পিচ্চি বউ তিথি। দু’জনের নিজেদের মতলব পুরণ করতেই এতো আদর করে পিঠা নিয়ে বসেছে। ভাপা পিঠা তার ভীষণ প্রিয় আর তাই দাদুনি নিজ হাতে সকাল সকাল পিঠা বানিয়েছে৷ আর সেটা ও গুনে গুনে পাঁচটা। তিনটা তাঁর তিন ছেলের একটা সাগরের আর একটা তিথির। আর কাউকে খাওয়ানোর জন্য তিনি কোন প্রকার পরিশ্রম করতে নারাজ। বাকিদের জন্য কাজ করতে বউরা আছে বাড়িতে।

–” নাত জামাই ওঠো না দেখো কি সুন্দর পিডা বানাইছি তোমার লাইগ্যা”। আমতা আমতা করে যথাসাধ্য শুদ্ধ শব্দে বলল তার দাদী।নিজ প্রয়োজনে সব রকমই নিজেকে পরিপাটি প্রকাশ করতে ব্যস্ত হন ভদ্রমহিলা।মজা করেই বাড়িতে সবাই তিথিকে সাগরের বউ বলে আর সেই হিসেবে দাদী তাকে নাতজামাই বলেই ডাকে। চাচীরা ও এ নিয়ে মজা করতে ছাড়ে না।

–” কি শুরু করলা দাদুনী সকাল সকাল “? ঘুম ঘুম চোখে উঠে বসলো সাগর। বারবার কানের সামনে ফিসফিসানি আর পিঠার ঘ্রাণ তার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।

–” বর মশাই উঠো জলদি আমি স্কুলে যাবো তো। আবার তো দাদুনী ফুপ…. ” তিথি কথা সম্পূর্ণ করার আগেই তাঁর দাদী মুখ চেপে ধরলো।

–” উডো না নাতজামাই বাড়ির সব্বাই উঠলে যাইতে দিবো না “।

সাগর চোখের ঘুম দূর করতে বিছানা ছেড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল। ব্রাশ না করেই শাওয়ার ছেড়ে পানির নিচে দাঁড়িয়ে গেল। আর একটু জোরে বলল ” তিথি আমার তোয়ালে দিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে রুম ছাড়বি তোরা দু’জন”। তিথির মুখ আটকানো দেখেই বুঝতে পেরেছে দাদুনী আজ ফুপির বাড়ি যেতে চাইছে। আর বাবা চান না ঘন ঘন দাদুনী ফুপির বাড়ি বেড়াতে যাক। গত সপ্তাহেই তো এলো মাত্র আবার যাবে তাই এসেছে সাগরকে পটাতে। বাবা কিংবা চাচারা ভুল করেও এত তাড়াতাড়ি যেতে দিবে না তাই। সৈকত তো অফিসের বাহানা করে এড়িয়ে যাবে কিন্তু সাগর বেশিক্ষণ না করতে পারবে না তাই দাদুনী ঘুরে ফিরে তার আবদার সাগরের কাছেই রাখে৷ গোসল শেষে সাগর কালো একটা টি শার্ট আর কালো ট্রাউজার পরে নিচে গেল। হাতে তার পিঠার প্লেট তাতে একটা পিঠা। দাদুনী আর তিথি তার ঘর থেকে ফিরে আসার সময় এটা রেখে এসেছিলো। কিন্তু সাগর তো তার প্রিয় খাবার কখনও তিথি আর শৈবাল কে ছাড়া খায় না। ডাইনিং এ এসে অবাক বাড়িতে যেন উৎসব লেগেছে। টেবিল ভর্তি ভুনা খিচুড়ি,গরুর মাংস আবার লুচি, সবজিও। বাড়িতে তো সকাল সকাল এত কিছু হয় না আজ এসব! সাগর ভেবে পায় না একজন মেহমান এসেছে এমনকি সে কয়েকদিন থাকবে ও সেখানে এত কিছু এক সকালেই বাড়াবাড়ি।

–“শুভ সকাল সাগর সাহেব “। দোলা সাগরকে দেখামাত্র বলল। কাল সাগরের সাথে স্টেশন থেকে আসার পথে টুকটাক পরিচয় পর্ব সেরেছিলো দু’জনে। কিন্তু সাগর ততোটা ইজি হতে পারেনি মেয়েটার পোশাকের কারণে। তার মত ছেলে অহরহ এমন উশৃংখল বান্ধবীর সাথে ও মিশেছে কিন্তু কখনো এতোটা জড়তা কাজ করেনি তার মধ্যে । অথচ কাল আকষ্মিকই এমন অস্বস্তি ভর করেছিলো।

সাগর চুপ থাকায় দোলা নিজেই আবার বলল ” সাগর সাহেব কি আমার কথা শুনতে পান নি নাকি ইগনোর করলেন “! সাগর এবার কিছুটা হকচকিয়ে গেল। সে সত্যিই খেয়াল করেনি দোলা কিছু বলছে। জবাব দিলো ” শুভ সকাল মিস দোলা। আমি আসলে কিছু ভাবছিলাম “। সাগর চেয়ার টেনে বসে গেছে৷ ছোট চাচী তখন প্লেটে করে লুচি আর সবজি নিয়ে এসেছে।

–” একি জামাই বাবা এত্তো সকালে টেবিলে কি করে”? ছোট চাচী বলে হাসলেন। দোলা কেমন করে যেন তাকালো সাগর আর চাচীর দিকে। সে হয়তো অবাক হচ্ছে জামাই বাবা কথাটা শুনে।

–” কি করবো বলো বাড়িতে দু’জন নাগিনী থাকতে আমি ঘুমাবো কি করে? দু’জনের নাগিন ড্যান্স দেখে উঠতেই হলো “।

–“নাগিন”! বিষ্ময় নিয়ে বললেন চাচী। অবাক দোলা ও সে এখন অব্ধি কিছুই বুঝতে পারেনি তাদের কথা।

–” চাচী বুঝো নি নাগিন কাদের বললাম “?

চাচী মাথা নাড়লেন ” না” বুঝতে পারেনি। সাগর মুচকি হেসে বললো, ” তোমার শ্বাশুড়ি আর আমার বউ দু’টোই নাগিনী “। দোলা মাত্রই লুচির টুকরো মুখে পুড়ছিলো সাগরের মুখে ” বউ কথাটি শুনতেই বিষম খেলো খুব। চোখ যেন উল্টে আসবে তার মুখের খাবার ছিটকে তার প্লেটেই পড়লো। সাগর পানির গ্লাস নিয়ে দ্রুত এগিয়ে দিলো চাচী ও পিঠে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।

–“কি রে তুই এমন বিষম খেলি কেন? খাবার মুখে দেওয়ার আগে একটু পানি খেয়ে নিতিস,,, শিলা বলতেই দোলা বলল ” আরেহ আপু তেমন কিছু না সাগর সাহেব বলল না উনার বউ তাই একটু,, দোলা ও কথা সম্পূর্ণ করতে পারলো না। চাচী বলে উঠলেন, “সাগরের বউ আছে শুনেই বিষম! রহস্যজনক!” চাচী হয়তো মশকরার উদ্দেশ্যে কথাটা বলেছেন কিন্তু দোলা খুব লজ্জা পেল। সাগরের তেমন ভাবান্তর হলো না এই মশকরা কথায়। বাড়ির সবাই ততক্ষণে ডাইনিং এ উপস্থিত হয়ে গেল। টুকটাক আলাপের মাঝেই তিথি এলো একদম সেজেগুজে।তিথির পেছনেই দেখা গেল দাদুনী ও হাজির। তিনিও মোটামুটি রকমের তৈরি হয়েই এসেছেন৷

–” মা তুমি কি কোথাও যাচ্ছো? আর তিথিও কি সাথে যাবে নাকি?” প্রশ্ন করলেন তিথির বাবা জাহিদুল ইসলাম।

–” আমি কই কি মনডা কয় এট্টু সোনালির কাছে যাইতাম”।

–” মা!” কিছুটা চেঁচিয়ে উঠলো সাথীর বাবা রিয়াদুল ইসলাম।

–” এমনে চিল্লাস ক্যা আমি কি কাউরে কইছি নিয়া যাইতে”? বাচ্চাদের মত অনুযোগের স্বরে বললেন হাওয়া বেগম (সাগরের দাদী)

–” আমি তো শুধু আজকাই যামু কালকা আমু “।

–” আমি তো শুধু চিল্লাচ্ছি ভাগ্যিস বড়দা নেই এখানে নয়তো এর চেয়েও বেশি কিছু হতো” জাহিদুল বললেন।

–” হ সব্বাই আমার লগে অন্যায় কইরা যা। বুড়া অইছি কোন দাম নাই আমার “।

–” এটা কি ঠিক বললেন আম্মা?” হতাশ নয়নে তাকিয়ে কথাটা বলল মেঝো বউ । হাওয়া বেগম এবার একটু চুপসে গেলেন৷ সত্যি বলতে এই সংসারে যদি কারো মূল্য সবার ঊর্ধ্বে থাকে তবে সেই ব্যক্তি হাওয়া বেগমই৷ তাঁর ছেলে থেকে বউ মা এমনকি নাতি নাতনিসহ সবাই খুব মান্য করে উনার কথা শুধু ঘনঘন নিজ বাড়ি ছেড়ে মেয়ের বাড়ি যাওয়ার ব্যাপারটা উনার ছেলেরা পছন্দ করেন না৷ সাগরের ফুপি আয়শার শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা একটু রিজার্ভড থাকেন। এ বাড়ির আত্মীয় তারা তেমন পছন্দ করেন না সেটা তাদের ব্যবহারেই প্রকাশ পায়। শেষ পর্যন্ত ঠিক হলো দাদী ও বাড়িতে যাবে না। সাগর তো তিথির কান টেনে বলে দিয়েছে পাঁচ মিনিটের মধ্যে স্কুলের জন্য তৈরি হতে নয়তো পিঠে মাইর পড়বে। সাগর নিয়ে যাবে স্কুলে তাই সাগর ও তৈরি হতে গেল। ও ব্রাশ না করেই সে নাস্তা করেছিলো তাই এখন প্রথম কাজ দাঁত গুলো চকচকে করা।
___________________

সকাল সকাল কোচিং এ দুনিয়ায় বিরাট কষ্টের কাজ মাহির ধারণা মতে। বেচারি মনে মনে ঠিক করেছিলো মেট্রিক সে কোচিং না করেই দিবে৷ পাশ করতে পারলে ভালো না পারলে শিমুল মামার নিয়ে আসা প্রস্তাব তো আছেই মা কে বলবে বিয়ে দিয়ে দাও৷ কিন্তু সেই ভাবনা শুধু তার ভাবনাতেই রয়ে গেল। মা দিলো সাধের ঘুমে জল ঢেলে। ফজরের পর থেকে ডাকতে ডাকতে কান গরম করে দিলো৷ মন মেজাজ এখন সপ্তম আসমানে । রাতে যখন বাবাকে মামার নিয়ে আসা বিয়ের প্রস্তাবের কথা বলছিলেন তখনই দরজার বাইরে থেকেই শুনেছে মাহি৷ শুনে খুব রাগ হয়েছিলো তার। মাত্র পনেরোতে পা রেখেছে সে এখনই বিয়ে কি করে সম্ভব ? এখনও তো প্রথম প্রেম ভালোবাসাটাই এলো না জীবনে। এখনই কিনা বিয়ে করে সংসার করবে, হুহ। কিন্তু এই সকালে মনে হচ্ছে মামা চমৎকার একটা কাজ করেছেন কাল। এত পড়াশোনা করে কি হবে বিয়েটাই জরুরি৷ অলস শরীরটাকে কোন মতে বিছানা থেকে টেনে কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলো। তারপর নাস্তা করে আটটায় বাড়ি থেকে বের হলো সে৷ বাড়ির গেইট পেরিয়ে গলির রাস্তায় পা রাখতেই রিকশা পেয়ে গেল। তড়িঘড়ি করে রিকশায় উঠতে গিয়ে ব্যাগ উল্টে নিচে পড়ে গেল মাহির। মাহি রিকশা থেকে নামতেই যাচ্ছিলো কিন্তু রিকশাওয়ালা তার আগেই ব্যাগটা উঠিয়ে দিলো। মাহির আর নামতে হলো না। স্কুলে পৌঁছেই দেখতে পেল ক্লাসের প্রায় সকলেই উপস্থিত আছে সেখানে। শুধু মাহি লেইট করে এলো। আজ আবার রুক্ষ স্যারের সাবজেক্ট আছে। মুডটাই নষ্ট হয়ে গেল মনে পড়তেই। লোকটা দেখতে যতোটা ভদ্র স্বভাবে ঠিক ততোটাই বজ্জাত। গত বছর জয়েন করেই মাহির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে৷ মাহি তো ওই রুক্ষ স্যারের মুখ দেখলেই তৃষ্ণার্ত হয়ে যায় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় তার। সারাক্ষণ শুধু এ কোণ ও কোণ করে তাকে দেখতে থাকে লোকটা। আর ওই চাহনি দেখলেই রাগে গলা শুকায় তার। এজন্য মাহি আর তার বান্ধবীরা মিলে স্যারের নাম দিয়েছে রুক্ষ স্যার।স্যারের নাম অবশ্য জুনাইদ সিদ্দিক।

–” কি ব্যাপার মাহি তুমি আজকেও এত লেইট কোচিং শুরু হয়েছে আরো দশ মিনিট আগে “। মাহিকে দেখে সমুদ্র পেছন থেকে কথাটা বলল। জুনাইদ স্যার সমুদ্র কে ল্যাবে পাঠিয়েছিলেন কিছু নোটস রেখে এসেছেন সেখানে তা আনতে। মাহি এখন ও দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে ভাবছে উল্টো পথে বাড়ি ফিরে গেলে কেমন হয়? কিন্তু সমুদ্র কথা বলেই বিপদে ফেলে দিলো। স্যার দরজার কাছে সমুদ্রের গলার স্বর শুনে তাকাতেই দেখে নিয়েছে মাহিকে৷ এখন আর চাইলেও ক্লাসে না গিয়ে উপায় নেই। সমুদ্রকে একশ একটা গালি দিতে ইচ্ছে করছে এখন মাহির।
____________

–” হাতে ওটা কি তোমার? স্যরি তুমি করেই বললাম “। দোলা বলতেই সাগর হাতে থাকা ডায়েরির মত কিছু একটা চেপে ধরে বলল “নাথিং স্পেশাল। তুমি দু’মিনিট দাঁড়াও আমি আসছি। আর হ্যা আমরা সমবয়সীই তুমি করেই বলো সমস্যা নেই “। তিথি আর শৈবাল কে নিয়ে সাগরের যাওয়ার কথা থাকলেও সাগরকে যেতে হয় নি৷ সমুদ্রের কোচিং থাকায় সকালেই যেতে হবে। আর তিথি, শৈবাল ও একই স্কুলের তাই সমুদ্রই নিয়ে গেছে। সাথী, যুথি যাবে দশটায় তাই আপাতত তারা বাড়িতেই। তারা একাই চলে যাবে৷ সাগর ফ্রী বলে শিলা এসে তাকে ফাঁসিয়ে দিলো নতুন বেয়াইনের সাথে৷ দোলার নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এজাজউদ্দীন এর সাথে দেখা করার কথা ছিলো কোন কারণে। তাই আজই সেখানে যেতে চায় সৈকত অফিসের জন্য সময় করতে পারবে না৷ তাই শিলা সাগরকে বলল নিয়ে যেতে। বাসে গেলে ও কমপক্ষে দু’ঘন্টার পথ তাই সাগর গাড়ি নিয়ে গেইট থেকে বের করছিলো। তখনই চোখে পড়লো রাস্তার কিনারায় গোলাপি রঙের মলাট করা বই বা ডায়েরি কিছু একটা পড়ে আছে। কৌতুহলবশত গাড়ি থেকে নেমে সাগর সেটা তুলে নিলো। দোলা তখনও বের হয়ে আসেনি বাড়ি থেকে। উল্টেপাল্টে জিনিসটা দেখে বুঝতে পারলো এটা একটা লক করা ডায়েরি। মলাটের উপর পিঠে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা ” স্বপ্ন কুমারী”। ডায়েরিটা উল্টাতেই চোখে পড়লো এলোকেশি এক কন্যার ছবি। ছবিটা পুরো মলাট জুড়েই আছে তবে ছবিটা অসম্পূর্ণ। হাসিমাখা অর্ধছবি যেখানে এক চোখ, এক গাল, হাসিমাখা অর্ধেক অধরজোড়া। চোখে মায়ার ছাপ ঠোঁটের হাসিতে দুষ্টুমি মাখা। এক মুহুর্তে সাগরের মনে এক তীক্ষ্ণ আলোর ঝলক ভেসে উঠলো পরমুহূর্তেই সেই ঝলক বোকামির হাসিতে বদলে গেল। আর সেই মুহুর্তেই পেছন থেকে দোলা প্রশ্ন করে ” হাতে ওটা কি তোমার “?

সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে উপাচার্যের সাথে দেখা করলো সাগর- দোলা। প্রয়জোনটা দোলার হলেও সাগর ও পরিচিত হয়ে নিলো। সে প্রাইভেটে পড়াশোনা করলেও ঢা.বি’তে তার বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতজন ছিলো বেশ কয়েকজন। আলাপের এক পর্যায়ে জানা গেল উপাচার্য এজাজউদ্দীন এর ভাতিজা সাগরেরই বন্ধু। বেশ খানিকটা সময় আলাপ আলোচনা এমনকি দুপুরের খাবারটা ও তারা উপাচার্যের বাড়িতেই খেল। ভদ্রলোক যথেষ্ট রসিক মানুষ সেজন্যই তারা কথা বলে বোর হয়নি৷ অনেকটা ফুরফুরে সময় কাটিয়ে প্রায় বিকেলে বাড়ি ফিরেছে তারা। আর পুরো সময়ে সাগর আর দোলার মাঝে একটা অজানা অনিভূতির সৃষ্টি হয়েছে যা তারা দু’জনেই টের পেয়েছে একটু একটু । বাড়ি ফেরার পর শিলা বলল, ” সাগর আই হ্যাভ আ গুড নিউজ ফর ইউ”।

চলবে
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here