#THE_BOOK
#পর্ব_১৮,১৯
#Ishita_Rahman_Sanjida(Simran)
১৮
মৃত্যুকে সবসময় হাসিমুখে বরণ করা উচিৎ কারণ পৃথিবীর কেউ অমর নয়। মৃত্যু একদিন না একদিন হবেই তাই একে হাসি মুখেই মেনে নেয়া উচিৎ। লাবন্য সেভাবেই নিজের মৃত্যুকে মেনে নিলো। এখনই লোকটা এসে ওকে আঘাত করবে যার ফলে ওর মৃত্যু হবে। একদিকে লাবন্য খুব খুশি যে ও প্রিতমের কাছে যেতে পারবে। কিন্তু তারপর যে ওর জন্য বাকি বন্ধুদের ও মরতে হবে। একথা মনে পড়তেই লাবন্যর মনটা খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু এখন আর কিছু করার নেই। শরীরে কোন শক্তি নেই মৃত্যু দূতের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার। লোকটা ওর কাছে আসতেই লাবন্য চোখজোড়া বন্ধ করে ফেলল। কিন্তু লাবন্য অনুভব করছে যে কেউ ওর উপর আঘাত করছে না। কিন্তু এতো দেরি করার তো কথা না। লাবন্য চোখ মেলে তাকাতেই অবাক হয়ে গেল। বড়বড় চোখে তাকিয়ে রইল সামনে থাকা ব্যক্তিটির দিকে।
লোকটার হাতের ভারি হাতুরিটি একহাতে ধরে আছে তিন থেকে চার বছরের একটা মেয়ে যে হাওয়ায় ভাসছে।
লাবন্য চোখ পিটপিট করে ভালো করে তাকালো। নাহ সে ঠিক দেখছে। কিন্তু এটা যে অসম্ভব?? হঠাৎ লাবন্য কি যেন মনে করে পাশে তাকালো। ওর ছোট্ট মেয়েটা নেই। কোথায় গেল??একটু আগেও তো এখানে ছিলো!!পূর্ণাশা ওকে এখানেই শুইয়ে দিয়েছিলো তাহলে??লাবন্যর এসব ভাবনার মাঝেই রা’দ আর অভিনব হন্তদন্ত হয়ে কেবিনে ঢুকলো। ওরা অবাক হলো এসব দেখে। রা’দ দ্রুত গিয়ে পূর্ণাশাকে ধরলো আর অভিনব লাবন্যর কাছে গেল। বাচ্চাটা এখনো হাতুড়ি ধরেই আছে আর লোকটা অবাক হয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। লোকটা কিছু বলার আগেই বাচ্চাটি মুখ খুলল,”আমার মা’কে মারার ক্ষমতা তোর মতো কুৎসিত লোকের হয়নি। মা ঠিকই বলেছিল তোর চেহারা যেমন কুৎসিত তোর মনটাও তেমন কুৎসিত। তোর মতো পাপির বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই এই পৃথিবীতে। তোর মৃত্যু আজ আমার হাতে।”
কথা বলা শেষ হতেই বাচ্চাটি তার বামহাত লোকটার বুকের ভেতর ঢুকিয়ে দিলো। পুরো হাত ছুড়ির ন্যায় বুকের ভেতর ঢুকে গেল। একটানে লোকটার হৃদপিন্ডসহ কলিজাও বের করে ফেলে। লোকটা সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। রক্তে সারা কেবিন তলিয়ে যায়। লাবন্যর গায়েও রক্ত ছিটকে লাগে। বাচ্চাটি হাওয়ায় ভাসমান থেকে মাটিতে নেমে আসে।
লাবন্য তো এখনও শকের মধ্যে আছে। বাচ্চাটা ছোট ছোট পায়ে এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,”আমায় কোলে নেবে না মা??”
এই কথাটা লাবন্যর হৃদয় ছুঁয়ে গেল। এতোই ভালো লাগছে মা ডাক শুনে। অভিনবের থেকে হাত ছাড়িয়ে এগিয়ে এসে হাঁটু গেড়ে বসতেই ওর মেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো ওর বুকে। লাবন্যর সারা শরীরে যেন অদ্ভুত শিহরণ বয়ে গেল। শরীরের সব শক্তি ফিরে পেল। চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রু গড়াতে লাগলো।
পূর্ণাশার জ্ঞান ফিরে এসেছে। রা’দকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে সে। লাবন্যকে খুশি দেখে ওরা তিনজনও খুশি। অভিনব গিয়ে লাবন্যর কাঁধে হাত রেখে বলল,”তোর মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে যাবি না??চল আজকে আমরা পার্টি দেব।তোর জীবন থেকে বড় ঝড় নেমে গেছে।”
লাবন্য মেয়েকে কোলে নিয়ে উঠে দাঁড়ালো। তারপর বলল,”কিন্তু এই লোকটার লাশ আর এতো রক্ত কি হবে?? পুলিশ কেস হয়ে যাবে তো??”
লাবন্যর কোলে থাকা মেয়েটা হাতে তুড়ি বাজিয়ে বলল,”এখন দেখো।”
লাবন্য অবাক হয়ে গেল। চোখের পলকে সব সরে গেল। কিছু নেই, কোথায় রক্ত কোথায় লাশ??
রা’দ এগিয়ে এসে বলল,”এসব নিয়ে চিন্তা করতে হবে না তুই বাড়িতে চল।”
সবাই একসাথে বাড়িতে গেলো। লাবন্য বসে বসে মেয়ের সাথে কথা বলতেছে। পূর্ণাশা মাথা চেপে ধরে সোফায় বসে আছে। ওর পাশে রা’দ আর অভিনব। হাসপাতাল থেকে ব্যান্ডেজ করেই এসেছে পূর্ণাশা। রা’দকে বলল,”তোরা ওই লোকটাকে ছাড়লি কেন??যদি লাবন্যর ক্ষতি হয়ে যেতো??”
রা’দ বড় একটা শ্বাস ফেলে বলে,”আমাদের চোখে ধুলো দিয়ে হাওয়ায় মিশে গেল হঠাৎ করেই। তাই আর ধরতে পারিনি। তারপর আমরা হসপিটালে চলে যাই।”
অভিনব লাবন্য আর ওর মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলল,”কিন্তু এই বাচ্চাটার কি হবে??যদি পরে কারো ক্ষতি করে দেয় তো??”
রা’দ বলল,”আমার মনে হয় না। কারণ এটা তো দ্যা বুক এ লেখা ছিলো না। ওই লোকটা তো মরেই গেছে এবার পরের গল্প পড়তে হবে। তবে এই বাচ্চাটা যদি থাকে তাহলে আমাদের সাহায্য করতে পারবে।”
পূর্ণাশা সন্দিহান চোখে বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে বলল,”কি জানি?? তবে আমার কেমন যেন গোলমাল লাগছে। বাচ্চাটা হুট করেই একদিন থেকে চারবছরের বাচ্চা হয়ে গেল অদ্ভুত। এরপর আর কি করবে কে জানে??আচ্ছা বইটা আমরা কবে পড়ছি??”
“খুব সম্ভবত তাড়াতাড়ি পড়বো। আমার বিশ্বাস আমরা জিতবোই।”
রা’দের কথায় বাকি দুজন ও সায় দিলো।
……………..
দু’দিন পর,,,,,,,,,,,
লাবন্য এতোটাই খুশি ওর মেয়েকে পেয়ে যা বলা বাহুল্য। ওর মেয়েকে দেখে কে বলবে যে দুদিনের শিশু?? কমপক্ষে চার বছরের বাচ্চা বলবে সবাই। মেয়েকে নিয়ে নানা কথা বলবে সমাজের মানুষ কিন্তু তাদের তো সব বললে বিশ্বাস করবে না। তাই লাবন্য বের হয় ও না। বাসার ভেতরেই থাকে। পূর্ণাশাও লাবন্যর সাথে থাকে।
আজকে রা’দ আর অভিনব এসেছে। রাতে সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করে মিটিং এ বসলো। আজকে বহুদিন পর আবার দ্যা বুক ওপেন করা হবে। না জানি এবার কার গল্প লেখা হবে ওই বইতে?? এনিয়ে পূর্ণাশা বেশ ভয় পাচ্ছে কারণ এখন ও আর রা’দ বাকি আছে। অভিনব ব্যাগ থেকে বইটা বের করলো। সাথে সাথে লাবন্যর মেয়েটার ঘুম ভেঙ্গে যায়। লাবন্য ওকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলো। কিন্তু হঠাৎ ঘুম ভাঙল কিভাবে?? রুমের লাইট অফ চারিদিকে ক্যান্ডেল জ্বলছে। তার মধ্যে চারজন বসে আছে। হঠাৎ ওর মেয়েকে এখানে আসতে দেখে চারজনই অবাক হয়ে যায়।
বাচ্চা মেয়েটি একধ্যানে বুক এর দিকে তাকিয়ে আছে। ঠোঁটের কোণে তার সন্তুষ্টির হাসি। লাবন্য পূর্ণাশা রা’দ অভিনব উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এখন কি হবে কারো তা বোধগম্য হচ্ছে না।
এই অল্প আলোতে মেয়েটার চেহারার উজ্জলতা আরো বাড়ছে। শরীর থেকে সাদা আলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে যা ওদের চোখে সইছে না। আলোর তীব্রতা আরো বাড়ছে তার সাথে সাথে ছোট মেয়েটার শরীর ও বাড়ছে। আস্তে আস্তে মেয়েটা একটা সুন্দরী যুবতীতে পরিণত হলো ওদের চারজনকে অবাক করে দিয়ে। আলোর তীব্রতা এখন অনেকটা কমে গেছে। ওরা অবাক হয়ে মেয়েটিকে দেখছে। খুব সুন্দর মেয়েটা,দুধে আলতা গায়ের রং তার উপর কালো রঙের লম্বা পোশাক পড়েছে। খোলা লম্বা কালো কেশগুলো হাওয়ায় উড়ছে অথচ রুমে কোন বাতাস নেই। এ যেন প্রকৃতির অদ্ভুত খেলা। লাবন্য বারবার ঢোক গিলছে। ওর মেয়ে হঠাৎ করেই কি হয়ে গেল??চার বছরের বাচ্চার থেকে বিশ বছরের যুবতী হয়ে গেল কিভাবে?? কারো মাথা কাজ করছে না। লাবন্য কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,”ত তুমি,,,!!”
মেয়েটা মিষ্টি হাসি দিলো। এতে তার সৌন্দর্য যেন হাজার গুণ বেড়ে গেল। মেয়েটা বলল, “আমি জাহ্নুবি এই বইয়ের বন্দিনী। কিন্তু আজ থেকে আমি মুক্ত। আমি আবার আমার রাজ্যে ফিরে যেতে পারব আর সেটা সম্ভব হয়েছে তোমাদের জন্য।”
“ক কিন্তু আমার মেয়ে??”
“আমিই হলাম তোমার মেয়ে। কিন্তু এখন আর নই। আমি ব্ল্যাক প্রিন্সেস,জন্মের পর সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করছিলাম কিন্তু আমাকে আমার রাজ্য থেকে তুলে এনে এই বইতে বন্দি করে দেয় বব হেনরি। এছাড়া আরও অনেক বন্দিনী এই বইয়ের ভেতরে রয়েছে। এরা বন্দি থাকতে থাকতে তিক্ত হয়ে গেছে। তাই যার তার উপর এরা আক্রমণ করে বসে। এবং আমিও সেরকম হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এই গল্পতে আমাকে একটা বাচ্চার রূপ নিতে হয়েছে। তাই তোমরা আমার মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করে আমাকে ভালোর পথে ফিরিয়ে এনেছো।তাই তোমাদের সবাইকে ধন্যবাদ।”
রা’দ বলে উঠলো,”কিন্তু আপনি বাচ্চা হয়ে লাবন্যর গর্ভে জন্ম নিলেন?? এটা কিভাবে সম্ভব??”
“ওই যে বইয়ের গল্প পূরণ করার জন্য। শুধু আমি না মৎস্যকন্যা রায়া ও গল্প পূরণ করার জন্য এসেছিল।”
অভিনব মৎকন্যার কথা শুনে চমকে উঠল বলল,”মৎসকন্যা রায়া,,,,,সে কোথায় এখন??”
জাহ্নুবি হাসলো তারপর বললো,”সে তো মারা গেছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা কি জানো??সে তোমাদের হাতে মরেনি সে অনেক আগেই মারা গেছে। তোমরা শুধু তার আত্মাকে মুক্তি দিয়েছো।”
জাহ্নুবির কথা শুনে সবাই চমকে গেলো। মৎস্যকন্যা আরো আগেই মারা গেছে!!জাহ্নুবি আবার বলতে লাগলো,”রায়ার সাথে এই বইতে থাকাকালীন আমার পরিচয়। বেঁচে থাকতে রায়া একজন মানুষকে ভালোবেসেছিল। এতোটাই ভালোবাসতো সেই মানুষ টাকে যার জন্য সবকিছু করতে রাজি হয়েছিলো। এমনকি নিজের রাজ্য ও। কিন্তু মানুষ,যারা সবসময় নিজেদের স্বার্থ খোঁজে। যার কারণে রায়াকে প্রাণ দিতে হয়। কিন্তু ওর আত্মা মুক্তি পাওয়ার আগেই বব হেনরি ওকে বন্দি করে ফেলে তারপর ওর জীবন কাহিনী নিয়ে গল্প সাজায়। তোমরা রায়াকে মুক্তি দিয়েছো। কিন্তু আমি জীবিত আমাকে তো ফিরে যেতেই হবে। আর ওই কুৎসিত লোকটা ছিল আমাদের রাজ্যের একজন। খারাপ মন থাকার কারণে ওর মুখটা ঝলসে যায়। এটা আমাদের রাজ্যের নিয়ম। আমাদের রাজ্য ব্ল্যাক কিংডম। কিন্তু সবার মন পরিস্কার। কারো মনে কাউকে হত্যা করার মতো জঘন্য পরিকল্পনা থাকে না। কিন্তু ওই কুৎসিত লোকটা এরকম জঘন্য পরিকল্পনা করে যার ওর মুখ ঝলসে যায়। আর ওকে ধরে এনে বন্দি করে বব হেনরি। তারপর আমাদের দুজনকে নিয়ে গল্প সাজায়। কিন্তু তোমরা সবকিছু ঘুরিয়ে আমাকে এই অভিশপ্ত বই থেকে বাচিয়েছো। এর আগেও কয়েকজন বইটা পড়েছিল তখন ভেবেছিলাম যে মুক্তি হয়তো পাবো কিন্তু না। তারাও মারা গেলো। কিন্তু তোমরা বুদ্ধির জোরে বেঁচে গেছো। আর আমিও, তোমাদের এই ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারব না। কিন্তু তোমাদের সাহায্য করতে পারবো। আর দু’জনের গল্প লেখা এখনও বাকি আছে। আমি দুজনের মধ্যে থেকে যেকোন একজনকে বাঁচতে সাহায্য করতে পারি কিন্তু বাকি একজনকে তোমাদের বাঁচাতে হবে। কারণ বব হেনরির শক্তির কাছে আমার শক্তি নূন্যতম তাই একজনকেই আমি বাঁচাবো।”
রা’দ হাসিমুখে বলল,”আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বিপদে পড়লে অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজন পড়বে আমাদের।”
“তাহলে আজ আমি আসি। বিপদে পড়লে আকাশের দিকে তাকিয়ে আমাকে ডাকবে আমি তখনই হাজির হয়ে যাবো।”
জাহ্নুবি হাওয়ায় কালো ধোঁয়া উড়িয়ে মিলিয়ে গেল। সবাই একধ্যানে সেদিকেই তাকিয়ে রইল। লাবন্য মাথা নিচু করে মুখ চেপে কেঁদে উঠলো। কারণ টা ও নিজেও বুঝতে পারছে না। ওর গর্ভে জন্ম নেওয়া জাহ্নুবির জন্য?? নাকি অন্যকিছু??পূর্ণাশা লাবন্যকে আঁকড়ে ধরে। আজকে অভিনবের মনটাও খারাপ হয়ে গেছে। তার প্রেয়সির নামটা যে আজকে জানতে পারলো কিন্তু রায়ার সম্পর্কে বলা কথাগুলো অভিনবের বুকে লেগেছে। মানতে পারছে না যে রায়া মারা গেছে এভাবে??একটা তিক্ত শ্বাস বের হলো অভিনবের মুখ দিয়ে।
চলবে,,,,,,,
#THE_BOOK
#পর্ব_১৯
#Ishita_Rahman_Sanjida(Simran)
“রক্তচোষা (ইংরেজি: Vampire) একটি পৌরাণিক ও লোককথার একটি প্রাণী যারা জীবিত প্রাণীর রক্ত খেয়ে বাঁচে।[১][২][৩][৪][৫][৬] ভ্যাম্পায়ার অনেক সংস্কৃতিতে দেখা যায়। ইতিহাসবিদ ব্রায়ান ফ্রস্ট বলেনঃ” রক্তচোষা দৈত্য ও ভ্যাম্পায়ারে বিশ্বাস মানুষের অস্তিত্বের মতোই একটা পুরানা ব্যাপার। “ভ্যাম্পায়ার শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ১৮ শতকের প্রথম দিকে। পূর্ব ইউরোপ[৭] ও বলকানসের ধরনের কুসংস্কার বেড়ে ওঠে। ভ্যাম্পায়ার কুসংস্কারের মাত্রা যতই বাড়তে থাকে মানুষের মাঝে মাস হিস্টেরিয়া বাড়তে থাকে। ব্রাম স্টোকারের ড্রাকুলা উপন্যাস স্বরণ করা যায় ভ্যাম্পায়ার সাহিত্য হিসেবে।[৮] এই বইটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, এমনকি এই শতাব্দীতেও এটা সমান জনপ্রিয়। অক্সফোর্ড ইংলিশ অভিধানে শব্দটি ১৭৩৪ সালে স্থান পায়।
বর্তমান প্রজন্মের মানুষ ভাম্পায়ারকে অবিশ্বাস করে। কিন্তু যদি হঠাৎ করে কোন একদিন এই ভাম্পায়ার সামনে এসে পড়ে তাহলে??কি হবে??যদি ঘাড়ে তার ধারালো দাঁতগুলো দাবিয়ে দিয়ে সমস্ত রক্ত চুষে খায় তবে??কি হবে??
মেয়ে ভাম্পায়ারদের কমই দেখা যায়। কিন্তু পুরুষদের মধ্যে ভাম্পায়ার থাকে বেশি। সাধারণ তারা বেশিরভাগই মেয়েদের রক্ত খেতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। কখনো হুটহাট আক্রমণ করে বসে তো কখনো মায়ায় ফেলে নির্জন জঙ্গল হয় তার রক্ত খাওয়ার জায়গা।
কিন্তু এবার তার পৃথিবীতে আসার কারণ একজনই। সে একজনের রক্ত খাওয়ার জন্য এই পৃথিবীতে পা রাখতে চলেছে। সেটা হলো একজন মানুষ!!সেই মানুষ ব্যতীত অন্য কোন মানুষের রক্ত তার পানযোগ্য নয়। তাহলে কে সেই ব্যক্তি?? এবার কোন বিপদে পড়তে চলেছে সে??যদি সে ভাম্পায়ারকে চিনতে অক্ষম হয় তাহলে সে বাঁচবে কি করে?? নিজের উপর আসা আক্রমণ ঠেকাবে কিভাবে??”
পরবর্তী পাতা উল্টায় রা’দ। কিন্তু আর কোন লেখা নেই পুরোটাই সাদা। এবার সবাই বুঝলো যে পরবর্তী গল্পে ওদের এক রক্তচোষার মুখোমুখি হতে হবে। পূর্ণাশার অবস্থা তো যায় যায়। বেচারি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলে,”এটা নিশ্চয়ই আমার গল্প। আমি শিওর কিন্তু আমি এর থেকে বাঁচব কিভাবে?? এতদিন শুধু শুনেই এসেছি ভাম্পায়ার এর কথা কিন্তু এখন তো দেখছি সত্যি সত্যি আমার জীবনে ভাম্পায়ার আসতে চলেছে। আমি এবার কি করি??”
পূর্ণাশার কথায় রা’দ একটু বিরক্ত বোধ করে। বলল,”এই সময়ে এখন এসব বলার সময়??বাজে বকবক না করে আমাদের ভাবতে দে?? না হলে আমরা কিছু করব না। ওই ভাম্পায়ার এসে তোর রক্ত চুষে খাবে বুঝেছিস।”
পূর্ণাশা আরো ভয় পেয়ে গিয়ে বলে,”এই না না আমি চুপ তোরা কিছু একটা ভাব??”
পূর্ণাশা মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করে রইলো। লাবন্য বলল,”আমরা কি জাহ্নুবির কাছে সাহায্য চাইবো??”
অভিনব কিছু একটা ভেবে বলে,”আমার মনে হয় এখনি জাহ্নুবিকে কিছু না বলাই ভালো। আমরা নিজেরাই এই ভাম্পায়ারকে মারার চেষ্টা করবো। যদি না পারি তাহলে জাহ্নুবিকে ডাকবো। কারণ এরপর আরো একটা গল্প লেখা হবে। সেটা যদি আরো ভয়ংকর হয় তাহলে তখন জাহ্নুবির সাহায্য নিতে পারবো। তাই এখন আমাদের কেই লড়াই করতে হবে।”
রা’দ অভিনবের কথায় সায় দিয়ে বলে,”কিন্তু তার আগে আমাদের ওই ভাম্পায়ারকে চিহ্নিত করতে হবে। কিন্তু কিভাবে করবো??”
অভিনব নিজের ল্যাপটপ অন করতে করতে বলল,”সেটা ইন্টারনেটে সার্চ করলেই বোঝা যাবে। কারণ এর আগেও একবার আমি ভাম্পায়ার সম্পর্কে ইন্টারনেটে দেখেছিলাম।”
“তাহলে তাড়াতাড়ি বের কর।”পূর্ণাশা কৌতুহল নিয়ে বলে।
অভিনব সার্চ করো ভাম্পায়ার সম্পর্কে। সেখানে ভাম্পায়ার চিহ্নিত করার কিছু নেই। তবে ভাম্পায়ার খুঁজে বের করার পদ্ধতি রয়েছে। লেখা আছে’ভাম্পায়ার খুঁজতে হলে প্রথমে একটি ঘোড়াকে কবরের কাছে নিয়ে আসতে হবে। সাধারণত কালো ঘোড়া আর আলবেনিয়াতে সাদা ঘোড়া দরকার হয়। যে কবরে ভ্যাম্পায়ার থাকে তার মাটিতে তখন গর্ত সৃষ্টি হয়। মানুষের মৃতদেহকে ভ্যাম্পায়ার হিসেবে ভাবা হয় অনেক সময় যেগুলোর পচে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সন্দেহজনক কবর খোঁড়া হলে পাওয়া যায় সারা মুখে শিকারের রক্তমাখা মৃতদেহ বা ভ্যাম্পায়ার। গবাদি পশুর মৃত্যু বেশিরভাগ ভ্যাম্পায়ারের কারণে হয়। একারণে ঘোড়া বা অন্যান্য পশুর সাহায্যে ভাম্পায়ার চেনা যায়।’
অভিনব ল্যাপটপ বন্ধ করে বলল,”এবার আমরা ওই ভাম্পায়ারকে সহজেই চিনতে পারবো।”
লাবন্য বলে,”কিন্তু কিভাবে?? এখানে তো তেমন কিছুই নেই।”
অভিনব এবার যুক্তি সহকারে বলতে লাগলো,”দেখ ওই ভাম্পায়ার এখনো আসেনি। তবে তার আসার আগে যদি আমরা তাকে আনতে পারি তাহলে আমরা সহজেই আমারা তাকে দেখতে পারব। পরবর্তী সময়ে তাকে চিনতে আমাদের সমস্যা হবে না।”
রা’দ চিন্তিত হয়ে বলে,”একটু ক্লিয়ার করে বল। বুঝলাম না তো!!”
“আমরা যদি ভাম্পায়ারটাকে খুঁজে বের করি তাহলেই তো হলো।”
“মানে তুই বলতে চাইছিস একটা ঘোড়া বা গবাদি পশু নিয়ে আমরা কবরস্থানে গিয়ে ভাম্পায়ার খুঁজব??”
“এক্সাটলি তাই কারণ এছাড়া আমাদের আর কোন অপশন নেই। এখন দেখ কি করবি??যদি অন্য কিছু ভেবে পাস তাহলে এই প্ল্যানটা ক্যান্সেল করা হবে।”
লাবন্য পূর্ণাশা নিরব দর্শকের মতো বসে আছে। কারণ ওদের মাথায় এই মুহূর্তে কোন প্ল্যান আসছে না। তাই ওরা চুপ করে আছে।
রা’দ অনেক ভেবে অভিনবের সিদ্ধান্ত মেনে নিলো। পূর্ণাশা বলল”তোরা কি এখনই যাবি ভাম্পায়ার খুঁজতে??”
অভিনব গা ছাড়া ভাব নিয়ে বলল,”নয়তো কি?? নাহলে দেখা যাবে ওই ভাম্পায়ার কালকে এসেই তোর ঘাড় মটকাবে আর তুই টেরও পাবিনা।”
“কিন্তু এতো রাতে ঘোড়া পাবি কোথায়??”
এবার লাবন্য বলল,”ঘোড়া ছাড়া তো অন্য গবাদি পশু হলেও চলবে। আমাদের বাড়িওয়ালার একটা ছাগল আছে। নিচে গ্যারেজের এক কোণায় বাঁধা থাকে।”
অভিনব খুশি হয়ে বলে,”তাহলে তো হয়েই গেলো। ওটাকেই চুরি করে কাজ চালাবো।”
রা’দ বলল,”ধরা পড়ে গেলে কি হবে?? ছাগলের স্বভাব তো ম্যা ম্যা করা। বাড়িওয়ালা শুনলে তো শেষ। এই বাড়িওয়ালা তো একটা খচ্চর লোক মুখে যা আসে তাই বলে।”
অভিনব উঠে দাঁড়িয়ে বলে,”গেটের কাছে একটা কাঁঠাল গাছ আছে ওখান থেকে পাতা এনে দেব তাহলে দেখবি ম্যা ম্যা করার টাইম পাবে না তার আগেই আমরা ওটাকে নিয়ে চলে যাব। চল সবাই”
পূর্ণাশা ভয়ে ভয়ে বলল,”আমাকেও যেতে হবে??”
“হ্যা যেতে হবে কারণ তোকে দেখলে ভাম্পায়ার তাড়াতাড়ি চলে আসবে। আর থাকলে থাকতে পারিস। যদি আমাদের অনুপস্থিতিতে ভাম্পায়ার এসে তোর রক্ত খেয়ে নেয় তখন আমাদের দোষ দিতে পারবি না।”
পূর্ণাশা ভয়ে লাফিয়ে উঠে বলে,”এই না না আমি যাব।”
লাবন্য আর অভিনব হেসে ফেললো। রা’দ বলল,”এখন মজা করার মুডে গেলি কেন চল সবাই??”
চারজন মিলে বেরিয়ে পড়লো ভাম্পায়ার খোঁজার উদ্দেশ্য। লিফটে করে নিচে আসতেই গেটের দিকে এগিয়ে যায় অভিনব। লম্বা হওয়ার দরুন সে অনায়াসে কাঁঠাল গাছের ডাল ভেঙে হাতে নিলো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে দারোয়ান কে নিয়ে। সে যদি দেখে ফেলে তাহলে তো সমস্যা। লাবন্য এগিয়ে গিয়ে দারোয়ান কে দোকানে পাঠালো কিছু একটা কিনতে। সে চলে গেল। অভিনব আর রা’দ ধীরপায়ে গ্যারেজে গেলো। সেখানে সারি সারি গাড়ি আর বাইক রাখা। তার এক কোণায় ছাগলটা বাঁধা। বেশ নাদুসনুদুস দেখতে ছাগলটা। অভিনব চারিদিকে তাকালো নাহ কেউ নেই আশেপাশে। কাঁঠাল পাতা এগিয়ে দিতেই ছাগল খুশি মনে খেতে লাগল। রা’দ দড়ি খুলে হাতে নিলো। অভিনব কাঁঠাল পাতার ডাল হাতে নিয়ে এক পা এক পা করে পিছিয়ে যাচ্ছে সাথে ছাগলটাও এগোচ্ছে। এমন করতে করতে গেইট পেরিয়ে গেলো। রা’দ তাড়াতাড়ি বাইকে বসে বলল, “এবার ছাগলটাকে কিভাবে নিয়ে যাব??”
অভিনব ছাগলটাকে ধরে বাইকে কোনমতে বসালো তারপর নিজেও চেপে বসে। রা’দ কোনমতে বাইক চালিয়ে দূরে চলে আসে। তারপর লাবন্যকে ফোন করে লোকেশন বলল। একটু পর লাবন্য আর পূর্ণাশা চলে আসলো। যাক সবটা ঠিকঠাক হয়ে গেছে। লাবন্য বলল,”এবার কোন কবরস্থানে যাবি??”
রা’দ বলল,”নির্জন কোন কবরস্থানে গেলেই ভালো হবে।”
চারজনে মিলে শহর থেকে দূরে একটা নির্জন কবরস্থানে গেলো। জায়গাটা জনমানবশূন্য, নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে চারিদিকে। থেকে থেকে হুতুম পেঁচার ডাক শোনা যাচ্ছে। পূর্ণাশার এবার বেশ ভয় করছে। শক্ত করে লাবন্যর হাত ধরে আছে। রা’দ আর অভিনব গিয়ে একটা গাছের সাথে ছাগলটাকে বেঁধে দেয়। তারপর কবরস্থান থেকে একটু দূরে বড় একটা গাছের আড়ালে চারজন লুকিয়ে পড়ে।
এবার নিশ্চয়ই ছাগলের রক্ত খাওয়ার জন্য ভাম্পায়ার আসবেই।
ঘন্টা পার হয়ে গেছে কিন্তু কোন ভাম্পায়ারের আসার নাম নেই। ওদিকে ওরা মশার কামড় খেতে খেতে বিরক্ত। হাত পা ফুলে উঠেছে বারবার চুলকাচ্ছে। বিরক্তিতে সবার মুখ কুঁচকে এসেছে।
এভাবে আরও কিছুক্ষণ কেটে গেল। হঠাৎ ওরা দেখতে পেল যে ছাগলটা লাফালাফি শুরু করেছে। আপ্রাণ চেষ্টা করে দড়ি ছেড়ার জন্য কিন্তু পারছে না। তাহলে কি ভাম্পায়ার এলো??তাই হবে হয়তো??একটু দূরে অবস্থিত কবরটাতে বিরাট একটা গর্ত সৃষ্টি হলো। সেখান থেকে বেরিয়ে এলো একটা সুদর্শন যুবক। যার পরনে কালো রঙের বড় আলখাল্লা। সারা শরীর ধবধবে ফর্সা কিন্তু চোখের নিচে কালি পড়ে আছে। এতোটাই কালো যে চোখটা সম্পূর্ণ দেখা যাচ্ছে না শুধু রক্তবর্ণ লাল মণিজোড়া দেখা যাচ্ছে। ঠোঁটের নিচে কিছুটা রক্ত লেগে আছে।
এটা দেখে লাবন্য আর পূর্ণাশা ভয়ে মুখে হাত চেপে আছে। কারণ হাত সরালেই ওদের মুখ থেকে চিৎকার বের হবে। ভাম্পায়ারটা আস্তে আস্তে ছাগলটার দিকে এগিয়ে এলো। হাঁটু মুড়ে বসে ছাগলের গলায় নিজের ধারালো সূক্ষ্ম দাঁতগুলো বসিয়ে দিয়ে আরাম করে রক্ত খেতে লাগলো। শো শো শব্দ আসছে রক্ত চোষার যা ওদের ভয়কে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। লাবন্য পূর্ণাশা এক দৌড় দিয়ে ওখান থেকে চলে এলো। ওদের এভাবে চলে আসতে দেখে রা’দ ও অভিনব ও গেল। কবরস্থান থেকে অনেকটা দূরে এসে থামলো লাবন্য পূর্ণাশা। থেমেই হাঁপাতে লাগলো। রা’দ আর অভিনব ও এসে থামলো। অভিনব বলে উঠলো,”এভাবে চলে এলি কেনো??দেখবি না??”
লাবন্য ভয়ার্ত কন্ঠে বলল,”কি!!ওসব দেখা যায়??বাবা কি ভয়ংকর। পূর্ণাশাকে এর হাত থেকে কিভাবে বাঁচাবো??”
রা’দ বলে,”সেটাই তো চিন্তার বিষয়। কিছু তো একটা ভাবতে হবে।”
অভিনব বাইকে বসে বাইকের হ্যান্ডেল থেকে ব্যাগটা নিয়ে কাঁধে ঝুলিয়ে বলে,”কি আর হবে??একটা না একটা উপায় পেয়ে যাবো।”
পূর্ণাশা এগিয়ে এসে অভিনবের থেকে ব্যাগটা ছিনিয়ে নিয়ে বলল,”ব্যাগ দে,এটার ভেতরে দ্যা বুক আছে। তুই সামলাতে পারবি না।”
অভিনব কটাক্ষ করে বলে,”আগে তুই নিজেকে সামলা তারপর দ্যা বুক সামলাবি।”
পূর্ণাশা অভিনবকে ভেংচি কাটলো। তখনই পূর্ণাশা দেখতে পেল দূর থেকে কেউ একজন উড়ে এদিকে আসছে। এবার সবাই সেদিকে তাকালো। ভালো করে দেখলো সেই ভাম্পায়ারটা তার বিরাট পাখা মেলে উড়ে একদিকে আসছে। ওরা সবাই ঘাবড়ে গেল কারণ এতো তাড়াতাড়ি ওদের আক্রমণ করতে এসেছে। এখন কি হবে??ওরা তো কোন কিছুই ভাবেনি এখনো। পূর্ণাশা ভয়ে অভিনবকে চেপে ধরলো। লাবন্য দৌড়ে এসে ওদের ধরলো। রা’দ আসতে আসতে ভাম্পায়ারটা এসে পূর্ণাশার দুকাধে হাত রেখে ওকে শূন্যে তুলে নিলো। অভিনব আর লাবন্য পূর্ণাশাকে ধরে রাখায় ওরা তিনজনই শূন্যে উঠে গেল। রা’দ দৌড়ে এসে অভিনবের কোমড় জড়িয়ে ধরে। এবার চারজনেই শূন্যে উঠে গেলো।
ওদের চারজনকে নিয়ে ভাম্পায়ারটা ঘন জঙ্গলের উপর দিয়ে উড়ে চলছে। ওর গন্তব্য কোথায় তা ও নিজেও জানে না। পূর্ণাশার কাঁধ ছিঁড়ে যাচ্ছে। অসহ্য যন্ত্রণা করছে কিন্তু এখন তো কিছু করার নেই।
রা’দের হাত আলগা হয়ে আসছে। এভাবে আর কতক্ষন ধরে থাকা যায়?? শক্তি ফুরিয়ে আসতেই রা’দ নিজের হাতের বাঁধন ছেড়ে দিলো। সাথে সাথে তুমুল বেগে নিচে পড়তে লাগলো রা’দ। লাবন্য একটা চিৎকার দিলো রা’দের নাম ধরে। বাতাসের বাধার কারণে সেই চিৎকার রা’দের কান অবধি পৌঁছালো না। গাছের সাথে বাড়ি খেতে খেতে সোজা জঙ্গলের পাতার স্তুপের মধ্যে গিয়ে পড়লো সে। গাছের সাথে বাড়ি খাওয়ার ফলে মাথায় আঘাত পায় রা’দ। ফলে জ্ঞান হারিয়ে পাতার স্তুপের মধ্যেই পড়ে রইলো। আর ওদিকে পূর্ণাশা অভিনব আর লাবন্যকে নিয়ে উড়ে গেল ভাম্পায়ারটা।
চলবে,,,,,,,,,,,