বেদনার_রঙ_নীল ঊনচল্লিশতম পর্ব

0
201

#বেদনার_রঙ_নীল
ঊনচল্লিশতম পর্ব
লিখা- Sidratul Muntaz

প্রণয়ের সিদ্ধান্ত এক নিমেষে সবাইকে হতাশ করে দিল। হেলাল সাহেব রাতের খাবার খেয়ে চলে যেতে বললেন কাজী সাহেবকে। বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন হচ্ছে না। সবার চেহারায় দুঃখের ছাপ সৃষ্টি হলো। যেন বিয়ে না হওয়াটা মানুষ মরে যাওয়ার মতো কঠিন ব্যাপার। প্রণয়কে ব্যালকনিতে দাঁড়ানো দেখে হেলাল সাহেব গম্ভীর চিত্তে বললেন,” তুমি এই কাজটা একদম ঠিক করোনি। আমি যে তোমাকে বিশ্বাস করে ভুল করেছি সেটা তুমি প্রমাণ করে দিলে। আর কখনও আমার সামনে এসো না।”

প্রণয় মাথা নত করে উত্তাল কণ্ঠে জানাল,”তুলিকে বিয়ে করতে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি যে কোনো অবস্থাতেই তুলিকে বিয়ে করতে রাজি। কিন্তু তুলি এখন বিয়ের জন্য প্রস্তুত না। এই বিয়ে যদি ও করে তাহলে বাধ্য হয়ে করবে। আমি ওকে বাধ্য করতে চাই না।”

হেলাল সাহেব কোনো প্রতিউত্তর করলেন না। ভেতরের ঘর থেকে তুলি সেই কথা শুনতে পেয়ে একটু পর বেরিয়ে এলো। প্রণয়ের সামনে দাঁড়িয়ে সে বিরস মুখে বলল,” বিয়ে যদি করতেই না হয় তাহলে রাজি হয়েছিলেন কেন?”

” ভুল হয়েছে।” সহজভাবে স্বীকারোক্তি দিল প্রণয়। তুলি ছলছল দৃষ্টি মেলে চাইল। ভেজা কণ্ঠে বলল,” তাহলে আরও একটা ভুল করুন।”

” মানে?”

” মানে আমি চাই বিয়েটা হোক। আপনি আমাকে বিয়ে করুন।”

” ভেবে বলছো?”

” আর ভাবার কিছু নেই।”

রাত ঠিক বারোটায় প্রণয় আর তুলির বিয়ে হয়ে গেল। পরদিন সকালে তারা রওনা হলো ঢাকার উদ্দেশ্যে। তুলির মামা-মামী খুশি মনে তাদের বিদায় জানালেন। গ্রামে বিয়ের খবর ছড়িয়ে গেল। আজমীর অবশ্য এই নিয়ে কোনো ঝামেলা পাকানোর সুযোগ পেল না। সকাল হতেই তুলিরা গ্রাম ছেড়ে দিয়েছিল। রিসব চলে গেল তার গন্তব্যে। আর তুলিরা ফিরে এলো ঢাকায়। সবকিছু আগের নিয়মেই চলতে লাগল। রোজ রাইফা আর তুলি কোচিং-এ যায়। মন দিয়ে লেখাপড়া শুরু করেছে তারা। তুলি ভীষণ চেষ্টা করছে ভালো কোথাও চান্স পাওয়ার জন্য। এডমিশন টেস্ট আসতে খুব বেশি দেরি নেই। প্রণয় তার বাড়িতে কাউকে এখনও বিয়ের কথা জানাতে পারেনি। তুলিই নিষেধ করেছিল। লটারীর সেই ঘটনা নিয়ে তুলি কিঞ্চিৎ রাগান্বিত। সে প্রায় পঞ্চান্ন হাজার টাকা খরচ করে ফেলেছে। বাকি ঊনচল্লিশ লাখ পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা সে প্রণয়কে ফিরিয়ে দিয়েছে। বাকি টাকাও খুব শীঘ্রই ফিরিয়ে দিবে। এইতো সেদিন শানকে পড়াতে এসেছিল তুলি। মিষ্টি তার হাতে বেতন তুলে দিতে নিলেই সে বলল,” আগামী কয়েক মাস আমি বেতন নিবো না আপু। ”

মিষ্টি অবাক হয়ে জানতে চাইল,” ওমা কেন? বেতন কেন নিবে না?”

প্রণয় তাদের কথা শুনতে পেয়ে সিঁড়ির গোঁড়ায় দাঁড়িয়ে গেল। তুলি আঁড়চোখে তার দিকে তাকিয়ে বলল,” আমি প্রণয় ভাইয়ার থেকে কিছু টাকা ধার করেছিলাম। সেই ধার শোধ দেওয়ার জন্যই বেতন নিবো না।”

কৌতুহলী হলো মিষ্টি। প্রশ্ন করল সবিস্ময়ে,” তাই নাকি? কত ধার নিয়েছো?”

” প্রায় পঞ্চান্ন হাজারের কাছাকাছি। যতদিন ওই টাকা শোধ না হচ্ছে, আমি শানকে এমনিই পড়াবো। বেতন দিতে হবে না।”

তুলি এই কথা বলে চলে আসতে নিলেই প্রণয় দ্রুত সিঁড়ি ভেঙে নামল। তুলির পথ রোধ করে বলল,” এখন তোমার টাকা শোধ দেওয়ার দরকার নেই তুলি। সময় হলে দিও।”

তুলি মৃদু হেসে বলল,” স্যরি, আমি অপেক্ষা করতে চাই না। বেশি দিন কারো কাছে ঋণী থাকতে আমার ভালো লাগে না।”

প্রণয় মিষ্টির সামনে আর কিছু বলতে পারল না সেদিন। তবে তুলি যে তাকে এখনও ক্ষমা করেনি এইটুকু বুঝতে পেরেছিল সে ভালো করে। ইদানিং তুলি প্রণয়ের ফোনটাও ধরে না। ঘটনাচক্রে দেখা হলেও এড়িয়ে যায়।তাদের বিয়ে হয়েছিল এই ব্যাপারটা যেন তুলি মানতেই পারছে না। একটা মানুষকে ঠিক যতভাবে অবহেলা করা যায়, তার চেয়েও বেশি অবহেলা করছে তুলি প্রণয়কে।

রাইফা তুলির হাব-ভাব বুঝতে পারছে না। মেয়েটা কিছুদিন ধরে খুব অদ্ভুত আচরণ করে। আগে সে রাইফার সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাতো। দুইদিন ধরে তুলি আলাদা থাকতে চাইছে। রাইফা প্রশ্ন করেছিল,” তোর কি সমস্যা? আমার সাথে ঘুমাতে কি প্রবলেম হয়?”

তুলি মলিন মুখে বলেছিল,” সামনে এডমিশন টেস্ট। তাই আমি রাত জেগে পড়াশুনা করি। আলো জ্বালানো থাকলে তোর ঘুম আসবে না। এজন্যই আলাদা ঘরে থাকছি।”

” আলো জ্বালানো থাকলেও আমার ঘুমে প্রবলেম হবে না। তোর আলাদা থাকার কোনো দরকার নেই।”

তুলি তবুও শোনেনি। ত্যাড়া গলায় বলেছে,” নিশ্চয়ই দরকার আছে। আর এই বিষয়ে তোর সাথে নেক্সট টাইম তর্ক করতে চাই না।”

রাইফা অবাক হয়ে গেছিল। তার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হলো। সেই সন্দেহ থেকেই একদিন রাতে সে তুলির ঘরে আড়ি পেতে লক্ষ্য করল, তুলি কাঁদছে। হাউমাউ করে কাঁদছে! রাইফা বিস্ময়ে হতবিহ্বল হয়ে গেল। কি হয়েছে তুলির? হাসি-খুশি মেয়েটা হঠাৎ এমন ভেঙে পড়ল কিভাবে? তাছাড়া আগে তো তুলি তার জীবনের সব গোপন কথা রাইফার সাথে শেয়ার করতো। এখন কিছুই বলে না। সব নিজের মধ্যে চেপে রাখে। আর গভীর রাতে এভাবেই বুক ভাসায়। তুলির ব্যাপারটা কি? রাইফা তদন্ত শুরু করল। তুলির প্রতিটি পদক্ষেপ সে খেয়াল করতে লাগল। সকালে যেদিন কোচিং থাকে না সেদিন রাইফা অনেক বেলা করে ঘুম থেকে ওঠে। আজও কোচিং এ ক্লাস ছিল না। কিন্তু রাইফার ঘুমটা ভেঙে গেল। সে ভাবছিল বাথরুম থেকে এসে আবার ঘুমাবে। তখনি পাশের রুম থেকে শব্দ শুনল, তুলি কোথায় যেন যাচ্ছে। রাইফা বের হয়ে ঘুমো ঘুমো চোখে জিজ্ঞেস করল,” কই যাচ্ছিস তুলি?”

হঠাৎ রাইফার আগমনে তুলি যেন আৎকে উঠল কিছুটা। চোরের মতো আমতা-আমতা করে বলল,” একটা কাজে।”

” এতো সকালে তোর কি কাজ? আটটা বাজে মাত্র।”

” জরুরী একটা কাজ আছে। ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি।”

” ডাক্তার মানে? তুই কি অসুস্থ?”

তুলি পাশ কাটানো কণ্ঠে বলল,” তেমন কিছুই না। মেয়েলী সমস্যা। তুই বুঝবি না।”

রাইফা নাছোড়বান্দার মতো বলল,” আমি কেন বুঝবো না? আমি কি মেয়ে না?”

তুলি উত্তর দিল না। ব্যস্ততা দেখিয়ে দ্রুত বের হয়ে গেল। তাড়াহুড়োয় সে তার মোবাইলটা ফেলে গেছিল। রাইফার খুব সন্দেহ লাগায় সে মোবাইল চেক করল। তুলির মোবাইলের পাসওয়ার্ড সে জানতো। তাই অসুবিধা হলো না। ম্যাসেজ অপশনে কিছুক্ষণ আগেই একটা নতুন ম্যাসেজ এসেছে। সেই ম্যাসেজটি পড়েই রাইফার মাথা চক্কর দিয়ে উঠল৷ পায়ের পাতা কাঁপতে লাগল। ধপ করে বসে পড়ল সে বিছানায়। শিরা দপদপ করে লাফাচ্ছে। ম্যাসেজটিতে স্পষ্ট লেখা যে তুলি প্রেগন্যান্ট।আর সে এখন হসপিটালে যাচ্ছে এবোর্শনের জন্য! রাইফা আর এক মুহূর্ত দেরি না করে প্রণয়কে ফোন দিল। কিন্তু প্রণয় ফোন ধরল না। অধৈর্য্য হয়ে রাইফা বেরিয়ে যেতে নিচ্ছিল। তখনি তুলি আবার ঘরে ঢুকল। সে মোবাইল খুঁজতে এসেছে।

” রাইফা, আমার মোবাইলটা দেখেছিস?”

রাইফা কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। তুলি আবার প্রশ্ন করল,” কিরে, আমার ফোন? দ্রুত একটু খুঁজে দে না! আমার দেরি হচ্ছে।”

রাইফা পেশী টানটান করে বলল,” তুই কোথায় যাচ্ছিস বল আগে?”

” বললাম তো, ডাক্তারের কাছে।”

রাইফা কয়েক কদম এগিয়ে এসে প্রশ্ন করল,” তুই কি প্রেগন্যান্ট?”

হঠাৎ এই প্রশ্নে খানিক থতমত খেল তুলি। শুকনো গলায় বলল,” মানে? কি যা-তা বলছিস?”

রাইফা ধমক দিয়ে উঠল,” খবরদার মিথ্যা বলবি না আমার সাথে। আমি তোর ফোনে ম্যাসেজ দেখেছি। তুই এবোর্শন করাতে যাচ্ছিস?”

তুলি জবাব দিল না। ভয়ে তার মুখ কাঁচুমাচু। রাইফা প্রায় চেঁচিয়ে বলল,” এটা তুই কি করতে যাচ্ছিস? কাউকে কিছু না জানিয়েই এবোর্শন করে ফেলবি? প্রণয় কি এসব জানে? সে কি তোকে এই অনুমতি দিয়েছে?”

তুলি শক্ত গলায় বলল,” তার অনুমতির কোনো প্রয়োজন নেই আমার। এই সিদ্ধান্ত আমি একা নিয়েছি। এই মুহূর্তে এসব হ্যান্ডেল করা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি কোনো বাচ্চা জন্ম দিতে পারবো না।”

রাইফা হতভম্ব কণ্ঠে জানতে চাইল,” তাই বলে বাচ্চা মেরে ফেলবি? কোনো মা কি পারে? আচ্ছা, তোর মা যদি জন্মের আগে তোকে মেরে ফেলতো…”

রাইফাকে বাক্য শেষ করার সুযোগ না দিয়েই গর্জে উঠল তুলি,” খুব ভালো হতো, খুব। আমার মা যদি আমাকে জন্ম না দিয়ে আগেই মেরে ফেলতো তাহলে দুনিয়ার সবচেয়ে সঠিক কাজ হতো। খুব ভালো হতো।”

তুলি কথা শেষ করেই কাঁদতে কাঁদতে রাইফার হাত থেকে নিজের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে চটজলদি বের হয়ে গেল। রাইফা বিড়বিড় করে বলল,” তুই একা এতো বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারিস না। প্রণয়কে জানানো উচিৎ। ”

রাইফা পুনরায় প্রণয়কে ফোন করতে লাগল। এ যাত্রায় ফোনটা ধরল প্রণয়।

” হ্যালো।”

” প্রণয়, কোথায় আছো তুমি?”

” এইতো ক্লাসে। তুমি কি ইম্পোর্ট্যান্ট কিছু বলবে?”

” অবশ্যই। অনেক বেশি ইম্পোর্ট্যান্ট। আমি তোমাকে একটা হসপিটালের এড্রেস দিচ্ছি। প্লিজ দ্রুত সেখানে চলে এসো।”

” হসপিটালে মানে? কি হয়েছে?”

” তুলি হসপিটালে আছে।”

” হোয়াট?”

” তুমি তাড়াতাড়ি সেখানে আসো। তারপর বাকি কথা বলবো। রাখছি।”

প্রণয়কে আর প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়ে রাইফা ফোন কেটে দিল। তারপর প্রায় বাতাসের গতিতে তৈরী হয়ে গাড়ি নিয়ে বের হলো। তুলির আগেই যদি হসপিটালে পৌঁছানো যায় তাহলে সবথেকে ভালো হবে। ট্রাফিক জ্যামের কারণে রাইফা খুব দ্রুত বের হলেও দ্রুত পৌঁছাতে পারল না। পথিমধ্যে সে কেবল আল্লাহকে ডাকতে লাগল। তুলি যেন কিছুতেই এই কাজ করতে না পারে। রাইফা অবিরত তুলির মোবাইলে ফোন দিতে লাগল। কিন্তু নাম্বার ব্যস্ত দেখাচ্ছে। হয়তো প্রণয়ও একই সময় তুলিকে ফোন করছিল।

রাইফা হসপিটালে পৌঁছে দেখল প্রণয় আগেই সেখানে চলে এসেছে।গ্রাউন্ড ফ্লোরের করিডোরে খুব অস্থিরচিত্তে পায়চারী করছিল সে। রাইফাকে দেখতে পেয়েই উদ্বিগ্ন কণ্ঠে জানতে চাইল,” রাইফা, তুলি কোথায়? ওর কি হয়েছে?”

রাইফা আশেপাশে তাকিয়ে বলল,” আমাদের তুলিকে খুঁজে বের করতে হবে প্রণয়। ও এখানে এবোর্শনের জন্য এসেছে।”

প্রণয়ের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। স্তব্ধের মতো উচ্চারণ করল,” কিহ!”

সে কথাটা বিশ্বাসই করতে পারল না। তুলি যে প্রেগন্যান্ট এই খবরটাই তো সে জানে না! তুলিকে পাওয়া গেল দুইতলার একশো বারো নাম্বার ওয়ার্ডের সামনে। ওয়েটিংরুমে ঝিম ধরে বসে আছে সে। চোখমুখ বিষণ্ণ। রাইফা ছুটে যেতে নিলেই প্রণয় তাকে থামিয়ে বলল,” তুমি এখানেই দাঁড়াও। আমি ওর সাথে কথা বলছি।”

রাইফা নরম কণ্ঠে বলল,” আচ্ছা যাও। কিন্তু বেশি বোকো না। ও হয়তো এক্সামের জন্য..”

প্রণয় তাকাতেই চুপ হয়ে গেল রাইফা। সে এটা কেমন যুক্তি দিচ্ছে? একটা নিষ্পাপ প্রাণের কাছে এক্সাম কোনো বিষয় না। তুলি যেটা করছে সেটা অন্যায়। রাইফা সেই অন্যায়কে ডিফেন্ড করতে পারে না। প্রণয় ধীরপায়ে তুলির দিকে এগিয়ে গেল। হঠাৎ প্রণয়কে দেখে চমকে উঠল তুলি। বসা থেকে সটান দাঁড়িয়ে পড়ল। একটু দূরে লিফটের কাছে রাইফাকে দেখেই সে বুঝতে পারল, প্রণয় এখানে কিভাবে এসেছে! তুলি নিজেকে প্রস্তুত করে শক্ত ভঙ্গিতে বলল,” কি ব্যাপার? আপনি এখানে কেন এসেছেন?”

প্রণয় বরফের মতো শীতল গলায় বলল, ” নিচে চলো। বাইরে গিয়ে কথা হবে।”

তুলি দৃঢ় কণ্ঠে বলল,” উহুম। আমি কোথাও যাচ্ছি না।”

” মানে?”

” আমার এখানে একটা কাজ আছে।”

” তুমি কি বুঝতে পারছো তুমি কি বলছো?”

” হ্যাঁ। আমি সব বুঝতে পারছি। ”

প্রণয় কপালে ভাঁজ ফেলে তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বলল,” আমি এখানে সিন ক্রিয়েট করতে চাই না। প্লিজ নিচে চলো।”

তুলি স্বাভাবিক স্বরে বলল,” সিন ক্রিয়েট করার কিছু হয়নি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। এই বিষয়ে আপনি কোনো ইন্টারফেয়ার করবেন না। প্লিজ।”

” আর ইউ স্টুপিড? আমি ইন্টারফেয়ার করবো না মানে? এটা কি আমার ব্যাপার না? তুমি আমাকে না জানিয়ে আমার বাচ্চা মেরে ফেলবে আর আমি ইন্টারফেয়ার করবো না?”

প্রণয় বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। তুলি রাগান্বিত কণ্ঠে বলল,” আমি ওকে জন্ম দিতে চাই না।”

কথাটা একটু শব্দ করেই বলে ফেলেছিল সে। এর পরের মুহূর্তেই প্রণয় ঠাস করে তুলির গালে একটা চড় মারল। রাইফা দূর থেকে এই দৃশ্য দেখে স্তব্ধীভূত। উপস্থিত সকলের মনে আতঙ্ক জাগিয়ে তোলার জন্য এই ঘটনা যথেষ্ট। দৃষ্টিতে কৌতুহল নিয়ে তাকাল সবাই। কি হয়ে গেল এটা? একটি ছেলে কি পারে এমন জনবহুল জায়গায় কোনো মেয়ের গালে চড় মারতে?

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here