চুপি চুপি ইচ্ছেরা-০৩
লেখনী – সাইমা ইসলাম প্রীতি
‘ ভাবী ভালোবাসা, ভালোলাগা কি আর জোর করার বিষয় নাকি? এটা হৃদয়ের অনুভূতি। ‘
ষশ্মিথের কথা শুনে ইরিনার মেজাজ চটে গেল ভীষন রকম ভাবে। একটু রাগ করেই বলল,
‘ ষশ্মিথ নিজেরটা বুঝতে শিখো। বিয়ে কি কোনো সাধারন বিষয় হল নাকি যে যখন ভালোলাগবে করে নিবে। আর যখন ভালোলাগবে না ভেঙ্গে দিবে। আর তিতির ভালোলাগা পড়ে আগে তোমার বিয়ে করা বউ! ‘
‘ যে বিয়েতে মেয়ের মতই থাকেনা এ আবার কেমন বিয়ে! ‘
‘তাও ও তো…’
‘ ভাবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) নিজে বলেছেন কোনো নারীর মতামত ছাড়া তাকে বিয়ে করা যাবেনা। সেখানে আমি কিভাবে ওকে জোর করে আটকে রাখি কেবল ভালোবাসি বলে? ‘
‘ তুমি যা ভালো বুঝো করো। কিন্তু তুমি আমার ভাই থেকেও অনেক বেশি কিছু। তোমার কষ্ট মানব না আমি। ‘
ইরিনা কথাটা বলেই চটে গিয়ে ঘর থেকে চলে গেলে ষশ্মিথ মুচকি হাসলো। ইরিনা যখন সান্দ্রকে বিয়ে হয় করে আসে তখন ষশ্মিথ ছোট। মাত্র ক্লাস সেভেনে পড়ে সে। একটু ছোট বয়সের বিয়ে হয় ইরিনার। ষান্দ্র ভালোবেসে বিয়ে করেছিল ইরিনাকে। প্রথম প্রথম তো এ বাড়ির কেউ মেনে নেয়নি। একমাত্র ষশ্মিথই ছিল যে সারাদিন ইরানার আগে পিছে ঘুরঘুর করতো। ইরিনা কখনোই ভাবী ছিলনা ষশ্মিথের। বন্ধুর চেয়েও বেশি কিছু। মাতৃত্বহীন ইরিনা ষশ্মিথকে নিজের সন্তানের মতো আদর করে।
কোনদিন মা হতে পারবেনা জানার পর খুব ভেঙ্গে পড়েছিল ইরিনা। ষান্দ্রের সাথে বিয়ে হওয়ার পর দশ বছরে ষান্দ্রের পুরো পরিবার আর ষশ্মিথ যেনো ইরিনার প্রাণ হয়ে গিয়েছে। এই দশ বছরে কোনোদিনও বাপের বাড়ি গিয়ে দু’দিনের বেশি থেকেছে কিনা মনে নেই ওর।
মিসেস তাসলিমার তো খুশির অন্ত নেই ইরিনাকে নিয়ে। অনেক ভাগ্য করে তবে এমন ছেলের বউ পাওয়া যায়।
আর ষশ্মিথকে নিয়ে তো বড় চিন্তা শৈলীর। ছেলে তার এতো ভালো হওয়ার পরও কিভাবে পালাতে পারলো তিতির? মাঝে মাঝে নিজেদেরই দোষী মনে হয় তার। তিতিরের মতামতটা নিজে কেনো নিয়ে নিলো না তখন। মেয়েটাকেও যে কষ্ট পেতে হয়েছে। অনেক মায়া হয় তখন তিতিরের প্রতি।
কিন্তু দিন শেষে সাতে পাঁচে মিলে সব এক হয়ে যায়। দিনের রুক্ষতার পর যখন রাতে নিজের ছেলের কষ্টগুলো নিজ চোখে দেখতে হয় সহ্য করতে পারে না শৈলী। রাগে খোবে বিষিয়ে ওঠে মন তিতিরের প্রতি। সব মায়ের কাছেই সন্তানের সুখ সবচেয়ে আগে। একমাত্র মায়েরাই পারেন দুনিয়ার সকল কিছু একদিকে ছুঁড়ে ফেলে সন্তানের সুখ কুঁড়াতে। ভিক্ষে চাইতে পারেন নিজের সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের সব মূল্যবান জিনিসের বিনিময়ে সন্তানের ঠোঁটের এক চিলতে হাসি। শৈলীও মনে মনে খুব করে কাঁদেন তিতির যাতে ফিরে আসে। তিতিরের কষ্ট তখন মন ছোঁয় না তার। মা হিসেবে এতোটুকু তো তিনি চাইতেই পারেন।
নিঝুম বেশ কিছুদিন ধরেই খেয়াল করছে তিতিরের পরিবর্তন। চঞ্চলতা কমে গেছে অনেকাংশে। আগে সারাক্ষন নিঝুমের চারপাশে ঘেঁষাঘেষি নিয়ে ব্যাস্ত থাকত, সুযোগ পেলেই জড়িয়ে ধরে বুকে মুখ গুঁজে দিতে চাইতো। যেনো ওর নিজের সম্পত্তি নিঝুমের বুকখানি। সারাদিন অপেক্ষায় থাকত কখন কাজের ও তিতিরকে ভালোবাসবে। ইদানিং তিতিরের দর্শনই মেলেনা নিঝুমের খুব একটা। ষশ্মিথের প্রভাব খুব ভালোভাবেই পড়েছে তিতিরের উপর। খুব অল্প বয়সে বিয়েটা অনেক অপরাদ বোধে ভোগাচ্ছে তিতিরকে। ভয়ই হয় নিঝুমের এই বিষয়টা নিয়ে। তিতিরকে হারানো আর নিজেকে জ্যান্ত কবর দেয়া সমান নিঝুমের কাছে। তার উপর আর মাত্র চারদিন থাকছে নিঝুম চিটাগাং।
সাত পাঁচ না ভেবে তিতিরের ঘরে চলে এলো নিঝুম।তিতির তখন ঘুমাচ্ছে। আস্তে করে গাঁ ঘেষে বসলো তিতিরের। তিতির ও কিছুটা উষ্ণতা পেয়ে নিঝুমের পেটে মাথা গুঁজে দিলো। নিঝুম মুচকি হেসে আঙ্গুল বুলিয়ে দিচ্ছে তিতিরের চুলে।
‘ তিতির! ‘
তিতির একটু নরেচরে আবার ঘুমিয়ে পড়লো।
‘ আরে বাবা কথা আছে তো,লক্ষীটা উঠো। ‘
‘ উমম! ‘
‘ কাল তোকে নিয়ে কুমিল্লা যাবো। ‘
কুমিল্লা নামটা শুনেই লাফ মেরে ওঠে বসে পড়লো তিতির। ঘুমঘুম চোখ দুটো কঁচলে বললো,
‘ কুমিল্লা কেনো? আমি যাবো না। এখানে থাকলে কি খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে, যে এভাবে রেখে আসতে হবে? ‘
নিঝুম অবাক হয়ে বলল,
‘ রেখে আসার কথা কে বলল, আমি বেঁচে থাকতে তোকে ওই রাক্ষসী মহিলার কাছে জীবনে যেতেও দিব না। ঘুরতে নিয়ে যাবো পাগলি মেয়ে। ‘
‘ আমি বললাম না, যাবো না। আমার ভালো লাগে না। ওই চহরটাই বিষাক্ত। ‘
‘ যেতে হবে। বেশিক্ষন না কাল সারাদিনটাই শুধু। না করিস না প্লিজ। ‘
‘ হুম। ‘
তিতির চুপচাপ বালিশে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লো। নিঝুম বেশ বিরক্ত হয়ে বলল,
‘ কিরে ওখানে কেন? ‘
‘ কি? ‘
‘ অন্য সময় তো আমায় গিয়ে ঢেকে নিয়ে আসিস। আর আজ নিজ থেকে আসছি আজ বুক ফেলে বালিশ! ‘
তিতির এবার লজ্জা পেয়ে বলল,
‘ ভালোলাগছে না। ‘
‘ কি? আমাকে? ‘
‘ওফ! ‘
‘ ভালো না লাগলেও এখানেই থাকতে হবে! ‘
তিতির ও আস্তে করে করে ডুবে গেলো নিঝুমের উষ্ণ ছোঁয়ায়।
কিছুক্ষন আগেই পৌঁছেছে নিঝুম আর তিতির কুমিল্লা। বাইকে লং ড্রাইভ বলা যেতে পারে। তিতিরের বাইক পছন্দ খুব, যদিও নিঝুম তা দু’চোখে দেখতে পারেনা।
ভালোবাসার মানুষকে দূরে সরতে দিতে নেই। একটুখানি দূরত্ব অজান্তেই মনের মাঝে একটু একটু করে জায়গা করে দেয় অবিশ্বাস আর বিশাল অচেনা অনুভূতির। যখন মানুষ তা বুঝতে পারে ততক্ষনে হয়ত হারিয়ে যায় সেই অবিশ্বাস আর অজানা রাস্তার গভীর অতলে। যেখানে খুঁজে পাওয়া যায় নিজের ছায়া, মিলিয়ে যায় ভালোবাসার ভিত্তি। সে ভুলের আগেই ভালোবাসতে হয়। খুব করে বাসতে হয়। যতটা বাসলে অপর পাশের মানুষটার অন্তরের গহীনে আবদ্ধ হওয়া যায় গভীরভাবে। চুপি চুপি তার হৃৎস্পন্দন হওয়া যায়। ষশ্মিথ চায় তিতিরের সবটা জুড়ে থাকতে। ঠিক এভাবেই ভালোবাসায় আলিঙ্গন করতে। তিতির ওর মনের সর্বপ্রান্ত জুড়ে থাকবে, বিচলন করবে প্রত্যেকটা রক্তকণার মাঝে। তবে ষশ্মিথের কি অন্যায়? ভালোবেসেছে তাই? নাকি বিয়ে করে বউ বানিয়েছে তাই?
যদি ও একটা ভুল করে তো তিতির ও একটা করেছে।ষশ্মিথকে ছেড়ে গেছে। ভুল না অন্যায়। এর মাফ হয় না! তিতিরকে তো যে করেই হোক ফিরতে হবে ওর কাছে। এতো দিনের পাগলামোর কথাগুলো ভেবে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে সিগেরেটে টান দিলো ষশ্মিথ।
অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে ছাড়ার পর এই আবার সিগেরেট খাচ্ছে ষশ্মিথ। ইরিনা বলেছি যারা সিগেরেট খায় তাদের নাকি সুন্দরী মেয়েরা বিয়ে করেনা। খুব ভয় পেয়ে কষ্ট করে সিগেরেট ছেড়েছিল তাই ষশ্মিথ। লাভ কি হলো তিতির তো সেই হারিয়েই গেলো। যতদিন না ফিরিয়ে আনছে তিতিরকে খাবে সিগেরেট। শার্ট গায়ে দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলো ষশ্মিথ।নিঝুমের বাসার উদ্দেশ্য। তিতিরকে এক পলক না দেখলে যেন নিশ্বাস নিতে পারছে না সে। এক্ষুনি, এই মুহুর্তে তার চাই তিতিরকে।
‘ আচ্ছা তুমি সিগেরেট খেতে পারো না? ‘
তিতিরের কথা শুনে সপ্ত-আসমানে ওঠে গেলো নিঝুম। ভ্রু কুঁচকে বলল,
‘ মানে? সিগেরেট কেনো খাবো? ‘
‘ আমার ভালোলাগে তাই। ‘
‘ তোর মাথায় কি আলতু ফালতু কাজ ছাড়া আর কিছু আসেনা? ‘
‘ যখন ধোঁয়া গুলো ছাড়বে খুব মায়াবী লাগবে তো তোমায়। সত্যি বলছি। খাবে একবার? ‘
‘ জার্নি করে তোর মাথা গেছে। আমার ঘৃণা লাগে। ‘
‘ আর আমার তোমাকে মেয়ে মেয়ে লাগে। সিগেরেট খেতে গেলে ছেলে হতে হয় বুঝলা। ‘
‘ তুই আর তোর এসব আবল-তাবল চিন্তা আর বদলালো না। ‘
‘ আমার যা ভালোলাগে তোমার তো তা কখনোই লাগেনা। আমাকে যে কেন ভালোলাগছিলো বুঝিনা। ‘
রাগ করে সেখান থেকে চলে গেলো তিতির। কি এমন আবদার করেছে ও? খেলে কিইবা হতো? সিগেরেটের গন্ধ ভালো না লাগলেও খেতে দেখতে ভালোলাগে তিতিরের। যদিও খারাপ খাওয়া তাও শুধু ওর সামনে খাবে। অভিমান হচ্ছে খুব বেশী। ভালোবাসলে এটা করতে পারবে না কেন? মনের অজান্তেই তিতির বিড়বিড় করে বলে ওঠলো,
‘ আচ্ছা ষশ্মিথ কি খায়? কেমন লাগে যখন একটানে ধোঁয়া গুলো সব ছেড়ে দায়! ‘
ভাবতেই লজ্জায় গুটিশুটি হয়ে গেলো তিতির। ধুর এতো লজ্জা কেনো ওর?
–
ষশ্মিথকে দেখে মিসেস শায়লা বেশ অবাক হলেও খুশিই হলেন বেশি। মন ভুলানো এক হাসি দিয়ে বললেন,
‘ বাবা আসো ভিতরে আসো। ‘
‘ অন্য কোনদিন আন্টি। তিতির কোথায়? ‘
শায়লা বেশ হচকিত হয়ে বললেন,
‘ তিতির? ‘
‘ জি। ডেকে দিবেন একটু প্লিজ? ‘
‘ তিতির তো নিঝুমের সাথে কুমিল্লায় আছে। হঠাৎ তিতির! ‘
‘ আমার বউকে আমি খুঁজবো তা স্বাভাবিক নয় কি আন্টি? ‘
শায়লার কপালেল কিছু অংশে ভাঁজ পড়ে গেলো কথাটা শুনে। বিরক্তি সুর নিয়েও মুখে হাসির রেশ রেখে বললো,
‘ কি সব বলছো এসব বাবা। তিতিরের আর ক’দিন বাদে আমার ছেলের সাথে বিয়ে। ‘
‘ এক মানুষের ক’বার বিয়ে হয়? তিতিরের সাথে তিন কালিমা পড়ে বিয়ে হয়েছে আমার। কাবিন নামা সাইন আছে ওর। ‘
প্রচন্ড পরিমাণ রেগে গেলেন শায়লা।শায়লার দিকে না তাকিয়েই ষশ্মিথ আবার বললো,
‘ আপনার ছেলে জানে সবটা। তিতির আসলে কাইন্ডলি একটু বলবেন আমায়। ‘
রাগে ফুলে ফেঁপে বসে আছে তিতির। খাটে হাটু মুরে বসে আছে। পায়ের আঙ্গুল দিয়ে চাদর মুচড়াচ্ছে আবার খুলছে। খাট বরাবর জানালা। জানালা দিয়ে বরারব দেখা যাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া গাছ। ফুলের ভারে ঝাপটি মেরে আছে গাছটা। রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া ফুল! ভালো লাগছে না তিতিরের কিছুই। অনেক ফাঁকা ফাঁকা লাগছে এ জায়গায় নিজেকে। মন টানছে অন্য কোথাও, আর ও এখানে?
চাদর গায়ে জড়িয়ে বারান্দায় দাড়তেই নিচে দেখলো নিঝুম দাড়িয়ে আছে। কয়েকজন লোকের সাথে বেশ হেসে কথা বলছে। কিছুদূর যেতেই কয়েকটা বিশালাকার কাঠের খুপরিতে আগুন দেয়া। একটা বাচ্চা আর পাঁচেক লোক বসে আছে এর চারদিকে। এরা সবাই সম্ভবত এই রির্সোটের।
নিঝুমকে দেখে তিতিরের বেশ অবাক লাগে। এই মানুষটা একটু কেমন যেনো। ভালোবাসে কিন্তু তার প্রকাশ জানে না।
এদিকে নিঝুমের বাসা থেকে বের হয়েই বিশ্ব জয়ী এক হাসি দিলো ষশ্মিথ। শায়লাকে সে কয়েকদিনের দেখায় যতটুকু চিনে শায়লা খুবই সেনসেটিভ মহিলা। আর নিঝুমের ব্যপারে কোনো ছাড় দিতে রাজি না সে। আসবার সময় শায়লার হাতে বিয়ের কয়েক কাবিন নামার ও ধরিয়ে দিয়েছে ষশ্মিথ। ষশ্মিথের কাজ শেষ। এবার যা করার শায়লা নিজেই করবে।
–
ঘরে দরজা আটকে বসে আছে তিতির। দু’ঘন্টার উপর হয়ে গেল। মামি তাকে এভাবে চড় মারলো ভাবতেই চোখ দুটো ভরে আসে তিতিরের। যেভাবেই হোক তিতিরের আগের বিয়ের কথা জানতে পেরে গেছেন শায়লা। তাই খুব বাজে ব্যবহার করেছেন তিতিরের সাথে। একটা বিবাহিত মেয়ের সাথে তো আর তার একমাত্র ছেলের বিয়ে হতে পারে না! সে তিতিরকে ঠিক যতটা ভালোবাসতেন শায়লা তার চেয়েও বেশি রাগ হচ্ছে এখন। যখন চোখের সামনে ছিল ইচ্ছা করছিল বাসা থেকে বের করে দিতে। নিঝুমকে আর্জেন্ট কোনো একটা কাজে ইন্ডিয়ায় কলকাতা যেতে হয়েছে। তাই একাই বাড়ি ফিরে তিতির। ফিরা মাত্রই এই অঘটন ঘটিয়ে বসলো শায়লা।
কয়েক’দিনের মাঝেই তিতির আবিষ্কার করলো তার প্রতি মামির অবহেলা আর হঠাৎ করেই বদলে গেলেন মানুষটা। তিতিরকে যেনো এখন আর দু’চোখে দেখতেই পারেন না। কারণটা হয় নিঝুম থেকে সরিয়ে দেয়া। যে মেয়েকে আগে নিজ হাতে খাইয়ে দিতেন এখন সারাদিনে একটি বার সময় হয় তার খাওয়ার খোঁজ নেয়ার। তিতির ও সবটার জন্য নিজেকে দোষী ভাবে। সেও ভেঙ্গেছে নিঝুমের মন! তবে প্রিয় মানুষগুলোর অবহেলায় নিজেকে ভীষণ একাকি লাগে। এর মাঝেই আরেক কান্ড করে বসলেন শায়লা। নিঝুমকে সাফ ‘না’ করে দিলেন তিতিরকে বিয়ে করতে। তিতিরকে বকা ঝকা করে বের হয়ে যেতে বললেন বাসা থেকে। একরক্তি মেয়ে হলে কি হবে অভিমাণের শেষ নেই তিতিরের। তৎক্ষণাৎ বের হয়ে গেলো তিতির। বাবার ছবিটা হাতে নিয়ে নিজ ঘরের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে এক কাপড়েই বের হয়ে গেলো বাসা থেকে।
চলবে