সেই তুমি? পর্ব -২২

0
2822

সেই তুমি?
পর্ব -২২
Samira Afrin Samia(Nipa)

সন্ধ্যা বেলায় ইয়াশ আর ইশিতা বাইরে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে।
ইশিতা সুতির মাঝে বেগুনী রঙের একটা শাড়ি পড়লো। চুল হালকা ফুলিয়ে খোঁপা করেছে। চোখের নিচে খুব হালকা করে একটু কাজল। ব্যস এইটুকু ই ইশিতার সাজ।
ইশিতা শাড়ির কুঁচি ঠিক করতে করতে ইয়াশের কাছে এসে।
— আপনি এখনও রেডি হন নি?
দেখেন আমি মেয়ে হয়ে আপনার আগে রেডি হয়ে গেছি। আর আপনি ছেলে হয়ে এখনও রেডি হন নাই।
কেমন লাগে এখন বলুন তো?
ইয়াশ হাতে বড় কালো ঘড়ি টা পড়তে পড়তে ইশিতার দিকে তাকিয়ে থমকে যায়। ইশিতা কে বরাবরই সুন্দর লাগে তবে আজ হালকা সাজে যেন, ইশিতা কে কোনো মায়াবী পরির মত লাগছে। চুল গুলো খোলা থাকলে হয়ত আরো সুন্দর লাগতো। তবে খোঁপা করাতেও কম সুন্দর লাগছে না। এই শাড়ির সাথে খোঁপা ই যায়।
ইশিতা ইয়াশের সামনে হাতের আঙ্গুলে তুড়ি বাজিয়ে
— কোথায় হারিয়ে গেলেন?
ইশিতার কথায় ইয়াশের ঘোর কাটলে। ইয়াশ ঘড়ি পড়তে নিলে। ইয়াশের হাত ফসকে ঘড়ি টা পড়ে যেতে নিলে ইশিতা ধরে ফেলে।
— কি করছেন?
এখুনি তো ঘড়ি টা নিচে পড়ে যেত।
ইয়াশ এবার কিছু টা স্বাভাবিক হয়ে নিজেকে সামলে নিয়ে
— এই ঘড়ি টা তিন তলার উপর থেকে পড়ে গেলেও কিছু হবে না।
ইশিতা মুখ মুচড় দিয়ে চলে যেতে লাগলে ইয়াশ পেছন থেকে ডেকে
— ইশিতা তোমাকে আজ বেশ সুন্দর লাগছে। মনে হচ্ছে আমারই নজর লেগে যাবে।
কপালে ছোট একটা টিপ লাগালে তোমাকে আরও সুন্দর লাগবে। আর কারো নজর ও লাগবে না।

ইশিতা ইয়াশের দিকে ফিরে না তাকিয়ে উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থেকেই একটু মুচকি হাসলো।
ইয়াশ হঠাৎ ইশিতা কে এমন ভাবে বলে উঠে নিজেই লজ্জা পেয়ে গেল। ইয়াশ ঘড়ি টা বা হাতে পড়ে মাথাটা হালকা ঝাঁকিয়ে আয়নার সামনে গিয়ে চুল ঠিক করতে লাগলো। ইশিতা কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে গেল। ইশিতা রুম থেকে চলে গেলে ইয়াশ আনমনে হেসে দিলো।

সন্ধ্যা সাতটা বেজে প্রায় ত্রিশ মিনিট।
ইয়াশ হলরুমে দাঁড়িয়ে ইশিতা কে ডাকছে। ইশিতা নাজমা চৌধুরীর রুমে।
— মা নিজের খেয়াল রাখবে। আর রাতে খেয়ে মেডিসিন নিয়ে নিবে। আমাদের জন্য অপেক্ষা না করে তুমি শুয়ে পড়বে। আমরা বেশি লেট করবো না। তার পর ও এটুকু সময় তুমি একদম হাঁটাহাঁটি করবে না। তোমার কোমরে ব্যথা মনে আছে তো।
— হয়েছে বাবা হয়েছে।
এইটুকু সময়ের জন্য বাইরে যাচ্ছিস তার পর ও কত হুকুম চালিয়ে যাচ্ছিস। আমাকে কি তোর ছোট বাচ্চা মনে হয়?
আমি নিজের খেয়াল খুব করে রাখতে পারবো। তুই আমার জন্য টেনশন নিস না। বাইরে যা আর ইয়াশের সাথে একটু সময় কাটা।
বলতে বলতে ইয়াশ আবার ইশিতা কে ডাক দিল।
— ইশিতা আজ কি বের হবে?
— ওই যে দেখ ইয়াশ চেচাঁমেচি শুরু করে দিছে। এখন তুই না গেলে রেগে গিয়ে আজ আর কোথাও বের ই হবে না।
— আচ্ছা আমি যাচ্ছি। তোমাকে যা যা বলেছি মনে থাকে যেন।
ইশিতা সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে
— কি হয়েছে এভাবে ষাঁড়ের মত না চেঁচালে হয় না?
আমি তো আসছিলাম ই। কখন রেডি হয়ে বসে ছিলাম আপনার ই তো লেট হচ্ছিল। তাই তো আমি মায়ের রুমে গেছি।
ইশিতা বকবক করে সিড়ি দিয়ে নামছে। ইয়াশ এক নয়নে ইশিতার দিকে তাকিয়ে আছে।
ইশিতার কোনো কথা ইয়াশের কান পর্যন্ত পৌঁচাচ্ছে না। ইয়াশ তো ইশিতার মাঝে হারিয়ে গেছে সেই অনেক আগে।
— মনে হচ্ছে কানে শুনে না। আমি এতো কথা বলছি তা না শুনে আমার দিকে ভ্যাবলার মত তাকিয়ে হাবলার মত করে হাসছেন।
ইশিতা শাড়ির মাঝে পা প্যাচ লেগে পড়ে যেতে নিলে। ইয়াশ “” সাবধানে”” বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো।
ইশিতা কোনো ভাবে সিড়ির রেলিং এ ধরে নিয়ে নিজেকে সামলে নিলো।
ইয়াশ ইশিতার কাছে গিয়ে ইশিতার হাত শক্ত করে ধরে।
— সাবধানে চলবে তো। এখুনি পড়ে যেতে নিচ্ছিলে। এখন পড়ে গেলে কি অবস্থা হতো তোমার?
ইশিতা ও ভয় পেয়ে গেছে। ইশিতা ভয়মিশ্রিত কন্ঠে
— বুঝতে পারিনি। হঠাৎ শাড়ির কুঁচিতে পা বেজে গেলে নিজের তাল সামলাতে পারিনি।
— ঠিক আছে। সমস্যা নেই। পরের বার থেকে সিড়ি দিয়ে নামার সময় একটু দেখে সাবধানে নেমো কেমন?
— হুম।

ইয়াশ কারে হেলান দিয়ে ডান হাত পকেটে রেখে এক পা উপুড় করে রেখে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে ইশিতা কে দেখে যাচ্ছে। ইশিতা সেই কতক্ষণ সময় নিয়ে দু’হাতে দুটো আইসক্রিম নিয়ে খেয়ে যাচ্ছে। পুরো বাচ্চাদের মত করে ইশিতা আইসক্রিম খাচ্ছে। মুখের চার পাশে আইসক্রিম লাগিয়ে একাকার করে ফেলে। ইশিতা কে এভাবে আইসক্রিম খেতে দেখে চারপাশের সবাই ইশিতার দিকে কেমন ভাবে তাকিয়ে দেখছে।
ইয়াশ ইশিতা কে দেখছে আর নিজে নিজেই হেসে উঠছে। পাগল মেয়ে একটা এভাবে কেউ আইসক্রিম খায় নাকি?
মনে হয় ও এখনও তিন চার বছরের ছোট বাচ্চা।
ইশিতা হাতে থাকা আইসক্রিম দুটো শেষ করে আবার নতুন করে আইসক্রিম দিতে গেলে ইয়াশ গিয়ে বাঁধা দেয়।
— আর না আজকের জন্য অনেক হয়েছে। পুরো চারটা আইসক্রিম খেয়েছো। এখন আবার নিতে যাচ্ছিলে।
— হুম। তো কি হয়েছে?
— কি হয়েছে মানে? আজ আর একটা তো দূর আর অর্ধেক টা ও খেতে পারবে না।
— মাত্র তো চারটা খেলাম।
— চার টা ই অনেক। আর লাগবে না।
— এমন করছেন কেন?
আচ্ছা আপনার কাছে কি টাকা নেই? তাই বলে এমন করছেন। আমাকে আইসক্রিম খেতে না করছেন?
এখনই আপনার টাকা শেষ হয়ে গেল।
আচ্ছা আপনার কাছে টাকা না থাকলেও সমস্যা নেই এই আঙ্কেল আমাকে চিনে। সব সময় তো উনার কাছ থেকেই আইসক্রিম খেতাম। অনেক বার বাকিতে ও খেয়েছি।
ইয়াশ ইশিতার কথা শুনে হাসবে নাকি কাঁদবে তা বুঝে উঠতে পারছে না।
কি বলছে মেয়েটা এই শহরের সবথেকে বড় বড় আইসক্রিম শপ গুলো এক মিনিটে কিনে ফেলার সামর্থ্য রাখে ইয়াশ। আর ইশিতা বলছে ও নাকি চার আইসক্রিমের টাকা দিতে পারবে না। মেয়েটা কি বাচ্চা নাকি মাথায় বুদ্ধি বলতে কিছুই নেই।
— রিয়েলি?
তোমার এটা মনে হচ্ছে আমার কাছে টাকা নেই বলে তোমাকে আইসক্রিম খেতে দিচ্ছি না?
— তা নয়তো কি?
— তুমি চাইলে আমি এই শহরের সব গুলো আইসক্রিম শপ তোমার নামে করে দিতে পারি।
— তাহলে প্লিজ প্লিজ আর একটা আইসক্রিম খেতে দেন।
— না আর একটা ও না।
তোমার মনে নেই তুমি এখন একা না। তোমার ভেতর যে আর একজন আছে তার কথা একবার ও ভেবেছো। তুমি তো অনেক অনেক আইসক্রিম খেতে পারো কিন্তু সে কি পারে?
সত্যি ই তো ইশিতা তো এতক্ষণ শুধু নিজের কথাই ভেবেছে।
— আর খাবো না।
ইয়াশ এক গাল হেসে
— হুম।
— তাহলে চলুন এবার বাড়ি ফেরা যাক।
— বাড়ি তো যাবো ই তার আগে তুমি একবার নিজের মুখের অবস্থা টা দেখে নেও।
— আমার মুখের আবার কি হয়েছে?
— কি হয়নি তা বলো। আইসক্রিম দিয়ে পুরো মুখ একাকার করে ফেলছো। মুখের চারপাশে এখনও আইসক্রিম লেগে আছে।
— কই দেখি?
এটা বলে ইশিতা গাড়ির গ্লাসে নিজেকে দেখে নিলো। সত্যি ই মুখে আইসক্রিম লেগে কি হয়েছে। লোকে দেখে বলবে মেয়েটা মনে হয় কোনো দিন আইসক্রিম খায়নি। আজ ই প্রথম খেলো। ইশিতা শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ মুছতে গেলে ইয়াশ বাঁধা দিয়ে
— কি করছো?
— কি করছি মানে?
দেখতেই তো পারছেন মুখ মুছছি।
— শাড়ির আঁচল দিয়ে?
— না আপনার শার্ট দিয়ে। আজব তো দেখে দেখে এমন অদ্ভুত প্রশ্ন করেন কেন?
— অদ্ভুত প্রশ্ন এই জন্য করি। এখন শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ মুছে শাড়ি টা নোংরা করতে যাচ্ছো যে তাই।
— তাহলে কি দিয়ে মুছবো?
— এক মিনিট দাঁড়াও।
— দাঁড়িয়েই তো আছি।
ইয়াশ রাগী লুক নিয়ে ইশিতার দিকে তাকালে এবার ইশিতা একটু চুপ হয়ে দাঁড়ায়।
ইয়াশ পকেট থেকে রুমাল বের করে ইশিতার দিকে দু’পা এগিয়ে এসে নিজের হাতে ইশিতার মুখে লেগে থাকা আইসক্রিম গুলো মুছে দিতে লাগলো। ইশিতা ও লহ্মী মেয়ের মত কিছু না বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো।
ইফান পাশে দাঁড়িয়ে সব কিছু দেখছিল। ইয়াশ আর ইশিতা কে এমন ভাবে দেখে ইফান হাতে থাকা আইসক্রিম গুলো মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চলে গেল।
ইফান সেই অনেকক্ষণ ধরেই এখানে দাঁড়িয়ে ইয়াশ আর ইশিতা কি করছে তা দেখছিল। ইফান রিহার সাথে এই রোডে ই কার নিয়ে যাচ্ছিল। রিহা আইসক্রিম দেখে বায়না করায় ইফান রিহার জন্য আইসক্রিম নিতে এসে ইয়াশ আর ইশিতা কে দেখে গেল। ওদের দুজন কে এক সাথে দেখে ইফানের মোটেও ভালো লাগেনি।
তাই রাগ সামলাতে না পেরে হাতে থাকা আইসক্রিম গুলো ই ফেলে দিলো। ইফান চলে গেলে ইয়াশ ইশিতার থেকে একটু দূরে সরে এসে রুমাল টা পেকেট ভরে নিয়ে
— হয়ে গেছে এবার চলো যাওয়া যাক।
— হুম।
ইয়াশ ইফান কে আগেই দেখে দিয়েছিল। যখন দেখলো ইফান ওদের কে দেখছে তখনই ইয়াশ ইফানের সাথে কথা বলতে যেত। কিন্তু ইফান ইয়াশের সাথে কথা বলবে না এটা ভেবেই ইয়াশ আর গেল না। ইশিতা যখন নিজের শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ মুছতে নিচ্ছিল তখন ইয়াশ ইফান কে দেখে ইচ্ছে করেই নিজের রুমাল বের করে নিজে ইশিতার মুখ মুছে দেয়। ইয়াশ যা ভেবেছিল তাই হয়েছে ইফান ওদের দুজন কে এক সাথে দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে।

রিহা করে বসে আছে। ইফান গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে রাগে কটমট করতে লাগলো।
— কি হলো ইফান আইসক্রিম কোথায়?
তুমি তো আইসক্রিম আনতে গেছিলে। খালি হাতে চলে আসছো কেন?
আইসক্রিম কোথায়?
— আমি তোমার বাবার চাকর না। তোমার ইচ্ছে হলে তুমি নিজে আইসক্রিম এনে খাও। আমাকে বলছো কেন?
আমি কি তোমাদের বাড়ির কাজের লোক তুমি যা বলবে আমাকে তাই করতে হবে?
ইফানের কথা শুনে রিহা মুখ কালো করে
— এভাবে কথা বলছো কেন ইফান?
— তোমার সাথে যেভাবে কথা বলা উচিত আমি সেভাবেই বলছি।
— তুমি নিজেই তো ইচ্ছে করে আইসক্রিম আনতে গেলে। আমি তো তোমাকে বারণ করেছিলাম। বলেছিলাম আমি গিয়ে নিয়ে আসি। তুমি জোর করলে তাই তো আমি যাই নি।
ওখানে কি এমন হলো যার জন্য তুমি আমার সাথে এমন করতেছো।
— আমি এখন তোমার সাথে এই বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। যদি তোমার যেতে ইচ্ছে থাকে তাহলে আমি কার ড্রাইভ করছি। আর যদি তোমার এখানে থাকার ইচ্ছে থাকে তাহলে তুমি থাকো। আমি কার থেকে নেমে যাচ্ছি। তোমার বাবার গাড়ি নিয়ে তো তোমাকে রেখে চলে যেতে পারি না।
— আমি এখানে থাকতে যাবো কেন?
আমি ও তোমার সাথে যাবো।
ইফান কিছু না বলে কার স্টার্ট দিয়ে চলে গেল।
ইয়াশ ইফানের কারের দিকে তাকিয়ে আছে। ইয়াশ অবশ্য আগেই ইফান কে দেখেছিল তবে ইশিতা এখনও দেখে নি। না দেখে ভালোই হয়েছে ইফান কে দেখে শুধু শুধু এখন মোড অফ হয়ে যেত।

ইয়াশ আর ইশিতা ও আর কিছুক্ষন এখানে থেকে তার পর বাসায় চলে গেল।

দুই দিন পর রাতে রিহার বাসায় রিহার বাবা মনির চৌধুরী বেশ বড়সড় করে একটা পার্টি রাখলো। শহরে নামিদামি অনেক লোককেই পার্টিতে ইনভাইট করেছে। পার্টি টা মূলত ইফান কে ঘিরে রাখা হয়েছে। আজ এই পার্টিতে মনির চৌধুরী রিহা আর ইফানের বিয়ের এনাউন্সমেন্ট করবে।
মনির চৌধুরী পারলে ফন্দি করে আজ ই এনগেজমেন্ট করিয়ে ফেলতে পারে। সব কিছু তেমন ভাবেই ঠিক করা হয়েছে।
ইফান কে এসব বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানায়নি রিহা ও তার বাবা। ইফান যদি আগে থেকে জেনে রিহার সাথে বিয়ের জন্য না করে দেয়। তাই ইফানের থেকে লুকিয়ে রেখেছে পুরো টা বিষয় টা। মনির চৌধুরী ধারনা সবার সামনে বিয়ের এনাউন্সমেন্ট করে দিলে তখন আর ইফান কোনমতে না করতে পারবে না। আর যদিও না করে দেয় তখন সমাজে নিজের সন্মান বাঁচানোর দোহাই দিয়ে রাজি করিয়ে নিবে।
সে অনুযায়ী পার্টির জন্য খুব জাঁকজমক করে রিহাদের পুরো বাড়ি সাজানো হলো। বিকেল থেকেই এক এক করে গেস্টরা আসতে লাগলো। রিহা বিকেল থেকেই ইফান কে নিয়ে রুমে আছে। ইফান কে রুম থেকে বের হতে দিচ্ছে না। নিচে নামলে সারপ্রাইজ নষ্ট হয়ে যাবে তাই এক প্রকার জোর করেই ইফান কে রুমে আটকে রেখেছে। ইফান ও বাধ্য হয়ে রুমে বসে আছে।
— কি হচ্ছে রিহা? বিকেল থেকে রুমে বসে আছি আর কতক্ষণ?
— আরে বাবা একটু শান্তিতে বসে থাকো না। এতো তাড়া কিসের তোমার?
— তাড়া না পরেও নিচে কি হচ্ছে তা তো বলবে নাকি?
— বললাম না সারপ্রাইজ। নিচে গেলেই দেখতে পারবে।

চলবে….

( একটা পর্ব লিখে তা আবার পড়ে নতুন করে এডিট করা সম্ভব না। তাই বানানে ভুল হতেই পারে আর ভুল হওয়া টা অস্বাভাবিক কিছু না। আর হ্যা গল্প টা যেহেতু আমি লিখছি, গল্পের সব দিক মাথায় রেখে বিচার বিবেচনা করে সে অনুযায়ী ই লিখছি। তাই কেউ গল্পটা শেষ পর্যন্ত না পড়ে কোনো ধরনের বাজে মন্তব্য করবেন না। পারলে ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়েন না পারলে ইগনোর করেন। ধন্যবাদ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here