বাসি_ফুলের_সুবাস #পর্ব_১৮

0
248

#বাসি_ফুলের_সুবাস
#পর্ব_১৮
#মাসুরা_খাতুন

প্রায় একঘন্টা হতে চলল আমি আর রাফিয়া আপু বসে আছি উঠোনে দেওয়া দুটো কাঠের চেয়ারে।কিছু উৎসুক মানুষজন এদিক সেদিক থেকে উঁকি ঝুঁ*কি পাড়ছে আমাদের দেখতে।কিছু বয়স্ক মহিলা এসে প্রথমে একদৃষ্টে চেয়ে থাকছে আমাদের দিকে।আমি কাউকে চিনতে না পারলেও রাফিয়া আপু ঠিক তাদের চিনতে পারছে।আর তাদের সাথে কুশলবিনিময় করছে।অনেকে আবার আবেগে রাফিয়া আপু কে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটিও করছে।আপুও কাঁদছে। কিন্তু আমার এসবে খুব একটা অনুভূতি হচ্ছে না। আমি শুধু এই বাড়ির চারপাশে আনাচে-কানাচেতে চোখ বুলাচ্ছি।এই আমার বাড়ি!এখানেই জন্মেছিলাম আমি,একটু একটু করে বেড়ে উঠেছিলাম ভাইবোনদের হাত ধরে এই উঠোনে! এই উঠোনেই তো মা আমায় রাতের চাঁদ দেখিয়ে ঘুম পাড়িয়েছে! অথচ স্রোতের সাথে ভেসে কোথা থেকে কোথায় গিয়ে উঠেছি আমি! এই বাড়ির,এই গ্রামের মেয়ে হয়ে হয়েছি অন্যের বাড়ির আশ্রিত কাজের মেয়ে। একটা ফর্সা মতো হালকা বয়সী বউ এসে আমাদের বিস্কুট পানি দিয়ে গেছে। এটা নাকি আমাদের ভাইয়ের বউ! যে ভাইটার কোন চেহারায় আমার মনে নেই! অথচ সে আমার মায়ের পেটের আপন ভাই,একই র*ক্ত আমরা! ভাবতেই কেমন যেন নিশ্বাস ঘন হয়ে আসছে।আমাদের ভাই নাকি অসুস্থ আব্বাকে নিয়ে বাজারে ডাক্তার দেখাতে গেছেন।ভাইয়ের বউ টাও কেমন যেন অদ্ভুত কিছু দেখছে আমাদের দেখে।অবাক হওয়ারই কথা, প্রায় চৌদ্দ পনেরো বছর পর যদি গ্রাম থেকে হারিয়ে যাওয়া দুটো মেয়ে এসে হটাৎ উপস্থিত হয় তাহলে তো যে কেউই অবাক হবে।গ্রামের চাচীরাও আপুর সাথে কথা বলে আমিই রাবেয়া নাকি জিজ্ঞেস করছে।অনেক বয়স্ক মহিলা এসে আমারও মাথায় হাত বুলিয়ে আফসোস করে যাচ্ছে আমাদের মায়ের জন্য। সেই যে রাতে আমরাও চলে গেলাম, আর আমাদের মাও নৃ*শংস ভাবে খু*ন হলো। কিছু ক্ষণ বাদে বাড়িতে একটা ভ্যান গাড়ি এসে ঢুকলো।ভ্যানের ওপরে বসে আছেন একজন পঞ্চান্ন ষাট বছরের বয়ষ্ক মানুষ, আর গাড়িটি টানছিলো একটা চব্বিশ পঁচিশ বছরের ছেলে।গাড়িটি এসে থামতেই রাফিয়া আপু কেঁদে উঠলেন,দ্রুত উনাদের কাছে গিয়ে বয়ষ্ক মানুষ টিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন,হটাৎ এমন কিছু ঘটায় বয়ষ্ক মানুষটিও যেন খানিকটা হতভম্ব! পরিস্থিতি বুঝতে উনারও কিছুটা সময় লাগলো।তারপর আপু যখন বাবা বাবা বলে কাঁদছিলেন তখন লোকটি আরও খানিকটা অবাক হয়ে রাফিয়া আপু কে দেখেন। আর কিছুক্ষনেই বুঝতে পারেন যে এটা তারই জন্ম দেওয়া মেয়ে! তখন উনিও হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলেন।পাশে দাঁড়ানো ছেলে টিও এতোক্ষণে বুঝে গেছে এটা তার সহোদর বোন।সেও বাবার মতো আপুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলো।

“বড়বুবু,তুমি আমাগো বড় বুবু না? এদ্দিন কই আছিলা বুবু? আম্মা যে আর নাই,আম্মা আমরারে ছেড়ে চলে গেছে বুবু।এদ্দিন ক্যান আসোনাই বুবু।”

“আমি আসতে চাইছিলাম রে ভাই,বহুবার তোদের খোঁজ নিয়ে গেছি কিন্তু আসার সাহস হয়নাই।আব্বা,আব্বা তুমি কেমন আছো আব্বা? আমারে চিনতে পারছো? আমি তোমার আদরের মাইয়া রাফিয়া।”

“মারে আমি তোরে চিনতে পারছি মা! তুই তো আমার বড় মাইয়া।আমার রাফিয়া মা।”

চোখের সামনে নিজের পরিবারকে দেখছিলাম আমি।এতোদিন কে কোথায় হারিয়ে ছিলাম, অথচ এই তো আমার পরিবার! এই তো আমার নিজের পরিচয়! এক মূহুর্তে বাড়িটা যেন কান্নার বাড়ি হয়ে গেলো। তবে এ কান্না কষ্টের নয়! এ কান্না পাওয়ার, পরম আনন্দের!

“বুবু,তোমার সাথে না আম্মা রাবুরেও পাঠাইছিলো? আমাদের রাবেয়া কই বুবু? কতোবড় হয়ছে?”

“হ্যাঁ মা,আমার রাবেয়া মা কোথায়? আমার সব কলজ্যার ধন যে ফিইরা আসতাছে।”

“আব্বা তোমার রাবেয়া আছে আব্বা।ভাই ঐ যে আমাদের ছোট্ট রাবেয়া। দেখ কতোবড় হয়ছে। ”

এতোক্ষনে সবাই আমার দিকে খেয়াল করলো।কান্নায় উনারা এতোক্ষণ খুব একটা খেয়াল করার সুযোগ পান নি,আর পাবেন কি করে? আজ যে শুধু অবাক হওয়ার দিন।

“রাবু,এদিকে আয় বোন,এই দেখ আমাদের আব্বা,আমাদের ভাই! দেখ আব্বা, আমাদের রাবেয়া! ”

একপা একপা করে এগিয়ে গেলাম আমি নিজের বাবা আর ভাইয়ের দিকে।কতো দূর্ভাগা আমি,নিজের বাবা,ভাইয়ের মুখটা পর্যন্ত আমার মনে নেই! এগিয়ে যেতেই ভাই এসে আমায় জড়িয়ে ধরল।এতোক্ষণ কান্না চেপে রাখা আমিও জোরে জোরে কান্না শুরু করে দিলাম আপন র*ক্তের ছোঁয়া পেয়ে। এতোদিনে নিজের ভাইয়ের বুকটা পেয়ে যেন পুরো পৃথিবীই পেয়ে গেছি এমন মনে হলো।বুকের ভেতর এতোদিনে জমানো সব কষ্ট, সব ব্যথা উগরে দিয়ে কাঁদলাম।ভাই ও আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে কাঁদছে।

“বোন,আমাগো ছোট্ট রাবেয়া! কত্তো বড় হয়ে গেছস বোন।কতোদিন অপেক্ষা করে থাকছি তোরা আসবি,তোরা ফিরবি।সেই রাতে আম্মা ও চলে গেলো,তোদের ও হারালাম। আমি ভাবতে পারিনিরে তোদের আবার ফিইরা পামু! ”

“ভাইয়া,আমিও ভাবি নি আমি তোমাদের দেখা পাবো ভাইয়া কোন দিন নিজের পরিবার ফিরে পাবো।এ যেন স্বপ্ন মনে হচ্ছে ভাইয়া,আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা।আমার ভাই! ভাই আমার!”

আব্বাও আমায় জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন।সেই চৌদ্দ পনেরো বছর আগে দেখা ছয় বছরের রাবেয়ার সাথে এখনকার একুশ বাইশ বছরের রাবুর যেন কোন মিলই নেই।কিন্তু তারপর ও র*ক্ত র*ক্তকে চেনে।আব্বার বুকে ঝাঁ*পিয়ে পড়ে কেমন যেন মানসিক শান্তি পেলাম। মস্তিষ্কের মধ্যে কে যেন অনবরত বলে যাচ্ছে এ তোর জন্মদাতা! এ তোর বাবা! এ তোর পরিচয়!

তিন ভাইবোন আর আব্বা মিলে মায়ের কবরে গেলাম। দু’হাত তুলে দোয়া করে এলাম, কিছু টা কান্না আর দোয়ায় আজ মার কবর মুখরিত হলো।ভাই এসেই হাটে গেলো।বড় একটা বোয়ালের মাছ আর মুরগী কিনে আনলেন। ভাবিকে বললেন এগুলো ভালে করে রান্না করতে, আজ তার বোন এসেছে বলে কথা! রাফিয়া আপু আমায় ঘুরে ঘুরে আমাদের বাড়ির আশেপাশ দেখালেন।কোথায় কি ছিলো, কোন বাড়ির চাচীর সাথে মার ভালো সখ্যতা ছিলো,আমরা ছোট বেলায় কোন বড়ই গাছটাতে উঠে বড়ই পারতাম সব দেখালেন।চোখের সামনে যেন ভেসে উঠল পার করে আসা নিজের ভুলে যাওয়া অতীত! পাশের বাড়ির আপুর বান্ধবীর কোথায় বিয়ে হয়েছে, কয়টা বাচ্চা সব গুলো খোঁজ নিলেন।তারপর দুপুরের এসে তিন ভাইবোন আর আব্বা মিলে এক লাইনে খেতে বসলাম। ভাবি আমাদের খাবার তুলে দিচ্ছিলেন।রাফিয়া আপু ভাবিকেও বললেন খেতে বসতে।তারপর একসাথে পুরো পরিবার খাওয়া দাওয়া করলাম। এ যেন খাওয়ার তৃপ্তির চাইতে মানুসিক প্রশান্তি! কতো বছর আগে এমন করে দুইবোন,ভাই আব্বা আম্মা মিলে এই বাড়িতে একসাথে খেয়েছি তার ঠিক নেই। কিন্তু এতোবছর পর আবার ও এমন সারি বেঁধে চারজন খেতে বসেছি।কিন্তু খাবার পরিবেশন করতে সামনে বসা আম্মা টি আর নেই। খেতে খেতেই চোখের পাতা ভিজে উঠল।এর মাঝে ভাই বলে উঠলো,

“সুমি,বোয়াল মাছের মাথাডা রাবুরে দাও।ছোট বেলায় ওই খালি মাছের মাথা খাওয়ার জন্য জিদ ধরতো। খাইতে তো পারতো না,তয় নিয়াই ছাড়তো!আম্মা যে কতো বকা দিতো ওরে খাইতে না পাইরা নষ্ট করার জন্যি।তয় বড়বুবুর ভালো হইতো,রাবু খাইতে না পারা মাছের টুকরা বুবু খাইয়া নিতো।কিরে রাবু মনে আছে তোর?”

চোখের কোণ বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে আমার।আজ এতো বছর পরও নিজের ভাইটা ঠিক মনে রেখেছে আমি মাছের মাথা খেতে ভালোবাসি।ঠিক মনে রেখে মাছের মাথা টা আমার পাতেই দিচ্ছে। অথচ এতোদিন বড়লোকদের বাড়িতে কতো বড় ছোট মাছ আমি কে*টেছি,রান্না করেছি! বড় মাছের মাথা তো দূর ছোট মাছের ও একটা মাথা,কিংবা বড় মাছের একটা বড় টুকরা ও আমার কপালে জোটে নি।অথচ নিজের ভাইটা আজও ঠিক মনে রেখে আমায় তুলে দিচ্ছে।এই তো আমার পরিবার, এদের ছেড়ে এতোদিন আমি কোথায় ছিলাম!

ভাইয়ের কথায় চোখের পানি মুছে মুখে একটা হাসি নিয়ে শুধু তাকালাম ভাইয়ের দিকে।একি! এতোক্ষণ তো খেয়াল করিনি , ভাইয়ের চেহারা আর আমার চেহারা হুবহু একই রকম।শুধু সে ছেলে,আর আমি মেয়ে! একই চোখ, একই নাক,একই ভ্রু!

বিকেলের দিকে আবারও সবাই মিলে গল্প করতে বসে গেলাম। আপু আমার সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা সবাই কে খুলে বলল।আমার হারিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ফিরে পাওয়া পর্যন্ত সব বলল।ভাইয়া আব্বা মিলেও আম্মার মা*রা যাওয়ার পরের সব ঘটনা খুলে বলল।বর্তমানে চেয়ারম্যান আর তার ছেলে ঝন্টু যে জে*লে আছে দূ*র্নীতি মামলায় সেগুলোও আগ্রহ নিয়ে বলল ভাই।অনেক রাত পর্যন্ত গল্প করে অবশেষে সবাই রাতের খাওয়া সেরে ঘুমালাম। ভাবি নিজেও যেন খুব মজা পাচ্ছিল আমার ভাইবোনের এতো আবেগঘন মুহূর্ত দেখে।

পরদিন সকালে খাবার খেয়ে আমরা দুবোন আবারও ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে এলাম। জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত গুলো কাটালাম একটা দিন।ভাই নিজে এনে আমাদের স্টেশনে এনে রেখে গেলো।বিদায় বেলা আবারও খানিকটা মন খারাপ নিয়ে আমাদের ফিরতে হলো।আব্বাকে ছেড়ে নিজের ভাইকে ছেড়ে আসতে সত্যিই মন চাচ্ছিল না।কিন্তু কি করার! আসতে তো আমাদের হবেই । ভাইকে কথা দিয়ে এলাম এবারের ঈদ আমরা গ্রামে ভাইয়ের সাথেই করব।

ঢাকায় এসে আবারও চলতে লাগলো নিত্যদিনের জীবন! এভাবেই কে*টে গেলো বছর খানেক।ঈদে সত্যিই বাড়িতে গিয়েছিলাম।ওখানে বাবা ভাইয়ের সাথে ঈদ করে রাশেদ কে দেখে আবার ঢাকায় এসেছি। কিন্তু ঢাকায় সেই পাগল টি এখনও অপেক্ষা করেই আছে আমি তার সাথে বিয়ে করব।তার দোকান টাও এখন ভালো চলে,অনেক মালামাল তুলেছে। এর মধ্যে একদিন ওর ভাই ভাবি এসে আমায় দেখেও গেছে। এখন শুধু আমি হ্যাঁ বলার অপেক্ষা। আমি নিজেও জানিনা ছেলেটা কি দেখেছে আমার মাঝে। এতোদিন ধরে কোন রকম প্রশ্ন না করেই অপেক্ষা করে গেছে। কখনও বাজে কোন প্রস্তাব নিয়ে আমার কাছে আসেনি।তার চাওয়া ছিলো খুবই সীমিত! আমি কাজে যাওয়ার সময় একটু খানি তার দোকানের দিকে তাকাতে হবে,আর সেও তাকিয়ে হাসবে।এতোটুকুই।কখনও যদি তাড়াহুড়োয় তাকাতে না পারি,তাহলেই মহাশয় রেগে যাবেন।পরের দিন ঠিক রাস্তা আট*কে দাঁড়াবেন আর গাল ফুলিয়ে থাকবেন।মাঝে মাঝে সত্যিই হাসি পায় ছেলেটার এতো পাগলামি দেখে।

এভাবেই বছর খানেক আরও কা*টলো।এবার আমি এসএসসি দিলাম। খুব একটা পড়তে পারিনি। সারাদিন কাজ করে এসে রাতে পড়তে ভালোও লাগে না।তারপর ও খুব খারাপ হয় নি পরীক্ষা। যেদিন আমার রেজাল্ট হলো সেদিন ওর পাগলামি দেখে কে?তিন কেজি মিষ্টি নিয়ে চলে আসলো।আমি জিপিএ ফাইভ না পেলেও চার পয়েন্টের উপরে রেজাল্ট করেছি।সেও ভিষণ খুশি আমার সাফল্যে।রেমি আপুকেও মিষ্টি দিয়ে এলাম।কিন্তু এবার রেমি আপু জোর দিয়ে বললেন বিয়ে করতে।ছেলে টা ভালো,এতোদিন অপেক্ষা করছে তাকে আরও অপেক্ষা করানো উচিত হবে না।আর জীবনে চলার পথে তো সঙ্গী হিসেবে একজনকে লাগবে।আর কবীর সে সঙ্গী হিসেবে খুব খারাপ না। এখন আপনজন গুলো সবাই চাচ্ছে আমি আবারও নতুন করে শুরু করি।তাই তো আমি ও এবার আর না করলাম না।শেষ পর্যন্ত মত দিয়ে দিলাম উনাকে বিয়ে করতে। ছেলে টা মনে হয় সত্যিই পাগল।এতোদিন পরে আমি মত দেওয়ায় সে ভিষণ খুশি হলো।কিন্তু আমি ও একটা শর্ত দিলাম। আগে আমার শর্তটা পূরন করতে হবে। গ্রামে আমার ঐ টাকা থেকে প্রায় সত্তর আশি হাজার টাকা হয়ে গেছে। আর এদিকে আমি এতোদিন কাজ কতে জমিয়ে প্রায় এক লাখের উপর টাকা করেছি।আমার এইসব টাকা প্রায় দুই লাখ, এটা রাশেদের নামে ব্যাংকে রাখতে হবে। যাতে কয়েক বছর পর রাশেদ তা ডাবল পায়।আর ডাবল পাওয়ার পর সেই টাকা আবারও ব্যাংকে রাখব এটার মেয়াদ শেষ হলে।যতোদিন না রাশেদ একদম সাবালক না হয়।রাশেদ সাবালক হলে ঐ টাকা শুধু ও তুলতে পারবে,আর তা দিয়ে নিজের জন্য কিছু করবে।আমার রাশেদ যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে তাই এটা ছাড়া আমার আর উপায় নেই।

আমার প্রস্তাব শুনে কবীর কিছু টা রাগ করল আমার ওপর।তারপর বলল,,,,,,

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here