#মন_গোপনের_কথা
#পর্ব_৫৩
লেখনীতে, পুষ্পিতা প্রিমা
লাবীবকে আর বাড়ির ভেতর দেখা গেল না। বাড়ির ভেতর পা রাখলেই মাইশা মেয়েটা তাকে চোখ দিয়ে গিলে খাবে। শালা মাহিদ্দে তার ইজ্জত সম্মান রাখলো না। যেমন মামা তেমন ভাগিনা।
পুঁচকুটা তো কম না। যেটা একবার শুনে সেটা সারাক্ষণ টিয়া পাখির বলতে থাকে।
জালিশার ঘরে সাজগোজের কাজ চলছে। মাইশা নিশিতাকে শাড়ি পড়তে হেল্প করতে করতে অমনোযোগী হলো। নিশিতা তাকে গুঁতো মেরে বলল
ধুুরর তোকে দিয়ে হচ্ছেনা ভাই। সর। পিহু এদিকে আয়।
মাইশা বলল
আশ্চর্য এভাবে মারলি কেন? জিয়াদ ভাই তোকে কি খাওয়াই? এত শক্তি তোর! লাগলো খুব।
নিশিতা হেসে উঠলো। পিহু বলল
আরেহ এখন এনার্জি ডাবল হবে। দুজন তো।
নিশিতা জিভ কামড় দিল।
মাইশা বলল
তাই হবে।
আজকে ছিকু সোনা একটা কথা বলেছিল। জানিস নিশু?
নিশিতা আগ্রহ নিয়ে বলল
কি বলেছে?
মাইশা বলল
পিহু প্লিজ! তুমি আর তোমার জামাই মিলে পাগল বানিয়ে ছাড়বে দেখছি।
পিহু হেসে বলল
লাবীব ভাই।
লাবীব ভাই কি হলো?
নিশিতার বোকাবোকা প্রশ্ন। পিহু চোখের ইশারায় মাইশাকে দেখিয়ে দিল। মাইশা বলল
ধ্যাত।
নিশিতা হেসে উঠলো আওয়াজ করে। বলল
ডাল মে কুচ কালা হ্যায় মাইশু।
তেমন কিচ্ছু না। সব রিউমার। এসব কি ঠিক হচ্ছে আমার সাথে ?
পিহু নিশিতার শাড়ির কুঁচি কুঁচি ধরতে ধরতে বলল
সে ঠিক আর বেঠিক হোক। আন্টির কিন্তু তোমাকে হেব্বি পছন্দ হয়েছে। এখন তোমার মায়ের সাথে গল্পে লেগে গেছে। সব মুরব্বিরা একসাথে। দিন তারিখ ও বোধহয় আজ ঠিক হয়ে যাবে। ঠিক বলছি তো নিশু?
ভুল কিছু বলিস নি।
যাহহ আমি থাকব না আর এখানে।
পা নাচাতে নাচাতে চলে গেল মাইশা।
জালিশা চোখ খুলে বলল
উফফ বিয়ে খাব।
সবাই হেসে উঠলো তার কথা শুনে। পিহু বলল
আগে তোমারটা খাই।
সাজের কাজে ব্যস্ত মেয়েগুলো জালিশাকে বলল
আপনি কি চুপ থাকবেন? আমাদের কাজে অসুবিধা হচ্ছে।
জালিশা চুপ করে থাকলো৷
দরজা ঠেলে ছিকু ঢুকে এল। এসে দৌড়ে পিহুর হাঁটু জড়িয়ে ধরে মুখ গুঁজে বলল
পিহুকে পায় গিছি কেন? পিহু লুকি আচে কেন?
জালিশা আবার চোখ খুললো। বলল
হেই কিউটবক্স কাম কাম। একটু আদর করি।
ছিকু গেল না। বলল
জানিচা ভূত কেন? রাক্ষুচী কেন?
সবাই হেসে উঠলো তার কথায়। পিহু বলল
কলিজা চুপচাপ বসে থাকেন। জালিশাকে বউ সাজাচ্ছে। কথা বললে আন্টিরা বকা দেবে।
অতএব ভালো ছেলেটির মতো বিছানার মাঝখানে বসে থাকলো ছিকু। জালিশার সাজগোছ শেষ হতেই সে ছিকুর পাশে গিয়ে বসলো। ছিকুর গাল টানতে টানতে বলল
তোমার পুরো নামটা বলোতো।
ছিকুচোনা, ছিকুভাই, ছিকু চালা, কুলিজা।
সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। জালিশা হা করে থাকলো। বলল
উফফ কি কিউট কিউট নাম তোমার। কিন্তু রাহিয়ান চৌধুরী নামটা বলোনি কেন?
ছিকু কিছু একটা ভাবলো। বলল
ছিকুর নাম রাহি কেন? কেন বাপ কেন?
নিশিতা পেট চেপে ধরে বসে পড়লো। পিহুকে বলল
পিহু প্লিজ পকপকানিকে থামা। আমি আর হাসতে পারছিনা ভাই।
______________
জালিশাকে সাজিয়ে নিচে নিয়ে এল পিহু আর মাইশা। সবার চোখ তাদের দিকে। ছিকু তো আছেই সাথে। হাত দুটো উপরে তুলে চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলল
মুজা মুজা কেন? বিয়ে বিয়ে কেন? নিনি জানিচার বিয়ে কেন?
সবাই তার কথা শুনে ঠোঁট টিপে হাসলো। রাইনা দূর থেকে তাকে দেখে রেহানকে বলল
ওমা আমার ভাইকে এই পাঞ্জাবিতে কত্ত মানিয়েছে। নজর না লাগুক। মাশাল্লাহ।
রেহান বলল
আজ কান্ড একটা করে ফেলেছে। লাবীব আর মাইশাকে নিয়ে মারাত্মক একটা কথা বলে ফেলেছে।
ধুরর সব মাহিয়ের কেরামতি। ওই ফাজিলটা শিখিয়ে দিল আর কি।
রেহান হেসে উঠলো। বলল
হ্যা।
আদি জালিশার আসার অপেক্ষায় ছিল। শেষমেষ যখন তারা চলে এল। তখন পিহুকে ইশারা করলো নিনিতের পাশে নিয়ে আসার জন্য। পিহু আর মাইশাকে জালিশালে ধরে ধরে নিয়ে এল। জালিশার গালের ভেতর তখন মিষ্টি। সে আজ সারাদিন টেনশনে কিছু খাইনি। ভাবা যায়? এখন মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলো। নিশিতা পুরোটা গালে ঢুকিয়ে দিয়েছে। পাজি মহিলা।
নিনিতের সামনে দাঁড় করিয়ে মাইশা নিনিতকে বলল
ভাইয়া সামনে তাকান। বলুন বউকে কেমন লাগছে।
নিনিত এতগুলো মানুষের সামনে ভীষণ লজ্জায় পড়ে গেল। মুখের কাছে হাত নিয়ে গিয়ে খুকখুক কাশলো।
জালিশাকে জিজ্ঞেস করলো, বরকে কেমন লাগছে?
জালিশা লজ্জায় নিনিতের দিকে তাকালো না। গাল নাড়তে থাকলো। নিনিত তার খাওয়া দেখে নাকমুখ কুঁচকে ভাবলো
তার বউটা তো পুরো রাক্ষস। কিভাবে খাচ্ছে। একটু লাজলজ্জা নেই।
কেউ যখন কিছু বলল না। ছিকু এসে দুজনের দিকে তাকিয়ে বলল
নিনি বিটিফুল কেন? জানিচা বিটিফুল কেন? ছিকু বিটিফুল কেন?
মাইশা তার গাল টেনে দিয়ে বলল
সব কেন কেন’র উত্তর আপনার বিয়ের দিন দেব। ওক্কে?
ছিকু কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল। মাইশা ওর মুখ চেপে ধরে কোলে করে নিয়ে চলে গেল।
পিহু আদিকে এবার আসতে বলল। আদি আসলো। ইশা এসে একটি ছোট্ট বক্স দিল। আদি সেটা নিনিতকে দিল। নিনিত বলল
আবার এটা কি? কেন?
আদি তার কাঁধ চাপড়ে দিয়ে বলল
এটা স্যার হিসেবে দিলাম। তোমার জন্য নয়। তোমার ওয়াইফির জন্য। পড়িয়ে দাও।
কিন্তু,,,,
ইশা স্বর্ণের রিংটা বের করে দিল নিনিতের হাতে। বলল
নাও এবার পড়িয়ে দাও তো দেখি৷
সবার সেদিকে ক্যামেরা তাক করে রেখেছে। মাহিদ ক্লিক মারতে মারতে বলল
দেখি সাইড সাইড।
সবাই হেসে উঠলো। পিহু জালিশাকে ফিসফিস করে বলল
হাত উঠাও।
ইশা তুলে দিল নিনিতের হাতে। বলল
কি আশ্চর্য ছেলেমেয়ে! আজকালকার ছেলেমেয়েরা এত লজ্জা পায়?
আঙুল ধরতেই জালিশা শিউরে উঠলো। তার জানটা যেন এক্ষুণি বেরিয়ে যাবে এমন অবস্থা। কি লজ্জা লজ্জা! কান দিয়ে গরম ভাপ বেরোচ্ছে।
ছিকু মাহিদের পেছনে গালফুলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো। মাহিদ তার গাল টেনে দিয়ে বলল
কিতা হয়ছে বাপ?
ছিকুর কিমরা নাই কেন? দুক্কু লাগে কেন?
মাহিদ হাঁটুমুড়ে বসে তার পেটে গুঁতো মেরে বলল
তোর বউ নাই, তাই তোর কিছু নাই। যেদিন থেইকা তোর বউ থাকবো সেদিন দেখবি তোর সব আছে।
ছিকু ছুটে এসে মাহিদের কাঁদে মাথা রাখলো। ভীষণ কষ্ট পেয়ে বলল
বুউ এখুনো আচেনা কেন?
মাহিদ তার পিঠে ঠাসস করে মেরে, টেনে এনে গালে বড় ধরণের আদর দিয়ে বলল
তুই শালা আগে ভালা কইরা কথা বলা শিখ। বড় হ। আমার মতো হ। পড়ালেখা কর। বউ পাওয়া এতো সহজ কাজ না। নইলে আমি তোর বয়সে থাকতে বিয়া কইরা লইতাম। আমার শ্বশুর মহান তাই আমি বেকাররে মাইয়্যা দিচে। কিন্তু আমি অত মহান না। আমি তোরে অত সহজে মাইয়্যা দিতাম না। তোর বহুত পরীক্ষা বাকি। তৈয়ার হ। বাপ।
ছিকু তেমন কিছুই বুঝলো না। যেটুকু বুঝলো, কেঁদেকেটে পরী আর রেহানের কাছে গেল। মাহিদকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে বলল
মিহি মিইয়্যা দিবে না কেন? কেন বাপ কেন?
তারা কিছুই বুঝলো না। শুধু হাসলো তার কথায়।
যেহেতু বর কনে দুজনের গায়ে হলুদ এক বাড়িতেই হচ্ছে সেহেতু স্টেজ ও একটা করা হয়েছে। দুজনকে পাশাপাশি বসিয়ে দিয়েছে সবাই। জালিশা শুরুতেই নিনিতের ধমক খেল। বামহাত দিয়ে কেন কেক কাটতে যাবে? আজব!
জালিশার জিভে কামড় দিল। বলল
শিখিয়ে দেবেন। ধমক দেন কেন?
তুমি কি কচি খুকি? যে সব শিখিয়ে দিতে হবে?
জালিশা মুখ মোচড় দিয়ে বলল
তাহলে চুপ থাকেন। আপনি এত মিচকা শয়তান আমি তো জানতাম না। জানলে বিয়ের পিড়িতে বসতাম না।
তো করছ কেন? এখন মানা করে দাও।
সাহস থাকলে আপনি মানা করে দেন।
নিনিত ক্ষেপে তাকালো তার দিকে। জালিশা মিটমিট করে হাসলো।
কেক কাটাকাটি, আনন্দ, হৈ-হুল্লোড়, ছিকুর পেট ঢুলিয়ে ঢুলিয়ে নাচ দেখে হাসিতেখুশিতে সময় কাটলো সবার।
লাবীব বাইরে বাইরে ঘুরছিল। মাহিদ তাকে ধরে আনলো বাহির থেকে। লাবীব বলল, শালা আমার সব শেষ কইরা দিছোস। তোর লগে আর কোনো কথা নাই। ওই বিচ্ছু মহিলা আমাকে আর ছাড়বে না।
তুই ও ছাড়িস না বাপ। ধইরা রাখ।
মজা করিস না। সিরিয়াসলি বলছি।
মাহিদ তার পিঠ চাপড়াতে চাপড়াতে ফিসফিস করে বলল
আমি বুঝিয়ে বলছি শালা। তোর উপর রাগ নাই।
লাবীব তার দিকে তাকালো। বলল
কি বুঝিয়ে বলছোস?
বলছি তুই কিছু বলিসনি। সব আমি বলছি। এইবার যাহ।
সত্যি?
হুহ৷
ওই মেয়েটা যদি আমাকে কিছু বলে তাহলে তোরে আমি কিমা বানায় খামু। মনে রাখিস।
আইচ্ছা খাইস৷
মাহিদকে অনুসরণ করে ছিকু এল দৌড়ে দৌড়ে। বলল
লাবি লুকি আচে কেন? নজ্জা পায় কেন?
মাহিদ হেসে উঠলো। লাবীব বলল
মামা এর স্মৃতিশক্তি এত ডেঞ্জারাস কেন? কি খায়?
ছিকু তুই বল। তুই কি খাস?
চবার মাথা খায় কেন?
দুজনেই একসাথে হেসে উঠলো। লাবীব হাসতে হাসতে বলল
একদম ঠিক। সবার মাথায় খায় এই ছেলে।
মুজা মুজা কেন?
দু’জন আরেকদফা হাসলো।
___________
নিনিত আর জালিশার মেহেন্দি পড়িয়ে সবাই ফজরের আজানের সময় বাড়ি গেল। কাল সবাই ক্লাবে চলে যাবে। পিহুকে অনেক জোরাজোরি করলো নিশিতা। পিহু বুঝিয়ে বলল
বেরোনোর সময় বাড়িতে সব এলোমেলো করে রেখেছি। আমি না গেলে সব এলোমেলোই থেকে যাবে। সব তো আর ওরা পারবেনা।
মাহিদ এসে তার মাথায় টোকা মারলো। বলল
আমার বউরে তোর কি দরকার? তুই তোর জামাইরে ডাক।
জিয়াদ দূরে দাঁড়িয়ে হাসছে। নিশিতা বলল
তুমি পারো মাহিদ ভাই। যাও তোমার বউকে নিয়ে। বুকের ভেতর ঢুকায় রাখো। হুহ।
পিহু হেসে উঠলো। মাহিদ বলল
ধুরর বেডি বেয়াদব।
বলেই পিহুর হাত টেনে নিয়ে গেল।
সবাই যখনি বেরোতে যাবে।
নিনিত ক্লান্ত ভঙ্গিতে হাই তুলতে তুলতে এল। পাঞ্জাবির গলার কাছের বোতাম খুলতে খুলতে বলল
মা বিয়ের দিন পিছিয়ে দাও। আমি কাল বারোটার আগে ঘুম থেকে উঠছিনা। প্রচুর টায়ার্ড।
তার কথায় সবাই আওয়াজ করে হেসে উঠলো। নিকিতা বেগম বলল
শোন ছেলের কথা। বারোটায় উঠলে উঠবি। বউ তো তোর ঘরেই আছে। কবুল না হয় ঘুম থেকে উঠে বলবি।
নিনিত মাথার পেছনে হাত বুলালো।
সময় আরেকটু বাড়িয়ে বলা উচিত ছিল বোধহয়।
ভাবতে ভাবতে চলে গেল সে। আইমি দেখলো জালিশা সোফায় ঘুমিয়ে পড়েছে। সবাইকে ইশারায় দেখিয়ে দিল সে। সবাই হাসিতে ফেটে পড়লো। জাবির গিয়ে মেয়ের পাশে বসলো। মাথায় হাত বুলিয়ে বলল
ইমি। ওকে কি কোলে করে নিয়ে যাব? ঘুমিয়ে পড়েছে মেয়েটা৷
পরীর কোল থেকে নেমে গেল ছিকু। জালিশার মুখটা ভালো করে দেখলো৷ সামনে ঝুলো বেণুনীটা নিয়ে জালিশার মুখে সুড়সুড়ি দিতে দিতে বলল
জানিচা ঘুম কেন? বুউ ঘুম কেন?
জালিশা হকচকিয়ে উঠলো। মুখে হাত বুলিয়ে বলল
কিউট ছেলে কি করছিলে তুমি?
ছিকু খিকখিক করে হেসে দিয়ে বলল
ও বাপ জানিচা উঠি গিচে কেন? বুউ ঘুম ভাঙি গিচে কেন? মুজা মুজা কেন?
মাহিদ এসে তাকে কোলে তুলে নিল। বলল
কয়টা বাজে খেয়াল আছে শালা? তোর চোখে ঘুম নাই বাপ?
ছিকু মাহিদের দিকে ভুরু কুঁচকে তাকালো। বলল
মিহির সাথি কুথা বুলিনা কেন? মিহি মিইয়্যা দিবেনা বুলছে কেন?
মাহিদ বোকাসোকা চোখে সবার দিকে তাকালো।
_______
বাড়ি পৌঁছুতেই পিহু এলোমেলো করে যাওয়া সব কাপড়চোপড় গুছালো। মুখ হাত ধুঁয়ে শাড়ি পাল্টে, সুতির শাড়িটা পড়ে নিল। বিছানা গুছালো। মাহিদ মুখ মুছতে মুছতে বিছানায় এসে ধপাস করে শুয়ে পড়লো।
পিহু পাল্টানো সব কাপড় একপাশে রাখতে রাখতে বলল
তোয়ালেটা নিয়ে শুয়েছ কেন? এদিকে দাও।
মাহিদ বলল
‘ ধর।
পিহু সেটি ধরতেই মাহিদ টান দিল। পিহু তার মুখোমুখি পড়লো। বলল
ঘুম পাচ্ছে। মজা নয়। উফফ। ছাড়ো।
মাহিদ ছেড়ে দিল। পিহু তোয়ালে শুকাতে দিয়ে লাইট অফ করে বিছানায় এসে শুয়ে পড়লো। ফোন হাতে নিয়ে বলল
আজকে অনেক ছবি তুলেছি। দেখবে। ছিকুর সাথে অনেক তুলেছি। দাঁড়াও দেখাই।
মাহিদ পিহুর বালিশে মাথা রাখলো। হাতটা রাখলো পিহুর উপর।
পিহু একেকটা ছবি দেখিয়ে দেখিয়ে এটা ওটা বলতে লাগলো। মাহিদ শেষমেশ ফোনটা নিয়ে ফেলল। পিহু ভুরু কুঁচকে অন্ধকারে দেখার চেষ্টা করলো তাকে। বলল
আমার এত অন্ধকারে ভয় হয়। ড্রিমলাইট দাও।
মাহিদ তার চুলে নাক গুঁজে ঘ্রাণ নিয়ে বলল
চুপ থাক।
পিহু এবার রাগ করলো। কথা না বলে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে করতে বলল
সরো। আসবানা একদম৷
মাহিদ সরলো৷ তবে খানিক্ষনের জন্য। আবার এসে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে গলদেশে নাকমুখ ডুবিয়ে বলল
তুই থাকতে ড্রিমলাইটের দরকার কি দরকার?
চলবে,,,,