#প্রজাপতির_ডানায়_আঁধার_নামে (পর্ব ২)
১.
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স। মিতু নিরাপত্তা তল্লাশি শেষে ভেতরে পা রাখতেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। চারদিকে ঝা চকচকে সব দোকানপাট, প্রাণোচ্ছল সব মানুষজন, কোথাও কোনো সমস্যা নেই। সবাই যেন ভীষণ সুখী, কারও বাচ্চা এমন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে পড়ে নেই। একমাত্র ওর ক্ষেত্রেই বিধাতা এমন দুর্ভাগ্য দিলেন! ভাবতেই মনটা বিষাদে ভরে যায়। কতদিন প্রজাপতিকে নিয়ে কেনাকাটা করতে বের হতে পারে না ও। একটু পার্লারে যাওয়া, আইসক্রিম খাওয়া, ছোট ছোট সব আনন্দগুলো আজ হারিয়ে গেছে বিষাদের চাদরে।
মন খারাপ নিয়ে মিতু এক্সকালেটরে করে একটা একটা করে লেভেল পার হয়ে জুয়েলারির দোকানগুলোর সামনে এসে দাঁড়ায়। হাঁটতে হাঁটতে একটা ছোট্ট দোকানের সামনে এসে থামে। এখানে ইমিটেশনের গহনাগুলো বিক্রি করে। মিতু খুঁজে খুঁজে চিকন চুড়িগুলো দেখতে থাকে। এক জোড়া পছন্দও হয়। দোকানদারকে বলতেই চুড়ি জোড়া বের করে ওর হাতে দেয়। মিতু এবার চুড়ির ডিজাইনটা ভালো করে পরখ করে, তারপর ব্যাগ থেকে পুরনো এক জোড়া চুড়ি বের করে তার সাথে মেলায়। কাছাকাছি ডিজাইন দুটো, নেওয়া যায়। এবার দামাদামির পালা, এরা প্রথমেই আকাশছোঁয়া দাম চায়। কিন্তু এগুলোর দাম খুব একটা বেশি না, হাজারের নিচেই হবে। অনেকে দামাদামির পর শেষ পর্যন্ত ছয়শো টাকায় চুড়িগুলো কেনে মিতু। যাক, কমের মধ্যেই হয়েছে। দাম মিটিয়ে চুড়িগুলো নিতেই হঠাৎ পেছন থেকে একটা পরিচিত গলা পাওয়া যায়, ‘এ্যাই মিতু, তুই এখানে?’
মিতু একটু কেঁপে ওঠে, ঘুরে তাকাতেই দেখে ওর স্কুল বন্ধু রিনা। একটু হাঁপ ছাড়ে, তারপর হেসে বলে, ‘আরে রিনা, কেমন আছিস?’
রিনা একটু কেমন চোখে তাকায়, তারপর বলে, ‘আমি ভালো আছি। তোর মেয়ের অবস্থা কেমন এখন? ও না হাসপাতালে ভর্তি ?’
মিতু ছোট্ট করে একটা নিশ্বাস ফেলে, বুঝতে পারে এই সময়ে ও বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সে চুড়ি কিনছে এটা রিনা মেনে নিতে পারছে না। ক’দিন আগেই রিনার কাছে বিশ হাজার টাকা ধার চেয়েছিল।।জানে রিনারা অনেক ধনী, দু দুটো গাড়ি হাঁকায়। কিন্তু টাকার কথা বলতেই বলল কোথায় যেন বত্রিশ স্কয়ার ফিটের একটা ফ্ল্যাট কিনেছে তাই হাত নাকি একদম ফাঁকা। মিতু আর জোরাজুরি করেনি, শুধু বলেছিল টাকাটা ওর খুব দরকার।
আজ ওকে চুড়ি কিনতে দেখে নিশ্চয়ই রিনা অবাক হয়েছে, যে মানুষ টাকা ধার চায়, মেয়ে হাসপাতালে, সে কি না চুড়ি কিনে বেড়াচ্ছে! রিনার মনের ভাবটা ও ঠিক বুঝতে পারে, হাসি পায় মিতুর। মানুষের যে কতরকম দৈন্যতা থাকে।
মিতু চুড়িগুলো ব্যাগে নিতে নিতে বলে, ‘হ্যাঁ রে, মেয়েটা হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসা চলছে। তাই বলে কি নিজের শখ আহ্লাদ নেই? এক জোড়া চুড়ি কেনার খুব শখ হয়েছে, তাই এলাম।’
মিতুর এ ধরনের সোজাসাপটা কথায় রিনা ভড়কে যায়, তারপর তাল মিলিয়ে বলে, ‘ঠিকই বলেছিস। সংসারের জন্য করতে করতে নিজের দিকেই খেয়াল থাকে না। নিজেরও কিছু শখ আহ্লাদ আছে, একটু স্বার্থপর না হলে সেগুলো আর কখনোই পূরণ হয় না।’
মিতু একটা কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে বলে, ‘হ্যাঁ একদম ঠিক বললি। আচ্ছা, তুই থাক, আমার একটা জরুরি কাজ আসে, সেটা সেরেই হাসপাতালে দৌড়ুতে হবে আবার।’
রিনা মাথা নেড়ে বিদায় দেয়। মিতু পেছন ফিরে হাঁটা শুরু করে, মনটা খারাপ হয়ে আছে। ও কি স্বার্থপর? ওকে নিয়ে রিনা একটা ভুল ধারণা নিয়ে থাকবে। তা থাকুক, কিন্তু রিনা যে মা দের নিয়ে ভুল ভাবনা ভাববে, মায়েরাও স্বার্থপর হয় এটা বলে বেড়াবে। কথাটা মনে হতেই মিতু থমকে দাঁড়ায়, তারপর পেছন ঘুরে রিনাকে ডাক দেয়।
কাছে আসতেই বলে, ‘চল, এক কাপ কফি খাই তোর সাথে।’
রিনা সানন্দে রাজি হয়, বলে, ‘কফির বিল কিন্তু আমি দেব।’
মিতু হাসে, টাকা ধার দিতে না পারার সংকোচটুকু কাটাতে চাচ্ছে রিনা।
একটা ছোট্ট পরিপাটি খাওয়ার দোকানের সামনে মুখোমুখি চেয়ারে ওরা বসে। রিনাই অর্ডার করে। দু’জনে দুটো ল্যাটে কফি নেয়, ধীরে ধীরে চুমুক দিতে দিতে মিতু মৃদু স্বরে বলে, ‘রিনা, মায়েরা কখনও স্বার্থপর হতে পারে না। সন্তানের সুখই যে মায়ের সুখ। প্রজাপতি হাসপাতালে, আর আমি এখানে আমার শখের চুড়ি কিনতে আসতে পারি?’
রিনা কফিতে চুমুক দিচ্ছিল, হঠাৎ করেই গরম কফিটা মুখে লেগে যায়, জ্বালা করে ওঠে। একটা দারুণ অস্বস্তি ওকে ঘিরে ধরে। ওর মনের কথাটা মিতু ঠিক টের পেয়ে গেছে। আমতাআমতা করে কিছু বলতে যেতেই মিতু ওকে থামিয়ে দেয়, বলে, ‘তোকে দোষ দেই না। আমাকে এখানে পরিচিত যে কেউ দেখলেই ঠিক এই ভাবনাটাই ভাববে। মেয়ে হাসপাতালে আর মা কিনা শপিং করে বেড়াচ্ছে। আসলে হঠাৎ করেই টাকার ভীষণ দরকার হয়ে পড়েছে। হাসানের একটা টাকা পাবার কথা ছিল, সেটা পেতে দেরি হচ্ছে। তোর কাছেও তো সেদিন টাকা চাইলাম। এদিকে হাসপাতাল থেকে বার বার চাপ দিচ্ছিল টাকা পরিশোধ করার। কোনো উপায় না দেখে আমার দুটো চিকন সোনার চুড়ি বিক্রি করতে এসেছিলাম। কিন্তু আমার হাত খালি দেখলে হাসান কষ্ট পেত। তাই এই চুড়ির সাথে মিলিয়ে এক জোড়া চুড়ি কিনে নিলাম। যাতে চট করে ও বুঝতে না পারে। কী করব বল, এছাড়া যে আর কোনো উপায় ছিল না। গরীব হবার অনেক জ্বালা, তুই বুঝবি না। আমার মেয়েটার জন্য দোয়া করিস একটু।’
শেষ কথাগুলো বলতে বলতে মিতুর চোখ ভিজে ওঠে। রিনা অপ্রস্তুত হয়ে যায়, বিমূঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মিতুর দিকে। নিজেকে ভীষণ ছোট মনে হচ্ছে এখন। কী সহজেই মিতুকে নিয়ে ও ভুল ভাবনা ভাবছিল। ওর নিজেরও প্রজাপতির বয়সের একটা ছেলে আছে। ও যদি কখনও এমন অসুস্থ হয়ে যায়! ভাবতেই বুকটা খামচে ধরে। রিনা মিতুর হাতটা শক্ত করে ধরে, তারপর বলে, ‘মিতু, প্রজাপতি নিশ্চয়ই ভালো হয়ে যাব। আমি যতটুকু পারি তোর পাশে থাকব। প্লিজ, আমাকে ভুল বুঝিস না।’
মিতু নরম গলায় বলে, ‘না রে, তোর জায়গায় আমি হলেও হয়তো এমন করতাম। আমি উঠি, দেরি হয়ে যাচ্ছে।’
যাবার সময় রিনা ওকে জড়িয়ে ধরে বিদায় দেয়। মিতুর মনটা অনেকটাই হালকা হয়ে যায়, একটা ভরসাও যেন পায়।
২.
সন্ধ্যা হয়ে গেছে। মা মাগরিবের নামাজ পড়ছে। প্রজাপতি বিষন্ন চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। সেদিন ওর অসুখটা জানার পর প্রথম খুব ভয় লেগেছিল, কষ্ট হয়েছিল অনেক। তৃণি, তুতুলের মতো নয় ওর জীবন। মেনেই নিতে পারেনি, ওর এমন হতে পারে। এখন মায়ের নামাজে ধ্যানমগ্ন মুখটার দিকে তাকিয়ে ভীষণ মায়া হয়। আহারে, আমার মা টা কত কষ্টই না পাচ্ছে। ওর জন্যই বাবা মা দু’জনেই আজ দারুণ দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে। প্রজাপতির খুব ইচ্ছে হয় একটা কিছু করতে যাতে মা বাবার মনটা একটু হলেও ভালো করতে পারে। জীবনের কাছে এমন করে হেরে যেতে ইচ্ছে করছে না।
এমন যখন ভাবছে ঠিক তখন কেবিনের দরজাটা খুলে যায়, বাবার মুখটা দেখা যায়। প্রজাপতির চোখ উজ্জ্বল হয়ে যায়, মিষ্টি করে হেসে বলে, ‘বাবা’।
হাসান ভেতরে ঢোকে না, বলে, ‘চোখ বন্ধ কর আগে, তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।’
মিতুর নামাজ শেষ হয়েছে। কৌতুহল নিয়ে ও হাসানের দিকে তাকাতেই, হাসান বলে, ‘তুমিও।’
প্রজাপতি খুব মজা পায়, বাবাটা এমনই, প্রায়ই ওকে চমকে দেয়। আজকেও নিশ্চয়ই তেমন কিছু।
মিতু ভ্রুকুটি করে, তবে চোখটা বন্ধ করে।
ওরা চোখ বন্ধ করতেই হাসান এবার একটা বড় চৌকোনা কাগজের বাক্স প্রজাপতির সামনে রাখে। তারপর একটা হাত তালি দিয়ে বলে, ‘এবার চোখ খোল সবাই।’
বাবার কথা শোনা মাত্রই প্রজাপতি চোখ খোলে, দেখে একটা বড়সড় কাগজের বাক্স। তাতে বড় বড় ছিদ্র করা। বুঝতে না পেরে প্রজাপতি কৌতুহলী গলায় বলে, ‘বাবা, কি আছে এটাতে?’
মিতুও জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতেই হঠাৎ একটা শব্দ পাওয়া যায়, ‘মিয়াঁও’।
প্রজাপতি লাফ দিয়ে ওঠে, ‘তুষিইইইই!’
প্রজাপতির ডাক শুনে বাক্সের ভেতর বিড়ালটা এবার আরও জোরে ‘মিউ মিউ’ করে ওঠে।
প্রজাপতি একটানে বাক্সটা খুলে ফেলতেই তুষি এক লাফে ওর কোলে উঠে পড়ে। প্রজাপতি মুহূর্তেই ওকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরে আদর করতে করতে বলে, ‘আমার ছোট্ট তুষি, তুই কি করে এতদিন আমাকে ছেড়ে থাকলি?’
বহুদিন পর মেয়ের মুখে সত্যিকারের হাসি দেখে মিতুর মনটা ভালো হয়ে যায়। এমন হাসিখুশি মুখ কতদিন দেখেনি! কিন্তু হাসপাতালে এরা বিড়াল রাখতে দেবে?
মিতু হাসানের দিকে তাকিয়ে শংকিত গলায় বলে, ‘বিড়াল তো এখানে রাখতে দেবে না। দেখলেই তুলকালাম করবে।’
হাসান ষড়যন্ত্রকারীর মতো হাসে, তারপর বলে, ‘এজন্যই তো এই বাক্সে করে লুকিয়ে এনেছি। আজ রাত থাকুক, সকালে তুমি বাসায় নিয়ে যেও। মাঝে মাঝে নিয়ে আসব প্রজাপতির সাথে দেখা করার জন্য।’
প্রজাপতি মাথা নাড়ে, ‘উহু, প্রতিদিন নিয়ে আসতে হবে বাবা। আর এটা এখানে থাকুক, আমি ওকে লুকিয়ে রাখব।’
মিতু মাথা নাড়ে, বলে, ‘না, এটাকে এখানে রাখা যাবে না। আজ থাকুক আপাতত।’
হাসান এবার মেয়ের পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে, ‘আমার মায়ের খবর কি?’
প্রজাপতি কৃত্রিম রাগের গলায় বলে, ‘বাবা, এক সপ্তাহ পরেই আমার টেস্ট পরীক্ষা। তোমাকে কত করে বললাম যে আমি পরীক্ষা দেব, হেডস্যারের সাথে একটু কথা বলে ব্যবস্থা করো। তা তুমি কানেই তুলছ না।’
হাসান একবার মিতুর দিকে তাকায়, তারপর আমতাআমতা করে বলে, ‘এবার নাহয় পরীক্ষা নাই দিলি মা। শরীরটা ভালো হোক তারপর নাহয় দিস।’
প্রজাপতি কঠিন গলার বলে, ‘আর যদি ভালো না হই কখনও, তখন?’
হাসানের বুকটা কেঁপে ওঠে, মুখটা শুকিয়ে যায়। মিতু ফ্লাস্ক থেকে স্যুপ ঢালছিল, হাতটা কেঁপে গিয়ে একটু চলকে পড়ে। অসহায় চোখে প্রজাপতির দিকে তাকায়।
হাসান নিজেকে সামলে নিয়ে কোনোমতে বলে, ‘এসব কী বলছিস! তুই ভালো হয়ে যাবি মা।’
প্রজাপতি এবার জেদের গলায় বলে, ‘যদি তাই হয় তাহলে পরীক্ষা দেব না কেন? আমার প্রস্তুতি তো ভালো, আমি ঠিক পারব। তুমি কালকেই স্যারের সাথে কথা বলবে।’
হাসান এবার প্রজাপতির মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, ‘আচ্ছা বলব।’
রাতে হাসান যখন বিদায় নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে, মিতুকে একটু ডেকে বলে, ‘তুমি একটু আসো তো আমার সাথে।’
মিতু বাইরে আসতেই হাসান একটু অস্বস্তি নিয়ে বলে, ‘মিতু, হাসপাতালে তো অনেক টাকা বাকি। আমার অফিস থেকে টাকাটা পেতে যে আরও কিছুদিন দেরি হবে। এদিকে ধারও পাচ্ছি না। কি যে করি!’
মিতু অভয় দিয়ে বলে, ‘আমি কিছু টাকা যোগাড় করেছি, তাতে হাসপাতালের সব পাওনা মিটিয়ে দিয়েছি। তুমি চিন্তা করো না।’
হাসান অবাক গলায় বলে, ‘তুমি টাকা পেলে কোথায়?’
মিতু নরম গলায় বলে, ‘তুমি কত ছুটোছুটি করে টাকা যোগাড় করছ, আমিও তাই কিছু করার চেষ্টা করছি হাসান। আল্লাহ আমাদের মেয়েটাকে ভালো করে দিন।’
হাসান মিতুর হাতটা শক্ত করে ধরে, বলে, ‘হ্যাঁ মিতু, আমাদের প্রজাপতি আবার আগের মতো উড়ে বেড়াবে, ইনশাআল্লাহ।’
সেদিন রাতে মিতু যখন প্রজাপতিকে জড়িয়ে ঘুমোতে যায়, তুষিও ওদের গা ঘেঁষে ওম নিতে থাকে। মিতু মেয়ের শরীরে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে, ‘মা গো, তোর কি অনেক ব্যথা করে?’
প্রজাপতি মায়ের বুকে মুখ রেখে বলে, ‘তুমি হাত বুলিয়ে দিলে আর করে না।’
মিতুর বুক ভেঙে কান্না আসে, ভেজা গলায় বলে, ‘আমি হাত বুলিয়ে দিচ্ছি, তুই আরাম করে ঘুমা।’
প্রজাপতি ঘুম জড়ানো গলায় বলে, ‘মা, আমি যদি কোনোদিন হারিয়ে যাই, তুমি কী করবে?’
মিতু শক্ত করে প্রজাপতিকে বুকের ভেতর জড়িয়ে ধরে বলে, ‘আমি তোকে কোথাও হারিয়ে যেতে দেব না।’
রাত বাড়ে, প্রজাপতি ঘুমোচ্ছে। মৃদু নিশ্বাসে ওর বুক ওঠানামা করছে। মিতু একটু পর পর চেয়ে দেখে, হ্যাঁ, নিশ্বাস নিচ্ছে প্রজাপতি, বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে আমার প্রজাপতি।
(চলবে)
মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস