প্রজাপতির_ডানায়_আঁধার_নামে (পর্ব ৩)

0
208

#প্রজাপতির_ডানায়_আঁধার_নামে (পর্ব ৩)

১.
অলকানন্দা হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক আজিজুল হক বিরক্ত চোখে সামনে বসা লোকটার দিকে তাকিয়ে আছেন। এমন নাছোড়বান্দা লোক জীবনে আর দেখেননি। লোকটাকে আরও একবার বোঝানোর জন্য মুখ খোলেন, ‘ভাই, আপনার মেয়ের তো ক্যান্সার, সে এইবার টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে করবে কী? এসএসসি পরীক্ষাই তো দিতে পারবে না। মেয়েকে বোঝান, আগে সুস্থ হোক, আমরা তখন বিবেচনা করব।’

হাসান একটা নিশ্বাস ফেলে, তারপর বলে, ‘স্যার, মেয়েটার পড়াশোনায় খুব ঝোঁক ছিল। আপনি তো ওর রেজাল্ট দেখেছেন। ওর খুব ইচ্ছে যে পরীক্ষাটা দেয়। মেয়েটার এত বড় একটা অসুখ, সারাক্ষণ মন খারাপ করে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকে। পরীক্ষাটা দিতে পারলে অসুস্থতার দুঃসহ সময়টুকু কিছুটা হলেও ভুলে থাকতে পারত। না হলে সারাক্ষণ মাথার ভেতর অসুখের চিন্তাটা কুড়ে কুড়ে খাবে। স্যার, একটু যদি ওকে পরীক্ষাটা দিতে দিতেন, আমার ছোট্ট মেয়েটার মনটা খুশি হতো।’

আজিজুল হক চশমাটা খোলেন, কপাল কুঁচকে কিছুক্ষণ ভাবেন, তারপর বলেন, ‘আচ্ছা ঠিক আছে। আপনার মেয়ে পরীক্ষা দেবে। কিন্তু সেটা কী করে? ও কি স্কুলে আসতে পারবে এই শরীরে?’

হাসান যেন একটু আশার আলো দেখে, আগ্রহের সাথে বলে, ‘স্যার, পরীক্ষার দিনে এক সেট খাতা আর প্রশ্ন নিয়ে আপনাদের কেউ যদি কষ্ট করে হাসপাতালে আসেন, আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলে রাখব।’

আজিজুল হক অবাক চোখে তাকিয়ে বলেন, ‘কী বলছেন এসব, এমন আবার হয় নাকি! নাহ, এটা সম্ভব না।’

হাসান দমে যায়, শেষ চেষ্টা করে, ‘স্যার, বোর্ড পরীক্ষাতে কিন্তু এমন নিয়ম আছে। অসুস্থ কেউ থাকলে তার জন্য আলাদা ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে আপনারা কেন করবেন না?’

আজিজুল হক এবার স্পষ্টতই বিরক্ত হন, গম্ভীরমুখে বলেন, ‘ভাই, আপনি মেয়ের চিকিৎসা করান। আর এভাবে হাসপাতালে যেয়ে পরীক্ষা নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।’

হাসান মন খারাপ গলায় বলে, ‘আচ্ছা। তবে আমাকে একটা উপকার করতে পারবেন?’

আজিজুল মুখ তুলেন, ‘ কি উপকার?’

হাসান অনুরোধের গলায় বলে, ‘পরীক্ষার দিন প্রতিদিন সকালে আমি আসব। আমার মেয়েটার জন্য এক সেট প্রশ্ন আর খাতা আমাকে দিতে পারবেন? আমি আপনাদের স্কুলের সব বেতন তো দিয়েছিই।’

আজিজুল হক একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, হঠাৎ করেই মনে হয় বাবারা মেয়ের জন্য বুঝি এমন করেই আকুল হয়। মনটা খারাপ হয়ে যায়, উঠে দাঁড়িয়ে হাসানের বাহুতে হাত দিয়ে আলতো করে ধরে বলেন, ‘আচ্ছা, আমি আপনার মেয়ের জন্য এক সেট প্রশ্ন আর খাতা আলাদা করে রাখব। তবে এটা সত্যিকারের পরীক্ষা হবে না, রেজাল্ট কার্ডও হবে না। এই রুটিনটা নিয়ে যান, তারিখ দেখে আসবেন।’

হাসানের মনটা আর্দ্র হয়ে যায়, ভেজা গলায় বলে, ‘অনেক ধন্যবাদ স্যার। এটুকুও আমার জন্য অনেক।’

হাসান খুশি মনে স্কুল থেকে বের হয়ে আসে। প্রজাপতি শুনলে নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে। মেয়েটা পড়াশোনা করতে ভালোবাসত!

হাসপাতালে আসতেই খারাপ খবরটা পায়, প্রজাপতি আইসিইউতে। হঠাৎ করেই নাকি শরীরটা খারাপ করেছে, অক্সিজেন লেভেল কমে যাচ্ছে, ভীষণ শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। মিতু ওকে দেখে পাগলের মতো কান্না করতে থাকে। হাসান মিতুকে বুকের সাথে শক্ত জড়িয়ে ধরে, প্রাণপণে চোখের জল আটকে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করতে থাকে।

সেদিন আইসিইউ এর পাশে মিতু সারারাত জায়নামাজ বিছিয়ে বসে থাকে। হাসান একটা সময় মিতুর হাতটা ধরে বলে, ‘কেবিনে যেয়ে একটু ঘুমিয়ে নাও, আমি তো আছি।’

মিতু মাথা নাড়ে, নাকটা টেনে ভেজা গলায় বলে, ‘তুমি যাও, একটু ঘুমাও। কাল তো তোমার অফিস আছে।’

হাসান কিছু বলে না। পকেট থেকে পরীক্ষার রুটিনটা বের করে, তারপর ঝরঝর করে কেঁদে ফেলে।

সকালে সূর্যটা যখন রাতের আঁধার কাটিয়ে চারদিক আলোয় উজ্জ্বল করে দেয় ঠিক তখন খবর আসে প্রজাপতির শ্বাসকষ্টটা কমেছে, অক্সিজেন লেভেল এখন স্বাভাবিক। সব ঠিক থাকলে আজকে আবার কেবিনে শিফট করবে। খবরটা শোনামাত্র হাসান মিতুকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে। মিতু হু হু করে কাঁদতে কাঁদতে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে। রাত জাগা বাসি ফুলের মতো মুখটা হঠাৎ করেই যেন তাজা হয়ে যায়।

সন্ধ্যায় যখন প্রজাপতিকে কেবিনে দেয় ততক্ষণে মিতু যেন অপেক্ষার শেষ কিনারে পৌঁছে গিয়েছিল। প্রজাপতিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতেই ও ফিসফিস করে বলে, ‘মা, ভয় পেয়েছিলে? আমি কিন্তু ভয় পাইনি, আমি তো জানি আমার মা আমাকে কখনও হারিয়ে যেতে দেবে না।’

মিতুর বুকটা মুচড়ে ওঠে, মেয়ের মুখটা বুকে নিয়ে পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে বলে, ‘হ্যাঁ মা, আমি তোকে কোথাও হারিয়ে যেতে দেব না।’

হাসানও মনে মনে উচ্চারণ করে, প্রজাপতি, তোর ডানায় আমি কখনও আঁধার নামতে দেব না। হাসান ভেজা চোখে পাশে বসে, তারপর পকেট থেকে পরীক্ষার রুটিনটা বের করে প্রজাপতির হাতে দিতেই ও উজ্জ্বল চোখে বলে, ‘বাবা, আমি পরীক্ষা দিতে পারব!’

হাসান সস্নেহে মাথা নাড়ে, বলে, ‘হ্যাঁ মা, পারবি। আমি তোর হেডস্যারের সাথে কথা বলেছি। উনি অনুমতি দিয়েছে।’

প্রজাপতির রক্তশূন্য ফ্যাকাশে মুখটায় একটু হলেও উজ্জ্বল হয়, শিহরিত গলায় বলে, ‘বাবা, থ্যাঙ্কিউ। এই ক’টা দিন আমাকে একটু পড়া দেখিয়ে দিও।’

এরপর ধীরে ধীরে প্রজাপতি অনেকটা ভালো হয়ে উঠতে থাকে। হাসান প্রতিদিন অফিস থেকে এসে প্রজাপতির বইগুলো পড়ে পড়ে ওকে শোনায়। একটা খাতায় অংকগুলো করে করে দেখায়। প্রজাপতি মনোযোগ দিয়ে বাবার পড়াগুলো শুনতে থাকে। মাঝে মাঝেই ক্লান্ত হয়ে নিজের অজান্তেই মেয়েটা ঘুমিয়ে পড়ে, হাসান তখন মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে, ‘প্রজাপতি, তুই কবে উড়ে বেড়াবি?’

২.
আজ প্রজাপতির স্কুলের টেস্ট পরীক্ষা শুরু। হাসান সকালেই চলে এসেছে। স্কুলের স্যাররা সবাই পরীক্ষা নিয়ে অনেক ব্যস্ত। হাসান হেডস্যারের রুমে বসে আছে। স্কুলের পরীক্ষা শুরু হবার পর ওকে খাতা আর প্রশ্ন দেবার কথা। হাসান খোলা দরজা দিয়ে তাকিয়ে থাকে, স্কুলের মেয়েরা নীল সাদা ইউনিফরম পরে ক্লাশে ঢুকছে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাসান, প্রজাপতিরও আজ এখানে থাকার কথা ছিল!

ঢং ঢং করে ঘন্টা পড়তেই পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। চারদিকে এতক্ষণের কোলাহলটা হঠাৎ করেই থেমে যায়। বাচ্চারা নিশ্চয়ই প্রশ্ন পেয়ে দ্রুত দেখে নিচ্ছে কোনটা পারবে, আর কোনটা পারবে না।

পরীক্ষা শুরু হবার আধা ঘণ্টা পর হেডস্যার আসেনে। হাসান উশখুশ করে ওঠে। ওদিকে প্রজাপতি অধীর আগ্রহে বসে আছে, পরীক্ষা দেবে বলে। কিন্তু হেডস্যার আজিজুল হকের মধ্যে অবশ্য কোনো তাড়াহুড়ো দেখা যায় না। উনি ধীরেসুস্থে একটা খামে খাতা আর প্রশ্ন নিয়ে বলেন, ‘হাসান সাহেব, চলেন তাহলে।’

হাসান বুঝতে না পেরে বলে, ‘স্যার, কোথায় যাব?’

আজিজুল হক হেসে বলেন, ‘হাসপাতালে, প্রজাপতির কাছে। আমি স্কুলের অন্য শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছি, তারা সবাই একমত ওর পরীক্ষা আমরা নেব। চলেন, প্রথম পরীক্ষা আমিই নেব।’

হাসান একটা অবিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে থাকে, কৃতজ্ঞতায় চোখে জল চলে আসে।

এদিকে প্রজাপতি আজ সকালে উঠেই দারুণ উৎসাহ নিয়ে স্কুল ড্রেসটা পরেছে। মিতু সুন্দর করে চুলের দুই বেনী করে দিয়েছে। প্রজাপতি বহুদিন পর মনে হচ্ছে ও সত্যিই স্কুলে যাবে, একদম আগেরমতো। রুটিন অনুযায়ী আজ বাংলা পরীক্ষা। কিন্তু বাবা এখনও আসছে না কেন। পরীক্ষা তো সকাল নয়টা থেকে শুরু। প্রজাপতি চিন্তিত মুখে ঘড়ির দিকে তাকায়।

সকালেই ওর ডাক্তার তৌফিক এসেছিলেন ওকে দেখে গেছেন, পরীক্ষা দেবার কথা শুনে প্রথমে ভীষণ অবাক হয়েছিলেন, পরে অবশ্য বলেছেন, ‘বাহ, এটাই তো চাই। এমন প্রাণশক্তি থাকলে অসুখটা একদিন হেরে যাবে তোমার কাছে।’

অসুখটা তো হেরেই যাবে, প্রজাপতি ঠিক জানে। কিন্তু বাবা কই?

মিতু মেয়ের অস্থিরতাটা টের পায়। হাসানকে ফোন করতে যেতেই দেখে হাসান আসছে, সাথে স্কুলের হেডস্যার।

স্যারকে দেখে প্রজাপতি হা করে চেয়ে থাকে, কোনোমতে সালাম দিয়ে তাড়াহুড়ো করে উঠে দাঁড়াতে যায়, আজিজুল হক নরম গলায় বলে, ‘না না তুমি ওঠ না, বসেই থাকো। এই নাও তোমার খাতা, আর এই যে প্রশ্ন। এখন বাজে দশটা দশ, ঠিক তিন ঘন্টা পর পরীক্ষা শেষ হবে।’

প্রজাপতির বিশ্বাসই হচ্ছে না হেডস্যার নিজে এসেছেন ওর পরীক্ষা নিতে। কী যে ভালো লাগছে!
প্রজাপতি দ্রুত সব গুছিয়ে নেয়। হাসপাতালের বেডে একটা ছোট টুলের মতো টেবিল। হাসান ক’দিন আগেই এটা কিনে এনেছে, বিছানায় বসে এটাতে লিখতে সুবিধা হবে।

প্রজাপতি লম্বা একটা নিশ্বাস নিয়ে পরীক্ষা শুরু করে। আজিজুল হক একটা চেয়ার টেনে বসেন। মনটা খুব ভালো লাগছে। একটা ভালো কাজ করেছেন আজ, মেয়েটা কী ভীষণ খুশি হয়েছে পরীক্ষা দিতে পেরে।

হাসান আর মিতু কেবিন থেকে বাইরে বের হয়ে আসে। মিতু কৃতজ্ঞ চোখে তাকিয়ে বলে, ‘একটা ভালো কাজ করেছ, মেয়েটা আজ বহুদিন পর স্কুলের আনন্দটুকু ফিরে পেল।’

ওরা দু’জন হাত ধরে কেবিনের পাশেই বসে থাকে।

ঘন্টাখানেক পরে হঠাৎ করে কেবিনের দরজা খুলে যায়, আজিজুল হক উদ্বিঘ্ন গলায় বলে, ‘হাসান সাহেব, একটু আসবেন, প্রজাপতি যেন কেমন ঘুমিয়ে পড়ছে।’

হাসান দ্রুত কেবিনে ঢোকে সাথে মিতু। হাসান পাশে বসে প্রজাপতির মাথাটা কোলে নেয়, তারপর কপালে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে, ‘ও অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায়। একটু ঘুমাক, আপনার সময় অনুযায়ী যতটুকু সময় পায় ততটুকুই পরীক্ষা দেবে।’

আজিজুল হক মাথা নাড়েন। এর মাঝে ডাক্তার তৌফিক এসে দেখে যান, বলেন, ‘এমন তো হবেই, ও বেশিক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। ওকে জোর করবেন না।’

প্রজাপতি এক ঘন্টা পর ঘুম থেকে ওঠে, বিব্রত ভঙ্গিতে সবার দিকে তাকিয়ে হাসে। তারপর কলম নিয়ে আবার লিখতে বসে।

পরীক্ষার নির্ধারিত তিনঘণ্টা সময় শেষ হতেই প্রজাপতি লেখা বন্ধ করে। খাতাটা ভাঁজ করে স্যারের দিকে বাড়িয়ে দিতেই আজিজুল হক মাথা নেড়ে বলে, ‘তুমি লেখা শেষ করো, যেটুকু সময় তুমি ঘুমিয়ে ছিলে সেটুকু সময় তুমি পাবে।’

প্রজাপতি কৃতজ্ঞ চোখে স্যারের দিকে তাকায়, তারপর খাতাটা টেনে নিয়ে আবার লিখতে শুরু করে।

সেদিন পরীক্ষা শেষে আজিজুল হক একটা অদ্ভুত তৃপ্তি নিয়ে স্কুলের দিকে রওনা হন। একটা ভালো কাজ সত্যিই অনেক আত্মতৃপ্তি দেয়।

স্যার চলে যেতেই প্রজাপতি মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে বাবার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আমার পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে, আমি সব পেরেছি। শুধু মাঝখানে একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।’

শেষের কথাটা বলে একটা লাজুক হাসি দেয় প্রজাপতি। একটা অপার্থিব আলো খেলা করে প্রজাপতির সারামুখে।

সেদিন রাতে প্রজাপতি ঘুমিয়ে পড়লে হাসান মিতুর সাথে গল্প করতে করতে হঠাৎ করেই বলে, ‘আচ্ছা, তুমি কি নতুন চুড়ি কিনেছ?’

মিতু কেঁপে ওঠে, বলে, ‘না তো, এটা সেই আগের। একটু পরিস্কার করে এনেছি চুড়িটা।’

হাসান হাসে, ‘মিতু, তুমি হয়তো ভুলে গেছে তোমার হাতের সোনার চুড়িটা আমি অনেক ঘুরে ঘুরে পছন্দ করে কিনেছিলাম। এটা সেই চুড়ি না।’

মিতু মাথা নিচু করে চুপ করে থাকে। হাসান ওর হাতটা ধরে নরম গলায় বলে, ‘তুমি সেদিন হাসপাতালের বিলের টাকাটা যখন দিলে সেদিনই বুঝতে পেরেছি তুমি তোমার গহনা বিক্রি করেছ। মিতু, প্রজাপতি সুস্থ হোক, আমি আবার তোমার চুড়ি কিনে দেব।’

মিতু ঠোঁট কামড়ে ধরা গলায় বলে, ‘এমনিতেই তোমার উপর এত চাপ যাচ্ছে, আর টাকাও খরচ হচ্ছে জলের মতো। আমার খুব ভয় করে, প্রজাপতির চিকিৎসা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারব তো?’

হাসান মিতুর হাতটা ধরে থাকে, রাত বাড়ে, সেইসাথে একটা দুশ্চিন্তার আঁধার ঘিরে ধরে, অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য যে কতটা দরকার তা যেন আজ নির্মম সত্য হয়ে ধরা দিচ্ছে।

(চলবে)

মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here