আষাঢ়ে_শ্রাবণের_বর্ষণ #মাইশাতুল_মিহির [পর্ব-০৬]

0
2022

#আষাঢ়ে_শ্রাবণের_বর্ষণ
#মাইশাতুল_মিহির

[পর্ব-০৬]

চট্টগ্রাম পাহাড়, পর্বত ও সমুদ্রঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি জেলা। তাই চট্টগ্রাম জেলা কে প্রাচ্যের রানী হিসেবে ডাকা হয়। আগ্রাবাদ, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার ডবলমুরিং থানার অন্তর্গত প্রধান বানিজ্যক এলাকা যা শহরের দক্ষিন দিকে অবস্থিত।

দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে আবরারের গাড়ি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ঢুকলো। আবরার বাহিরে তাকিয়ে আগ্রাবাদের দৃশ্য দেখছে। সেই আট বছর আগে এই শহর ছেড়ে ছিলো সে। তারপর তিন মাস আগে এসেছিলো নিশিতার জুরাজুরিতে। কিন্তু সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য রাগে দ্বিতীয় বার বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলো। মনে মনে ভেবেছিলো শান্তিনিবাসে আর আসবে না! কিন্তু তা আর হলো না। নিজের শহর, নিজের পরিবারের টানে এই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হয়েছে। ভেবেই দীর্ঘশ্বাস ফেললো আবরার। আচ্ছা শান্তিনিবাস গেলে তো সেই মেয়ে টার সাথে দেখা হবে। মেয়েটি কি তার বউ হওয়ার অধিকার ফলাবে? মেয়েটি দেখতে কেমন? তখন তো রাগের মাথায় মেয়েটির দিকে ভালো করে তাকায় নি আবরার। মেয়েটি যেমন খুশী তেমন হোক, আবরারের মতো এতো বড় নামকরা গায়ক নব্বই দশকের মতো বাধ্য ছেলে নয় যে তাকে জোড় করে বিয়ে দিবে আর সে চুপচাপ মেনে নিবে।

‘স্যার, আমরা এসে গেছি!’

অভ্রর ডাকে হুঁশ আসে আবরারের। ভালো করে খেয়াল করে দেখলো ‘শান্তিনিবাস’ বাড়ির গেইটের সামনে আছে তারা। দারোয়ান গেইট খুলে দিতেই বাড়ির ভিতরে বিশাল বাগান পেরিয়ে গাড়ি থামলো। আবরার গাড়ি থেকে নেমে একবার বাড়ির দিকে চোখ বুলালো। তিন তলার এই বাড়িটি যেনো রাজকীয় আমেজে ভরপুর। বাড়ির বাগানের মালি জসিম মিয়া আবরার কে দেখে খুশিতে আত্মহারা। দৌড়ে বাড়ির মানুষ দের ডাকতে গেলে আবরার বারন করলো। ইশারায় দরজা খুলতে বললো তাকে। জসিম মিয়া কথামতো তাই করলো। আবরার এগিয়ে গেলো সদর দরজার দিকে। অভ্র আবরারের পিছু পিছু চারপাশ দেখতে দেখতে হাঁটতে লাগলো।

সদর দরজার কাছে এসে ধীর পায়ে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করলো আবরার। এখানেই তার শৈশবকাল কেটেছে। এই বাড়ির সাথে জুড়ে আছে তার হাজার হাজার স্মৃতি। আজ সেই বাড়ির সংস্পর্শে আসায় বুকের ভারি পাথর সরে গেলো। ড্রয়িংরুমের দিকে এগিয়ে গেলে সবাইকে দেখতে পেলো। চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো সদর দরজার কাছে।

সকলের আড্ডার মাঝে নুরার চোখ হঠাৎ সদর দরজার দিকে গেলো। কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিটি কে দেখে সে প্রকাণ্ড রকমের বিস্মিত হলো। অতিরিক্ত খুশিতে চেঁচিয়ে উঠলো, ‘আরব ভাইইই…!’

ডাক দিয়েই দৌড়ে সদর দরজার দিকে গেলো। কাছে এসেই আবরারকে খুশিতে ঝাপটে ধরলো। নুরার এমন কান্ডে সবাই সদর দরজার দিকে তাকাতেই অবাকের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেলো। স্বব্ধ হয়ে গেলো সবাই। আরিয়ানের মুখ হা হয়ে গেলো। বিস্মিত চোখেমুখে তাকিয়ে থেকে বললো, ‘ভাইইইই! তুমি এখানে?’

আবরার নুরাকে ছাড়িয়ে হেসে উত্তর দিলো, ‘কেন? বাড়িটা কি তোর একার? আমি আসতে পারি না?’

খুশি হলো আরিয়ান। দ্রুত পায়ে এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরলো ভাইকে। রাইমার চোখমুখ খুশিতে চকচকিয়ে উঠেছে। আবরারের মা নিশিতা ছেলে কে পেয়ে কেঁদে ফেললো একদম। পরিবারের সকলের অবস্থা খুশিতে কান্না প্রায়।

রিমি আর দীবা রুমে বসে ছিলো। নুরার চেঁচানোর শব্দ শুনে অবাক হলো দুজন। কাহিনী কি জানার জন্য তড়িঘড়ি করে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো দুজন। সিঁড়ির কাছ পর্যন্ত আসতেই থমকে গেলো তারা। রিমি তার ভাইকে দেখে চেঁচিয়ে উঠলো ‘ভাইয়া?’ বলেই তাড়াতাড়ি সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নিচে নেমে এসে আবরারকে জড়িয়ে ধরলো। খুশিতে আত্মহারা প্রায়।

দীবা আবরারকে দেখে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো কিছুক্ষণ। অসাড় হলো তার শরির। লোকটাকে সে মোবাইলে দেখেছে বহুবার। কিন্তু সামনা সামনি এই নিয়ে মাত্র কয়েকবার দেখা। বিয়ের পর আবরারের ভয়ংকর রা দেখে আবরারের প্রতি ভয় এসে হানা দিয়েছিল দীবার মনে। সেই ভয় আজ আবারো জেগে উঠলো। এই লোকটা তার স্বামী? বৈধ ভাবে বিয়ে হয়েছে তাদের। অস্বস্তি, ভয়, জড়তা কাজ করলো মনে। দীবা চুপচাপ শুকনো ঢুক গিললো। নিঃশব্দে দৌড়ে নিজের রুমে চলে আসলো। দরজা লাগিয়ে দিয়ে বিছানায় বসলো। ভয়ে তার মাথা রীতিমতো ঘুরপাক খাচ্ছে। লোকোটা ফিরে এলো কেন? এখন কি তার উপর স্বামীর অধিকার খাটাবে? জোড় করবে তার উপর? ভয়ে হাত পা কাঁপাকাঁপি শুরু করে দিয়েছে। কপালে জমে এসেছে বিন্দু বিন্দু ঘাম। বারবার শুকনো ঢুক গিলছে। আজ কিছুতেই সে দরজা খুলবে না। কিছুতেই না!
______________

এতোদিন পর বাড়ির বড় ছেলে ফিরে আসায় আদর যত্নে ব্যস্ত হয়ে পরলো নিশিতা আর আয়েশা। রান্নাঘরে বিশাল আয়োজন করতে ব্যস্থ দুজন। বিকেলে দীবার মা রোহানা ঘুমিয়ে ছিলো বিধায় আবরারের সাথে দেখা হয়নি তার। সন্ধ্যা রাতে নিচের নামার পর নিশিতা আবরারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো তাকে। আবরার বেশ সৌজন্যমূলক ভাবে পরিচিত হয়েছে রোহানার সাথে। রোহানার কথাবার্তা, আদর সব মিলিয়ে আবরারের পছন্দ হয়েছে বেশ। খুশী হয়েছে আবরার রোহানার সাথে কথা বলে।

রান্না বান্না শেষ! এবার রাতে খাবার সাজানোর আমেজ শুরু হলো। নিশিতা, আয়েশা আর রোহানা মিলে খাবার টেবিলে গুছিয়ে দিলো। টেবিলে সবাই বসলো খাবার খেতে। নিশিতা, আয়েশা ও রোহানা মিলে খাবার সার্ভ করে দিলে সবাই খাওয়া শুরু করে দিলো। আয়েশা আবরার কে নিজের ছেলের মতো আদর করে খাওয়াচ্ছে। নিশিতা আর আয়েশা দুই পাশে দাঁড়িয়ে এটা ওটা আবরারের মুখে পুরে দিচ্ছে। পাশে বসে থাকা আরিয়ান এইসব দেখে গালে হাত রেখে আফসোস করে বলে উঠলো, ‘বাহ্ বাহ্, এতো দিন বাড়িতে থেকেও এমন আদর যত্ন পেলাম না।’

সাবিতও আরিয়ানের সাথে তাল মিলিয়ে আফসোস করে বললো, ‘কি লাভ হলো এতো দিন বাড়িতে থেকে???’

আবরার ভ্রুঁ কুঁচকে তাকালো। উত্তর দিল, ‘এতো দিন বাড়িতে ছিলাম না তাই সব আদর জমেছে। এখন বাড়িতে এসেছি আর সব আদর একসাথে পাচ্ছি!’

আরিয়ান চেয়ারে হেলান দিয়ে আবারো বলে উঠলো, ‘এমন আদর যত্ন পেতে হলেও কয়দিন পর পর বাড়ি থেকে উধাও হতে হবে।’ হাসলো সবাই।

রাইমা ত্যাছড়া ভাবে বলে উঠলো,, ‘দেখা যাবে উধাও হয়ে ফিরে আসলে জুতা পিটার যত্ন কপালে জুটবে।’

রাইমার কথায় উচ্চস্বরে হেসে ফেললো রিমি, নুরা। ওরা মাত্রই এসেছিলো। দুজন চেয়ার টেনে বসে পরলো টেবিলে। রিমি আরিয়ান আর সাবিতের উদ্দেশ্যে বললো, ‘এতো হিংসুটে কেনো তোমরা?’

সাবিত অবাক হওয়ার ভান ধরে বললো, ‘কে হিংসা করছে? এতো বড় অন্যায় হচ্ছে তোরা দেখিস না? আমাদের দুজনের সাথে এই অন্যায় মানা যায়? রাজপথে নামতে হবে দেখছি।’

আরিয়ানও সম্মতি দিয়ে বলে উঠলো, ‘অবশ্যই নামতে হবে। আপনারা তিন জন মিলে আমাদের দুজনের সাথে চরম লেভেলের অন্যায় করছেন। ইহা গ্রহণযোগ্য নহে।’

নিশিতা চোখ রাঙ্গিয়ে বলল, ‘চুপ করবি তোরা? এমন করে বলছিস যেনো তোদের আমরা চোখেই দেখি না।’

নুরা হেসে বলে উঠলো, ‘বড় মা দেখবে কিভাবে? একটা মশার শরীর খালি চোখে দেখা যায় না। আরেকটা..’

নুরার কথার মাঝেই সাবিত নুরার চুল টেনে বললো, ‘তোরা নিজেরা কিরে? শরির দেখেছিস ভালো করে? আস্তো শুটকি। তোদের বয়সের মেয়েরা বাচ্চাকাচ্চার মা হয়ে মুটকুস হয়ে আছে। লজ্জা নেই এইসব বলতে?’

নুরা নিজের চুল ছাড়িয়ে চোখ পাকিয়ে তাকালো সাবিতের দিকে। নিশিতা অভ্রকে উদ্দেশ্য করে বলল, ‘বাবা তুমি বসে আছো কেন? খাবার পছন্দ হয়নি? খাচ্ছো না যে?’

অভ্র এতোক্ষণ তাদের ভাই বোনের ঝগড়া দেখছিলো আর হাসছিলো। এখন নিশিতার কথা কর্ণপাত হতেই মুচকি হেসে উত্তর দিল, ‘না আন্টি। খাবার পছন্দ হয়েছে।’

রোহানা অভ্রের প্লেটে খাবার তুলে দিয়ে বললো, ‘বাড়িটা নিজের মনে করে থাকো। কোনো সমস্যা হয়ে জানাবে কেমন?’

অভ্র মুচকি হেসে সম্মতি জানালো। তখন আয়েশা রিমি আর নুরাকে জিজ্ঞেস করলো ‘তোরা একা যে, দীবা কোথায়?’

নুরা প্লেট হাতে নিয়ে উত্তর দিল, ‘আছে রুমেই। কয়েকবার ডেকেছি। বললো মাইগ্রেনের ব্যাথা নাকি উঠেছে তাই নিচে আসবে না।’

রিমিও সেম কথা বলে বললো, ‘খাবার দিয়ে দিও ছোট মা। আমি রুমে নিয়ে যাবো।’

তখন আরিয়ান সিরিয়াস হয়ে বলল, ‘আম্মু, দীবার মাইগ্রেনের প্রবলেম একটু বেশি মনে হচ্ছে। আমার মনে হয় আরেক বার ট্রিটমেন্ট করানো দরকার।’

তখন পাশ থেকে রোহানা মেয়ের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে রাগি কন্ঠে বলে উঠলো, ‘হ্যাঁ মেয়ে যা ইচ্ছা তাই করবে আর ব্যাথা উঠলে ডক্টর দেখাবে। বিকেলে এতো করে বারণ করা পরেও গোসল করছে তাও এক ঘন্টা লাগিয়ে। আমার কথা শুনে? একটু পর দেখা যাবে আম্মু আম্মু বলে কেঁদে কেটে ভাসিয়ে দিচ্ছে।’

আবরার মনে মনে কয়েক বার ‘দীবা’ নামটা আওড়ালো। অতঃপর সেই দিকে পাত্তা না দিয়ে খাবার খাওয়ায় মনোযোগ দিলো। রাতের খাবার খাওয়ার পর আবরার কে তার আগের রুমে থাকতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো। অভ্র রিমির রুমের পাশে মানে একদম শেষের রুমে থাকবে।

আবরার নিজের রুমে এসে প্রাণভরে নিশ্বাস নিলো একটা। ঘুরে ঘুরে পুরো রুমটা দেখল সে। কিছু কিছু জিনিস বদলে গেছে। তার ব্যবহৃত পুরনো কিছু জিনিস নেই। যার বদলে নতুন জিনিসের স্থান এখানে। পা বাড়িয়ে বারান্দায় গেলো আবরার। বারান্দায় কয়েকটা টবে ফুল গাছ রয়েছে। এই রুমটা অন্য কেউ ব্যবহার করেছে অনায়াসেই বুঝে গেলো। বারান্দায় কিছু সময় অতিবাহিত করে রুমে আসলো। লাগেজ থেকে কাপড় বের করে ওয়াশরুমে গেলো ফ্রেশ হতে।

অভ্র তার থাকার রুমে এসেই ধপাস করে বিছানায় শুয়ে পরলো। এতো বড় জার্নি শেষে এখন এতো এতো খাবার খেয়ে তার নিজেকে হাতি হাতি লাগছে তার। জামাই আদর করে খাইয়েছে মনে হচ্ছে। অভ্র ভাবছে এতো প্রানউজ্জ্বল পরিবার থাকতে আবরার কেন দূরে থাকে? আরিয়ান, সাবিতের সাথে অভ্রের ভালো ভাব হয়েছে। সবাই তো খুব ভালো তাহলে কেন হুদাই দূরে থেকে একাকিত্বের ভোগ করছে এবি? উত্তর মেলে নি তার। তাই মাথা থেকে এসব ঝেড়ে আপাতত ঘুমানোর প্রয়োজন মনে করছে সে। চোখ বন্ধ করে লম্বা দম নিয়ে ঘুনানোর প্রয়াস করলো অভ্র।

পুরো রুম জুড়ে পায়চারি করছে দীবা। এক হাত কোমড়ে রেখে আরেক হাতের নখ কামড়াচ্ছে। সবাই কি শুয়ে পরেছে? দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকালে দেখতে পেলো রাত বারোটা চল্লিশ। খাবার তো সন্ধ্যায় খেয়েছে সবাই। জার্নি করে এসে এতোক্ষণে নিশ্চয় শুয়ে পরেছে। জুড়ে জুড়ে নিশ্বাস ফেলে নিজেকে সামলে নিলো। শুকনো ঢুক গিললো একটা। দরজা খুলে অল্প ফাঁক করে বাহিরে উঁকি দিলো। বাড়িটা অন্ধকারাচ্ছন্ন। মৃদু আলোতে আনাচে-কানাচে ঝাপসা আলোকিত। কেউ নেই। ঘুমিয়ে পরেছে নিশ্চয়। নিশ্চিন্তে বাহিরে আসলো দীবা। আশেপাশে সতর্ক দৃষ্টি ফেললো। লোকটার সামনে না পরলেই হয়। যেই ভাবা সেই কাজ। চুপিচুপি পায়ের কদম ফেলে রিমির রুমের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো।

যতোই জার্নি করুক না কেন এতো তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যেস নেই আবরারের। ল্যাপটপ নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিলো। পানির পিপাসা পাওয়ায় খেয়াল করলো রুমের কোথাও জগ বা গ্লাস নেই। ইচ্ছে না থাকা পরেও রুম থেকে বেরুলো পানি আনার জন্য। বাহিরে এসে সিঁড়ির দিকে যাবে তখুনি দাঁড়িয়ে পরলো সে। মৃদু আলোতে একটা মেয়েকে স্পষ্ট দেখতে পেলো আবরার। এটা কে? রিমি নাকি নুরা? কিন্তু রিমি নুরার সাথে মিল পেলো না। তাহলে? ওই মেয়েটি? প্রশ্ন আসতেই ভ্রুঁ কুঁচকালো আবরার। এতো রাতে বাহিরে চুরের মতো কি করছে। দেখার জন্য নিজে একটু আড়াল হয়ে দাঁড়াল। দীবা আশেপাশে প্রখর করে রিমির রুমের কাছে গিয়ে দরজা ধাক্কালো। বেশ কয়েকবার নক করার পর রিমি দরজা খুললো। রুমের ভিতরে লাইট অন থাকায় রিমিকে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছে আবরার। তবে দীবার পিছনের দিকটা ছাড়া মুখ দেখেনি। সাদা টিশার্ট পরা একটা বাচ্চা মেয়ে। খুবই চিকন। স্বাস্থ্য নেই বললেই চলে। হাইট বোধহয় পাঁচ ফুট তিন চার। নুরার থেকে অনেকটা কম। আবরার দাঁড়িয়ে দেখলো দীবাকে। রিমি দরজা খুলার পরেই চটজলদি দীবা রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো। আড়াল থেকে বেড়িয়ে আসলো আবরার। নিজের বাড়িতে এভাবে চুরের মতো হাঁটার মানে আছে? বিরক্তিকর!

চলমান..

নোট : ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। কার্টেসি ছাড়া কপি নিষিদ্ধ। হ্যাপি রিডিং।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here