রংধনুতে_প্রেমের_বাড়ি #পর্ব_১৬

0
223

#রংধনুতে_প্রেমের_বাড়ি
#পর্ব_১৬
#ফারজানা_মুমু

চয়নের বাসায় বসে আছে চারজন। চৈতি মাথা নিচু করে টপটপ চোখের পানি ফেলছে। ঝুমুর স্বাভাবিক ভাবেই সোফার এক কোনায় বসে। অক্ষর ও চয়ন দুজন মুখো-মুখি গম্ভীর হয়ে বসেছে। পিনপিন নীরবতাকে পরিত্যাগ করল চয়ন। কণ্ঠে ফুটলো রাগের আভাস।
-” আমাকে না জানিয়ে এত বড় সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হলো ঝুমুর? তোমার কাছ থেকে এধরনের কাজ আমি আশা করিনি ।
-” আমিও তো তোমার কাছ থেকে অনেক কিছুই আশা করিনি চয়ন।

নির্লিপ্ত উত্তর ঝুমুরের। ঝুমুরের বাঁকা কথায় ঘাড়ের র’গ ফুলে উঠল। হাত মুষ্ঠি অবস্থায় চৈতিকে বলল, আমি খুব খারাপ তাই না চৈতি? বিয়ে নামক বড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললি কিন্তু আমায় জানানোর প্রয়োজন মনে করলি না। আচ্ছা আমাকে বড় ভাই হিসেবে ভাবিস তো?

ছলছল চোখ জোড়া অসহায় দৃষ্টিতে তাকাল। চয়ন শান্ত হাসি দিয়ে আবারও বলল, আমি ম’রে গেলেই তোদের আপদ বিদায় হয় তাই না? আচ্ছা তাহলে দু’আ করিস খুব তাড়াতাড়ি তোদের যেন মুক্তি দিতে পারি।

ঝুমুর নড়ে উঠল। বুকে ধুকপুক শব্দের ধ্বনি বাজতে শুরু করল। চৈতি জোরে কেঁদে দিল বলল, এভাবে বলো না ভাইয়া। তোমরা ছাড়া আমার কেউ আছে কী?
-” বিয়ে করার সময় ভাইয়ের কথা মনে ছিল না? লুকিয়ে বিয়ে করতে পারলি তুই? আমার বোন হয়ে পালিয়ে বিয়ে করলি! লজ্জায় আমার মা’থা কাঁ’টা যাচ্ছে এখন।

চয়নের কথা শুনে ঘর কাঁপানো হাসি দিল অক্ষর। দু’হাত মাথার নিচে রেখে আধ-শোয়া হয়ে সোফায় বসল। ঠোঁটের কোনায় হাসি রেখেই জবাব দিল, আজ থেকে পাঁচ বছর আগের ঘটনা মনে পড়ছে চয়ন? তুমিও ঠিক এভাবেই আমার বোনকে নিয়ে পালিয়ে গেছিলে। সেদিন কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার অফার তুমিই দিয়েছিলে আর আজ সেই একই অফার তোমার বোন দিয়েছে। আমি কিন্তু তোমার মত কা’পুরুষ নই। তোমার বোনকে বলো আমি তাকে বলেছি কী আমায় বিয়ে করতে, বলো?
-” তারমানে আপনি প্রতি’শো’ধ নেওয়ার জন্য আমার বোনকে ব্যাবহার করেছেন?

চয়নের যুক্তিহীন কথা শোনে ভ্রু-কুচঁকাল অক্ষর। চৈতির দিকে এক পলক তাকিয়ে বলল, মোটেও নয়। আমি তোমার বোনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আমার স্বার্থ শুধুই ভালবাসা।

তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে বলল চয়ন, কিন্তু আমি আমার বোনকে খু’নী’র সাথে থাকতে দিবো না।

ফোঁ’স করে রে’গে উঠল অক্ষর। তী’রের ফ’লার মত চোখ জোড়া দিয়ে চয়নের দিকে তাকিয়ে বলল, তুমি নিজেকে সাধু পুরুষ ভাবো চয়ন? প্রমোশনের জন্য আমার বোনকে মিথ্যা ভালোবেসে বিয়ে করে এখন ধোঁয়া তুলসী পাতা সাজা হচ্ছে? তাছাড়া আমি মানুষ নয় অ’মানুষ হ’ত্যা করেছি। যতগুলো খু’ন আমি করেছি তারা একজনও মানুষের কাতারে পরে না।

ঝুমুর অবাক হলো। চয়ন তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেনি ভাবতেই শুরু হলো রাতের অমাবস্যা। কাঁপা-কাঁপা কণ্ঠে বলল, আমায় তুমি ভালোবাসোনি?

অপরাধীর মতো তাকিয়ে রইল চয়ন। নিরবতা ভেঙে বলল, আমি তোমায় ভালোবেসেই বিয়ে করেছি ঝুমুর কিন্তু সত্যি বলতে তোমাকে ভালোবাসার পিছনে প্রথম ছিল আমার স্বার্থ। কিন্তু বিশ্বাস করো স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কীভাবে যেন তোমায় খুব ভালোবেসে ফেলেছিলাম। আমার ভালোবাসায় বেই’মা’নি নেই ঝুমুর।

চয়নের কথা শুনে মুখ ফিরিয়ে নেয় ঝুমুর। রা’গে-কষ্টে বুক ফে’টে যাচ্ছে তার। অক্ষর তখন ঝুমুরের উদ্দেশ্য বলল, প্রথম স্বার্থ থাকলেও পরিবর্তে চয়ন তোকে সত্যিই ভালোবেসেছে ঝুমুর। অতীতকে ভুলে বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা কর। চয়নের বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নেই। কারণ আমি জানি চয়ন তোকে সুখী রাখবে। আমার উপর আস্থা আছে তো?

ঝুমুর কথা বলল না নিরবে সম্মতি দিল কিন্তু এখনও সে ভুলতে পারছে না প্রিয় মানুষটার বিশ্বাসঘা’ত’ক’তা।

চুপচাপ সব শুনছিল চৈতি। অক্ষরের খু’ন নিয়ে সে ভীষন দূর্বল। অক্ষর খু’ন করেছে কথাটা সে মানতে পারছে না। গলা পাকিয়ে এক দল কান্নারা হাজির হলো। ক্রন্দন মিশ্রিত কণ্ঠে বলল, আপনি খু’ন করেছেন?

ছোট্ট একটা দম ছাড়ল অক্ষর। চয়নকে দেখে বলে উঠল, ভেবেছিলাম সবকিছু ঝুমুর-চৈতির অজানা রাখব কিন্তু তুমি রাখতে দিলে না। নিজেও অপরাধী হলে সাথে আমাকেও অপরাধী বানালে। অপরাধীর খাতায় যেহেতু নাম এসেই পড়েছে তাহলে আজ আর লুকোচুরি নয়। সত্যিটা বলতে হবে। কেন তোমার-আমার দুজনের মাঝে দ’ন্ধ। কেন কেউ কাউকে সহ্য করতে পারি না। আজ না হয় খোলাসা হয়ে যাক সবার মাঝে।

চয়ন কথা বলল না। সে ঝুমুরের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আজ সে দেখতে পারছে প্রেয়সীর চোখে তী’ব্র ঘৃ’না। প্রিয় মানুষের ঘৃ’না সহ্য করার মতো দ্বিতীয় কষ্ট হয়তো দ্বিতীয়টা নেই।

অতীত……….

চয়ন সবে জয়েন করেছে। অক্ষরের আন্ডারে কাজ করার নির্দেশ তার। চয়নের সবকিছু ভালো থাকলেও সে ছিল কাজের প্রতি অনীহা। সে চাইত বসেবসে প্রমোশন। কাজের প্রতি অনীহা লোকদের বরাবর অপছন্দ ছিল অক্ষরের। কয়েকবার চয়ককে এ নিয়ে হুম’কি-ধাম’কি দিয়েছিল কিন্তু কাজ হয়নি। অক্ষর সিদ্ধান্ত নেয় চয়নকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করবে। যেই ভাবা সেই কাজ কিন্তু হঠাৎ সে খবরদারি করে জানতে পারে গ্রামে চয়নের মা ও বোন থাকে। তাদের দেখাশোনার একমাত্র মানুষ চয়ন। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। ভালোভাবে চয়নকে বুঝাবে কাজের প্রতি মন বসানোর জন্য যদি রাজি না হয় তাহলে ভিন্নভাবে বুঝাবে। একজন পুলিশ অফিসারের গা সারা ভাব থাকা একদম উচিৎ নয়। পুলিশের পেশায় হলো মানবসেবা। বসে থাকা নয়।

চয়ন ভালো কথার মানুষ নয় তাইতো অক্ষর নিজেকে খারাপ বানাতে বাধ্য হলো। চাপের উপরে রাখল চয়নকে। যার ফলে চয়ন সহ্য করতে পারতো না অক্ষরকে। নিজের স্বার্থ কিংবা অক্ষরকে জ্বালানোর জন্য পিছু নিলো অক্ষরের একমাত্র বোন ঝুমুরের। প্রতিদিন ঝুমুরের পিছু নেওয়া, এটা সেটা গিফট দেওয়া, নানান ভাবে আসক্ত করল তার মাঝে। সদ্য কলেজে পা দেওয়া ঝুমুরের মন প্রেমের ছন্দ নিয়ে আসলো চয়ন। কয়েক মাসের ব্যবধানে তাদের প্রেম হয়ে গেল। চয়ন তখন অবশ্য কাজের প্রতি বেশি একটা অনীহা দেখাতো না তবে মনোযোগ সহকারে করতো না। ব’দ’মে’জা’জি অক্ষর চয়নকে পথে আনার চেষ্টা বরাবর বৃথা হলো। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখল তারই ছোট বোনের সাথে প্রণয় ঘটিয়ে ফেলেছে চয়ন। মাথায় উঠল র’ক্ত। চয়নের পরিবারের কথা না ভেবেই সিন্ধান্ত নিলো জব থেকে বরখাস্ত করবে চয়নকে। চয়ন তা জেনে ফেলে তাইতো ফু’সলিয়ে-ফা’সলিয়ে ঝুমুরকে নিয়ে পালিয়ে যায় রাতের অন্ধকারে। বিয়ে করে লুকিয়ে। অক্ষর যখন জানতে পারে তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। ঝুমুরকে সুন্দর জীবন উপহার দেওয়ার জন্য আবারও পরিবর্তন করে সিদ্ধান্ত কিন্তু নিজেকে তৈরি করে কঠোর,ব’দ’রা’গী ।

বিয়ের খবর মা’কে জানায় চয়ন। তবে কথার মাঝে বলে ফেলে আসল উদ্দেশ্য। সৎ নিষ্ঠাবান চৈতির মা সহ্য করতে পারেন না ছেলের অধঃপতন। চৈতির জন্মের পর স্বামীকে হারিয়েও নিজের সম্মান একবিন্দু কোয়া যাক সে ব্যাপারে বেশ সচেতন ছিলেন। নিজের হাতে ধরেছিলেন পুরো সংসার। ছেলেকে মেয়েকে ভালো শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য কম কষ্ট করেননি। তার সেই কষ্টের প্রতিদানে তারই একমাত্র ছেলে অ’ন্যা’য়ে’র পক্ষে কথা বলে। শুরু হয় ছেলের প্রতি অভিমান। মেনে নেননি ঝুমুরকে এমনকি ছেলের দেওয়া প্রতি মাসে টাকা আর গ্রহণ করেননি।

এমনভাবেই চলছিল সময়। অক্ষরের একটি কাজ চৈতির গ্রামে পরে। তাই সে সেখানে যায়। কাজের মাঝে হঠাৎ মনে পড়ে চয়নের মা-বোনের কথা। ঝুমুরের বিয়ের পর থেকে সে ওদের সাথে কথা বলা বন্ধ করে তবে জেনেছিল ওদের বিয়ে মানেননি চয়নের মা। খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারে মা মেয়ের অবস্থা খুবই করুণ। সময় নিয়ে চলে যান চৈতির মায়ের কাছে বুঝিয়ে বলেন সব। মেনে নিতে বলেন ঝুমুর-চয়নকে। চৈতির মা কুটুম অ্যাপায়নে ক্রুটি না রাখলেও অক্ষরের কথা মেনে নেননি। অক্ষর তখন বাধ্য হয়ে বলেছিল সে তাদের দায়িত্ত্ব নিবে কিন্তু চৈতির মা সেটাও নিতে নারাজ। অক্ষর অনেক বুদ্ধি খাটিয়ে প্রস্তাব রাখে চৈতির মায়ের হাতে বানানো রংতুলির শাড়ি-কাপড় শহরের নাম করা বিজনেসম্যান জয় বিজয়ের শপে দেওয়া হবে। তবে একটা গ্রুপ বানাতে হবে। সেদিন চৈতির মা গ্রামের অন্যান্য মহিলাদের নিয়ে একটা দল তৈরি করে। অভাব অনটনের সংসারে সুখ হিসেবে অক্ষর অনেক বড় দায়িত্ত্ব পালন করে। চৈতির মায়ের চোখে বিশ্বাসযোগ্য পুরুষ হিসেবে অক্ষর সেরার সেরা।

দিন যায় মাস যায় অক্ষর চৈতিকে কয়েকবার দেখলেও চৈতির নজরে অক্ষর পরে না। একদিন বর্ষণের রাতে চৈতির ভয়ার্ত মুখশ্রী প্রথম হৃদয়ে প্রেমের ফুল ফুটায়। সেদিন অক্ষর বুঝতে পারে পুরুষ ছাড়া নারীর জীবন যেমন অমূল্য তেমন একজন নারী ছাড়া পুরষের জীবন অমূল্য। তার থেকে বয়সে অনেক ছোট একটি মেয়ের প্রতি দুর্বলতা প্রথমে উপেক্ষা করলেও মন থেকে মুছতে পারে না।

বর্ষণের সেই রাতে চৈতির মা অক্ষরকে ডেকেছিল ব্যাক্তিগত এক কাজে। চৈতিকে নিয়ে ওনি ভীষন চিন্তিত। গ্রামের চেয়ারম্যানের ছেলের নজর পড়েছে চৈতির উপর। মা মেয়ে একা থাকে। রোজ রাতে ঘরের চালে ঢিল ছুড়া, রাস্তায় উ’ত্য’ক্ত করা এমনকি বাড়ি বয়ে হু’মকি দেওয়া। চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ দেওয়ার পর চেয়ারম্যান বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় কিন্তু ছোট বয়সে মেয়ের বিয়ে দিবেন না চৈতির মা। তাছাড়া চেয়ারম্যানের ছেলের স্বভাব-চরিত্র ভালো নয়। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ফলে চেয়ারম্যান সহ তার ছেলে ক্ষেপে উঠে। শুরু হয় ঝামেলা। গ্রামের সবাই চেয়ারম্যানের উপর কথা বলতে পারছে না। তাই বাধ্য হয়েই অক্ষরকে জরুরি তলবে ডাকা হয়। সেদিন অক্ষর বলেছিল, চয়নকে ডাকলেন না কেন আন্টি? সে কিন্তু আজ প্রতিষ্ঠিত।

দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সেদিন চয়নের মা বলেন, আমি অভিমান করে কথা বলি না তাই বলে আমার ছেলেও আমাকে ফোন দেয় না বাবা। একবার যদি ও আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে, মা আমার ভুল হয়েছে ক্ষমা করে দাও। জীবনেও আর পাপ কাজ করব না। সেদিন আমি তাকে বুকে জড়িয়ে রাখতাম বাবা।

আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলার পর চোখ মুছলেন ওনি। সেদিন রাত থাকতে থাকতেই বেরিয়ে পড়ে অক্ষর। মাঝ রাস্তায় এসে দেখে চেয়ারম্যানের ছেলে ম’দ খেয়ে রাস্তায় পরে আছে। মাথায় কিলবিল করে র’ক্ত। হৃদয়ের রাণীকে বি’রক্ত করা লোকটাকে দেখেই এক মুহুর্ত সময় নষ্ট না করেই গাছের মোটা ডাল দিয়ে বে’ধা’রা’ম মা’র’তে থাকে। রা’গের বসে মনে থাকে না দিন-দুনিয়া। মা’রতে মার’তে ক্লান্ত হয়ে যখন তাকায় দেখে ছেলেটি অনেক আগেই পৃথিবীর মা’য়া ছেড়ে চলে গেছে। বৃষ্টিতে পানিতে হাতে, গায়ে থাকা র’ক্তরা মুছে যায়। হাতের ডা’লটা পুকুরের ফেলে ভিজা শরীরে নিজ গন্তব্যে পাড়ি জমায়।

এইটুকু বলে থামলো অক্ষর। সামনে বসা তিনজন মানব-মানবী উৎসুখ মুখখানি নিয়ে তাকিয়ে আছে। চয়নের চোখে রাগের আভাস। হুং’কার ছেড়ে বলে, জা’নো’য়া’রে’র বাচ্চাকে আরো শা’স্তি দেওয়ার দরকার ছিল স্যার। আপনি আমায় আগে কেন জানাননি?
-” জানানোর সুযোগ ছিল না।

কথাটা বলে আবারও বলতে শুরু করল অক্ষর……..

সেদিনের পর অক্ষর প্রায় যেত চয়নের গ্রামে। চৈতিকে দেখা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। প্রায় বছর খানেক হলো চেয়ারম্যানের ছেলে খু’ন হয়েছে। চেয়ারম্যান এক বছর ধরে খু’নিকে খোঁজার চেষ্টা ছিল কিন্তু সে যখন খোঁজ-খবর পায়নি তখন রা’গ জমে চৈতি ও তার মায়ের প্রতি। লোক দিয়ে খু’ন করার চেষ্টা চালায়। অক্ষরের লোক ছিল গ্রামে তাদের মাধ্যমেই খবর পেয়ে অক্ষর আসে। তারপর চেয়ারম্যান বাড়িতে যায়। শহরের বড় পুলিশ বাবু তার অ্যাপায়ণে ক্রুটি রাখেনি চেয়ারম্যান সাহেব। সুযোগ বুঝে চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ পাঠায় অক্ষর। বলে, শহরের আসার জন্য। পুলিশি তদন্ত করে ছেলের খু’নিকে খোঁজে বের করা হবে তবে শহরের যাওয়া কিংবা পুলিশের সাথে হাত মিলানোর কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে। যেন খু’নি সতর্ক না হতে পারে।

অক্ষরের কথা মেনে নেয় চেয়ারম্যান। একমাত্র ছেলের হ’ত্যা’কা’রীকে ধরার জন্য অক্ষরের ফাঁদে পা বাড়ায়। পরিবর্তন করে চৈতি ও তার মাকে খু’ন করার পরিকল্পনা। অক্ষর চলে যাবার চারদিন পরেই শহরে আসে চেয়ারম্যান। অক্ষরের বলা একটি বাংলো বাড়িতে সবকিছু ব্যাবস্থা করে রাখে অক্ষর। সেদিন খুব নি’র্মম ভাবে হ’ত্যা করে চেয়ারম্যানকে। ভাগ্যের কী লীলাখেলা। অক্ষরের সাথে দেখা করতে এসে নিজ গ্রামের চেয়ারম্যানকে খু’ন হতে দেখে ফেলে চয়ন। অক্ষরের রা’গী দৃষ্টি দেখা মাত্রই কেঁ’পে উঠে। অক্ষর চয়নকে দেখা মাত্রই মুখে আঙ্গুল দিয়ে ইশারায় বলে চুপ থাকতে। চয়ন ভয়ে চুপ থাকে কিন্তু পালানোর চেষ্টা করে পারে না। অক্ষর তাকে চেপে ধরে। ভয়ানক কণ্ঠে বলে, এই ঘটনা যদি কাউকে বলেছো তাহলে পরের শি’কার তুমি হবে চয়ন। আমি কিন্তু আমার বোনকে বি’ধ’বা হতে দেখতে পারবো না। দুঃস্বপ্ন ভেবে ভুলে যাও আজকের ঘটনা।

##চলবে,
®ফারজানা মুমু

[বিঃদ্রঃ গতকাল খুব ক্লান্ত ছিলাম তাই গল্প লিখতে পারিনি। দুঃখিত।]

ছবিয়াল : জান্নাতুল ফেরদৌসী মেঘলা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here